আমরা সবাই রাজা

লিজার্ড লগ পার্কে পৌঁছুতে মনে হলো কোন অলিম্পিক ভিলেজে এসেছি বুঝি। উনিশশো ছিয়ানব্বইতে আটলান্টা অলিম্পিকে বিভিন্ন ইভেন্ট দেখার পাশাপাশি ঘুরে ঘুরে শহরের সাজসজ্জা দেখেছিলাম। ইসিএফ অস্ট্রেলিয়া আয়োজিত ক্যাডেটস ডে আউটের বর্ণাঢ্য আয়োজন দেখে অলিম্পিকের পুরনো স্মৃতি ফিরে এলো মনে। পার্কে আমরা পৌঁছুতেই চারপাশের উৎসবমুখরতা চোখে পরে! এখানে শীতের শেষে গাছে গাছে নবীন পাতা আর রংবাহারী ফুলের মেলায় আলো ছড়াচ্ছে প্রিয় সব মুখ। ব্যানার, ফেস্টুন, বেলুন আর কলেজের পতাকায় বর্ণময় বসন্ত সকাল!

কলেজে আমাদের প্রিয় ব্রেকফাস্ট মেন্যু ছিল খিচুড়ি আর ডিম। এ নিয়ে ইসিএফ অস্ট্রেলিয়ার ভাইবার পাতার তুমুল আড্ডায় খিচুড়ি ডিমের শ্লোগান শুরু হয়ে গেল দুই দিন আগে থেকেই। সকালবেলা ভলান্টিয়াররা অনুষ্ঠানস্থলে চলে আসবেন সুতরাং তাঁদের খিচুড়ি নইলে চলবে না। মেজবাহ ভাই আমাদের চেয়ে বয়েসে প্রবীণ হলেও চলনে ও মননে নবীনতর। ভাইয়ার ডাবল ডিমের দাবীর মুখে উপায়ান্তর না দেখে আতিক প্রাতঃরাশের দায়িত্ব নিয়ে নিল। তারপর রাত ভোর হতে না হতে চাল ডালের নিকেশ করতে লেগে গেল সে! হাই প্রেশার গ্যাসের চুলো জ্বেলে আমি ডিম ভুনা করি। আমাদের সশব্দ আয়োজনে ততোক্ষণে জেগে উঠেছে কন্যাদ্বয়। চোখ কচলাতে কচলাতে তারা আর আনিকা আমাদের ছেলেমানুষী দেখে হাসে! উৎসবমুখর খোলা মাঠে সিডনীর হিমহিম ঠান্ডায় ধোঁয়াওঠা খিচুড়ি, ডিম ভুনা আর সালাদ অমৃতকল্প মনেহলো!

এখানে একটি কথা বলে রাখা দরকার, ইসিএফ অস্ট্রেলিয়ার কোন সাংগঠনিক পরিষদ নেই। নেই কোন বাকসর্বস্ব সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক কিংবা অন্যান্য পারিষদ। সূচনালগ্নে বন্ধু রিশা বলেছিল, আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে অর্থাৎ এখানে সবাই সমান, আমাদের কোন নেতা নেই, এখানে কেউ কারো প্রজাও নয়। ইসিএফ অস্ট্রেলিয়ার ক্যাডেটস ডে আউটে দেখেছি আমাদের নিবেদিতপ্রাণ ছোট ভাইয়াদের কর্মকুশলতা। শাহেদ, ইমরান, পার্থ, আশরাফুল মিনহাজ, মেজবাহ ভাই, শামীম রেজা, মামুন, সাইফুল ভাই, রাসেল, সহ অসংখ্য ছোট বড় ভাইয়ারা তাদের মূল্যবান সময় এবং শ্রম দিয়েছেন। আমার ব্যাচমেট বন্ধু রিশা, এহসান, আতিক, আর সাইফুলকে ছাড়া যে সিডিও যে অসম্পূর্ণ থাকবে এটি সবার জানা! আর যাঁদের কথা না বললেই নয়, তাঁরা হলেন আমাদের নেপথ্যের দিশারী আয়াজ ভাই এবং কান্ডারী নওশাদ ভাই।

