সাদা বাড়ি থেকে ব্লগ বাড়ি

বিকেলের রোদ খানিক মরে এলে আমরা সত্যধামের ছাদে খেলতে যেতাম। আমাদের নিজেদের অতো বড় ছাদ থাকতে সত্যধামের ছাদে খেলতে যাওয়া কেনো সেটি একটি প্রশ্ন হতে পারে বটে কিন্তু উত্তর কে দেবে?

ময়মনসিংহে আমাদের বাবা চাচাদের বাড়িগুলো পাশাপাশি। আমাদের তিনটে বাড়িই দোতলা; সাদা রঙের। বড় চাচার বাড়িটি মাঝে, হাতের ডানে আমাদের বাড়ি; বাঁয়ে ছোট চাচার। আমাদের বাড়িটির সামনে বড়সড় একটি বাগানবিলাস আছে; ডালপালা মেলে সেটি তিনতলার ছাদ অবধি ছুঁয়েছে।

আসরের নামাজের আজান পড়লে বাবা মসজিদের পথে রওনা হবেন আর আমরা সত্যধামের ছাদের পথে ছুটবো এই ছিল রুটিন। হামিদার মা বুয়া আমাদের রাস্তা পার করে দিয়ে আসতো, দোতলার বারান্দায় বাবার ইজি চেয়ারে বসে মা দেখতেন। পাশের বাড়ির সুলতানা আর আমাকে দুই হাতে বুয়া শক্ত করে ধরে রাখতো। রাস্তা পার হয়ে হাত ছেড়ে দেবার আগে বুয়া খবরদারি করবেই, বুইজজুইন যে মাইঝলা আফা, কুনুই যুদি ছিলছুইন আবার, খেলা কিন্তুক বন্দ আম্মায় কইছে! আর আওনের সুমায় দিরং করলে কিদুন হইবো জানুইন যে!

সত্যধামের সিঁড়ির গোড়ায় পৌঁছুতেই জোর করে হামিদার মা বুয়ার হাত ছাড়িয়ে সুলতানা আর আমি ছুট লাগাতাম।

আমার একটা সিরিয়াস টাইপের বড় বোনও আছে, আপা আমাদের সাথে কখনো খেলতে যেতো না। বারান্দার এক কোণে চশমা এঁটে বসে সে মোটা মোটা বই পড়তো। আপাকে নিয়ে মজা করতো সবাই। মেজ খালার ছেলে লোটন বলতো, আমাদের বাড়ি থেকে একটা ঠোঙাও নাকি তিনবার না পড়ে ডাস্টবিনে ফেলা হয়না। আপা খুব ভাল ছাত্রী ছিল; স্কুলের পড়া ছাড়াও কত কী যে জানতো অইটুকু বয়েসে! আপা যতোই পড়ুক না কেনো, বাবার নয়নের মণিতো আমিই ছিলাম!

সত্যধামের ছাদটি বড় অদ্ভুত। অনেক পুরনো আমলের বাড়ি সেটি। সামনে পেছনে দুটো সিঁড়ি আছে সেখানে কিন্তু আমাদের মত সিঁড়িঘর নেই তাদের। বাড়ির সামনের সিঁড়িগুলো বেশ উঁচু উঁচু, এক একটা সিঁড়ির ধাপ পেরোতে আমাদের মত বাচ্চাদের বেশ কষ্ট হত। পেছনের সিঁড়িটা স্পাইরাল মতন, খানিক স্যাতস্যাতে, সবুজ শ্যাওলা ধরেছে এখানে ওখানে। ওদের ছাদ থেকে পাশের বাড়ি ছায়াবীথিতে চলে যেতে পারতাম আমরা। ছায়াবীথির রেলিঙে ঝুঁকে বড়ই পেড়ে খেতাম। ছোট ছোট বড়ইগুলো না ধুয়ে টপাটপ মুখে চালান করে দিতাম। সত্যধামের উঠোন ছিল ফুটবল খেলার মাঠের চেয়েও বড়।

