“শুধু তোমাকে”

একান্তই ব্যাক্তিগত পোষ্ট। তারপরেও শেয়ার না করে পারলাম না। কারন এই কাজটার সাথে জড়িত প্রায় সবাই এক্স-ক্যাডেট।

না পারি গাইতে, না পারি লিখতে। তবু পাগলামির চূড়ান্তটা করেই বসলাম। বন্ধুদের অনেকেই গান এর ভুবন এর মানুষ। আমি শুধুই শ্রোতা । কিন্তূ ইচ্ছে হয় কিছু একটা করতে । স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন বাস্তবতায় রূপ দেয়াতে সাথী হয় মিফতাহ্ জামান (JCC), সারাহ্ বিল্লাহ্, অমিত মল্লিক (JCC) এবং অনুপ বড়ুয়া (SCC) । দীর্ঘ আট মাসের চেষ্টায় আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে “শুধু তোমাকে”। প্রকাশিত হবে G-Series এর ব্যানারে এই ২৮শে অক্টোবর ।

মিফতাহ্ জামান: আমার কাজিন। বর্তমানে ব্রাক (BRAC) বিশ্ববিদ্যালয়ের BBA এর শেষ সেমিষ্টারে অধ্যয়নরত। JCC-এর এক্স-ক্যাডেট । বর্তমানে বরিশাল ক্যাডেট কলেজের চারু ও কারুকলার শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান স্যার এর ছেলে। আমি যখন কলেজে ক্লাস সেভেনে তখন ও নিতান্তই মেয়েলি গলায় ‘র’ গুলোকে ‘ল’ বানিয়ে গান গায়। কলেজ থেকে বের হবার পর আমার সাথে ওর অনেকদিন দেখা হয়নি কারণ ইতিমধ্যে ও JCC তে আর আমি DU তে। শুনতাম ভালো গান করছে। ICCLM গুলোতে ভাল করছে। ভালো লাগত আবার মেজাজটাও খারাপ হতো এই ভেবে বেটা তোর বাবা সারাজীবন থাকলেন BCC তে আর তুই এখন JCC তে । একদিকে ভাই অন্যদিকে কলেজ ফিলিংস । নিজেকে বুঝতাম “ আরে যাই হোক এক্স ক্যাডেট তো” ।

সারাহ্ বিল্লাহ: আমার অসম্ভব ভালো এক বন্ধু। স্বামী এবং পুত্র সহ বর্তমানে কানাডা প্রবাসী। ওর জামাই মানে ভাইয়া আবার F.C.C. এর এক্স-ক্যাডেট। ছায়ানট এর ex-Teacher. কিছুদিন আগে “মোমের আলো’ নামে ওর আর একটি কাজ বেঙ্গল মিউসিক এর ব্যানারে বাজারে আসে।

অমিত মল্লিক: JCC এর এক্স-কাডেট । নতুন করে বলার কিছু নাই। অসম্ভব ভালো একজন গায়ক, লেখক এবং সঙ্গীত পরিচালক। এই আ্যলবামটির পেছনে ওর অবদান অনেক। ও ভরসা না দিলে হয়তো এ কাজটি করাই হতো না। এ কাজটি করার সময় অমিত নিজের অনেক জরুরি কাজও বন্ধ রেখেছিল। মিফতাহর সাথে যখন ওর পরিচয় করিয়ে দেই এই বলে, “বন্ধু এটা হলো মিফতাহ্। আমার ভাই। সেই সাথে এক্স-কাডেট JCC।” ও বলেছিল, “ ধুর ব্যটা, আগে এক্স-ক্যাডেট পরে তোর ভাই”। বুঝলাম আমাকে আর এ কাজটা নিয়ে কোনো চিন্তা না করলেও চলবে। ভারসিটি তে পড়ার সময় রাত বিরাতে আমিতকে ঘুম থেকে টেনে তুলে বলতাম গান শুনা। ও দুইটা গালি দিত কিন্তু কিছুক্ষন পর ঠিকই শুনাতো। হা হা হা। ধন্যবাদ দিয়ে তোকে আর খাটো করবোনা বন্ধু। তুই এমনিতেই আমার চেয়ে খাটো। হা হা হা।

অনুপ বড়ুয়া: আমার অতি প্রিয় বন্ধু । SCC এর এক্স-কাডেট । হায়াতের করা প্রথম movie “অস্তিত্বে আমার দেশ” এর সংগীত পরিচালক। হায়াতের করা “জাগো” movie টা তেও ওর লেখা ও সুর করা গান আছে। আমি অনেক হোঁচট খেতাম যদি ও এই কাজটায় সাহায্য না করত প্রথম থেকে।

তাহসীন হোসেইন: আমার অতি প্রিয় বন্ধুদের মাঝে একজন। RCC এর এক্স-কাডেট । এই আ্যলবামের ছবি এবং front cover design ওর করা। অনেক ব্যাস্ততার মাঝেও ও যেভাবে সময় নিয়ে আমার কাজগুলো করে দিয়েছে তাতে ধন্যবাদ জানানোর মত ভাষা আমার জানা নেই।

একদল পছন্দের মানুষকে নিয়ে করা এই আ্যলবাম। লিখতে পারিনা বলে সবার প্রতি ভালবাসা এবং এই আ্যলবাম ঘিরে আবেগটা প্রকাশ করতে পারলামনা ঠিকমত।এখন অপেক্ষা সবার কতখানি ভালো লাগে তা দেখার।

