যা হবার…

 

বশির কাকার সাথে গুটিগুটি পায় একটা পুরনো দোতলা বাড়ির গেটে এসে দাঁড়ায় লাচি।ওর হাতের স্বচ্ছ পলিথিনের ব্যাগে একটা ফ্রক আর একটা প্যান্টের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়।কাকা কলবেল বাজায়।কারও সাড়াশব্দ মেলে না।৪-৫ বার অনবরত বাজিয়ে যাওয়ার পর লাচির বয়সী একটা মেয়ে গেট খুলে দেয়।লাচির দিকে তাকিয়ে তার মুখে হাসি ফোটে।

‘বশির আংকেল,কাজের মেয়ে পেয়ে গেছেন ! বাঁচলাম ! গেট খুলতে খুলতে আমার অবস্থা শেষ !’

এক ভদ্রমহিলা ভেতর থেকে বেরিয়ে আসেন।

‘কি ব্যাপার বশির মিয়া ? এই মেয়েকে এনেছ ? নাম কি ওর ? বাপ-মা আছে ?’

‘হ ভাবী । ওর নাম লাচি । বাপ নাই ।’

নাম শুনে মেয়েটা হেসে ওঠে।

‘লাচি ! এই নাম তো আগে শুনিইনি !’

ভদ্রমহিলা লাচিকে আপাদমস্তক দেখতে থাকেন।

‘মেয়েটাতো বেশি ছোট হয়ে গেল।কাজকর্ম সব ধরে ধরে শেখাতে হবে।’

‘মাইয়া ছোট হইলেই তো ভাল ভাবী।বড় মাইয়া আনলে তো বেশি দিন কাজ করত না।বাপ-মা ধইরা নিয়া বিয়া দিয়া দিত।’

‘আচ্ছা,এটা রাখ।’ মহিলা বশির কাকার হাতে দুশ টাকা ধরিয়ে দেন।

‘ভাবী আর পঞ্চাশটা টাকা দেন।’

‘আরে, এখন বাদ দাও।এই মেয়ে যদি টেকে তাহলে পরে টাকা নিয়ে যেও।’

‘ভাবী এত কষ্ট কইরা মাইয়া আইনা দিলাম আর পঞ্চাশ টাকা দিবেন না ?ওরে আনার খরচ আছে না ?’

মহিলা আর কথা না বাড়িয়ে পঞ্চাশ টাকা দিয়ে দেন।বশির কাকা চলে যায়।কাকা চলে গেলে লাচির ভয় করতে থাকে।এ বাড়ির মানুষগুলো কেমন কে জানে!যদি মারধোর করে খুব ! রাস্তাঘাটও তো ভাল করে খেয়াল করেনি।পালিয়ে বাড়ি চলে যেতে চাইলেও পারবে না।

ভদ্রমহিলা বলেন,‘শোন,আমাকে খালাম্মা ডাকবি।এটা আমার মেয়ে টুপা।ওকে আপু ডাকবি। আর এখন যা,এই বাথরুমটা থেকে গোসল করে আয়।গা ভাল করে ঘষবি।নোংরাদের আমি দেখতে পারি না ! এই বাড়িতে আরো দু’টো বাথরুম আছে।সেগুলোতে ঢুকবি না।তোর জন্য শুধু এটা।’

গোসল সেরে বেরোয় লাচি।রান্নাঘর থেকে খাবারের সুগন্ধ ভেসে আসছে।লাচির জিভ লকলক করে।জিভে আসা পানিটুকুকে সামলাতে সে বারবার ঢোক গেলে।রান্নাঘরের পাশে এসে দাঁড়া্য।খালাম্মা ওর হাতে নুডলস ভর্তি একটা বড় বাটি দিয়ে বলেন, ‘ যা , টুপার টেবিলে দিয়ে আয়।’

নুডলসের দিকে লোভাতুর দৃষ্টি দিতে দিতে লাচি বাটিটা টুপার টেবিলে রাখে।নুডলস দেখে খুশি হয় টুপা।গোগ্রাসে গিলতে থাকে।

খালাম্মা বলেন, ‘ শোন কড়াইতে একটু নুডলস লেগে আছে।ওটা খেয়ে কড়াইটা মেজে ফেলবি। আর টুপার খাওয়া হয়ে গেলে ওকে পানির গ্লাস দিয়ে আসবি।ওর বাটিটাও ধুয়ে ফেলিস।’

