ICCLMM-2011:একটি অজানা ভালোলাগার গল্প(১ম পর্ব)

২৬ শে অক্টোবর,২০১১ ইং। ৩ মাসের সুদীর্ঘ প্রস্তুতি পর্ব শেষে ছাড়পত্র পেয়েছি এখানে আসার। কিন্তু বর্তমানে যে অবস্থায় আছি তা সহ্য করা দায়। ডিনারের আগে সর্ব সাকুল্যে ১২টা রবীন্দ্র সংগীত শুনতে হয়েছে। আসলে রবীন্দ্র সংগীত ভালো লাগেনা। তা নয়, বরং সবার গাইবার ঢংটা তো আর রবীন্দ্র সংগীতের সাথে যায়না তাই ভালো লাগে না। ডিনারের পর আবার ফিরে যেতে হলো বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা মিলনায়তনে, আন্তঃ ক্যাডেট কলেজ সাহিত্য ও সংগীত প্রতিযোগিতায় এবারের ইভেন্ট আধুনিক গান। নিজেকে নিজেই বার কয়েক অভিশাপ দিলাম। কোন দুঃখে যে এসেছিলাম। তবে সুবিধা বলতে সেদিন আমরা , মানে পাবনা ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটরা বসেছিলাম সবচেয়ে সামনের সাড়িতে। তো মোটামুটি অসাধারণ এক ঘুমের প্রস্তুতি মনে মনে নিয়ে নিলাম। অপেক্ষা শুধু কলেজ কালচারাল প্রিফেক্ট মাহবুব ভাইয়ের গানটা শুনব। এখানেও ভাগ্যদেবী আমার প্রতি মুচকি নয় বরং দিলখোলা হাসিই হেসেছেন। কারণ ভাইয়ার গানের সিরিয়াল ২ নংয়ে। তবে কথায় আছে সুখে থাকলে ভুতে কিলায়। তাই আগের একটি গানটিকেও যেন আমার কাছে অসহ্য যন্ত্রণার বলে মনে হলো। পরে যখন জানলাম গানটা গাইবে একটি মেয়ে, তখন তো তা বিরক্তির সীমা ছাড়িয়ে গেল। তো চোখ বুজে অপেক্ষা করতে লাগলাম। চোখ বন্ধ করার কারণ আজ সকালেই জনৈক এক গার্লস ক্যাডেট উপস্থিত বক্তৃতার সময় অভিযোগ করেছে, সামনের সাড়িতে ছেলেদের চোখ আর মুখ খোলা থাকলে নাকি মেয়েদের উপস্থাপনে সমস্যা হয়। তাই আমার দিক থেকে কেউ যেন কোন রকম সমস্যা বোধ না করে তাই চোখ বন্ধ করে বসে রইলাম। আর মুখ? সেতো আমাদের শ্রদ্ধেয় অ্যাডজুট্যান্ট স্যারদের উপস্থিতির সাথে সাথেই তালা মারা হয়ে গেছে। ফিরে আসি মূল কথায়। তো গান শুরুর আগে আধুনিক গানের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হলো। আমি জানিনা সেটি দেখে কেউ আধুনিক গানের প্রতি অনুরক্ত হয়েছে কিনা? তবে আমার মত আরও গুটিকতক যে নির্ঘাত ভয় পেয়েছে সে ব্যাপারে আমি সুনিশ্চিত। এই সকল কিছুর পর উপস্থাপকের ঘোষণা, আমাদের আজকের আধুনিক গানের প্রথম প্রতিযোগী। ক্যাডেট……., ক্যাডেট নং ……, সে ……. গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রতিযোগী। কিছুক্ষণ তবলা আর হারমোনিয়ামের টুং টাং আর প্যাঁ প্যুঁ শব্দে কান ঝালাপালা হওয়ার জো ঠিক তখনি সব আচমকাই থেমে গেল, তারও প্রায় ০৫ সেকেন্ড পর গায়িকা গাইতে শুরু করলো-
“একি সোনার আলোয় জীবন ভরিয়ে দিলে,
ওগো বন্ধু কাছে থেকো, পাশে থেকো,
নিত্য আমার ক্ষুদ্র প্রাণে তোমার আঁখিটি রেখো,
ওগো বন্ধু কাছে থেকো, পাশে থেকো।”
মেয়েদের গানের যে জিনিসটা সবচেয়ে অপছন্দের তাহলো তীক্ষ্ণ কণ্ঠস্বর। কিন্তু এই মেয়েটির বেলায়, ব্যাপারটা পুরোপুরি অনুপস্থিত। প্রখ্যাত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া বহুল জনপ্রিয় এই গান সে যেভাবে গাইছিল শুনতে খারাপ লাগছিলো না। চোখ বন্ধ করে গানের সুরের ভেলায় নিমজ্জিত হয়ে ছিলাম। কিন্তু সব ধ্যান ভাঙলো যখন প্রথম অন্তরার শেষে বড়সড় একটা ভুল করে বসলো। দম ফুরিয়ে যাওয়ায় নেয়া নিঃশ্বাসের শব্দ মাইকে শোনা গেল খুব স্পষ্টভাবেই। মনে মনে বললাম ইশ! বেচারী ভুলটা