সকাল নয়টা থেকেই এক্স ক্যাডেটরা আসতে শুরু করলো। প্রথমে স্মিত হাসিতে সম্ভাষণ শুরু হলেও খানিক আড্ডাবাজির পর সেই হাসি চোয়াল থেকে চোয়ালে ছড়িয়ে পরতে সময় নেয়নি। কত হারানো বন্ধুদের সাথে দেখা হলো। কলেজে যে সিনিয়র ভাইয়া দাঁত খিঁচিয়ে কঠিন শাস্তি দিতেন তাকেই দেখা গেল জুনিয়রদের সাথে মাঠে গোল হয়ে বসে আড্ডা দিতে। যে ফাঁকিবাজ জুনিয়র প্রিন্সিপ্যালস প্যারেডের দিন হাসপাতালে ঘুমাতো তাকে দেখা গেল নিয়ম মেনে ডান পায়ে জোরসে চেক দিতে!

কলেজে প্রিন্সিপ্যালস প্যারেড নামের কুচকাওয়াজের অপর নাম ছিল বিভীষিকা! কলেজ থেকে বেরুবার সিকি শতাব্দী পর সেই বিভীষিকাই আমাদের মনে ঈদ আনন্দের বন্যা এনে দিল। ক্যাডেটস ডে আউটের মূল আকর্ষণ ছিল প্রিন্সিপ্যালস প্যারেড। অনুষ্ঠান শুরুর আগে আমরা ডান পা বাঁ হাতে প্র্যাকটিসও করে নিলাম। আমাদের প্রিন্সিপ্যাল স্যার ছিলেন মহিউদ্দীন আহমদ (এফসিসি ১৯৬১) ভাই এবং ভিপি ও এডজুটেন্ট স্যার ছিলেন যথাক্রমে আয়াজ চৌধুরী ভাই এবং নওশাদ শাহ ভাই। ক্যাডেটরা মার্চপাস্টের সময় মকরামি করলে কি হবে, আমাদের প্রিন্সিপ্যাল স্যার নিজে খুব সিরিয়াসলি তাঁর দায়িত্ব পালন করেন যদিত্ত ভিপি এবং এডজুটেন্ট স্যারের মুখে ছিল আকর্ণবিস্তৃত হাসি! জেজিসিসি এবং এফজিসিসির কেউ ছিলনা বলে দুটি শিশু তাদের পতাকা বহন করে। এমজিসিসি থেকে আমরা মোট পনের জন এক্স ক্যাডেট তাদের পরিবার সহ অংশগ্রহণ করেছিলাম।

ক্যাডেটস ডে আউটে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য জাঈদ খান রাব্বী এবং তার স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রশংসা করতেই হবে। সকালের চা এবং হালকা খাবারের পর দুপুরবেলায় সালাদ ও রায়তা সহযোগে ছয় কোর্সের তৃপ্তিকর খাবার সকল অতিথিদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিকেলে এইট নোটসের মনমাতানো গানের সুরের সাথে দেশজ মিষ্টান্নে মিষ্টিমুখ করেছে সবাই। বলাই বাহুল্য বাংলাদেশের বাইরে এত মজাদার মৌচাক (চমচম) আমরা অনেকেই বহুদিন খাইনি!

