ভার্চুয়াল

জলতরঙ্গে ভাসছে তোমার মুখ

আজকে বুঝি মেঘের পোয়াবারো,

এমন দিনে সুদূর থেকেই বলি—

তোমার পেতে ইচ্ছে করে আরো!

 

ফেসবুকেতে ফেস-টি দেখতে পারি—

যায় কি জানা বুকের দুরু-দুরু?

দূরের চোখে যায় কি দেখা বলো

কাঁপছে কখন তোমার নিবিড় ভুরু!

 

ভাইবারে রোজ করছ আলাপন

যখন খুশি জানছ কেমন আছি

ইমোর ভেতর কোথায় পাবে বলো

স্পর্শসুখের সুবর্ণ মৌমাছি!

 

সময় যখন গতির দুর্বিপাকে

ছুটছে ভীষণ পুব থেকে পশ্চিমে

তোমার কাছে হেঁটে যাওয়াই ভালো

বনের পথে কুসুম চুমে চুমে।

১,৩৭৬ বার দেখা হয়েছে

১৭ টি মন্তব্য : “ভার্চুয়াল”

  1. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    ভার্চুয়াল ।
    হ্যাভ কিলড থিংস এরাউন্ড দোওজ
    আর রিয়াল !
    বাট ইয়েট
    দ্য বিট ইন লেফট অফ সেন্টার, ক্যান
    ইউ রেট !
    ইন আ টাচ
    অব মিগার হ্যান্ড এন্ড ফিংগারস বন্ডেড
    ইন আ ক্লাচ !

    জবাব দিন
  2. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    🙂 🙂 🙂 🙂

    আমার মত অকবিও আপনার এই লেখাটি বুঝতে পেরেছে কষ্টকল্প চেষ্টা ছাড়াই। চমৎকার, ভাইয়া! আমাদের মত অকাট মূর্খ পাঠকদের কথা মাথায় রেখে শিশুতোষ কিছু লেখা পড়তে চাই আপনার থেকে।

    জলতরঙ্গে ভাসছে তোমার মুখ

    আজকে বুঝি মেঘের পোয়াবারো,

    এমন দিনে সুদূর থেকেই বলি—

    তোমার পেতে ইচ্ছে করে আরো! :clap: :clap: :clap: :clap:

    জবাব দিন
    • মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

      যে কিনা রুমি, সাদি, তাব্রেজি, হাফিজ, আত্তারে নিত্যই দিচ্ছে ডুব তার কি কাজ এই বালখিল্য পদ্য শুনে? আমি এক অগভীর পানা-পুকুর, খালি চোখে দেখতে পাবেন তলানিতে কি কি পড়ে আছে। সেই পুকুরের সব চিরচেনা মাছের চোখে আমি কখনো কখনো যে অবিস্মরনীয় স্বপ্নের দ্যুতি খুঁজে পাই, একান্ত নিজস্বতায় সেসব চিনে নিতেই ভালো লাগে। মহাসিন্ধুর ওপার থেকে ভেসে আসা সুধারাজি আমার জন্য নয়। আমি তাঁর যোগ্য নই। তাই তো আপনার লেখার মধ্যে ছিপ পেতে বসে থাকা 'রুমি', 'রবি', 'তাব্রেজি' আমাকে টানে না। সেসব উপেক্ষা করে আমি অবধারিত ডুবে যাই আপনার লেখার ভেতরেই। (সম্পাদিত)


      দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

      জবাব দিন
      • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

        🙂 🙂 🙂 🙂

        বিনয় বিগলিত সমুদ্র যদি নিজেকে অগভীর পানা পুকুর ভেবে বসে থাকেন তবে অস্বস্তি হয় ভারী! মণিরত্নের যে ভান্ডার নিয়ে আপনি নিভৃতবাসী হয়ে আছেন সেটির ভাগীদার আরো কেউ আছে জানবেন!
        থমকে যাওয়া সময়ে হোয়াই মি প্রশ্নটির উত্তর খুঁজতেই বোধকরি আধ্যাত্মবাদের দিকে খানিক ঝুঁকে পড়েছিলাম। রুমি, রবি, সাদি আর হাফিজেরা সেই নুয়ে পড়া সামান্য মানুষটিকে তখন মহাজাগতিক কিছু বাতর্া পাঠিয়েছিলেন বৈকি! পড়াশুনা তো নয়; এখন ঠিক বুঝতে পারি সেসব ছিল ভুলিয়ে রাখার ছল! দিদিমা যেমন লাঠি লজেন্স দিয়ে ভুলিয়ে রাখেন তার ক্রন্দনশীল নাতনিটিকে!

        জবাব দিন
        • মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

          না বোন, তেমনটি নয়। বিনয়ে বিগলিত হয়ে নয়। সমুদ্রের সৌন্দর্য একরূপ, অগভীর পানা-পুকুরের সৌন্দর্য অন্যরূপ। দু'টোর ভেতরেই বিস্মিত হবার মতো যথেষ্ট উপাদান আছে। আমি আমার ঝোলার ভেতর করে যা নিয়ে এসেছি একে একে তা বের করে দেখাব। সেগুলো যত তুচ্ছই হোক, তাতে আমার নিজস্বতা আছে। গর্ববোধ আছে। আমি আমার নিজস্ব জগতের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে নিত্য-নোতুন বিস্ময়ে অভিভূত হবার কথাই লিখে যেতে চাই।

          আমি মনে করি, পাঠক হিসেবে আমি যখন তোমার লেখা পড়ি, প্রকারান্তরে আমি যেন তোমাকেই পড়ি। তোমার ভেতরে যেটুকু একান্তই তোমার, সেটুকুকে পড়ি। তোমার লেখার সেটুকুই আমায় আলোড়িত করেছে।


          দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

          জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ভালো লেগেছে।
    স্পেস কি কমানো যায়?
    মানে ডাবল স্পেস হয়ে আছে লাইনগুলোর মাঝে।
    চোখে লাগে ভাইয়া।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
    • মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

      ছড়াটি প্রথমে ফেসবুকে লিখেছিলাম। নোট হিসেবে। সেখান থেকে এখানে তুলে আনবার পর দেখা গেল চরণগুলো নিজেদের মাঝে ঘনিষ্ঠতা কমিয়েছে। শুধু তোমার চোখেই নয়, আমার চোখেও লেগেছে তা বড়। বহু চেষ্টা করলাম, কিন্তু কেন জানি গোঁ ধরে বসে আছে। আহা, কেউ যদি সাহায্যের হাত বাড়াতেন!


      দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

      জবাব দিন
  4. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    চমৎকার এক কবিতা, সর্বাঙ্গ সুন্দর!
    এসব অনুভূতি সার্বজনীন, সবাই কখনো না কখনো এরকমটি অনুভব করে থাকে। সবাই কখনো না কখনো জলতরঙ্গে কারো না কারো ভাসমান মুখ দেখে থাকে। সবাই কখনো না কখনো দূর থেকে কারো না কারো বুকের দুরু দুরু অনুভব করতে চায়। এ কারণেই এ কবিতাটা জনপ্রিয় হবে বলে আমার বিশ্বাস।

    জবাব দিন
    • মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

      ধন্যবাদ, শ্রদ্ধাভাজনেষু।

      সবাই কখনো না কখনো জলতরঙ্গে কারো না কারো ভাসমান মুখ দেখে থাকে। সবাই কখনো না কখনো দূর থেকে কারো না কারো বুকের দুরু দুরু অনুভব করতে চায়।

      সেই মুখ হয়ত প্রিয়ার হয়ত দেশের।


      দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।