ছোটবেলায় মায়ের কাছে কতরকমের বায়না ধরতাম। মা কখনই আমাদের নিরাশ করেননি। কখনও হয়তবা অর্থনৈতিক মন্দার দরূন এ-কথা ও-কথা বলে বিষয়টাকে এড়িয়ে গেছেন। মায়ের এই বিষয়গুলো আমি তখন তেমন বুঝতে পারতামনা, বুঝতে পারলেও এই সুযোগটা কখনও নেয়া হয়নি।মা দিবস বলে না, মায়ের কথা মনে হলেই এই অদ্ভুত বিষয়গুলো আমাকে নাড়া দেয়।সব মায়ের মত আমার মা’ও আমাকে ভাবতেন ‘সুপার ন্যাচেরাল পাওয়ার’ হিসেবে। ভাবতেন আমি সব করব, তার আনুগত্য ও নিয়ম-শৃঙ্খল হয়ে থাকব- এভাবেই একটা মা তার ছেলেকে পারফেক্ট ভাবতে থাকে।আমি অবশ্য মায়ের এই ভাবনাটা কখনো নিজের করে ভাবিনি।তাই, তার শাষনে পরে ভাবতাম, “উফঃ, ভারী বিপদতো। এত কেন কেয়ার করে”।তবে ছায়ার মত তার পাশে থাকাটা পছন্দ না করলেও ক্যাডেট কলেজের প্রথম দিন তার অস্তিত্বটা আমাকে বেশ টানতে থাকে। এবং তার কথা চিন্তা করে কখনও কখনও চোখের জল ফেলতে থাকি।
তারপর কেটে গেল অনেক বছর।
ভাবতে থাকি, একজন মায়ের কাছে তার ছেলে কত প্রিয়। যার প্রসব বেদনার পর- যার অক্লান্ত পরিশ্রমে পৃথিবীতে একজন শক্তিশালী মানুষের জন্ম হয়েছে, তার জন্যই এই দিন। এই দিন শ্রদ্ধাভরে সালাম দেয়ার, প্রত্যেকটা জন্মদাত্রী, বিভিন্নভাবে ডাকা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর শব্দটি-কে।
(মা-দিবস উপলক্ষে প্রত্যেক সন্তানের ভাবনার উপর ভিত্তি করে)
:teacup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ব্লগে স্বাগতম বায়েজীদ। পরপর ৩টা লেখা দেখলাম তোমার। দুঃখিত দেরীতে মন্তব্যের জন্যে। তোমার এই পোস্টটা ভালো লেগেছে। লেখালেখি চালিয়ে যাও, আরো পোস্ট দাও। শুভকামনা।
ধন্যবাদ ভাই।
২৫তম, তিতুমীর হাউস/সকক
শুভ কামনা।
আজ্ঞে, দোয়াপ্রার্থী ভাই।
২৫তম, তিতুমীর হাউস/সকক