এতদিন যে বসে ছিলেম পথ চেয়ে আর কালগুণে;দেখা পেলেম ফাল্গুনে………।
বিছানা ছাড়বার শক্তি নাই।উত্তুরে জানালা দুটো খুলে শুয়ে শুয়ে আকাশের দিকে তাকায়ে আছি।কুন্ডলী পাকিয়ে শুয়ে আছি। রবীন্দ্রনাথ গান গাচ্ছেন।অপার্থিব! অপার্থিব!
রবি নামে আমাদের একজন স্যার আছেন! স্যারের ভয়ে সবাই তটস্থ থাকে।স্যারের চেম্বারের সাইনবোর্ডে তার নামের ‘র’ এর নিচে ফোঁটা উঠে গেছে।রোগী এসে ওয়ার্ডে খোঁজাখুঁজি করছে “ববি স্যার কই? ববি স্যার?স্যার রিপোর্ট নিয়া হাসপাতালে আসতে বলছে। ”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যদি একটা চেম্বার থাকত!! বড় করে নাম লিখা একটা সাইনবোর্ড থাকত!! ‘র’ এর নিচের ফোঁটা যদি মুছে যেত!!!!
“ববীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বিশ্বকবি,
গল্প,কবিতা,গান,উপন্যাস, নাটক ইত্যাদি
বিশেষজ্ঞ।
নোবেল প্রাইজ ইন সাহিত্য ফর ‘গীতাঞ্জলি ‘।
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক :শান্তিনিকেতন,
বিশ্বভারতী।
আলবার্ট আইনস্টাইন এর বিশিষ্ট বন্ধু।”
রুম কে ঠাকুর সাহেবের চেম্বার বানায়ে ফেলছি।সকাল থেকে গান গাচ্ছেন উনি।আমিই একমাত্র রোগী। গানের ফাঁকেফাঁকে পুরনো দিনের মত আচমকা বলে উঠছেন ” শক্ত ব্যামো হইয়াছে,বায়ু পরিবর্তন আবশ্যক। ”
বায়ু পরিবর্তনের জন্য দুইটা ফ্যান ফুলস্পিডে ছেড়ে দিয়েছি।ফ্যানদুটো আপ্রাণ চেষ্টা চালায়ে এখন একটু ঘটঘট শব্দ করছে।ঠাকুরসাহেব গান থামায়ে ভ্রূ কূচকে আমার দিকে তাকায়ে আবার সেই আপ্তবচন ঝাড়লেন।”শক্ত ব্যামো …..”।
আমি একটা সিগারেট ধরায়ে বললাম “চাইলে দুইটা টান দিতে পারেন! দুই টান দিয়া আবার গান গাইলেন।গান শেষ করে আবার দুইটা। তবুও বায়ু পরিবর্তনের গান থামান! ”
আকাশের দিকে তাকায়ে বললাম “আজ আমি কোথাও যাব না।”
ঠাকুরসাহেব ভদ্রভাবে রিফিউজ করলেন। ওতে নাকি ক্যান্সার এর ঝুঁকি বাড়ে।!মৃদু কন্ঠে বিড়বিড় করে উঠিলেন “বালক! তোমার ব্যামো হইয়াছে মস্তিষ্কে, তুমি চিকিৎসা শাস্ত্রের ঊর্ধে চলিয়া গিয়াছ! আই অ্যাম সরি! ”
রশিদ ভাই, আমিই দেহি ১ম কমেন্ট করলাম। পইড়া বিশেষ আমুদ পাইলাম। রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে এইডা পইড়া কোন একটা অঘটন ঘটায়া দিত সিউর...
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
সামি।এইবার নিয়া ২য় বার লিখলাম এখানে।থ্যাংকস টু অ্যাডমিন।
তোর কমেন্ট দেইখা আমিও বিশেষ উতসাহিত হইলাম। 😀
ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক
লেখা চালায়া যান ভাই। বেস্ট অফ লাক......
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
লেখা চালায়া আর কই যাইমুরে .....। 🙂
ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক
হালকা মাথার উপর দিয়ে গেল :-B
নামের সাথে সাল জুড়ে দিও।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
শরীরটা বিশেষ সুবিধার বোধ হচ্ছিল না।সারাদিন বিছানায় শুয়ে শুয়ে যে আবোল তাবোল চিন্তাভাবনা মাথায় আসছে তাই লিখলাম।হালকা রসিকতা করার পঙ্গু ( lame) চেষ্টা! 😀 কোন অন্তর্নিহিত উচ্চাঙ্গের মেসেজ নাই। আপনি মিছেমিছি তকলিফ নিলেন।আমি খুবই শরমিন্দা হইছি।
নামের বিষয়টা এখনি ঠিক করতেছি।খুবই অনিয়মিত আসি তাই কেয়ারফুলি খেয়াল করি নাই।সালটা ইম্পরট্যান্ট।
ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক
আরে শরমিন্দা হওয়ার কিছু নাই। পড়ে ভালই লেগেছে তবে মনে হচ্ছিল এর ভিতরেও কোন কাহিনি আছে যেটা আমি ধরতে পারছি না।
আশা করি এখন থেকে নিয়মিত হবে, হ্যাপি ব্লগিং 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
লেখা পড়ে ঈষৎ বিনোদন পেয়েছেন জেনে বিশদ আমোদিত হলাম ভাইয়া। 😀
রেগুলার থাকার চেষ্টা থাকবে।
নাম কিন্তু কারেকশন করে ফেলছি! 🙂
ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক
ফাদার সুন্দর লেখা হইছে।
ব্লগে স্বাগতম।
লেখালেখি ওইগুলা তোরাই কর।অনুভূতি প্রকাশ করতে পারলেই চলবে আমার।আমি পাঠকই থাকতে চাই।স্বাগতমের জবাবে ধন্যবাদ। 😀 বহুদিন তোর লিখা নাই?চিন্তার বিষয়। 😛
ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক
:clap:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
🙂
ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক
B-)
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
😛
ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক