মতি

আজ হঠাৎ মতির কথা মনে পড়ল। রংপুর ক্যাডেট কলেজে মতি আমাদের স্কুল জীবনের সহপাঠী ছিল। আমাদের সাথে মতির সহপাঠ কলেজের শেষ দিনটি পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয় নি। গ্রাম্য প্রকৃতির মতির নিতান্ত গোবেচারা চেহারায় রূপোর টাকার মতো তেমন উজ্জ্বল কোন বৈশিষ্ট্য আমার চোখে পড়ে নি। আমরা ছিলাম ভিন্ন ভিন্ন হাউসের বাসিন্দা। আমার তিনতলার ওমর ফারুক হাউস, মতির নিচতলার শহীদ জাহাঙ্গীর হাউস। মাঝখানে তিতুমীর হাউসের গা বেয়ে নামা প্রশস্ত সিঁড়ির দু-দু’টি স্তর। সে বয়সে স্তর পেরুবোর ক্ষেত্রে ঘাম ঝরাবার কায়ক্লেশ হয়ত একেবারেই গা করতাম না, তবে খুব সূক্ষ্ম হলেও ভিন্ন হাউসে অবস্থানের একটা মানসিক বাধা ছিল। সেই বাধা পেরিয়ে জ্যোতিষ্কের সাহচর্য হয়ত কামনীয় হতে পারে, কিন্তু নিতান্তই সাধারণ একটি ছেলের সাথে বন্ধুতা ঘটবার তেমন আগ্রহ মনে জাগে না।

শুনতাম, নিজ হাউসের অধিকাংশ সহপাঠীর সাথেও তেমন মিল ছিল না মতির। কিন্তু মতির সাথে মিন্টুর ছিল খুব ভাব। আমাদের মধ্যে অল্প ক’জন হ্যান্ড-সাম ছেলের একজন ছিল মিন্টু। আর তাই যে ক’জন ঈর্ষা কাতর সহপাঠীর মিন্টুর সাথে ভাব করবার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু ভাব হয় নি, তাদের সবার সব রাগ গিয়ে পড়েছিল মতির উপর। ইশারায়, ইঙ্গিতে, শ্লেষে, টিটকারিতে তারা মতিকে উত্যক্ত করতো। মতি অবশ্য ওসব গায়ে মাখত না খুব।

লেখাপড়ায় অনুজ্জ্বল মতি পদার্থবিদ্যায় কিম্বা গণিতে তেমন উঁচু স্কোর করতে পেরেছে বলে মনে করতে পারছি না। তবে দুপুরের প্রেপ শেষ হতো যখন, মতিকে দেখতাম, সবার আগে ছুট লাগাতে বাস্কেটবল মাঠের দিকে। বল নিয়ে একাকী ড্রিবল করে খুব দ্রুত পোষ্টের কাছাকাছি চলে যেতে পারতো মতি। উচ্চতা বৈরি হওয়ায় নিরলস অনুশীলনের মধ্যদিয়ে সে শিখে নিতে চেয়েছিল কুশলী ল্যাপ করে অব্যর্থ স্কোর করবার কৌশল। না, হাউসের বাস্কেটবল টিমে স্থান হয় নি মতির, নিদেনপক্ষে সে পৌছুতে পেরেছিল একজন দ্বিতীয় সারির খেলোয়াড়ের কাছাকাছি। তবু তার সেই প্রচেষ্টা, সেই অধ্যবসায় আমার প্রেপ শেষের ঘুম ছুটে যাওয়া চোখে অল্প কিছু মুগ্ধতা এঁকে দিতে পেরেছিল।

ঠিক মনে পড়ে না, আমরা তখন ক্লাস এইট কিম্বা নাইনে। একবার প্রেপ ক্লাসে মতিকে লুকিয়ে লুকিয়ে কবিতা লিখতে দেখেছিলাম। কবিতার সাথে ছেলেবেলা থেকে আমারও ছিল একটু আধটু সখ্যতা। অঙ্ক কষবার খাতার আড়ালে রুল টানা একটি খাতা। সেটির সব ক’টি পৃষ্ঠা জুড়ে মুক্তোর মত জ্বলজ্বলে কবিতার ছত্র, কি ভরসা পেয়ে যেন মতি লজ্জা-দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে আমাকে অনেক যত্ন করে দেখাল। আমরা যারা দু’চারজন কলেজের দেয়াল পত্রিকায় লিখতাম, তাঁদেরই একজনার কাছে শুনেছিলাম, ওসব নাকি মতির লেখা নয়, ও নাকি জীবনানন্দের অপেক্ষাকৃত স্বল্প পরিচিত কবিতা থেকে মেরে দিয়ে নিজের বলে চালাতে ভালবাসত। এসবের সত্যাসত্য যাচাইয়ের প্রয়োজন পড়ে নি কখনো। কারণ মতি তো কখনই তার লেখা কোন কবিতা দেয়াল পত্রিকায় ছাপতে চায় নি। এতদিনে জীবনানন্দের প্রকাশিত-অপ্রকাশিত প্রায় সব কবিতা পড়বার সুযোগ হয়েছে আমার। বোধের মজ্জায় জীবনানন্দের এক চিলতে আলোও হয়ত প্রবেশ করেছে, কিন্তু সেদিনের সেই প্রেপ ক্লাসের স্বল্প কিছু সময়ে যে বিস্ময় আমাকে আলোড়িত করেছিল, তার সাথে আজ অবধি জীবনানন্দের আক্ষরিক মিল খুঁজে পাই নি।

