দিনলিপিঃ দোবার টেক

প্রতিবেশী গ্রেস পাওয়ারসের বাড়িতে ডিনার শেষে পোর্সেলিনের রেকাবীতে যে মিষ্টান্নটি এলো তার নাম সেক্স ইন আ প্যান!
হোয়াট? এটি কি তোমার দেয়া নাম নাকি, গ্রেস?

আমরা পূর্বের রক্ষণশীল মানুষ; আমাদের খাবারদাবারে এখনো পরিবার পরিজনবর্গ আসেন বটে; কিন্তু সেক্স টেক্স নৈব নৈব চ! মামুর হালিম, বউ খুদ, বড় বাপের পোলায় খায় এসব নাম চলতে পারে কিন্তু ডেভিলড এগ, হাশ পাপি, ডাচ বেবি প্যান কেক, কিংবা পাপি চাও নামের ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল আমার দেশে চলবেনা।

গ্রেসকে বললাম, তোমার ডেসার্টের নামকরণ এমন হলো কেনগো? চোখের তারায় ঝিলিক তুলে গ্রেস বলেছিলেন, আগে খেয়ে তারপর বলো নামকরণে ভুল হয়েছে কিনা!

কাটা চামচে ছোট একটি বাইটেই বুঝে গিয়েছিলাম নামের মাহাত্ম্য; আহ! অরিও কুকির গুড়ো, নানান রকম বাদাম, চকলেট ডাস্ট, ভ্যানিলা পুডিং, মাখন আর হুইপিং ক্রিমের ভাঁজে ভাঁজে উপচে পড়া ডেলিকেসির নাম হলো এই সেক্স ইন আ প্যান!

বহুকাল আগে ছয় লেয়ারের এই কেকের নাম সিক্স ইন আ প্যান ছিল বটে; কিন্তু এর ভূবনভুলানো স্বাদ এবং বৈচিত্র্যধন্য উপকরণের ছোঁয়ায় মুখে মুখে এর নাম হয়ে যায় সেক্স ইন আ প্যান!

দেশে কাজির ভাত খাওয়ার আয়োজনটি ছিল দেখার মত। ময়মনসিংহে এটি খাওয়ার প্রচলন নেই তাই এই বস্তুটির নাম আমি শুনি নাই কখনোই।

প্রতিদিন এক মুঠো চাল মাটির হাঁড়িতে পানির মাঝে ভিজিয়ে রাখা হয় দুই সপ্তাহ ধরে। তারপর ফারমেন্টেড এই চাল থেকে টকটক গন্ধ বেরুলে সেটি রান্না করা হয় ভাতের রেসিপিতে। বিক্রমপুর এলাকায় কুড়ি পঁচিশেক ভর্তা সহযোগে কাজির ভাত খাওয়া প্রায় উৎসবের মত। কাজির ভাত আমার গলা দিয়ে নামে নাই; এর ভয়াবহ গন্ধের স্মৃতি মনেহলে এখনো গা গুলোয় আমার।

মধুভাত খেয়েছিলাম আলাবামাতে। চিটাগঙের শুক্লা আপুর রান্নার হাত ভাল; মধুভাত তাদের এলাকার ডেলিকেসি। রাতের আহার শেষে ক্রিস্টালের বোলে এলো মধুভাত। দেখতে অনেকটা আমাদের পায়েসের মত, মধুভাতের গার্নিশ করা হয়েছে নানান রকমের বাদাম দিয়ে। এক চামচ মুখে দেবার পর বুঝতে পারলাম ‘সর্বনাশের মাথায় বাড়ি’ বুঝি একেই বলে। ঘরভর্তি মানুষ আহা উহু করছে আপুর কালিনারি বিদ্যার আর আমি মুখে আধা চামচ মধুভাত নিয়ে ‘টিক মাইরা’ বসে রইলাম। হায়!

আশপাশে দেশী দোকানপাট নেই আমাদের। তাই এক ঘণ্টা উজানে ড্রাইভ করে দেশী মলা ঢ্যালা বাতাসি বা টেংরা পুঁটির বিলাসিতা আমার করা হয়না। চায়নিজ একু্যইরিয়াম থেকে আমি লাফানো তেলাপিয়া, ক্যাটফিস, হলদে কার্প, রূপালী ভেটকি বা স্যামনের স্টেক কিনে আনি। ব্যাঙ ট্যাঙ খাওয়া শিখিনি নইলে থাইদের মত এই দোকান থেকে সবুজ আর ধূসরাভ ব্যাঙ কিনতে পারতাম। বড় একটা কাঁচের বাক্সে ব্যাঙগুলো লাফায় ঝাঁপায়, খেলা করে।

কাঁচের দেয়াল বেয়ে রোগা পটকা ব্যাঙটি ওপরে উঠতে চাইলে মুহুর্তেই পেটমোটা সর্দার ব্যাঙটি তার পা ধরে হ্যাঁচকা টানে নামিয়ে নিয়ে আসে কাঁচের কুটিরে।

স্বজাতির প্রতি এই ঠ্যাং ধরে ল্যাং মারা বিদ্যা কি তবে আমরা আমেরিকার এইসব বুলফ্রগের থেকেই শিখেছি?

