একটি জন্মদিন…এবং কিছু প্রেম কিংবা পাগলামি…

পূর্বকথন: ব্লগে দ্বিতীয় লেখা লিখতে যাচ্ছি।আসলে অনেক দিন থেকেই লেখা শুরুর ইচ্ছা থাকলেও সদস্য হওয়ার জটিলতা,আমার অজ্ঞতা,আলসেমি আর একটু ভীতির কারণে দেরী হয়ে গেল।ব্লগে ঢুকলাম কোনো রকম অনুশীলন ছাড়াই।দর্শক হিসেবে বসে থাকতে থাকতে মনে হলো মাঠে নেমে পড়ি।ব্লগ লেখার ইচ্ছার পেছনের কারণ,আমার মাথা ও মনে ঘুরপাক খাওয়া কিছু কাহিনী ও প্যাচাল বাইরে নিয়ে আসা-তো এসব আনাড়ি দের কে দিয়ে ওপেনিং করা সম্ভব নয় বলে অনেক দিন আগে লেখা একমাত্র সভ্য কবিতা বা গান[অন্যের সামনে প্রকাশযোগ্য]কে ফেসবুক নোটস থেকে কপি পেস্ট করে কোনমতে বাংলায় রূপান্তর করে পোস্ট করে দিলাম।ওপেনিং দেখে কিছুটা আশার সঞ্চার হলো তাই এবার অন্যদের ও পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। ….[বেশি প্যাচাল পারার জন্য দুখিত ]

যেহেতু এটা সিসিবি তাই প্রায় প্রতিটি গল্পের নায়ক এর ই অন্যতম যোগ্যতা হলো সে ক্যাডেট।এ গল্পের নায়ক ও একজন ক্যাডেট,তবে তার অন্যতম এবং একমাত্র যোগ্যতা সে কোনমতে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হয়ে ক্যাডেট সাইনবোর্ড টা নিজের পিঠে লাগাতে পেরেছে।কলেজে সে একজন নিভৃত ক্যাডেট হিসেবে দিনাতিপাত করেছে।তবে কলেজের বাইরে এই সাইন বোর্ড কাজে লাগাতে সে ভুল করেনি।
জীবনে অনেক মেয়েকে ভালো লাগলেও সেই কাঙ্খিত একজনের আগমনের পর, প্রেম নিবেদনের প্রত্যুষ লগ্নে এই সাইনবোর্ড চারিত্রিক সনদপত্র হিসেবে বেশ কাজে দিয়েছিল।তার প্রেমের উপাখ্যান আজ বলব না,এই প্রেমিকের কিছু প্রেম কিংবা পাগলামির কথা বলব।

আমাদের নায়কের নাম মুহিব।কারো জন্মদিনে বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানানোর বিষয়ে তার তেমন আগ্রহ ছিল না।তবে অনেক আগে একবার একটা নাটক দেখতে গিয়ে এ বিষয়টা তার মাথায় ঢুকে যায়।নাটকের দৃশ্য টা ছিল এরকম-নায়িকার জন্মদিন..নায়ক রাত বারোটার কিছু আগে বাড়ি থেকে বের হলো…অনেক কাহিনী করে নায়িকার দোতলার বারান্দায় উঠে ফুল,কেক আর মোমবাতি জালিয়ে রেখে নিচে নেমে এলো।এদিকে নায়কের ফোন বন্ধ,নায়িকা রেগে অস্থির,পরে নায়ক নায়িকা কে ফোন করে বারান্দায় আসতে বলল……তারপর বুঝতেই পারছেন..।তো এই দৃশ্যের রোমান্টিসিজমে মুহিব যারপর নাই মুগ্ধ হলো এবং ভাবলো জীবনে একবার এরকম ঘটনা না ঘটাতে পারলে জীবন টাই বৃথা।কিন্তু এ ধরনের রিস্কি ব্যাপার তো আর যার তার জন্মদিনে করা যায় না,বিশেষ কারো জন্য করতে হয়।সেই কাঙ্খিত কেউ একজন তার জীবনে এলো বেশ ক বছর পর।অবশেষে তার জন্মদিন ও এলো,কিন্তু এক বিশেষ ধরনের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে পড়ার কারণে মুহিব তখন বাড়ির বাইরে।অর্থাত সে কিছুই করতে পারল না।

