চাওয়ালার খসড়া

বহুকাল আগে প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকীতে (সম্ভবত প্রতি শুক্রবারে বের হতো) একটা বিশেষ কলাম ছিল, নাম মনে পড়ছে না। বিভিন্ন সাহিত্যিকগণ কী পড়ছেন, কী দেখছেন এসম্বন্ধে দু’চার কলম লিখতেন সেখানে। আইডিয়াটা চুরি করে এখানেই নামিয়ে দিলাম। ভালো লাগলে সুখী, আর বিরক্ত হলে অনুযোগটুকু মাথা পেতেই নেবো।

_____________________________________________________________
কী শুনছিঃ

শ্রোতা হিসেবে নিজেকে কখনোই উঁচুদরের দাবি করবার সুযোগ হয়নি। তবে, হার্ড রক মেটার ধাঁচের গানগুলো খুব একটা কানে সয় না। গানের দোষ দেব না, বরং নিজের অক্ষমতা স্বীকার করে নিচ্ছি। বিশেষ দুর্বলতা আছে গিটারের কাজের উপর। নিজে কিছুদিন শিখেছিলাম, তার উপর ব্যক্তিগত কিছু কারণে বলা যায় খানিকটা অভিমান করেই বাজানো ছেড়ে দিয়েছি। অভিমান বড্ড বাজে ব্যাপার।

আপাতত বরং আজকাল কি শুনছি তার একটা ছোঁয়া দেয়া যাক:

মাম্মা সেইড (মেটালিকা):
মেটালিকা মূলত হেভী মেটাল ব্যান্ডদল হিসেবেই পরিচিত। ভোকালিস্ট জেমস হেটফিল্ডের লেখা “মামা সেইড” গানটা কিছুটা ব্যতিক্রম বলা চলে। শোনা যায়, মায়ের সাথে খুব একটা সুসম্পর্ক ছিল না হেটফিল্ডের। সহসা মা ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করলে হেটফিল্ডের হাত ধরেই এই গানের জন্ম হয়, ১৯৯৬ সালে। বেশি কথা হচ্ছে, নিন গানটা শুনুন বরং:

**** **** **** **** **** ****
যদিও আমার পছন্দ এই অ্যাকোস্টিক ভার্শনটা:

**** **** **** **** **** **** **** **** **** ****

ফায়ারফ্লাইস (জোনাকি) (আউল সিটি):
মার্কিনী সিন্থ-পপ প্রজেক্ট হিসেবেই পরিচিত আউল সিটি। প্রথম প্রথম যদিও আমি এটাকে একটা স্বতন্ত্র ব্যান্ডদল বলেই ভাবতাম, পড়ে দেখি না ওটা আসলে সিন্থ-পপ জনরের উপর একটা প্রজেক্ট। যাই হোক, আউল সিটির তৃতীয় অ্যালবাম ‘ওসেন আইস’ এর বেশ সুরেলা গান ফায়ারফ্লাইস। অতিথি শিল্পী ম্যাট থিয়েসেনের কণ্ঠে গাওয়া গানটায় দারুণ এক মাদকতা আছে। শুনে দেখবেন:

**** **** **** **** **** **** **** **** **** ****

উইশ আই স্টেইড (অ্যালি গোউল্ডিং):
ব্রিটিশ গায়িকা অ্যালি গোউল্ডিং; গীতিকার এবং গিটারিস্ট হিসেবেও বেশ পরিচিতি আছে। তবে তরুণী এই শিল্পী জনপ্রিয়তা পান ২০১০ সালে “ব্রিটিশ সাউন্ড অব ২০১০” এ শীর্ষস্থান দখল করার মাধ্যমে। একই বছর সমালোচকদের ভোটে জিতে নেন ব্রিট অ্যাওয়ার্ড (British Phonographic Industry Award)। অন্য একটা গান খুঁজতে গিয়েই ইউটিউবে সন্ধান মেলে অ্যালির অ্যাকোস্টিকের সাথে গাওয়া উইশ আই স্টেইড গানটার। মন্দ না (অ্যালি এবং গান দুটোই); বিশেষত অ্যালীর ব্রিটিশ অ্যাকসেন্ট বেশ মন কেড়েছে। শুনবেন নাকীঃ

