দিনলিপিঃ এডিবল এরেঞ্জমেন্ট

দেশে মা খালাদের দেখেছি কেউ অসুস্থ হলে আতপ চালের ভাত, কচি মুর্গির ঝোল, আর সুপ রাঁধতে ব্যতিব্যাস্ত হয়ে পরেন। সাথে কাঁচা পেঁপে সহযোগে শিঙ্গি মাছের সুরুয়া অথবা জাম আলু আর মাগুর মাছের জড়াজড়ি কোন প্রেপ থাকে। অসুস্থতার কারণ যা’ই হোকনা কেনো ঝোলে ভাতে মাখামাখি আয়োজনে রোগীর প্রতি উপচানো ভালবাসা দেখাতে সবাই তৎপর হয়ে ওঠে। আর কেউ মারা গেলে তো বাঙ্গালী বাড়িতে উনুনই জ্বলেনা পাঁচদিন। আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুদের বাড়ি থেকে প্রতিবেলা খাবার থেকে শুরু করে থারমোফ্লাস্কে চা অবধি পৌঁছে যায় সেই বাড়িতে। শোকগ্রস্ত পরিজনদের দেখেছি কেউ বিষণ্ণ মুখে, কেউবা অশ্রুসজল চোখে টিফিন ক্যারিয়ারে করে পাঠানো সেই খাবার খেতে। ভাতের লোকমা হাতে হয়তো স্মৃতিকাতর হয়ে পরেছে ষোল বছরের ছেলেটি তার বাপীর কথা মনে করে। শ্বেত শুভ্র আঁচলে মুখ ঢেকে মা আশেপাশে হেঁটে বেড়ান। জীবনের বারোয়ারী উৎসব মৃত্যুতেও থেমে থাকেনা!

আমার বাড়ির পাশেই এডিবল এরেঞ্জমেন্ট নামের রংবাহারী দোকান। তাজা ফলমূল কেটেকুটে সাজিয়ে অথবা চকোলেটে ডিপ করে বিক্রি করে এরা। মাদারস ডে, জন্মদিন অথবা ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে তাদের জমজমাট বাণিজ্য চলে দেশব্যাপী। সদা ব্যস্ত আমেরিকানরা কেউ এখানে হাত পুড়িয়ে রাঁধতে বসেন না। কেউ অসুস্থ হলে অথবা মৃত্যুবরণ করলে শোকগ্রস্ত বন্ধু অথবা স্বজনেরা একখানা কার্ডে নিদারুণ ভাষায় সমবেদনা জানান অথবা একটি এডিবল এরেঞ্জমেন্টের অর্ডার দেন এসব দোকানে। দুঃখী দুঃখী চেহারা নিয়ে আপনার হাজির হতে হবে না দূরবর্তী বন্ধুর বাড়ি, ওরাই আপনার হয়ে বন্ধুর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে আসবে সাজানো ফলমূলের সাথে একখানি পুতুল অথবা শোকের সাদা গোলাপ বা ভালবাসার লাল! ক্যালিফোনর্িয়া থেকে একদা প্রানের বন্ধু শেরীস বেরিস থেকে এক দুপুরে যখন চকোলেট কভারড স্ট্রবেরি পাঠিয়েছিলেন তখন বুঝতে পারি খাবার মানেই কেবল আহার্যবস্তু বিশেষ নয়, খাবার একটি শিল্প বিশেষ। আমাদের বন্ধুত্ব টুটে গেছে বহুকাল কিন্তু সেই মানুষ অথবা স্ট্রবেরির সুরভি আজো সমুজ্জ্বল!

ভালবাসার লাল গোলাপ

নিতান্তই কৌতূহলের বশবর্তী হয়ে একদিন বিকেলের দৌড়ঝাঁপ শেষে এডিবল এরেঞ্জমেন্টে ঘুরে আসি একা। গিয়ে তো আমার চক্ষু চড়কগাছ! পুঁজিবাদী আমেরিকানরা বাণিজ্য ভালোই বুঝেন জানি, কিন্তু এরা চুরি তো নয় একেবারে সিনা চুরি করছে সবার সামনে! এক ডজন স্ট্রবেরি পঞ্চাশ ডলারে বিকোচ্ছে ওরা। রংচং মাখিয়ে কলা, আপেল, আর আনারসের টুকরো চকলেটে ডুবিয়ে দাম হাঁকছে আশি ডলার! সাথে গুটুস পুটুস একখানা টেডি বেয়ার থাকলে একশো ডলারে পৌঁছে যাচ্ছে দাম। বলা বাহুল্য এসবেই এখানকার আভিজাত্য অথবা অন্য ভাবে বললে এসবই আমেরিকান ডেলিকেসি!

সাদা চকলেটে মোড়া ফল

বাড়ি ফেরার পথে পাবলিকস সুপার মার্কেটে ঢুঁ মারি আনমনে। সেমি সুইট সাদা কালো চকলেট চিপস, তরমুজ, আম, আর স্ট্রবেরি কিনে বাড়ি ফিরলাম। কিচেনে নানান আকারের কুকি কাটার আছে জানি। কেক সাজাবার ছোটখাটো এডিবল জিনিশপত্রও খুঁজে বের করলাম। তারাকে চমকে দিতে যে করেই হোক আজ মাম্মাস এডিবল এরেঞ্জমেন্ট বানাতেই হবে রাতে!

আকারে বড় বলেই হয়তো প্রথমেই তরমুজ নিয়ে কারিগরির কথা মাথা আসে। এদেশে প্রথম সিডলেস তরমুজ দেখে আমার বাঙাল মন ভেবেছিল তরমুজের বিচিই যদি না হয়ে তবে গাছ কি করে এলো? দুই হাতে ধরাধরি করে ধারালো ছুরিতে লাল-গোলাপী টুসটুসে তরমুজ কাটতে লেগে যাই কাটিং বোর্ডে। বহু বছর নিজের অমূল্য হৃদয়খানি কাউকে সমর্পণ করতে না পারলেও এক টুকরো তরমুজ কুকি কাটারে ঘচাং করে কেটে দিব্যি একখানি হার্ট বানিয়ে ফেললাম। পাকা আম কেটে নিই কিউব করে। একখানি নেবুর টুকরো ঝুলিয়ে দিই বাঁশের কাঠিতে। ফ্রিজ থেকে গাজর এনে গোটাকয় ফুল বানাবার চেষ্টা করি। এরপর তরমুজ হার্ট প্লেটে রেখে কম্পিত হৃদয় আর ততোধিক কম্পিত হাতে এবার চকলেট গলাতে লেগে যাই স্ট্রবেরি সাজাবো বলে!

এডিবল এরেঞ্জমেন্ট হাতে আমি

লাভার মতো গলে যাওয়া সাদা আর ডার্ক চকলেটের মৃদু সুবাস নাকে এসে লাগতেই চনমন করে ওঠে মন। স্ট্রবেরি আগেই ধুয়ে, টিস্যুতে চেপে জল ঝরিয়ে রেখেছিলাম। এবার আলতো হাতে স্ট্রবেরির পাতা ছুঁয়ে চকলেটের সাগরে ডুবিয়ে দিই। শ্যামবরণ কন্যার গায়ের রঙ ঢাকবার মতোই পাফ পাউডারের বদলে কখনো স্প্রিংকেলস আর কখনো চকলেট চিপস এঁটে দিই স্ট্রবেরির গায়ে। কখনো তুলির বদলে টুথপিক এনে আঁকিবুঁকি কাটি শিল্পী হবার ব্যর্থ আকাঙ্ক্ষায় অথবা নারকোল ফ্লেক্স ছড়িয়ে সাজিয়ে তুলি ফলগুলো।

চকলেট ডিপড স্ট্রবেরি

চকলেট ডিপড স্ট্রবেরি

কনে বৌ স্ট্রবেরিগুলো এরপর ট্রেতে চড়িয়ে পনের মিনিটের জন্য রেফ্রিজারেটরে পাঠাই ঠাণ্ডা হাওয়ায় গা জুড়োতে। ফ্রিজে না রাখলে চকলেট ঠিক জমবে না রুমের তাপমাত্রায়, তাই এটি করা খুব জরুরী। এবার আমার ছুটি। আহ! ওপর তলায় শোবার ঘরে এসে জানালার ব্লাইন্ড খুলে দিয়ে বাইরের ঘুম ঘুম প্রকৃতি দেখি। চারপাশের সবুজ গাছগুলো আলো আঁধারের দোলাচলে কেমন রহস্যময় দেখায়। দূর আকাশে নাম না জানা কত তারা মিটিমিটি জ্বলছে একাকী। আমার হারিয়ে যাওয়া স্বজন কোন তারাটি ভাবতে ভাবতেই ছলছলিয়ে ওঠে চোখ। ডালাস থেকে লুবনার ফোন কলে সম্বিত ফিরে পাই হঠাৎ। মেসেঞ্জারে একখানা গান পাঠিয়ে সেটি এখনই শুনবার আবদার আমায় লুবনাই করতে পারে কেবল। গ্যালাক্সিতে

শি ইজ অলওয়েজ আ ওমেন টু মি চাপিয়ে কিচেনে আসি আমার কনে বৌগুলোকে দেখতে।

টেবিলে ফলমূল সাজিয়ে তারাকে টেক্সট পাঠাই ওর ঘরে। জীবন সতত মধুর না হলেও কন্যারত্নের উষ্ণ আলিঙ্গন আর মুগ্ধ চোখ দেখে মনে হয় বেঁচে থাকবার মত আনন্দ আর হয়না!

