দিনলিপিঃ ক্রিসমাস ইন জুলাই

ঈদ অবশেষে
আমাদের ব্যক্তিগত শোক সন্তাপের সাথে ঈদের কিছু যোগাযোগ থাকার কারণে বহু বছর বাড়িতে ঈদ উদযাপন করা হয় নাই। তারাকে হয়তো জিজ্ঞেস করেছি, ঈদে কি খাবে, ভূতো? সে ছোট্ট করে বলেছে, চিরিওস উইথ হোল মিল্ক, মা! কন্যারত্নের কথায় হাসলেও আমি তার পছন্দের সব খাবার রান্না করি ঈদে। ব্যাংক থেকে কড়কড়ে ডলারের নোট এনে রাখি ঈদি দেবো বলে কিন্তু ঈদে লোকজন ডেকে আমাদের আহারবিহার করা হয় নাই অনেকদিন। কারো বাড়ি যে বেড়াতে গেছি সেটিও মনে পড়েনা।

আমেরিকায় গ্রীষ্মের ছুটি চলছে এখন। স্কুল কলেজ সব বন্ধ। তারাকে যথারীতি বললাম, ঈদে কি খাবে, পাখি? কিছু না ভেবেই সে বলল, ঈদে খেতে চাইনা, আই ওয়ানা ফ্লাটার এরাউন্ড দা সিটি লাইক আ বাটারফ্লাই, মা!

ঈদের আগের দিন তারার পছন্দের সব ডিশ তৈরি করতে করতে সন্ধ্যে পেরিয়ে গেল। রান্না শেষে আদা, রশুন, জৈত্রি, জায়ফলের গন্ধে নিজেকে বেশ খানিকটা কাবাব কাবাব মনে হচ্ছিল। ফ্লাফিকে চেপে ধরে ঈদের গোসল করিয়ে দিয়ে তারা হেয়ার ড্রায়ারে শুকিয়ে নিল তাকে। আমি চট করে শাওয়ার নিয়ে এসে দেখি তারা নিচতলায় কার্পেটের ওপর একখানা কুইল্ট বিছিয়ে ঘটা করে মেহেদি পরার আয়োজন করছে। মেহেদীর টিউব ঘরেই ছিল, গুগোল ঘেঁটে সে হাত পায়ের নকশার প্রিন্টআউট বের করে বসে আছে মায়ের জন্য। আমাকে দেখেই দক্ষযজ্ঞ শুরু করে দিল তারা। আমরা নিজেরা কখনোই বাড়িতে একা একা মেহেদি পরিনি আগে, সামনে যতই কারুকাজওয়ালা ছবি থাকুক না কেন হাতে পায়ে চিত্রবিচিত্র নকশা আঁকা সহজ কাজ নয় মোটে। আনাড়ি হাতে দু’জনে মিলে হাতে পায়ে আঁকিবুঁকি করলাম মনের মাধুরী মিশিয়ে! তেলেপোকার হেঁটে যাওয়ার মত সুদৃশ্য চিত্রকল্প হাতে আমাদের খুশী দেখে কে!

ঈদের সকালে ঘুম ভাংতেই মাকে কল করে চোখের জল নাকের জলে একাকার হলাম যথারীতি। কত বছর হয়ে গেল দেশে ঈদ করা হয়নি! ফোঁপাতে ফোঁপাতেই বললাম এখনো বড়’পার গিফট পাইনি আমরা। মায়ের থেকে ফোন নিয়ে ছোটবোন নিন্টু বলে, এই জন্মে তোর এক চোখ ফোটা বিল্লিবাচ্চা হয়ে জন্ম নেবার কথা ছিল কিন্তু ভুল করে তুই মেজ বোন হয়ে গেছিস। মা বললেন, গিফট তো কালই চলে এসেছে তোমার ডাকবাক্সে, দেখো নাই? এখানে মেইল ডাকে পাঠিয়ে ট্র্যাক করবার নিয়ম কিন্তু আপা আমাদের চমকে দেবে বলে কিছু জানায়নি আগে। ইয়া বড় একটা প্যাকেটে দশটা ছোট ছোট শুন্য গিফট বক্স খুলতে খুলতে যখন আমরা ওদের মশকরাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি তখনই দেখি নিচে ছোট একটা সাদা খামের ভেতরের কার্ডে লেখা আছে, ‘ফরএভার টুয়েন্টিওয়ান মা-মেয়ের জন্য আমার আদর রইল’ সাথে ‘ফরএভার টুয়েন্টিওয়ান’ নামের একটি ফ্যাশন স্টোরের দুশো ডলারের গিফট কার্ড!

দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিতলি আপা যখন কল করেছেন আমরা তখন ঐশীদের বাড়ি চলে এসেছি। সালাম দিয়ে খুনসুটি করি আমি বরাবরের মত, আমার সালামি কোথায়, আপা? আপা আমার ছেলেমানুষিতে হেসে বলেন, পেডিকিউর করে বসে আছি। তুমি এলেই মিলবে ঈদি। তিতলি আপা কথা বলেন কম কিন্তু অসীম মমতার সাথে আমার বকবকানি শুনে আসছেন ছোটবেলা থেকে। কথা বলতে বলতেই টুংটুং শব্দ শুনতে পেলাম আমি কিন্তু আপা বললেন, তোমার ই-মেইল এলো নাকি? আপার তো শব্দ শোনার কথা নয় তাই বললাম, আপনি কি করে জানেন? তিতলি আপা বললেন, দেখোনা একটু! ভোরবেলা আপাকে আমাদের মেহেদির ছবি পাঠিয়েছিলাম আজ। আইপ্যাডে দেখি অনেকটা আমার মত কার জেনো একটা হাতের ছবিতে বাংলায় লেখা একটি ম্যাসেজ এসেছে অ্যামাজন থেকে! তারা অন লাইনে অ্যামাজনের সাথে কাজ করে বটে কিন্তু ওরা আবার বাংলায় কি লিখবে! নাকের ডগায় চশমাটি চেপে ধরতেই দেখি আমার ঈদি চলে এসেছে সাসকাচুয়ান থেকে! আমার আলাভোলা বোনটি কত স্মার্ট হয়ে গেছেন এখন যে পা ছুঁয়ে সালাম করার আগেই ইলেক্ট্রোনিকেলি সালামি পাঠিয়ে দেন! এক আলোকবর্ষ দূরে থেকে আমার স্বজনের সালামি পেয়ে আমার ছলছল করে চোখ, আপাকে বলিনা কিছুই।

মুড়ি ও মামড়ার গল্প
মুড়ি আমার সবিশেষ প্রিয় একটি খাবার কিন্তু আশেপাশে দেশী দোকান নেই বলে একদিন ভারতীয় গ্রোসারী চেরিয়ান থেকে মুড়ির মত দেখতে একটি বস্তু কিনে নিয়ে এলাম। ইয়া বড় প্যাকেটের গায়ে ইংলিশে লেখা আছে Mamra! চেহারা সুরত দেখে আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছুলাম যে মুড়ির লং ডিসট্যান্ট কাজিন হবে এই মামড়া। দশ ডলারে দুই প্যাকেট মামড়া কিনে ‘গো এন্ড স্টক’ করলাম ইফতারে খাবো বলে। মামড়া দেখতে মুড়ির চাইতে খানিক দশাসই চেহারার মানে মুড়ির চাইতে খানিক উঁচা লম্বা দেখতে, নোয়াপাতি একটা ভুড়িও আছে আবার। বাড়ি ফিরে প্যাকেট খুলে চারটে মামড়া মুখে দিতেই কিচকিচে বালির ছোঁয়া লাগলো জিভে। পানিতে আচ্ছা করে কুলি টুলি করে যা বুঝলাম তা হলো, নুনবিহীন ম্যাড়ম্যাড়ে এই বস্তুটি প্রায় অখাদ্য। মুড়ির স্বাদ যে মামড়ায় মিলবে না বুঝে গেলাম।

রোজার দ্বিতীয় সপ্তাহে শাহনাজ কল করেছিল ইউরোপ থেকে। একথা সেকথার পর জানতে চাইলো কি খেলাম ইফতারে। আমি ভাজা পোড়া খাইনা। ওটস, গ্রিটস তরমুজ বা গ্রিক দইয়ের মত বোরিং সব খাবারের কথা বলতেই শাহনাজ বললো, আহা বেচারী! ছোলা, মুড়ি ছাড়া আবার ইফতার হয় নাকি? আমি হাসতে হাসতে তাকে মামড়ার গল্প বলি। শাহনাজ হলো গিন্নিবান্নী টাইপ মেয়ে। সে দুপুরে মাছ পটলের দোলমা রাঁধলে রাতে খিচুরী বেগুন ভাজার আয়োজন করে। এরমাঝে শাহনাজের সাথে কথা হয়েছে কয়েকবার। স্কাইপে একদিন ক্যায়সেডিয়াও বানাতে শেখালাম ওকে। মুড়ির মত মামুলি প্রসঙ্গ আর আসেনি আমাদের গল্পে।