বুলার একটা ভাই আসতো মাঝেমধ্যে খেলতে আমাদের সাথে। শহিদের মত হিংসুটে আর বদমেজাজী ছেলে নুতন বাজারে একটাও ছিলনা। কথায় কথায় আমাদের ঝুঁটি ধরে টান দিয়ে ধাক্কা দিতো বেমক্কা। পিঠেপিঠি তিন ভাইবোন ছিল ওরা, শহিদ সবার বড়। ছোট ভাইবোনদের মেরে সে হাত পাকিয়েছিল বাড়িতে। একবার আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে রক্তারক্তি কান্ড করলো সে। বুলা এসে গেন্দা ফুলের পাতা হাত দিয়ে চটকে সেটির রস লাগিয়ে দিল।
মামণিরে বইলো না, বললে আর বড়ই খাওয়া লাগবো না, বুলা আমাকে সাবধান করে দিয়েছিল। পাতার রসে কী হলো জানিনা, রক্ত পড়া কমে গেল কিন্তু জ্বলুনিটা রয়েই গেল। সন্ধ্যেয় বাড়ি ফিরলে হামিদার মা বুয়া হাত পা ধুয়ে দিতে গেলে আমি একটা উহ অবধি বলিনি। হাঁটুর জ্বলুনি তাও সহ্য করা যায় কিন্তু সত্যধামে না খেললে এ জীবন রেখে কী হবে!

আমার মা বই পড়তেন খুব। বাড়িতে অনেক পত্রপত্রিকা আসতো নিয়মিত। মায়ের সেই পড়ার অভ্যাসটি কি করে যেন মেয়েদের মাঝে চলে এলো জানিনা। আমাদের তিনতলার ছাদে একটা চিলেকোঠা ছিল। চিলেকোঠায় মা একটি বিছানা পেতে রাখতেন। পাশে ছোট একটা বইয়ের শেলফে সাপ্তাহিক বেগম থেকে শুরু করে রুশ দেশের উপকথাও ছিল। চিলেকোঠার পাশে বাবা একটা দোলনা লাগিয়ে দিয়েছিলেন। বড় আপা বিছানায় শুয়ে যখন ইয়া মোটা কড়ি দিয়ে কিনলাম পড়ছে আমি তখন সুর করে ‘ছোট গোল রুটি চলছে গুটিগুটি’ পড়ছি।

ফেইরি আপু, আছো?
আমার ফোনে ম্যাসেজটি যখন এলো আটলান্টায় তখন মধ্যরাত সমাগত। কি, কোথায়, কেনো’র সওয়াল জবাব শেষে সে জানালো সে আমাকে চেনে।
কেমন করে?
তোমার ব্লগ পড়ি যে!
ব্লগে তোমাদের সাদা বাড়ির কথা পড়তে পড়তে মনে হলো পরী আপু, তুমি আমার খুব কাছের একজন মানুষ! তোমাকে দেখিনি আমি কিন্তু তোমাকে আমি চিনি।

সাব্বির রিজভীর কথায় আমি চমকাই খানিক। আজ রাতে আমার আর ঘুম হবেনা বেশ বুঝতে পারি।

তোমাদের দোতলা বাড়িটির পাশেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খেলতে যেতাম দুপুরবেলা। ভাগ্য ভাল হলে কদাচিৎ বাড়ির ভেতরে ঢুকতে দেখতাম একটি মেয়েকে। ধবধবে ফর্সা মুখ তার, খোলা চুল, পোশাকে পারিপাট্য। আপুটার চোখেমুখে রাগী রাগী কেমন একটা ভাব! চোখের রঙ কটা ছিল বলে সবাই বিলাইচুখা আপু বলে ডাকতাম তখন।
আমার তখন দারুণ ব্যস্ততা। সত্যধামের ছাদে কাঁচ গুঁড়ো করে ভাতের মাড়ের সাথে মিশিয়ে সুতোয় মাঞ্জা দিচ্ছি টিটোর সাথে। পাড়ার আপু টাপুদের দিকে তাকাবার মত সময় আমার নেই।

কে এই রিজভী যে আমার ঘরের খবর জানে?

চলবে

৬,৩৫৬ বার দেখা হয়েছে

৬৬ টি মন্তব্য : “সাদা বাড়ি থেকে ব্লগ বাড়ি”

  1. ওমর আনোয়ার (৮২-৮৮)

    আমিও "মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম", সংগে বই আকারে প্রকাশের অনুরোধটাও করে গেলাম। শুধু এইটা নয়, তোমার অন্য সব লেখা থেকে অনায়াসেই বই করা সম্ভব। কথাটা তোমার মাথায় কিছুতেই ঢোকাতে পারছি না।


    Pride kills a man...

