গোধূলি কথন- ২

গোধূলি কথন- ১

১২/৩/২০০৪,

বিকেলবেলাটা আমার সবসময়ই প্রিয়। জানালার ফাঁক দিয়ে যখন সূর্যের শেষ সম্ভাষণটুকু আমার হাতের উপর এসে পড়ে, খুব ভালো লাগা একটা অনুভূতি হয়। একটা অজানা মিষ্টি আবেশে ছেয়ে যায় চারপাশে। অবশ্য আজকাল জানালার পাশে বসা হয়ে উঠেনা। ব্যস্ততা নয়, কায়িক অবসাদ আজকাল সে সুযোগ দেয় না। বিছানা থেকে একা একা বেশ কষ্ট হয়। তাই বিকেলটা এখন বালিশে মাথা ঠেকিয়েই কাটে।

মাঝে মাঝে মা এসে বারান্দায় নিয়ে যেতে চান, আমি যাই না, যেতে ভালো লাগে না। ব্যালকনিতে দাড়িয়ে আলো-ছায়ার খেলা দেখতে কেমন যেন বিরক্তি ধরে যায়। সত্যি বলতে নিজের উপর করুণা জাগে। মাঝে মাঝে হাঁচড়ে পাঁচড়ে জীবনের তাগিদগুলোকে হার মানিয়ে উপচে পড়তে ইচ্ছে করে; তবে ক্ষণিক পরেই ইচ্ছেগুলো কমোডের জলে ফ্লাশ করে আবার ডুব দেই অপ্রসন্নতায়; ভেসে চলি আমার সীমান্তের উদ্দেশ্যে। ব্যাপার কী, বিজ্ঞানের ছাত্রের হাত থেকে আজ মনে হয় কাব্য ঝড়ছে, হাসি পাচ্ছে।

বহুদিন বাদে আজ মা’র সাথে বাজে ব্যবহার করে ফেলেছি। বিকেলেও মা জোরাজুরি করছিল বারান্দায় গিয়ে ইজি-চেয়ারটায় বসার জন্য। স্বভাব-বিরুদ্ধভাবে আমি চেচিয়ে উঠেছিলাম, “মা, বিরক্ত করো না, একই জিনিস বারবার শুনতে ভালো লাগে না। রুমের ভেতরেই আমি বেশ আছি, দয়া করে আমাকে এভাবে একা একাই থাকতে দাও।” ঘোর-লাগা কন্ঠের কথাগুলো শুনে মা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলেন। তারপর, খুব শান্ত ভঙ্গিতে আমার দিকে তাকিয়ে স্যরি বলে দরজাটা ভেজিয়ে দিয়ে বেরিয়ে গেলেন। কাজটা বোধহয় ঠিক হয়নি, এখন একটু খারাপই লাগছে, এতটা হয়তো না করলেও পারতাম।

আজ প্রায় দু’দিন হলো বাবাকে দেখিনি, আগে তো প্রায় প্রতিদিনই রাতে আমার রুমে এসে কিছুক্ষণ বসে থাকতেন, গুম মেরে। মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করতেন কেমন আছি? আমি শুকনো একটা হাসি ফিরিয়ে দিয়ে বলে উঠতাম, “আমি আবার কবে খারাপ ছিলাম বলো তো?” হয়তো কাজের চাপ বেশি, হয়তো সারাদিন পর বাড়ি ফিরে যথেষ্টই ক্লান্ত থাকেন। কথাগুলো নিজের কাছেই স্বান্তনা্র প্রবোধ মনে হচ্ছে।

সেল ফোনটা আজকাল বন্ধই থাকে, ভালো লাগে না কথা বলতে অথবা শুনতে। ঘুরেফিরে সেই তো একই ন্যাকা ন্যাকা কথা, আসলে কারো করুণা নিতে ইচ্ছে করে না; এই আছি বেশ আছি। ডাক এলে উড়াল দেবো।

শুধু মাঝে মাঝে মাঝরাতে রানাকে ফোন দেই, ও কোন অহেতুক করুণা কিংবা কৌতূহল দেখায় না। আমি বললে চুপ করে শোনে, না হলে আপন মনে ওর নিত্য নতুন তত্ত্বকথাগুলো শুনিয়ে যায়। আসলে আমাকে শুনিয়ে ও বেশ শান্তি পায়, শ্রোতা হিসেবে আমি খুব একটা খারাপ না; মাঝে মাঝে অবশ্য ফট করে প্রশ্ন করে ফেলি, হেসে উঠে জবাব দেয়।