আমার জাপানি বন্ধু আকিরা সাসিমিতে লাইভ ব্যাঙ খাওয়ার ঘটনাটি বলেছিল আমাদের ক্লাসে। একথালা বরফের ওপর সাদা ব্যাঙের কাঠি কাঠি পা, বুকের মাংস আর বরফের ঠিক মাঝে ব্যাঙের আস্ত মাথাটি বসানো। তার চোখের আলো তখনো মুছে যায়নি; মণিটিও ঘুরছে স্পষ্ট। চিরতরে চোখ বুজবার আগে মণিটি ঘুরিয়ে জগতের নিষ্ঠুরতা দেখে নিচ্ছে অপার বিষ্ময়ে!

চপস্টিকে টুকরো ব্যাঙ সয়া সসে ডুবিয়ে চোখ বুজেছিল আকিরা!

গ্রোসারীতে ইয়াবড় ট্রেতে লাল লাল ক্রফিস সাজানো। সংখ্যায় তারা হাজারেরও বেশী। ক্রফিসকে তাজা পানির লবস্টার বলে। সাদা ভাতের সাথে ক্রফিসের এটুফে খেয়েছিলাম একবার। খুব যে আহামরি স্বাদ তা মোটেত্ত বলা যাবেনা। ধনেপাতার গার্নিশ করা আমাদের লাউ চিংড়ি আরো অনেক বেশী স্বাদের।

সাদা ভাতের আঁচলে আমাদের ইলিশ পাতুরির সাথে এই জগতের অন্য কিছুর তুলনা করা চলেনা। তারার মেক্সিকান বন্ধু জেনিফারের বাড়িতে টামালে খেতে গিয়ে যদিত্ত আমার ইলিশ পাতুরির কথাই মনে পড়ে গিয়েছিলো। টামালে আর ইলিশ পাতুরি দুটোই পাতায় মুড়িয়ে ভাপে তৈরি হয়।
মুরগি, পর্ক অথবা গরুর গোস্ত পনির, জিরে গুঁড়ো, গোলমরিচ আর পাপরিকায় মাখিয়ে কলাপাতা বা ভুট্টার খোসায় মুড়ে ভাপে তৈরি হয় এই টামালে। মায়া সভ্যতার সময় থেকেই এই খাবারের চল। ঝালঝাল সালসার সাথে চিকেন টামালে খেতে বেড়ে লেগেছিল।

অনিমা তখনো হুজুর হয় নাই, আমাদের মতই সাদামাটা চলনে বলনে; হেমন্তে ঝরাপাতার রঙ মিশিয়ে শাড়ী পরে, কপালে বাসন্তী রঙা টিপও বাদ যায়না। কচিৎ কদাচিৎ সুইমিং পুলে জলকেলি অথবা ইউনিভার্সিটির ওয়াইন এন্ড চিজ পাটর্িতে একটা দুটো শট। স্টেক হাউস দেখলে নাউজুবিল্লাহ বলতে শেখে নাই তখনো; বাচ্চাদের নিয়ে মোড়ের দোকানে বার্গার খায়, লন্ডন ব্রয়েল অথবা রোস্টেড টার্কি খায় চোখ বুজে।

শনিবারের এক দুপুরে অ্যারিজোনা থেকে কল করলো অনিমা, দোস্ত চালুপা খাইছো নাকি টাকো বেলে?

গরুর স্টেকে বানানো আর বাহা সসে মোড়ানো চালুপা খেতে খেতে মনে হোল স্বর্গের খাবারের মেন্যুতে চালুপা আমার চাইই! সেই আমার চালুপার সাথে পরিচয়, সেই আমার চালুপার প্রেমে পরা!
আজ বহুদিন বাদে চালুপার কথা মনে পড়তেই বেড়িয়ে পরি মা-মেয়েতে মিলে। খেতে খেতেই অনিমা কে ডাকি স্যাটেলাইটে! কুশল বিনিময় শেষে চালুপা প্রসঙ্গ আসে আবধারিত ভাবেই! বলি, কতদিন পর এই জাঙ্কি খেতে আসা!
অনিমা খুব আস্তে করে বলে, স্বর্গে আর চালুপা নয়, মালয়েশিয়ার পরোটা আল মদিনার বিহারি কাবাব হলেই সে খুশী হবে!

