দিনলিপিঃ চিকেন টামালে কিংবা খগেন জে্যঠুর চালতার আচার

এক
সাতদিনের জন্য কেটি এসেছিল আমাদের বাড়ি; চৌদ্দ দিন পুরিয়ে অবশেষে সে ফিরে গেল কানেকটিকাটে। তবু কি যেতে চায়? আমিই প্রায় ঠেলে ধাক্কিয়ে পাঠিয়ে দিলাম। কেটির বাবা এবছর অবসর গ্রহণ করেছেন। বাবার সূত্রে কন্যা বছরে বিমানে তিনটে ট্রিপ নিতে পারে বিনা টিকিটে। ওর আটলান্টা ট্রিপটা এমনই একটা ফ্রি ট্রিপ ছিল।

চার পুরুষ আগে কেটি আরমানিনির পরিবার ইটালী থেকে এদেশে এসেছিল বসতি গড়তে। এখন সেখানে কেউ না থাকলেও নাড়ির একটা টান তো রয়েই যায়। সেই টানেই এবার সামারের ছুটিতে ও ইটালী থেকে ঘুরে এলো বাবার সাথে। বাপ আগে বেশ ক’বার ইউরোপে গেলেও বেটির প্রথম ইউরোপ যাত্রা ছিল সেটি। রাহা খরচের ভাবনা নেই তাদের, হ্যাভারস্যাকখানা কাঁধে ঝুলিয়ে বেড়িয়ে পড়লেই হলো। সিসটিন চ্যাপেলে পৌঁছে কেটি আমাদের কল করলে শিহরিত হয়েছিলাম খুবই।

এবার কেটি আমাদের বাড়ি এলে আমরা কেবল ইটালীর গল্প শুনলাম। গল্পে গল্পে প্যানথিঅন, এভেনটিন অথবা ভিলা বারগিস এখন আর তেমন অপরিচিত মনে হয়না।
‘সবচাইতে কি ভাল লাগলো রোমে?’ জানতে চেয়েছিলাম আমি।
‘ইটালিয়ানরা আমাদের মত নয় মামা, ওরা আমেরিকানদের চাইতে অন্যরকম।’
‘সেটি আবার কেমন, ক্যাট? সবাইতো দেখতে তোমার মত সাদাই।’
‘বাইরে আমরা সবাই সাদা মামা, কিন্তু ভেতরে কারো কালো, কারো বা অন্য রঙ। জানো, প্রথমদিন ডিনারে আমি একটা চড়ুই পাখীর রোস্ট খেয়েছিলাম, সাথে ছিল ময়ুরের সুপ আর টুসক্যানি রুটি। আমেরিকাতে এসব খাবারের কথা আমি ভাবতেই পারিনা!’

মেয়েটির খাওয়াদাওয়াতে রুচি ছিল না কোনদিন, তাই বললাম, ‘তুমি খেতে পারলে অইটুকু সুন্দর একটা পাখি?’
বন্ধু বেকায়দায় পড়ে যাচ্ছে দেখে তারা বলে ওঠে, মা, ঘিয়ে ভাজা কোয়েলতো আমরা মজা করেই খাই। তারপর দেশে গিয়ে এবার কী মজা করেই না কবুতর খেলে তুমি!
‘বুওয়ান এপেটিটো বলে খেলে মামা, সবকিছুর মজা বেড়ে যায় যে, জানোতো?’ মৃদু হেসে কেটি বলে।

ছোটবেলায় মেয়েটি হাত দিয়ে ডাল ভাত খেতে শিখেছিল আমাদের বাড়িতে। এবার আমাদের সাথে দেখা হলো দুই বছর পর। খাবারে তার মন টন নেই। খাওয়া বলতে একটার পর একটা চিপস খায় ও, সাথে দুটো ফ্রস্টেড ফ্লেকস ছুঁড়ে মারে মুখে। ডাল ভাত খেতে চেয়েছিল বলে একদিন ঘিয়ের ফোঁড়নে সোনা মুগডাল আর বাসমতীর সাদা ভাত করেছিলাম ওর জন্য, সাথে নারকোল দুধে ডোবানো জাফরানে হাড়বিহীন মুরগির বুক। কোথাও ঝাল নেই এতোটুকু তবুও হুহু করতে করতে কেটির চোখে জল চলে এলো দেখে তারা হাসে।

কাঁচামরিচ ডলে সেদিন আমার রাতের খাবার খেতে হয়েছিল বলাই বাহুল্য!

দুই
ডাক্তার অ্যাডরিয়ানাকে বললাম, প্লাটিপাসের সাথে সাঁতার কাটতে যাচ্ছি অস্ট্রেলিয়াতে। তুমি আমায় দু’খানা বেনজোডায়াজেপিন দাও। আমার ডাক্তার জানেন তার রোগীটি ক্লাস্ট্রোফোবিক, তাই কথা না বাড়িয়ে খসখস করে একখানা প্রেসক্রিপশন লিখে দেন। স্বল্প পরিসর জায়গায় যাদের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় তাদের জন্য আমেরিকার দক্ষিণভাগ থেকে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে ভ্রমণ সহজসাধ্য নয়। বেনজোডায়াজেপিনের ঘোরে আমি ঠিক দেখতে পাই, হাত পুড়িয়ে সে কাচকি মাছের চর্চরি রাঁধছে আমার জন্য। আমি কিছু খেতে ভালবাসি আর সে তা রাঁধবেনা সেটি কী করে হবে! চোখের জলে ভেসে পেঁয়াজ কুচালো; তারপর ঝালঝাল কাঁচামরিচের বুক চিরে নিলো পাকা হাতে! জল শুকোলে ধনেপাতার গার্নিশে সামান্য সেই কাচকি কনেবউটির সাজে এখন অপেক্ষা করছে তার কাঁচমোড়া টেবিলে! পাশেই রূপবতী পদ্মার ইলিশ! গরম তেলে মাছ কড়কড়ে ভেজে দিব্যি দুখানা লাল মরিচের চুম্বনে সোনালী গার্লিকের কথাও সে মনে রেখেছে দেখি! ক্রিমসন রঙা টেবিল রানারে ওটি আবার কী? পুঁইডগায় কুচো চিংড়ি নাকি সোনামুগ ডাল ভর্তা! মনেমনে বলছি, কুমড়ো ফুলের বড়াগুলো নেতিয়ে না পড়ে, দেখিস পাগলা!

মোমের আলোয় তার স্বপ্নময় চোখের দু্যতি সে ঠিকই পড়তে পেরেছিল তের নদীর ওপার থেকে। বালক যখন প্রেমে পড়ে লেজেগোবরে মাখামাখি বালিকা তখন তার কাচুমাচু কাচকির প্রেমে মাতোয়ারা! ডবকা একখানি নাগা মরিচ আছে তো টেবিলে? পেটপুজো না হলে মনপুজো কী করে হবে?

তিন
আতিক বাইরে থেকে ফেরার পথে বাঙালী গ্রোসারীতে থেমেছিল। দোকানে পৌঁছেই অভ্যেসবশতঃ একখানা কল করে সে। আমি বাগানে পানি দিচ্ছিলাম; আজ বড় বেশী গরম পরেছে এখানে। আমার আদরের গাছপালারা বড় তৃষ্ণার্ত হয়ে আছে। যুঁই এর কচি ডাল নুয়ে আছে, সবুজ পাম গাছ শ্রান্ত হয়ে পরেছে। গাছেদের সাথে সাথে বাগানের মালিনীও সিডনীর রোদতপ্ত দিনের শেষে কম ক্লান্ত নয়। মাইনাস ছয় থেকে হঠাৎ ত্রিশ পেরুনো সিডনীতে এসে মালিনীর গা পুড়ছিল নিয়ত। সময়ে অসময়ে গোসলে যাই, স্লাশি খেতে খেতে গরম তাড়াই।
‘কি বলবে ঝটিতি বলো’ আমি তাড়া লাগাই।

আগের জন্মে ও ম্যাজিশিয়ান ছিল নিশ্চিত; তাই সব কিছুতেই আতিকের বড় হেয়ালী। রহস্য করে বললো, ‘ঠিক এই মুহুর্তে কি খেতে মন চাইছে বলো! যা চাইবে পাবে তা’ই’! ওর সাথে থাকতে থাকতে আমিও বাঘা তেঁতুল গোছের হয়ে গেছি। কিছু না ভেবেই বললাম, ‘টকঝালমিষ্টি লাল লাল চালতার আচার; ঐযে পাড়ার খগেন জে্যঠু যেমন বানাতো তেমনটা!’