না হলে নির্ঘাত একটা পুরষ্কার পেত। এই যখন ভাবছি, তখন সে দ্বিতীয়বার একি অংশটা গাইতে গিয়ে একি ভুল করে বসলো। তখন আর চোখ বন্ধ করে রাখতে পারিনি। চোখের পাতা মেলে ধরতেই আধো আলোছায়ার মৃদু আঁচড়ে নিষ্পাপ, কি সুন্দর সে বিধাতার সৃষ্টির মুখখানি(হয়তো স্রষ্ঠার সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ) চোখে পড়লো, তাতে কিছুক্ষণের জন্য আমার অক্ষিগোলকদয় জায়গায় স্থির হয়ে থাকার সিদ্ধান্তে উপনীত হলো। যেন অদৃশ্য কোন আদেশকারীর গুরু আদেশ “সাবধান।” আর সেও সাবধান হওয়ার মত স্থির হয়ে বাধা পড়ে আছে ঐ অপরূপার রূপের মায়ায়। চশমার আড়ালে ভীত সন্ত্রস্ত চিত্রা হরিণীর মত নেশায় ঢুলুঢুলু করা সে মোহময় দু’নয়নের চাহনি। কেমন যেন আতঙ্কিত? আর দীঘির কালো জলের মত টলমল করছিল যেন এখনি ফেটে বেরিয়ে আসবে অজস্র জলরাশি, বাঁধনহারা। হয়তোবা নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেই এবং সে ভুলের খেসারত যে ভালভাবেই দিতে হবে তার চিন্তায় গোলাপি ফর্সা মুখমণ্ডলে শঙ্কার কালো মেঘের আবির্ভাব স্পষ্টতই দৃশ্যমান হয়ে উঠেছিলো। আর দুচোখ যেন তার চিন্তাতেই জলে ভরে উঠছিলো। যাই হোক, গান ভালো বা খারাপ, ভুল কিংবা ঠিক, এটুকু শুধু বলতে পারি আমার খুব ভালো লেগেছে, আর তাই হাত তালিও প্রচুর পরিমাণে দিলাম। যার ফলশ্রুতিতে পরের ২দিন হাতে ব্যথা ছিলো। ঐদিন বাকি সময়টা জেগেই কাটিয়ে দিলাম। যে বিতৃষ্ণা, যে ভয় ছিল আধুনিক গান নিয়ে টা যেন নিমিষেই কেটে গেছে। একবারে উবে গেছে, অপরূপা সে মোহময়ীর অপূর্ব সুন্দর কণ্ঠস্বরের জাদুতে। তবে ঐ যে আধো আলোছায়ার খেলায় দেখা নিষ্পাপ মুখ আর ভীত হরিণীর মত সন্ত্রস্ত ঘোর লাগানো অপূর্ব সে দু’নয়ন ছাপা রয়ে গেল এ হৃদয়য়ের পাতায়। মন মন্দিরের মান বেদীতে। তারপর শুরু হলো অন্বেষণ, খোঁজ: দ্যা সার্চ। প্রতিদিন মেয়েদের ফলইনের দিকে তাকিয়ে তাকে খোঁজার জন্য কত ছোট আপু, বড় আপু ও সহপাঠীরা “ক্যারেক্টার ঢিলা” বলে গালি দিয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। হয়তো সে নিজেও ঐ দলের সারথি। তবু কেন জানিনা সেই জ্যোৎস্না রাতে দেখা মুখখানির দেখা মিলছিলো না। কোথাও তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না, দিনের ঝলমলে সৌরআলোর মাঝে। মাত্র ৬০ জনের মাঝে তাকে খুঁজে পেতে এতটা বেগ পোহাতে হবে কল্পনাও করিনি। পাশাপাশি সেই নিষ্পাপ মোহগ্রস্ত গভীর কালো চোখদুটি খুঁজে না পাওয়ার হতাশায় মন ছেয়ে যেতে শুরু করেছিল বিষণ্ণতায়। হয়তো চিরস্থায়ীই হতো, কিন্তু ওপরআলার ইচ্ছে বোধহয় ছিল অন্য। আর তাই ২৮তারিখ সকালে ব্রেকফাস্টের সময় যখন ওদের কলেজ ডাইনিংয়ে ঢুকছিলো তখন আমারই এক সহপাঠী (আমাকেই কিনা কিঞ্চিত সন্দেহ আছে) টিটকারি করে বললো- “একিরে সোনার আলোয় দুনিয়া যে ভাইসা গেলোরে। কেউ কি আসস নি ঠেকারে………..। ” তবে কেন জানিনা, সন্দেহ হচ্ছিলো এই সেই মানবী কিনা? কারণ রাতের সাদা পোশাকে দেখা সে কোমল মানবী আজ দিনের খাকি পোশাকে এক জাঁদরেল রূপধারণ করেছে। তারপর থেকে প্রতিদিন ডানে বামে চেপে, পায়ের পাতায় ভর করে একটু উঁচু হয়ে তাকে দেখা আমার জন্য ফরজ-ই-আইন হয়ে গেলো।