খুচরো কথা- ১

১.
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে বাইরে। মাঝে মাঝে মুষুলধারে বৃষ্টির জন্য কান পেতে থাকি, সাড়া মেলে না। বৃষ্টি দেখাটা আমার নেশা, বেশ পুরানো অভ্যাস। সময়ের শুকনো রঙগুলো বৃষ্টির জলে ভিজিয়ে স্মৃতির ক্যানভাসে রঙ চড়াতে বেশ লাগে। আবছা হয়ে যাওয়া ছবিগুলোয় উজ্জ্বল রঙচ্ছটা জ্বলতে থাকে, ফেলে আসা সময়ের জোনাকগুলো আমার ভেজা মনে আলো ছিটিয়ে হারিয়ে যায়। আমি বসে থাকি; একা কিংবা বাস-ছাউনিতে দাঁড়ানো এক দঙ্গল মানুষের ভিড়ে। মুঠোফোনের অ্যাড্রেস বুকটা খুলে চেনা নামগুলোতে চোখ বুলাই, চেনা সুরের মুখচ্ছবিগুলো ধোয়াটে হয়ে সরে যেতে থাকে; তারপর, তারপর আবার হেঁটে চলি আমার গন্তব্যে। সময় থেমে নেই, তাই ভাবনাগুলোরও অবসর মেলে না।

২.
খুব একটা ভাবুক ছিলাম না কোনকালেই, তবুও শ্রাবণের সাথে আমার অন্তরঙ্গতা বহুদিনের। চারতলায় আমার রুমটার আর কিছু না থাকলেও ছিল দারুণ একটা দখিনা-জানালা। বালিশে নাক ডুবিয়ে আপন মনে আকাশের কান্না দেখতাম, কারেন্টের তারে বসে থাকা ভেজা কাকেদের গল্পে কান পাততাম। বাসার সামনেই পাচতলা একটা দালান, ওদিকেই একদিন মনোযোগী হলাম। কারণ তেমন কিছু না; বৃষ্টির ছাটে ভেজা এক নিষ্পাপ চাহনি, আর তাতে আমার অপলক, অক্লান্ত মোহময়তা। দিব্যি করে বলছি, আবেগের গাঢ়ত্ব ছিল না; ছিল না অনুরাগ রসায়নের কোন অলিখিত চুক্তিনামা। আসলে কেমন যেন একটা ভালো লাগা অনুভূতি দিয়ে যেত। মাঝে মাঝে চোখাচোখি হতো; আমি বিব্রত দৃষ্টি পর্দার আড়ালে সরিয়ে নিতাম। অদ্ভূত এক শুন্যতা তার চোখের তারায়, নির্বাক চাহনি যেন নিশ্চুপ শব্দের জাল বুনে চলেছে। মায়া খুজে বেড়াতাম, হয়তো পেতামও; কিন্তু কি জানি থেকেও ছিল না। কখনো আবার শেষ বিকেলের আলোয় দেখা হয়ে যেত, পুরনো অবস্থানেই। আমি চেয়ে থাকতাম আঁড়াল থেকে; আর সে, বদ্ধ ব্যাল্কনির গ্রীল ধরে আকাশের নিঃসঙ্গ মেঘগুলোর সাথে সন্ধি করে যেত। অবশেষে একদিন সহসাই দেখা হয়ে গেল। কালো সানগ্লাস আর কাধের পাশে ছড়িয়ে পড়া এলোচুলে অদ্ভুত মায়াবতী লাগছিল ওকে। বা’হাতে বোধহয় বড় ভাইয়ের হাত, আর ডান হাতে, একটা ভাজ করে রাখা সাদা ছড়ি। বিধাতার প্রতি নিষ্ফল আক্রোশ জমা পড়েছিল মনের খাতায়। এরপর সময় গড়িয়েছে, বহুদিন আর জানালায় উকি দিয়ে বৃষ্টিবিলাস খোজা হয়ে উঠেনি।

