ভয়

 

পহেলা বৈশাখের বিকেল বেলা ।রোদ কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছে । বন্ধুদের সাথে বেরিয়েছে তিয়ানা । স্থানীয় স্কুল মাঠে বসেছে বৈশাখী মেলা। মেলার ভেতর ঢুকতেই নজরে এল নাগরদোলা । হৈ হৈ করে ছুটল সবাই সেদিকে।দু’টো নাগরদোলা বনবন করে ঘুরছে।বন্ধুরা ভিড় ঠেলে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দিল সিরিয়াল ভেঙে সামনে যাওয়ার জন্য।

‘আমি উঠব না।’ গোমড়া মুখে বলল তিয়ানা।

‘কেন !’ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে প্রিয়ম।

‘আমার হার্টবিট খুব বেড়ে যায়।খুব ভয় করে!’

‘আরে বাবা ! এটা রোলার কোস্টার বা ম্যাজিক কার্পেট তো না ! এটাকে এত ভয় পাওয়ার কি আছে ! ভীতুর ডিম কোথাকার !’ মুখ ভেঙায় দীপ্ত।

তিয়ানা কিছু বলে না।ও জানে ওদের কিছু বলে বোঝানো যাবে না ।তার এই ভয় পাওয়াটা হাস্যকর।কিন্তু এই ভয়টা ওকে কিভাবে তাড়িয়ে বেড়ায় তা জানলে ওরা আর ক্ষ্যাপাতে পারত না ।

সোমা হাত ধরে টানাটানি করে, ‘ আয় , আমি ধরে রাখব তোকে।ভয় পেলে চিৎকার দিবি।ভয় পেয়ে জোরে চিৎকার দেয়ার ভেতর ফান আছে !’

‘না,না…তোরা যা।’ হাত ছাড়িয়ে নেয় তিয়ানা।

‘আরে ! ছাড় ওকে ! নাগরদোলায় উঠে শেষে না আবার হিসু করে দেয় !’

একযোগে হেসে ওঠে সবাই। ওদের সিরিয়াল আসতেই পড়িমড়ি করে ছুটে যায় নাগর দোলায়।দ্রুত তালে ঘুরতে থাকা নাগরদোলার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ আরেকটা তীব্র ভয় ওকে পেয়ে বসে।নাগরদোলাটা যদি এখন ভেঙ্গে পড়ে ! কাঠের নাগরদোলা কি আর সেরকম শক্ত কিছু ! কেমন ক্যাঁচক্যাঁচ করছে !প্রিয়মরা যদি ছিটকে পড়ে! ওদের রক্তমাখা ক্ষতবিক্ষত চেহারা ওর কল্পনায় ভেসে ওঠে।নাগরদোলার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে উল্টোদিকে হাটতে থাকে।ওর মনে হয় মাঠটাতে বাড়াবাড়ি রকমের ভীড়।যদি পদদলিত হয়ে কোন শিশু মারা যায় ! ছোটবেলায় একবার ভিড়ের মধ্যে চাপা পড়তে বসেছিল সে।তিয়ানার কিচ্ছু ভাল লাগে না। বন্ধুরা নাগরদোলা থেকে নেমে ওর কাছে আসে।

জাভেদ সবার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘ উফ ! আরেক পাক খেতে ইচ্ছা করছে! চল আরেকবার চড়ি।’

‘না,না,এখানে এত ভিড়! চল অন্য কোথাও যাই !’ অন্য কেউ কিছু বলার আগে তাড়াতাড়ি বলে ওঠে তিয়ানা।

রাস্তাজুড়ে এক আনন্দ মিছিল।বড়বড় ড্রাম পেটাছে অনেকে। কেউ অনর্গল বাঁশি বাজিয়েই যাচ্ছে। শব্দের আতিশয্যে টেকা দায়।এই উন্মত্ত মিছিল আর ড্রামের শব্দ তিয়ানার বুকের ভেতর হাতুড়ি পেটানো শুরু করে।ওর মনে হয় ওর হৃৎপিণ্ডটাকে দুমড়ে মুচড়ে দিচ্ছে কেউ।আর এই প্রচণ্ড শব্দে কানের পর্দা বুঝি ফেটে যাবে। ড্রামের শব্দে ভেঙ্গে পড়বে সবকিছু।এ এক তীব্র অস্বস্তিকর অনুভূতি।অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে ও সেখান থেকে কেটে পড়ে দ্রুত।

