এক কিপটে বালকের গল্প

এক ছিল বালক। আপন খেয়ালে সে ঘুরে বেড়াত মাঠ-ঘাট, বন প্রান্তরে। একটু কিপটে ছিল, তবে তাতে তেমন কোন দোষ দেখি না। তার চোখ জুড়ে ছিল অসম্ভব কল্পনার রঙ। কিপটুস হলেও মনটা ছিলো ভালোবাসায় ভরপুর। মাঝে মাঝেই সে বলতো, এ ভালোবাসা আমি কাউকে দেবো না, কেবল নিজের বুকপকেটেই হুড়কো তুলে আটকে রাখবো। যদিও বালক নিজেও বুঝতে পারেনি, কোন এক চন্দ্রাহত রাতে মায়ার বাতাসে উড়ে বুকপকেটের ভালোবাসাটুকু ভাগাভাগি হয়ে জমা পড়েছে অন্য কিছু মানুষের মনে। সে গল্প না হয় আরেক দিন বলবো।

ঘুড়ি!!! হ্যাঁ, ঘুড়ি উড়ানোটা ছিল তার নেশা। তবে ওর ঘুড়িটা কিন্তু তোমার আমার দু’পয়সার রাঙ্গা কাগজে মোড়ানো ঘুড়ি নয়, সে ওড়াতো ইচ্ছে ঘুড়ি। ইচ্ছেগুলো সাঁঝের আবিরে রাঙ্গিয়ে উড়িয়ে দিতো মনের আকাশে। নাটাই বিহীন ঘুড়িগুলো উরে বেড়াতো মনের একোন থেকে ওকোনে, আর সুযোগ ফেলেই আকাশের রঙগুলো মেখে নিত নীলচে রঙের লেজটাতে। মাঝে মাঝে অবশ্য ভো-কাট্টা হয়ে কাটা পড়তো এক বালিকার ছাদে, অবশ্যই মনের ছাদে। এগল্পও আজ বলবো না। কথা না বাড়িয়ে বরং কাজের কথায় আসি।

একদা বালকের শখ জাগিলো, কী আছে জীবনে। এ জীবনের অনেকটাই কাটিয়াছে ছোট খাটো বিদ্যা অন্বেষনে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ঝুলিতেও দু’চারখানা সার্টিফিকেট জমা পড়েছে। এবারে পিএইচডিটা করতেই হবে। যেই ভাবা সেই কাজ; ঘুড়িগুলোকে বাক্সবন্দী করে হৈ হৈ রব তুলে নামের আগায় একখান ডক্টর লাগাতে হামলে পড়লো বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। নিন্দুকেরা অবশ্য অন্য কথা বলে; পিএইচডি তো নাম কা ওয়াস্তে; বালকের ইচ্ছে নাকি গোটা কয়েক ললনাকে ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে সংযোজন করা। (সৌজন্যেঃ রাশুদা- পদ্মা নদীর মাঝি দ্রষ্টব্য)

এই হাঁড় কেপ্পন, কিঞ্চিত নাদুস নুদুস বালকের আজ জন্মদিন। কী আছে জীবনে- বলতে বলতেই অনেকটা জীবন কাটিয়ে দেয়া এই প্রিয় বালকটিকে (ওরফে আমার জ্যেষ্ঠ ভ্রাত) জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা। বড় হোন, অনেক বড়ঃ কর্মে, মননে উদ্ভাসিত করুন পৃথিবীকে। ফয়েজ ভাইয়ের দোয়াটা দিতে চাইছিলাম, কিন্তু বিশেষ কারণ বশতঃ (জীবনের হুমকি) অপরাগতা প্রকাশ করছি। সবশেষে ফেসবুকে দেওয়া আপনার ঐতিহাসিক স্ট্যাটাসের (:উইশ না কইরা প্রোফাইলে পাঁচ, দশ টাকা ফালায়ে যান ভাইয়েরা। চা- বিড়ি খাই 😀 ) তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শেষ করছি।

:awesome: শুভ জন্মদিন রায়হান আবীরদা। :goragori:

১,৭৪১ বার দেখা হয়েছে

৩৯ টি মন্তব্য : “এক কিপটে বালকের গল্প”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    হ্যাপি বাড্ডে... :party: :party: :party:

    ( পোলাডা আজকাল খালী জ্ঞানী জ্ঞানী পোস্ট দেয়... মাঝে মাঝে আগের মত ব্লগর ব্লগর দিলে ভাল হয়, মিস করি...)


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  2. মেহেদী হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    শুভ জন্মদিন আবীর...... :party:
    (আমার এবং তোমার ভাবীর পক্ষ থেকে)

    অফ টপিকঃ তোমাদের আঁধার ভাবী কমেন্টাইতে না পাইরা মনের দুঃখে সিসিবি চাবাইয়্যা খাইতেছে। জরুরী ভিত্তিতে ব্যাবস্থা গ্রহণ কর।

    জবাব দিন
  3. কিবরিয়া (২০০৩-২০০৯)

    birth day


    যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
    জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
    - রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

    জবাব দিন
  4. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    দুর,নেত্রকোণায় থাকায় পোস্ট দিতে পারিনাইক্কা-তয় আমার এসিস্তেন্ট বরাবরের মত আমারে ফেইল করায়নাই।শুভ জন্মদিন ডক্টরেট,আর রকিব্বারে থেঙ্কু :ahem:

    জবাব দিন
  5. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    রায়হানের জন্মদিনে ইংগারসোল এর ভাউ টা বাংলায় অনুবাদ করে গিফ্ট করার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু কম্পিউটারের অভাবে লিখতে পারি নাই। তবে জানায়া যাইতেছি, ইংগারসোল এর ভাউ এর যে অনুবাদটা আমি করব সেটা রায়হান আবীরকেই উৎসর্গ করা হবে...

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাহাত (২০০০-২০০৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।