অক্স টেইল স্টু খেয়েছিলাম এদেশে প্রথম শীতে। বাইরে পেঁজা তুলোর মতো বরফ পড়ছে সেদিন। গরুর লেজের কথা মনে হলে চতুষ্পদ নিরীহ এই প্রাণীর জাবর কাটতে কাটতে তার লেজ নেড়ে মাছি তাড়ানোর স্মৃতিই চোখে ভাসে আমার। আমাদের বাড়ির সামনের গলিতে লাল একটি গরু ঘুরে বেড়াতো মনের সুখে। শিং বাগিয়ে সে কাউকে তাড়া করেছে কখনো শুনিনি। এদেশে এসে দেখলাম বাইসনের মগজ থেকে শুরু করে গরুর ভুড়ি, কচি খরগোশছানা অথবা হাঙ্গরের স্টেক সবই মেলে। আবার কেউ যদি সু্যপের জন্য পুডিং এর মতো জমাটবাঁধা রক্ত খোঁজেন সেটিও মিলবে থাইদের দোকানে। দুই ইন্চ উচ্চতার ছয় ইন্চ রক্তের একখানা ব্লকের দাম মোটে ছয় ডলার। বাঙালীরা এখনো ড্রাকুলার মত রক্তটক্ত খায় বলে শুনিনি।

গরুর লেজের স্টু রান্না করা সহজ। লেজটিকে কেটেকুটে মশলা মাখিয়ে সেলেরি, গাজর আর পছন্দসই লতাগুল্ম মিশিয়ে ক্রকপটে চালান করে দিলে একা একাই অক্স টেইল স্টু তৈরি হয়ে যায়। আমি না রাঁধলেও আমাদের বাংগালী বাড়িতেও গরুর লেজ আসে বৈকি। অক্স টেইল ভুনা খেয়েছিলাম জেসমিন আপার বাড়ি। সাদা পোলাউ এর সাথে অল্প আঁচে রান্না করা অক্স টেইল খেতে মন্দ লাগেনি!

কাজলি থেকে কালবাউস যে মাছই খাই না কেন আমার গলায় কাঁটা ফুটবেই। আলু মোটরে পালঙে জড়াজড়ি সামান্য যে একটুকরো মাছ সেটিও আমাকে ছেড়ে যেতে পারেনা। অতি ভালবাসার সেই কাঁটা না পারি গিলতে না পারি ছুটাতে। প্রেমের মরা জলে ডুবে না এর মতো প্রেমের কাঁটাও গলা থেকে বের হতে পারেনা সহজে। দলা ভাত মুঠোয় চেপে মুখে চালান করি; লেবু খাই তো ভিনেগার চাখি কাজের কাজ কিছু হয়না।

ছোটবেলায় দেখতে প্যাকাটি ছিলাম। মুখে কিছুই রুচতোনা। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মা তাই মুখে তুলে খাইয়ে দিতেন!
‘কে খায়’ ‘কে খায়’ বলে নিজেই হা করতেন মা। আমি চোয়াল শক্ত করে বসে থাকতাম। শেষমেশ না পেরে দুই গালে টিপ দিতেই হা হয়ে যেত মুখখানি। এরই ফাঁকে মুখে খাবার চালান করে দিতেন মা। তখন আবার সব ঠিকঠাক। অর্থাৎ খাওয়া শুরু করাটাই সমস্যা ছিল। এই যেমন, অনেক বড়বেলা অবধি আমি সি এর বিন্দু থেকে বের হতে পারতাম না। সি লিখতে গিয়ে ডট বড় হত হতে বৃত্ত প্রায় হয়ে যেত। আমি সেই গোল্লা থেকে উদ্ধার পেতাম না!

