পশ্চিম পর্ব (ক্যানিয়ন পর্ব)

ক্রিসমাসের লম্বা ছুটিটা শেষ করে আবার ক্লাস, কিছুই ভাল্লাগছিলোনা। আসলে আমরা সবাই তখন অধীর হয়ে আরিজোনা ট্যুরের দিন গুনছিলাম। ইন্টেলিজেন্স কোর্সে এসে ইন্টেলিজেন্ট হই বা না হই মুফতে ঘোরাফেরাটা বেশ ভালই হচ্ছিল। এমনিতে পশ্চিম নিয়ে আমার ফ্যান্টাসীর অন্ত নেই তার উপর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, ফ্লাগ স্টাফ, সেডোনা আর হারিয়ে যাওয়া নাবাহো, হোহোকাম সভ্যতার হাতছানি আমার অপেক্ষাটাকে অধীর হতে অধীরতর করে তুলছিলো। দেখতে দেখতে ব্যাগ গোছানোর দিন চলে এলো। ১২ জন বিদেশী ছাত্র, রিক, কিকা, মিঃ ক্রাউচম্যান আর গোমড়ামুখী ড্রাইভার জন লিঞ্চ, এক শীতের সকালে নরম আলোয় আমারা ক’জন পথে নামলাম। হুচুকা থেকে টুসন হয়ে প্রথম থামতে হলো ফিনিক্স এ। আরিজোনার স্টেট ক্যাপিটাল। সকাল পেরিয়ে সদ্য দুপুরের হিম হিম ঠান্ডায় ছায়াঘেরা ছোট্ট একটা রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ সেরে একটা বেনসন, আহ, আবশে আমেজে ক্লান্তি উধাও।

এবার গন্তব্য ফ্লাগ স্টাফ। আসার আগে মিস কেলার আর জেমস পই পই করে বলে দিয়েছিল শীত কতটা বাড়বে আর কি কি নিতে হবে। টুসনের দিকটায় শীত অতটা তীব্র না হলেও যতই এগুচ্ছি শীত ততই বাড়ছে, আর বাড়ছে আমাদের বস্ত্রের পুরুত্ত্ব। ফ্লাগ স্টাফের পথে বিকেলে পৌঁছলাম সেডোনায়। গাড়ির ভেতর হাল্কা ঝিমুনি ভাংগল মামুকার হইচই এ। সামনে তাকিয়ে কেবল একটা শব্দই বেরুলো মুখ দিয়ে ‘ওয়াও’। পথের বাঁকে আকাশের গায়ে একটা মস্ত ঘন্টা ঝুলানো, বিকেলের সোনা রোদে তার গায়ে আলোছায়া ভালোলাগা।

রিক বলল ওটার নাম বেল মাউন্টেন। এমনিতেই সেডোনা বেশ নির্জন, আর ছবির মত সাজানো একটা শান্ত শহর। ব্যস্ত নগর ছেড়ে একটু অবসরে গলফ, টেনিস খেলে কিংবা এক আধটু হাইকিং অথবা লেকের ধারে ছিপ ফেলে দিনমান ফতনার ওঠানামা দেখে সময় যাপনের জন্য জায়গাটা অত্যন্ত লোভনীয়। সেডোনার সবটুকু দেখা হয়নি, তবে ঐ এক ঘন্টা পাহাড় আর আরো দূরে গৌড়বর্ণ পাহাড় সাড়িতে বেলা শেষে সূর্যের লুকোচুরি আমার বহুদিনের ভালোলাগা স্মৃতি হয়ে রয়ে যাবে। কিছু ধোঁয়া আর ছবি, স্মৃতির কয়েকটা নুড়ি হাতে আবার পথে নামা।

চলতি পথে চোখে লাগলো ক’টা সমৃদ্ধ গ্যালারী, সব গুলোর সামনেই কোন না কোন ভাস্কর্য শহরটার রুচি আর সৌন্দর্যে একটা ভিন্ন মাত্রা টেনে দিয়েছে।