নুডলসের কড়াইতে হামলে পড়ে লাচি।সামান্য যে নুডলস লেগে আছে তা খুঁটে খুঁটে খেয়ে হাত চাটতে থাকে।খালাম্মা ওকে আরও টুকটাক কাজ দেন।

রাতের খাওয়া-দাওয়া ,বাসনকোসন ধোয়া হয়ে গেলে খালাম্মা ওর হাতে একটা পাটি আর একটা পুরনো বালিশ ধরিয়ে দেন।

‘যা,এই পাটিটা রান্নাঘরের মেঝেতে বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়।’

লাচি শুয়ে পড়ে।ক্লান্ত লাগছে খুব।গ্রামে আরো অনেক আগেই সে ঘুমিয়ে পড়ত।অন্ধকারে রান্নাঘরে তেলাপোকাদের চলাচল বাড়তে থাকে।কয়েকটা তেলাপোকা ওর গায়ের ওপর দিয়ে হেটে যায়।মা-বোন আর ছোট ভাইটার কথা মনে করে কাঁদতে থাকে লাচি।

 

কয়েক মাসে লাচির চেহারা পালটে যেতে থাকে।ধুলো-ময়লার আস্তরণে ঢাকা ওর গায়ের ফর্সা রংটা তেল-সাবানের ব্যবহারে ফিরে আসে।টুপার পুরনো জামা গায়ে দিলে ওকে দেখে মনেই হয়না ও এ বাড়ির কাজের মেয়ে।সেদিন তো এক ভদ্রলোক ওকে এ বাড়ির মেয়ে ভেবে হাতে চিপসের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘ তোমার জন্য এনেছি মা!’ এতদিন কম খেয়ে খেয়ে ওর বৃ্দ্ধি থেমে ছিল।এখানে খেয়েদেয়ে গায়েগতরে বেশ বড়সড় হয়ে উঠেছে লাচি।এ বাড়িতে একটা সুবিধা ভাত বেশি খেলে কেউ কিছু বলে না। তরকারী যেমনই হোক,দু প্লেট সাবাড় করতে ওর সময় লাগে না।এতদিনের জমানো ক্ষুধা বেশি বেশি খেয়ে পুষিয়ে নেয় ও।টুকটাক খাবার চুরির অভ্যাসও হয়ে গেছে।রান্নাঘরে মুড়ি-চিনির মজুদ সবসময়।সকালে সবার ঘুম ভাঙার আগে এক বাটি চিনি মাখা মুড়ি খায় ও।খালাম্মা আজ পর্যন্ত ধরতে পারেননি ব্যাপারটা।এ বাড়ির সবাই এত বেশি চা খায় যে চিনির হিসাব কেউ রাখে না। আর মুড়ি এত কম খায় যে সেদিকে কারো নজর পড়ে না।ক’দিন আগে এ বাড়ির এক আত্মীয় গ্রাম থেকে কয়েক কাদি কলা দিয়ে গেছে।পরিচিত দু’চারজনের বাড়ি পাঠানো হয়েছে কিছু।বাকিগুলো রান্নাঘরের ঝুড়িতে।এখন  তাই মুড়ি-চিনির পাশাপাশি একটা করে কলা যোগ হয়ে গেছে ওর সকালবেলার গোপন নাস্তায়।

পাশের বাড়ির এক মহিলা এসেছেন খালাম্মার কাছে।দুজনে গল্প করছেন।লাচি চা বানিয়ে নিয়ে যায়।

‘লাচি রান্নাঘর থেকে কলার ঝুড়িটা দিয়ে যা তো।’

লাচি নিয়ে আসে।খালাম্মা বিড়বিড় করে গুনতে থাকেন। তারপর লাচির দিকে জ্বলন্ত দৃষ্টিতে তাকান।

‘এখানে ২৫ টা কলা ছিল।এখন ৫ টা কম কেন ? ভাবীকে দেব বলে আমি নিজে গুনে রেখেছি।তুই খেয়েছিস?’

ভয় পেয়ে যায় লাচি।

‘না ,খালাম্মা ,আমি কেন খাব ? বিলাই ঘুরঘুর করতেছিল একটা্‌…শয়তান বিলাই খাইছে বোধায়।’

খালাম্মা ঠাস করে চড় বসিয়ে দেন লাচির গালে।

‘বিলাই তো তুই।ওই চুন্নী,বিলাই কখনো কলা খায় ? মিথ্যুক কোথাকার !আমি কোন কিছুর হিসাব রাখি না।তুই না জানি আরও কতকিছু কতদিন চুরি করছিস !’