৩.
পুরানো অ্যাপার্টমেন্টটার সামনে একটা কনভিনেন্স ষ্টোর; মাঝবয়সী এক কানাডিয়ান ভদ্রলোককে রাতের শিফটে প্রায়ই দেখা যায়। এটা-সেটা কিনতে গেলে মাঝে মাঝে কথা হয়, বেশ মিশুক। কথায় কথায় একদিন বলে বসলেন, “তোমাদের তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর তো শুনেছি ভয়াবহ অবস্থা; এইতো ক’দিন আগে মুম্বাইতে বোমা বিস্ফোরিত হল। শুনেছি তোমাদের বাংলাদেশে নাকি মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যায় (উনি drought শব্দটা ব্যবহার করেছিলেন, ধরে নিয়েছি মঙ্গা বোঝাতে চেয়েছেন)। ভালো হয়েছে তুমি বেচে গিয়েছো এখানে এসে।” ভেতরের নির্জীব- কাপুরুষ স্বত্বা সহসাই যেন নড়ে উঠলো। ওর দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে বললাম, “ঠিকই শুনেছ, আমাদের দেশে লোক না খেতে পেয়ে মারা যাবার নজির রয়েছে; তবে নিজে না খেতে পেলেও অথিতিকে খাওয়াতে আমরা পিছপা হই না। বুকে হাত দিয়ে বলো তো ক’বার কফি খেতে গিয়ে বন্ধু কিংবা সহকর্মীর বিলটা দেবার জন্য জোরাজুরি করেছো? এখানে এসে বেচেছি কিনা জানি না, কিন্তু আন্তরিকতার বেড়াজাল ছেড়ে রক্ত মাংসের রোবট হতে পেরেছি।” ভ্রূ কুচকে তাকিয়ে ছিল। “তোমার শহরে অনেক বড় বড় দালান, আলোকসজ্জা আছে, ব্রান্ডেড পণ্যে সাজানো সুপার ষ্টোর আছে; কিন্তু মানুষের হাসিতে শুভ্রতা নেই, প্রাণের ছোয়া নেই। আমার শহরে মানুষের মুখে নির্ভেজাল হাসি আছে। বিশ্বাস করো, সে হাসিতে তোমাদের ডোর টু ডোর সেলসম্যানগুলোর মতো কমার্শিয়ালিজম নেই।” ওর হতবাক মুখের দিকে চেয়ে সেই খোলা হাসি দিয়ে বেড়িয়ে এলাম। সত্যি বলতে নিজেকে কেমন হালকা লাগছিল।

৪.
অনেকতো উলটা পালটা বকলাম, বিরক্ত হচ্ছেন? আচ্ছা এবার বরং একটা গল্প বলি। এক দঙ্গল পাগলের পাল্লায় পড়েছিলাম। প্রায় ৭-৮ জনের একটা ছোটখাটো দল, স্কুলে পড়ে কতগুলো, বাকিগুলো ভার্সিটিতে। মুখ্য কাজ পড়াশোনা, আর পার্ট টাইম জেগে জেগে স্বপ্ন দেখা, দিবাস্বপ্ন। আড্ডায় একদিন বসে পড়লাম ওদের সাথে, হাসি ঠাট্টা আর খোচাখুচি লেগেই আছে। খানিকক্ষণ পর বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলাম ওদের আড্ডাবাজির বিষয়বস্তু। ওরা দেশ নিয়ে কথা বলে, সংস্কৃতি আর সামাজিকতার ভাড়ারে হাতড়ে বেড়ায়। রাজনীতি আর দূর্নীতির পার্থক্যে চোখ বুলিয়েই ক্ষান্ত দেয় না, জোর গলায় আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের বক্তব্য ঠেলে দেয় আমার দিকে। আমি ঝুড়ি ভরা স্বপ্নের দিকে তাকিয়ে হেসে উঠি। ভালোও লাগে, প্রবাসের দমকা হাওয়ায় এই ক্ষুদ্র প্রাণগুলো হারিয়ে যেতে নারাজ, নিজেদের শিকড়টুকু উপড়ে ফেলতে গররাজি। রক্তগরম তরুণপ্রাণের ছেলেমানুষী দেখে আমি হাসি। দেশে বসে গদি ভারী করে সব অনর্থ চলছে, আর বাবু এথায় বসে ইউটিউবে দিন-বদলের পালাগান শুনছেন। বিদ্রূপ উপেক্ষিত হয়, ওরা ওদের ভাঙ্গাচোরা স্বপ্নের গল্প বলে। একটা ফান্ড বানিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে অল্প কিছু টাকা জমা পড়ে। কেন? এভাবে নাকি এই টাকা একদিন ফুলেফেপে বড় হবে; ওরা দেশের মানুষের জন্য উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেবে, কর্মসংস্থানের সু্যোগ বাড়াবে। বলি, এভাবে কতজনকে স্বর্গে তুলবে? হেসে বলে, “এক লাখ না পারি, একজনই সই।” বলি, দুর্নীতিতে আমাদের হ্যাটট্রিক আছে, এদেশের তো কিছু হবে না। চোখের তারাটা যেন দপ করে একটু জ্বলে উঠতে দেখি। বলে, “শরীরের কোথাও টিউমার হলে, পুরো শরীরটাই কি কেটে ফেলে দাও? তাহলে দেশকে কেন ফেলে দেবে ভাগাড়ে। ৫২ আর ৭১ এ লড়েছি পরদেশীদের সাথে, এবারে না হয় নিজের সাথেই যুদ্ধ হবে।” চোখ ছোট ছোট করে বিরক্তি নিয়ে তাকাই। বলি, আমাদের কি আছে? বলে, অনেক কিছু, প্রাপ্তিগুলো যোগ করে দেখো। বলি, অঙ্কে আমি কাচা। তারপর সব চুপ। একসময় উঠে দাঁড়িয়ে দরজার দিকে পা বাড়াই। পেছনে পড়ে থাকে একরাশ রূপকথার গল্প, আর হার না মানা ক’জন স্বপ্নদ্রষ্টা। আমি বোধহয় স্বপ্ন দেখতে শিখিনি।

