সন্মন্ধ

(সাবধান বাণীঃ সিরিয়াস পোষ্টের ভীড়ে ইহা শুধুই একটি চানাচুর গল্প)
সময় , হায় সময় । দেখতে দেখতে কত দিন চলে গেল । এই মাত্র সেইদিন মনে হয় মেয়েটা জন্ম নিল আর এখন বিয়ের বয়স হয়ে গেল । কিন্তু কি আর করা যাবে আজ হোক কাল হোক মেয়ে কে তো একদিন বিয়ে দিতেই হবে । ঐদিন সরাফত বলল – চাচা আজিজ কন্ট্রাক্টর তো আপনার মেয়ের বিয়ে কথা বলতে চায় । আমি বলি ঠিক আছে । সরাফত বলে – তাইলে উনি আপনাকে উনার দোকানে সোমবার বিকেলে চায়ের দাওয়াত দিছে । আমি আবার বলি ঠিক আছে ।

আমি প্রস্তাবটা রাতে বইসা বইসা ভাবি, খারাপ না । আজিজ কন্ট্রাক্টর এই শহরের এক নাম্বার পয়সাওয়ালা লোক ছেলেটাও তার একমাত্র । ভাল ছেলে, না চিনার কিছু নাই । জিলা স্কুল থেকে অনেক বছর পর এই ছেলে স্ট্যান্ড করছিল । এই ছোট শহরে সবাই প্রায় প্রায় সবার মুখ চিনে তার উপর এই ছেলেরে না চিনার কোন কারণ নাই ।

আর তারপরে ছেলের মা কেও আমি আগে থেকে চিনি ।বড় ভাল মানুষ ছিল শাফিয়া আপা , আমাদের পাড়াতেই থাকত । বেচারা বাচ্চা হবার পর বেশিদিন বাচল না , আফসোস । ছেলে তার মায়ের চরিত্র পাইছে । বিদেশে পড়াশুনা করতাছে , এত ভাল ব্যবহার এমন ছেলে কে পাত্র হিসেবে না মানার কোন কারণ নাই । কিন্তু সমস্যা একটা আছে ।

সমস্যা হইল আজিজ কন্ট্রাক্টর নিজে । তারে নিয়ে শহরে অনেকে অকথা কুকথা বলে তবে সত্য মিথ্যা জানি না । আর লোকটা শাফিয়া আপা মারা যাবার পর আরো দুই বিয়া করছিল কিন্তু এখন কোন বউ আর বেঁচে নাই । এইসব মনে করে ভাবি থাক দরকার নাই আমার মেয়ের এত পয়সাওয়ালা ঘরে বিয়ে হবার, কিন্তু………

কিন্তু আবার ভাবি আজিজ কন্ট্রাক্টর পাওয়ারফুল লোক তার ছেলের সাথে মেয়ের বিয়েটা হলে শহরে আমার ইজ্জতটা বাড়বে । এদিকে আমার ব্যবসা টা প্রায় দাড়াচ্ছে এই সময় এমন লোকের সাথে আত্মীয়তা হইলে এটা খুবি ভাল হবে । সব কিছু চিন্তা করে ভাবলাম যাই দেখি আজিজ কণ্ট্রাক্টর সোমবার কি বলে ।

সোমবার দোকানে যাইতে না যাইতে আজিজ কন্ট্রাক্টর বলে আরে আসেন আসেন । বসেন, সামনের চেয়ারটায় বসেন। আমি মনে মনে ভাবলাম – মজাই তো , এতদিন ছিল তুমি তুমি আজকে হঠাত আপনি । লোকে যাই বলুক এই লোক নতুন আত্মীয়দের সম্মান দিতে জানে । আমি বলি আপনে জানি কি বলবেন? আজিজ কন্ট্রাক্টর বলে দাড়ান চা খাইতে খাইতে বলি ।
চা খাইতে খাইতে আজিজ কন্ট্রাক্টর বলে আপনি তো আমার সম্পরকে সবই জানেন । মেয়ে দুইটার বিয়ে হয়ে গেছে ছেলেটাও বিদেশে থাকে বাড়িটা পুরা খালি খালি লাগে । রাতের বেলা কথা বলার একটা লোক নাই । আমি বলি জ্বী ঠিক বলছেন , এই বয়সে আত্মীয় স্বজন কেও কাছে থাকা ভাল । উনি এইবার একটু লাজুক হাসি দিয়ে বলেন – ঠিক এই কারণে আমি আপনার মেয়ে কে বিয়ে করতে চাচ্ছি ।

২,১০৬ বার দেখা হয়েছে

৩৪ টি মন্তব্য : “সন্মন্ধ”

    • রাশেদ (৯৯-০৫)

      কামরুল ভাই এইটা বহু পুরাতন একটা লেখা 😀 বাচ্চা বয়সের লেখা 🙁 সিরিয়াস পোষ্টের ভীড় দেখে ভাবলাম একটা চানাচুর গল্প দেই আবার কিছু লিখতে ইচ্ছে করছিল না তাই খুজে একটা পুরান গল্প দিয়ে দিলাম। খারাপ গল্প পড়তে দেওয়ার জন্য লাগাইতেছি :frontroll: :frontroll:


      মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

      জবাব দিন
  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    রাশেদ, আমার রেটিং দুই ধরনের- ভাল এবং খুব ভাল...খারাপ লাগলে রেটিং করার প্রয়োজন বোধ করি না... B-)

    তোর লেখা ভাল লাগছে... :thumbup:
    একটা ব্যাপার, দুই নম্বর প্যারায় পয়সাওয়ালা লোক ছেলেটাও তার একমাত্র এই লাইনটা আর একটু গুছিয়ে বললে মনে হয় ভাল হত...শেষে দুই মেয়ের কথাও বলেছিস তো- তাই বললাম আর কি...(ব্যক্তিগত মতামত 😛 )


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  2. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    রাশেদ আজকা ধরা খাইছে!! বাংলা সিনেমার মতো গল্পডা শেষ করার আগেই সব ফকফকা! নাহ্‌ অজুহাত দিয়া লাভ নাই। প্যারেড গ্রাউন্ড ১০ চক্কর মটর সাইকেল। স্টার্ট............ x-(


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  3. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    আহ! কি শান্তি! খুব সিরিয়াস পোষ্টের পর তোমার এই চানাচুরে এক্কেরে ফ্রেস লাগতাছে। তয় কড়া-পাতির একটা চা হইলে আরো জমতো 😀


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  4. রহমান (৯২-৯৮)
    সাবধান বাণীঃ সিরিয়াস পোষ্টের ভীড়ে ইহা শুধুই একটি চানাচুর গল্প

    হুমম, চানাচুর খাইতে খুব একটা খারাপ লাগে নাই। এইবার একটু ঝালমুড়ি খাওয়াও তো দেখি ;;;

    আমি আবার ঝালমুড়ি খাইতে খুব ভালা পাই 😀

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রহমান (৯২-৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।