    জবাব দিন
      • বাহ, দারুণ একখানা আইডিয়া তো, আগে পাঠক জোগাড়, তারপর বই প্রকাশ! এরকম অজুহাতেও তুমি পার পেয়ে যাবে না। ইতিমধ্যে হাজার গুনমুগ্ধ পাঠকক তোমার তৈরী হয়ে আছে।

        জবাব দিন
      • পারভেজ (৭৮-৮৪)

        এইটা ভাল পেলাম।
        আমার মতও তাই।
        লিখাটা লেখকের কাজ কিন্তু তা বই হিসাবে চলবে কিনা, সেটা ভাবুক প্রকাশক।
        লগ্নিটা যে তারই...
        বিনা পয়সায় পেলে তো পড়ে অনেকেই, কিন্তু সেই পড়ায় ভর করে বই বের করা কি ঠিক?
        শুধু পড়লেই তো আর হবে না, পকেটের পয়সায় "কিনে পড়ার" আগ্রহ আছে কজনার, সেটা জানা চাই।
        নইলে শিবরাম চক্রবর্তির "আমার বইএর কাটতি"-র মত হয়ে উঠতে পারে ঘটনাটা।
        সেই যে শস্তায় বই কিনে দুধ গরম করার কাজে তা ব্যবহার আর কি.........

        আরেকটা সাম্প্রতিক ঘটনা মনে পড়লো।
        এক আধা পেশাদার শিল্পীর পেইজে আছি কিছুদিন।
        আঁকেন ভালই।
        আর তা নিয়ে ফেবুতে চলে তাঁর ফ্রেন্ড-ফলোয়ার ধুন্দুমার প্রশংসার বন্যা।
        কিন্তু ছবি যে সেরকম বিক্রি হয়, তা না।
        স্টুডিওতে গিয়ে দেখি দুনিয়ার ছবির স্তুপ।
        অবিক্রিত।
        ধুলোধুসরিত।
        পারিপার্শ্বও বলে, কি কঠিন সংগ্রামের ভিতর দিয়েই না কাটছে তাঁর সময়।

        পকেট বন্ধ রেখে যারা প্রশংসা বন্যায় ভাসায়, তাদের উপর আস্থা পাই না।
        শিল্পিও মানুষ।
        তাঁরও ক্ষুধা আছে, তৃষ্ণা আছে। আশ্রয়ের, সাদ-আল্লাদের দরকার হয়।
        কেবল প্রশংসা তাঁকে এসব দিতে পারে না, এটা যারা বোঝে না, তাদের জন্য এই শিল্পচর্চ্চা করাটা অর্থহীন...


        Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

        জবাব দিন
  2. মুজিব (১৯৮৬-৯২)

    চমৎকার সুচনা
    বরাবরের মতই সুনিপুণ লিখনশৈলী
    চালিয়ে যাও আপু, সত্যবাড়ির ছাদ থেকে আমাদেরকে তুমি কোথায় কোথায় নিয়ে যাবে সেটি দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকলাম
    :clap: :clap: :clap: :boss:


    গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      মুজিব ভাইয়া তোমার দেখা পেলাম অনেকদিন পর। মাঝে চুরি করে তোমার লেখা পড়ে গেছি যথারীতি মুগ্ধতায়; কিন্তু জানান দেয়া হয়নি। সিসিবিতে তুমি নওলখা হার হয়ে এসেছো হে! আমার দিনলিপিতে তোমার আনাগোনা সতত আনন্দের!

      জবাব দিন
      • মুজিব (১৯৮৬-৯২)

        থ্যাংকস সাবিনাপু, আসলে তোমাদের এরকম উৎসাহব্যঞ্জক কথাবার্তায় অনুপ্রানিত হয়ে মাঝে মধ্যে দুম করে দু'একটা কিছু লিখে ফেলি। তারপরেই কিছুদিনের জন্য গা ঢাকা দেই, পঁচা ডিম আর টম্যাটোগুলো নষ্ট না হাওয়া পর্যন্ত ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকি। একারনে সিসিবিতে অতটা নিয়মিত আনাগোনা হয়ে ওঠে না। :no:
        আপু, একটা অর্বাচীনসুলভ প্রশ্ন, এই নওলেখা হার কথাটা আমার কাছে অচেনা, এর ইতিবৃত্ত একটু বলবে কি? :-B


        গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

        জবাব দিন
        • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

          নও মানে নয় এবং লখা মানে হলো লাখ। সুতরাং নওলখা হার মানে হলো, যে হারের মূল্য নয় লাখ রূপী 😀

          আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে এই নওলখা হার নিয়ে নয় লাখ না হলেও শতাধিক গল্প ফেরে মুখে মুখে। মওকা পেয়ে তোমায় একটি বলি, শোন!

