ছন্দে আনন্দভ্রমণ ৩

ছন্দে আনন্দভ্রমণ ১ (ভূমিকা ও মাত্রাবৃত্তের আলোচনা)
ছন্দে আনন্দভ্রমণ ২ (মাত্রাবৃত্তের উদাহরণ)

এই পর্বে স্বরবৃত্ত নিয়ে আলোচনা করবো। সাধারণত ছড়া লিখতে স্বরবৃত্ত ছন্দ ব্যবহার করা হয়। স্বরবৃত্তে মুক্তদল (open syllable), রূদ্ধদল (closed syllable) উভয় সিলেবলই পাবে ১ মাত্রা

তোমরা যখন শিখছো পড়া
মানুষ হওয়ার জন্য,
আমি না হয় পাখিই হবো,
পাখির মতো বন্য।
(আল মাহমুদ, ‘পাখির মতো’)

তোমরা=তোম্(১)+রা(১)=২ মাত্রা,
যখন=য(১)+খন্(১)=২ মাত্রা,
শিখছো=শিখ্(১)+ছো(১)=২ মাত্রা,
পড়া=প(১)+ড়া(১)=২ মাত্রা।

মানুষ=মা(১)+নুষ্(১)=২ মাত্রা,
হওয়ার=হও(১)+য়ার্(১)=২ মাত্রা,
জন্য=জন্(১)+নো(১)=২ মাত্রা।

আমি=আ(১)+মি(১)=২ মাত্রা,
না হয়=না(১)+হয়্(১)=২ মাত্রা,
পাখিই=পা(১)+খিই(১)=২ মাত্রা,
হবো=হ(১)+বো(১)=২ মাত্রা।

পাখির=পা(১)+খির্(১)=২ মাত্রা,
মতো=ম(১)+তো(১)=২ মাত্রা,
বন্য=বন্(১)+নো(১)=২ মাত্রা।

পর্ব বিন্যাস করে দেখাই,

তোমরা যখন/ শিখছো পড়া/
তোম্(১)রা(১) য(১)খন্(১)/ শিখ্(১)ছো(১) প(১)ড়া(১)/ অর্থাৎ ৪+৪ চাল।

মানুষ হওয়ার/ জন্য,/
মা(১)নুষ্(১) হও(১)য়ার্(১) জন্(১)নো(১)/ অর্থাৎ, ৪+২ চাল।

আ(১)মি(১) না(১)হয়্(১)/ পা(১)খিই(১) হ(১)বো(১)/ অর্থাৎ ৪+৪ চাল।

পা(১)খির্(১) ম(১)তো(১)/ বন্(১)নো(১)/ অর্থাৎ, ৪+২ চাল।

অর্থাৎ, স্বরবৃত্তের ৪+৪, ৪+২, ৪+৪, ৪+২ চাল।

স্বরবৃত্তের পূর্ণ পর্বগুলি চারের চালে রাঙা ঘোড়ার মত টগবগিয়ে চলে। তবে অতিপর্ব যে থাকতে পারে, তা উপরের উদাহরণেই দেখলাম।

স্বরবৃত্তে বাঁধতে পারি
তোমার চুলের বেণী
দিলেম না হয় চারের চালে
মাত্রা একটুখানি;

প্রতি চরণে ৪+৪ মাত্রা, তাই তো!

আঁধার করে গড়িয়ে পড়ে
তোমার চুলের ঝাড়
নিলেম না হয় একটুখানি
ছন্দ ভাঙার ছাড়;

এই স্তবকের প্রথম চরণটি লক্ষ্য করুন। ‘গড়িয়ে’- তে ৩ মাত্রা। তবে কি দাঁড়ালো? পুরো চরণটিতে মোট ৪+৫ মাত্রা। অর্থাৎ ১ মাত্রা বেশী পড়ে গেল। তাই ছড়াকার এই বলে মিনতি করছেন, ‘নিলেম না হয় একটুখানি
ছন্দ ভাঙার ছাড়;’।

তাই বলে কি কল্পনা মোর
মেলবে নাকো পাখা
নইলে কেন চোখ রাঙিয়ে
কপট ও রাগ আঁকা ?
(মান ভাঙানোর ছড়া, রোমেল চৌধুরী)

অর্থাৎ কিনা, কল্পনাকে পাখা মেলতে দিতে গিয়ে ছন্দকে একটু যদি ভাঙতেও হয়, সেটা দোষের কিছু নয়। তবে কিনা তছনছ করে ভাঙলে তো আর চলে না। ভাঙারও একটা ছন্দ আছে। অপরূপভাবে ভাঙা গড়ার চাইতেও কখনো কখনো সুন্দর!