ফ্লাগস্টাফের দিকে একটু একটু করে বাড়ছে শীতের কামড় সেই সাথে বাড়ছে বুনো পশ্চিমের গুমোট গাম্ভীর্য। উঁচু পাহাড়ের শুভ্র চুড়ায় গোধুলির মৌনতা আর সারাটা পাহাড়ের গায়ে জমাট তুষারে আঁকা মেঘের ছবি। আমার কাছে তো পুরোই নতুন কিন্তু আজন্ম তুষার দেখে বড় হওয়া মাতাইয়ো, সালুইয়াস, বাকিত ও দেখলাম আমার মতই মুগ্ধ। হয়ত হাজার বছর ধরে বহুবর্ণ প্রকৃতি অকৃপণ হাতে মানুষের মাঝে মুগ্ধতা বিলিয়ে কোনদিন রিক্ত হয়নি বলেই।

যত এগুচ্ছি বরফের পুরুত্ত্ব ততই বাড়ছে, কোথাও কোথাও এক দেড় ফুট পুরু বরফের স্তর পেরিয়ে জমাট সন্ধ্যাকে সাথে নিয়ে আমরা পৌছলাম ‘লিটল আমেরিকায়’, পাইনের সাড়ি ছুয়ে দাঁড়ানো সুন্দর হোটেলটা শুভ্র শহরের প্রান্তে একটা লাল টিপ যেন।

আগামী তিন দিনের আবাস আমার। দিনভর পথচলার ক্লন্তি সবার চোখে মুখে, তবু ক্ষুধার আহ্ববানটাকে ফেলে দেয়া গেলো না। সবাই মিলে চলে গেলাম ব্লাক বার্ট এ। লিটল আমেরিকা থেকে দুই মিনিটের পথ। বাইরের ভাঙ্গাচোড়া চেহারা দেখে বেশ খানিকটা বিরক্তি নিয়েই তাকালাম।

তবে দু’পা এগিয়ে ব্যাটউইং ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই ভুল ভাংগলো।বাইরের ভাংগাচোরা চেহারাটা আসলে ভেতরে সেই ফেলে আসা ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্টটাকে আটকে ফেলারই অংশ। হঠাত করেই যেন রুক্ষ পশ্চিম এসে থমকে গেছে আলো আঁধারির বন্ধ ঘরটায়। আধো আলো অন্ধকারের একটা কোণ বেছে নিয়ে বসে যেতেই একরাশ ভাল লাগা ছুঁয়ে গেলো অতীত মাখা সুরের আনন্দ মুর্ছনায়। পরিবেশনের ফাঁকে ফাঁকেই ওয়েটাররা এসে একপাশের ছোট্ট মঞ্চে একজন দুজন করে গান গেয়ে যাচ্ছে। কখনো সবাই মিলে সবকোণ থেকে হুল্লোড় তুলে কোরাসে কন্ঠ মিলাচ্ছে, কখনো সম্মিলিত নাচ গানে আনন্দ রেনু ছড়িয়ে দিচ্ছে, কখনো ছোট্ট নাটিকায় অভিমানী প্রেমিকার রাগ ভাংগানোর কৌতুকে হাসির পসরা বিলাচ্ছে সবার মনে। এর ফাঁকে অর্ডার নেয়া আর পরিবেশনায় ভীষণ আন্তরিকতাটুকুতো আছেই।