**** **** **** **** **** **** **** **** **** ****

ক্লান্ত হয়ে গেলেন?
২০১০ এর সিনেমা “যদি একদিন”, কলকাতার, পরিচালক অর্ণব(রিঙ্গো) ব্যানার্জী। সিনেমা দেখিনি, তবে গানগুলো শোনা হয়ে গিয়েছে। মৃদু লয়ে গাওয়া “ডেকে যায়” গানটা আমাকে খানিকটা ডেকেই নিয়েছে যেন। ও হ্যাঁ, গানটা অনিন্দ্য চক্রবর্তীর গাওয়া।

06.Deke Jay-Anindy…

**** **** **** **** **** **** **** **** **** ****

এইবার একটা বোনাস ট্র্যাক:

যথারীতি মিফতাহ ভাই (৯৯-০৫)।

_____________________________________________________________

কী দেখছি:

অনেক কিছুই তো দেখছি রোজ, কিছু মনে রাখার মতো, কিছু ভুলে যাবার জন্যই। কি দেখছি পর্বটা আসলে পর্দায় কি দেখছি তা নিয়েই। বড় পর্দায় আমার একটু সমস্যা আছে, মাথা ধরে যায় কেন যেন। তাই ল্যাপটপের ছোট পর্দাই আমার আয়েশ মাখা অলস দুপুরের সঙ্গী, নিশি যাপনেও তার বিকল্প নেই (আঙ্গুর ফল টক বলতে পারেন, ঘরে কোন ৪০-৫০ ইঞ্চি টিভি নেই)। প্রায় মাস ছয়েক ধরে অনেক খুঁজে, অনেক বেছে গোটা চারশো সিনেমা জমিয়েছিলাম আমার পেট-মোটা হার্ড ড্রাইভে। বলা নেই, কওয়া নেই ব্যাটা একদিন সবকিছু হজম করে দিতে শুরু করলো; জানলাম এরই নাম হার্ড-ড্রাইভ ক্রাশ!!! কোন রকমে গোটা শয়েক ছবি উদ্ধার করেছি, কিন্তু দরকারি অনেক কিছুই গায়েব। সেখান থেকেই নেড়েচেড়ে কিছু দেখাদেখি চললো পেছনের ক’দিন। রিভিউ নয়, বরং আমার অনুভূতির সার-সংক্ষেপই বলি:

আবহমান (২০১০):

ভারতীয় জাতীয় চলচ্চিত্রে পুরষ্কার জিতে নেয়া সিনেমা ‘আবহমান’, পরিচালক- ঋতুপর্ণ ঘোষ। বয়সী পরিচালকের অসম প্রেম কিংবা পারিবারিক সম্পর্কের এক অন্যরকম ছবি। পরিচালক অনিকেতের ভূমিকায় দারুণ মিশে গিয়েছেন দীপঙ্কর দে। বারবার নানা প্রশ্ন, দাম্পত্য জটিলতার মধ্যে পড়েও কেন যেন কখনো শিখার সাথে তার সম্পর্কের কথা অনিকেত পরিষ্কার করে বলেননি। বরং জীবনের শেষ ভাগে এসে ছেলের (অপ্রতিম) কাছে নিজের দায়বদ্ধতা স্বীকার করে গিয়েছেন। তরুণ অভিনেত্রীর শিখার চরিত্রে মমতা শঙ্করের অভিনয়ও নজর কাঁড়া ছিল। বোদ্ধা নই, অনেকটা নিজের তৃপ্তির জন্যই দেখেছি, তাই তেমন কোন আঙ্গিক বিশ্লেষণ আমাকে দিয়ে সম্ভব হবে না। সত্য বলতে গেলে এখনো শিখছি। তবে, “আবহমান”- নিয়ে মাসুম ভাইয়ের এই লেখাটায় চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন।

**** **** **** **** **** **** **** **** **** ****

ইটস অল অ্যাবাউট মাই মাদার (১৯৯৯):