আমি মাছ খাই বড় সাবধানে। খুঁজে পেতে চশমাটি নাকের ডগায় ঝুলিয়ে নিয়ে তারপর ঝাঁপিয়ে পড়া খাবারের প্লেটে।

এখন আমার সি লিখতে অসুবিধে হয়না আর; কীবোর্ডে হাত ছোঁয়াতেই ঝলমলে সব অক্ষরেরা হাজির হয়। মুখে রুচির ঘাটতি নেই আর। চারপাশে হাজারো খাবারের সমারোহ এখানে, বাংলাদেশের তুলনায় খাবারের দামও কম। বড়দিনের ছুটিতে কানাডা থেকে আপা এসে সজনে ডাটায় ডাল, লইট্যা শুটকি ভুনা, আলু বেগুণে জড়াজড়ি মাছ রান্না করে খাইয়েছিল জিরের ফোঁড়নে।

পারিবারিক ঐতিহ্য বজায় রাখতে আমার কন্যারত্ন খাবার নিয়ে জ্বালায় এখন। চোয়াল শক্ত করে সেও বসে থাকে হামেশাই। ওপরতলা থেকে ফ্লাফি উড়ে এসে একটি রাভিওলি মুখে নিয়ে আমার কাঁধে বসে অতি আনন্দে খায়। লাল টমেটো সসে মাখামাখি ফ্লাফির ঠোঁট দেখে আমরা হাসাহাসি করি।

রোবরোভস্কি হ্যাম্পস্টারের মত আমরা ঘুরছি একই বৃত্তে যেন। এটি কি সেই সি এর বৃত্ত নাকি যেটি থেকে সহজে বের হওয়ার পথ খুঁজে পেতাম না?

৮,৬৭০ বার দেখা হয়েছে

৬৬ টি মন্তব্য : “দিনলিপিঃ দোবার টেক”

  1. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    কেবলই তো ব্রেকফাস্ট করে এলাম, অথচ এরই মধ্যে এত এত খাবারের গল্প শুনলে কার না আবার ক্ষুধা পেয়ে যায়, বলো?
    আমারো পাচ্ছে.........
    😀 😀 😀

    মজার দিনলিপি।
    তবে স্মৃতিচারনই তো দেখছি বেশী।
    অনেক নতুন নতুন খাবারের কথা জানলাম। সুযোগ হলে চেখে দেখতে হবে......
    ভাল লেগেছে......


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂

      একদিনে আর কতটুকুই বা খাই বলো, ভাইয়া! তাই চর্বিতচর্বণ নিয়ে হাজিরা দেয়া 😛

      নানান দেশের হাজারো খাবারদাবার ছড়ানো ছিটানো এদেশে। কত আর খাওয়া যায়! নতুন কিছুর স্বাদ নিতে বেশ লাগে আমার; তবে অনেকাংশেই সেটিভ্যাকেশনে যাবার মতই। ঘুরলে ফিরলে বেড়ালে তারপর ফিরে আসা নিজের শান্তির নীড়ে। আমার দেশী খাবারের ওপর কোন কথা নাই! (সম্পাদিত)

      জবাব দিন
  2. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    আপাতত ঠেকার কাজ চালানোর জন্য মন্তব্যঃ আপা একটি ককটেইল ড্রিংকের নাম কিন্তু "সেক্স অন দ্য বীচ।" আমার মনে হয় ওরা উপভোগের বিচারে মাথা খারাপ করা কোন কিছু পেলে সেটাকে সঙ্গমের সাথে সাথে তুলনা দিয়ে ফেলে! 😛


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂

      শুধু কি তাই? বেটার দ্যান সেক্স নামের উরাধুরা একটি ডেসার্ট আছে, মোকা। কেকের ভাঁজে ভাঁজে আছে চকলেট ফাজ, কুল হুইপ আর পুডিং। কেবলমাত্র ফাজ বা পুডিং দিয়ে তো নরম হবেনা তাই কেকটি পরিমাণমত কাহলুয়া (চিনি বেইসড, কফির সুগন্ধিযুক্ত) লিকার দিয়ে ডুবানো হয়। আহ!

      ঠ্যাকা দিয়া চলবো কয়দিন, মোকা?

      জবাব দিন
      • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

        খুবই উদ্ভট লাগবে পড়তে তবে, বেটার দ্যন সেক্স এই ডেসার্ট খেয়েছি, এক ভেটেরান প্রফেসরের বাসায়। উনি খুব আগ্রহ নিয়ে এইটার নাম ঘোষণা করেছিলেন। এরপরে উপস্থিত অন্যান্য ইন্টারন্যাশনাল ছাত্র ছাত্রীদের এক্সপ্রেশান ছিল দেখবার মতন! ;)) ;))


        \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
        অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