৫.
খাবার টেবিলে দেশে যাবার কথা হচ্ছিল। এখনো এক বছর বাকী পড়ে আছে, তারপর আবার উড়াল দেবো ক’দিনের জন্য। ছোট ভাইয়ের চেচামেচি উপেক্ষা করে ভাবছিলাম কি কি করবো দেশে গিয়ে; লম্বা এক ফিরিস্তি জুটেছে। সিসিবির ভাগটা বলি; মাস্ফ্যু ভাই বলেছেন ষ্টারে আর পিজা হাটে নিয়ে খাওয়াবেন, আমি অবশ্য বেশি খাই না, কিন্তু সিনিয়রের আদেশ… না বলি কিভাবে!! আরো এক জায়গায় উনি নিয়ে যাবেন বলেছেন, কিন্তু এখানে বলার সাহস পাচ্ছি না, পাছে উনি চটে গিয়ে আমার হালুয়া বানিয়ে ফেলতে পারেন। সানা ভাইয়ের অফিসে গিয়ে কথা বন্ধুদের সাথে কথা বলবো, সামিয়াপ্পুর কাছে অনেকগুলো ক্যাডবেরী পাওনা আছে, জিহাদ ভাই বলেছে, রাত ২টার পর উনি কোথায় নাকি কিয়ে যাবেন গরম ছানার জিলিপী খাবার জন্য, মাহমুদ ভাইয়ের কাছে যাবো সুপ্রভার চিঠি পড়তে, চান্স পেলে লুকিয়ে ওনার ডাইরীর পাতাও উল্টাবো। রায়হান ভাই আর তুহিন ভাইয়ের কাছে আরশীনগরের গল্প শোনাটাতো বাকী পড়ে আছে। মুহাম্মদ ভাই যদি একটা টাইম মেশিন বা্নিয়ে দিতো!!! রাশেদ ভাইয়ের কাছ থেকে গল্প শুনবো, সময় হবে তো উনার? তপু ভাইকে দেশে পেলে ভালো হতো, উনার আপুসোনাগুলোর ভাগ চাইতাম। তাইফুর ভাইয়ের সাথে একটু গ্যাঞ্জাম পাকাবো, উনারে ব্লগে পাই না। নাজমুল, রাফি, সাজিদ আর তাহমিনুলকে চায়ের দোকানের দলিলপত্র বুঝিয়ে দিতে হবে। জুনা ভাই, জুলহাস ভাই আর রহমান ভাইয়ের নামে হাইকোর্টে মামলা করবো, উনারা কই যান গা ঢাকা দিয়েছেন। ফয়েজ ভাইয়ের ক্লাশে গিয়ে কয়েকটা পাপ্পারাজি ফটুক তোলার ইচ্ছা আছে, তবে ধরা পড়লে আমি শ্যাষ। ইউসুফ মামা আমার জন্য ফ্রিজে কেক রেখে দিয়েছেন, ওটাও খেতে হবে। আর শওকত ভাইয়ের মুভির ডিভিডিগুলা মেরে দেয়ার ইচ্ছে আছে, আল্লাহ ভরসা। কাইয়ুম ভাইয়ের সাথে জি,ই,সি এর মোড়ে লেডি ক্যাডেট দেখতে যাবো। কামরুল ভাই তো বলে রেখেছেন, উনার পরবর্তী ছবিতে আমি চাওয়ালার চরিত্রে অভিনয় করছি, সঙ্গে নাকি প্রভাও থাকবে, ভালোই। রবিন ভাই কইছে আই,এস,ডি সিম দিয়ে বানানো একটা লকেট গিফট করবে, ঐটায় নাকি আবার ইনকামিং-আউটগোয়িং ফ্রি। আকাশদা কলকাইত্যার পানিপুরি খাওয়াবেন তো? তানভীর ভাইয়ের হাতে পায়ে ধরবো স্বাতী আপুর সাথে পরিচয় করাবার জন্য, জানি দিবে না। মঈনুল ভাইইয়ের পিচ্চিটার সাথে দেখা করতে হবে, সানগ্লাস পড়ে বাপ-মেয়েতে ফেসবুকে একটা ছবি দিয়েছে, অসাধারণ; যারা দেখেন নাই, এখনই দেখে আসেন। এই সামারে তৌফিক ভাই পরাটা খাবার দাওয়াত দিয়েছিলেন, সু্যোগ তো মিললো না, ভাবছি দেশে গিয়ে ভাবীর হাতের পরাটাই খাবো। আরো অনেক অনেক প্ল্যান আছে, কোনটা ছেড়ে কোনটা বলবো বুঝতে পারছি না।