এক্স ক্যাডেটরা দিনব্যাপী চায়ের কাপে ঝড় তুলেছে বন্ধুদের সাথে। দলবেঁধে গল্প হয়েছে, ফটোসেশন চলেছে নিরন্তর। অনুষ্ঠানে এমজিসিসির বয়োঃজে্যষ্ঠ ক্যাডেট ছিলাম আমি; অন্যদিকে জান্নাতুল মাওয়া মেধা ছিল সর্বকনিষ্ঠ! বয়েসের ফারাক ঘুচিয়ে প্রায় কন্যাসম মেধার সাথে বন্ধুতা করতে আমার এতটুকু বেগ পেতে হয়নি। অন্যান্য সবার সাথে আমি সহ আরো পাঁচটি ক্যাডেট জুটি এসেছিল অনুষ্ঠানমালা দেখতে। সদানন্দ লায়লা মীর আর ওর প্রেমিক বর আহসান আমাদের অতি আদরের বন্ধু। দীপাকে দেখলে আমার অনু, পারু, অন্তরা, টুম্পা আর পপির কথা একত্রে মনে পড়ে যায়। হরিহর আত্মা এই ছয় বন্ধু আমাদের বড় আদরের মানুষ ছিল কলেজে! গত পাঁচই মার্চে অন্তরা আমাদের ছেড়ে অকালে অন্য ভূবনের পথে যাত্রা করেছে। কৈশোরের ভালবাসা আর আনন্দময় এমজিসিসির বহু স্মৃতির সাথেই আমাদের প্রিয়মুখ অন্তুর ছবি ভাসে চোখে! সদাহাস্য রত্না এবং তার আধা ক্যাডেট বরটি ছুটোছুটি করে বেরিয়েছে সবার সাথে। ধুমায়িত চায়ের কাপ হাতে স্টেজের পেছনে ইভানার সাথে গল্প করছিলাম। জুন ঠিক সেই আগের মতই আছে, বিনম্র এবং ভাবুক!

সদাহাস্য ফজলে রাব্বী, রফিক ভাই, এবং আমাদের বন্ধু সাইফুল ছিল অনুষ্ঠানের নেপথ্য নায়ক। ক্যাডেটস ডে আউট উপলক্ষে অনবদ্য একটি ডিরেক্টরি প্রকাশনার পেছনে কাজপাগল এবং স্থিতধি এই তিনজন মানুষের অবদান আমরা সবাই জানি। শত বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করে ছোট ভাই সাইফুল এবং অগণিত স্বেচ্ছাসেবকেরা কাজ করেছেন একটি আনন্দময় দিনের জন্য। অনবদ্য ফটোগ্রাফি করেছে রাসেল আর শাফায়েত করিম। এই দুইজন গুণী আলোকচিত্রীর লেন্সে স্মৃতিময় হয়ে রইল আমাদের প্রাণের মেলাটি!

অনুষ্ঠানের শেষে এহসান যখন দরাজকন্ঠে গান ধরেছে চারপাশের কোলাহল থেমে গেল হঠাৎ। আপাতঃ স্থিতধি এই মানুষটি মাইক্রোফোন হাতে পেয়ে পুরোটাই বদলে গেল যেন। একের পর এক নিজের এবং দর্শকদের পছন্দসই গান গেয়ে পুরো অনুষ্ঠানটি মাতিয়ে রেখেছিল আমাদের গুণীজন এই বন্ধুটি। যে মানুষটির কথা না বললে আমাদের এই মিলনমেলা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে তিনি হলেন আমাদের অপর বন্ধু রিশা। রিশার সুযোগ্য অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় মুখর হয়েছে সমগ্র লিজার্ড লগ প্রান্তর। সবশেষে আয়াজ ভাই এবং নওশাদ ভাই সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে দিনব্যাপী এই মিলনমেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

অতঃপর সব পাখি ঘরে ফিরে গেলে গোধূলির কোমল আঁচল জড়িয়ে আমাদেরও ঘরে ফেরার পালা। স্বজনবেষ্টিত একটি দিন কাটিয়ে স্বপ্নবিলাসে ফেরার পথে মেজবাহ ভাই আমাদের সাথী হলেন। স্টিয়ারিঙে হাত দেবার আগেই আতিক আমার প্রিয় গান চাপিয়েছে মিউজিক সিস্টেমে। মেজবাহ ভাইয়া হঠাৎ বলে উঠলেন, দিনটা হঠাৎ শেষ হয়ে গেল! তারপর নেপথ্যের ঢিমেতেতালা গান ছাপিয়ে আবারও শুরু হলো লাগাতার আড্ডা। পশ্চিমপাড়ে সূর্য ডুবেছে বহুক্ষণ আগেই কিন্তু দিগন্তজোড়া আলোর প্রদীপ রুখবার সাধ্য কারোর নাই!