অপ্রকাশিত গানগুলোর কিছু অংশ থাকলো সবার জন্য।


শুধু তোমাকে

১,৩৬২ বার দেখা হয়েছে

৩৬ টি মন্তব্য : ““শুধু তোমাকে””

  1. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    মিফতাহ উচ্চাং সঙ্গীত গাওয়া শুরু করলেই পুরো অডিটোরিয়াম ঘুমিয়ে পড়ত,অথচ কি আশ্চর্য-সেই ছেলেই ২০০২ আইসিসিএলএমএ উচ্চাঙ্গে গোল্ড পেলো! শুধু অসাধারণ বললেও কম বলা হবে মিফতাহ এর গানকে।ও যখন "তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ" এ গিয়েছিলো তখন ওর গান শুনে বিচারক বলে-তোমাকে দিয়ে হবেনা,তোমার গলায় দুঃখ ভাব বেশি।ওর মুখে এই কাহিনী শোনার পর এইসব ালছাল অনুষ্ঠান দেখা বাদ দিয়ে দিয়েছি।

    মিফতাহ,এগিয়ে যাও।তথাকথিত প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতাকে দেখিয়ে দাও তুমি কি জিনিস!

    আশিক ভাই,অনেক অনেক ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
  2. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    অমিতের সংগে কিভাবে যেন পরিচয় হয়েছিলো বছর দশেক আগে, ইয়াহু মেসেণ্জারে বোধ হয়।তারপর একদিন সারাদিন ওর সংগে আড্ডা হয়েছিলো। ওর কণ্ঠস্বরটা অসাধারণ। এই সেদিন আবার ইয়াহুতে একটু দেখা দিয়েই মিলিয়ে গেলো। কই ছেলেটা?

    'শুধু তোমাকে' শোনার প্রতীক্ষায় রইলাম......

    জবাব দিন
  3. রকিব (০১-০৭)

    কলেজের কিছু মানুষ ছিল যারা সত্যিকার অর্থেই আগলে রেখেছিলেন ৫ বছর। মিফতাহ ভাই আমার জন্য ওমনই ছিলেন। এত চমৎকার গান করেন, কিন্তু বিন্দুমাত্র অহমিকা ছিল না, এবং এখনো নেই। অ্যালবামে এর একটা গান আগেই শুনেছিলাম পুরোটা, এক কথা দুর্দান্ত লেগেছিল। মজার ব্যাপার হলো একেবারেই খসড়া একটা ভার্সান উনাদের ফেসবুক ভিডিও থেকে নামিয়ে ইউটিউবে আপলোডাইছিলাম। দারুণ সাড়া এসেছিল ওটাই। এমনকী ইউ,কে থেকে একজন বাঙ্গালি কম্পোজার আমাকে মেইল করেছিল ইউটিউবে মিফতাহ ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করবার জন্য।
    অ্যালবামটার অপেক্ষায় রইলাম। পাইরেসি করবো না, অ্যালবাম কিনেই গান শুনবো। B-)


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  4. আছিব (২০০০-২০০৬)

    আহ।লাইফের একটা চাওয়া পূরণ হল। মিফতার ক্লোজ আপ ওয়ান ট্র্যজেডির পর আমিও ওই সব টুথপেস্ট প্রতিযোগিতারে বেইল দেইনা। অবশেষে ওর গলা একটা মিডিয়া কাভারেজ পেল ভেবেই খুশি লাগছে।পোলাটা ভালা।আইএসেসবি কোচিং থেকে চিনি :boss:
    অ্যালবাম কিনবাম :thumbup:

    জবাব দিন
  5. রুম্মান (১৯৯৩-৯৯)

    ওরে আল্লাহ,ছুডো ছুডো পোলাপাইন এত বড় হইল ক্যামনে? আমরা কলেজে থাকতে মিফতাহ'র বয়স মনে হয় ৬/৭ । সেই পোলা...............বুড়া হইয়া গেলাম রে । মল্লিক বসের "কিছু একটা"র জন্য অপেক্ষা করে আছি ।আমরা জানি উনি কি জিনিষ । এইটা একটা ফাটাফাটি এ্যালবাম হবে,সন্দেহ নাই ।


    আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
    ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
    ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
    সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
    ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
    আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।

    জবাব দিন
  6. ফারাবী (২০০০-২০০৬)

    মিফতারে কইষ্যা মাইনাচ x-( ... ওর জন্য ক্লাস টুয়েলভে আইসিসিএলএম-এ নিজের ভেন্যু পাইয়াও অল্পের জন্য ওভারল চ্যাম্পিয়ন হইতে পারি নাই...
    দোস্ত... সামনে আরও ঝড় ঘূর্ণিঝড় টাইফুনের অপেক্ষায় রইলাম...
    আশিক ভাইকে থ্যাঙ্কস পোস্টটা দেওয়ার জন্য... অনেকদিন ধরেই ওর অ্যালবামের অপেক্ষায় ছিলাম...
    :hatsoff: জয়তু ক্যাডেটস ।

    জবাব দিন
  7. ইফতেখার (৯৫-০১)

    আমাদেরগান.কম এ দিলে আমরাও কেনার ব্যাবস্থা করতে পারি 😉

    এ্যালবামটা জোশ যদিও 😉

    কোথা থেকে জানি শুনলাম আশিক ভাই নাকি এই এ্যালবামের মিউজিক ডিরেক্টর 😉

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাহমুদ (১৯৯৮-২০০৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।