অভিমান

বুকের মধ্যে জমা হচ্ছে ভয়াবহ অভিমান,প্রতিনিয়ত,
অভিমান আমার অক্ষমতা গুলোর জন্য।
ইচ্ছে করে ধর্ষকের টুটি চেপে ছিড়ে ফেলি,
যৌনাঙ্গ কেটে দেই,
কিন্তু পারি না,জমা হয় অভিমান।
ইচ্ছা করে ধর্ষিতা বোনটির মাথায়
হাত বুলিয়ে দেই পরম মমতায়,
চোখের পানি মুছে দেই সযত্নে।
সেইটাও পারি না, বুকটা হাহাকারে ভরে উঠে।
ইচ্ছে করে দুনিয়াটা উলটে পালটে ফেলি,
গদি থেকে নামাই রক্তচোষা সমাজপতিদের,
লাত্থি মারি শোষক শাসকের মুখে,
মুখোশ খুলি ধর্মব্যবসায়ীদের।
তারপর,
তারপর গড়ে তুলি এক নতুন পৃথিবী,
যেখানে মানুষ বাঁচবে ভালোবাসায়,
যেখানে জয়ী হবে প্রেম,
কিন্তু পারি না,কিছুই পারি না,
ভয়ঙ্কর এই অসহায়ত্ব,
পরিণত হয় ভয়ঙ্কর এক অভিমানে।
যেমনি চক্রবুহ্যের ভেতর আটকা পড়ে,
ভয়ঙ্কর অভিমানে ফেটে পড়েছিল অভিমন্যু।
সেই ষোল বছরের দুরন্ত কিশোর,
যার গোঁফের রেখা তখনো হয়নি পুরু।
ঠিক একই আক্রোশ নিয়ে রাত জাগি আমি,
ভয়ঙ্কর অভিমানে হাত পা ছুড়ি।
এই অভিমানের কি শেষ নেই?

১,০৮৮ বার দেখা হয়েছে

৬ টি মন্তব্য : “অভিমান”

  1. রিজভী(২০০৪-২০১০)

    কবিতা একদমই পড়ি না; আর সত্যি কথা বলতে গেলে কবিতা বুঝিও না। কবিতা পড়া নিয়ে এক বন্ধুর কাছ থেকে ধার করা জ্ঞান হচ্ছে, কবিতা পড়ার সময় লাইন বাই লাইন অর্থ নিয়ে বেশি মাথা না ঘামালেই নাকি কবিতা পড়ে 'আনন্দ' পাওয়া যায়। তাই টানা পড়ে ফেললাম কবিতাটা; আমার কাছে বেশ ভালোই লাগলো :thumbup:


    বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রিজভী(২০০৪-২০১০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।