৩,১১৭ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “ছন্দে আনন্দভ্রমণ ৩”

  1. সাইদুল (৭৬-৮২)

    বুঝতে পারছি। মনে হচ্ছে

    কল্পনাকে পাখা মেলতে দিতে গিয়ে ছন্দকে একটু যদি ভাঙতেও হয়, সেটা দোষের কিছু নয়। তবে কিনা তছনছ করে ভাঙলে তো আর চলে না।

    সবচেয়ে বড় কথা


    যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

    জবাব দিন
  2. জিহাদ (৯৯-০৫)

    চমৎকার সিরিজ, ভাই!
    আমি নিজেও মাঝে এক আধটু ছড়া লেখার চেষ্টা করি, মাত্রাবৃত্ত সম্পর্কে কোন ধরণের জ্ঞান না রেখেই শুধুমাত্র শোনার ওপর নির্ভর করে। হাতুড়ে ছড়াকার বলা যায় আর কি 😛 আপনার সিরিজ একটু সময় নিয়ে পড়বো, বুকমার্ক করে রাখলাম।
    ও, আমার একটা ব্যক্তিগত ছড়া ব্লগ আছে এখানে - http://rhymix.wordpress.com


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
    • মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

      অনেক ভালো লিখ তুমি। ছন্দটাও তুলে আনতে পার অনায়াসে। সেভাবেই হেঁটে যাও। তবে কিনা পথহাঁটা শেষ হলে একটু ফিরে দেখ। ভুল-চুক কিছু চোখে পড়ে গেলে সেটা পরবর্তী পথ চলা শুধরে নেবার ক্ষেত্রে ব্যাপক সহায়ক হবে। অনেকেই ছন্দ যাতে গলার অলংকার হয়, ফাঁস না হয়ে না বাঁধে, সে জন্য প্রথমে একটানে লিখে যান। পরে ধীরে-সুস্থে ভেবে ভেবে ছন্দ-মিল-অলংকারের মালা পরান। তুমিও তেমন করতে পার।

      বক্তব্যে মেজাজ পরিবর্তনের প্রয়োজন না হলে একই লেখায় ছন্দ বা মাত্রা পরিবর্তন না করাই সংগত। তোমার ওয়েবসাইটে ইতস্ততঃ পদচারণা করে সেটিই মনে হল।


      দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

      জবাব দিন
  3. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    বেশ কদিন আসা হয়নি মোস্তফা ভাই।
    যথারীতি উপভোগ করলাম খুব।
    সচলায়তনে বেশ কিছুদিন আগে ছন্দের পাঠ নিয়ে এমনই একটি সিরিজ অনুসরণ করেছিলাম।
    চলুক।

    জবাব দিন
        • মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

          ভালো প্রশ্ন করেছ। আমি টেনে টুনে পাশ করবার মত মোটামুটি একটা উত্তর দিতে চেষ্টা করছি।

          স্বরবৃত্তে তেমন ঝামেলা নেই। চারের চাল তো, চারমাত্রা গুণে গেলেই হয়। সম্পূর্ণ পর্ব মোটামুটি মিলে যায়। সমস্যা বাঁধে মাত্রাবৃত্তে আর প্রকটিত হয় অক্ষরবৃত্তে। অক্ষরবৃত্তের আলোচনা ভবিষ্যতের জন্য তোলা থাক। তাছাড়া ছড়া লিখবার ছন্দ হিসেবে অক্ষরবৃত্ত তেমন যুতসই নয়।

          তাহলে মাত্রাবৃত্ত। এর আগে মাত্রাবৃত্তের নানারকম চালের আলোচনা এখানে করেছি। উদাহরণগুলো ভাল করে খেয়াল কর। কান খাড়া রেখে পড়বার চেষ্টা নাও। দেখ লাইনের মাঝখানে কোথায় যেন একটু স্বল্পবিরতি দিয়ে পড়লে ভালো লাগে। তালটা যেন হালকা একটু জিরিয়ে নিতে চাইছে। একটু থেমে নিয়ে আবার যেন পরের পথটুকু চলা। অনেকটা হপ-স্টেপ-এন্ড-জাম্পের মত। শুরু থেকে স্বল্পবিরতি পর্যন্ত গুনে দেখ কয় মাত্রা। অবশ্যই মাত্রাবৃত্তের মাত্রায়। মানে রুদ্ধদল ২ মাত্রা, মুক্তদল ১ মাত্রা। এবার পরেরটুকুর মাত্রা গুণ। নির্ধারণ কর, পূর্ণ পর্ব নাকি অতি পর্ব। পাশাপাশি দুটি চরণ কিম্বা প্রথম চরণের সাথে তৃতীয় চরণ দ্বিতীয় চরণের সাথে চতুর্থ চরণ (দূরান্বয়ী মিলের ক্ষেত্রে পুরো স্তবক জুড়ে সাদৃশ্যের খোঁজ করতে হয়)। এভাবে ছন্দের সাদৃশ্য বের করবার চেষ্টা কর। দেখবে পর্বভাগ তেমন কঠিন হচ্ছে না। কিছুটা অনুশীলন করে নিলে কয়েকদিনের প্রেম নিবেদনে ধীরে ধীরে ছন্দসুন্দরী চোখ ফিরে তাকাবে তোমার দিকে। (সম্পাদিত)


          দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

          জবাব দিন
  4. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    ভাই, বোঝার এবং আলোচনায় অংশ নেবার মতন এলেম নাই। 🙁
    তবে, এটুকু বুঝতে পারছি- সিসিবি'র ভাণ্ডারে দারুণ রত্ন যুক্ত হচ্ছে!
    আশা করি, সিরিজটি চলতেই থাকবে...চলতেই থাকবে... 😀


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  5. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    মোস্তফা ভাই,

    কবিতা আমি কম বুঝি। তাই এ'নিয়ে নিয়ে কোন মন্তব্য করছি না। তবে সিসিবির কবিদের মন্তব্যসমূহ থেকে এটা সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে, কবিতার ব্যকরণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই সাথে মজার বিষয়ও।

    আমি আসলে এখানে একটা 'সাম্প্রদায়িক' মন্তব্য করতে এসেছি 🙂

    আপনার ব্লগুলোতে 'রংপুর' ট্যাগ না-থাকলে ঠিক ক্যামন যেনো লাগে। আপনি সিসিআর এর একজন হয়ে এত্তো এত্তো ভালো ব্লগ লিখছেন। রংপুর ট্যাগ থাকলে আমি নিজেও সিসিআর এর একজন হিসেবে হালকা ভাব নিতে পারতাম (আর কেউ দাবী করার আগেই আমি আমার এই সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িকতার ব্যান চেয়ে নিলাম 😛 )। (সম্পাদিত)


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
    • মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

      এ তো কবিতা বোঝার পোস্ট নয়, মাহমুদ। ছন্দ শেখার পোস্ট। অবশ্য আখেরে তা কবিতা কিম্বা ছড়াতেই ব্যবহার করতে হয়। ঠিকই বলেছ, মজা পেতেই এই বৈঠক।

      আপনার ব্লগুলোতে 'রংপুর' ট্যাগ না-থাকলে ঠিক ক্যামন যেনো লাগে। আপনি সিসিআর এর একজন হয়ে এত্তো এত্তো ভালো ব্লগ লিখছেন। রংপুর ট্যাগ থাকলে আমি নিজেও সিসিআর এর একজন হিসেবে হালকা ভাব নিতে পারতাম।

      তা উৎকৃষ্ট বলেছ বটে। ক্ষেত্রবিশেষে এমন সাম্প্রদায়িকতার পরিমিত পরিচর্যা শক্তিবর্ধক সালসার মত কাজ করে। তবে কিনা, ইদানীং ট্যাগ পেতে ও দিতে বড্ড ভয় হয়। যা দিনকাল পড়েছে। কখন, কে যে কাকে কি ট্যাগ দিচ্ছে, কেন দিচ্ছে, বুঝা বড় ভার।


      দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

      জবাব দিন
  6. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    কল্পনাকে পাখা মেলতে দিতে গিয়ে ছন্দকে একটু যদি ভাঙতেও হয়, সেটা দোষের কিছু নয়। তবে কিনা তছনছ করে ভাঙলে তো আর চলে না। ভাঙারও একটা ছন্দ আছে। অপরূপভাবে ভাঙা গড়ার চাইতেও কখনো কখনো সুন্দর!

    - জব্বর কথা ।

    জবাব দিন
  7. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    :clap: :clap:

    সত্যি কথা বলতে কি ভাইয়া তোমার আনন্দভ্রমণে আমিও আছি বটে তবে গন্তব্য জানা নেই। লাও জুর মত বলি, A good traveler has no fixed plans, and is not intent on arriving. সিসিবিতে কবিদের জয় জয়কার। নিজেও যে দু চারটে কবিতা লিখবার দুঃসাহস দেখাইনি তা নয়। আমি যাকে কবিতা ভেবে ঘুমোতে যেতাম এখন মনেহয় সেগুলো ব্লগর ব্লগর বৈ অন্য কিছু নয়।