          দ্বারভাংগার মহারাজাদের ছিল বিশাল জমিদারী। তাদের তৎকালীন বার্ষিক আয় ছিল ৫৫ হাজার রূপী। এই প্রতিপত্তিশালী মহারাজারা ব্যাংকারস টু দা মহারাজাস নামেই পরিচিত ছিল। দ্বারভাংগার মহারাজারা সারা পৃথিবী থেকে নানা রকমের মনিরত্ন সংগ্রহ করেছিলেন নিজেদের ভান্ডারে। তাদের সবচাইতে মূল্যবান জুয়েলারি ছিল নওলখা হার।

          এই নওলখা হারটি ছিল হিরে, মুক্তো, এমেরাল্ড সহ নানা রকমের মূল্যবান রত্নখচিত যার তৎকালীন মূল্যমান ছিল নয় লাখ রূপী যেটি পরে নব্বই লাখ রূপীতে পৌঁছোয়! সিপাহী যুদ্ধের পর দ্বারভাংগার মহারাজাদের হাতে আরো বেশ কয়েকটি রত্ন আসে যেমন ম্যারি এন্টোনেট হার এবং গ্রেট মুগল এমেরাল্ড। রাশিয়ার জারদের থেকেও তারা অনেক মনিরত্ন কেনেন।
          দ্বারভাংগার সর্বশেষ মহারাজার মৃত্যুর পর তার রাণী এবং অন্যান্য উত্তরাধিকারীদের মাঝে ধন সম্পদের মালিকানা নিয়ে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র শুরু হয় এবং যে যেভাবে পারে লুটপাট করে। আজো বিভিন্ন অকশনে দ্বারভাংগার রাজ পরিবারের রত্নখচিত অলংকার বিক্রি হয়। ২০০১ সালে গ্রেট মুগল নামের এমেরাল্ডের জুয়েলারিটি লন্ডনে ১১ কোটিতে বিক্রি হয়।

          মিনা কুমারী অভিনীত নওলখা হার মুভিটি এক সময়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

          তথ্যসূত্রঃ বিভিন্ন ব্লগ পোষ্ট এবং গুগল আপু (সম্পাদিত)

          জবাব দিন
          • মুজিব (১৯৮৬-৯২)

            :)) :)) :))

            পঁচা ডিম পঁচে যাবার আগেই

            গভীর ধন্দের মধ্যে ফেলে দিলে আপু! রীতিমত টাইম ট্রাভেলিং প্যারাডক্সের মত বড়ই জটিল ধন্দ ... :bash: :bash:


            গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

            জবাব দিন
      • মুজিব (১৯৮৬-৯২)

        আপু, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তিনটি ক্রীডেন্শালের প্রথম দু'টিই লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ - "আমার মুজতবা ভালোই বাংলা জানে..." (কিংবা, এরকম কিছু একটা) এবং শিশু সত্যজিৎকে দেখে "দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ..."
        আর তৃতীয়টি হল তোমার এই "নওলখা হার..."
        প্রথমে তো বুঝতে পারিনি। কিন্তু সব জানার পরে এখন তো আমার হাত-পা জমে যাচ্ছে! দাঁড়াও, তুমি যখন খ্যাতিমান লেখক হিসেবে চারিদিকে পরিচিত হবে তখন আমি এটা ভাঙিয়ে জাতে উঠবো। সেজন্য খুব বেশী অপেক্ষা করতে হবে না, আমি নিশ্চিত। :boss: :boss:


        গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

        জবাব দিন
        • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

          🙂 🙂 🙂 🙂

          নওলখা হারটি কত হাত ঘুরে যে দ্বারভাংগার রাজবাড়িতে এসেছিল! অসমর্থিত সূত্র মতে হারটি মুঘল বাদশার হাতে এলে তিনি একদিন শহরের সবচাইতে মেধাবী সুন্দরী বাঈজির নাচে মুগ্ধ হয়ে তার গলায় পরিয়ে দিয়েছিলেন এই হার!