স্প্যানিশ ঘরানার সিনেমা, পরিচালক- পেদ্রো আলমোদোভার। বিদেশী ভাষার ছবি হিসেবে এটাই আমার প্রথম স্পেনিয়ার্ড সিনেমা। এবং বলতেই হয়, আমি মুগ্ধ। কাহিনীর স্বাতন্ত্র্য, অভিনয়-শিল্পীদের পারদর্শিতা এবং সর্বোপরি দক্ষ পরিচালকের অনন্যতার সমন্বয়- এই তিনে মিলে দুর্দান্ত একটা মাস্টারপিস (আমার কাছে) “অল অ্যাবাউট মাই মাদার”।
হঠাৎ করেই কিশোর ছেলের মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েন সিঙ্গেল মাদার ম্যানুয়েলা (সিসিলিয়া রোথ)। বেরিয়ে পড়েন বহু বছর আগে ছেড়ে চলে যাওয়া স্বামীর সন্ধানে। কাহিনী মধ্যপথে একটু ধীরগতির হয়ে গেলেও দর্শককে পর্দায় ধরে রাখবার যথেষ্ট উপকরণ ছিল। তরুণী নানের চরিত্রে পেনোলোভা ক্রুজও অনবদ্য ছিলেন (পুরো সিনেমায় আমার একমাত্র পূর্ব-পরিচিত অভিনেত্রী; মানে আগেও যার অভিনয় দেখবার সুযোগ হয়েছে)। ঘটনাচক্রে, ক্রুজ গর্ভবতী হয়ে পড়েন, দায় বর্তায় ম্যানুয়েলার স্বামী লোলের উপর। জন্ম নেয় শিশু এস্টিবান (নাম রাখা হয়েছিল ম্যানুয়েলার মৃত ছেলের নামে), কাহিনী আবর্তিত হতে থাকে এস্টিবান ও ম্যানুয়েলাকে নিয়েই। পুরোটা আর বলছি না, দেখবার জন্য সবিশেষ অনুরোধ রইলো। পরিচালক ছবিটা উৎসর্গ করেন এভাবে- “পৃথিবীর সকল অভিনেত্রীদের যারা অভিনেত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, সকল নারীকে যারা অভিনয় করে, সকল পুরুষকে যারা অভিনয় করেন এবং নারীতে রূপান্তরিত হন (এখানে একটু বোঝার সমস্যা আছে আমার, সম্ভবত তিনি নারী চরিত্রে রূপান্তর বুঝিয়েছেন), সকলকে যারা মা হতে চায়। এবং আমার মাকে।”
(To all actresses who have played actresses. To all women who act. To men who act and become women. To all the people who want to be mothers. To my mother.”) (তথ্যসূত্র: Wikipedia)

**** **** **** **** **** **** **** **** **** ****

হার্ড ক্যান্ডি (২০০৫):

Hard Candy (2005)

মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার হার্ড ক্যান্ডি মূলত দুটো চরিত্রকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে। ১৪-১৫ বছরের বালিকা হেইলে এবং ত্রিশোর্ধ্ব ফটোগ্রাফার জেফ কোভলার। হেইলের চরিত্রে অ্যালেন পেইজকে দেখেই আগ্রহী হয়েছিলাম; বলা বাহুল্য যে, আগ্রহে খুব একটা জল ঢালেনি ইনসেপশন খ্যাত এই অভিনেত্রী। আসলে পুরো সিনেমাটাতেই সংলাপ, কাহিনী আবর্তিত হয়েছে এই দু’জনকে নিয়েই। ইন্টারনেটে চ্যাটে প্রলুব্ধ হয়ে (কিংবা বলতে পারেন ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রলুব্ধ হয়ে) দেখা করবার আহবান পায় কিশোরী হেইলে। ক্যাফেতে দেখাও হয়, সেখান থেকে জেফের ব্যক্তিগত স্টুডিওতে ছবি তোলবার জন্য রাজি হয়ে যায় হেইলে। এক সময় ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে ড্রিঙ্কস বানিয়ে দেয় জেফকে। জেগে উঠে নিজেকে বন্দি অবস্থায় আবিষ্কার করে জেফ। জানা যায়, জেফের স্পর্শকাতর জীবন; কিশোরী মেয়েদের ছবি তোলার কথা বলে প্রলুব্ধ করে যৌন নিপীড়নের কথা। হেইলে বারবার জেফকে দায়ী করতে থাকে ডোনা নামের অপর এক নিখোঁজ কিশোরীর অন্তর্ধানের জন্য। অবশেষে নানা পরিক্রমায় সিনেমার শেষ হয় জেফের আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে; বলে রাখা ভালো এটাও কিশোরী হেইলের পরিকল্পনার অংশ ছিল। আমার কাছে হেইলের চরিত্রে অ্যালান পেজের অভিনয় যথেষ্ট শক্তিশালী এবং স্পর্শী মনে হয়েছে। স্বল্প বাজেটের চলচ্চিত্র হিসেবে মাত্র উনিশ দিনে শেষ করা হার্ড ক্যান্ডি অনেকটাই যেন প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার অসঙ্গতির প্রতি ছুড়ে দেয়া চপোটঘাত। তীক্ষ্ণ অভিনয় শৈলী এবং দৃশ্যপটই আমার কাছে এছবির মূল চালিকাশক্তি ছিল।

