চমৎকার ওয়েদার। রোদ,বাতাস,মেঘ; সবই আছে! তাই নর্দমার পূতিগন্ধময় মমিন্সিঙ নগরে নিতান্ত অনিচ্ছাকৃতভাবে নেমে আসা বিকেলটাকেও চমৎকার বলা যায়। ! এই ওয়েদারে একটা রিকশা নিয়ে অনন্তকাল হাটাহাটি করতে বেরুনো যায়।কোন হুড তোলা হবে না,কোন প্রেমিকার স্থান হবে না পাশে! শুধু আনমনা সিগারেটে আলতো টান হবে!(রমজানের কারণে আপাত সংযম)!
রিকশার মৃদুমন্দ গতি এবং রমজানের আপাত সংযম দুটোতেই ছেদ পড়ল! উল্টোদিক থেকে একটা রিকশা আসছে,আরোহিণী একজন “আগুনের দলা”! হুমায়ুন আহমেদ বিবৃত “কন্যাসুন্দর ” আলো তার শরীরের জমিনে আছড়ে পড়ে শোষিত এবং বহুগুণ বিবর্ধিত হয়ে আমার প্রাণের সমস্ত পানি শুষে নিয়ে মরুভূমি বানায়ে ফেলল! অগ্নিকান্ডে ইন্ধন যোগাচ্ছে লাল রঙের ড্রেস! সাড়ম্বর, সবাঁক তার বসার ভঙ্গি!
জড়সড় শরীর জুড়ে বিস্ফোরন্মুখ আগ্নেয়গিরির আড়ষ্টতা!(রোজার বারটা বেজে গেল! )
নরকের মত সুন্দর মেয়েটা!! যেদিকে যাচ্ছে দুপাশে যেন সব ছাই হয়ে যাচ্ছে! পুরুষকে হতাশায় আর নারীকে ঈর্ষায় জ্বেলে সদম্ভ নির্লিপ্ততা নিয়ে সে চলে যায়! ফেলে যাওয়া বাতাসে একলা মরুভূমির হাহাকার রেখে সে চলে যায়!!!
সুখাদ্য সে যাই হোক না কেন, হজমের পর তা দুর্গন্ধময় বস্তুই হবে; তেমনি ললনার লালিত্য বর্ধনের পরবর্তীতে অপকারী সূর্যালোকে চিকচিক করে উঠে মানবীর ঠোঁটের উপর সদ্য গজানো নদীর তটরেখার মত একফালি সরু মোঁচ!!!!
মনটাই খারাপ হয়ে গেল! অযথাই রোজাটা হালকা করলাম! মানবীর জন্য সহানুভূতি!!
লেখার নাম বা বিষয় কোনটাই পছন্দ হৈলো না, সরি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
লেখার নাম এবং বিষয়বস্তু কোনটাই পছন্দ হবার মত কিছু নয়,কিন্তু বাস্তব।অন্তত আমার কাছে সেইরকমই মনে হয়। আর বাস্তব সবসময় ভাল লাগবেনা সেটাও বাস্তব।
আমার,আমার ক্যাম্পাসের ছেলেদের,আমার একগাদা স্টুডেন্টদের প্রতিদিন রাস্তাঘাটে চলাফেরা এবং চিন্তাভাবনা অব্জার্ভ করে আমার কাছে মনে হয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাবনা কমবেশি এই ক্যাটাগরির।অসুন্দর অথচ বাস্তব ।এটা আমার একান্তই নিজের অবজার্ভেশন,হতে পারে আমার বোঝার ভুল,হতে পারে শুধু আমার চোখেই পড়েছে,হতে পারে লেখার স্টাইল খুব নগ্ন হয়েছে! কিন্তু অসুন্দরকে অস্বীকার করে আমি নিজেকে স্বীকার করতেও চাই না,অসুন্দরকে শ্রুতিমধুর শব্দের চাদরে মার্জিত উপস্থাপনও আমি করতে চাই না! অসুন্দরের উপস্থাপন অসুন্দর হওয়াটাই যুক্তিসংগত। ভাগ্যিস ব্লগে অযু করে ঢুকতে হয় না!! তাই একদিন নাপাক হয়েই না হয় ঢুকলাম!!!
সরি বলে নিজের অনুভূতিকে খাটো করবেন না রাজিব ভাই,দামি জিনিস! পছন্দ না করার জন্য ধন্যবাদ! 🙂
ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক
বাহ! রেসপন্সটা খুব ভাল লিখেছ রশীদ।
লেখাটা আমার এমন কিছু খারাপ লাগেনি। অন্তত খুব দৃষ্টিকটু ঠেকেনি।
একটা ছোট্ট নোট -- তাকে আমার রম্যই মনে হয়েছে।
তোমার মমিন্সিংগা লেখাগুলো ভালোই লাগছে।
এ লেখার নামটা কেমন অজুহাত টাইপ শোনাচ্ছে, এই যা।
দাদা, একটু অফে যাই, বছর ১৪ আগে আমার এক চাচা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কাজল (ভারতের নায়িকা) কে পুরুষেরা এতো পছন্দ করে ক্যানো জানো?
আমি উত্তর দিলাম, আপনিই কন।
সে বলল, কাজলের চেহারায় পুরুষ-পুরুষ ভাব প্রবল সেই সাথে বুনো একটা ভাব আছে। দুইটা মিললে যা হয় তা হইলো বোমা।
আবুল বাশারের একটা উপন্যাস পড়ছিলাম অনেক আগে। নামটা মনে পড়লে জানাবো। শারিরিক সমস্যা নিয়া লেখা
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধন্যবাদ নূপুরদা। 🙂
ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক
লেখার আগা-মাথা কিছুই বুঝলাম না! কি নাম দিলেন? কেন দিলেন? কনফিউজড!
🙁 🙁 🙁
ছোট হাতি
কষ্ট করে আগের কমেন্ট টা দেখে নাও।ধন্যবাদ। 🙂
ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক
কি জানি ভাই.........আমার কিন্তু নামটা অনেকটাই প্রাসঙ্গিক মনে হইসে......শেষের দিকের লেখকের অন্তর্দহনের সাথে বের হওয়া কথা গুলা শুনে অনেক মেয়েই ক্ষেপে উঠতে পারে.........
তবে হয়তবা বয়সের ম্যাচিউরিটি থেকে ম্যাচিউর সিনিয়র লেখকরা এমন মন্তব্য করেছেন 😛 (সম্পাদিত)
🙂 🙂
ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক