তাহারা

মাঝরাতের একান্ত গহীনে ঘুমন্ত নগরী

ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা অভুক্ত শিশু,

পড়ে আছে তার পাশে তারই মত কিছু

‘পাপের শিশুর’ গলিত নাড়িভুঁড়ি।

 

তারই পাশ দিয়ে পাজেরো হাঁকিয়ে চলা,

ভদ্র মানুষেরা মুখ ঢেকে ঢুকে যায় অভদ্র পাড়ায়

তাদের হাতে বিয়ারের ক্যান, চোখ মত্ত নেশায়।

তারা দেখবে কেন রাতের আঁধারে দুর্ভাগ্যের খেলা।

তারা তো চেনে রাতের নেশায় মত্ত পৃথ্বী

আনন্দ-যৌবন-সূরা-বাইজীর ছবি।

 

প্রভাতের স্নিগ্ধ আলোয় পবিত্র শাঁখের ধ্বনি

সূর্যদেবের জেগে ওঠা, পূজার্চনায় মগ্ন সতী সাধ্বী রমণী-

ম্লান হয়ে যায়। বারবনিতারা সারা রাত্রির ঘুম নিয়ে চোখে

আলস্য ভরা ক্লান্তিকর দুঃস্বপ্ন দেখে

জীবনের কী আছে মানে!

অন্তর্যামী সেও কি তা জানে?

 

সেই প্রভাতেই শুনে সুমধুর আজানের ধ্বনি

যাও ছুটে মসজিদে, নামাজ শেষে বসে একা

ভাব পেলাম বুঝি বেহেশতী হুরের দেখা।

পৃথিবীর হুর বিছানায় পড়ে কাঁদে তাতো দেখনি!

৮ টি মন্তব্য : “তাহারা”

  1. মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

    বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এই অংশগুলো,

    জীবনের কী আছে মানে!
    অন্তর্যামী সেও কি তা জানে?
    পৃথিবীর হুর বিছানায় পড়ে কাঁদে তাতো দেখনি!

    এই অংশটিতে কি বিরোধাভাস প্রকাশ করেছ?

    পাপের শিশুর গলিত নাড়িভুঁড়ি।

    যদি করে থাকো, তবে ঠিক আছে। না হলে প্রশ্ন, 'পাপের শিশু' হতে যাবে কেন?


    দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : লুৎফুল (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।