_____________________________________________________________

কী পড়ছি:
দেশ ছাড়বার পর থেকেই সেভাবে বাংলা বই হাতে পাওয়া হয়নি। ফলে পাঠ্যের বাইরে যতটুকু পড়া তা এই ব্লগ-পরিমণ্ডল এবং নেট ঘেঁটে খুঁজে নেওয়া স্ক্যান করা কিংবা পিডিএফ বইগুলোই। এই কাজ করতে গিয়ে চোখের বারোটা বাজিয়েছি, এখন ১৫ মিটারের দূরের ব্ল্যাকবোর্ডের লেখাও ঝাপসা লাগে। যা বলছিলাম, হাতে ধরে পাতা উলটে উলটে বই পড়বার যে স্বাদ তা অনেকদিন যাবত হারিয়ে ফেলেছিলাম। পরীক্ষা শেষে তাই একটু পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চললো। টরন্টোতে দুটো লাইব্রেরীর বিদেশি ভাষার সেকশনে বাংলা বই পাওয়া যায়, যদিও সংগ্রহ খুব একটা বড় নয়। সেখান থেকেই হাতড়ে নিয়ে পড়েছি; জহির রায়হানের উপন্যাস সমগ্র।

বরফ গলা নদী, শেষ বিকেলের মেয়ে, আরেক ফাল্গুন, তৃষ্ণা, হাজার বছর ধরে, আর কত দিন, কয়েকটি মৃত্যু, একুশে ফেব্রুয়ারি- এই উপন্যাসগুলো নিয়েই পুরো বই। ক্লাস নাইন টেনেই হাজার বছর ধরে পড়া হয়েছিল; মামার বুক শেলফ থেকে মেরে দিয়ে পড়েছিলাম বরফ গলা নদী আর শেষ বিকেলের মেয়ে। বাকীগুলোও এবার ঝুলি পূর্ণ করলো। বাংলা সাহিত্য কিংবা চলচ্চিত্র দু’পক্ষকেই আরো অনেক কিছুই দেবার ছিল জহির রায়হানের। সহজ কলমে এত শক্তি, এত গভীরতা মুগ্ধ চিত্তে কাতর করে রাখে। পূর্ব বাংলার আধুনিক যুগের ঔপন্যাসিকদের মধ্যে তিনি বেশ উঁচু আসন নিয়ে নিয়েছেন তাঁর ঐ স্বল্প সৃষ্টিতেই।

**** **** **** **** **** **** **** **** **** ****

স্বদেশী লেখিকা সাজিয়া ওমরের ইংরেজিতে লেখা “লাইক অ্যা ডায়মন্ড ইন দ্যা স্কাই” ই’বের বদৌলতে হাতে পেয়েছি। উপন্যাসের শুরুটা বেশ গতিশীল ছিল, কিন্তু মাঝপথে গিয়ে কিছুটা ধীর লয়ে চলেছে। উচ্চবিত্তের মাদকাসক্ত তারুণ্য, যৌবনের উন্মত্ততা- এসবের মাঝেও সাজিয়া বেশ নিপুণ হাতেই কিছু প্রেক্ষাপট, কিছু চরিত্রের জীবন মৃত্যু; জৈবিক-মানসিক চাহিদার সমাবর্তন ঘটিয়েছেন। মূল চরিত্র দ্বীন, এক সময়কার ভালো ছেলে পরিচয় ঝেড়ে ফেলে কামাল আতার্তুক অ্যাভিনিউ-এর কোনে তাকে দেখা যায় সিগারেট হাতে ছিনতাইয়ের শিকার খুঁজতে। বন্ধু এ.জে’কে নিয়ে হারিয়ে যায় বস্তির ভিড়ে পসরা সাজানো মাদক-ব্যবসায়ীদের মাঝে। শেষটায় যেন বেঁচে থাকার আকুতিই বড় হয়ে ওঠে দ্বীনের মননে: Let me live, God, let me live!
চারিত্রিক বিশ্লেষণে মাদক বিক্রেতা ফালানী চরিত্রটাও বেশ মিশ্র অনুভূতি সৃষ্টি করে। কখনো মায়ের চরিত্রে, কখনো বা স্নেহকাতর বড় বোনের মতো আগলে রাখতে চেয়েছে দ্বীনকে। উপন্যাসের প্রায় সবগুলোই চরিত্রেরই বিকাশ বেশ দুর্বার ভাবে শুরু হয়েও কেন যেন হঠাৎ করেই থমকে গিয়েছে বলে মনে হয়েছে। হয়তো লেখিকার ইচ্ছেই তেমন ছিল। তবে স্বীকার করছি চরিত্রের মনস্তত্ত্বে তার প্রবল এবং নির্ভার বিচরণ প্রশংসার দাবী রাখে।

