নতুন বোতলে পুরান মদ আর জামায়াত

রাজনীতি মানেই কৌশল, ক্ষমতায় আরোহণের পথ কে সুপ্রশস্ত করতে নতুন নতুন নেওয়া কিছু কৌশল। কিন্তু কেন জানি কিছু কিছু কৌশল আর রাজনীতি নামক শব্দের ঘেরে আটকে রাখতে মন চায় না। এরা বরং ঘৃণার উদ্রেক করে, মনটা কে তিতা করে দেয়। এরকম একটা সংবাদ গতকাল দেখার পর থেকে মনটা তিতা হয়ে আছে। সেই সংবাদে নিজামী বলছে- “মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের জান্নাতবাসী করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছি এবং মুক্তিযোদ্ধাগণের অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।” তিতা মুখেই ভয়ংকর হাসি আসে যখন পড়ি জামায়েত জাতীয় সংগীত আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কে নিয়েও রাজনীতি করতে চায়। সত্যিই বড় বিচিত্র এই দেশ।

আমরা যদি এখন পুরো ঘটনা টা পড়ে বিশ্লেষণে যাই তাইলে প্রথমেই আমাদের কাছে এই ঘটনার দুইটা দিক পরিষ্কার ভাবে চোখে পড়বে। আসুন প্রথমে ভাল দিকটা তে চোখ বুলাই। এই সংবাদে আমরা দেখতে পাব এই প্রথমবারের মত ক্ষুদ্রকারে হলেও জামায়েত তাদের নতুন গঠনতন্ত্রে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কে স্বীকার করে নিয়েছে। শিবিরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের জাতীয় সংগীত গেয়েই অনুষ্ঠান শুরু করতে হয়েছে। এথেকে স্পষ্ট বুঝা যায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার সংগ্রাম কে অস্বীকার করে শুধু মাত্র ধর্মীয় রাজনীতির ছাতা ব্যবহার করে রাজনীতি করার দিন শেষ হয়ে আসছে, অশুভ বৃত্ত ছোট হয়ে আসছে।

তাহলে এই ঘটনার অন্যদিকটা কি? এই ঘটনার অন্যদিকটাই হল আমার মতে আসল দিক যেদিকে আমাদের সর্তকদৃষ্টি রাখা উচিত। বর্তমান যুদ্ধপরাধী বিরোধী ইস্যুতে হাত সাফাই করার জন্য এরা মুক্তিযুদ্ধ কে স্বীকার করে নিচ্ছে, জাতীয় সংগীত গাইতে বাধ্য হচ্ছে, শেখ মুজিবর রহমান কে স্বীকার করে নিচ্ছে রাষ্ট্রের স্থপতি হিসেবে। এটা রাজনীতি সচতেন মানুষের মনে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারবে না এটা সত্য কিন্তু এর বিপদ আসলে অন্যখানে। এর মাধ্যমে আসল ফায়দা লুটার চেষ্টা করবে জামায়েত সাধারণ মানুষের মাঝে। এইসব কর্মকান্ড কে প্রচারণায় সামনে নিয়ে এসে জামায়েত তাদের নিষ্কলুশ, অনুতপ্ত একটা ভাবমূর্তি ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করবে অবশ্যই।

এইখানে আরেকটা জিনিস হল আমাদের সাধারণ মানুষের ধর্মীয় ব্যাপারে সংবেদনশীলতা। প্রথাগত ভাবে আমরা কোন জিনিসে ধর্মীয় লেবাস লাগান থাকলে তা যাচাই বাছাই না করেই বিশ্বাস করতে পছন্দ করি। এতকাল ধরে এই সুযোগটাই নিয়ে আসছিল জামায়েত। কিন্তু যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতে ক্রমাগত প্রচারণা, মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন পক্ষের ভূমিকা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি এইসব কারণে জামায়েতের এই ধর্মীয় লেবাসের কার্যকারীতা ধীরে হলেও ফিকে হতে শুরু করেছে। আর পরিবর্তিত পরিস্থিতির গূরুত্ব বুঝতে পেরে জামায়েত তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে। আর তাই মুক্তিযুদ্ধ কে গঠনতন্ত্রে গ্রহণ করা, জাতীয় সংগীত আর বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তাদের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত সব নির্দেশ করে তাদের সূদুরপ্রসারী কৌশল। এসব সিদ্ধান্তের সাথে জামায়েত তাদের ধর্মীয় লেবাস কে ব্লেন্ড করে সাধারণ মানুষের মনে অবশ্যই একটা হাত সাফাইয়ের চেষ্টা চালাবে। আর তাই ধর্মীয় ব্যাপারে সংবেদনশীল সাধারণ মানুষ কে বিভ্রান্ত করে জামায়েত তাদের কাছ থেকে একটা বেনিফিট অফ ডাউট জাতীয় সিদ্ধান্ত আদায়ের চেষ্টা অবশ্যই চালাবে।

একটা যুদ্ধ জয়ের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হল শত্রু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখা। তাদের সমস্ত কৌশল, ছদ্মবেশ কে সামনে তুলে এনে অকার্যকর করা। যুদ্ধপরাধী ইস্যুতে আমরা এখন অনেক সোচ্চার হচ্ছি, যুদ্ধাপরাধীদের কৃ্ত অনেক প্রাক্তন অপরাধের চিত্র সামনে তুলে আনার চেষ্টা চালাচ্ছি, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ভাবে সরাকারের উপর বিচারের জন্য চাপ প্রয়োগের চেষ্টা চালাচ্ছি। এত কিছুর মাঝে অন্য একটা দিক কিছুটা হলেও অন্ধকারে থেকে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীরদের নেওয়া নতুন সব কৌশল। উপরের খবরটা তারই ইঙ্গিত দেয়। তাই যুদ্ধাপরাধী বিষয়ক যে কোন প্রচারণাতে আমাদের সাধারণ মানুষের কাছে এই জিনিসটাও নিয়ে যাওয়া উচিত যে- একটা হয়েনা যেভাবেই সামনে আসুক শেষ বিচারে সেটা একটা হায়েনা।

৩,০৪২ বার দেখা হয়েছে

৪৪ টি মন্তব্য : “নতুন বোতলে পুরান মদ আর জামায়াত”

  1. রাজীউর রহমান (১৯৯৯ - ২০০৫)

    গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের অন্যতম কারন এদেশের সকল পর্যায়ের সাধারন মানুষের জামাত প্রত্যাখ্যান । এই সত্যটা বিএনপি'র মাথায় ঢুকেছে বলে মনে হয়। সব মিলিয়ে দেশে জামায়াতের ইম্প্রেশন খুব খারাপ। এরা খুব সহজে নতুন কোন কূটচাল বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। আগামী অনেক বছর জামায়াত চিপায় থাকবে ।

    জবাব দিন
    • রাশেদ (৯৯-০৫)

      রাজী দোস্ত তোমার শেষ কথার সাথে একমত হতে পারলাম না। কারণ তোমার মতই অনেকে ভাবছে জামায়েতের ইম্প্রেশন খারাপ আর তাদের দিয়ে হবে না। কিন্তু তোমাকে একটা কথা বলি, ইতিহাস বলে যারা সময়ের সাথে যত দ্রুত কৌশল পাল্টাতে পারে তারাই টিকে থাকে বাকীরা হয়ে যায় ইতিহাসে অংশ। জামায়েত কিন্তু আস্তে আস্তে তাদের কৌশলে পরিবর্তন আনছে এবং সেইটা খুব সূদুরপ্রসারী ভাবে। চিন্তা করতে পার নিজামী মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এরকম ডায়লগ কেন দেয়? কারণ তারা তাদের সবচেয়ে দূর্বল দিকটাই আস্তে আস্তে ঢাকার চেষ্টা করছে। আর আমি সেই কৌশলটা নিয়ে আগেই সাবধান হতে বলছি।


      মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

      জবাব দিন
      • রাজীউর রহমান (১৯৯৯ - ২০০৫)

