বিদেশের মাটিতে একটা গর্বের দিন

আজকে বিদেশের মাটিতে একটা গর্বের দিন। বুক ফুলিয়ে সবাইকে বলেছি যে আজ বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। এবং নির্বাচনে বাংলা বিরোধী, ধর্মব্যবসায়ী ধরাশায়ী হয়েছে। গর্বে বুকটা ফুলে উঠেছিল। আর চোখটা কেমনজানি ভিজে আসছিল।

স্যালুট সেক্টর কমান্ডারদেরকে। তারা আবার ৭১ এর মতো বিজয়ী হয়েছে। বাংলার মানুষ তাদের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ হতে দেয়নি। নিজামী, মুজাহিদকে আবার বাংলার মাটিতে অপমানিত হতে হলো। যুগে যুগে এভাবেই বাংলা সাজা দেবে তার মাটিতে জন্ম নেয়া বেজন্মাগুলোকে।


ছবি কৃতগ্ঙতা: রয়টারস

ইলেকশন কমিশনকে ধন্যবাদ। অনেক সমালোচনার মাঝেও তারা তাদের দায়িত্বকে সমুন্নত রেখেছে। এবারের নির্বাচনে নিরাপত্তার নামে রাখঢাকের কোন বাড়াবাড়ি ছিল না। ছিলনা কোন গোপন সুড়ঙ্গ পথের ফলাফল। যা হয়েছে চোখের সামনেই হয়েছে। যা হওয়া উচিত ছিল তাই হয়েছে।যা মানুষ চেয়েছে তাই হয়েছে।

ধন্যবাদ দিতে হয় সেনাবাহিনীকে ( বিশেষত: জুনিয়র অফিসারগুলোকে) যারা ক্যান্টনমেন্টের সুখের জীবনকে বাদ দিয়ে তাঁবুর জীবনকে বেছে নিয়েছিল শুধুমাত্র একটা সমালোচনা বিহীন ভোটার লিষ্ট উপহার দেয়ার জন্য। তাদের কল্যানে আমরা পেয়েছি একটা পরিচয়পত্রও যা এই উপমহাদেশে আর কারো নেই।

এমনি করে ধন্যবাদের লিষ্টকে বাড়তে দিলে তা ভোটারলিষ্টকেও ছাড়িয়ে যাবে। তবু শেষ করবো তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে যারা সত্যিকারের বিজয়ী, এদেশের জনগনকে। তারা আবার জেগে উঠেছে ঠিক সময়ে যখন দেশ উন্নয়নের নামে চলে যাচ্ছিল মৌলবাদীদের কবলে। বাংলা ছেয়ে যাচ্ছিল অযাচিত বাংলাভাইয়ের হাতে। দেশের টাকা খাটছিল সিন্গাপুরের ব্যাংকে। বাংলার জনগন প্রমান করেছে দেশের জন্য তারা আবার একাত্তের মতো এক হতে পারে। পারে বিশ্বের কাছে এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে যে বাংলাদেশ পাকিস্তান/ভারতের মতো সন্ত্রাসের কাছে, মৌলবাদের কাছে দেশকে পরাজিত হতে দেবে না। শত দূর্যোগ,বন্যা,খরার, মৌলবাদের কালো থাবার মাঝেও আবার বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বিশ্বের দরবারে। একটা সোনার বাংলা এখন তাই আর খুব বেশি দূরের স্বপ্ন মনে হচ্ছে না। বিজয়ের এই মাসে গনতন্ত্রের এমন বিজয়ে দেশকে কেন যেন এখনই সোনালী সোনালী মনে হচ্ছে। কি ভাই আপনার কাছেও কি সোনালী লাগছে না বাংলাকে ?

২,৮৩৬ বার দেখা হয়েছে

৩৩ টি মন্তব্য : “বিদেশের মাটিতে একটা গর্বের দিন”

  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আমি আশাবাদী...তবে একটু সাবধানীও থাকতে চাই... :-B
    আপাতত সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই... :salute:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  2. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    আমি কিছুটা ভীত। ১৯৯৬ সালে আ.লীগকে ভোট দিয়েছিলাম আগের বিএনপিকে খেদাতে। ২০০১ সালে রাগে-দুঃখে ভোট কেন্দ্রে যাইনি। এই নিশ্চয়তা পাই না যে, ২০১৩ সালে আমি সন্তুষ্ট থাকবো।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  3. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)
    বিজয়ের এই মাসে গনতন্ত্রের এমন বিজয়ে দেশকে কেন যেন এখনই সোনালী সোনালী মনে হচ্ছে।

    :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup:

    মনে অনেক আশা রাখি.........তার মাঝে একটু আধটু নিরাশাও ঢুকে পড়ে।
    তারপরও আশা রাখি।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
  4. তানভীর (৯৪-০০)
    নিজামী, মুজাহিদকে আবার বাংলার মাটিতে অপমানিত হতে হলো। যুগে যুগে এভাবেই বাংলা সাজা দেবে তার মাটিতে জন্ম নেয়া বেজন্মাগুলোকে।

    :thumbup:

    আমি আশাবাদী, কিন্তু অতিরিক্ত কিছু আশা করতে রাজী নই নতুন সরকারের কাছে।

    জবাব দিন
  5. টিটো রহমান (৯৪-০০)

    আমি এবারের বিজয়কে নিয়েছি মিথ্যার কাছে সত্যের বিজয় হিসেবে। আর তার ধারাবিহিকতায় চাল যে দামেই খাই না কেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যেন হয়। তাহলেই বাংলাদেশ ১০ বছর এগিযে যাবে।
    আমার আর কোন প্রত্যাশা নেই


    আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

    জবাব দিন
  6. টিটো রহমান (৯৪-০০)

    শুধু ঘৃনা দিয়ে এদেশের মাটি পবিত্র হবে না।
    আর শহীদুললাহ কায়সার, জহীর রায়হানদের তো মরতে হয়েছিল বিচার ছাড়াই। ওদের যে বিচারেরর কথা বলা হচ্ছে এটা বাংলার মানুষের মহত্ব।


    আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

    জবাব দিন
  7. নিজামী, মুজাহিদকে আবার বাংলার মাটিতে অপমানিত হতে হলো। যুগে যুগে এভাবেই বাংলা সাজা দেবে তার মাটিতে জন্ম নেয়া বেজন্মাগুলোকে।

    আরে এইটা তো কেবল শুরু, আরো কঠিন অপমান অপেক্ষা করতেছে রাজাকারগুলার জন্য।

    জবাব দিন
  8. শার্লী (১৯৯৯-২০০৫)
    ধন্যবাদ দিতে হয় সেনাবাহিনীকে ( বিশেষত: জুনিয়র অফিসারগুলোকে)

    আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে শুনলাম ওরা সকাল ৭টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত ডিউটি করেছে। তাদের একটা :salute: পাওনা আছে।

    জবাব দিন
    • মান্নান (১৯৯৩-১৯৯৯)

      আসলেই তারা অনেক নি:স্বার্থভাবে, সবচেয়ে বড় কথা নিরেপেক্ষভাবে নিজেদের দায়িত্বকে পালন করেছে। বিনিময়ে সামান্য কৃতিত্বই পেয়েছে। তারা এসব করার সময় শুধু দেশের কথাই মাথায় রেখেছে। নতুন জেনারেশনের এই মনোভাবই আমাকে বাংলাদেশ নিয়ে বেশি আশাবাদী করে।

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ফয়েজ (৮৭-৯৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।