          আমি তোমার লেখার ভক্ত পাঠক, মুজিব। আমার মত অভাজনের ক্রেডেনশিয়াল ছাড়াও তুমি অনেক দূর যেতে পার যদি যেতে চাও। অনেকদিন তোমার কোন খোঁজ নেই আবার। ভাল আছো আশাকরি, ভাইয়া!

          জবাব দিন
          • মুজিব (১৯৮৬-৯২)

            আফা গো! বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম ... কে কাকে কি বলে ...... :boss: :boss: :boss:


            গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

            জবাব দিন
  3. তানভীর (২০০১-২০০৭)

    কি সুন্দর!!! কি সুন্দর!!!
    আপু, প্রথম অংশে হারিয়ে গিয়েছিলাম.... পুরাই গায়েব 🙂
    পরে আচ্ছন্নতা থেকে মুক্তি দেয় আপনার দ্বিতীয় মন্তব্য।
    ব্লাগবাড়ির সাথে হয়তো থাকতে পারবোনা নিয়মিত কিন্ত কথাদিচ্ছি পরে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাবো।
    অফটপিক: আমিও রিজভী ভাইয়ের মত জলের মানুষ। কিছুটা সময় আপনার প্যাসিফিক কোস্ট এ আছি তাই মিস হলোনা।আশাকরি পরের পর্বে দেখা হবে নর্থ প্যাসিফিক পাড়ি দিয়ে নিপ্পনের হলুদ আবহে।


    তানভীর আহমেদ

    জবাব দিন
  4. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    শুরুটা দারুন হলো।
    পাঠককে ধরে রাখার অতি জরুরী অনুষঙ্গ।
    তুমি "পাসড উইথ ফ্লাইং কলার!!!"

    চোখ খুলে বসে আছি, লিখে যাও।

    আর এখনই বলে রাখি, কেউ যদি এই লিখাটা নিয়ে বই বের করতে আগ্রহি হয়, আমি দুই কপি কিনবো।
    টাকাটা এখনই অগ্রিম পাঠিয়ে দিতে পারি, যদি লেখকের সাথে প্রকাশনা চুক্তিটা দেখাতে পারে...
    হে হে হে...


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      ভাইয়া, প্রকাশকের সাথে যোগাযোগের ব্যাপারটি নিয়ে আমার একজন সুহৃদ কথা বলছেন। প্রকাশনীটিও নামী। সবই ঠিক আছে; লেখকটিই কেবল জুত পাচ্ছেন না। তিনি নিজের আনন্দে লিখেন সিরিয়াসলি কিছুই ভাবেন না। আমার অপ্রকাশিত বইয়ের প্রথম খদ্দেরকে মুবারকবাদ জানাই :boss: :boss:

      জবাব দিন
  5. ইশহাদ (১৯৯৯-২০০৫)

    ১।
    ময়মনসিংহ গেছি সেই ছাত্রজীবনে, ক্লাস নিতে। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা রাস্তায় সে এক দুর্বিষহ যাত্রা ছিল। :brick:

    ২।
    বহুদিন পর গত সপ্তাহে আবার সেই শহরের ওপর দিয়ে গেলাম, মনে হল বদলেছে অনেক কিছুই। 😕

    ৩।
    আর হ্যাঁ, গরম গরম বইয়ের বুকিং আমিও দিলাম, বই কিনতে আর পড়তে ক্লান্তি নাই কোনও। :goragori:



     

    এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      ইশি, ভাল আছিস আশাকরি ভাইয়া। তোর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী শুনবার আশা ছাড়িনি এখনো জানিস 😀

      নব্বই এর দশকের প্রথমভাগে সপ্তাহান্তে ময়মনসিংহে ছুটতাম ছুটির অজুহাতে। দেশে থাকাকালীন সময়ে ট্রেনে যাতায়াত করতাম একাই। গেলবার দেশে গিয়ে সময় বাঁচানোর অজুহাতে গাড়িতে যেতাম ঢাকায়। ভোররাতে যাত্রা শুরু করতাম; কাকপক্ষী জাগার আগেই পৌঁছুতাম রাজধানীতে। খানাখন্দের মাঝে দিয়েই আমাদের বাহনটি হোঁচট খেতে খেতে চলতো। এখন মায়ের কাছে ঢাকা ময়মনসিংহ হাইওয়ের গল্প শুনতে পাই!