        জামাত খুবই ধুরন্ধর দল। তাদের কৌশল পাল্টাবার ব্যপারটা ঠিক। "জামাতকে ভোট না দিলে মুসলমান থাকবা না " - নির্বাচনের সময় ওরা এই ধরনের প্রচারনা চালায় বলেও শুনছি। এই দৃষ্টভঙ্গিও পাল্টাচ্ছে। ধর্ম ব্যবহার করে সামনের নির্বাচগুলোতে জামাতের ভোট পাওয়া কঠিন হবে। জেএমবি তে গিয়া জামাতের এ্যকশন উইং এর প্রচুর সদস্য ধরপাকড়ের শিকার হয়েছে।

        জামাত এখন শুধুই রগকাটা বাহিনী না, বিগত বছরগুলোতে তারা পেশাজীবিদের মাঝে ও বেশ একটা অবসস্থান করে নিয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে তাদের বায়াসিং শুরু হয়। মিষ্টি মিষ্টি নীতির কথা দিয়ে তারা জুনিয়রদের মোটিভেট করার চেষ্টা করেন। আমরা যখন ১/১ এ, তখন শিবিড়ের এক ইফতার পার্টিতে গিয়েছিলাম। প্রায় ১ ঘন্টা তারা শুধু রমজানের ফজিলত ই বর্ণনা করেছিল । এদের সব আয়োজনে এরা বিশাল খানাপিনার আয়োজন করে বলে শুনেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিবিড় তাড়াইতে পারলেই জামাতের অনেক শক্তি ক্ষয় করা সম্ভব।

        জবাব দিন
    • ।সব মিলিয়ে দেশে জামায়াতের ইম্প্রেশন খুব খারাপ।

      ভাইরে '৭১ এর পর তো জামায়াতের impression আরো অনেক অনেক খারাপ ছিলো। তখন যদি কেউ কইত যে বিশ বছর পর এই দেশের প্রেসিডেন্ট একজন রাজাকার হইবো তাইলে মাইনষে তারে পাগল কইত। আমার বাপে একজন মুক্তিযোদ্ধা। তারে দেখি এইসব ব্যাপার নিয়া খুব হতাশ। লোকে বলে বয়স হইছে তাই। '৭১এ অনেক রাজাকারের বয়স ছিলো আমার বাপের এখনকার বয়সের সমান। তারা কিন্তু হতাশ হয় নাই। আমার মনে হয় এটা দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। '৭১কে বেশিরভাগ মুক্তিযোদ্ধা ভাবছিলো "This is the end." কিন্তু রাজাকাররা এটাকে নিছিলো "This is a new beginning" হিসেবে। এই হার না মানা মনোভাবটা আমাদেরও খুব দরকার।

      অন টপিক: লেখা ভালো ছিলো। ইদানিং '৯৯ ব্যাচ যা শুরু করছে না। কমেন্ট না দিয়া থাকতে পারলাম না এই আইলসা আমিও। '৯৯ ব্যাচ আসলেই পাথরায়ে।

      জবাব দিন
  2. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)
    শিবিরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের জাতীয় সংগীত গেয়েই অনুষ্ঠান শুরু করতে হয়েছে। এথেকে স্পষ্ট বুঝা যায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার সংগ্রাম কে অস্বীকার করে শুধু মাত্র ধর্মীয় রাজনীতির ছাতা ব্যবহার করে রাজনীতি করার দিন শেষ হয়ে আসছে, অশুভ বৃত্ত ছোট হয়ে আসছে।

    অশুভ বৃত্ত আরও বড় হচ্ছে। আমরা দেখছি সেটা ছোট হচ্ছে, জামাত এই ধূলাটাই আমাদের চোখে দিতে চায়।

    জবাব দিন
    • রাশেদ (৯৯-০৫)