আর ও এক বছর অপেক্ষা…তারপর আবার সেই দিন।ততদিনে সে কলেজ থেকে বেরিয়েছে…এবং বের হয়েই এক টর্নেডো ঝরে[ভর্তি-পরীক্ষা] মোটামুটি লন্ডভন্ড অবস্থায় কোনমতে জীবনধারণ করছে।”আর্মি তে হয়ত চান্স পাইয়া যাব”- এই আশায় পড়ালেখা খুব একটা সে করেনি।ফলাফল: আর্মিতে প্রত্যাখাত এবং অন্য কোথাও….কিছু হলো না।বাড়ির অবস্থা তখন ভয়ঙ্কর।পিতৃদেব ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।সামনে ঈদ।আর ঈদের পর ই সেই দিন।মুহিব বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো এবং মনে মনে ঠিক করলো যেভাবেই হোক এবার কিছু ১ টা করতে হবে।বাড়ির অবস্থা আশংকাজনক ভেবেছিল,তবে এতটা ভাবে নি।পিতৃদেবের রক্তচক্ষুর দৃষ্টি ই তাকে ভস্ম করে দিল। মুহিব খুব চেষ্টা করতে থাকলো ভুলেও তার সামনে না পরার।তার দিন কাটতে থাকলো একটি বদ্ধ ঘরে। চোখের সামনে ভর্তি গাইড…মাথার ভেতর হাজারটা প্ল্যান।সারা দিন সে ঘরের মধ্যে বন্দী।দিনে ৪-৫ বার নামাজ পড়তে যাবার বদৌলতে বাইরের আলো বাতাস কিঞ্চিত গায়ে মাখার সুযোগ পাচ্ছিল।ঈদ পার হয়ে গেল।সেই দিন ও ঘনিয়ে এলো।

বাড়িতে আসার পর সে প্রথম যে কাজটি করেছিল সেটা হলো বাড়ি থেকে বের হওয়ার বিকল্প রাস্তা খুঁজে বের করা।তাদের বাড়ি একতলা,মুহিব বিকল্প রাস্তা হিসেবে ছাদ দিয়ে উঠানামা প্রাকটিস শুরু করলো।যেহেতু তাকে রাতে বাড়ি থেকে বের হতে হবে তাই বিকল্প রাস্তা ছাড়া উপায় ছিল না।মুহিবের শারীরিক গরন আহামরি কিছু নয়,বেশ হ্যাংলা-পাতলা বলা যেতে পারে।তবে দৈহিক উচ্চতা জনিত সুবিধার কারণে,নিজেদের ছাদ থেকে পাশের টিনের চালে নেমে, দেয়াল বেয়ে উঠানামা করতে তার বেশি বেগ পেতে হলো না।

গিফট হিসেবে কি দেওয়া যায় সেটা নিয়ে অনেক দিন থেকেই ভাবছে…অর্থনৈতিক অবস্থাও তখন মন্দার দিকে।অবশেষে ঠিক করলো ফুল ই দিতে হবে।সেই পুরনো থিওরি-জীবনে যত বসন্ত এসেছে ঠিক সেই সংখ্যক গোলাপ।ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সে ফুল কিনতে বের হলো।১১৫ টাকা দিয়ে ফুল কেনা এবং তোরা বাধায় হয়ে গেল।সেদিন বাজারে ফুলের বেচাকেনা ছিল রমরমা।আসলে সেই বিশেষ দিনটি আমাদের দেশ ও জাতির জন্যও এক গৌরবময় দিন ছিল।তারিখ টা ১৬ই ডিসেম্বর,অর্থাত আমাদের মহান বিজয় দিবস।১৫ তারিখ সন্ধ্যায় মুহিব ফুল কিনে বাড়ি ফিরছে।আজ রাত বারোটায় তার মিশন।বিজয়ের সেই প্রথম প্রহরে সে তার মিশনে হারতে চায় নি।

বাড়ি ফিরেই দেয়াল বেয়ে ছাদে উঠলো।কাধে ব্যাগ আর ফুল সমেত উঠতে গিয়ে ফুলের কিছু টা ক্ষতি হলো।অন্ধকারে বোঝাও যায় না,ফুলের সংখ্যা ঠিক না হলে তো কেলেঙ্কারিয়াস ব্যাপার হয়ে যাবে।কয়েকবার গণনার পর নিশ্চিত হয়ে ফুলের তোরাটা ব্যাগের কোনায় ঢুকিয়ে দিয়ে পাশের টিনের চালের শিম গাছের পাতার আড়ালে লুকিয়ে রাখল।..এর কারণ হলো এতে করে সেগুলো কেউ দেখতে পাবে না এবং শিশিরের ছোয়ায় ফুল ১০০ ভাগ সতেজ থাকবে।বাসায় ঢোকার পর শুরু হলো অপেক্ষার পালা….

বাড়ি থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে সে যে প্ল্যান করেছিল তা হলো-পিতৃদেব ১১ টার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন।শীতের রাত তাই মা ও সারে ১১ টার মধ্যে শুয়ে পড়েন।সবাই শুয়ে পড়লে সারে ১১ টার পর ছোট বোন কে ম্যানেজ করে ছাদে উঠে বেরিয়ে পরবে।সারে ১১ টা বাজতে চলল..কিন্তু আজ মা ঘুমতে যাচ্ছেন না।এখন বের না হলে তো সময়মত পৌছাতে পারবে না।কি করা যায়,কি করা যায়…হুট করেই মাথায় একটা বুদ্ধি এসে গেল।সেই বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরার বদৌলতে জীবন ধারণের প্রয়োজনে তাকে অনেক কিছুই শিখতে হয়েছে-যেমন কঠিন বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য নিখুত চাপাবাজি।যদিও মার সাথে সেটা করতে খুব কষ্ট হচ্ছিল।মাকে সে যতখানি ভয় পায় তার চেয়ে বেশি ভালবাসে।কিন্তু ওই মহুর্তে এছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।নিখুত চাপা উপস্থাপন করতে মুহিব কোনো ফাক রাখল না।১১ টা ৩৭ এর দিকে সে তার ফোন কানে নিয়ে একটু জোরে জোরে বলতে থাকলো-হা দোস্ত, কি হইছে…কি বলিস…তুই এখন কই..আচ্ছা তুই চিন্তা করিস না আমি দেখতেছি।ফোন রেখে মুহিব মার কাছে এলো,আম্মা একটা ঝামেলা হয়ে গেছে-আমার এক ফ্রেন্ড দিনাজপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছিল।স্টেশনে নাকি অনেক ভির ছিল,মানিব্যাগ গেছে,টাকা টিকেট সব ছিল।১২ টার দিকে তো ট্রেন আমাদের এখানে পৌছাবে মনে হয় ।আমি একটু যাই স্টেশনে।মা ঘটনা বিশ্বাস করলেন।মুহিব রেডি হয়ে বের হবার সময় ঘটনা কে আর ও বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য মার কাছে কিছু টাকা চাইল।মা টাকা দিলেন এবং সাবধানে যেতে বললেন।যাবার সময় মা গেটে কিছুক্ষণ দাড়ালেন তাই সে সরাসরি কাঙ্খিত জায়গায় যেতে পারল না।সামনে যেতে থাকলো,মা চলে যাবার পর উল্টা ঘুরে সেই দেয়ালের সামনে এলো।

শীতের রাত,চারিদিকে শুধু ঘুম,দেয়ালে উঠতে গিয়ে মুহিবের গা ছম ছম করে উঠলো।এই বুঝি কেউ হুঙ্কার দিল- চোর! চোর!….।আস্তে আস্তে ব্যাগটা নামিয়ে ঘাড়ে নিল।চাদর দিয়ে ফুলগুলো একটু আড়াল করলো।তারপর চিপাগলি রাস্তা পার হয়ে মেন রোডে চলে আসলো।কিছুদুর যাবার পর ১ টা রিক্সা দেখতে পেল।নিরাপত্তার খাতিরেই সে রিক্সাটা নিল কারণ যে পাড়ায় সে ঢুকতে যাচ্চ্ছে,নানা অরাজকতার জন্য সেখানকার বিশেষ সুখ্যাতি রয়েছে।১৬ ই ডিসেম্বর উপলক্ষে অবস্য রাস্তায় লোকজনের আনাগোনা ছিল।কাধে ব্যাগ নেয়ার অন্যতম কারণ-.কারো কাছে ধরা পরে গেলে যাতে সে বলতে পারে বা তাকে দেখে যেন মনে হয় সে ট্রেন ধরতে যাচ্ছে বা রাতের কোচে ঢাকা থেকে ফিরছে।

