ফলাফল যখন টাই!!!

সিসিবি ফিরা আসার পর থিক্কাই ইচ্ছা করতাসে কিছু লিখি। গেটটুগেদার নিয়া একটা ছুড পোষ্ট দিছিলাম ওইটা বলে ওয়েব সমুদ্রে হারাইয়া গেছে:( । এই জন্য একটু দুক্কু পাইসিলাম। নয়া সিসিবি তে পোলাপাইন হুমরি খাইয়া পড়ল। মনটা ভইরা গেল সিসিবি খুল্লেই নতুন নতুন লেখা। কোনডা থুইয়া কোনডা পড়ুম হিমসিম খাইতে লাগলাম। কমেন্ট করাতে না করতে রিপ্লাই হাজির। বেশ ভাল লাগে। সময় বাবাজী যে কেমনে চলে যায় বুঝবার পারি না। তাইলে অখন কন আমি লিখমু কুন সময়? একবার সিসিবি তে ঢুকলে কখন যে ৩/৪ ঘন্টা যায়গা টের পাই না 🙁 ।
বাহ বেশ বড় একটা ভুমিকা দিলাম তো!! যাইহোক ছোট একটা ঘটনা বলি। (আমি সিওর বন্য হালায় এই লাইন পইড়া কইব ঘটনা বলি না লিখি?) যাক একটা কাহিনী লিখি।
৯৭/৯৮ এর দিকে শীতের শুরু। হালকা ঠান্ডা পড়া শুরু হইছে। মিল্ক ব্রেক থেকে ক্লাসে এসে বসছি। কেউ বলেছে গরম লাগছে কেউ বলছে ঠান্ডা। এই নিয়ে বিশাল বাক বিতন্ডা শুরু, কেউ ফ্যান ছারছে তো কেউ তা বন্ধ করে দিচ্ছে। দুই দলই বেশ বড়। নেক্সট বাংলার মোয়াজ্জেম স্যারের ক্লাস। উনি এসে জানতে চাইলেন ঘটনা কি? ঘটনার বিবরণ শুনে স্যার বল্লেন এর তো সহজ সমাধান আছে। ভোটাভুটি হবে। ওই দিন ক্লাসে ২৭ জন উপস্থিত। সুতরাং ফলাফল নিশ্চিত। ম্যাচ টাই হবার কোন চান্স নাই। হয় ফ্যন চলবে না হয় বন্ধ। স্যার বল্লেন যাদের শীত লাগছে তারা হাত তোল। কাউন্ট করা শেষ করে বল্লেন কাদের গরম লাগছে হাত তোল। গননা শেষ। স্যারের মুখে কিছুটা হতাশা। দুই দলেই তো ১৩ জন, কেউ একজন ভোট দেয় নাই। সবাই একে অন্যের দিকে তাকাচ্ছে কে সেই জন, যার মূল্যবান ভোট আমাদের কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। পেছন থেকে হেলেদুলে রানা নিজ থেকে দাড়াল। স্যার আমি ভোট দেই নাই। ঠিক আছে এখন বল, তোমার ঠান্ডা লাগছে না গরম লাগছে?? সবাই রানার মুখের দিকে তাকিয়ে আছি।
গম্ভীর মুখে স্যারের দিকে তাকিয়ে রানার উত্তর, স্যার, আমার নাতিশীতোষ্ণ লাগছে।
রানার উত্তরে পুরা ক্লাস হাসিতে ফেটে পড়ল। স্যারও না হেসে পারল না।

বি: দ্র: কলেজ থেকে বের হয়ে প্রথম ২/৩ বছর রানার সাথে যোগাযোগ ছিল তারপর ও বিচ্ছিন্ন হয়ে কোথায় হারাল জানি না। লেখাটা রানার জন্য।

রানা যেখানেই থাক, যোগাযোগ করিস। হারিয়ে যাসনে।

২,১৮৭ বার দেখা হয়েছে

৩৩ টি মন্তব্য : “ফলাফল যখন টাই!!!”

  1. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    সাব্বির,
    সুন্দর লেখা। অনেক ভালো লাগছে।
    আমারো তমার মত অবস্থা...। কমেন্ট পড়ে আর রিপ্লাই লিখেই তো শেষ করতে পারিনা...। নতুন করে লিখবো কখন? অথচ কত্ত কিছু লিখতে ইচ্ছে করে...।

    ভালো থেকো। সময় করে এরকম আরো নতুন কিছু লিখে ফেলো আমাদের জন্য।

    জবাব দিন
  2. মুরগী, বানরের একটা ডায়ালগ মনে পরছে। ঐটা-ও ফ্যান বিষয়ক। আমি ঠিক মূল ঘটনাটা মনে করতে পারছি না। তবে এইটুকু মনে আছে, রানা মনে হয় ঐদিন অসুস্থ ছিল, জ্বর। তো কেউ মনে হয় তার মাথার উপরের ফ্যানটা বন্ধ করে দিছিল। ফ্যান ছাড়ার জন্য, রানার আকুল আবেদন "ঐ কে আছোস? ফ্যানডা ছাইড়া দে, মাথাডা ঘুরতাছে।"

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মহিউদ্দিন (১৯৯৫-২০০১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।