গাজরের আলিঙ্গনে কিউই

উদ্ভাসিত তারা

ছবিঃ তারা এবং আফজাল রহমান

৫,০২৪ বার দেখা হয়েছে

৩৬ টি মন্তব্য : “দিনলিপিঃ এডিবল এরেঞ্জমেন্ট”

  1. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    যান্ত্রিকতার মাঝে শিপ্লের স্পর্শ দেবার আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে তাতে প্রাণের স্পর্শ দেবার প্রসংগটি বুঝি মাটি চাপা পড়ে গ্যাছে পশ্চিমে ।
    আর আমাদের যাদের নেই কিছু তাদের কাছে ওই তালপাতার পাখার চেয়ে মিষ্টি নয় কিছুই ।
    অথচ মেয়ের জন্য অভাবনীয় অপাত্য স্নেহ স্পর্শে যে এডিবল এরেঞ্জমেন্টের গল্প-কথা পড়া হলো এখানে ... তা বুঝি আজকাল এদেশের নগর জীবনেও দুর্লভ হবার খাতায় নাম লেখাবে লেখাবে করছে ।
    wishes for the lucky girl and blessed mom.

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂

      আমার দিশি বন্ধুরা এখন অনেকাংশেই বিদেশী বন্ধুদের মতোই হয়ে গেছেন বলতে হবে। নাগরিক যান্ত্রিকতার চাপে তারাও আর সচরাচর হাত পুড়িয়ে রাঁধেন না বলেই শুনতে পাই হামেশা। গেল বার দেশে যাবার পর আমার বন্ধু লুবনা শারমিন তিনদিন প্রায় রসুই ঘরে কাটিয়েছিলেন বলে গল্প চালু আছে বন্ধু মহলে। কাচ্চি থেকে শুরু করে কুমড়ো ফুলের বড়া, লইট্টা শুটকি থেকে লাউ চিংড়ি, ডেসার্টে পাটিসাপটা পিঠা অথবা বিকেলের নাস্তায় চটপটি আর সন্দেশে মাখামাখি আদরে ডুবে ছিলাম বলতেই হবে। প্রতিটি উইকেন্ডে অপরাপর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছি নানান দেশের রেস্তোরাঁ গুলোতে।

      আপনার মন্তব্য বরাবরই আমাকে সম্মানিত করে, বড় ভাইয়া!

      জবাব দিন
  2. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    আমার আড়াই বছরের মার্কিন জীবনে প্রথম আশ্চর্য ছিল বীচিবিহীন তরমুজ। সত্যি বলতে জীবনে এত খুশি বহুদিন লাগে নাই। 😛

    মার্কিন সংস্কৃতিতে শোক প্রকাশের ধরণ আগে কিরকম ছিল জানা নেই কিন্তু তাদের এই স্বল্প সময়ের মাঝে grieve and move on ব্যাপারটায় আমি সবসময় অভিভূত হই। ব্যস্ত জীবনের সুযোগ নিয়ে গলাকাটা ব্যবসা গড়ে উঠবে সেটাই স্বাভাবিক।

    অফটপিকঃ বিলি জোয়েলের এই গানটি দেখে কিছুক্ষণ আপন মনে হেসেছি। উনার গানের সাথে হাতেখড়িটা বেশ স্মৃতিবহুল। ২০০৯ সালে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ল' স্কুলের ডিবেট টীমের সদস্য হিসেবে গিয়েছিলাম ব্যাঙ্গালোরে। শেষ দিনের আগের দিন Purple Haze নামক মিউজিক থিমড (মূলত জিমি হ্যান্ড্রিক্স যা নামেই বলে দিচ্ছে) একটি বারে গিয়েছিলাম আমরা চার সদস্যের পুরো টিম। সেখানে বিভিন্ন ধরণের ককটেলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আদর্শ শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন মাহমুদ স্যার/ভাই (ঝকক ৯১‍) 😛 সেখানেই প্রথম শুনি We Didn't Start The Fire. তারপরে একে একে Another Brick In The Wall, Whole Lotta Love, Yesterday, ঘুরে আবারো বিলি জোয়েলের She's Always a Woman To Me. বড় স্ক্রীনে ভেসে উঠতে থাকা গানের কথাগুলোর দিকে নাকি আমি হা করে তাকিয়ে ছিলাম। গোটা তিনেক ককটেলের আসক্তি, দলের মেয়েটির প্রতি দুনির্বার আকর্ষণ, নাকি ভালবাসা, নাকি ভাল লাগা নাকি ছাই, এবং সেটা না বলতে পারার ভাবনা সব মিলিয়ে আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম পুরো তিন মিনিটের জন্য।