আমাদের অনেকেই সে সময় বেশ ফ্যাশন দুরস্ত হয়ে পড়েছিলাম। বিশেষ করে ঘড়ি হাতে দেবার ব্যাপারে আমাদের অনেকেরই মনে প্রচ্ছন্ন ইচ্ছের মৌমাছি সারাক্ষণ ঘুর ঘুর করতো। কিন্তু ক্যাডেট কলেজের কড়া অনুশাসন আমাদের সেসব স্বপ্লীল ইচ্ছের প্রজাপতিকে অবাধে ডানা মেলতে দেয় নি কখনো। তবু লুকিয়ে লুকিয়ে আমরা একেবারেই যে ইচ্ছের একফোঁটা বৃষ্টিতে আলতো করে আঙুল ছুঁয়ে দিই নি, তা নয়। আমাদের মধ্যে একটু যারা সাহসী ও দুর্দান্ত ছিলো, তাদেরই একজন, আমাদের হাউসের গোলাম ফারুকের ছিল একটি আকর্ষণীয় সিকো ফাইভ ঘড়ি। ঝকঝকে সিলভার বডির উপর আকর্ষণীয় সবুজ ডায়াল। মাঝখানে সুকারু হরফে সিকো ফাইভ লেখা। এমন একটি ঘড়ির অধিকারী হওয়া আমাদের সকলের কাছেই ছিল রীতিমত গর্বের ব্যাপার। গোলাম ফারুকও বুঝি ব্যাপারটা বুঝত। ইলেকটিসিটি চলে গেলে রেডিয়াম দেয়া ঘড়িটির কাঁটাগুলো লম্বা তারার মতো জ্বলজ্বল করতো। তাচ্ছিল্য ভরে কবজি উল্টিয়ে সেগুলির ঔজ্জ্বল্য দেখিয়ে গোলাম ফারুক আমাদের উৎসুক চোখে মায়াবী স্বপ্ন এঁকে দেবার সুযোগ নিতে ভুলত না। একদিন সেই ঘড়ি হারিয়ে গেল। ঘড়ি রাখা নিষেধ, তাই গোলাম ফারুকেরও বুঝি মনের দুঃখ মনেই গোপন করা ছাড়া অন্য কোন গত্যন্তর ছিল না।

তারপর হঠাৎ একদিন শুনলাম, মতিকে কলেজ থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। সে একটি ঘড়িসহ হাউস টিউটরের কাছে হাতে-নাতে ধরা পড়েছে। লুকিয়ে ঘড়ি রাখার অপরাধে নয়, বরং ঘড়ি চুরি করবার অপরাধেই বের করে দেয়া হচ্ছে মতিকে। মতির কাছে পাওয়া ঘড়িটির সাথে গোলাম ফারুকের খোয়া যাওয়া ঘড়িটির সাদৃশ্য পাওয়া গেছে। আমাদের মধ্যে যারা মতির প্রতি বিরূপ ছিলাম তাদেরই একজন “চোর চোর……চুর চুর মতিচুর” বলে বেশ কিছুক্ষণ চেঁচিয়ে নিজের মনের ঝাল মিটিয়ে নিলো। মতির কবিতার খাতা থেকে একদিন একরাশ বিমুগ্ধ বিস্ময় আমার চোখে ভিড় করেছিল। তবু সেদিন মতির প্রতি কিছুমাত্র সহানুভূতি জাগে নি মনে। কলেজ থেকে বেরিয়ে যাবার সময় মতির চোখে শিশিরের মত ক’ফোটা অশ্রু জমেছিল, তখন তা খেয়াল করবার সময় কোথায় আমাদের? কোথায় কখন কোন তারা ঝরে যায়, আকাশ কি তা মনে রাখে?