        জবাব দিন
              • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

                ইন্টারেস্টিং যদি বলেন আপা, তাহলে সেটা আমেরিকান খাবার ছিলো না তবে আমেরিকাতে খেয়েছি। সেটা হলো হটপট। চাইনিজ কলিগ মেলানির বিদায় উপলক্ষে আমাদের সবাইকে দাওয়াত দিয়েছিল। সিস্টেমটা খুব মজা পেয়েছিলাম। সবাই সবার মত জিনিসপত্র নিয়ে গোলটেবিলে বসবে। মাঝে কুকারে সিদ্ধ হচ্ছে স্টক, সস, স্পাইসেস সহকারে সল্যুশান। যার যা ইচ্ছা তার মাঝে ফেলে দাও, সিদ্ধ কর, তারপর বাটিতে তুলে ঝাঁপিয়ে পড়ো। মনে আছে সেবার শেষ করার পর ওরা বলেছিল, "we never knew Moka could eat that much." হাহাহাহা। আর ড্রিংকের মাঝে হার্ড লিকার পছন্দের তালিকায় ছিলো না। তবে বিয়ারের মাঝে এলাকার পানশালা একটি IPA বানাতো নাম গ্যালাক্সি আইপিএ। সেটা চালু করা মাত্রই সেখানে যাওয়া বাড়িয়ে দিতাম।


                \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
                অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

                জবাব দিন
                • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

                  🙂 🙂 🙂 🙂

                  তুমি খাওয়ার গল্প বললে, আমি না খাওয়ার গল্প বলি শোন!

                  ইউনিভার্সিটির বন্ধুদের সাথে একদিন ডিনারে আমরা সবাই মিলে ইথিওপিয়ান রেঁস্তোরায় খেতে গিয়েছিলাম। কি অর্ডার করবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না। রুটি মাংস আমার সবিশেষ পছন্দের খাবার। মেন্যু ঘেটে তাই ইনজেরা আর স্টু অর্ডার করলাম আমি। ছবি দেখে বুঝতে পারলাম ইনজেরা একটি রুটি বিশেষ। পরে জেনেছিলাম, টেফ নামের ছোট শষ্যকণার গুড়ো থেকে ইনজেরা তৈরী হয়। গরম জলে টেফ মিশিয়ে সেটিকে বাইরে রেখে দেয়া হয় ফারমেন্টেড হওয়ার জন্য। কয়েকদিন পর সেখান থেকে টকটক গন্ধ বেরোলে হাতে হাতে বানানো হয় ইনজেরা। ক্লে ওভেনে চট করে এরপর সেঁকে নিয়ে স্টু বা নানান রকমের ভর্তা টাইপ খাবারের সাথে ইনজেরা খায় ওরা।

                  আমার একটি অর্ডারে দুটি ইনজেরা এলো। সাথে ভেড়ার স্টু আর পুদিনা পাতার চাটনি টাইপ কিছু একটা। বলা বাহুল্য, টকটক গন্ধযুক্ত এই রুটি গলধঃকরণ করা সম্ভব হয়নি আমার জন্য; স্টু খেয়েছিলাম এমনি এমনি।

                  জবাব দিন
                  • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

                    আমি বর্ণনা পড়েই বুঝে ফেলেছি গন্ধ কি রকম হতে পারে! :no: :no:

                    পটলাক কিংবা বার্বিকিউ গুলোতে আমার খ্যাতি ছিল বড় সাইজের ও প্রচুর খাবার খাওয়ার! 😀 ওরা বলতো মোকা কোন খাবারকে না বলে না! 😛 আর খুব সিম্পল ভাবে বানানো একটা চিকেন উইংস খুব খেত আমার হাতে ওরা। পরে যখন শিখিয়ে দিলাম বলেকি ওমা এত সহজ? হাহাহাহা!


                    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
                    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

                    জবাব দিন
                    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

                      🙂 🙂 🙂 🙂

                      তোমার পটলাকের অভিজ্ঞতা শুনে আমার একটি গল্প মনে পড়ে গেল, মোকা! চীন দেশেরই গল্প সেটি।