    "But she'll bring out the best and the worst you can be
    Blame it all on yourself 'cause she's always a woman to me." 🙂

    যাই হোক আপা, খুব ফাঁকিবাজি করে ব্লগ পড়া হচ্ছিলো। আজকে প্রথম পাতায় আপনার লিখা ব্লগ দিয়ে আবারো পড়া শুরু করলাম। যদিও বাকির খাতা বাকিই থাকবে! 😕


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂

      আমেরিকায় এসে আমি কি দেখে প্রথম মুগ্ধ হয়েছিলাম জানো, মোকা? এদেশের সবুজ শ্যামল রূপের! সদ্য টিনএজ পেরুনো কবি কবি ভাবওয়ালা আমি আটলান্টার সবুজ দেখে কী যে বিমোহিত হয়েছিলাম যদি জানতে! গাছেদের সবুজে, ফুলেদের রঙে আর এদের সহজাত পরিচ্ছন্নতা ভাল লেগেছিল ভীষণ। দেশে আমার শহরটিকে বাংলাদেশের নোংরাতম শহর বলে মনে হতো। মিউনিসিপ্যালিটি সেই শহরে কাজ করেনি কখনোই। জন্মের পর থেকেই দেখে এসেছি আমাদের বর্তমান ধর্ম মন্ত্রী মহোদয় ময়মনসিংহের নগর পিতা। ধর্মের মিথ্যে ভয় দেখিয়ে তিনি এখন পথে ঘাটে জলবিয়োগ বন্ধ করতে নানান রকম হাস্যকর উদ্যোগ নিয়েছেন দেখতে পেয়েছি অথচ আমার শহরে প্রতিটি ডাস্টবিন এখনো উপচে পরে আবর্জনায়! মুত্র গন্ধ তবুও সহ্য করা যায় মোকা, রাস্তার পাশে সয়েল্ড ডায়াপার নিয়ে কুকুরের টানাটানি দেখে এবার নাড়িভুঁড়ি উলটে এসেছিল প্রায়! সেই আমি যে এদেশের রূপের প্রেমে পরবো এ আর নতুন কি!

      লুবনার সাথে সেদিন মাত্র প্রথমবারের মত 'শি ইজ অলওয়েজ আ ওমেন টু মি' শুনলাম। আমার গুণীজন বন্ধুটি কত কী গান পাঠান আমার জন্য! দু'জন মিলে একসাথে গান শুনি হামেশাই!

      অফটপিকঃ তিনটে ককটেলের ঝিমঝিম ভাব কেটে যাবার পর কি সেই মেয়েটিকে বলতে পেরেছিলে মনের কথা? এক একটা সময় আসে এক একটা মুগ্ধতা নিয়ে, তাইনা? চুমু খাবার ইচ্ছের মত ঠিক তখন তখন চুমু না খেলে অথবা সেই কথাটি বলে না ফেললে বাকীর খাতায় সেই ফাঁকিই থেকে যায় অনেকক্ষেত্রেই!

      জবাব দিন
      • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

        গিয়েই ফল-কালারসের রঙিন সৌন্দর্য বুঝতে বুঝতেই সাদা হয়ে গিয়েছিলো চারপাশ। পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে অবাক হইনি কারণ, ধরে নিয়েছিলাম পরিচ্ছন্ন হবে। কিন্তু তরমুজের বিচি থাকবে না এটা চিন্তার বাইরে ছিল! কারণ টম এ্যান্ড জেরিতেও দেখেছি জেরি তরমুজ খেয়ে বিচিগুলো গুলতির মত টমের দিকে ছুড়ে মারছে। 😕

        অফটপিকঃ আমার অবস্থা অনেকটা বিগ ব্যাঙ থিওরীর রাজ কুত্থরাপ্পালির মত। আসক্ত থাকা অবস্থায় বলার সুযোগ ছিল। পরে আর বলা হয়নি। তারপরে আরো মাস ছয়েক পরে যখন বলেছি তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। "বাকির কাজ ফাঁকি" এই প্রবাদের উপযুক্ত মাশুল দিয়েছি। মোহ, ভালবাসা, ভাললাগা, মায়া, নাকি অভ্যাস সে যাই হোক তা সম্পূর্ণ রূপে কাটিয়ে উঠতে সময় নিয়েছিলাম আরো বছর দুয়েক। আমি আবেগের রসগোল্লার হাঁড়ি। :bash:

        বিশেষ কিছু গান বিশেষ কিছু স্মৃতি একদম চোখের সামনে ভাসিয়ে তোলে এই ব্যাপারটা আমার কাছে খুব ভাল লাগে। এরকম কত গানের জন্য কত স্মৃতি যে আছে আমার। আমাদের সবারইতো মনে হয় আছে তাই না আপা? 🙂


        \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
        অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

        জবাব দিন
        • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

          🙂 🙂

          প্রথম হেমন্তের রূপ দেখতে গিয়েছিলাম কাছের একটা বনে, মোকা! ঈষৎ কমলা, লাল অথবা কমলাটে লাল গাছের পাতায় পাতায় আগুন লেগেছে বনের মাঝে! এরমধ্যে চিরসবুজ গাছপালাও ছিল আশেপাশে। জলের মাঝে আবার ছায়া পরেছিল রূপবতী কিছু বৃক্ষের। ওপরে নীল আকাশ, মাঝে আগুনরংগা গাছ, জলের ছায়া আর করতল ছুঁয়ে ছিল স্বপ্নের মানুষটি!

          কত গানে কত মানুষের প্রিয় মুখ দেখতে পাই, জানো! ভালবাসার কতগুলো মুখ হারিয়ে গেল চিরকালের জন্য!

          জবাব দিন
  3. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    তাই তো বলি, আমাদের ব্লগগুলা মানুষ পড়ে না ক্যান?
    এইসব লিখা পড়িয়ে পাঠকদের রুচি ও এক্সপেকটেশন এতটাই উপরে উঠিয়ে দিয়েছো যে আমাদের তুচ্ছ ব্লগগুলাতে পায়ের ধুলো দেবার মত আর কেউ নাই।
    ভাবছি, লিখার চেষ্টা ত্যাগ করে "আবার তোরা (কেবলি) পাঠক হ" মন্ত্রে দিক্ষা নেবো।

    শুধু ফাটাফাটিই না অসম্ভব দৃষ্টিনন্দনও হয়েছে এই ব্লগটি।
    মারহাবা!
    মারহাবা!!


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂

      পারভেজ ভাইয়া, তোমার কমেন্ট পড়ে আমি রীতিমত লাজুকলতা হয়ে আছি! সিসিবির পাঠক আছেন আমি জানি কিন্তু লগ ইন করে অনেকেই মন্তব্য করতে আসেন না এখানে। কত পুরনো বন্ধু আমায় ম্যাসেজ পাঠিয়ে বলেছেন আমার লেখা পড়েছেন ব্লগে! তারা কাজের ফাঁকে ঠিকই এসে বেড়িয়ে যান ব্লগ বাড়ি। যদিও তাদের কেউই প্রায় মন্তব্য করেন না। আবার এটাও তো ঠিক ভাইয়া, এখানে অনেক লেখকই একখানা লেখা ঠুসে দিয়ে হাওয়া হয়ে যান। এতিম লেখাটি পরে রয় ব্লগে, দেখবার দায় নেই লেখকের।

      পাঠক আর লেখকের আড্ডা হতে পারে এখানে। আলোচনা, সমালোচনা সবই চলতে পারে লেখাকে কেন্দ্র করে। সিসিবিতে দেখি সিনিয়র আর জুনিয়রদের মাঝে খানিক ফারাক আছে। এখানে আমরা সবাই লিখি। পর মত সহিষ্ণু হয়ে খোলা মনে আড্ডা হোক আমি চাই। দেশের যা অবস্থা... কলমের টানে আলোচনায় না গিয়ে কল্লাটি ফেলে দেয়া সব চাইতে সহজ আমার দেশে। সিসিবি থেকেই না হয় শুরু হোক ভিন্ন মত মেনে নেবার মানসিকতা। ভার্চুয়াল চায়ের কাপে তুমুল আলোচনা চলুক কবিতায়, মানববাদে, গল্পে, আস্তিকতায় অথবা নাস্তিকতায়!

      চকাস চুমুর গল্পে যদি আপত্তি না থাকে কারোর তবে ধর্ম অথবা নিধর্মের আলোচনায় কেনো আপত্তি চলে আসে??

      তোমার সদয় মন্তব্য পড়ে আমি বরাবরের মত সম্মানিত বোধ করছি, ভাইয়া!

      জবাব দিন
  4. আফজাল (৯৫-০১)

    পড়তে পড়তে হটাত নিজের তোলা ছবি দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে গেলাম 😛 সাবিনা আপুর রান্না ও খাবার পরিবেশনা সম্পর্কে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা উনার সাথে প্রথম দেখার দিনই হয়ে গেসে। আসলে সুন্দর মনের মানুষদের সৌন্দর্য টা মনে হয় কথাবার্তা কাজে কর্ম সব কিছুইতেই প্রকাশ পায়।


    Allah Bless Us.

    জবাব দিন
  5. আসলেই বেচে থাকার মতন আনন্দ আর হয়না। এমন সৃজনশীল মানুষের সংস্পর্শ থাকাটাও আমার জন্যে বিশাল আনন্দের। এমন বন্ধুকে সব সমসময় মিস করি। :boss:

    জবাব দিন
  6. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    "জীবনের বারোয়ারী উৎসব মৃত্যুতেও থেমে থাকেনা" - মুগ্ধ হ'লাম এ কাব্যিক পর্যবেক্ষণে!
    আগেও বোধহয় বলেছি এ কথাটা, তুমি খাদ্য পরিবেশনায় যেমন সুনিপুনা (অন্ততঃ তোমার এতদসংক্রান্ত লেখাগুলো পড়ে আমার তাই মনে হয়), তোমার লেখাগুলোকে পরিপাটি করে সাজিয়ে তা পাঠকের সামনে তুলে ধরতেও তুমি বেশ পটু।
    বরাবরের মতই একটা সুন্দর, ছিমছাম আর শৈ্ল্পিক পরিবেশনায় মুগ্ধ হলাম আবারো একবার।
    \

    জবাব দিন
  7. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    🙂 🙂 🙂 🙂

    বছর দুই আগে খুব অসুস্থ হয়ে বার চারেক হাসপাতালে থাকবার অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। পরিজনহীন এই শহরে বন্ধুরাই ভরসা তখন। আমার খাবার হাসপাতাল থেকে এলেও তারা হামেশাই পিতসা অর্ডার করতো বাইরে। ওরা পনের মিনিটেই রুমে এসে খাবার দিয়ে যেতো। একদিন গ্রেস পাওয়ারস ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরে গুগল মুগল ঘেটে বিরিয়ানির রেসিপি বের করে ফেলল। ইন্ডিয়ান গ্রোসারী থেকে প্রয়োজনীয় মশলাপাতি কিনে এনে সাহস করে বিরিয়ানি রেঁধে নিয়ে এলো হাসপাতালে। সাথে কাঁচের একখানা ভাসে একটি পিচ রঙা গোলাপও। আমরা মা-মেয়ে বুভুক্ষুর মত খেয়েছিলাম সেই রাতে গ্রেসের খাবার গুলো!

    সুখে বা শোকে, আনন্দে অথবা অশ্রুতে খাবার থাকবেই পাশে। চায়ের কাপে বন্ধুদের আড্ডা, বাবার চায়ে ডুবানো টোষ্ট বিস্কুট অথবা মায়ের পানের সুবাস ফিরে ফিরে আসে মনে!

    অনেক ধন্যবাদ আপনার সদয় কমেন্টের জন্য!

    জবাব দিন
  8. সাইদুল (৭৬-৮২)

    টেবিলে ফলমূল সাজিয়ে তারাকে টেক্সট পাঠাই ওর ঘরে। জীবন সতত মধুর না হলেও কন্যারত্নের উষ্ণ আলিঙ্গন আর মুগ্ধ চোখ দেখে মনে হয় বেঁচে থাকবার মত আনন্দ আর হয়না!

    ভালো বলতে বলতে মুখ ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে, খুব ভালো


    যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

    জবাব দিন
    • পারভেজ (৭৮-৮৪)

      এখন থেকে সাবিনার লিখার সাথে ফ্রী "জামবাক" চাই।

      ওহ জামবাক! হায় জামবাক!!
      এক সময় কতই না জনপ্রিয় ছিল এই জিনিষটা।
      নামটা শুনলেই মনের পর্দায় একগাদা স্মৃতি এসে ভির করে।
      সাইদুল ভাই মনে পড়ে জামবাককে?


      Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

      জবাব দিন
      • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

        জামবাক! হারিয়ে যাওয়া এই জামবাক কে ভুলি কি করে, বলো! কালচে সবুজ রঙের চটচটে এই বস্তুটি সর্ব প্রকার ব্যথা বেদনানাশক মলম বিশেষ। গোল একখানা কৌটোয় জামবাক পাওয়া যেত! একদিন বাংগালী দোকানে জানো টাইগার বাম দেখলাম সেই লাল ছোটখাট ডিব্বাতে। দেশী স্যাভলন, ডেটল অবধি মেলে এখানে!

        জবাব দিন
        • পারভেজ (৭৮-৮৪)

          "দেশী স্যাভলন, ডেটল অবধি মেলে এখানে"
          একবার শুনেছিলাম শত-সহস্র উন্নত প্রসাধনির ভীরেও নাকি লন্ডনিদের কাছে তিব্বত পমেড, তিব্বত স্নো, তিব্বত কদুর তেল, ৫৭০ সাবান এখনও আদরনিয়.........
          ভাবা যায়???

          আচ্ছা দেশি স্যাভলন, ডেটল কি FDA-র অনুমোদিত? ধরে না ওরা?


          Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

          জবাব দিন
          • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

            এফডিএ এর গ্যাড়াকল ওরা কি করে পার হয় সেটি আমার কাছেও অবাক লাগে, ভাইয়া। কিছুদিন আগে ইন্ডিয়ান গ্রসারিতে গেছি সষর্ের তেল কিনতে। দেখি সব বোতলজাত তেলের গায়ে ইংলিশে লেখা এটি খাবার তেল নয়, সৌন্দর্য বাড়াবার জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। দোকানের ম্যানেজারকে তলব করা হলে তিনি বললেন এফডিএর গিট্টুর কথা।

            প্রাণের যে জুস তোমরা আর খাওনা দেশে সেটি কিন্তু মেলে এখানেই।

            জবাব দিন
            • পারভেজ (৭৮-৮৪)

              😀 😀 😀
              "এটি খাবার তেল নয়, সৌন্দর্য বাড়াবার জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে"
              ভাবছি, সরিসার তেলে তো গায়ে মাখবার কথা বলে পার পাওয়া গেল। জুস তো আর গায়ে মাখবার উপযুক্ত না।
              কি লিখবে তাহলে জুসের বোতলে? বা প্যাকেটে?
              "এটা কুলি করার বস্তু"? নাকি "এটা মাউথ ফ্রেসনার..."?
              😛 😛 😛 😛 😛


              Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

              জবাব দিন
              • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

                কদুর তেল, তিব্বত স্নো, এমনকি তাল মিছরি অবধি পাওয়া যায় এখানে। পচা সাবান চোখে পরেনি এখনো তবে আমি আশাবাদী মানুষ, সেদিন আর বেশীদূর নয়! প্লাস্টিকের লাল, নীল বদনা, শিল নোড়া অথবা ইয়া বড় বটি... কি চাও আর বলো, ভাইয়া! মলা, ঢ্যালা, বাইম অথবা ফ্রোজেন ভাপা পিঠাও মেলে!

                জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂

      এক কাপ গরমাগরম চা চলবে, বড়দা? :teacup: প্রশংসা চাইনা কেবল, চাই একটি লেখার উসিলায় তোমার মত গুণীজনদের পদচারণায় সিসিবিতে আড্ডা হোক, হুল্লোড় হোক।

      অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া!

      জবাব দিন
  9. অরূপ (৮১-৮৭)
    "ভাতের লোকমা হাতে হয়তো স্মৃতিকাতর হয়ে পরেছে ষোল বছরের ছেলেটি তার বাপীর কথা মনে করে। শ্বেত শুভ্র আঁচলে মুখ ঢেকে মা আশেপাশে হেঁটে বেড়ান। জীবনের বারোয়ারী উৎসব মৃত্যুতেও থেমে থাকেনা!"

    কি বিষণ্ণ বর্ননা, কিন্তু পড়তে পড়তে মন ভালো হয়ে গেলও। :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup:

    এত চমৎকার লেখা দেখে
    "আমার ইচ্ছা করে তোদের মত মনের কথা কই ............ "


    নিজে কানা পথ চেনে না
    পরকে ডাকে বার বার

    জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂

      অরূপ দাদা জানো, আমার বন্ধু সুদীপা তার বাবাকে হারান ষোল বছর বয়েসে। একান্নবর্তী পরিবারের বড় ছেলেটির অকালমৃত্যুর পর ওদের কাকাবাবু, পিসিমণি অথবা তাদের ছেলেমেয়েরা ঠিক আগের মতোই রইল। মায়ের গায়ের অলংকার খুলে নিলেন দিদিমা। শাঁখা সিঁদুর লোপাট হলো। সদা হাসিমাখা মুখ তার যত না মলিন হলো স্বামীর শোকে, তার চাইতেও অধিক হলো পরিজনদের নিত্যদিনের আচরণে। আমিষ হেঁশেলে যাওয়া বারণ হলো মায়ের। সুদীপা জানতেন ঠিকই মা কী ভালবাসেন মাছের মুড়োঘন্ট...