আজ সূর্য যখন মধ্য দিগন্ত পেরিয়ে কিছুটা হেলে পড়েছে পশ্চিমে তখন কারণে অকারণে মন শুধু অতীতের খাঁজে খাঁজে অবচেতনের ভাঁজে ভাঁজে খুঁজে ফিরছে স্মৃতির হারিয়ে ফেলা জীবাশ্ম। আজ মন মধুকূপী ঘাসে ঢাকা মৃত্তিকার মতন। কবে কোন কালে সেখানে এক নামহীন ঠিকানাহীন ধুমকেতুর পতন ঘটেছিল। আজ ভুলটুকু ক্ষমা করে দিয়ে সামান্যকিছু মমতায় সেই স্মৃতিটুকুই সে ফিরিয়ে দিতে চাইছে, আর অস্ফুটে বলতে চাইছে, দোষে-গুণে মতি আমাদেরই একজন ছিল।

২,৩০৩ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “মতি”

  1. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    আজ মন মধুকূপী ঘাসে ঢাকা মৃত্তিকার মতন।
    কারণে অকারণে অতীতের খাঁজে খাঁজে অবচেতনের ভাঁজে খুঁজে ফিরছে স্মৃতির হারানো জীবাশ্ম।
    কবে কোন কালে কোনো এক নামহীন ঠিকানাহীন ধুমকেতুর পতন ঘটেছিল।
    আজ ভুলটুকু ছাড়িয়ে সামান্য মমতায় সেই স্মৃতিটুকুই সে চাইছে ফিরিয়ে দিতে,
    আর অস্ফুটে বলতে চাইছে, দোষে-গুণে মতি ছিলো সে তো আমাদেরই এক জন।

    এমন গল্প বোধ করি প্রায় প্রতি কলেজের প্রতি ক্লাসেই একখানা আছে গোপন যা সকলে জানে না ।

    লেখার ধরন-ধারন-ভঙ্গি নজর কেড়েছে । ভালো লেগেছে ।
    এমন ভালো লাগা অব্যহত থাকুক ।

    জবাব দিন
    • মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

      আছে, গোপনবাসীর কান্না হাসির গোপন কথার মত। কিন্তু সে কথা শুনিবারে কান পেতে রইবার সময় সকলের আছে কিনা জানি না।
      শ্রদ্ধাভাজনেষু, আপনি কান পেতেছেন, তাই কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি।


      দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

      জবাব দিন
  2. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    :clap: :clap: :clap: :clap:

    আপনার গদ্য লেখার স্টাইল খুবই ভাল লাগলো, ভাইয়া! কুড়মুড়ে, মুচমুচে, ঝকমকে লেখা আপনার। এতোদিন কোথায় ছিলেন তাই ভাবছিলাম। আরো অনেক অনেক লেখা পড়তে চাই।

    জবাব দিন
  3. সাদাত (৯১-৯৭)

    হয়ত বেশিরভাই ব্যাচেই এরকম দুই একজন মতি থাকে ভাই, আমাদেরও ছিল, অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও তাদের কারো কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, তারা অভিমানে দূরে থাকে, প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে, কোনভাবেই ধরা দেয় না...............

    জবাব দিন
  4. রেজা শাওন (০১-০৭)

    লেখাটা খুবই হৃদয়গ্রাহী হয়েছে মোস্তফা ভাই। আগেই পড়েছিলাম, নানাবিধ অকাজের ব্যস্ততায় এদিকে আসা হয় নাই, বলতে দেরী হয়ে গেল। লেখার সাথে আমাদের নিজেদের একটা গল্পের খানিক মিল পাই। আমার ক্লাস টুয়েলভের রুমমেট পাগল হয়ে টুয়েলভের শুরুর দিকে কলেজ ছাড়ে। পাগল সে ছিল না। কিন্তু পাগল সাজা বোধহয় তাঁর দরকার ছিল। অভিনয় খুব নির্মম জিনিস, সে বড় সত্যগ্রাসী। তাই একটা সময়ে এসে অভিনয়টাই সত্যি হল। সত্যি ঢাকা পড়লো ছায়ার আড়ালে।

    এই ছেলে কলেজ থেকে বের হওয়ার পর, প্রতিদিন রাত দুইটাই আমাদের সবাইকে এক একদিন একজনকে ফোন করতো। তাঁর আলাপ ছিল অদ্ভুত। একদিন সে লটারিতে টিভি জেতে। আরেকদিন সে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে স্কলারশিপের টাকা তুলতে যায়। পরেরদিন সেনাপ্রধান তাঁকে আইএসএসবিতে টেকার জন্য ইসুপগুলের ভুসি খাওয়ার পরামর্শ দেয়- এই জাতীয়। ব্যাচের বাকীরা ফোন বন্ধ রাখতো রাত দুইটার পর। শেষের দিকে ফোন শুধু আমার ফোনেই আসতো জুলাই মাসে একদিন প্রায় ঘণ্টা খানেক গাধাটার সাথে কাকের পালক বিদেশে রপ্তানির ব্যাপারে আলাপ করে, আমি আমার ওই সিমটা ফেলে দিলাম। । এরপরের খবর আর জানি না। আমাদের কেউই জানে না।