কাঁদতে কাঁদতে রান্নাঘরে কাজ করতে থাকে লাচি।ভয়ে মুখ ফসকে বিড়ালের কথা বলে ফেলেছে ! বিড়াল যে কলা খায়না তা কি সে জানে না!টুকটাক খাবার-দাবার ছাড়া কখনো কোন কিছুতে হাত দেয়নি সে।খাবার-দাবার যা একটু না বলে খেয়েছে তা তো ক্ষুধার তাড়না থেকেই।ভরপেটে কে খেতে চায়! টুপাকে খাওয়াতে খালাম্মার যা কষ্ট করতে হয়।টুপার মত খাবার-দাবার পেলে সে কি আর চুরি করত!

সেদিন থেকে বাসায় কোন মেহমান এলে খালাম্মা এ কথায় ও কথায় বলে বসেন, ‘জানেন,আমাদের বাসায় না একটা বিড়াল আছে,সে আবার কলাও খায়…!’

 

 

টুপার সাথে লাচির কিছুটা সখ্যতা গড়ে উঠেছে। টুপা লাচিকে নিজের নাম লিখতে শিখিয়েছে । লাচি এখন বানান করে করে দু’একটা বাক্যও পড়তে পারে।তবে একটু বুঝেশুনে কথা বলতে হয়।বেফাঁস কিছু বলে ফেললে টুপা সেটা খালাম্মাকে বলে দেয়।তবু মনের কথা যা বলার ও টুপাকেই বলে।এখানে আসার তিন বছর হয়ে গেল।মাত্র দু’বার গিয়েছে দেশের বাড়ীতে।একবার বড়বোনের বিয়েতে,আরেকবার নানীর মৃত্যুতে।মা অবশ্য দু’বার এসে দেখে গেছে। গ্রামের জন্য আর মন পোড়ে না ওর।শহুরে জীবনটাই ভাল লাগে।টুপা বা খালাম্মার কাছে আবদার করে বাংলা সিনেমা দেখে মাঝে মাঝে।আহা,সিনেমার ধনী-গরীবের প্রেম যদি বাস্তবে দেখা যেত!এ বাড়ির দোতলার রাতুল ভাইয়াকে ওর খুব ভাল লাগে।মাথায় ক্যাপ পরে হাতে গিটার নিয়ে রাতুল ভাইয়া যখন সিঁড়ি বেয়ে নামে তখন তাকে নায়ক নায়ক দেখায়।লাচি মাঝে মাঝে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে শুধু রাতুল ভাইয়াকে দেখার জন্য।সিনেমার মত যদি রাতুল ভাইয়া ওর প্রেমে পড়ে যেত!লাচির মাঝে একটা চাপা অহংকার কাজ করে। এ পাড়ার সব কাজের মেয়ের মধ্যে ও সবচেয়ে সুন্দরী।যদি টুপার মত সালোয়ার কামিজ তার থাকত,তবে তাকে কত সুন্দরই না দেখাত ! গত ঈদে খালাম্মা তাকে একটা সুতির সালোয়ার-কামিজ দিয়েছিলেন।দৌড়াদৌড়ি করে কাজ করতে গিয়ে গায়ের ওড়না খসে পড়ছিল বারবার।রেগে গিয়ে খালাম্মা বলেছেন, ‘বেহায়া মেয়ে!তোকে আর সালোয়ার-কামিজ দেবো না।ওড়না ফেলে বুক দেখানোর শখ ? এখন থেকে বুকে বড় ঝালর দেয়া ফ্রক দেব তোকে।নোংরামি করার সুযোগ পাবিনা।ওড়না পড়তে হবেনা,আবার আব্রুও থাকবে।’ খালাম্মার ওপর রাগ হয় ভীষণ । টুপা ওড়না গায়ে না দিলেও কিছু হয়না,আর তার বেলা অসাবধানে গা থেকে ওড়না পড়ে গেলেই দোষ!