উপন্যাস প্রকাশিত হবার পর কালের কণ্ঠের সামনে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে হাজিরা দিয়েছিলেন সাজিয়া ওমর। কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি:

লেখালেখিতে এলেন কী করে?
: আমি বড় হয়েছি কানাডায়। আমার বড় হওয়ার সময়টাতে চলছে টেলিফোনের রাজত্ব। কিন্তু আমার ভালো লাগত চিঠি। দেশে কাউকে ফোন করতাম না, চিঠি লিখতাম। মূলত, সেই ছিল আমার লেখালেখির শুরু।

উপন্যাস লেখা শুরু করলেন কিভাবে?
: বছর চার আগে শুরু করেছিলাম। প্লট সাজাতে অনেক সময় নিয়েছি। তখন চাকরি করতাম না। হাতে প্রচুর সময় ছিল। খুব কাছ থেকে ঘটনাগুলো দেখে সময় নিয়ে লিখেছি। লেখার আগে মাদকাসক্ত ছেলেমেয়েদের নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করতে হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারত দু জায়গাতেই করেছি। লেখা শেষ করতে প্রায় চার মাস লেগেছে। তারও প্রায় তিন বছর পর উপন্যাসটি বাজারে এসেছে।

মাঝে এত সময় নিলেন কেন?
: কাছের পাঠকের অনুভূতি, প্রতিক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করেছি। অনেকের পরামর্শ আমাকে উপন্যাসটা ঢেলে সাজাতে সাহায্য করেছে। সাহিত্য গোষ্ঠী ‘রাইটার্স ব্লক’ও অনেক সাহায্য করেছে। আমি এত দূর আসতে পারতাম না, যদি বন্ধুরা দিনের পর দিন পাশে থেকে উৎসাহ না যোগাত। আমরা একে অপরের সমালোচনা করি, গঠনমূলক আলোচনায় বড় সিদ্ধান্তও নিই। আমরা ইন্টারনেটে রাইটার্স ব্লকের যে ওয়েবসাইট করেছি, তাতে অত্যন্ত কম সময়ে প্রচুর প্রতিক্রিয়া পেয়েছি।

অনেকে এখনো আপনার উপন্যাসটি পড়েনি, তাদের এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে বলবেন কি?
: একটি বিশেষ সময়ের পটভূমিতে আধুনিক কিছু ছেলেমেয়ের চারপাশের পরিবেশ, জীবনযাপনের রীতি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। কেবল মাদক সেবন, যৌনাচার কিংবা মাস্তি-নির্ভর জীবন নয়, বরং মেট্রোপলিটন ঢাকায় তাদের সাম্প্রতিক সামাজিক চিত্রও।

বাংলাদেশের উপন্যাস হয়ে এটির ভাষা কেন ইংরেজি?
: ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা। একমাত্র এ ভাষা ব্যবহারেই আমি আমার কথা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারি। আমি চেয়েছি, আমার উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু বাইরের দুনিয়ার নজরে পড়ুক।