ঈদের পরদিন শনিবারের অলস দুপুর। বাইরের পঁচানব্বই ডিগ্রি তাপমাত্রার সাথে তারার পকেটও খুব গরম আজ। কড়কড়ে সব ঈদি দিয়ে সে অনলাইনে কেনাকাটা করছে। কালো রঙের এই শর্টসটি কিনবে নাকি খয়েরী রঙের অই ক্যাপ্রিটি কিনবে জানতে চাইল সে। দু’জনের কথার মাঝে ডিংডং কলিং বেল বাজাতে ভাবলাম ঈদের ছুটি না পাওয়া কোন বন্ধু হয়তো আজ আমাদের চমকে দিতে চলে এসেছেন ফোন কল না করেই। দরজা খুলতেই মেইলম্যান বড়সড় একখানা পোটলা হাতে ধরিয়ে দিয়ে তার ইলেকট্রনিক নোটপ্যাডে সাইন করতে বললেন।

আমরা ভাবছিলাম অমিত বুঝি তার বোনটির জন্য শেষ মুহূর্তে ঈদের উপহার পাঠিয়েছে টরন্টো থেকে। খয়েরী পোটলা খুলতেই দেখি একটি বড় কাগজে লেখা, তোর ইফতারের মুড়ি পাঠানো হলো ইউরোপ থেকে, আটলান্টায় তুই কেবল পেঁয়াজুটা ভাজতে বয় এখনই, দোস্ত। আমার বন্ধু শাহনাজ ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে রুচির মুড়ি পাঠিয়েছেন। ডাক বিভাগের বদান্যতায় রোজা শেষে ঈদের পরদিন মুড়ি হাতে পেলেও শাহনাজের হৃদয়ের উত্তাপ পেতে আমার দেরী হয়না।

আটলান্টায় ডাল ভাতঃ
তারার ছোটবেলার বন্ধু জ্যাকি আমাকে মা বলে ডাকে। এলিমেন্টারী স্কুলে পড়ার সময় জ্যাকি সপ্তাহান্তে আমাদের সাথে থাকতে আসতো মাঝেমধ্যে। ওকে যে খুব বেশী আদর করেছি তা ঠিক না। জ্যাকি বা তারার বন্ধুরা এলে আমি তাদের পছন্দের খাবার খেতে দিই সব সময়ে। ওদের জন্য পাস্তা বানিয়ে রাখি আগে থেকে, স্যান্ডউইচ বা দেশী কাবাব ডিনারে, চিপস, প্রেটজেলস আর সোডা তো ঘরে থাকেই। কাপকেক অথবা ফান সাইজের জেলো বানিয়ে রেফ্রিজারেটরের গায়ে লিখে রাখি ফ্রিজে বা টেবিলে কি কি খাবার আছে ওদের জন্য। খেতে সবাই ভালবাসে তাই হয়তো খাবারের সূত্র ধরেই জ্যাকির সাথে মাতাপুত্রীর একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। মেয়েটি আমাদের দেখাদেখি হাতে ডাল ভাত খেতে শিখে গেল। হাসতে হাসতে ও বলতো, তোমরা সুপের সাথে এতো রাইস খাও কেনো, মা? এখানে আমেরিকানদের বাড়িতে গেলে বড়জোর কমলার রস বা একটি ড্রিংকসের অফার মেলে। আমাদের মত দুপুর বারোটার পর অতিথি এলে পাতে দুটো মুরগীর ঠ্যাঙ আর তিনটে মাছ ভাজা দিয়ে কেউ বলে না, আর একটা দেইগো, মা? মুখটা কিমুন শুখা শুখা লাগে!

বাবা মায়ের ডিভোর্সের পর জ্যাকি মায়ের সাথে নিউ ইয়র্কে চলে গেলেও তারার সাথে তার বন্ধুত্ব রয়ে গেছে। গত সপ্তাহে ও টেক্সট পাঠিয়েছে, আমি কি ডাল ভাত খেতে এক সপ্তাহের জন্য জর্জিয়াতে আসতে পারি, মা?