 

সামনের ফাঁকা জমিটাতে একটা বিল্ডিং উঠছে। সারাদিন কাজ চলতে থাকে।লাচি খেয়াল করে মিস্ত্রিরা অনেকেই তার দিকে তাকিয়ে থাকে,বিশেষ করে  একটা ছোকরামতন মিস্ত্রী ।ওকে দেখলেই চোখ টেপে,হাসে।কখনো অসভ্যের মত একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। একদিন দোকানে তেল কিনতে গিয়েছিল লাচি।পথে সেই ছোকরা মিস্ত্রীর সাথে দেখা । দাঁত কেলিয়ে হাসতে হাসতে সে বলে,

‘ আমারে চিনছ ? আমি এই সামনের বাড়িটার কাজ করতেছি । আমার নাম জুয়েল। তোমার নাম কি?’

সেদিনের পর থেকে জুয়েলের সাথে লাচির কথা চলে মাঝে-মাঝে।কখনো কখনো লাচি কোন ছুতোয় বাইরে যায়,কখনো ইশারায় কথা চলে।হঠাৎ একদিন জুয়েল একটা খাম ধরিয়ে দেয় ওর হাতে।

লাচি বাথরুমে ঢুকে খামটা খোলে।ভেতর থেকে বেরোয় অচেনা বিদেশী নায়ক-নায়িকার অত্যন্ত অন্তরংগ মুহূর্তের ছবি।এমন দৃশ্য কখনো দেখেনি সে আগে।লাচির বুক ধুকপুক করতে থাকে।গা গরম হয়ে ওঠে।

পরদিন জুয়েলকে দেখার আকর্ষণ বেড়ে যায় অনেকগুণ।কাজ ফেলে দাঁড়িয়ে থাকে সেই নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের সামনে ।একা একা ছবিগুলো হজম করতে পারেনা লাচি।সাতপাঁচ ভেবে শেষমেষ টুপাকে দেখায়।টুপার চোখ কপালে ওঠে।

‘এই সব আজেনাজে ছবি ওই মিস্ত্রী দিছে ! দাঁড়া,মাকে বলি।ব্যাটার খবর করে ফেলব!’

‘না,না…আপু ! খালাম্মাকে বইলো না আপু,আপু পায়ে পড়ি,বইলো না !’

‘প্রেম-ট্রেম করতেছিস নাকি তুই ? ’ সন্দেহমাখা চোখে লাচির দিকে তাকায় টুপা।

লাচি শুধু লাজুক হাসে।

ছবির ব্যাপারে টুপা তখন তার মাকে কিছু জানায় না ।কিন্তু প্রায়ই লাচিকে ভয় দেখায় মাকে বলে দেবে বলে।

খালাম্মার খাটের পাশের বক্সে চানাচুর-বিস্কুট রাখা থাকে।খালাম্মা রুমে না থাকলে আর লাচি টুপার রুমে গিয়ে দেখে আসে ও কি করছে।টুপা পড়াশুনায় ব্যস্ত থাকলে ও এদিক ওদিক তাকিয়ে এক মুঠো চানাচুর সরিয়ে ফেলে।তারপর কাঁচা মরিচ-পেঁয়াজ দিয়ে মাখিয়ে জুয়েলের জন্য নিয়ে যায়।স্তুপ করে রাখা ইটের আড়ালে বসে দু’জন।সবার চোখ বাঁচিয়ে চানাচুর মাখা খায়।জুয়েল ওর হাত ধরে,গলায় হাত রাখে । বেশি নির্জনতা পেলে বেপরোয়া হয়ে ওঠে আরো।

 

গ্রাম থেকে লাচির মা এসেছে।রাতের বেলা রান্নাঘরের মেঝেতে শুয়ে আছে মা-মেয়ে।

‘লাচি,তোরে এবার একবারে নিয়া যামু।আপারে কইছি।বিয়া ঠিক করছি তোর।আপা কইছে হাজার দুয়েক টেকা দিব।’

‘কি কও মা ?এখনি ক্যান ?না,না,আমি এখনি বিয়া করমু না !’ লাচির চোখে জুয়েলের মুখ ভেসে ওঠে।

‘শহরে কয়দিন থাইক্যা শহরের বাতাস লাগছে গায়ে ? ভাল কথা কইলে ভাল্লাগে না !তোর বইনেরটা হইছে,এখন তোরটা হইলে আমি ঝাড়া হাত-পা!’

‘হ তুমি তো আমারে বিয়া দিবা নিজের রাস্তা ফাকা করনের লাইগা।আমারে বিয়া দিয়া নিজে বিয়া বসবা,তাই না !’

‘একদম থাপ্পড় দিব শয়তান মাইয়া!’

