কিছু ছবি আর একটি ফালতু পোস্ট

ডিস্ক্লেইমারঃ এই পোস্টটিতে পড়ার মত কিছু নাই, কেবল কয়েকটি ছবিই এটির মূল বিষয়।

তখন বিরাট গন্ডোগোল, মিশনে আসিবার পূর্বে শত সহস্র ডামাডোলে এই ব্যাগ গুছাও তো ঐ তাহারে বিমানে তোল তো এই ওজন যন্ত্রে খাড়া হইয়া নিজের শীর্ণতার পরীক্ষা করিয়া লইবার , নচেত যাইবার আগে দুরদুরান্তের কোনো মাতুল বংশীয় কংশমামাকে “মামু গেলুম” বলিয়া সমাজ রক্ষার কর্তব্য পালন করিবার তীব্র তোরজোড়। এই হট্টগোলের ভীড়েও কেবল যাহারা আসিয়া ফিরিয়াছেন তাহাদের একটি বাক্যই শান্তির সুধা লইয়া আসিতো। আহা যাও না, ঘড়ি আর চলিতে চাহিবে না,দিন গুনিতেই অবসাদ আসিয়া যাইবে।আহা , কি আনন্দ! যাইতে পারিলেই মিলিবে অবসর। আশ্বস্ত হইলাম। সময়কালে সকলের নিকট বিদায় লইয়া, নিজ শরীরের দুইগুণী একখানি বোচকা বাঁধিয়া স্বদেশের মায়া কাটাইয়া দিনকতকের তরে এই আফ্রিকার জঙ্গল পানে যাত্রা করিয়া ফেলিলাম। বোধকরি অবসরের পানেই ছুটিয়া চলিতেছি।

শ্রান্ত শরীরে বিমানে উঠিয়া নিম্নের তালতাল মেঘ আর ঘন সবুজ অরণ্যের পানে তাকাইয়া থাকিতে থাকিতেই আমার চক্ষু মুদিয়া আসিলো। আমিও নরম শান্তির কোলে নিজেকে সঁপিয়া দিয়া কিঞ্চিত্ কাত হইয়া ঘুমাইয়া পরিলাম। একদফা ঘুমাইয়া জাগিলাম আবার ঘুমাইলাম আবার জাগিলাম, বোধকরি কিঞ্চিত নাক ও ডাকিলাম। নিদ্রা জাগরণের এই খেলা চলিতে চলিতেই বার কতক একজন কর্কশ কন্ঠী প্রায় পৌড়া বিমানবালা (হায়রে কি ভাবিয়া কি হেরিলাম) আসিয়া খাদ্যবত কি সামগ্রী দিয়া গিয়াছিল , আমিও তাহা ঘুমের ঘোরেই মুখ গহ্বরে চালান করিয়া দিয়াছিলুম। এমন করিয়াই একাদিক্রমে ৩২ ঘন্টা উড্ডয়ন করিয়া শেষকালে এই লাইবেরিয়ায় আসিয়া বিমান হইতে নামিয়া পরিলাম।

বিমান হইতে নামিয়া পদযুগোল শক্ত জমিনে ফেলিবার পূর্বেই তুফান বেগে বড় কর্তা রাজধানীতেই বাংলাদেশ ডেনে আমার আবাস নির্ধারন করিয়া দিলেন । সাধু, সাধু। মনে মনে কিঞ্চিত পুলক অনুভব করিয়া ফেলিলাম, কি লাভ অচেনা জঙ্গলে সাপ খোপের কামড় খাইয়া মরিয়া। তাহার চেয়ে রাজধানীবাসী হইয়া বিজলী বাতির তলায় থাকিয়া, দু’ চারটে সভ্য মানুষ দেখিয়া এইখনে আমার অবসরটুকু সাজাইয়া লই। হা হতোস্মি;;;; আবারো কি ভাবিয়া কি হেরিলাম। দেখিলাম ইহা রাজধানী হইলেও এইখানে গোটা দুই গুলিস্তান কিম্বা বংগবাজার ভিন্ন আর কিছু নাই।


রেডলাইট – মনরোভিয়ার অন্যতম জনবহুল এলাকা


রেডলাইট বাজারের ফেরীওয়ালা

রেডলাইটে একজন খুচরা ব্যবসায়ীর দিনান্তের হিসাব নিকাশ

এইখানে বিজলী বাতির খাম্বা আজো খাড়া হইয়া প্রবল প্রতাপে তাহার উপস্থিতি জানাইলেও উহাদের সংযোগ দিবার রজ্জুরা সব ছুটি লইয়াছে সেই অনেককাল আগে। তবে আঁধার যতোটা কালো হইবে ভাবিয়াছিলাম ততোটা হইতে পারিলো না। জেনারেটরের কল্যাণে পথ চলিবার আলোটুকু পাইয়া আশায় বুক বাধিলাম। বিজলী আসিল, এইবার অন্তর্জালের সন্ধানে নামি, অনেক খুঁজিয়া বেশ মোটা অঙ্কের কড়ি ফেলিয়া শেষকালে তাহাও পাইলাম, তবে যাহা পাইলাম তাহার গতি শম্বুকের চেয়ে কম বৈ বেশি হইবে বোধ করিলাম না।

খুঁজিয়া পাতিয়া , বার কতক বদলাইয়া অনেক ভাবে গুছাইয়া শেষ পর্যন্ত আমি যে ডেরাখানিতে বসবাস করিতে মনস্থ করিলাম উহার অবস্থা তেমন সুবিধার না হইলেও আপাতত ইহাকেই আপন করিয়া লইবার চেষ্টায় প্রানপণে নিজেকে সঁপিয়া দিলাম। ঐদিকে অপরাপর সহকর্মী যারা ভাগ্যের ফেরে গহীন অরণ্যে গিয়া পড়িয়াছে এতক্ষণে তাহাদের কথা আমার মনে পড়িল। কুশলাদি জানিতে এইমর্মে তাহাদের সহিত যোগাযোগ করিতেই উছ্বসিত কন্ঠে তাহাদের অশ্ব গতির অন্তর্জাল আর সার্বক্ষণিক বিজলী বাতির গল্প শুনিয়া মুখে সাধু সাধু বলিলেও আমার মনের চিপা দিয়া আবার একখানি হতাশার দীর্ঘশ্বাস এই বিবেকহীন পৃথিবীর কোন এক বন্দরে মিশিয়া গেলো। আহা এমনই কেন হইতে হইল ???????

আবার সেই পূর্ব কথনে ফিরিয়া যাই, দেশে থাকিতে যাহারা ফিরিয়া বলিয়াছিলেন বিদেশে লম্বা অবসর, তাহাদের কথা এতক্ষনে অসত্য বলিয়া ফলিতে শুরু করিলো। আমাকে রাজধানীবাসী করিবার কর্তা যিনি ছিলেন তিনি আসিয়া সকলি খুটাইয়া দেখিলেন, আর আমাকেও খুব করিয়া দেখাইয়া দিলেন। দেখিয়া বুঝিলাম এইখানে করিবার অনেক রহিয়াছে। কর্তাও বুঝিলেন, বুঝিয়া করিতে বলিয়া সময় বাঁধিয়া দিয়া সেই দন্ডে বিদায় লইলেন। করিবার মতো কাজ একটা পাইয়া আমিও কোমড় বাঁধিয়া নামিয়া পড়িলাম। নামিয়া বুঝিলাম, বাঁধিয়া দেওয়া সময়ে এই আবাস খানির চেহারা বদলাইতে হইলে অবসর বলিয়া কোন শব্দই মাস কতক আমার নিকট ঘেঁষিতে পারিবে না। যাহা হউক, দিনমান আবাসনের ঘষামাজা চলিতে লাগিল আর আমিও উহাতে মন দিল লাগাইয়া ব্যাস্ত হইয়া গেলাম, কিন্তু বিপদ আসিল অন্য পথ ঘুরিয়া।

ঐ ক্ষণে প্রকাশ পাইয়া গেল এই অধমের একখানা মোটামুটি ভাল ক্যামেরা আছে, যাহা দিয়া আবার তিনি অপরের খোমার চলনক্ষম ছবিও তুলিতে পারেন। ব্যাস, ঐ দন্ডেই মনরোভিয়ার দর্শনীয় স্থান ভ্রমনেছ্বু বড়, মেজ, সেজ, ছোট সকল কর্তার সফর সঙ্গী হিসেবে আমি পুরাদস্তুর বহাল হইয়া গেলাম।মনোরম আটলান্টিক তাহাদের নিকট যত মনোরম হইয়া উঠিল আমার নিকট উহা ততোটাই অসহনীয় হইয়া উঠিতে লাগিল। তাহারা মন ভরিয়া সমুদ্র দেখিলেন, সূর্যাস্ত দেখিলেন, আমি তাহাদের দেখিলাম, আর দিনে দিনে আটলান্টিকের প্রতি বিতৃষ্ণা পোষণ করিতে আরম্ভ করিলাম।