    জবাব দিন
    • মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

      তোমার এই বন্ধুটির আচরণের প্রতি আমার সহৃদয় কৌতূহল জাগছে। একটু চিন্তা করে দেখ। সাধারণ দৃষ্টিতে ওর চিন্তাগুলোকে উদ্ভট বলে মনে হলেও সহৃদয় দৃষ্টিতে সেগুলোকে বিস্ময়কর বলে মনে হবে।

      এবার একটু অন্য কথা পাড়ি। রমাপদ চৌধুরীর একটি উপন্যাসসমগ্রের ভুমিকায় তিনি বলছেন, যুদ্ধ জয়ের শেষে যোদ্ধারা আপন মাটিতে ফিরে আসছে বিজয়ীর বেশে। জনতা উল্লসিত, উদ্বেলিত বিজয়ের আনন্দে! এই বাঁধভাঙ্গা আনন্দের মাঝেও চোখে একফোঁটা জল নিয়ে জনতার ভিড়ে দাঁড়িয়ে আছেন একজন মা। যুদ্ধে গিয়েছিল তাঁর সন্তান, কিন্তু ফেরে নি। ঔপন্যাসিকের কাজ হলো অই অশ্রুকণার বিন্দুকে সিন্ধুর রূপ দেয়া।

      একথা তোমাকে বলবার কারণ হলো এই যে, তোমার একটি লেখা পড়েই আমি বুঝেছি, তোমার ভেতরে 'আছে'। তাই তুমি দায়বদ্ধ তোমার অই বন্ধুটির 'উদ্ভট' ধারণাগুলিকে 'বিস্ময়কর' ধারণায় রূপান্তরিত করবার জন্যে কলম ধরতে। আমরা আরেকটি মেটামরফোসিস পেয়ে যেতেও তো পারি, কে জানে?

      একথা বললাম এ কারণে স্খলিত চিন্তার শৈথিল্যজাত বলে বলে মনে হলেও ওর প্রত্যেকটি সবার কাছে কি এ
      গাধাদের বড় সরল চিন্তার প্রাণি (সম্পাদিত)


      দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

      জবাব দিন
  5. আমাদের ছোট ছোট ভুলে এভাবেই ঝরে যায় কত নাম নাজানা ফুল। ঝরে যায় কত মেধাবী। সব কিছুতেই পরিবর্তন আনা দরকার। যেখানে দেশের সংবিধান সময়েরসাথে তাল মিলিয়ে সংশোধন করা হয় সেখানে ক্যাডেট কলেজের নিয়মগুলো নিয়েকি আরো বেশি ভেবে দেখা উচিত নয়।আপনার লেখাটি যদিও গল্প নয় বাস্তবতা তার পরও লেখারও প্রশংসাকরতে হচ্ছে। সাহিত্য চর্চা করলে আপনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন অথবা অলরেডি সাহিত্য চর্চা করেথাকলে তা আমার গোচরীভূত নয়। অবহেলিত এবং অকালে যে কোন কারণে ঝরে পড়া প্রতিটি ক্যাডের জন্য সমবেদনা এবং দুঃখ প্রকাশ করছি। মনের মধ্যেতো না বলা দুঃখ আমারও আছে।

    জবাব দিন
    • মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

      ধন্যবাদ জাহিদ, আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্যে। পরিবর্তন আনবার জন্যে প্রয়োজন এইসব ঘটনার নির্মোহ বিশ্লেষণ। ব্লগের এক বিরাট শক্তি এই যে, সেখানে মন্তব্যে-প্রতিমন্তব্যে সবাই অংশ নিয়ে একটি চমৎকার মিথস্ক্রিয়াজাত সমাধান খুঁজে বের করতে পারেন। তবে দোষারোপের সংস্কৃতি যদি উদ্দেশ্যকে বানের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায়, সিসিফাসের পণ্ডশ্রম তখনই ঘটে। তাই দায়ী কোন ব্যক্তি কিংবা চরিত্রবিশেষের নামোল্লেখ অপ্রয়োজনীয় বলেই মনে হয়। অতীত থেকে তো আমরা শুধু শিক্ষাই নিতে চাই, পেছনের দিকে হাঁটবার জন্য তো নয়। তাই প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে অভীষ্টলাভ মোটামুটি অসম্ভব।

      আমার লেখা তোমার ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম। মাঝে মাঝে আমিও ভাবি, আহা লেখাটা যদি আমার নেশা ও পেশা দু'টোই হতো? তবু সত্য এই যে, আমার নেশা ও পেশা একে অন্যের অব্যর্থ শত্রু!


      দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।