ডাস্টবিনের পৌরুষ

শান্ত সুবোধ লক্ষী ছেলে আমি
আমার যাপিত জীবনে কম্পন নেই, বড্ড সরল।
রোজ ভোরে ঘড়ি ধরে ঘুম ভাঙ্গে,
রাতের জমানো নোংরা ধুয়ে ফিটফাট কর্তার বেশ,
আয়নায় টাইয়ের নট বাঁধতে বাঁধতে,
ভুলে যাই, অন্ধকারে বড্ড পুরুষ ছিলাম।
আমার ধারালো থাবায় আঁচড় কেটে
আমি পৌরুষ দেখিয়েছি, আহ তৃপ্তি।

ব্যাকব্রাশ করা চুল, সুগন্ধির হিসহিস শব্দে
আমি গুনগুন গান গাই।
সামনে ব্যাস্ত দিনে আবার লক্ষী ছেলে হয়ে থাকতে হবে।

অফিসে রাজনীতি নয়, প্রতিবাদে সভ্যতা নেই।
শান্ত ছেলেটা মিহি স্বরে কথা বলবে।
যুদ্ধ ও স্বাধীনতা, বিচার ও অপরাধ শব্দগুলো বড্ড স্পর্শকাতর।
এর চেয়ে বন্ধচোখে তরুনী সহকর্মীর প্রদেশ ছোঁয়া অনেক শালীন।

তুমি লাথি মার, আমি সয়ে নেব, তোমাকে কেবল বস্‌ হতে হবে,
বছর শেষে আমার বাঁধা চাকরি, একটা ইনক্রিমেন্ট,
দুবছরে একবার থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া, নিদেনপক্ষে কক্সবাজার
যাপিত জীবনে ওই এক কম্পন।
ফিরে এসে আবার অন্ধকারের পুরুষ আমি লক্ষীছেলে হয়ে ডাস্টবিনে মাথা গুঁজি।

৬০০ বার দেখা হয়েছে

১১ টি মন্তব্য : “ডাস্টবিনের পৌরুষ”

  1. সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

    হিউম্যান সাইকোলজীর ব্যাপারে আজ একটা জিনিস আমি বুঝলাম, দোস্ত খারাপ লিখলে মনে কষ্ট হয়, কিন্তু দোস্ত ভালো লিখলে আরো বেশী কষ্ট, সরি, গর্ব হয় 😛
    পাঁচতারা।


    You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আসিফ খান (১৯৯৪-২০০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।