৭,৬৮৭ বার দেখা হয়েছে

১৩ টি মন্তব্য : “আমরা সবাই রাজা”

  1. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    আগে শেয়ারটাই করলাম।
    সে কথাগুলাই আবার বলে রাখছি আমার প্রথম রিএকশন হিসাবে...
    \\ এই ব্লগের লেখক, Sabina Chowdhury​ সহ আরো অনেকের সাথে ভার্চুয়াল জগতে কমবেশি পরিচিতি থাকলেও রিয়েল ওয়ার্ল্ডে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত দুজনের সাথে। ১) Milton Hasnat​ আমার জেসিসি-র সহপাঠি ও বন্ধু, আর ২) Evana Shams​ মানে জুন - আমার আইবিএ-র সহপাঠি ও বন্ধু।
    লিখাটায় ইভানার উল্লেখ আছে এক জায়গায়, আর ছবি আছে একটা।
    মিলটনের উল্লেখ নাই তবে মিল্টন আছে দুইটা ছবিতে।
    দুজনের এই ডবল উপস্থিতি, আমার জন্য কাইন্ড অব স্পেশাল ট্রিটমেন্ট 🙂 🙂 🙂
    এত বড় একটা আয়োজন কোনো ফর্মাল নেতৃত্ব ছাড়াও যে করা যায়, এটা তো রীতিমত অবিশ্বাস্য!!!
    অনেক অনেক শুভকামনা সবার জন্য, যারা এই আয়োজনের সাথে ছিলেন।
    ইসিএফ আর তারুন্য তাঁর সদিচ্ছার ছায়া মেলে রাখুক প্রতিটা এক্সক্যাডেটের মাথার উপরে...
    নিরন্তর শুভকামনা ইসিএফ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য!!! //


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂

      ইসিএফ অস্ট্রেলিয়া আয়োজিত ক্যাডেটস ডে আউট আমার জন্য অনন্য এক অভিজ্ঞতা। বহুকাল আগে দেশ ছেড়ে এসেছি। তখন এতো কিছুর বালাই ছিল না। দেশে কোনদিন কোন গেট টুগেদার তো দূরের কথা, অন্য ক্যাডেট কলেজের কাউকে চিনতাম বলে মনে পড়ে না। সিডনীর অপরাজেয় এক্স ক্যাডেটরা দেশ থেকে হাজারো মাইল দূরে বসে সব ক্যাডেট কলেজের এক্স ক্যাডেটদের বিনি সূতোর মালায় গাঁথবার এই কাজটি অশেষ ভালবাসার সাথে সম্পন্ন করেছে।

      অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্য, ভাইয়া।

      জবাব দিন
  2. আতিক রহমান (১৯৮২-১৯৮৮)

    :hatsoff: :hatsoff: ::salute:: ::salute:: :gulli2: :gulli2: :boss: :boss:

    জীবনের তুলনায় ছয়টি বছর তেমন কিছুই নয়। কিন্তু ঐ বেড়ে ওঠার ঐ বয়সে সেই মাত্র কয়েকটি বছর মহাকালের সমান। মহাকালের এই সামান্য কয়েকটি বছর গড়েছে আমাদের মহাবন্ধন। তাই তো সাবিনা তুমি জুলাই মাসে আমেরিকা গিয়ে এক মাস পরেই আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে লিজার্ড পার্কে উপস্থিত হয়েছো! সিডিও কে সফল করতে এমজিসিসির ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বোনদের একত্র করতে তুমি আয়োজন করলে প্রি-সিডিও গেট টুগেদারের। তারপর সবাইকে রাজা বানাতে তুমি নিজেই যে কতবার প্রজার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছো তা কেউ না জানুক, আমি তো জানি।