আর তার অসাধরণ সুন্দর করে গাওয়া গানটা অসম্ভব ভুল সুরে গেয়ে নষ্ট করা বা পঁচানো তো অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল,সেই প্রথম দিন হতে। আর আমার কর্কশ কণ্ঠের বেসুরো গানে ছোট বড় তো বটেই আমার সহপাঠীরাও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো। আমার মাথা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিলো যে ইভেন্টের জন্য প্রাকটিস করাও বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম। আর তাতে কলেজ প্রিফেক্ট আতিক ভাই আমার উপর নাখোশ হয়ে, মহাচটা চটে আমাকে প্রাকটিস না করানোরই ঘোষণা জারি করলেন। তাও আবার আমার ইভেন্টের একদিন আগে। তাতেও আমার হুশ ফিরছিলো না। প্রতিযোগিতার আগের দিন রাতে দায়িত্বে থাকা শ্রদ্ধেয় দীনেশ চন্দ্র সাহা স্যারের সামনে একবার অভিনয় করলাম, তাও সহস্র ভুলে ভরা। শেষবেলার এই পরিণতি দেখে আতিক ভাই রেগে আমার সাথে কথা বলাই বাদ দিলেন, রেগে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন। আমার সহপাঠী আর অন্যান্য সবাই অনুপ্রেরণা দিচ্ছে হবে হবে সমস্যা নাই। কিন্তু কি হবে তার চিন্তাতেই যেন সবাই বুঁদ? বেচারা মুজাহিদ নিজের বিতর্কর প্রাকটিস বাদ দিয়ে আমার অভিনয় দেখিয়ে দিচ্ছে। সে এক মহাপ্রলয়ংকারী অবস্থা। পরদিন কোনোমত মঞ্চে উঠলাম প্রস্তুতি ছাড়া। উঠেই আমার তখন মাথায় হাত। বিগত কয়েকদিনে করা পাগলামির জন্য ঠিকমত ঘুমও হয়নি। চোখ জ্বলা শুরু করেছে সামনে থাকা ভিডিও ক্যামেরার জন্য জ্বালানো বাতির আলোতে। সারা শরীর দিয়ে দরদর করে ঘাম ঝরছে। তারপর বিসমিল্লাহ বলে আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করলাম। ব্যস সব ভয় আস্তে আস্তে কেটে গেল। আর মাথায় আবার সেই পাগলামি চেপে বসলো। মঞ্চ থেকেই চোখ মেলে খুঁজতে শুরু করলাম তাকে, যখন দেখতে পেলাম মনে হল মঞ্চে ওঠা স্বার্থক। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ তো তাকে একবার বেশী দেখতে পেলাম তাও এই মঞ্চে উঠার সুবাদেই। ২৬ তারিখের পর প্রতিদিন খোঁজ নিতাম গানের ইভেন্টে ঐ কলেজের প্রতিযোগীকে? যদি সে হয় এই আশায়? তবে আমার আশা পূরণ হয়েছিল একদম শেষদিনে এসে। এদিন আর চোখ বুজে নয়। খোলা আঁখেই তাকিয়ে ছিলাম তার পানে। অপরূপ, নির্মল সুন্দর সে মুখপানে হয়তো বিধাতার তৈরি সবচেয়ে সুন্দর মুখপানে। মন ভরা প্রশান্তি নিয়ে মুগ্ধ দৃষ্টিতে দীপ্ত নয়নে। আর এভাবেই কেটে গেল আন্তঃ ক্যাডেট কলেজ সাহিত্য ও সংগীত প্রতিযোগিতা ২০১১, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ। এত কিছু পাওয়ার মাঝেও সবচেয়ে সেরা যা ছিল টা এখানে লিখিনি । সেটা হলো বন্ধুত্ব। তুলনার বাইরে তুলনাহীন সে সম্পর্কগুলো। অজানা এ অনুভূতির সঠিক নাম আমার জানা নেই। আমি জানি না এটা আসলে কি? ভালোবাসা নাকি শুধুই ভালোলাগা? আজ সেই প্রতিযোগিতার প্রায় ৬ মাস পরে কেন এত কথা? আমি জানি না কি কারণ? তবে এটুকু জানি এই ভালোলাগা আর ভালোলাগায় সীমাবদ্ধ নেই। তেমনি পাইনি ভালোবাসার পূর্ণতা। কারণ ভালোবাসা সুধু কিছু বিষয়কে ভালোলাগা নয় সব কিছুকেই নতুন আঙ্গিকে ফুটিয়ে তোলার নামই ভালোবাসা। যদিও অস্বীকার করছি না তাকে এই বিশেষণে বিশেষায়িত করার ইচ্ছা আমার নেই,আছে। তবে যতদিন না আমার হাতে পাশে তার হাত এসে দাঁড়াবে তার আগে তো আর ভালোবাসার তালি বাজবে না। আর টাই এখন শুধু সেই দিনটির জন্য সাধনা করা ছাড়া অন্য কোন গত্যন্তর তো নেই। ততদিনের জন্য এই উপাখ্যানের নাম হোক ভালোলাগা, অজানা ভালোলাগা।

