গল্পের খোঁজে

খটখট-খটাখট, কী-বোর্ডে আঙ্গুল চলছে বারবার। চারিদিকে আর কোন শব্দ নেই, আর কেউ নেই। সব ঘুম,
জেগে আছি শুধু আমি। লেখাটা আজকেই শেষ করতে হবে। কিন্তু সামনে এগোচ্ছে না কিছুই। যতই কী-বোর্ডে ঝড় তুলছি ততই বেকস্পেসে চাপ পরছে। কালকেই ম্যাগজিনের জন্য গল্প জমা দেবার শেষ তারিখ। বুঝে উঠতে পারছি না কিছুই কারণ রাত শেষ হতে বেশী বাকী নেই কিন্তু গল্পের এখনো অনেক বাকী।

সন্ধ্যায় মাথায় আসা গল্পের প্লটটা দারুন। এরকম প্লট সাধারণত মাথায় আসে না। তাই নিয়ম হল এরকম দারুন কোন প্লট মাথায় আসার সাথে সাথে লিখে ফেলতে হবে, নাইলেই বিপদ। খুঁটিনাটির দিকে প্রথমে তেমন একটা নজর না দিয়েই লিখে ফেলতে হবে নাইলে প্লটটা হারিয়ে যাবার চান্স আছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না আজ, গল্প আর সামনের দিকে এগোচ্ছে না। এরকম দারুন একটা প্লট বারবার মাথায় আসবে না তাই গল্পটা নামিয়ে ফেলতে হবে আজি। কিন্তু মনিটররের নিচের দিকের ঘড়িটা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে রাত আর বেশী বাকী নেই।

আজকে হঠাত করেই প্লটটা মাথায় আসল। কিন্তু একসময় একটা ভাল প্লট পাওয়ার জন্য কত কিনা করেছি। মুবিন ভাই বলে- অভিজ্ঞতা ছাড়া কি লেখার হাত পাকে নাকি? তাই অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য কত পাগলামীই না করলাম। গাজায় নাকি দারুন ফিলিংস। ক্রিয়েটিভিটির নাকি একদম উঁচু স্তরে পৌছিয়ে দেয়। শুনে আমি, সেলিম আর রেজা কম টান দিলাম না, কিন্তু কিসের কি? অবশ্য অভিজ্ঞতাটা খারাপ ছিল না খালি কাহিনি শুনে বাকীরা চোখ বড় বড় করে ফেলল। শাহাদাতের খালি মুখ খারাপ, বলে কিনা- ঐ হারামজাদারা সাহিত্য মারাস না? আমার সামনে সাহিত্য মারাস? আরেকদিন খালি টান দিয়া আইসা আমার সামনে পরিস, হলের চারতালা থেকে তোদের সবগুলারে নীচে ফেলে দেওয়া তখন আমার জন্য ফরয। টান দিয়ে আসলে এমনিতে ফিলিংস হাই থাকে তাই আমরা কিছু মনে করলাম না। অবশ্য শাহাদাতের কথায় মনে করার কিছু নেই। শালা কাঠ মোল্লা, বুরবক। সাহিত্যের ব্যাটা কি বুঝে। বুঝেতো খালি ক্লাস, টিউশনী,হল আর হল,ক্লাস,টিউশনী। কিন্তু আমাদেরতো অভিজ্ঞতা দরকার, গল্প দরকার।

মনিটরের ঘড়ি জানান দিচ্ছে রাত হয়েছে দুইটা। কিন্তু আমার গল্পের নায়ক এখনো হলে সিট পায়নি। বেচারা ঢাকায় নতুন এসেছে, কাছের তেমন কেউ নেই এই শহরে। হলে সিট না হলে পড়াশুনা চালানোটা দারুন কষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু এই নায়ক বেচারা খালি ঘুরছে, এই নেতা থেকে সেই নেতা। হবে, হচ্ছে করেও হচ্ছে না। আমাদের সময়েও কি কম কষ্ট হয়েছিল, কম অভিজ্ঞতা? আমাদের ৩/৪ মাস লাগলেও সেলিম কে তো পুরা আট মাস মেসেই কাটাতে হল। অবশ্য শাহাদাত কিপটা এইদিক দিয়া ঠিক ছিল, শালা পুরা ২মাস হলের মসজিদে রাত কাটিয়ে দিল।

নাহ পুরান কথা মনে করে লাভ নাই, সময়ও বেশী বাকি নাই। অবশ্য এই গল্পের একটা সুবিধা আছে, একটা গতবাধা ছক আছে। হাজার বার লেখা হলেও সমস্যা নাই, পাঠক খাবে, খেতে বাধ্য। গ্রাম থেকে আসা নায়কের অবশ্যই নানা-রকম সমস্যা থাকবে, সে সুদর্শন বা ভাল ছাত্র টাইপ কিছু একটা হবে, আর নিশ্চিত ভাবে কোন এক শহুরে রূপবতীর মন তার জন্য অপেক্ষায় থাকবে। আমার নায়কের বেলায়ও তাই হতে যাচ্ছে। কিন্তু ব্যাপার টা কিভাবে ঘটাব তাই বুঝতে পারছি না। ক্লাসমেটের প্রেমেও ফেলা যায় আবার টিউশনীতে ছাত্রীর। টিউশনীতে ছাত্রীর প্রেমেই ফেলা মনে হয় সবচেয়ে ভাল। কারণ এই জিনিস নিয়ে আশেপাশের কম ঘটনা তো দেখলাম না।