পেঙ্গুইন থেকে প্রকাশ করার পেছনেও কি একই কারণ?
: সত্যি বলতে, সুযোগটা আমি ভাগ্যবশত পেয়েছি। পেঙ্গুইনের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে আমার পরিচয়ের যোগসূত্র লুবনা মারিয়াম, ফেরদৌস আজিম ও নিয়াজ জামান। পাণ্ডুলিপিটি পেঙ্গুইনকে দেওয়ার পর তারা ছাপাতে আগ্রহ প্রকাশ করে। আর ভারত থেকে প্রকাশের কারণ আমাদের চেয়ে তাদের বইয়ের বাজার অনেক বড়, পাঠকও বেশি। আন্তর্জাতিক যোগাযোগেও তারা এগিয়ে।

এখন কী করছেন?
: একটি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করছি। অবসরে যোগ ব্যায়ামের সঙ্গী একমাত্র মেয়ে আমানি ও তার বাবা।

স্বপ্ন?
: রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, অরুন্ধতী রায়, অপরাহ্ উইনফ্রের সঙ্গে কফি খেতে চাই (হাসি)।

(সাক্ষাৎকার: জিনাত রিপা)

অনেক বড় হয়ে গেলো না? আসলে বহুদিন কিছু আসেনি মাথায় লিখবার মতো, তাই অনেকটা ফাঁকিবাজি এই পোষ্টের অবতারণা। কষ্ট করে যারা পড়লেন, শুনলেন এবং দেখলেন; তাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
_____________________________________________________________

যাবার আগে আরো একবার একটু জ্বালাই। সিসিবির বাইরে এটাই আমার সম্প্রতি পড়া কবিতা।

আমার হবেনা, আমি বুঝে গেছি
–আবুল হাসান

ক্লাস ভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেপ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাস্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
ক্ষমা করবেন বৃক্ষ, আপনার শাখায় আমি সত্য পাখি বসাতে পারবো না !
বানান ভীষণ ভুল হবে আর প্রুফ সংশোধন করা যেহেতু শিখিনি
ভাষায় গলদঃ আমি কি সাহসে লিখবো তবে সত্য পাখি, সচ্চরিত্র ফুল ?

আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
সচ্চরিত্র ফুল আমি যত বাগানের মোড়ে লিখতে যাই, দেখি
আমার কলম খুলে পড়ে যায় বিষ পিঁপড়ে, বিষের পুতুল !

(আজকাল বড্ড বেশি এ রকম অনুভূতি তৈরি হচ্ছে। 😐 )

৩৮ টি মন্তব্য : “চাওয়ালার খসড়া”

  1. কিবরিয়া (২০০৩-২০০৯)

    পড়ে প্রথম।।

    ভালো লাগল ভাই, গানগুলো আগেই শোনা (শেষেরটা বাদে), জোশ।

    আর মুভির কথা কি বলব ভাই Vinnaithandi Varuvaya নামের এক তামিল মুভি দেখে আর কোন মুভি দেখতে মঞ্চায় না। পারলে দেইখেন। ( ইংলিশ নাম Will you Cross the Skies for Me)। মন খারাপ করে দেওয়ার মত একটা মুভি।

    আর লাষ্টের কবতেটা পড়ে আমার নিজের জীবনের কথা মনে হইলো... 🙁 🙁

    আপ্নের এইটা সিরিজে চালান। x-( :hatsoff:


    যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
    জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
    - রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

    জবাব দিন
    • কিবরিয়া (২০০৩-২০০৯)
      x-(

      আমি এইটা আবার কখন দিলাম??!! 😮 😮
      চা ওয়ালা ভাই, এইটা কি হইলো?! :bash:


      যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
      জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
      - রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

      জবাব দিন
      • রকিব (০১-০৭)

        সিরিজ!!! আমার মতো আলসেকে দিয়ে প্যাকেজ নাটক হতে পারে, ধারাবাহিক সম্ভব না। সিনেমা যেইটা কইলি ঐটার কী ইংরেজি সাব আছে? টরেন্ট থাকলে একটু দিস। 😀


        আমি তবু বলি:
        এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

        জবাব দিন
        • কিবরিয়া (২০০৩-২০০৯)

          ভাই, এইটা টরেন্ট ডাউনলোড লিংক। দেইখেন, অনেক সুন্দর মুভি।।

          লগ ইন করতে পারতাছিনা।। সিসিবির ভুত আবার নাযিল হইছে। 🙁 🙁


          যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
          জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
          - রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

          জবাব দিন
  2. রিফাত (২০০২-২০০৮)

    ভালো লাগলো..... 🙂
    আমি আপাতত শুধুই দেখছি .......১ নং এ আবহমান দেখে ভাল্লাগলো....ঋতুপর্ণের সিনেমায় কি যেন আছে .....একবার ধরলে শেষ করতে হয়....এই সিনেমায় চোখ নিয়ে একটা গান আছে ...দারুন!...
    গান গুলো ভালো লাগলো ...!!

    জবাব দিন
  3. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    খুব সুন্দর করে লিখেছো তুমি :boss:

    আচ্ছা মাসুম ভাই কে আমাদের ত্যাগ করে চলে গিয়েছেন নাকি? অন্য ব্লগে লিখছেন, খাবি খাচ্ছেন সিসিবিতে? কেসটা কি?


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
    • রকিব (০১-০৭)

      বইটা আছে? পড়বেন নাকী? পাঠাবো?
      আমার অনুভূতিতে বইয়ে প্রধান চরিত্রগুলোর একটা বিশেষ প্রেক্ষাপট থেকে দারুণ মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ হয়েছে। তবে তারপরো কেন যেন কোথাও কোথাও অসম্পূর্ণ মনে হয়েছে।


      আমি তবু বলি:
      এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

      জবাব দিন
  4. রাশেদ (৯৯-০৫)

    পুরা লেখাটা পরে মনযোগ দিয়ে পড়ব 🙂 এখন খালি প্রিভিউতে একটা কথা দেখে আসলাম। জনকন্ঠের সাহিত্য সাময়িকিতে এরকম কিছু বের হত কিনা জানা নাই তবে প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকিতে প্রতি শুক্রবার এরকম একটা বিভাগ ছিল মনে আছে 🙂
    অফটপিকঃ তুমি তো মিয়া দেখি বিখ্যাত হয়ে গেলা 😉


    মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

    জবাব দিন
    • রকিব (০১-০৭)

      আপনিই ঠিক বলেছেন। আসলে বয়স হচ্ছে তো, সব কিছু আর আগের মতো মনে থাকে না। চশমাটা যে কোথা রাখলুম 😕
      লেখা না পড়লেও সিনেমাগুলো দেখে নিতে পারেন। শিকার কাহিনীর উপরে একটা ছোট পোষ্টও দিতে পারতেন কিন্তু রাশুদা।
      অফটপিকঃ ওয়ার্ডপ্রেসের দরিয়ায় আমি কী নিয়মিতই মন পবনের নাওয়ের সওয়ারী। কেবল লেখাগুলো সিসিবিতে পড়ে না বলেই একটু আক্ষেপ রয়ে গেছে। 🙁


      আমি তবু বলি:
      এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

      জবাব দিন
      • রাশেদ (৯৯-০৫)

        লেখাটা এতক্ষণে পুরাটা পড়লাম এবং দারুণ লাগল 🙂
        এমনিতেই অলস মানুষ তাই নিজের পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হয় কম তাই কার লেখাতে বই সিনেমা এগুলোর রিভিও থাকলে সেগুলো পড়ে দেখি পড়ব/দেখব কীনা। এরকম কিছু দিন পর পর লিখতে থাক তাইলে অলস মানুষদের কষ্ট অনেক কমে যাবে 🙂
        বাংলাদেশি কোন লেখকের ইংরেজিতে লেখা কোন উপন্যাস এখনো পড়া হয় নায় তাই এইটা নিয়ে আগ্রহ জাগল। সফট কপি আছে নাকি?

        আর তুমি যে মাঝে মাঝে আস ব্লগ স্ট্যাটে দেখি তবে কথা হল ঐখানে যা লিখি তা হল নিতান্তই "ডাল দিয়ে ভাই খাই" টাইপ। এই টাইপ লেখা কী একটা ব্লগের প্রথম পাতায় ঝুলান যায় তাই নিজের ব্লগেই থেকে যায় সেসব 🙂


        মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

        জবাব দিন
    • রকিব (০১-০৭)

      ধন্যবাদ মুহিব্বুল ভাই। আবহমান দেখেন, চমৎকার কাজ। আর গানগুলোর ব্যাপারে বলতে গেলে প্রথম আর শেষগানটা বাদে বাকীগুলো আমার নিজের প্রিয়ের তালিকাতেও নেই। তবে ঐযে বললাম, সম্প্রতি শোনা। 😛