      আমি মনে হয় কথাটা পরিষ্কার করতে পারি নাই। আমি বৃত্ত ছোট হওয়া বলতে বুঝাতে চাইছি- জাময়েত একটা সময় শুধু ধর্মের দোহাই দিয়ে রাজনীতি করত এবং ভোটও বাগিয়ে নিত। কিন্তু সেই সুযোগ কমে আসছে বলেই আজকে তাদের মুক্তিযুদ্ধ কে স্বীকার করে নিতে হচ্ছে। আর তুই নিশ্চয়ই বুঝিস জামায়েত সামনে যাই বলুক তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ মানেই একটা গন্ডগোল। আর এর অর্থ হচ্ছে এতদিন জামায়েত আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কে উপেক্ষা করে শুধু মাত্র ধর্মের দোহাই দিয়ে রাজনীতি করে এসেছে কিন্তু এখন আর সেইটা সম্ভব হচ্ছে না বলেই তাদের এই নতুন এই কৌশল নিতে হচ্ছে। আমি সেই অর্থে বৃত্ত ছোট হয়ে আসছে বলে বুঝিয়েছি।

      আর জামায়েতের আমাদের চোখে ধূলো দেওয়ার প্রচেষ্টার কথা কিন্তু আমি বলেছিই। আর এই কৌশলটা নতুন আর বাংলাদেশের জন্য অভিনবও বটে। কারণ এতদিন এরা ধর্মের সাথে ব্লেন্ড করছিল ভারত বিরোধী জাতীয়তাবাদ আর এখন তাতে কুলাচ্ছে না বলে তার সাথে মুক্তিযুদ্ধ কে জড়িয়ে নতুন একটা আইওয়াশ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এইটাই এখানে মজার এবং সেইসাথে বিপদজনক, এ কথাটাই আমার পোস্টের মূল বক্তব্য।


      মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

      জবাব দিন
      • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

        তোর পয়েন্টটা আমি বুঝছি। ঐ লাইনটা কোট করছি কারণ ব্যাপারটা এতো সোজা না এটা মিন করার জন্যই। সোজা না যে সেটা তুই পরে কিছু বলছিস, তবে আরও অনেক গভীর ব্যাপার আছে।

        এই বিষয়ে সামনা সামনা কথা হবে, তুই যদি মাঝে মাঝে তোর ফোন খোলা রাখিস তাহলে 😀

        জবাব দিন
  3. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)
    এইখানে আরেকটা জিনিস হল আমাদের সাধারণ মানুষের ধর্মীয় ব্যাপারে সংবেদনশীলতা।

    সাধারন, অসাধারন সবাই এ ব্যাপারে খুব সংবেদনশীল যেটা আজ রাজনীতিবিদদের সম্পদ হয়ে দাড়িয়েছে।
    পরীক্ষার পর পরই জটিল একটা বিষয় নিয়ে লিখলে। :thumbup:


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
  4. রকিব (০১-০৭)

    ভূতের মুখে দেখছি শেষতক রামনাম এসেছে।

    একটা হয়েনা যেভাবেই সামনে আসুক শেষ বিচারে সেটা একটা হায়েনা।

    সহমত।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  5. একটা হয়েনা যেভাবেই সামনে আসুক শেষ বিচারে সেটা একটা হায়েনা।

    হায়েনা প্রানীটা না হয় দেখতে বদখত তাই বইলা হায়েনা জাতটারে এইভাবে অপমান করলা

    জবাব দিন
  6. আশহাব (২০০২-০৮)

    ইতিহাস বলে যারা সময়ের সাথে যত দ্রুত কৌশল পাল্টাতে পারে তারাই টিকে থাকে বাকীরা হয়ে যায় ইতিহাসে অংশ। জামায়েত কিন্তু আস্তে আস্তে তাদের কৌশলে পরিবর্তন আনছে এবং সেইটা খুব সূদুরপ্রসারী ভাবে।
    এতদিন এরা ধর্মের সাথে ব্লেন্ড করছিল ভারত বিরোধী জাতীয়তাবাদ আর এখন তাতে কুলাচ্ছে না বলে তার সাথে মুক্তিযুদ্ধ কে জড়িয়ে নতুন একটা আইওয়াশ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
    রাশেদ ভাই, আমি এক ঘণ্টা চিন্তা কইরা যা বুঝি তা দেখি অনেক আগেই লিখা হয়ে গেছে 🙁 , তাই ইমো দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না 😀
    যাই হোক, পইড়া দারুণ মজা পাইলাম, আর সব সময়ের মত অনেক কিছু জানলাম :boss: :boss: :boss:


    "Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
    - A Concerto Is a Conversation

    জবাব দিন
  7. আন্দালিব (৯৬-০২)

    জামাতের নাম শুনলেই চোখের সামনে যে চেহারাটা ভেসে ওঠে, দাড়িওলা টুপিপরা বা লুঙ্গিপরা রাজাকার সেটা এখন বদলে গেছে পুরোপুরি। অর্থাৎ জামাত-শিবির খুব সুকৌশলে নিজেদের বাজে ছবিটাকে সরিয়ে দিতে পেরেছে। এখনকার জামাত-শিবির ভালো-গুণী ছাত্র, মেধাবী মাথার মানুষ দিয়ে তৈরি। এটা খুব খুব ভয়ানক কথা!

    অনেক পড়াশোনা করা, শিক্ষিত মানুষ জামাতের নতুন চেহারার কারণে (ভাল মানুষ, পরোপকারি, মেধাবী) তাদের বেনিফিট অফ ডাউট দিতে চায়। এটা কত ক্ষতিকর হতে পারে তার কোনো আইডিয়া তাদের নাই। শিবিরের বেলায় একটা প্রবাদ খুব খাটে, "সুঁই হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বের হওয়া"। ভালো ভালো ধর্মের কথা, সচ্চরিত্রের কথা বলে শুরু করে শিবির একটা সময়ে কী করে বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকেও 'কনভার্ট' করে ফেলে সেটা আমি নিজের আত্মীয়ের মাঝেই দেখেছি।

    সুতরাং জামাত শিবির থেকে সাবধান। ভেড়ার ছাল পরে নেকড়ে ঘুরছে।

    লেখার বিষয়বস্তু আর বলার ঢঙটা ভালো লাগছে রাশেদ। :clap:

    জবাব দিন
  8. শোভন (২০০২-২০০৮)

    পলিটিক্স একটু কম বুঝি । তবে এইটা বুঝি রাজাকারেরা দেশের শত্রু । ওদের এই দেশে কোন স্থান
    নাই । কিন্তু আমার কথা রাজাকারেরা কিন্ত কম বেশি সব দলেই ছড়িয়ে আছে । এদের সবাইকে
    চিহ্নিত করে দৃষান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে ।

    জবাব দিন
  9. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    এই পোস্ট টা আগে মোবাইলে পড়ছিলাম।
    তবে জমায়াতের মায়া কান্না দ্বেইখা যা হবে সাধারণ অনেক ধর্ম ভীরু মানুষ মনে করবেন আরে জামাত তো নিজেদের ভুল স্বীকার করছে। তারা মহান।/ কিন্তু এটা যে পলিটিক্যাল চাল সেটা বুঝাটা জরুরী।
    তবে বিদেশি ভগবান রা পজিটিভ না বল্লে ঠিক আশাবআদী হওয়া যায় না যুদ্ধাপরাধের বিচারের ব্যাপারে।

    জবাব দিন
  10. জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা বলেন, ‘বাস্তবতাকে অস্বীকার করার যৌক্তিকতা নেই। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশকে বহু আগে মেনে নিয়েছি। এটা যদি কেউ মানতে চায় মানুক, মানতে না চাইলে নাই।'

    জানতে চাইলে ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রেজাউল করীম প্রথমে তিনি হেসে বলেন, ‘যা হয়েছে তা তো পজিটিভই (ইতিবাচক)। তাই না?’ পরে তিনি বলেন, ‘সমাজের বিভিন্ন দিক আছে, যেগুলোকে উপেক্ষা করে চলা যায় না। মানুষের উপলব্ধি, বিশ্বাস ও মনের বিষয়গুলো গ্রহণ করার মধ্যেই কল্যাণ। এর মধ্যে অন্য কিছু নাই।’ তিনি বলেন, কট্টর নীতি কেউ পছন্দ করে না। সারা বিশ্বই এটা থেকে সরে এসেছে। যারা এটা করবে, তারা সবাই হারিয়ে যাবে।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কামরুল হাসান (৯৪-০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।