সি সি বীচ

আটলান্টিকে সূ্র্যাস্ত


আটলান্টিকে


সি সি বীচ

আটলান্টিকে সূর্যাস্ত

শেষ বিকেলের আলোয় হোয়াইট স্যান্ড বীচ

বনপথে ঘাসফুল


ডানায় রোদের গন্ধ মুছে পাখিদের ঘরে ফেরা


লাইবেরিয়ার কাঠগোলাপ


বাংলাদেশ ডেনে বাংলাদেশী ফুল

বাংলাদেশ ডেনে বাংলাদেশী ফুল

বাংলাদেশ ডেনের কাটাতারে পাখিদের ফল ইন

আমাদের বাগানে

ইয়াকেপার বুনোঝোপ


আয়রন হিলে

উড়ন্ত মরালের বুকে মাখা সূর্যের রং


আয়রন হিল


ইয়েকেপার একটি প্রাচীন চার্চ


বমি লেক


মনরোভিয়ার পথে এই জায়গাটা কেন যেন খুব প্রিয় আমার


নিঃসংগ রবার্টস পোর্ট আর একাকী সমুদ্র

তবে কখনো কখনো এই ফুল পাখি আর দূর পাহাড়ের মাঝে লেকের জলে মেঘের ছায়ারা আমাকেও কেমন টানিতে লাগিল, সেইসাথে হতাশার মেঘও দিনে দিনে দুরে উড়িয়া যাইতে লাগিল। এমন করিয়াই দিন চলিতে চলিতে এক সময় বড় কর্তার দেওয়া কর্মও সুসম্পন্ন হইয়া গেল। দিকে দিকে প্রছ্‌ছন্ন প্রশংসা শুনিয়া মুখে নিতান্ত গোবেচারা ভাব ফুটাইয়া, জামার ভিতর ছাতিখানা কিঞ্চিত স্ফীত করিয়া তৃপ্তির হালাকা ঢেকুর তুলিতে যাইব সেই মর্মে জানিলাম আমার চরম হিতাকাংখী জনৈক বন্ধু মহাশয় প্রশংসার আতিশায্যে আমি যে বয়স্কালে কলেজে কালচা্রাল প্রিফেক্ট থাকিয়া সামান্য সংস্কৃতি জ্ঞান অর্জন করিয়াছি তাহা বড়, মেজ ছোটসহ সকল কর্তার নিকট ফাঁস করিয়া দিয়াছেন। আমি এইবার প্রকৃতই রাম ধরা খাইয়া গেলাম।


বাংলাদেশ ডেনের প্রবেশ ফলক


বাংলাদেশ ডেনের গেট


বাংলাদেশ পয়েন্ট- সামনে আটলান্টিকের সূর্যাস্ত

প্রত্যন্ত জঙ্গলে কালো মানুষদিগকে স্বনির্ভর করিয়া তুলিতে তাহাদের কম্পিউটার, সেলাই, আর জেনারেটর সহ নানারকম মেরামতির কেরামতি শিক্ষা দিবার আয়োজন নিয়া আমাদের ইউনিট একখানি ক্ষুদ্র চেষ্টা চালাইয়া যাইতেছে। কোন এক শুভক্ষনে এই দেশের শ্রীমতি রাষ্ট্রপতি মহোদয়া উক্ত আয়োজনখানি উদ্ভোধনে সম্মতি প্রদান করিয়া ফেলিয়াছেন। রাষ্ট্রপতি বলিয়া কথা। অনুষ্ঠানের ছবি তুলিতে অধমের ডাক পড়িলো। সদাশয় সরকারের ডাকে আমিও আশু স্বদেশ গমনের প্রস্তুতি দূরে ঠেলিয়া কাধে পিট্টু হাতে ক্যামেরা লইয়া রাজধানী ছাড়িয়া জঙ্গল পানে যাত্রা করিয়া ফেলিলাম।

এই আমার প্রথম জঙ্গল যাত্রা। যাইবার পথখানি খতরনাক বলিলেও কম বলা হইবে।তবে ধুলার ঝড় আর পথের ঝাঁকুনি বাদ দিলে এইরুপ মায়াময় ছায়াঢাকা বুনোপথ ধরিয়া ছুটিতে আমি বারংবার রাজী হইয়া যাইব।


তাপিতার পথে


তাপিতার পথে


তাপিতার পথে

ঘন্টা বারো ছুটিয়া , অনেক ঝাঁকুনি , কতক দুলুনি আর মন খানিক ধুলা খাইয়া শেষতক যেইখানে যাইয়া পৌঁছাইলাম তাহা আমার মতো দুইদিনের অতিথির জন্য সৌন্দর্যের আধার হইয়া উঠিলেও দিন পনের থাকিতে হইলে উহাই যে বিরক্তিকর নিঃসঙ্গতার উদ্রেক করিবে তাহা ঐ দন্ডেই বুঝিয়া ফেলিলাম।