দেশ ছেড়ে এসেছি বহুদিন আগে। তেঁতুলগুলি, হজমী, হাওয়াই মেঠাই আর টিমটিমে বাতিওয়ালার চিকেন প্যাটিস আজকাল দেখি সময়ে অসময়ে কড়া নাড়ে। আমার তীব্রগন্ধী ছেলেবেলা ফিরে ফিরে আসে। দেশের লোকজন যতো বেশী ‘ম্যারিকান’ হচ্ছে প্রবাসী বাঙালীরা দেখি ততোটাই বাঙাল হচ্ছে। এটি আমার একান্ত নিজস্ব অনুভব। আমার নিকট স্বজন এবং বন্ধুগোত্রীয় মানুষেরা অন্য রকম ভাবতেই পারেন।

এখানে বাড়ি বসে যতোই চিকেন টামালে, কেপরিস সালাদ কিংবা ভাপানো ট্রাউট খাই না কেন ঘুরেফিরে সেই লাউ চিংড়ি কিংবা লেবুপাতায় চটকানো বেগুণপোড়া আমাদের রসনাকে তৃপ্ত করে। বিলগোলা বিচের যতোই কাছে থাকুক কেন, আতিক এখনো বিলহাওড়ের মানুষ বৈ নয়! পদ্মা পাড়ের জলহাওয়ায় বেড়ে উঠেছে বলেই হয়তো দীর্ঘ প্রবাস জীবন পার করেও আজো মাটির মানুষই আছে!

এখানে আমাদের স্বদেশী গ্রোসারীগুলো দেশে পাড়ার মুদীর দোকানের মডিফায়েড সংস্করণ! দেশী চাল, ডাল, কচুর লতি থেকে তেতো করলা, টাকী মাছের ভর্তা কিংবা ফ্রোজেন ভাপা পিঠা সবই মেলে এসব দোকানে।

মুড়ি, চানাচুর, ডালপুরি, আলুপুরি ছাড়াও আতিক বাড়ি ফিরলো দশটি অচেনা প্যাকেট নিয়ে। ফ্রিজারের হিমনদী থেকে তুলে আনা সেই সব প্যাকেটের গায়ে লেখা রয়েছে ‘এ্যালিফ্যান্ট অ্যাপেল’। আপেল মানে আমার কাছে এখনো ‘আপেল খেলে শক্তি হয়’ টাইপের কিছু একটা এবং সেটির রঙ লাল বা সবুজ। দেশের বাইরে এসে দেখলাম নানারকম মানুষের মত আপেলেরও নানান রঙ আর বাহারি নাম। রেডলাভ এরা, গালা আপেল, হানিক্রিস্প, পিংক লেডি কিংবা কোর্টল্যান্ড আপেল খেয়ে দেখেছি কিন্তু স্বাদের খুব বেশী তারতম্য খুঁজে পাই নাই। সবুজ রঙের একখানা প্যাকেট খুলতেই দেখি সরু করে কাটা ঘোলাটে সাদা রঙের কিছু সব্জী বা ফলের টুকরো সেখানে। আতিক এসে হাসতে হাসতে বললো, এতকাল পরে তোমার খগেন বুড়োকে পাইনি ঠিকই, তবে আজ টকঝালমিষ্টি চালতার আচারের ফিস্টি হবে, পাগলু!

চার
আমরা যারা মার্কিন নাগরিক তারা মাত্র দশ ডলারের বিনিময়ে মিনিট কয়েকের মাঝে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের জন্য ভিসা পেতে পারি। অন লাইনে প্রাপ্ত এই ভিসা ইটিএ (ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন) নামে পরিচিত। মাস্টারকার্ডে টাকা জমা দেবার দশ মিনিটের মাঝে আমি এক বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পেলাম। মুহুর্তেই একখানা ই-মেইলে ওরা আমায় অভিনন্দনের সাথে সাফ সাফ জানিয়ে দিলে যে, ভিসা এক বছরের জন্য হলেও আমি এক নাগাড়ে নব্বই দিনের বেশী সেখানে থাকতে পারবোনা।

এ বছরের শুরুতে আমি অস্ট্রেলিয়া পৌঁছুলাম। তিন সপ্তাহের ছুটি শেষ হয়ে গেল চোখের পলকে। এরপর আতিকের চোখের জলে বন্ডাই বিচ প্লাবিত হয়ে গেলে সর্বমোট অষ্টাশি দিন কাটালাম কোয়ালা, প্লাটিপাস আর কোকাবরার সাথে। ভিসা শেষ হলো, আর তো থাকা চলেনা। বাড়ি ফিরতেই হবে। এবার দুই চোখের সমব্যথী হয়ে কাঁদলো আরো দুই চোখ!

