……আবার কবে যাবো…

লেখা পড়ি কিন্তু লেখা হয় না কখনই। লেখার অভ্যাসও নেই একেবারে। কিন্তু লিখতেও ইচ্ছা হয়। ইচ্ছাটাকে পূজি করেই শুরু করলাম।

এই ২৪ তারিখ রাতে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করলাম কক্সবাজার এর MERMAID RESORT এর দিকে রাত ১০ টার দিকে। কলাতলি বাসস্ট্যান্ড থেকে ওদের CNG এসে আমাদের নিয়ে গেছে । যায়গাটা অনেক সুন্দর। হিমছড়ির একটু পরেই। ইনানী বিচে যাবার আগে যে ব্রিজটা পরে ওটার পাশেই।
1

2

3a

3b

3c

Resort এ ঢুকতেই দেখি গায়িকা আনুশেহ্ ব্যাপক ঝাড়ি দিচ্ছে Mermaid এর লোকজনদের। তাও আবার টাকা পয়সা নিয়ে। বুঝলাম হালকা খবর আছে আমাদের। যা থাকে কপালে গলা কাটা গেলে যাবে। এ নিয়ে চিন্তা করে সময় নস্ট করার মানে হয় না।

কটেজগুলিও বেশ সুন্দর। আশেপাশে কিছু নেই। শান্ত, নিশ্চুপ। কটেজে থেকে তাকালেই রিজু নদী। দূরে কিছু মাছ ধরা নৌকা। ওপাশে ঝাউবন। ঠান্ডা বাতাস। দূরে থেকে হটাৎ হটাৎ হালকা কিছু আওয়াজ। নির্জনতা উপভোগ এর জন্য আসাধারন।

4

5

একটু বিশ্রাম এর পর নৌকা নিয়ে রিজু নদী পার হয়ে চলে গেলাম ঝাউবনের দিকে। হাটু পানি যদিও তবুও নৌকা নেয়া। বলাতো যায়না। যদি বেশি হয় তখন কি হবে। নির্জন বিচ। ২/৩ জন জেলে ছাড়া কেউ নেই। সাগরের পাশে টানা জাল দিয়ে মাছ ধরছে। দুই বন্ধু নেমে গেলো গোসল করতে। সে কি দাপাদাপি। খুশির ছড়াছড়ি। হটাৎ ছোটো হয়ে যেতে পারার আনন্দই আলাদা।

দাপাদাপি শেষ করে কটেজে ফিরে দুপুরের খাবারের পর অলস বিকেল। বসে বসে নদী দেখা। পুরোনো দিনের গল্প। আহ্ কতদিন পর অলস দুপুর কাটাচ্ছি বন্ধুদের সাথে। সন্ধার আগে আগে আশেপাশে ঘুরে আসি। যেখানেই থাকি না কেন টং দোকানের চা না খেলে যে ভালো লাগে না। খুজে পেতে একটা পেয়েও যাই। রাতে আবার ম্যারাথন আড্ডা । রাতের খাবার শেষে কনকনে ঠান্ডায় রাতের Mermaid ঘুরে দেখা।

6

7.1

7.3

10

9

8

7

সকালে সেন্ট মার্টিন্স এর দিকে যাত্রা। সেই কবে Excursion এর সময় নাফ নদী আর টেকনাফ বিচ দেখেছিলাম মনেও নেই। আজ সেই নাফ নদী দিয়ে সেন্ট মার্টিন্স যাবো। কি আনন্দ !! পৌছে চোখ বুজে ঘ্রান নেই। Batch এর সবার কথা মনে পড়ে যায়। মনে আছে… Doctor Sir Excursion এ যাবার আগে বলেছিলেন “ এই যে ৫০ জন একত্রে কোথাও যাচ্ছো আর কিন্তু কখনই এভাবে যাওয়া হবে না। সুতরাং যতটুকু পারো মজা করে এসো”। আসলেই আর হয় নি। অনেক চেষ্টা করেও ২৫ জনের বেশি আর একত্র হতে পারিনি। কেউ দেশে নেই। কারো সময় নেই। বন্ধু তোদের অনেক miss করি …অনেক। আমারই যে অংশ তোরা। কিভাবে ভুলি বল।

যাত্রা পথে সাথী হয় কিছু সীগাল। অসাধারন এক দৃশ্য।

11.1

12

সেন্ট মার্টিন্স পৌছে দুপুরের খাওয়া শেষে ভ্যান নিয়ে চলে যাই “নীল দিগন্তে” নামক হোটেলে। এটা সেন্ট মার্টিন্স এর পশ্চিম দিকে। ভিড় কম এদিকটায়। ঠিক যেমন চাচ্ছিলাম। বিশ্রাম এর পর সূর্যাস্ত দর্শন। বরাবরের মতো এবারো মুগ্ধ হবার পালা। আচ্ছা সমুদ্র পাড়ের সূর্যাস্ত মনে হয় কখনো পূরানো হয় না তাই না? প্রতিদিনই তার নতুন রুপ।

13

15

পরের দিন ছেড়া দীপ। কেউ সেন্ট মার্টিন্স গিয়ে ছেড়া দীপ না যাওয়া মানে মজা অর্ধেক হয়ে যাওয়া। আর বর্ননা দেবনা। সত্যি করে বললে দেয়া আমার সাধে্যর বাইরে। আমার হয়ে ছবিগুলোই কথা বলুক।

25

12

22

20

19

৪,৩১৯ বার দেখা হয়েছে

৩০ টি মন্তব্য : “……আবার কবে যাবো…”

  1. আহমদ (৮৮-৯৪)

    সুন্দর পোস্ট।
    তবে প্রথম পোস্টের কিছু ফরমালিটিস বাকি আছে।
    প্রিন্সিপাল স্যারে আইসা বুঝাইয়া কইব।
    উনি ভুইল্যা গেলেও চিন্তা নাই।
    আমি অথবা অন্য কেউ ঠিকই বুঝাইয়া দিব।


    চ্যারিটি বিগিনস এট হোম

    জবাব দিন
  2. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    অনেক সুন্দর,ভাই!
    লেখা পাঁচতারা...ছবি পাঁচতারা...
    আর এইটা ছয়তারা...

    বন্ধু তোদের অনেক miss করি …অনেক। আমারই যে অংশ তোরা। কিভাবে ভুলি বল।


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আশিক ('৯১-'৯৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।