গতরাতে আমরা জ্যাকিকে নিয়ে এলাম এয়ারপোর্ট থেকে। ছোট দু’টি মানুষ তাদের ওল্ড ফ্যাশনড মা’টিকে সাথে নিয়ে বেড়ানোর পরিকল্পনা করছে দেখে ভাল লাগে! প্রথমবারের মত স্লাইড দা সিটি আসছে আমাদের শহরে। শহরের ঠিক মাঝ দিয়ে বিশাল ওয়াটার স্লাইডে জলকেলি করবে নগরবাসীরা। তিনটে টিকিটের রিজার্ভেশন দেয়া হয়ে গেছে এরই মধ্যে। মন না চাইলেও জগতের আনন্দযজ্ঞের নেমন্তন্ন চলে আসে কখনো মায়ের হাত ধরে, কখনো জ্যাকি অথবা তিতলি আপার হাত ধরে!

চারদিকে এতো রঙ, মানুষের উপচে পড়া ভালবাসা তবুও ক্ল্যারিওনেটের সুরে হাহাকার কি ছড়ায় না!

৪,৪১৪ বার দেখা হয়েছে

৩৫ টি মন্তব্য : “দিনলিপিঃ ক্রিসমাস ইন জুলাই”

  1. আপনার লেখাগুলোতে এতো সুন্দর একটা ছবি আঁকা থাকে আপা চোখ বন্ধ করে আমি সব দেখতে পাই। সাদামাটা একটা দিনলিপি লিখলেন কিন্তু লেখার গুণে অসামান্য হয়ে গেল। লেখার পরতে পরতে মায়া আর মায়া। দিনের শুরু হলো আপনার লেখা দিয়ে যদিত্ত মনেহয় প্রতিদিন আপনার লেখা পড়ি।

    জবাব দিন
  2. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    মুড়ির কাজিন মামড়ার কথা এই প্রথম শুনলাম। কিচকিচে বালির কথা ভাবতেই এখান থেকেও কুলি করার ইচ্ছে জাগলো।
    "তোমরা সুপের সাথে এতো রাইস খাও কেনো, মা?" - ডালভাত এর একটা ভিন্ন ভাবনা যোগ হলো।
    "তবুও ক্ল্যারিওনেটের সুরে হাহাকার" ... মুদ্রার ওপিঠ।

    জবাব দিন
  3. মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)
    আই ওয়ানা ফ্লাটার এরাউন্ড দা সিটি লাইক আ বাটারফ্লাই

    কী চমৎকার, ইচ্ছে!

    এমন যদি হতো,
    ইচ্ছে হলেই আমি হতেম
    প্রজাপতির মতো।
    ফোঁপাতে ফোঁপাতেই বললাম এখনো বড়’পার গিফট পাইনি আমরা।

    তোমার নিজেকে মেলে ধরবার এমন অকপটতা আমাকে নির্মল আনন্দ দেয়।

    চারদিকে এতো রঙ, মানুষের উপচে পড়া ভালবাসা তবুও ক্ল্যারিওনেটের সুরে হাহাকার কি ছড়ায় না!

    ছড়ায়, কারণ ভিড়ে মিশেও মানুষকে হেঁটে যেতে হয় একা একাই।


    দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      বারো রকম মানুষের ভীড়ে সবাই একা জানি তবুত্ত তো জীবনের পথচলা থেমে থাকেনা। চলতে চলতেই আমরা ঠিক শিখে যাই কার হাত ধরে একটু পথ পাড়ি দেয়া যাবে নিভর্াবনায়, কার বুকে মুখ রেখে ভুলবো এক জীবনের দীর্ঘশ্বাসের গল্প। আবার চলার পথে কোন ফাঁকে ছুঁয়ে থাকা হাতটি কার ইশারায় কখন যে জলের মতো ফোঁকর গলে বেরিয়ে গেছে, হা ঈশ্বর!

      জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      আমার তো ধারণা ছিল আধুনিক মানুষ আর মুড়ি টুড়ির মত মামুলি খাবার খায়না, তাসমিয়া। তারা আর ওর বন্ধুকে নিয়ে আজ চোপাটিতে গিয়েছিলাম। মেন্যুতে পাও ভাজি নামে একটা খাবার ছিল। পাও মানে যে পাউরুটি সে কি আমি জানি! মসলায় ভাজা পাউরুটি খেয়ে হুহু করতে করতে মনেহলো ঝালাইওয়ালা বুঝি বিদেয় হলো অবশেষে।

      ফেরার পথে আমি চিড়া কিনে এনেছি। চিড়ে চ্যাপ্টা 😛 মানে ফ্লাটেন্ড রাইসকে ওরা বলে পোহা। দেখতে আমাদের চিড়ার চাইতে খানিক টল এন্ড স্লেন্ডার এই পোহা। আমার চিড়ে মুড়ির উৎসব চলছে!