গতকাল একটা অদ্ভূত ব্যাপার হয়েছে। দু’দিন আগে ও জিজ্ঞেস করেছিল আমার কি হয়েছে। দাঁতভাঙ্গা শব্দগুলো শুনে নিয়ে খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলছিল, “জিনিসটা নতুন মনে হচ্ছে, আগে শুনিনি।” হেসে বলেছিলাম, “দোস্ত এটা হল রাজরোগ, আমিও কী ছাই আগে এর নাম শুনেছি!” কাল রাতে যখন ওকে কল দিয়েছি বেশ উৎফুল্ল স্বরে বলে উঠলো, “তোর অসুখটা ভারি অদ্ভুতরে, নামটাই কেমন কর্কশ, ক্রয়েজফিল্ড জ্যাকব ডিজিজ (সিজিডি); আসলেই রাজরোগ দেখছি।”
হেসে বলেছিলাম, “হঠাৎ এ নিয়ে পড়লি কেন?” “না, এমনি; কাল তোর মুখ থেকে নামটা শুনলাম, মাথায় ঘুরছিল, তাই একটু নেটে এ ব্যাপারে জানাশোনা করলাম। রোগটা বেশ দ্রুত মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষগুলোকে নিস্ক্রিয় করে দেয়, ডাক্তারি রেকর্ড নাকি বলে, লক্ষণ দেখা দেবার পর মাত্র অল্প কিছুদিনই রোগী বেঁচে থাকে। বাজে ব্যাপারটা হলো এটার কোন চিকিৎসা এখনো নাকি বের হয়নিরে।”

হঠাৎ করেই ও চুপ হয়ে যায়। নীরবতা ভেঙ্গে আমি জিজ্ঞস করি, “কী রে, চুপ মেরে গেলি কেন?” ছোট্ট করে একটা নিশ্বাস ফেলার শব্দ পেয়েছিলাম, তারপর খুব আস্তে করে বলে উঠেছিল, “তাহলে কি তুই আর বাচবি না?” খানিকটা অবাক হই, এভাবে কখনো রানাকে কথা বলতে শুনিনি। কিছু না বলে কল এন্ড বাটনটা টিপে দেই।

হঠাৎ করেই কেন যেন খুব হাসি পেয়ে যায়। দমকা হাসির চমকে আমার শরীরটা কেঁপে কেঁপে উঠছিলো। আমি জানি, আমার নিউরনগুলো একটা একটা করে শুকিয়ে যাচ্ছে, হ্যালুসিনেশন শুরু হবে, হয়তো আর কিছু দিন পর মানুষ চিনতে পারবো না। আচ্ছা, আমি কি তখন মা-বাবা কাউ্কে চিনতে পারবো না; রানা, তপোতী, অভি, চারুকলার মোড়ের পাগলা অনির্বাণ, রশিদ স্যার, চা’র দোকানের বসন্ত’দা; সবাই কি আমার স্মৃতির জাল কেটে একটু একটু করে বেরিয়ে যাবে? ওটাই বোধহয় স্বাভাবিক। এক দিক দিয়ে ভালোই হবে, পিছুটান থাকবে না। আমার অবশ্য এমনিতেই কোন পিছুটান নেই। আসলেই কি নেই??

ধুর !! এসব পাগলামো ভালো লাগছে না। শরীরটা খুব ভেঙ্গে আসছে, ঘুম দরকার। কিন্তু চোখ বন্ধ করলেই আর ঘুম আসবে না জানি। খুব ইচ্ছে করছে মা’কে ডেকে বলি সেই ছোট্টবেলার মত গান শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতে। ক্লাশ ৫-৬ পর্যন্ত মায়ের ছড়া ছাড়া ঘুমুতে পারতাম না। ঐযে, ঐ ছড়াটা- ছেলে ঘুমুলো পাড়া জুড়ুলো, বর্গী এলো দেশে; বুলবুলিতে ধান খেয়েছে, খাজনা দেব কীসে? আমি কেমন অভিভূতের মতো মায়ের মিষ্টি কন্ঠে গানের মত করে বলা ছড়ার সুরে ঘুমিয়ে পড়তাম। বড় হয়ে নিজেই আর শুনতে চাইতাম না ও গান, আজ আচমকা আবার খুব শুনতে ইচ্ছে করছে।