    অনেক ধন্যবাদ, সাবিনা।

    জবাব দিন
  3. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    একেবারে প্রথম বাক্যটাই পুরো ইভেন্টের একটা চমৎকার ইন্ট্রোডাকশন হয়েছে। কিছু কিছু ছবিতেও অলিম্পিক ভিলেজ এর ঔৎফুল্ল আর আমেজের স্বাক্ষর রয়েছে।
    ইসিএফ অস্ট্রেলিয়ার কোন সাংগঠনিক পরিষদ নেই। নেই কোন বাকসর্বস্ব সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক কিংবা অন্যান্য পারিষদ -- যোগ্য কর্মীবাহিনী থাকলে ওসব ছাড়াও যে অসাধ্য সাধন করা যায়, ছবি দেখে আর তোমার লেখাটা পড়ে তা আমরা বেশ বুঝতে পারছি। ইতোপূর্বে ফেইসবুকে নওশাদ এর পোস্ট করা কিছু ছবি দেখেও তা আন্দাজ করতে পেরেছিলাম।
    অনুষ্ঠান শুরুর আগে আমরা ডান পা বাঁ হাতে প্র্যাকটিসও করে নিলাম --ডান পা বাঁ হাত, নাকি বাঁ পা আর ডান হাত? 🙂
    মোট পনের জনের এমজিসিসি এর বহরটা বেশ বড়ই ছিল বলতে হয়!
    একেবারে শেষের কথাগুলো খুবই সুন্দর হয়েছে, কাব্যিক বর্ণনা, হৃদয়স্পর্শী।
    অনেকদিন পরে ব্লগে এলে। একটু সময় করে আরেকটু নিয়মিতভাবে লিখে গেলে ভাল হয়, কেননা পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে- তোমার লেখার প্রতি পাঠকের চাহিদা রয়েছে, পাঠকপ্রিয়তা আকাশচুম্বী!

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂

      ইসিএফ অস্ট্রেলিয়ার প্রজাবিহীন রাজত্বের ভাবনাটি আমার মনে ধরেছে খুব। এখানে প্রয়োজনে সবাই নেতা আবার সবাই এক একজন কর্মীও বটে। অনুষ্ঠান শেষে আমরা নিজেরাই জেনিটরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে পুরো লিজার্ড লগ পার্কটি সাফ সুতরো করে এসেছি। পার্ক অথরিটি আমাদের পরিচ্ছন্নতায় সন্তোষ প্রকাশ করে বন্ড হিসেবে জমাকৃত সমস্ত অর্থকড়ি ফেরত দিয়েছে।

      ডান পা বাঁ হাত আর বাঁ পা আর ডান হাত কি একই নয়, ভাইয়া? রফিকুল ওস্তাদজীর চাপা কম্যান্ড কানে বাজছে, ডাইন পা বাইম হাত... স্মৃতি সতত প্রতারণা করে; আপনি ফৌজি মানুষ, ডান বামের নিকেশ আপনি ছাড়া কে ভাল জানবে বলুন!

      সিসিবিয়ানদের মিস করছি অনেক। দুটো চারটে লেখাও জমেছে দেরাজে। এবার সতি্য ফিরবো ঘরে। কুশলে আছেন আশাকরি।

      জবাব দিন
      • খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

        "ডান পা বাঁ হাত আর বাঁ পা ডান হাত" - এ হিসেব ঠিকই আছে, তবে প্রথমটা বাঁ পা ডান হাত হবে, এই আর কি। এ জন্যেই বলেছিলাম কথাটা। ওটা কোন ভুল ধরা নয়।
        দুটো চারটে লেখাও জমেছে দেরাজে -- দেরাজের কথাটা আবার অনেক কিছু মনে করিয়ে দেয়। এই শব্দটা গত বছর এই ব্লগে বহুল আলোচিত ছিল।

        জবাব দিন
  4. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    কিছু চেনা অনেক অচেনা মুখ। খুব চেনা এক সমাবেশ আনন্দ ও উদযাপন। সিসিবিতে সব্বাইকে সেই উৎসব আনন্দের ভাগটা অনিন্দ্য সুন্দর বিলিয়ে দিলে, বেশ। যেনোবা কিছুক্ষণের জন্য আমরাও সেই দিনের ভেতর থেকে ঘুরে এলাম।

    জবাব দিন
  5. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    তারপর সবাইকে রাজা বানাতে তুমি নিজেই যে কতবার প্রজার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছো তা কেউ না জানুক, আমি তো জানি -- কি সুন্দর করেই না বলে গেল কথাটা আতিক! ভাল লাগলো তোমার এ নিষ্ঠার কথা জেনে।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।