      জবাব দিন
      • ইশহাদ (১৯৯৯-২০০৫)

        বিজ্ঞান হনুজ দূর অস্ত! আসাদ ভাইয়ের এই লেখাতে "লস্ট জেনারেশন" কথাটা দেখে মাথার ছিটে খোঁচা লাগল। ঘেঁটেঘুটে রেমার্কের "দ্য রোড ব্যাক" খুঁজে বের করে আবার পড়লাম। এটাকে রিভিউ করার তালে আছি, ঠিক রিভিউ না স্মৃতিচারণ। 😕

        হু, এখন নাকি রাস্তা মাখনের মতন মোলায়েম হয়ে গেছে। x-(



         

        এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...

        জবাব দিন
        • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

          তোর স্মৃতিচারণ পড়বার অপেক্ষায় রইলাম, ভাইয়া!

          মাখনের মত মোলায়েম রাস্তা 😛 পারিসও বলতে তুই!

          বল, এখন ময়মনসিংহে ভ্রমণের পর ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে আর ছুটোছুটি করতে হয়না 😀
          ওম শান্তি

          জবাব দিন
            • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

              ব্রম্মপুত্রের তীর, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রেনোভেটেড বিপিন পার্ক অথবা নতুন রিসোর্টটি কিন্তু দারুণ, ইশি! সময় পেলে ঘুরে এসে ছবি ব্লগ নামাস একটা!

              জবাব দিন
              • ইশহাদ (১৯৯৯-২০০৫)

                ইচ্ছে আছে, আপু। যাত্রাপথে সম্ভবতঃ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর দিয়েই গেছি। ব্রহ্মপুত্র পেরিয়েছি দু'বার।

                অফটপিকঃ
                এইবার ময়মনসিংহ পেরুবার সময় পথহারা এক পাগলা ড্রাইভারে বাসে উঠেছিলাম। সারা শহর তিন-চারবার ঘুরিয়ে তারপর পৌঁছেছে। যাত্রীরা খেপে ফায়ার। আমার খারাপ লাগেনি এই ফ্রি ট্রিপ। কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ অবস্থা আরকি।



                 

                এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...

                জবাব দিন
                • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

                  আমাদের শহরটির তেমন ছিরিছাদ নেই। যত্রতত্র আবর্জনা আর অপরিকল্পিত রাস্তাঘাট এটিকে কোথায় যে নিয়ে গেছে! শীর্ষেন্দুর ছেলেবেলা কেটেছে আমাদের শহরে। তাঁর ছেলেবেলার ময়মনসিংহ উঠে এসেছিল একটি লেখাতে। আমি যখন দশমের ছাত্রী তখন সেই বইটি পড়তে পড়তে মনে হয়েছে, আরে শীর্ষেন্দুর ছোটবেলা তো আমার সমুখেই দেখতে পাচ্ছি!

                  কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি সতি্য মনোহর। পাশেই মৃতপ্রায় ব্রম্মপুত্র। ক্যাম্পাসের সবুজবনের মাঝে হাঁটতে বেশ লাগে।

                  জবাব দিন
                  • ইশহাদ (১৯৯৯-২০০৫)

                    হা হা হা! দোকানের সাইনবোর্ড না থাকলে এক শহর থেকে আরেক শহর আলাদা করার তেমন সুযোগ নেই মনে হয়। অন্তত, গলিপ্রধান অংশগুলোতে। শীর্ষেন্দুর কোন বই? ওপারের প্রায় সব শক্তিমান লেখকের লেখাতেই ঘুরেফিরে কিভাবে যেন এপারের স্মৃতিচারণ খুঁজে পাওয়া যায়। ওয়ান ফাইন মর্নিং দেশভাগের মতন অশালীন একটা কাজ কত সহজে হয়ে গেল, অথচ ভাল ভাল কাজগুলো ঠেলেঠুলেও দেরাজ থেকে বের করা যায় না! 😡

                    আমার বাপ আরেক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ময়মনসিংহের ওপর দিয়ে যাব শুনে পইপই করে বলে রেখেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় পেরুবার সময় যেন চোখ খোলা রাখি। আমি আবার বাসে বড্ড ঘুমকাতুরে কিনা। :shy:



                     

                    এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...