আমেরিকাতে ফিরবার আগের রাতে নিউজিল্যান্ডে যাবার টিকিট কাটলাম ঘুমঘুম চোখে। পরদিন কাকপক্ষী জাগবার আগে অকল্যান্ডের দিকে যাত্রা শুরু করলাম।

পাঁচ
আমাদের পাশের বাড়িতে থাকেন জ্যাকব আর এ্যাবি। বুড়ো জ্যাকব কাজ করেন এখনো কিন্তু মিস এ্যাবির ভারী শরীরে প্রতিদিনকার গৃহকর্ম করাটাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। এদের ঘরবাড়ির অবস্থা বেশ, পেইড অফ বাড়িতে থাকেন তারা। বয়েস হয়েছে, শরীরের বাড়তি মেদ নিয়ে দু’জনি বেশ বিপর্যস্ত বুঝতে পারি। স্যুট টাই পরে সাতসকালে যখন জ্যাকব কাজে যায়, এ্যাবি তখনো গড়াগড়ি করছে বিছানায়। আবার বিকেলে জ্যাকবের ঘরে ফিরবার সময় হলে এ্যাবি চুল পরিপাটি করে ঘরের ক্যাপ্রিখানা বদলে কখনো ছাপার একটি টপ কিংবা লাল হলুদের একখানা টিউনিক পরে অপেক্ষা করে। ওদের বাড়ির সামনে জ্যাকবের করা সুগন্ধি গোলাপের বাগান। ছুটির দিন সকালে বুড়োবুড়ি কাপে কাপ ঠোকাঠুকি করে কোকো বা কফি পান করে দেখতে পাই লনে বসে। আমাকে দেখলেই এ্যাবি হাত নাড়ে। ভদ্রমহিলা কথা বলতে বলতে কদাচিৎ খেই হারিয়ে ফেললেও জ্যাকবের প্রসংগ চলে এলে তার চোখের তারার দু্যতিটি ঠিক দেখতে পাই। পঁয়তাল্লিশ বছরের যৌথ জীবনে ভালবাসার নির্যাসটুকু বুঝবার জন্য রকেট বিজ্ঞানী হতে হয় না।

ছয়
এই যে অনেকদিন অনেক প্রহর
কোন কবিতা লিখি না
তার কোন গভীরতর কারণ নেই।
কতকাল রাত্রিগ্রস্ত শব্দের সাথে
লীলাময় ভোর শেষে ঘুমোতে যাইনি।
অসমাপ্ত লেখাটি রয়ে গেছে ধূলো মলিন।
কবিতার প্রশ্নে আমি খুব অভিমানী
জীবন পরিক্রমায় জেনে গেছি
কবিতা অপরিহার্য নয় জীবনের জন্য;
নিঃশ্বাস যেমন বেঁচে থাকবার!
ইতোমধ্যে বেরিয়ে গেছে অনেক লেখা
ছাপোষা এক কবি এরই মাঝে পেয়ে গেছে
সোনালি পদক,
কত বেলাজ প্রেমিক লিখেছে ছলনা-কাব্য
বেরিয়েছে কত রোজনামচা,
পাথুরে রুখুসুখু পথ মাড়িয়ে আমি তখন
বেঁচে থাকবার আলো খুঁজেছি একাকী
কত পূণর্িমা চলে গেছে অলখ
একবার ফিরেও তাকাইনি
আমি ছিলাম থাকা আর না-থাকার মাঝে
অপ্রেমে, অবহেলায়, অনাদরে!
তোমাকে দেখবার পর
কবিতার জলছাপ আবারও নিয়ে এলো
প্রভাত চুম্বন!

৭,৩০৮ বার দেখা হয়েছে

১৪ টি মন্তব্য : “দিনলিপিঃ চিকেন টামালে কিংবা খগেন জে্যঠুর চালতার আচার”

  1. জিয়া হায়দার সোহেল (৮৯-৯৫)

    আপু কি বলব, বেশ কয়েকবার শেষের কবিতা-টাই পড়েছি আর মুগ্ধ হয়েছি। কবিতা তোমার ভিতরে আর তুমি আমাদের ঠকাচ্ছ সেগুলো না লিখে। তাড়াতাড়ি লিখো, সময় চলে যাচ্ছে। আমি সত্যি বিস্মিত হই, তুমি না লিখে এত বছর কাটিয়ে দিছ আর এখন ঘুরে বেড়াচ্ছ এদিক সেদিক। যাই হোক তুমি লিখো। আমার শুভকামনা তোমার সাথে।