      তোমার সব লেখা মুগ্ধ হয়ে পড়ি, দাদা! কবিতার মন্তব্য লিখবার মত যোগ্যতা আমার নেই সত্যি বলছি।

      অনেক ধন্যবাদ, দাদা!

      জবাব দিন
  10. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    লেখাটা একেক বার পড়ার সময় একেকরকম ভাবনা উঁকি দিয়ে গেল। তার ওপর আছে সুস্বাদু পাঠপ্রতিক্রিয়াসমূহ। পুরো ব্লগটাই সুস্বাদু হয়ে উঠেছে নানান মোড়ক আর স্বাদ নিয়ে। আহ!

    জবাব দিন
  11. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    🙂 🙂 🙂 🙂

    একেকবার পড়ার সময়? তার মানে তুমি একাধিকবার পড়েছো আমার এই লেখা? লেট মি চেক ওয়ান মোর টাইম, লেখার শেষে তোমার ঐ 'কিছু পর্যবেক্ষণ' নামক বিভীষিকা নেইতো আবার এখানে? তোমার ভয়ে আমি লেখাতে যুক্তাক্ষর লেখা বাদ দিয়েছি, মাষ্টারমশাই। ইকার আকার জনিত কনফিউশন থাকলে শব্দ অবধি বদলে দিই আমি। নিজে প্রুফ দেখার পর আমার ফ্লাফিকে দিয়েও দেখাই একবার। ফ্লাফি যখন বলে টুইট, আমি বুঝতে পারি সব ঠিক হ্যায়! বাঁচা গেল এবারের মত বলতেই হবে!

    পাঠপ্রতিক্রিয়া আমিও উপভোগ করি খুব। গুণীজন ব্লগাররা তাদের মতামত জানাচ্ছেন এখানে, আমি ভীষণ সম্মানিতবোধ করছি বরাবরের মত। পারভেজ ভাইয়ার লেখার সূত্র ধরে বিলুপ্ত জামবাকের কড়া সেই গন্ধ নাকে এসে ঝাপটা দিল, জানো! মোকার সাথে একমাথা ঝিমঝিমানি নিয়ে আমিও শুনে এলাম, হোল লটা লাভ ইয়েস্টারডে। মোকা বলল, জেরীর তরমুজের বিচির গল্প। বাজারে সিডলেস তরমুজের পাশাপাশি বিচিওয়ালা তরমুজও মেলে দেখেছি। দুই ডলার কম দামের সেই কালো বিচিসহ তরমুজ এখন জেরীর মত খেয়ে গুলতির মত করে ছুঁড়ে ফেলতে মন চাইছে যে!

    :hatsoff: :hatsoff:

    জবাব দিন
    • লুৎফুল (৭৮-৮৪)

      টেক এডভান্টেজ অফ নূপুর । শব্দকে স্বাধীন ভাবে আসতে দাও ।
      শব্দপ্রয়োগের স্বাচ্ছন্দ্যের একখানা আলাদা ব্যাপার আছে ।
      আমি তো নূপুর থাকায় নির্ভার । তার উপর আমার বাংলায় শখ করে কিছু জায়গায় 'উয়' লিখতে চাই তা কিছুতেই কীবোর্ডের প্রসন্নতা পাবে না । চন্দ্রবিন্দু বা এমন বেশ কিছু বিভ্রাট তো কিছুতেই কাটাতে পারি না ।

      সরি মাঝখানে এসে পিনোকিওর নাকটা গলিয়ে গেলাম খানিক । বাট লেট ওয়ার্ডস বে স্পন্টেনিয়াস ।
      🙂 😀

      জবাব দিন
  12. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    আমায় ভুল বুঝেছেন বোধকরি, ভাইয়া! আমি বলতে চেয়েছিলাম নূপুরের জন্য আমি সবিশেষ যত্নবান হয়ে যেকোন লেখা পোষ্ট করি। ভুল বানান অথবা ভুল শব্দচয়নজনিত কারণে অনেক সময় লেখার সৌন্দর্যহানি ঘটে অনেকাংশেই! আমাদের মাষ্টারমশাইটি জানেন তার এই পযর্বেক্ষণের বিষয়টি আমি কতটুকু এ্যাপরিশিয়েট করি!

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাইদুল (৭৬-৮২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।