শ্রমিক

কায়া তার পুঁজি।

বিশ্রামের সময়ের
অভাব নেই খুব একটা,
তাও যেন
ক্লান্তি মনের, ছড়িয়ে পরেছে
মাংসের প্রতিটা পরতে পরতে।

সুখ কিংবা অ-সুখ নিয়ে
ভাববার বিলাসী মন
সেই কবেই বিদায় নিয়েছে,
বহু চেষ্টাতেও
মনে করতে পারে না সে।
জীবনের চাইতেও
পেটের আগুনে বড্ড জ্বালা।
তাই যতদিন আছে
এই গতরখানা
সচল আর মসৃণ
অকেজো করে রাখার দরকার কি?

বয়স ১৬ হয়নি এখনো।
এখুনি একেকদিন
৪ থেকে ৫ শিফটে শ্রম দিতে হয়।
ভেন্যুরও কোন বাছ বিচার নাই।
কাস্টমার, মানে মালিকপক্ষের
যখন যেখানে মর্জি হয়…।
আয় খারাপ হয় না,
কড়করে বা ময়লা
কিছু যায় আসে না তাতে।
তবে মাঝখানে আসনগড়া
জিভ বের করে থাকা
খেঁকশিয়াল গুলোর
ক্ষুধা বড্ড বেশীই।

সময় এগিয়ে আসছে শ্রম দেবার…
ঠোটে টকটকে লাল রঙ,
চোখের গা জুড়ে কুচকুচে অন্ধকার,
সারা মুখে চুনের মত জ্বালাময় শুভ্রতা,
নাক থেকে মাথায়
লাফিয়ে ওঠা ঝাঁ ঝাঁ করা
কড়া বাসনা …
চকমকে শাড়ীর
ফাঁক ফোকরে
ঠেলে বেড়িয়ে আসা
যৌবনের মোচড়।
ব্যাস, প্রস্তুত সে
শ্রম দেবার জন্য।।

১,১৪১ বার দেখা হয়েছে

১৫ টি মন্তব্য : “শ্রমিক”

  1. রকিব (০১-০৭)

    আপু, রূপকার্থে ধাক্কাটা কি সমাজব্যবস্থাকে দিলেন?
    কবিতার ভালো লাগাটুকু জানিয়ে গেলাম।

    অনটপিকঃ কিছু বানান~~
    পুঁজী- পুঁজি
    জুরে- জুড়ে
    জীভ- জিভ
    খেকশিয়াল- খেঁকশিয়াল
    ঝা ঝা- ঝাঁ ঝাঁ (এটায় খানিকটা কনফিউশন আছে)


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
    • সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

      ভাই রকিব, না রে ভাই, এতো জটিল চিন্তা করে রূপক-টুপক কিছু লিখতে চাই নাই। কিন্তু তুমি এমন কিছু বুঝে নিলে সেটা হবে আমার জন্য ফাউ পাওয়া!!! আর্টিস্টরা যেমন হিজিবিজি এঁকে দিয়ে এ্যাবস্ট্রাক্ট মিনিংফুল ভাব সম্বৃদ্ধ চিত্রকর্মের প্রশংসা পায়...!
      বানানগুলো ধরিয়ে দেবার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।


      You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

      জবাব দিন
  2. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    পরেছে :পড়েছে
    কড়করে : কড়কড়ে
    বেশী : বেশি । ( এটা বাংলা একাডেমী প্রণীত বানান। যেমন: পাখি, বাড়ি। দীর্ঘ ঈ-কার নেই আর)
    ঠোটে : ঠোঁটে
    বেড়িয়ে : বেরিয়ে
    ব্যাস : এই বানানটা আমি শিওর না। আ-কার আছে কি? কেন যেন জ্যামিতির ব্যাস বলে মনে হচ্ছে।

    সরি জিতু,
    এই লেখা নিয়ে সেদিনই লিখতাম যেদিন তুমি পোস্ট করেছিলে। ব্যস্ত ছিলাম।
    লেখাটা ভালো লেগেছে। তবে এটা সাবজেক্ট হিসেবে কমন। অন্য একটা দৃষ্টিকোণ যদি ভাবতে পারো তাহলে নতুনত্ব আসবে। যেমন ধরো, এই মেয়েটির কপালের টিপ বা তার আয়না বা পাউডার পাফ হয়ে যদি দেখতে পারো ওর জীবনটাকে। অন্যরকম হতোনা? একই গল্প যখন অনেক, তখন বলাটা অন্যরকম হোক। কি বলো?

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।