                      গ্রামে তখন বড় অভাব। ঘরে খাবার বাড়ন্ত। এক বৃদ্ধা ঘোরাঘুরি করে কোথাও কিছুই পেলেন না। কি ভেবে বিকেলে তিনি বাড়ির সামনে মস্ত এক চুলো জ্বালিয়ে হাঁড়িতে একটি শক্ত পাথর ছেড়ে দিলেন। টগবগ ফুটছে পানি। আগুন দেখে উৎসুক এক প্রতিবেশী জিজ্ঞাসা করলেন, এত বড় হাঁড়িতে তুমি কি রাঁধছগো বুড়িমা?
                      আজ আমি তোমাদের স্টু খাওয়াবো বাছা, চলে এসো সময়মতো।
                      প্রতিবেশী ভাবলো, বুড়িমা স্টু খাওয়াবে খালি হাতে যাই কি করে। ঘরে ছিল একটা মুরগি, সেটি নিয়ে এলো বুড়িমার বাড়ি। বুড়িমা মুরগিটি কেটেকুটে বড় হাঁড়িতে চালান করে দিলেন।
                      দেখতে দেখতে লোকজন আরো বাড়লো। সবারই এক কথা, তুমি কি রাঁধছগো ও বুড়িমা, খুশবুতে যে টেকা দায়!
                      বুড়ি কাওকেই নিরাশ করলেন না। সবাইকেই নিমন্ত্রণ জানালেন ডিনারের।
                      প্রতিবেশীরা ভাবলো, বুড়িমা স্টু খাওয়াবে খালি হাতে যাই কি করে। কেউ নিয়ে এলো গাছের লাউ তো কেউ নিয়ে এলো ঘরের চাল অথবা নুডলস জাতীয় কিছু। কেউ আনলেন তেল, নুন কেউবা ডিম।
                      বুড়িমা সবার নিয়ে আসা খাবারগুলো হাঁড়িতে ছেড়ে দিয়ে নেড়ে দিলেন। সবাই গোল হয়ে বসেছেন চুলোর পাশে; অনেকদিন পর এমন আড্ডা হচ্ছে!

                      দিনশেষে সবাই বসে খেলেন বুড়িমার পটলাক! পূর্বের পটলাকের ধারণাটিকে নিয়ে পশ্চিমে পটলাক পারটি আজ জনপ্রিয়।

      • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

        পটলাক নিয়ে দেয়া শেষ মন্তব্যের উত্তর এখানে দিলাম আপা। ওখানে জায়গা নেই। দশটার বেশী কনভারসেশান চালাতে দেয় না সিসিবি! x-(
        পটলাক ও হটপটের ব্যাপারটা চিন্তা করে এত অবাক লাগলো। কমিউনিটি ইটিং। কি চমৎকার। আমার পছন্দ মাশরুম, চিংড়ি আমি নিয়ে গেলাম সেটা। আরেকজনের মটরশুটি, গরুর পাতলা করে কাটা মাংসের টুকরো, সবগুলোর ফ্লেভার মিলেমিশে এলাহী কান্ড! :party:


        \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
        অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

        জবাব দিন
        • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

          🙂 🙂 🙂 🙂

          চিন থেকে থাইল্যান্ডের কথা বলি এবার। থাই বন্ধু মেলিসার বাড়িতে মাসাম্যান কারি খেয়েছিলাম বছর দশেক আগে। ঝরঝরে সাদা ভাতের কোলে কারিটি সাজানো। বোনলেস মুরগির সেই কারিটির যেমন রূপ তেমনি জিভে জল আনা তার স্বাদ! গল্প করতে করতে মেলিসা বলছিল মাসাম্যান কারি নিয়ে বিখ্যাত কবিতার কথাঃ
          Any man who has swallowed the curry is bound to long for her! 😀

          পরবর্তীতে মেলিসার রেসিপির সাথে তোমার উরাধুরা আপাটির নিজের কালিনারি কারিগরির মিশেলে যেটি সৃষ্টি হলো সেটি অরিজিনাল মাসাম্যান কারির অভিনবত্ব ক্ষুন্ন করলেও তার স্বাদ কোন অংশেই কম ছিলনা 😛

          জবাব দিন
          • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

            :hatsoff:

            উড়াধুড়া এ্যাকশান চলচিত্র জেসন স্ট্যাথামের ট্রান্সপোর্টার ২ চলচিত্রে এক ফঁরাসি গোয়েন্দা/পাকা রাঁধুনীর একটা বিখ্যাত ডায়ালগ আছে, 'My mom used to say, cooking is only limited by your imagination." B-) B-)


            \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
            অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