 

বাসায় ফিরে ভাল লাগেনা তিয়ানার ।পহেলা বৈশাখটা এভাবে মাটি হয়ে গেল ! ওর এভাবে চলে আসাতে বন্ধুরা রাগ করেছে নিশয়ই ।বাসাটাও কেমন খালি খালি লাগছে।বাবা আর বড় বোন দেশের বাড়িতে গেছে।বাড়িতে শুধু সে আর মা।রাতের বেলা অন্ধকার ঘরে ঘুমোনোর সময় কেমন অস্বস্তি লাগতে থাকে।পাশের রাস্তা থেকে ভেসে আসছে কুকুরের কান্নার শব্দ।বাতাসের তোড়ে জানালার পর্দা উড়ছে পতপত । চোখ বুঁজলেই মনে হচ্ছে কে যেন মুখের ওপর শ্বাস ফেলছে।তিয়ানার মনে হয় বাসাটা যেন মৃত্যুপুরী।যেন কেউ কোথাও নেই ।সে-ই একমাত্র জীবিত মানুষ।পাশের ঘরে মা আছে তো ? ছোট বেলায় যতগুলো ভৌতিক গল্প পড়েছে,হরর ম্যুভি দেখেছে সবগুলো মিলেমিশে মাথায় হানা দিতে থাকে। হ্যাঁ, ছোটবেলায়ই,কেননা বড় হওয়ার পর থেকে ও ভৌতিক সবকিছু থেকে দূরে থাকে। বন্ধুরা এ ব্যাপারটা জানে।তাই ওকে জোর করে হরর ম্যুভির গল্প শোনাতে থাকে।দীপ্ত একবার ওর পেনড্রাইভে একটা ম্যুভি দিয়ে বলেছিল, ‘ দেখিস ! দারুণ রোমান্টিক ম্যুভি !’

কিছুদূর দেখে তড়িঘড়ি করে বন্ধ করেছিল সেটা ।আসলে ওটা ছিল একটা হরর ম্যুভি।

ভয় কাটতেই চায় না ।তিয়ানা বিছানা থেকে নেমে এক দৌড়ে মায়ের ঘরের সামনে এসে দুমাদুম দরজা ধাক্কাতে থাকে।

‘মা,মা !’

কোন সাড়াশব্দ নেই।‘মা,মা !’ আবার চিৎকার করে ও।

ঘুমজড়ানো কুঞ্চিত চেহারা নিয়ে মা দরজা খুলে দেন।

‘কি হইছে ?’

‘মা,তোমার সাথে শোব।একা ঘুমাতে ভয় করছে।’

‘এত বড় হইছিস,কলেজে পড়িস,এখনো যদি একা এক রুমে ঘুমাতে না পারিস ! পরে যখন একা এক বাড়িতে থাকতে হবে,তখন বুঝবি !’

মায়ের পাশে শোয় ও। মা এবার উপদেশ দেন,

‘নামায তো পড়িস না ! নামায পড়লে এইসব আজগুবি জিনিস ভয় পাবি না।কাল থেকে শুরু করবি ।’

ফজরের ওয়াক্তে মা তিয়ানাকে তুলে দেন।তিয়ানা বিছানায় ঝিম মেরে বসে থাকে।ঘুমঘোর কাটে না। ততক্ষণে মা’র নামায শেষ। মাকে জায়নামায থেকে উঠতে দেখে ওর হুঁশ হয় ।ঝটপট ওযু করে এসে দেখে মা নেই।ভোরবেলা নামাযের পর ছাদে হাটার অভ্যাস আছে মা’র।

তিয়ানা নামায শুরু করে।কিছুক্ষণ পর টের পায় কোথায় যেন একটানা খটখট শব্দ হচ্ছে।তিয়ানা কান পাতে।নামাযের ভেতরই ওর ওপর ভয় ভর করে। মা ছাদে। তার মানে এই পুরো বাড়িতে ও এখন একা। ইলেক্ট্রিসিটি চলে যেতে পারে যে কোন সময়।যদি এখন চলে যায় ! তিয়ানার বুক ধরফর করে । নামাযের মধ্যেও ভয় ! নামায ফেলে সৃষ্টিকর্তার কাছে ভয়মুক্তির প্রার্থনা করে ও।