২,৩৪৮ বার দেখা হয়েছে

২০ টি মন্তব্য : “ICCLMM-2011:একটি অজানা ভালোলাগার গল্প(১ম পর্ব)”

  1. নাফিস (২০০৪-১০)

    আইসিসিএলএম ২০০৯ শেষ করার পর আমাদের ব্যাচের সবার ই এই একই অনুভূতি হয়েছিল। তোমাদের বন্ধুত্বের শুরু এখানেই। বেশ ভালো লিখেছ। আস্তে আস্তে পরের পর্ব গুলো ও দিয়ে দিও !

    এইবার আসি আসল কথায় ! প্রথম পোস্ট , সো সিসিবি র নিয়ম অনুযায়ী জলদি ১০ টা ফ্রন্টরোল লাগিয়ে দাও ! 🙂

    জবাব দিন
  2. আহমেদ ১৫২৯ (২০০৭-২০১৩) প.ক.ক

    জো হুকুম জাহাপনা 😛 ভাই ১০টা দিলেই তো হবে? আচ্ছা দিতাছি 😕


    বারে বারে অবাক হই, আর দেখি ফিরে ফিরে
    কতটা বদলে গেছি এই আমি প্রতিটি পদে পদে.....................

    জবাব দিন
  3. সামিউল(২০০৪-১০)

    এই তুই আহমেদ সিরাজী না??? ভাল লেখিস। চালায়া যা...। তবে লেখার মধ্যে একটু গ্যাপ দিস, মানে প্যারা প্যারা করে লিখিস। পড়তে সমস্যা হয়।

    সিসিবিতে স্বাগতম।


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  4. তাওসীফ হামীম (০২-০৬)

    গার্লস ক্যাডেটরা ভালোই আছে। রুপবতী আছে। সে যাই হোক। জায়গায় ফ্রন্টল লাগাও। ব্লগে স্বাগতম। লেখাটা ভালো হইছে।


    চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।

    জবাব দিন
  5. শাহরিয়ার (০৬-১২)

    এই পরথম জুনিয়র পাইলাম। ফরন্ট্রুল ইশটাট, কেয়ামতের ৩১ তারিখ পর্যন্ত চলবে।

    সিসিবি তে স্বাগতম।


    • জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব - শিখা (মুসলিম সাহিত্য সমাজ) •

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : শাহরিয়ার (২০০৬-২০১২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।