এভাবে আবোল-তাবোল কলম চালাতে আর ভালো লাগছে না; কেমন যেন মাতালের মত লাগছে। রাস্তায় নাইটগার্ডদের কথা শোনা যাচ্ছে, মাঝে মাঝেই মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে ওদের অস্পষ্ট আলাপচারিতা কানে আসে। অসম্ভব বিরক্তি লাগছে, নিজের উপর, রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা প্রহরীদের উপর, আমার চারপাশে ছড়িয়ে থাকা সবার উপর। দুঃসহভাবে খাপছাড়া মনে হচ্ছে নিজেকে। আজ আর লিখতে ইচ্ছে করছে না, মনে হচ্ছে চিৎকার করে পুরো পৃ্থিবীকে বলি,

Good-by to the life I used to live,
And the world I used to know;
And kiss the hills for me, just once;
Now I am ready to go!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়ছিলাম। অগোছালো ভাবে লেখা, তবে মন্দ লাগছে না। ঘড়ির দিকে চোখ পড়তেই চমকে উঠলাম, ৬ টা বেজে গেছে। তওসিফ আর রাহাত তো বোধহয় টিএসসি’তে অপেক্ষা করছে। ডাইরিটা বালিশের নিচে চালান করে দিয়ে উঠে বসলাম। চেয়ারের হাতলে ঝুলে থাকা শার্টটা কোনমতে গায়ে চড়িয়ে বেরিয়ে এলাম। আজও সময়জ্ঞান নিয়ে একটা বড়সড় লেকচার শুনতে হবে। যাচ্ছি ঠিকই, তবে মন পড়ে আছে বালিশের নিচে শুয়ে থাকা কথনের ডাইরিতে।

(চলবে !!! 😕 )

২,৪৭৬ বার দেখা হয়েছে

৩৫ টি মন্তব্য : “গোধূলি কথন- ২”

  1. জটিল লাগছে ভাই বিশ্বাস কর... সামনে পাইলে তোরে জড়ায়া ধরতাম...
    :hug: :hug:

    এত্ত সুন্দর করে নাটকীয়তা কীভাবে আনিস?
    :gulli2: :gulli2:

    আমি যদি ওই ছেলেটার মত রোগে পড়তাম, মনে হয় ভাবনার প্যাটার্ণটা এমনি হত...

    জটিল রকিব... চালায়া যা...
    পরেরটার জন্য অপেক্ষা করে সময় কাটবে আমার...
    :thumbup: :thumbup: :thumbup:

    জবাব দিন
    • রকিব (০১-০৭)

      ভাইয়া, মারা যাচ্ছে এমন কারো সাইকোলজি আসলে ব্যাখ্যা করা আমার পক্ষে সম্ভব হবে না, ঐট্রাই দিতে গিয়ে কেমন যেন উল্টেপাল্টে ফেলছি :(( ।


      আমি তবু বলি:
      এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

      জবাব দিন
  2. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

    অনেক কিছু ভাবছিলাম, তুমি ২য় পার্ট কেমন করবা সেটা নিয়ে, এইটা ভাবি নাই। দেরী করে গল্প দেবার পাঙ্গা সাময়িক মাফ করে দিলাম। মনটা খারাপ করে দিসো।

    অসাধারন লেখা ............ :boss: :boss: :boss:

    জবাব দিন
      • মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

        ১ম পর্ব পড়ে মনে হচ্ছিল ডায়রীটা কোনো একটা মেয়ের। এখান থেকে আমরা তার অনেক নিজের কথা জানতে পারবো, পরে যে পড়ছে সে ওই মেয়েটিকে খুজে বের করার চেষ্টা করবে। পরে তোমার অন্য লেখাগুলো পড়ে বুঝলাম, তুমি এই টিপিক্যাল পথ ধরবে না। তোমার লেখাতে সবসময় চমক থাকে।

        তারপরে মনে হল, প্রাথমিক ভাবে তুমি কয়েক পর্বে ডায়রীতে কোনো ছেলে বা মেয়ের জীবন নিয়ে লিখবে -- তার স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা, বেদনা, হতাশা --- এই সব। তারপরে যে পড়ছে, তার অনুভুতি এবং প্রতিক্রিয়াতে তুমি টুইস্ট ঘটাবে বলে মনে করেছিলাম।