রিকশায় যেতে যেতে সে তাকে একবার ফোন দিল তার বাড়ির আপডেট জানতে-.হ্যালো…তোমার আব্বু আম্মু কি করে.?…ঘুমাইছে..?…তার জবাব…না…টিভি দেখে….কেন..?এই,, তুমি কোথায়!!??..মুহিব কিছু না বলে ফোন কেটে দেয়।মনে মনে ভাবলো ভালই হলো,বাবা-মা অন্যদিকে ব্যস্ত আছে।তার বাড়ির কিছু অদূরে,রিক্সা দাড় করালো।মামা, স্টেশন যাব,এইখানে একটু কাজ আছে,যাব আর আসব।আপনি একটু দাড়ান।রিক্সাওলার শুকনা উত্তর-.ভাড়াটা একটু বাড়ায়ে দিয়েন।
সে চারপাশে তাকিয়ে, হাটা শুরু করলো।.বুক ঢিপ ঢিপ করছে,দ্রুত তার বাড়ির গলিতে ঢুকে পড়ল।মুহিবের কপাল ভালো ছিল,কারণ সেই নাটকের দৃশ্যের মতন তার নায়িকার বাড়ি দোতলা নয়।তার জানালার সামনে গিয়ে জোরে নিশ্বাস নিতে নিতে ঘড়ি দেখল.-১১ টা ৫৫….আরো ৫ মিনিট!! পাশের বাড়ির বারান্দায় আলো জলছে।সেই আলোর ছায়া বাঁচিয়ে কোনমতে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলো।৫ মিনিট কে ৫ ঘন্টার মত মনে হলো আর বুকের ভেতর মনে হলো আর্টসেলের সাজু ড্রাম(ডাবল-বিট) বাজাচ্ছে।

তার জানালা বন্ধ,একবার টেনে দেখল ভেতর থেকে আটকানো।১১ টা ৫৯ এ তাকে কল করলো-…হ্যালো…..তাড়াতাড়ি তোমার জানালাটা খোল….তার জবাব…মানে!!!?”?আমি তোমার জানালার সামনে…ফোন কেটে দিল।একটু পর তার জানালা খোলার আওয়াজ পাওয়া গেল।মুহিব নিজেই হাত দিয়ে টেনে খুলে ফেলল।তারপর !!”??ঘরের ভেতর অন্ধকার।আবছা আলোয় কোনমতে তাকে দেখা যাচ্ছে।তার বিস্মিত ফিসফাস….তুমি!!!??..মুহিব কিছু বলল না।সে ফুলের তোরা টা নকশা আকা জানালার গ্রিলের ফাক দিয়ে অনেক কষ্টে ঢুকিয়ে দিল। তারপর ব্যাগ খুলে কাগজে মোড়ানো একটা বস্তু বের করে আনলো।তার মধ্যে কি ছিল?? সেটা অবস্য আগে বলা হয় নি..তার মধ্যে ছিল ঢাকা থেকে আসার আগে এলিফ্যান্ট রোডের ফুটপাত থেকে ১০০ টাকা দিয়ে কেনা এক জোড়া ফ্ল্যাট জুতা..(ঢাকার মেয়েদের হাল-ফ্যাশন )।

সেটি দেবার সময় তার আর একবার বিস্ময় প্রকাশ….এর মধ্যে কি আছে !!!??সে আমতা আমতা করে বলল জুতা…. সেই সময় তার চেহারা কেমন হয়েছিল অন্ধকারের কারণে মুহিব তা দেখতে পায়নি।উত্তেজনা আর উত্কন্ঠায় আসল কথা ই বলতে ভুলে যাচ্ছিল-কোনমতে একনাগাড়ে বলল…হ্যাপী বার্থডে..শুভ জন্মদিন…রিক্সা দাড় করায়ে রাখছি..যাচ্ছি..পরে ফোন দিব..জানলা লাগায়ে দাও।তার মুখে কোনো কথা নাই।বিস্ময়ের ঘোর তখনও হয়ত কাটেনি।মুহিব জানালার পাল্লাটা লাগিয়ে দিয়ে হাটা শুরু করলো।