একটুপর মা নেমে আসেন ছাদ থেকে।তিয়ানা তার ভয়ের কথা জানায় না। বারবার এ কথা বলতে ওর সংকোচ হয়। তিয়ানা বিছানায় শুয়ে পড়ে আবার।মন থেকে ভয় সরাতে অন্যকিছু ভাবার চেষ্টা করে ও।আনন্দময় কিছু একটা।গত সপ্তাহে ওদের কলেজের ব্যান্ডটিমের একটা কনসার্ট হয়ে গেল।সেখানে একটা মেয়ে দুর্দান্ত গিটার বাজিয়েছে।গিটারের স্ট্রিংয়ে মেয়েটার সুন্দর লম্বা আঙুল ছন্দে ছন্দে নেচে বেড়াচ্ছিল। আর কেমন এক আত্মবিশ্বাসের দ্যুতি ওর চোখমুখ ঠিকরে বেরোচ্ছিল ! আচ্ছা,গিটার শিখলে কেমন হয়!ওই মেয়েটার জায়গায় নিজেকে কল্পনা করে তিয়ানা।নিজেকে ওভাবে ভাবতে বেশ ভাল লাগে।

সকালে খাবার টেবিলে তিয়ানা আবদার করে, ‘ মা,একটা গিটার কিনে দেবে ?’

‘হঠাৎ গিটার কেন !’

‘স্টেজে উঠে গিটার বাজানোটার মধ্যে দারুন কুলনেস আছে ! হেভ্ভি স্মার্ট একটা ব্যাপার মা!প্লীজ মা ! প্র্যাকটিসের জন্য খুব সাধারণ গিটার কিনব।দু’হাজারেই হয়ে যাবে ।’

‘আচ্ছা,দেখা যাক।তোর বাবা ফিরুক।’

গিটার কেনা হয় তিয়ানার।ঘরে বসে নিজে নিজে টুংটাং করে। ওর গিটার শেখার আগ্রহের কথা শনে লিন্ডা একদিন ওকে বাসায় আসতে বলে।লিন্ডার ভাই সেজান একটা ব্যান্ডের সাথে যুক্ত।

লিন্ডা তিয়ানাকে ওদের বাসার ছাদে নিয়ে যায়।এখানেই চিলেকোঠায় ব্যান্ডের প্র্যাকটিস চলছে ।ভেতর থেকে ড্রামসের আওয়াজ আসতে থাকে ।ঘরের ভেতরে ঢোকে ওরা।লিন্ডার ভাই ড্রামস বাজাচ্ছে।শব্দের তোড়ে ঘরটা কাঁপছে। তিয়ানার মনে হয় কেউ যেন তীব্র আক্রোশে কিছু ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করছে ।ওর হৃৎপিণ্ড লাফাতে থাকে।আবার এক অসহনীয় অনুভূতি।

‘ভাইয়া একটু থামবেন ?’ কাতর কণ্ঠে বলে তিয়ানা।

সেজান ড্রামস থামিয়ে দেয়।

‘কোন সমস্যা…?’

‘ভাইয়া এই শব্দে তো আমার বুক ধুঁকপুক করছে।আপনারা সহ্য করেন কিভাবে ?’

‘কি বলো ! ড্রামসের সাউন্ড তো আমার খুব রকিং লাগে ! আর তুমি ড্রামসের সাউন্ড সহ্য করতে না পারলে কোন ব্যান্ডের সাথে গিটার বাজাবে কিভাবে ? এটা তো খুব সিম্পল একটা ব্যাপার!’