            জবাব দিন
              • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

                লিখালিখির খরা যাচ্ছে আপা। অনুবাদটাও প্রবল পরাক্রমে কয়েকদিন চলার পর থিতু হয়ে পড়েছে। শুরু করবো করছি এই করে চলে যাচ্ছে দিন। একটা ফাইন্যান্সিং কম্পানিতে লীগ্যাল ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করছি। নামে ও বেতনেই ইন্টার্ন, কামে ফুলটাইম। সমস্যা যেটা হয়ে গিয়েছে সেটা হলো প্রতিদিন ক্যান্টনমেন্ট থেকে কাকরাইল যাবার যে যাত্রাযুদ্ধ, সেই যুদ্ধ দিনে দুইবার করে বাসায় যখন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে আটটার সময় ফেরত যাই তখন আর কোন কিছু ভাল লাগে না। ইদানিং খুব ডিসট্র্যাক্টেড থাকি, একদম নিজের কিছু মানুষ ছাড়া মানুষের বন্ধুত্ব মোটা দাগে কন্ডিশনাল ঠেকছে। সেই বন্ধুত্বকে ছুড়ে ফেলে দিতে চাইলেও কটু কথা শুনতে হচ্ছে। অথচ এসব নিয়ে বছর পাঁচেক আগেও থোড়াই কেয়ার ছিলাম। কে কি বললো এই নিয়ে মাথা ঘামালেও নির্দ্বিধায় দূরে ঠেলে দিতাম। এখন আগপাশতলা চিন্তা করি। জানি না কেন করি। প্রচুুর শ্রমঘন্টা নষ্ট হচ্ছে দিনের পর দিন। যেই বিষয়গুলো আমাকে শান্ত রাখতো তথা, গীটার ও পরবর্তীতে ফটোগ্রাফী, সেই বিষয়গুলো ছুঁয়ে দেখা হচ্ছে না। বিশেষ করে গীটার বাজানো তো ছেড়ে দিয়েছি প্রায় বছর তিনেক। শুনেছি সঙ্গীতের সাথে যারা মোটামুটি জড়িয়ে যায় তারা সেটা ছেড়ে দিলে মাদকাসক্ত মানুষের মত উইথড্রল সিনড্রম দেখা দেয়। আমার মাঝে সেই উইথড্রল সিনড্রম মনে হয় দেখা দিচ্ছে। তাই গতকাল থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মাদকে ফেরত যেতে হবে। তা সে যেকোন মূল্যেই হোক। বিশেষ করে গীটার-গানে যেতেই হবে। নাহলে দুদিন পরে সুবোধ বালক হয়ে যাব। রনি জেমস ডিওর গানের মত বললে বলতে হয়, losing my insanity. আপাতত আর কিছু লিখার নেই। আপনি বললেন দেখে এইখানেই একটা ছোট ব্লগ লিখে ফেললাম। 🙂


                \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
                অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

                জবাব দিন
                • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

                  🙁 🙁 🙁 🙁

                  তোমার লেখা পড়ে চুপচাপ বসেছিলাম, মোকা। আশার কথা হলো বেশীক্ষণ চুপচাপ থাকতে পারিনা; তাই লিখতে বসলাম। দু'বছর আগে দেশে গিয়েছিলাম। উইকেন্ডে ঢাকায় যেতাম হামেশাই। ঢাকা-ময়মনসিংহের বিখ্যাত হাইওয়ে পেরিয়ে রাজধানীতে ঢোকা কী যে দুরূহ একটি ব্যাপার ছিল! প্রথমবারের লেসন নিয়ে এরপর থেকে ভোররাতে যাত্রা শুরু করতাম, কাক ডাকার আগেই পৌঁছে যেতাম ঢাকায়। দিনের বেলা উত্তরা গুলশান এলাকার বাইরে গিয়েছিলাম কমই; পেঁচার মতো রাত নিঝুম হলে ঘুরতে বের হতাম। তখন যানযট থাকতো না কিন্তু রাতের ঢাকাকে অপরিচিত মনে হতো!

                  আমি বলি কি গলা ছেড়ে গান গাও জোরসে, ভাইয়া। পারলে নিজেই লিরিক্স লেখা শুরু করো। হতাশা তোমার সাথে যায়না মোটে। হাসো। কুটিলতায় হাসো, ক্ষুদ্রতায় হাসো, ভন্ডামীতে হাসো। জীবনকে পাল্টা ভ্রুকুটি দেখাও, ভাইয়া! আর খুব বেশী রাগ হলে দারুণ রোষের কবিতাও লিখতে পারো! জলদি একটা অডিও ব্লগ নামাও, প্লিজ। গান অথবা বাজনা কিংবা গানবাজনা দুটোই নিয়ে আসো। ক্যান্ট ওয়েট!

                  মন্তব্য ব্লগ নয় সতি্যকারের ব্লগ লিখো, ভাইয়া। ফুল পাখি লতাপাতা অথবা নাহয় তুমুল একখানি প্রেমের কবিতাই সই! ফিরে এসো; কথা বলো। গান গাও। হাসো!

                  আমার ভালবাসা জেনো, ভাইয়া।

                  জবাব দিন
                  • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

                    আর হ্যা লিখালিখিটা হালকা থেকে মাঝারি আকারের আসক্তি। হাতি ঘোড়া যাই লিখি সেটা পড়ে মানুষজন দুটো কথা লিখলেই নার্সিসিজমে লেজ নাড়া শুরু করে দেই। তাই লিখে বাহবা কুড়ানোটাও দরকার। লিখবো আপা। এই একটু সামলে নিচ্ছি। সামলে নিতে একটু সময়ই লাগছে। ব্যাপার না! 😀


                    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
                    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

                    জবাব দিন
  3. জিয়া হায়দার সোহেল (৮৯-৯৫)

    অনেক বিদেশী খাবারের শব্দ হয়তো ঠিকভাবে অনুভব করতে পারি না। সেক্স ইন দ্য প্যান সম্পর্কে জানলাম। লিখা পড়ে মাঝে মাঝে মনে হয় এই মাত্র আমেরিকায় আসছি। এতো সব নতুন খাবারের নাম শিক্তে হবে। আবেগের শেষ নাই তোমার ভিতর। ভালো থেকো, শুভকামনা আপু। :clap: :clap:

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂

      রোবোরভস্কি হ্যাম্পস্টারের গালভরা নামটি থাকলেও আমি একে বলি ইন্দুরই! বন্ধুকন্যার দুটো সাদা ইন্দুর আছে। তাদের খাঁচাতে নানান রকমের কারিগরি; খাবার এবং খাবারজলও ভেতরে আছে। এই হ্যাম্পস্টারগুলো সারাদিন খাঁচার সেই চড়কিতে ঘুরছে তো ঘুরছেই। আমার তো দেখলেই মাথায় লাগে।

      জবাব দিন
      • খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

        রোবোরভস্কি হ্যাম্পস্টার সম্পর্কে পড়তে গিয়ে আমার কাছে সবচেয়ে চমকপ্রদ মনে হয়েছে ওদের দৌড়ের অসাধারণ ক্ষমতা। মাত্র ২ইঞ্চি দৈর্ঘের আর ১ আউন্স ওজনের এই ক্ষুদ্র প্রাণীটি প্রায় চার মনুষ্য ম্যারাথনের মত দৌড়ায় প্রতি রাতে। মনুষ্য গৃহে খাঁচায় বন্দী থাকলে তাদের গড় আয়ু চার বছর, আর মুক্ত অরণ্যে ঘোরাঘুরি করলে বছর দুই পেরোবার আগেই কারো না কারো খোরাকে পরিণত হয়ে যায়।

        জবাব দিন
  4. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    খাবার জিনিস নিয়ে রান্নার আর স্বাদের কারিশমার কথাই সারা জনম জেনেছি, দেখেছি। আর খুব বড় জোর নীরস টাইপের খাবারের রেসিপির সাথে কখনো ছবি জুড়ে রস জোটানোর চেষ্টা। কিন্তু রান্না, খাবার আর তার পরিবেশনা এসব নিয়ে কালিনারি লিটারেচার যে কতোটা উপভোগ্য আর সুখপাঠ্য হতে পারে ! তা জানছি আর জানছি ... মুগ্ধতায় বশ মানছি আর মানছি ... 🙂 :boss: 🙂 :boss:

    জবাব দিন
  5. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    🙂 🙂 🙂 🙂

    ছোট ভাইয়ারা এমন করে বললে জানো মনেহয় বলি, চলে আয় এখনই! ঈদে বাড়ি যাচ্ছো আশাকরি। 😀

    সিসিবিতে তোমার দেখা পাই কম, রাব্বী। ফাটাফাটি প্রেমের কবিতা নিয়ে জলদি হাজিরা দাও, ভাইয়া।

    জবাব দিন
  6. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    তোমার খাবারের বর্ণনার সাথে সাইদুল ভাই এর ভ্রমণকাহিনী মিলালে পারলে পারফেক্ট একটি সৈয়দ মুজতবা আলী হয়ে যেত।
    এতটাই অসাধারণ লেখ তোমরা দুজন!

    নুপূরদার ব্যক্তিগত রেসিপি পড়েই যেমন নেশা ধরে যায়, তোমার ফুড ব্লগ পড়েই যেন নাকে সুঘ্রাণ পাই! 😀


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂

      তুই দেখি যৌথ প্রযোজনার মুভির কথা ভাবছিস, জুনা 😀

      নূপুর, সাইদুল ভাইয়া সিসিবির রত্নবিশেষ; তাঁদের সাথে তোর ফেবারিট পটটিকে কী কায়দা করেই না জুড়ে দিলি, ভাইয়া!
      ভাল আছিস আশাকরি। রাজীব, মোকা, আহসান, জিহাদ আর তুই আবার নিয়মিত আয় সিসিবিতে। তোদের উরাধুরা টাইপ কথা মিস করছি অনেক। ব্লগে সারাক্ষণ নাকে চশমা এঁটে কথা বলতে ভাল লাগেনা!

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।