..এতক্ষন কি হলো,সে কিছুই বুঝতে পারছিল না।শুধু একবার মনে হলো,কাজটা সে করে ফেলেছে।সে হারেনি।রিক্সা নিয়ে মুহিব স্টেশনেই গেল।সেই ট্রেন আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করলো।তারপর বাড়ি ফিরল।ঘাড়ের ব্যাগটা তার জানালার সানসেটের উপর রেখে গেটের সামনে গিয়ে মাকে মিস কল দিল।পরে মা তেমন কিছু জিগ্যেস করেন নি।সে নিজের ঘরে ঢুকলো।মুঠোফোন হাতে অপেক্ষা….তর সইছে না…..কখন তার মুখ থেকে শুনবে নিজের বিজয়্গাথার প্রতিক্রিয়া……

—-**—–

বি: দ্র:.. ** জুতা কেনার সময় মাপ নিয়ে কিঞ্চিত কনফিউসন হলেও মুহিব ভেবেছিল তার আন্দাজ ঠিক ই হবে …পরে জানতে পেরেছে অনেক চেষ্টা করেও তার পায়ে জুতাখানা ঢোকেনি…!!!.(এখানে মুহিবের কি বা দোষ ..জীবনে যে অল্প ক’বার তাকে দেখার সুযোগ হয়েছে তখন তার মুখখানা দেখাতেই সে ব্যস্ত ছিল, পায়ের দিকে আর খেয়াল করা হয় নি…)

*** মুহিবের প্রেমের বয়স তিন বছর হতে চলল …সে ও তার সেই বিশেষ মানুসটা একসাথে এগিয়ে চলছে…যদিও সামনে অনেক ঝর-তুফান অবস্যম্ভাবী….উপরের ঘটনা টা মনে পড়লে মুহিব আজ ও রোমাঞ্চিত হয় …শুধু মাকে বলা সেই মিথ্যার জন্য মনটা খচখচ করে…সে ঠিক করে রেখেছে…যেদিন তাকে পুরোপুরিভাবে পাবে(বিয়ের-দিন )…সেদিন দুজন মিলে মার কাছে পুরো ঘটনাটা খুলে বলে মাফ চাইবে …মুহিবের দৃঢ় বিশ্বাস তার স্নেহময়ী মা সন্তানের এই অপরাধ ক্ষমা করে দিবেন….মুহিব সেই দিনের অপেক্ষায়…..

প্রিয় পাঠক,আসুন আমরাও এই পাগল প্রেমিক ও তার প্রেমের সফল পরিণতির জন্য একটু দোয়া করে দিই…..

৩,৯৬৫ বার দেখা হয়েছে

৭৮ টি মন্তব্য : “একটি জন্মদিন…এবং কিছু প্রেম কিংবা পাগলামি…”

  1. রিফাত (২০০২-২০০৮)

    যতি-চিহ্ন ব্যবহারে অনীহা এবং বানান-ভ্রস্ততার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত...[কারণ:সময়-সল্পতা]
    সম্পূর্ণ নতুন একটা ভাষা শিখতে গিয়ে আমি হারে হারে টের পেয়েছি,মাতৃভাষার মর্ম .....বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি ভাষা শহীদদের....তাদের আত্মত্যাগের জন্যই আজ আমি বাংলায় চিন্তা করতে পারছি...বাংলায় লিখতে পারছি...বাংলা আমার প্রানের স্পন্দন--বাংলা ছাড়া আমি আমার অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারি না...পৃথিবীর যে প্রান্তে..যে ভাবেই বেচে থাকিনা কেন...বাংলা কে নিয়ে এবং বাংলার মাঝেই বেচে থাকব...