তাপিতার পথে- ক্যামেরা দেখে এই অবুঝ শিশুরা ভয়ঙ্কর ভয় পেয়েছিল


তারপর তার নিঃস্পাপ অবাক দৃষ্টি আমাকে অবাক আর অপরাধী করেছে

নির্ভরতার এইঘুম শুধু মায়ের সংস্পর্শেই


এই মেয়েটি যুদ্ধ দেখেনি, কিন্তু অভাব আর অনাহারের যুদ্ধে সেওতো একজন যোদ্ধাই


সুন্দরের তৃষ্ণা যার আমরা ধাই তার আসেই—-

প্রাণ ভরিয়া সবুজ দেখিলাম, উপরি হিসেবে পাইলাম শ্রেষ্ঠ ব্রীজে গিয়া মৎস্য শিকার। আহা কি সুখ। মৎস্য মারিয়া নৈশকালে উহাকে খুব করিয়া পিঁয়াজ আর কাচালংকা মিশাইয়া রান্না করিয়া হালুম হুলুম খাইয়া শেষ করিলাম।

পরদিন রাষ্ট্রপতি আসিবেন, তাই ব্যাস্ত দিনখানিকে সামনে লইয়া সকলেই আমরা সত্ত্বর ঘুমাইয়া পরিলাম। প্রত্যুষে উঠিতেই বড়কর্তা ফোন করিয়া রাষ্ট্রপতির আগমন আয়োজনে সাজসজ্জার দায়িত্ব লইয়া লইতে বলিলেন। আমি আবারও ধরা খাইয়া গেলাম। ক্যামেরা পাশে ফেলিয়া কষিয়া কোমড় বাঁধিয়া আবারো সাজসজ্জায় নামিয়া পরিলাম। যাহা হউক, রাষ্ট্রপতি আসিলেন আর অনুষ্ঠানও প্রশংসাসহ উৎরাইয়া গেল। দিনব্যাপী গাধার খাটুনি খাটিয়া শ্রান্ত শরীরে যখন নিদ্রা যাইব সেইখনে আমি বুঝিলাম সম্মুখে এইরুপ বহু আয়োজনে আরো আরো দুরমুজ খাইবার আর অবসরকে পুরাপুরি বিদায় বলিবার সব আয়োজন অদ্যই আমি সম্পন্ন করিলাম।কিন্তু যতক্ষনে বুঝিলাম ততক্ষনে বিশাল এক বংশদন্ড উহার সকল অক্ষি ও ঝার সমেত আমি নিজের ——আপন করিয়া লইয়াছি।


ম্যাদাম এলেন জনসন শেরলিফ-লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট

এমন করিয়া দিনকতক কাটাইয়া ছুটির ক্ষণ আসিয়া উপস্থিত হইল, আমিও দেশে যাইয়া আমার তেজী পুত্রখানির ব্যাপক সেবাযত্ন করিয়া পুনরায় স্ত্রী পুত্রকে তাহাদের মত গুছাইয়া রাখিয়া এই দুরদেশে ফিরিয়া আসিলাম । ভাবিলাম এইবার বুঝিবা অধরা অবসর আমার নিকট ধরা দিবে। কিন্তু আবারো আমি যা ভাবিয়া যা হেরিলাম তাহা অতীতের সকল কর্মকে হার মানাইয়া আবার আমাকে নিদারুন ব্যাস্ততার মধ্যে ফেলিয়া দিয়াছে। সত্যি বলিতে কি, মন্দ লাগিতেছে না , সময় বেশ দ্রুতলয়ে কাটিয়া যাইতেছে।

২,৪০২ বার দেখা হয়েছে

২৮ টি মন্তব্য : “কিছু ছবি আর একটি ফালতু পোস্ট”

  1. মুহিব (৯৬-০২)

    ভাই স্যার কবে আসছেন জানি না। তবে আমি আপনার পাশের দেশেই আছি। রাজধানী থেকে ১২০০ কিমি দূরে। জায়গাটার নাম ওডিয়েনে। সেই সেপ্টেম্বরে দেশে যাবার কথা ছিল। ব্যাগ গুছিয়ে ফেলেছিলাম কিন্তু আকস্মিক ভাবে সব ভন্ডুল। আজও সেই ফ্লাইট নির্ধারণ হয় নি। যাও হয়েছিল আবার তা গত পরশুদিন রাতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাতিল হয়েছে। কারণ একটাই আইভোরিকোষ্টের ঘাউরা প্রেসিডেন্ট :gulli2: :gulli2: লরেন্ট বাগবো। 😡 😡
    আমি সকল ভাই ও বোনদের কাছে দোয়া প্রার্থী। জন্মভূমির মাটিতে পা রাখতে খুব মঞ্চায়। :dreamy: :dreamy: (সম্পাদিত)

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রেশাদ (১৯৯৩ -৯৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।