                    জবাব দিন
                    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

                      বইয়ের নামটি দেরাজেই আছে ইশি; মাথায় নেই। মনে পড়লে জানান দেবানে!

                      আমাদের শহর ছাড়িয়ে গেলে প্রকৃতি দেখতে বেড়ে লাগে। নগরপিতা শহরের প্রতি মনোযোগী হলে এতো খারাপ অবস্থা হতোনা। ময়মনসিংহের গ্রামে যাই প্রতিবার। বিশ্ব নাগরিক হওয়ার দাবী যতোই করিনা কেন আমরা; আমাদের শেকড় পোঁতা আছে এই গ্রামেই। একমুঠো মাটি রেখেছিলাম সুদৃশ্য জারে; ময়মনসিংহের মাটি। শেকড়ের গল্প যতোই বলি না কেন আমিই তো শেকড় ছিঁড়ে এসেছি প্রবাসে।

                      রবিবারের বিষণ্ণ বিকেলে ভাবালুতা পেয়ে বসেছে, ইশি বেটু! তোর সাথে গল্প করতে করতে আমার শহরে ফিরে যাচ্ছি বারবার। অপরিচ্ছন্ন, নোংরা একটি শহরের জন্য কী যে মায়া যদি জানতিস!

  6. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    বিকেলের রোদের তেজ কমে আর পুঁচকে ক'জনার তেজ তখন হয় জোরদার।
    এমন এমন শৈশব স্মৃতি যেনো ছায়ায় হলেও অনেকের সাথে এক রকম মিলের দ্যোতনা রেখে যাবে। তবে অবশ্যই তা লহমার জন্য ।
    মানুষ মাত্রেই পৃথক বিভা, পৃথক অন্বেষা ।
    খুঁটি নাটি বিষয়গুলো যেমনটা উঠে এসেছে উচ্চারণে, সেই কথা ও স্মৃতির টুকরো রোদ টেনে নেবে পাঠককে আরো আরোও পর্বে ...
    পালা কেবল অপেক্ষার :clap: :clap:

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      আরো একটি পর্বে সাব্বির রিজভীর গল্পটি আসবে, নূপুর। সিসিবিতে আমার এক বছরের পথচলা নিয়ে একটি সিরিজ লিখতে মন চায় জানো। তোমার মত অসাধারণ একটি বন্ধু তো আমি সিসিবি থেকেই পেয়েছি 😀 সিসিবিতে লেখালেখির সূত্র ধরে কিছু মানুষকে আমি জানতে পেয়েছি; অদেখা সেই মানুষগুলো কখন যে কাছাকাছি চলে এসেছেন জানতেও পারিনি। কলমের কী যে শক্তি সেটিও সিসিবিতে এসেই জেনেছিলাম! মুদ্রার অপর একটি পিঠও আছে; সেটিও জানা হলো ব্লগবাড়িতে এসেই। মোকার মত ক্যাডেট ভ্রাতৃত্ববোধের চাক্ষুষ সাক্ষাত তো ব্লগেই দেখতে পেয়েছি। ব্লগবাড়িতে চুপচাপ দেখি স্টাবার্ণ সতীর্থের মুখ, নিরব ঘাতক, নিশ্চুপ কবি বা অকবি কিংবা অচেনা স্টকার! কত ফুল পাখি লতাগুল্মের লেখক অথবা কবিকে দেখেছি ব্লগ অথবা জাতীয় ক্রান্তিলগ্নে নির্লজ্জের মত চুপ করে থেকে নিরপেক্ষতার রূপটি প্রদর্শন করতে!

      অসুস্থতা কারণে গত কিছুদিন আসা হয়নি এদিকটায়। ভাল আছো আশাকরি। আমার ভালবাসা জেনো!

