বিনষ্ট সারথি

ততক্ষণে বিজিত বিকেলে শীত নেমে এসে
নিভায়ে দিয়েছে যৌবনের শিখা
যা জ্বলেছিল শেষরাত্রির বৃষ্টি শেষে।
কথা ছিল তা হবে মহাকালে লেখা
সহস্রাব্দের কোন কবিতার মত
অন্ধকার কোন গুহার দেয়ালে আঁকা
অভিমানে শুকানো ইতিহাসের ক্ষত।

অথচ ভেবেছি অনন্তকাল
কেটে যাবে প্রেমিকার চোখে
স্বপনে দেখেছি যে স্বর্ণসকাল
একে দেব,মেখে দেব প্রিয় সে মুখে
তারপর ভালবাসা ফুরায়ে গেলে
বিপ্লবী হব আমি বিবস্ত্র শোকে।।।

কিন্তু আজ এ সাঁঝের বেলায়
একফালি জীবনের যেটুকু সময়
মুখ থুবড়ে পড়ে আছে সযত্ন হেলায়
শোক নেই বিপ্লব নেই তাপ নেই গায়।
নির্বিকার চেয়ে থাকে নিমীলিত চোখে
অতিক্রান্ত সূর্যের পরাজিত দুখে।
স্মৃতির মিছিল ঘিরে জমে পাপ
ফুরায়েছে বেঁচে থাকার অর্থহীন প্রলাপ।
ঝংকারে কেঁপে ওঠে বিনষ্ট সারথি
সমাপ্তিতে নেচে ওঠে নিভুনিভু আরতি,
পৃথিবীরে রেখে যাব আমার সমাধি
অঝোরে ঝরাব করুণা প্রলয় অবধি। ।

১,২৮৭ বার দেখা হয়েছে

১২ টি মন্তব্য : “বিনষ্ট সারথি”

  1. সামিউল(২০০৪-১০)

    কী ভাই, ইদানিং খুব HIGH হয়ে আছেন মনে হচ্ছে?

    এইটা ভাল ছিল---

    তারপর ভালবাসা ফুরায়ে গেলে
    বিপ্লবী হব আমি বিবস্ত্র শোকে।


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  2. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    মাইনাস মাইনাস মাইনাস।
    কি সুন্দর লেখা, অথচ অপচয়ের খাতায় চলে যাচ্ছে।
    অতীতের ভাষায় না লিখে ভবিষ্যতের ভাষায় কথা বলতে হবে। 😛

    রাগ কইরোনা ভাই।

    জবাব দিন
    • মামুনুর রশীদ খান(২০০১—২০০৭)

      রাগ করার কোন কারণ নাই। বাস্তব কথা বলি।এরকম একটা কমেন্ট না আসলে মনের মধ্য খচখচ করে।কিছুই না পাওয়ার চেয়ে মাইনাস পাওয়া অনেক ভাল। রিভিউ এর জন্য ধন্যবাদ দাদা। তবে "অতীতের ভাষায় না লিখে ভবিষ্যতের ভাষায় কথা বলতে হবে" বিষয়টা আরেকটু বুঝায়ে বলতে হবে। 😀


      ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক

      জবাব দিন
      • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

        একটু ব্যাখ্যা করি তাহলে।
        সাহিত্য কি ভাষায়/ভঙ্গিতে বলা হচ্ছে তার কথা বলছিলাম। যেমন ধরো, 'ফুরায়ে', 'হারায়ে', 'নিভায়ে' এ শব্দগুলোর জমানাই চলে গেছে। অতীতের ভাষা বলতে হারানো দিনের এই প্রকাশভঙ্গির কথাই বলছিলাম।

        তোমার ভাবনাটুকু কি সুন্দর অথচ! তোমাকে এমন ভাষায় কথা বলে উঠতে হবে যা কেউ শোনেনি আগে। একটা নাড়া দিতে হবে পাঠককে। আমার বিবেচনায় তোমার এ লেখার ভাষা পাঠককে আলোড়িত করতো আজ থেকে না হলেও ৫০-৬০ বছর আগে। 'অপচয়' শব্দটা সেজন্যেই বলা।

        টুকে রাখা ভাবনাগুলো (যখন যেমন আসছে তারা) আর (শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠা) কবিতার মধ্যে আছে ভাষা ও সময়ের একটা ব্যবধান, একটা সমুদ্র। সেই সমুদ্র পাড়ি দেবার উচ্চাকাঙ্খা তোমার মাস্তুলে পতপত করে উড়ছে -- তাই সাহস করে কিছু কথা বলে গেলাম আগ বাড়িয়ে।

        জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : তাহমিনা শবনম (৮৪-৯০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।