৬.
ছোট্ট একটা মুঠোবার্তা পেলাম, “দূরে নেই, আজো কাছে আছি, আছি পাশাপাশি। যেমনটি ছিলাম ফেলে আসা ছ’বছর।” ধুর এসব উলটা পালটা মেসেজ যে কেনো পাঠায়, অর্থহীন সংলাপ। বিরক্তি ভরে ফোনটা বন্ধ করে হাতের তেলোয় ভিজে ওঠা চোখের কোণাটা মুছে নেই। দু’বছর তো পেরিয়ে গেলো, পাড়ি দিয়েছি প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মাইল। দূরত্বের প্রতিকূলতা আমাদের বদলাতে দেয়নি, জানি সব বদলে গেলেও বদলাবে না আমাদের বন্ধুত্বের রঙ, গাঢ়ত্ব। অবশেষে অসম্ভব প্রশান্তিময় অনুভূতি বুকে নিয়ে ঘুমুতে যাচ্ছি।

(ডিস্ক্লেইমারঃ মস্তিষ্কের তারে শর্ট সার্কিট হয়েছে। এটা বোধ করি তারই প্রতিফলন।)

৬,৮৪০ বার দেখা হয়েছে

৮১ টি মন্তব্য : “খুচরো কথা- ১”

  1. রাশেদ (৯৯-০৫)

    ০১/০২
    যাদের বৃষ্টির সাথে সখ্যতা আছে তাদের মাইনাস তাই তোমারেও মাইনাস :grr:

    ০৩।
    হুম

    ০৪।
    সবাই বড় হয়ে যাচ্ছে 🙂

    ০৫।
    এত দাবী আদায় করাবা কেমনে 😛

    ০৬।
    আবার হুম


    মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

    জবাব দিন
  2. তৌফিক (৯৬-০২)
    মাঝে মাঝে মুষুলধারে বৃষ্টির জন্য কান পেতে থাকি, সাড়া মেলে না।
    এই ক্ষুদ্র প্রাণগুলো হারিয়ে যেতে নারাজ, নিজেদের শিকড়টুকু উপড়ে ফেলতে গররাজি।

    অসাধারণ।

    সাবাস রকিব :salute:

    জবাব দিন
  3. ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

    শোন রকিব,

    আমি অফিসে, কাজের ফাঁকে চোখ বুলাচ্ছিলাম।
    তোমার লেখাটি পড়ে ফের লগ ইন হলাম।

    সব খুচরাংশই খুব খুব সুন্দর । চমৎকার লেখা তোমার। :clap:

    অনেক ভাল থেকো প্রিয়।


    সৈয়দ সাফী

    জবাব দিন
  4. রকিব,

    সিসিবি'তে ঢুকে শিরোনাম আর লেখকের নাম দেখি সবার প্রথম প্রতিটি লেখার। যাদের লেখা পড়ে আমার শরীরে শীতল স্রোত বয়ে যায় তাদের মধ্যে তুই একজন। কেননা জানি, এই শব্দগুচ্ছের মাঝে আমার জন্য অনেক ভালোলাগা, অনেক মোহনীয়তা আর অনেক আনন্দ অপেক্ষা করছে।

    যদি প্রেম করিস তাহলে এই ভালোলাগা টের পাবি-- যখন তোর প্রিয় মানুষটার সাথে সম্পর্কের প্রথম দিকে মোবাইল স্ক্রিণে তার নাম দেখতে পাবি-- তখন এই শীতল স্রোত বয়ে যাতে তোর ভেতরে, যার শুরু বুক থেকে... এইটা মনে হয় খুব বেশি ভালোলাগার একটা অনুভূতি। তোর শব্দ দিয়ে গাঁথা এই মালা আমার কতটা ভালো লেগেছে তা আমি আর কোনভাবে প্রকাশ করতে পারব না... :dreamy: :dreamy:

    আরেকটু বলি--
    সরাসরি প্রিয়তে যোগ দিয়ে ৫ তারা দিয়ে দিলাম 😀

    অনুভূতির অসাধারণ বহির্প্রকাশ !!
    :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:

    জবাব দিন
  5. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    রকিব অসাধারণ। আমার কাছে অসম্ভব ভাল লেগেছে লেখাটা। মনে হয় এখন পর্যন্ত তোমার লেখা সেরা এইটা। তবে একটা কথা

    উনার আপুসোনাগুলোর ভাগ চাইতাম

    এই জায়গায় আমি খুবই খারাপ, কোন ভাগ নাই। আমার আপুসোনা একাই আমার।তবে দেখা করাইতে পারি যাতে হিংসিত হইতে পার।

    জবাব দিন
  6. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    অসাধারন লেখা রকিব :hatsoff: :hatsoff:

    আর কোলকাতার কিছু খাইতে চাইলে মাস্ফ্যুর( 😡 ) সাথে যোগাযোগ করো, ঢাকাইয়্যা ফুচকা খাইতে চাইলে আমারে আওয়াজ দিও...


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  7. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    চমৎকার।
    বেশি প্রশংসা করবো না, তোর ভাব বেড়ে যাবে। :thumbup:


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  8. তানভীর (৯৪-০০)

    তোমার আরেকটা দারুণ লিখা রকিব। এত সুন্দর করে কিভাবে যে লিখ বুঝিনা!
    আগামী বছর আসতেছ নাকি? কবের দিকে আসবা?

    তানভীর ভাইয়ের হাতে পায়ে ধরবো স্বাতী আপুর সাথে পরিচয় করাবার জন্য, জানি দিবে না।

    এরকম কেউ থাকলেই না পরিচয় করাইয়ে দিতাম রে! খালি আফসুস আর আফসুস!! অর্ধেক জীবন এভাবেই পার হয়ে গেল...(দীর্ঘশ্বাস)!

    জবাব দিন
  9. রাফি (০২-০৭)
    নাজমুল, রাফি, সাজিদ আর তাহমিনুলকে চায়ের দোকানের দলিলপত্র বুঝিয়ে দিতে হবে।

    নিজের নামটা দেখে ভাল লাগল, কিন্তু রকিব ভাই, শেষে মন্টা পুরাই খারাপ কইরা দিসেন! আর আপনার একটা বিশাল ফ্যান আমি এইটা আবারও আপনাকে মনে করায় দিলাম সরাসরি ৫ তারা আর প্রিয়তে যোগ করে! দেশে আসেন, অনেক দিন আপনাকে দেখি না................

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মঞ্জুর (১৯৯৯-২০০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।