      জবাব দিন
  7. মাহবুব (৭৮-৮৪)

    বইটার নাম খুব সম্ভব "উজান" - পড়ে আমার কেমন ঘোর লেগেছিল।
    প্রথম বার ময়মন সিংহ যাই সেই ৮৫ সালে, অনেকদিন অসুখে ভোগার পর অনেকটা "চেঞ্জ'এ যাবার মতন। মাসখানেক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে থেকে আসলেই স্বাস্থ্য ভালো হয়েছিল।

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া :boss: রীতিমত মুগ্ধ করলেন আমাকে!
      সামান্য একটু হিন্টস থেকে উজান নামটি মনেপড়ে গেল আপনার :hatsoff: :hatsoff:

      সমরেশ মজুমদারের সবচাইতে রোগাপটকা বই বোধকরি এই উজান। কলেজ থেকে ছুটিতে এসে গোগ্রাসে পড়েছিলাম। অমরাবতী নাট্যমন্দির, ডিসির বাংলো, মিশনারী স্কুল অথবা গুদারাঘাটটি ঠিক আগের মতই আছে। ভোরের কুয়াশা গায়ে মেখে রেলস্টেশনে যমুনা ট্রেনে অথবা কলিজা সিংগারার গল্পও মন পড়েছে তাঁর লেখা পড়তে পড়তে। লেখার কী যাদু ভাইয়া!

      জবাব দিন
  8. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস আমার জন্যেও একটা স্মৃতিময় এলাকা। সেখানকার মাঠে একবার একটা হকি ম্যাচ খেলেছিলাম। কয়েকদিন ক্যাম্পাসে ছিলাম, খুব ভালো লেগেছিলো। বন্ধুরা মিলে প্রতিদিন ব্রহ্মপুত্রের তীর ধরে হাঁটতাম। সুতিয়াখালী রোডে একটা ছোট্ট চায়ের দোকান ছিল। সেখানে চায়ের পরে খাওয়া ঘন খাঁটি দুধের মালাই এর স্বাদ আজও মুখে লেগে আছে।

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂

      আমাদের সময়ে মেয়েরা ময়মনসিংহে পথের ধারে চায়ের দোকানে চা পান করতে যেতো না। আমরা পিঠেপিঠি অনেকগুলো কাজিন ছিলাম। তাদের মুখে মুখে বয়োঃসন্ধিকালের রাজ্য জয়ের গল্প শুনতে পেতাম। কলেজ থেকে ছুটিতে এসে জেলা স্কুল মোড়ের মুকুলের দোকানের চায়ের গল্পটি এমন করে শুনতে পেলাম যে সেখানে না গিয়ে উপায় ছিলনা। চা স্টলের চেহারা দেখে বেশ হতাশ হলাম আমি। রাস্তার মোড়ে আটচালা একটি ঘর সেখানে তবে লোকজন আছে কিছু। ট্রানজিস্টারে কিশোর কুমার দারুণ সব গান গাইছেন। পোর্সেলিনের কাপে নয় ঝকমকে কাঁচের গেলাসে চা এলো। হালকা লিকারে কাগজী লেবুর সুগন্ধিযুক্ত সেই চা অমৃতকল্প ছিল! চিকেন প্যাটিসওয়ালার থেকে প্যাটিস খেলাম গরমাগরম; তারপর ময়মনসিংহের বিখ্যাত মালাই চা এলো সবার জন্য। এই মালাই চা কে আমার ঠিক চা মনে হলো না জানেন, মনেহলো এটি বোধকরি একটি ডেসার্ট; ফিরনি অথবা সন্দেশ বুঝি। আমি চিরকালের মিষ্টি খাওয়া মানুষ; ঘন দুধের মিষ্টি মালাই চা যে আমার কাছে মিষ্টান্নের মত লাগবে এ আর নতুন কী!

      জবাব দিন
  9. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    অদ্ভুত লেখা, আপা।
    সত্যধামের ছাদটা একদম যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।
    আমাদের ছাদটা আর আমাদের ছেলেবেলার কথাও মনে করিয়ে দিলেন।
    রুশ দেশের উপকথা...বোকা আইভান...মালাকাইটের ঝাঁপি...

    “ ছোট্ট গোল রুটি,
    চলছি গুটিগুটি,
    গমের ধামা চেঁছে,
    ময়দার টিন মুছে,
    ময়ান দিয়ে ঠেসে,
    ঘি দিয়ে ভেজে,
    জুড়োতে দিল যেই
    পালিয়ে এলাম সেই।
    বুড়ো পেল না,
    বুড়ি পেল না,
    ওরে বোকা শেয়াল,তুইও পাবি না । "


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাহবুব (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।