    জবাব দিন
    • মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

      অবশ্যই আছো তুমি, সাদরে জায়গা দিয়েছি। তবু একদিন না হয় এলোমেলো পথ চলাই হলো, ক্ষতি কী? লক্ষ্যে না পৌঁছুলেও কিছুমাত্র অর্জন তো হয়। অভিজ্ঞতাটুকু কাজে লাগে অন্যকোন যাত্রায়।

      'কবি' শব্দটি নিয়ে আমার নিজস্ব একটা বিবেচনা আছে। জীবনানন্দ বলে গেছেন,

      সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি।

      আমি মনে করি, শুধু তাই নয়, ওই 'কেউ কেউ কবি'-দের মধ্যে কোন 'কবি'-ই সর্বদা কবি নন। অর্থাৎ, 'কবি'-ও একজন সাধারণ মানুষ। কোন এক বিশেষ মুহূর্তে, কোন এক পরিপ্রেক্ষিতে, এক বিশেষ মানসিক অবস্থায় তাঁর মন যখন আবেগের ভরা নদী, বোধের মজ্জায় যখন অনুভব করেন সত্যভাষণের অমোঘ টান--মাতাল ঋত্বিকের মতো, শুধু সেই মুহূর্তেই তিনি যেন কবি হয়ে ওঠেন। কেউ যেন তাঁকে দিয়ে লিখিয়ে নেয় কিছু। সেই লেখার সবটুকুই যে কাব্যত্তীর্ণ হয়, তা নয়। কিছুটা সাধারণ--তাই ফেলনা যায়, কিছুটা হয়ত কাব্যগন্ধী হয়, তবু এরই মধ্যে একটি কি দু'টি পংক্তি হয়ত বিস্ময়কর শক্তি নিয়ে অবিস্মরণীয় হয়। যুগ যুগ ধরে আমাদের মনের মণিকোঠায় তারাপুঞ্জের মত জ্বলে, আলো ছড়িয়ে যায়, ছড়াতেই থাকে। এই তারাগুলিই আসলে কবিতা। উদাহরণ দিই,

      ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত
      সে কেন জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়?
      একটি কথার দ্বিধা থরো থরো চূড়ে
      ভর করেছিল সাতটি অমরাবতী
      যত নীল আকাশেরা র’য়ে গেছে খুঁজে ফেরে আরো নীল আকাশের তল;
      সে কি জানিত না আমি তারে যত জানি
      আনখ সমুদ্দুর
      অনেক ভেবেছি আমি, অনেক ছোবল নিয়ে প্রাণে
      জেনেছি বিদীর্ণ হওয়া কাকে বলে, কাকে বলে নীল-
      আকাশের হৃদয়ের; কাকে বলে নির্বিকার পাখি।
      মা বকুক, বাবা তার বেদনা দেখুক!
      এটা সেই পাথর নাকি? এটা তাই?
      এটা কি পাথর নাকি কোনো নদী? উপগ্রহ? কোনো রাজা?
      পৃথিবীর তিনভাগ জলের সমান কারো কান্না ভেজা চোখ?
      মহাকাশে ছড়ানো ছয়টি তারা? তীব্র তীক্ষ্ণ তমোহর
      কী অর্থ বহন করে এইসব মিলিত অক্ষর?

      আরো কত শত! হাতের কাছে দু'একটি যা পেলাম কুড়িয়ে দিলাম!

      বচন সৃষ্টির প্রথম শর্ত হলো আনন্দ। তোমার যে রচনাকে কবিতা ভেবেছ, তা লিখে যদি আনন্দলাভ ঘটে, তবে তা কবিতা পদবাচ্য হলো কী না সেটা নিয়ে বিচলিত হবার কিছু নেই। লিখে যাও। কে বলতে পারে, একদিন হয়তো কখনো,

      শূন্য হাঁড়ির গহ্বরে অবিরত
      শাদা ভাত ঠিক উঠবেই ফুটে তারাপুঞ্জের মতো

      (সম্পাদিত)


      দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

      জবাব দিন
      • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

        🙂 🙂 🙂 🙂

        কী করে অমন চমৎকার একটি মন্তব্য আমার চোখ এড়িয়ে গেল, ভাইয়া! কথায় কথায় কী চমৎকার একটি ছায়াচিত্র আঁকো তুমি, মুগ্ধ হয়ে পড়ি। এলোকোয়েন্স কে বলা হয় পোয়েট্রি অব প্রোস। তোমায় এলোকোয়েন্ট বলতেই হবে যে!

        কবিতা বা অকবিতা সে যা'ই বলো না কেন, লিখে যে আনন্দ পেয়েছি সেটি স্বীকার করতেই হবে। শেষ অবধি সাহসে কুলোয় যদি সিসিবিতে দুটো চারটে লেখা পোস্ট করবো হয়তো।

        জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।