তিয়ানা কিছু বলে না ।ওর গিটারিস্ট হওয়ার আগ্রহে ভাটা পড়ে।এমন অসহনীয় শব্দ সহ্য করার ক্ষমতা ওর নেই।শব্দভীতি ওর বহুদিনের।ও কখনোই খুব জোরে গান শোনে না।শদের সঙ্গে ও ধ্বংসের যোগসূত্র খুঁজে পায়।ঝোড়ো বাতাসে ঘরের দরজা ঠাস ঠাস বাড়ি খেলে ও বিচলিত হয়ে পড়ে। যেন বাড়ি খেয়ে দরজাটা ভেঙ্গে পড়বে এক্ষুণি ! তবে এই ভয়গুলো যে সবসময় কাজ করে তা নয়। অনেক সময়ই শব্দভীতির ব্যাপারটা তার মনে থাকে না। হয়ত স্টেজ কাঁপানো কনসার্টে সে খুব নাচানাচি করছে।শব্দে ওর কিছুই হচ্ছে না।কিন্তু হঠাৎই হয়ত মনে পড়ে গেল শব্দভয়ের কথা।মুহূর্তেই স্প্রিংয়ের নাচিয়ে পুতুল হয়ে যায় নিষ্প্রাণ কাঠ।শুরু হয়ে যায় বুকের ভেতর হাতুড়িপেটা।কারো সাথে সমস্যাটা নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছে করেনা ওর,প্রিয় বন্ধুটির সাথেও না। যাকেই বলা হোক না কেন,সেই ভাববে,কি ভীতু মেয়ে রে বাবা ! আবার মানসিক রোগী-টোগী নয়ত !আবার ভাবতে পারে এ তিয়ানার বাড়াবাড়ি।সামান্য ভয় সামলে চলতে পারেনা !কিন্তু এখন পর্যন্ত এই ভয় তিয়ানার নিয়ন্ত্রণের বাইরে।আজকাল নিজের এই অদ্ভূত ভীতি কাটানোর পন্থা খুঁজতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ও। ওদের এই শহরে সাইকিয়াট্রিস্ট হয়ত পাওয়া যাবে,কিন্তু সাইকোলজিস্ট পাওয়া দুষ্কর।সাইকিয়াট্রিস্ট যদি একগাদা ওষুধ ধরিয়ে দেয়,সেই ভয়ে ও যায় না সেখানে।একগাদা ওষুধ খেয়ে আবার না জানি পাগল হয়ে যায় !ঢাকা গিয়ে কোন সাইকোলজিস্টের সাথে দেখা করার চিন্তা করে।আবার পরক্ষণেই ভাবে কেন শুধু শুধু টাকা নষ্ট করা ! একটু যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা করলেই তো বোঝা যায় ওর ভয়গুলো পুরোপুরি অযৌক্তিক,অমূলক। মনের শক্তি দিয়ে কি ভয়গুলোকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা যায় না ?মেডিটেশনের একটা বই কিনে মেডিটেশন শুরু করে তিয়ানা। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়না।নিজেকে নিজের ভীরু প্রকৃ্তির কাছে বন্দি বলে মনে হয়। ও ওর ভয় সম্পর্কে যত সচেতন হচ্ছে, ভয়গুলো যেন তত ওকে আঁকড়ে ধরছে। তাই মাঝে মাঝে নিজেই নিজেকে শোনায়-‘আমি খুব সাহসী মানুষ,ভয় পাইনা কিছুতেই,আমার কোন ফোবিয়া নেই,যা আছে তা শুধুই ছেলেমানুষী,সেটা কেটে যাচ্ছে দ্রুত…আমি খুব সাহসী মানুষ,ভয় পাইনা কিছুতেই…’

সেদিন হরতাল । রাস্তায় বেরিয়েছে তিয়ানা ।বাড়িতে বড় একঘেঁয়ে লাগছে।তাদের বাসা থেকে চাচার বাসা পাঁচ মিনিটের পথ। রাস্তা ফাঁকা পেয়ে ছেলেরা ক্রিকেট খেলতে নেমেছে।একটা ছুটন্ত বলকে তার দিকে ছুটে আসতে দেখে দু’হাতে মুখ ঢেকে লাফ দিয়ে সরে যায় ও। ওকে এভাবে ভয় পেতে দেখে ছেলেরা নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করে। দ্রুত হাটতে থাতে তিয়ানা। যদি আবার বল ছুটে আসে !তাতে যদি নাক ফেটে যায়! কিংবা মাথা ফেটে যায় ! কিংবা  দাঁত ভেঙ্গে যায় ! হাজারটা ভয় গ্রাস করে ওকে।কাল্পনিক দুশ্চিন্তা ওর সব আনন্দরস নিংড়ে বের করে।

চাচার বাসায় ঢোকে তিয়ানা।চাচী তখন রান্নাঘর থেকে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে তার ৮ বছর বয়সী ছেলে কাব্যকে বকছেন।

‘কি হয়েছে চাচী ?’