ঐতিহ্যগত ভাবেই এখানকার ওয়েটাররা সবাই আরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির শিল্প কলার ছাত্র ছাত্রী। পড়ার ফাঁকে এই কাজটুকু ওদের উপার্জন আর চর্চা দুটোরই সুযোগ করে দেয়। ব্লাক বার্ট নিয়ে আর একটু বলব, এই রেস্টুরেন্টটা উত্তর আমেরিকার প্রাচীনতম রেস্টুরেন্ট গুলোর একটা। সেই ১৮৯০ সাল থেকে আজ অব্দি এটা চালু আছে সেই একই আঙ্গিকে। যার নামে এই নামকরণ সেই বার্ট সাহেব ছিলেন একজন প্রাক্তন সৈনিক, কবি ও ডাকাত। ১৮৭৫ থেকে ১৮৮৩’র মধ্যে গুনে গুনে ২৭টা স্টেজকোচ ডাকাতি সম্পন্ন করে বছর পাঁচেক জেলের ঘানি টেনে উনি শেষকালে নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন ১৮৮৮র ফেব্রুয়ারীতে।

তবে ওনার খ্যাতির কারণ এটাও নয়, উনি বিখ্যাত হয়েছিলেন উনার কাব্যপ্রীতি আর জটিল রসবোধের কারণে। প্রতিটা ডাকাতি শেষে উনি ঘটনাস্থলে একটা মহৎ পদ্য রচনা করে রেখে যেতেন। তার একটা এরকম
“So here I’ve stood while wind and rain
Have set the trees a sobbin,
And risked my life for the damned stage
That wasn’t worth the robbin”

আরিজোনা ট্যুর নিয়ে লিখতে বসে ব্লাক বার্টে আটকে থাকার অজুহাতটা দিয়ে এই বেলা গ্রান্ড ক্যানিয়নের দিকে যেতে চাই। আমার সাতমাসের আমেরিকা বাসে আলো আধারির ঐ সন্ধ্যাটা আমার শ্রেষ্ঠ সন্ধ্যা, কখনো সুযোগ হলে অমন একটা সন্ধ্যা আমি আবার পেতে চাই।

ফ্লাগ স্টাফ হতে গ্রান্ড ক্যানিয়নের পথে প্রথমেই পড়ে কলোরাডো রিভার ব্যান্ড। লম্বা পথ জুড়ে গোমড়া আকাশ, জমাট তুষার, বিস্তীর্ণ চরাচর জুড়ে জনহীন প্রান্তর। সব মিলে মনে হচ্ছিলো একটু সুর্য চাই, চাই একটু আলো, যে আলোয় গম্ভীর প্রকৃতি উচ্ছল কিশোরের মত ঝলমল করবে। সেই আলো এলো নাভাজো (নাবাহো) ইন্ডিয়ানদের সীমানায় পৌঁছে। সাবধানতার জন্য লোহার রেলিং ঘেরা জায়গাটা সম্পর্কে গ্রান্ড ক্যানিয়নের জাতভাইই হবে।

ক্রীকের ধারে নাবাহোদের উম্নুক্ত দোকান, দোকানের টেবিলে বরফের নরম শুভ্র প্রলেপ। হাতে তৈরি গহনা, ড্রিম ক্যাচার আর অসাধারন কাজের হাতে তৈরি কিছু পটারী পাওয়া যায় ওখানে। দামেও একদমই সস্তা। বদলে যাওয়া পৃথিবীতে এই মানুষগুলো এখনো সেই বর্ষ প্রাচীন ঐতিহ্য আঁকড়ে আছে অবলীলায়।

পটারী কিনতে গিয়ে জেরমী আর মারিয়ার সহজ আচরনে বারবার মনে হচ্ছিলো হারিয়ে যাওয়া হোহোকাম আর মোজাভিদের মত এই মানুষ গুলোও হয়ত একদিন হারিয়ে ফেলবে নিজের অতীত পরিচয়টুকু। রিভার ব্যান্ড বসেই শীতের কামড়টা টের পাওয়া যাচ্ছিলো হাড় ছুয়ে ছুয়ে। এগুতে এগুতে চোখে পড়লো একটা বিশাল র‌্যাঞ্চ। মিহি তুষার ঝড়ে নির্বোধ গরুগুলো ছোট ছোট দলে দাঁড়িয়ে আছে পিঠে বরফের আস্ত চাদর জড়িয়ে। নড়েচড়ে শক্তিক্ষয় না করে প্রকৃতির সফেদ উপহারটুকু তারা সানন্দে জড়িয়ে আছে আপন শরীরে।