 

 

লাচির মা লাচিকে নিয়ে গ্রামে চলে আসে।লাচির বড় বোন লাকিও এসেছে বোনের বিয়ে উপলক্ষে।লাকির চেহারা ভেঙ্গে গিয়েছে বিয়ের দু’বছরের মাথায়।হাত আর গলার হাড় বেরিয়ে পড়ার উপক্রম।লাকির মাঝে নিজের ভবিষ্যত প্রতিচ্ছবি খুঁজে পায় লাচি।ওর করুণ চোখে একবার রাতুল,আরেকবার জুয়েল পালাক্রমে ভেসে উঠতে থাকে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

১২ টি মন্তব্য : “যা হবার…”

  1. নিয়াজ (৯০-৯৬)

    চমৎকার লিখেছ পিয়া। সমাজের অনেক কিছু আমরা দেখতে পাইনা বা বুঝতে চাইনা। মাঝে মাঝে ভুলে যাই আমাদের সেবা প্রদানকারী মানুষেরা আমাদের মতোই, তাদের ও ইচ্ছা, আকাঙ্খা আছে। চালিয়ে যাও লেখালেখি...

    জবাব দিন
  2. তানভীর (২০০১-২০০৭)

    পিয়া, পড়ে ভাল লাগল।সামাজের এমন অনেক বিষয় আমরা সাধারণত খেয়াল করিনা। তোমার লাচিদের নিয়ে ভাবনা আমাদের সকল কে আরেকবার নাড়া দিল আশা করি।


    তানভীর আহমেদ

    জবাব দিন
  3. সামিয়া (৯৯-০৫)

    চমৎকার লাগল...শুধু গল্পটা না, গল্প শোনানোর ঢং-টাও। কোথাওই মনে হয়নি অহেতুক কিছু এসেছে, একটানে পড়ে গেলাম। আর গল্পটা মন ছুয়ে গেল। লিখে যাও পিয়া, কখনও থামিও না। একটার পর একটা লিখতে থাকলে একসময় দেখবে নিজেই নিজের লেখার ক্রিটিক হয়ে যেতে পারছ।

    জবাব দিন
  4. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    আমাদের বেশিরভাগ বাসাবাড়ীতে কাজের লোকদেরকে সাথে যে ব্যবহার করা হয় তা রীতিমত অমানবিক। সবাই শারীরিক অত্যাচারের মত সর্বোচ্চ পর্যায়ে না গেলেও মানসিক ভাবে প্রায় সবাই কোন না কোন ভাবে অত্যাচারিত হতে থাকে, যার জন্য বাড়ীর ছোট বড় সব সদস্যই দায়ী থাকে।

    অফটপিকঃ কিছু কিছু লাইন আর প্যারার মাঝে এবং লেখার শেষে মনে হয় স্পেস একটু বেশি হয়ে গিয়েছে। আর যতি চিহ্নের পরে স্পেস ব্যবহার করো, তাহলে পড়তে সুবিধা হয়।
    নিয়মিত লিখতে থাক।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  5. আহমদ (৮৮-৯৪)

    ভাল লাগল। তবে অসমাপ্ত মনে হল। অবশ্য আমার মনে হওয়া বা না-হওয়ায় কিছুই যায় আসে না। কারন আমি শত চেষ্টাতেও এত ভাল লিখতে পারব না।


    চ্যারিটি বিগিনস এট হোম

    জবাব দিন
    • শাহরিয়ার (২০০৪-২০১০)

      আমার তো মনে হল ঠিক জায়গাতেই থামসে...আমি ভাবতেসিলাম যেমনে কাহিনী আগাচ্ছে থামবে কোথায়...ভালো একটা এন্ডিং হইসে...লাচি'র পরিণতি লাকির মতই হওয়ার কথা,মাঝখান থেকে রাতুল আর জুয়েলের একটা লাল হাতছানি থাকবে সারাজীবন!


      People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.

      জবাব দিন
  6. রিদওয়ান (২০০২-২০০৮)

    সিসিবিতে আমি নিয়মিত হয়েছি প্রায় দুমাস হচ্ছে বোধ হয়, আজ তোমার লেখা "ভয়" পড়ে ভাল লাগার পর তোমার প্রোফাইল থেকে এটাও পড়লাম। খুবই ভাল লেগেছে। একই আবর্তনে ঘুরতে থাকা অসহায় মেয়েদের জীবনকে চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়েছ। চমৎকার জীবনবোধ। :clap: :hatsoff:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রিদওয়ান (২০০২-২০০৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।