‘আর বলো না মা ! তোমার এই ভাই আমার জীবন ঝালাপালা করে দিল ! সারাদিন টিভি আর কম্পিউটার! একটুও পড়াশুনা করেনা !তুমি একটু বোঝাও তো !’

কাব্য টিভিতে রেসলিং দেখছে। একজন আরেকজনকে তুলে আছাড় দিচ্ছে বারবার।বিভৎস দৃশ্য!তিয়ানার ভাল লাগে না। আর এই দৃশ্য দেখে খাটের ওপর পাগলের মত লাফালাফি করছে কাব্য। ফর্সা,মোটাসোটা কাব্যকে সাদা হাতির বাচ্চার মত দেখায়।কাব্যের লাফ-ঝাঁপে যদি খাট ভেঙ্গে যায় ! তিয়ানা তাড়াতাড়ি সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। রান্নাঘরে চাচীর কাছে যায়।চাচী তখন হামান দিস্তায় মশলা গুঁড়া করছেন।লোহায় লোহা বাড়ি খেয়ে বিকট শব্দ তুলছে। তিয়ানার মনে হয় এই হামান দিস্তার আঘাতে এ বাড়ির মেঝেতে ফাটল ধরবে।ইট-পলেস্তরা-চুন-সুরকি খসে পড়বে নিচতলার মানুষের ওপর।তিয়ানা বোঝে এ বড় অবাস্তব চিন্তা ! এই সামান্য আঘাতে একটা ইটও খসবে না !খাপছাড়া অবাধ্য ভয়টাকে তবু এড়াতে পারেনা ও।

চাচার বাড়ির গলি থেকে বেরিয়ে বড় রাস্তায় আসে তিয়ানা । এলাকার অবস্থা খারাপ।একদল যুবক বাঁশ হাতে পাগলের মত দুমাদুম বাড়ি মারছে এক রাজনৈ্তিক নেতার বাড়ির দরজায় ।মুহুর্তে এক আগ্রাসী ভয়ের কবলে পড়ে ও।দিগ্বিদিক শূন্য হয়ে ছুটতে থাকে।বাড়িতে ঢুকে সোজা চলে যায় নিজের ঘরে।জোরে জোরে শ্বাস নেয় অনেকক্ষণ।ওর ভয় হয়,যদি ওই যুবকেরা এই বাড়ির দরজাও ভাঙ্গতে আসে! যদি ভেঙ্গে দেয় শৌখিন সব আসবাবপত্র,টিভি,ফ্রীজ,জানালার কাঁচ!

তিয়ানা কাঁথামুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ে।অনেকটা ভয় পেয়ে খোলসে মুখ লুকানো শামুকের মত।

 

 

 

 

 

 

১০ টি মন্তব্য : “ভয়”

  1. আহমদ (৮৮-৯৪)

    গল্পটা কেমন লাগল বুঝতে পারছি না। প্লটটা ভাল, তবে এক্সপ্রেশন গুলো আরেকটু ম্যাচ্যুরড হলে ভাল হত। একেবারেই আমার ব্যক্তিগত মতামত। তোমার অন্য লেখাগুলো মনে হয় আমি আরো বেশি এঞ্জয় করেছি। তোমার লেখার হাত বেশ ভাল।

    আরেকটা ফানি কথা মাথায় এল ---- এই ভয়টা আবার তোমার নিজের সমস্যা নয় তো। হা হা হা :))


    চ্যারিটি বিগিনস এট হোম

    জবাব দিন
  2. জিয়া হায়দার সোহেল (৮৯-৯৫)

    মেয়েটার মানুষিক সমস্যা আছে ঠিকই কিন্তু এটা তো সত্যি ইদানিং চারদিকে ধ্বংসের খেলা চলছে। কেউ আমরা অনুভব করতে পারছি আবার কেউ পারছিনা। এই ক্ষেত্রে তিয়ানা একটু বেশী অনুভব করছে। আরও অনেক লিখে যাও।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আহমদ (৮৮-৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।