    জবাব দিন
  2. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    ১। ছোটবেলায় মেয়েটি হাত দিয়ে ডাল ভাত খেতে শিখেছিল আমাদের বাড়িতে - :clap:
    ২। culinary details এর বর্ণনায় তোমার কোন জুড়ি নেই। খাদ্যদ্রব্য আর রন্ধন প্রণালী কবিতার মত পাখা মেলে তোমার কথায়।
    ৩। এতকাল পরে তোমার খগেন বুড়োকে পাইনি ঠিকই, তবে আজ টকঝালমিষ্টি চালতার আচারের ফিস্টি হবে, পাগলু! - 😀
    ৩। পদ্মা পাড়ের জলহাওয়ায় বেড়ে উঠেছে বলেই হয়তো দীর্ঘ প্রবাস জীবন পার করেও আজো মাটির মানুষই আছে! - :clap:
    ৪। এবার দুই চোখের সমব্যথী হয়ে কাঁদলো আরো দুই চোখ! - 🙁
    ৫। আবার বিকেলে জ্যাকবের ঘরে ফিরবার সময় হলে এ্যাবি চুল পরিপাটি করে ঘরের ক্যাপ্রিখানা বদলে কখনো ছাপার একটি টপ কিংবা লাল হলুদের একখানা টিউনিক পরে অপেক্ষা করে - 🙂
    ৫। পঁয়তাল্লিশ বছরের যৌথ জীবনে ভালবাসার নির্যাসটুকু বুঝবার জন্য রকেট বিজ্ঞানী হতে হয় না - :hatsoff:

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂

      আপনার মত মেধাবী পাঠকের মনযোগ আকর্ষণ করা লেখকের জন্য নিতান্ত সৌভাগ্যের, কবি।

      তারার বন্ধুরা আমাদের বাড়ি এসে খেতে ভালবাসে। বিফ স্ট্রোগানফ বানিয়েছিলাম রাতের আহারে। ঝুরি ঝুরি বিফ স্ট্রিপের সাথে মাশরুম, গোলমরিচ, সাওয়ার ক্রিম আর মাখনে জড়াজড়ি এগ নুডলসের পোষাকী নাম হলো বিফ স্ট্রোগানফ। এমন আহামরি কিছু নয়; তবুত্ত তারার বন্ধুরা খেয়ে প্রায় বেহুশ হবার ভাণ করে! রান্নাবান্না একটি শিল্প বটে যদিত্ত আমি নিজেকে তার শিল্পী বলার চাইতে এই শিল্পের সমঝদার ভাবতেই ভালবাসি। রাঁধুনীর যে গুণটি অপরিহার্য তা হলো ধৈর্য, কবি। আমার আবার এর ঘাটতি রয়েছে খানিক।

      অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য।

      জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂

      আমার সাদামেটে দিনলিপিটি পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় ফকরুল। মন্তব্যের জবাব দিতে দিতে খানিক গোয়েন্দাগিরি করে এলাম তোমার প্রফাইলে গিয়ে। সাত বছর হয়ে গেল তুমি কিছু লিখো নাই। কাজে বা অবসরে অনেক তো সময় কাটলো; এবারে কিছু লিখো। সিসিবিতে দিনলিপি আমার সবচাইতে প্রিয়। কষ্ট করে কিছু ভাবতে হয় না। আহ্লাদী বেড়ালছানার মতো ওমে থেকেও চট করে লিখে ফেলা যায়। এবারে আসো তোমার লেখা নিয়ে, অন্য কিছু না হলেও সাদামেটে দিনলিপিই সই!

      আশাকরি ভাল আছো। বিজয় দিনের শুভেচ্ছা জেনো!

      জবাব দিন
  3. টিটো মোস্তাফিজ

    "দেশের লোকজন যতো বেশী ‘ম্যারিকান’ হচ্ছে প্রবাসী বাঙালীরা দেখি ততোটাই বাঙাল হচ্ছে। এটি আমার একান্ত নিজস্ব অনুভব। " - আমারও
    "তোমাকে দেখবার পর
    কবিতার জলছাপ আবারও নিয়ে এলো
    প্রভাত চুম্বন!" 😡


    পুরাদস্তুর বাঙ্গাল

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রিফাত আনজুম পিয়া (২০০৪-২০১০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।