    জবাব দিন
  2. রাফি (২০০২-২০০৮)

    কিরে পোলাপাইন কি বেহুদাই অনলাইন থাকে নাকি?????? ;)) ;)) ;))
    ফার্স্ট হইয়া পুরাটা পইরা কমেন্টও দিয়া ফালাইসি এখনও কেউ কমেন্ট করতে পারে নাই?????? 😮 😮 😮
    লেখা কঠিন হইসে চালাইয়া যা। :gulli: :gulli: :gulli: :gulli:


    R@fee

    জবাব দিন
  3. আছিব (২০০০-২০০৬)

    ওরে,ভাই রে......ভালো স্টাইলে লিখছিস :thumbup: :clap:

    কিন্তু,আমার মনে হচ্ছে মুহিব নামটা আসলে রিফাতের ''উরফে'' নাম।আত্মকাহিনী বর্ণনা ভালোই দিয়েছিস। :khekz:
    শোন,বানানের দিকে খেয়াল রাখিস,আরো জোশ হবে :-B

    জবাব দিন
  4. রাফি (২০০২-২০০৮)

    চা খাইয়া জটিল মজা পাইলাম।আপনার চা এতো বিখ্যাত কেন বুঝলাম। 😀 😀 😀
    @পিন্টু ভাই আমি ক্যাডেট ভুইলা গেলেন নাকি????
    😮 😮 😮
    র‍্যাগের ভয় দেখাইলেন মনে হয়?????


    R@fee

    জবাব দিন
  5. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    রিফাত,প্রেম বিষয়ক গল্প আমার খুব পছন্দের। একটু দেরীতে হলেও খু্ললাম।
    তোমার পরের লেখায় দুটো জিনিষ খেয়াল করবে। প্যারা রাখবে এতে পাঠকের পড়তে সুবিধা হয় আর বাক্য পূর্ন করবে। ... এর পরিমিত ব্যবহার হলে এর গূরুত্ব থাকে।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
  6. আশহাব (২০০২-০৮)

    সাবাশ রিফাত, জটিল লিখতেসোস :thumbup:
    দোস্ত তোর ফেসবুক আইডি কিরে??? :hug:
    আর আছিব ভাই তো পুরাই শেষ :khekz: আমরার পোলাপাইনও এখন ভাই রে পিন্টু ডাকে :khekz: :goragori:
    ভাই, আমি কিন্তু ডাকি নাই :hug:


    "Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
    - A Concerto Is a Conversation

    জবাব দিন
  7. তানভীর (৯৪-০০)

    কাহিনীটা বেশ ইন্টারেস্টিং।

    সুন্দর করে লিখেছ, কিন্তু আরেকটু যত্ন নিয়ে লিখলে আমাদের পড়তে আরো ভালো লাগত। যেমন- ডটগুলো মুছে দিয়ে দাঁড়ি কিংবা কমা ব্যবহার করতে পারতে।

    পাগল প্রেমিক ও তার প্রেমের সফল পরিণতির জন্য একটু দোয়া করে দিলাম। 🙂

    জবাব দিন
  8. আশহাব (২০০২-০৮)

    সবাই তো ভালোবাইসাই ডাকে
    তাইলে আইজ থেইকা আমিও ডাকুম, পিন্টু ভাই 😀
    ভাই, ব্লগ লিখতে পারলে কি আর বইসা থাকি 🙁 পারি না বইলাই তো আপনার বোরিং লেখা পইড়াও তালি দিতে হয় :grr: :duel: :hug:
    ভাল কথা, মাস্ফ্যুদা হঠাৎ আমার উপর খেপলো কেন বুঝলাম না 🙁 ভাই কুনো ভুল কইরা থাকলে আগেই :frontroll: দিয়া রাখলাম 🙂


    "Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
    - A Concerto Is a Conversation

    জবাব দিন
  9. রিফাত (২০০২-২০০৮)

    যারা কষ্ট করে এই লেখা পড়েছেন...তাদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী....সবাইকে অজস্র ধন্যবাদ..মোটামুটি এডিট করে দিলাম...আশা করি এখন পড়তে আগের চেয়ে একটু কম কষ্ট হবে...

    জবাব দিন
  10. রিফাত,ওই নায়িকা কেমন সারপ্রাইজড হলো তা তো লিখলে না!!
    তুমি মুহিব হলে খুব ভাল হতো।প্রেমের ব্যাপারে এইরকম ডেয়ারিং মানুষ আমার খুব ভাল লাগে 🙂 🙂 🙂
    অনেক ভালো লেগেছে পড়ে।আমার জন্য যদি কেউ এভাবে আসতো!!

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাফি (২০০২-২০০৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।