      আমি তবু বলি:
      এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

      জবাব দিন
  5. সুমন্ত (১৯৯৩-১৯৯৯)

    এই ধরনের পোস্ট/লেখা সবসময়ই আমার জটিল লাগে, নতুন নতুন গান, সিনেমা, বই এর কথা জানা যায়, নিজের গন্ডির বাইরে বের হওয়া যায়। রকিব কে ধন্যবাদ পোস্টটার জন্য।

    সিনেমাগুলো দেখে ফেলতে হবে। গানগুলো মোটামুটি। মেটালিকার সফট গান সবসময়ই ভাল লাগে। অন্যগুলো অত ভাল লেগেছে বললে মিথ্যা বলা হবে। একটা কথা স্বীকার করে নেই, আমি গানের লিরিক শুনি না 🙁 সুর, আর কন্ঠ, এই দুটোই আমার কাছে সবচে গুরুত্বপূর্ণ। আগে আমি বাংলা গান প্রচুর শুনতাম, কিন্তু ইদানিং বাংলা গানের যে অবস্থা, দুই একটা এলবাম ছাড়া শোনার উপযুক্ত নাই। এখন তাই দেখা যায় হিন্দি গান অনেক শোনা হয়। আর সনু নিগাম, শ্রেয়া, রাহাত ফতেহ আলির কন্ঠের পাশে যখন এখনকার এইসব ইংরেজী গায়কদের কন্ঠ শুনি, তখন কেন জানি, খালি বাথরুম সিংগারদের কথা মনে পড়ে যায়। হয়ত এজন্যই ইংরেজী গান খুব কম শোনা হয়, শুনলেও পুরোন গুলো, নতুন নাহ।

    জবাব দিন
    • রকিব (০১-০৭)

      সময় নিয়ে পড়ে মন্তব্য করবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
      সিনেমাগুলোর ব্যাপারে বলতে গেলে, প্রথম দুটো আমার কাছে অপূর্ব লেগেছে, অন্তত দ্বিতীয়টা সাধারণের তকমা অতিক্রম করেছে বলতে হয়। আর গানগুলো- এগুলো আসলে ভালো লাগার গান বললে ভুল বলা হবে, বরং সম্প্রতি শোনা গানগুলোর মধ্যে একটু ব্যতিক্রমী। বিশেষতঃ আউল সিটির "ফায়ারফ্লাইস" গানটা মনোযোগ কেড়েছে এটার বিশেষ জনরের জন্য।প্রিয় গানের তালিকা দিতে গেলে এক পোষ্টে কুলাবে না, তাই আর ঐ দুঃসাহস করিনি।
      সুর-প্রীতিটা আমারো ভয়াবহ রকমের, তবে আজকাল অবশ্য কথার প্রতিও মনোযোগী হয়েছি। ইংরেজি গান খুব অল্পই শোনা হয়। মূলত আমি বাংলা আর কিছু হিন্দী গানের শ্রোতা।
      ভাইয়া, এরকম পোষ্ট দিয়ে ফেলেন দু'য়েকটা; আমরাও নতুন কিছু খুঁজে নেই।


      আমি তবু বলি:
      এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

      জবাব দিন
      • সুমন্ত (১৯৯৩-১৯৯৯)

        পোষ্ট আর আমি, হেহে, দুইটা একসাথে যায় না 😛 আর আরেক সমস্যা হল, আমার প্রিয় অপ্রিয় বোধটা মোটামুটি কড়া হলেও, পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হয় অনেক কম, আর সময় ও পাই না। কাজেই নতুন কিছু যেটা কেউ শুনেনি, কিন্তু ভাল, এরকম কিছু আমি আবিস্কার করে ফেলব, এর সম্ভাবনা নেই বল্লেই চলে। তবে সেদিন এক বন্ধুর শেয়ার থেকে একটা পাঞ্জাবী গান শুনলাম, যেটা আগে শুনি নি, কিন্তু দারুণ লেগেছে (প্রথমের কোরাসটা বাদ দিয়ে) । গানটা এখানে

        জবাব দিন
  6. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    লেখাটা ভাল লাগলো। বাংলাছবিটা দেখতে হবে। এই পরিচালকের ছবিগুলো আমারও খুব ভালো লাগে। কোন দামী সেট না, শুধুই গল্প বলে সবাইকে জমিয়ে রাখে।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কিবরিয়া (২০০৩-২০০৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।