      জবাব দিন
  4. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    স্বাদু খাবার, সতত মানুষ, ক্লিষ্ট অনুভূতি, ঐতিহ্য আর কৃষ্টি, দৈনন্দিনতার পাঁচফোড়ন, সামাজিকতার গোলমরিচ, স্বপ্নবোনা বীটলবন, সাথে ভালো লাগা মন্দ লাগার কাঁচা লংকা আর ভিনিগারে নুন মাখানো চিকন ফালি পেঁয়াজ, ইচ্ছে আর আবেগের জাফরান মাখা কোফতা ... সাথে অন্তহীন গল্পের সাথে ঝুলবারান্দায় গোলটেবিলে ধোঁয়া ওঠা কফির পেয়ালা ... শব্দের বুননের সাথে ভ্যান গগের তুলির স্মুদি ...
    মুড়ি অবশ্য আমাদের সেশে মানুষের চেয়ে ইউরিয়ার সাথে সখ্যতা গড়েছে বেশী ... এতোটাই বেশী যে সার ছাড়া ভাজা মুড়িকে আজকাল বেরসিক বেরসিক মনে হয় ...
    আর হ্যা । ঈদ চলছে এখনো যেনো ।

    জবাব দিন
  5. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    ঈদের মুহূর্তগুলো ---- রন্ধন, মেন্দি আর উপহারের এসব অনাবিল সব ছবি। আ হা!
    আপা, আটলান্টার ঈদ তো দেখি খুবই জমজমাট হলো এ বছর।
    মুড়ি চিনি, কিন্তু মামড়াটা দেখা হয়নি কোনদিন।

    জবাব দিন
  6. জিয়া হায়দার সোহেল (৮৯-৯৫)

    জ্বরের কারনে কয়েকবার খুলেও পড়তে পারিনি। যাহোক আজ পড়লাম আর ছোটবেলার সে জনপ্রিয় থানডার কেটস কার্টুনের অপ্রিয় ভিলেন মামরার নামে খাদ্য ''মামড়া'' সম্পর্কে বিষদ জানলাম এবং বুঝলাম এটিও অপ্রিয়। তোমার এই সুন্দর লিখায় মনের কোণায় এটাই অনুভব করলাম যদি তুমি দেশে থাকতে তাহলে কতই না মজা হত। আপু তোমাদের প্রত্যেক দিন আনন্দময় হোক, এমনটাই কামনা। :clap: :clap:

    জবাব দিন
  7. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    🙂 🙂 🙂 🙂

    আশাকরি এখন ভাল বোধ করছো, ভাইয়া। নিজের যত্ন নিও।

    মনেপড়ে Mumm Ra ফায়ার ও'কে বলছে, দেয়ার ইজ নো ওয়ে টু ফাইট ফায়ার!
    ফায়ার ও শীতল চোখে উত্তর দিয়েছে, ওহ ইয়েস, ইউ ফাইট ফায়ার উইথ ফায়ার! B-)

    মাচ লাভ!

    জবাব দিন
  8. দুপুর বারোটার পর অতিথি এলে পাতে দুটো মুরগীর ঠ্যাঙ আর তিনটে মাছ ভাজা দিয়ে কেউ বলে না, আর একটা দেইগো, মা? মুখটা কিমুন শুখা শুখা লাগে! :hatsoff: :hatsoff: :clap: :clap:

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂

      আমার মা তাঁর আতিথেয়তার কারণে পরিবার এবং তার বাইরেও প্রিয়মুখ। খাওয়াদাওয়াতে মায়ের পক্ষপাতমূলক আচরণের খানিক যে আমার ওপরও ভর করেনি কি করে বলি। দরিদ্র দেশের মানুষেরা মাইন্ডফুল ইটিং এর মাজেজা জানেন না, জানার কথাও নয়। ক্ষুধিত মানুষের কাছে খাওয়ার সৌন্দর্য নয় উদরপূর্তিই আসল কথা। আর সেধে সেধে ঠেসে খাওয়ানো তো আমাদের সংস্কৃতির অংশ!

      জবাব দিন
  9. সাইদুল (৭৬-৮২)

    তিন অঙ্কের একটি সাবিনা প্রযোজনা, ভালো তো হবেই।

    মন না চাইলেও জগতের আনন্দযজ্ঞের নেমন্তন্ন চলে আসে কখনো মায়ের হাত ধরে, কখনো জ্যাকি অথবা তিতলি আপার হাত ধরে!

    সত্যি।


    যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।