        আমরা সবাই জানি, আমরা মারা যাবো, কিন্তু যে নিশ্চিত জানে তার আয়ু সীমিত, তার চিন্তা ভাবনা ফুটিয়ে তোলা খুবই চ্যালেঞ্জিং একটা ব্যাপার। এ পর্যন্ত, তুমি কাজটা খুব দক্ষতার সাথে এবং চমৎকার করছ। আর আমার বিশ্বাস, এখানে আমরা সবাই নিজের আনন্দের জন্য লিখি। তাই কেমন হলে ভালো হত, এটা সম্পুর্ন তোমার ওপরে নির্ভর করবে। তোমার ট্র্যাক রেকর্ড বলে তুমি এই সিরিজের একটা যথাযোগ্য পরিনতি দিতে পারবে।

        তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

        জবাব দিন
        • রকিব (০১-০৭)

          মৃত্যু-আসন্ন এমন কারো জায়গায় নিজেকে বসিয়ে ভাবার চিন্তা করছিলাম, কিন্তু নিখুত অনুভূতি পাইনি। তাই কল্পনার উপর ভর করে আগাচ্ছি 😀 ।
          আপনার সিরিজটার শেষ পর্ব কবে পাবো?


          আমি তবু বলি:
          এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

          জবাব দিন
          • মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

            আশা করি, সেই নিখুত অনুভুতি বা অভিজ্ঞতা, ইনশাল্লাহ, ফার্স্ট বা সেকেন্ড হ্যান্ড, কোনোভাবেই কোনোদিন তোমার যেন না হয়। কল্পনাটাই ভালো।

            আমি আমার পুরোতন গল্পগুলো পড়ছিলাম। অনেক জায়গাতে ফাঁক নজরে পড়ল। তাই একটু সময় নিয়ে একটা গ্রহনযোগ্য শেষ পর্ব লেখার চেষ্টা করছি। ইনশাল্লাহ, আগামি শুক্রবারের মধ্যেই শেষ করব।

            জবাব দিন
  3. রাশেদ (৯৯-০৫)

    হেই ম্যান দারুন লিখছ :thumbup: শুধু বলার জন্য বলা না সত্যি দারুন হইছে :hatsoff:
    মাইন্ড না করলে একটা কথা বলি শুধু, লেখার কিছু জায়গায় প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করলে মনে হয় লেখা গতিশীল হইত(উপরে দেখলাম শ্লথ হইছে বলে অভিযোগ করলা)। যেমন- নৈশপ্রহরীর জায়গায় নাইটগার্ড ব্যাবহার করতে পারতা। কিছু মনে কইর না। এইখানে শুধু একজন পাঠক একটা ভাল লেখাকে আর ভাল দেখার জন্য নিজের অনুভূতি জানায়ে গেল। 🙂

    অফটপিকঃ ব্যাটা তোর এইসব চা-টায়ের ব্যবসা ছাইড়া এইবার কাগজের ব্যবসার দিকে মনযোগ দেওয়া দরকার 😉


    মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

    জবাব দিন
    • রকিব (০১-০৭)
      মাইন্ড না করলে একটা কথা বলি শুধু

      এইটা কি কন 😮 :bash: !!
      ভুল না ধরিয়ে দিলে আমি শিখবো কিভাবে??
      আমার লেখা মাঝে মাঝে অগোছালো ভাবে আগায়, শব্দচয়নে সমস্যা থাকে। এগুলো দেখিয়ে দিলেই কিন্তু আমি শিখতে পারবো। ঐটা বদলে দিয়েছি, অন্য কিছু চোখে পড়লে প্লিজ জানাবেন ভাইয়া। 😀 😀

      অফটপিকঃ আজকাল সাজিদ, নাজমুল আর রাফি চা'য়ের দোকান সামলায়। :teacup: :teacup: :teacup:


      আমি তবু বলি:
      এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

      জবাব দিন
  4. তৌফিক (৯৬-০২)

    রকিব, ভালো হইতেছে। আমি আবার খন্ডাকারে লেখা উপন্যাস পড়ি না, একেবারে পড়ি। রবিন ভাই উনারটা শেষ করুক, একবারে পড়বো। তোরটা কি ভেবে যেন পড়লাম। ভালো লাগল, চালায়া যা।

    জবাব দিন
    • রকিব (০১-০৭)

      বস এইটা আসলে ঠিক উপন্যাসের ক্যাটাগরীতে পড়ে না, অনেকটা মাঝারি সাইজের গল্প 😀 । এইটা তো মাইনুল ভাইয়ের ভয়ে দিয়ে ফেলছি, পরেরটা উনি আবার ঝাড়ি দিলে দিমু :grr:


      আমি তবু বলি:
      এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : স্বপ্নচারী (১৯৯২-১৯৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।