গ্রান্ড ক্যানিয়নে পৌছে মনে আনন্দ চলে এলো, ঝলমলে রোদে উজ্জ্বল চতূর্দিক, পরিচ্ছন্ন তুষারের স্তুপ, ঘন বনের মাঝে চওড়া পথ আর গভীর রহস্য গর্ভে লুকিয়ে গ্রান্ড ক্যানিয়নতো আছেই। ক্যানিয়নের এখানে ওখানে অনেক গুলো ভিউ পয়েন্ট, আমরা প্রথম যেখানে থামলাম সেটা একটা ওয়াচ টাওয়ার কাম স্যুভেনির শপ।

টাওয়ারের চাতালে দাড়ালে চোখে পড়ে লক্ষ বছরের অমীমাংসিত রহস্য বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লালচে পাহাড়ের সাড়ি, যার পরতে পরতে লুকিয়ে আছে অজানা প্রাণের স্পন্দন, হোহোকাম, নাবাহো, কোকোপা আর মোজাভি ইন্ডিয়ানদের হাজার বছরের না বলা গল্প, মানুষ ও প্রকৃতির সংঘাতের অদেখা ইতিহাস।

ক্যানিয়ন এলাকার জংগলে হরিন পাখি, সাপ সবই আছে। বহু বছরের সহাবস্থানে হরিনগুলো সহজেই কাছে আসে, ভাগ্য থাকলে হুট করে হরিনেরা এসে সঙ্গী হয় ভ্রমনার্থীদের। আমাদের ও হয়েছিলো।

গ্রান্ড ক্যানিয়নে আবহাওয়া বদলায় হুটহাট। ঝলমলে রোদ মেখে আয়েশ করে হাটতে হাটতেই যেমন বদলে গেলো। প্রথমে হাল্কা তুলোর মত তারপর ভারী হয়ে ঝড়তে লাগলো তুষার কনা। প্রথম দেখা তুষারপাতে সেদিন আমার সঙ্গী হলো কতগুলো বাচ্চা হরিন। একটু দূরে তাদের মা অবাক চোখে তাকিয়ে দেখছিলো আমার মুগ্ধতা। মাইনাস ৩ থেকে কয়েক মিনিটে তাপমাত্রা নেমে গেলো মাইনাস ১২ তে। তীব্র ঠান্ডার হাড় পোড়ানো অনুভূতিও আমার সেবারই প্রথম।

গ্রান্ড ক্যানিয়ন থেকে ফিরে আবার ফিনিক্স হয়ে ফোর্ট হুচুকা, ব্যস্ত সময়ে অন্য রকম আমেরিকা দর্শন। স্বল্প সময়ে আধা দেখা গ্রান্ড ক্যানিয়ন বেশ লেগেছিলো। তবে পরের বার গেলে অবশ্যই আমি মিউলে চড়ে ক্যানিয়নের গভীরে যেয়ে কলোরাডো রিভারে রোইং না করে ফিরছি না।

২,৩৭৩ বার দেখা হয়েছে

২০ টি মন্তব্য : “পশ্চিম পর্ব (ক্যানিয়ন পর্ব)”

  1. সাল্লু (৯২/ম)

    ফোর্ট হুচুকা নিয়ে মন খারাপ করা এক স্মৃতি আছে আমার।২০০৭-২০০৮ সালে কি একটা কোর্স করতে এইখানেই এসেছিল মাজহার (ককক-৯২, পিলখানা হত্যাযজ্ঞে নিহত)।
    একই ব্যাচের হলেও অন্য কলেজের এই ছেলেটার সাথে পরিচয় হয়নি আগে কখনো, সেইবারই প্রথম। এখান থেকে ফেরত গিয়ে বিয়ে করে ও, পরের ঘটনা সবার জানা। সরি, তোমার এমন মজার পোস্টটাতে মন খারাপ করা কথাবার্তা লিখলাম। হুচুকার নাম শুনে মন খারাপ হয়ে গেলো ভাই।
    অ:ট: আমি ফিনিক্সে থাকি, আসলে কল দিও ৫২০ ৮২০ ৬৫৪৪

    জবাব দিন
  2. রেশাদ (১৯৯৩ -৯৯)

    ভাইয়া, আমি পশ্চিম পর্ব এখনো শেষ করিনি। একটা অংশ বারবার এসে যাওয়ার পরও ভুলে থাকতে চেয়েছি। মাযহার স্যার। আমরা এক সময়েই ছিলাম হুচুকায়। আমিই ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৩টায় স্যারকে দেশের পথে সি অফ করেছিলাম, আর ফেব্রুয়ারীর ২৬ তারিখ আমি যখন ফিরছি তখন কান্না আর উৎকন্ঠা নিয়ে আশা নিরাশায় গভীর ভাবে আল্লাহর কাছে চাইছি যা শুনেছি যেন সত্যি না হয়। তাসফিক ভাই সাবরিনা আপু আমি মাযহার স্যার ------- মাযহার স্যার এর শেষ দিনগুলো নিয়ে লিখব বলেই আমার পশ্চিম পর্ব লেখা শুরু।

    জবাব দিন
  3. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    এই ক্যানিয়নের কথা কত বইয়ে যে পড়েছি...বিশেষ করে ওয়েস্টার্ন বইগুলোতে... ডেস্প্যারে্ডোস গেমে তো এটা নিয়ে একটা আলাদা পর্বই আছে...অসাধারণ লাগলো...

    একটা অফ টপিক প্রশ্ন করিঃ এই ইন্টেলিজেন্স কোর্সটার নাম কি ভাইয়া?

    জবাব দিন
  4. রাব্বী (৯২-৯৮)

    রেশাদ লেখা ভাল হচ্ছে। চলুক।

    আমার নাবাহো, হোহোকাম সভ্যতার নিয়ে আগ্রহ আছে। ইনফ্যাক্ট, পুরো গ্রান্ড ক্যানিয়ন নিয়ে। যদি যেতে পারতাম! দেখা যাক।


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
    • রেশাদ (১৯৯৩ -৯৯)

      ধন্যবাদ ভাইয়া।
      গেলে অবশ্যই দুইদিনের মিউল রাইডটা নিয়ে একদম ক্যানিয়নের গভীরে ঘুরে আসবেন, আর ক্যানিয়নের কাছেই একটা থ্রি ডি মুভি হলে গ্রান্ড ক্যানিয়নের ডকুমেন্টারীটা দেখতে ভুলবেন না। নাবাহো আর হোহোকামদের নিয়ে ফিনিক্স এর হার্ড মিউজিয়ামটা অনেক সমৃদ্ধ এবং তথ্যবহুল। কিছু ছবি আর তথ্য নিয়ে পরে এ নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে।

      জবাব দিন
  5. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    রহস্যময় পশ্চিম!

    কৈশরে পড়া ওয়েস্টার্ণ বইগুলোর সাথে বারবার মিলিয়ে নেই গরুর বাথান, ঘোড়ার বাথান, রেলরোডের ধারে বিক্রির জন্য জড়ো করা গরুর পাল, ইত্যাদি। শুধু নেই রুক্ষ বন্দুকবাজেরা।

    খুব ভালো লাগল তোমার ছবিগুলা আর তার সাথে ভ্রমনের বর্ণনা। :thumbup: :thumbup:


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  6. রেশাদ (১৯৯৩ -৯৯)

    ধন্যবাদ ভাইয়া।
    বন্দুকবাজরাও আছে কিন্তু, আরিজোনায় টুম্বস্টোনে, শহরটা এখনও সেই ১৮ শতকেই আটকে আছে, সত্যি না হলেও গানফাইট দেখার সুযোগটা আছে ওখানে।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।