তখন পোলাপাইন সবাই ঢাকা শহরে নতুন নতুন। কেও আত্মীয়ের বাসায় তো কেও মেসে, আর কেও বা হলের গণরূমে গাদাগাদি করে থাকে। টাকাপয়সা যে জীবনে কি উপকারী বস্তু তা তখন আমাদের কারো বুঝতে তেমন বাকী নাই। তাই বাপ-মায়ের আদরের ধন দুই-একটা নন্দদুলাল ছাড়া বাকী সবাই টিউশনী খুঁজে। কিন্তু খুঁজলেই কি এত সহজে তা মিলে? বড় ভাই কিংবা দালাল সেন্টার গুলারে ধইরা যাও একটা-দুইটা পাওয়া যায় সেইগুলাতেও ধান্দার শেষ নাই। মাস শেষে টাকা মিলে না, টাকা মিলেতো বিকালবেলার চা-নাস্তা মিলে না। মানে ঘটনার একশেষ আরকি। এইরকম সময়ে এই শহরে চার হাজার টাকায় কলেজ পড়ুয়া সুন্দরী মেয়ে পড়ান আমাদের কাছে মিলিওন ডলার অফার। আর সেই সময়ে সেই রকম একটা অফার পেয়ে গেল আজম। প্রথম মাসের বেতন পেয়েই দেখি শালা ঢাকা কলেজের উল্টা দিকের দোকান গুলা থেকে কম দামে দারুন দুইটা শার্ট নিয়ে আসছে। প্রশ্ন করতেই হেসে বলে- বুঝিস তো দোস্ত, টিউশনীতে যাইতে হয় তাই একটু ফিটফাট না থাকলে হয় নাকি। পরের মাসে অবশ্য এর সাথে পারফিউম ও যোগ হয়। সেই সময় আমরা যখন কেও আজমের নতুন শার্ট দেখে হিংসায় জ্বলি আর কেওবা ব্যাটার সৌভাগ্যে তখন শাহাদাত পোলাটা বলে- মানুষ যে কেমনে এত অকাম করার টাইম পায় বুঝি না।

আমার নায়কের জন্য ক্লাসমেট না বরং টিউশনীর ছাত্রীই ভাল। তাই আমি আমার নায়ককে ঢাকা শহরে হন্যে করে ঘুরাই। তপ্ত রোদে তার ঘাম ছুটে যায় লোকাল বাসের অপেক্ষায় চলে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। হলে তার মেসের টাকা বাকী পড়ে, লজ্জায় অপমানে তাই সে লুকিয়ে থাকে কুকড়ে যায়, পেটে চালান যায় গ্লাসের পর গ্লাস পানি। চারপাশে মানুষের এত হাসিখুশি মুখ তার অসহ্য লাগে, অসহ্য লাগে আর অনেক কিছুই। এতকিছুর পরেও নায়ক বাড়ি থেকে আসা চিঠির অপেক্ষা করে আর সাথে পাঠানো টাকার। মাঝে মাঝে নায়কের মনে হয় কার জন্য তার প্রতীক্ষা বেশী? চিঠি না টাকা? হলের মেস ম্যানেজার যখন মনে করিয়ে দেয় এই মাসের টাকা জমা দেবার সময় প্রায় শেষ হয়ে এল তখন নায়কের মনে হয় টাকাই দরকার কিন্তু রাতে ঘুমের আগে মনে হয় অন্য রকম। কারন তখন বাড়ীতে ফেলে আসা সব পুরান কথা মনে পড়ে যায়।

কম্পিউটারের মনিটরের নিচে থাকা ঘড়ির দিকে আমার চোখ যায়, রাত শেষ আসছে অতি দ্রুত। তাই গল্পের মূল বুনট গড়ে তুলতে আবার মন দিই কী-বোর্ডে চোখ, রাখি মনিটরে। গল্পের পাঠকদের গল্পের চরিত্রের ভিতরের নিয়ে যেতে হয় চরিত্রদের পুরান স্মৃতির ভিতর দিয়ে। যেই স্মৃতি অনেক পুরান কথা মনে করিয়ে দেয় নষ্টালজিক করে তুলে।

তাই আমার গল্পের নায়কের রাতে ঘুমতে যাবার আগে মনে পরে যায় তার ফেলে আসা ছোট্ট শহরের স্মৃতি। মনে পড়ে যায় তার কেরাণী বাবার কথা, সারাদিন ব্যস্ত মা কিংবা প্রতিক্ষণ মারামারি করা ছোট দুইটা ভাইবোনের কথা। চোখ বন্ধ করলেই নায়ক তাই তার শহরের রাস্তা গুলিতে হাটতে থাকে। তখন তার সামনে আসে কলেজের সামনের দিঘী, হাসপাতাল পাড়ার জাফর সহ আর অনেকে। তবে তার মনে আসে আরেকজনের কথা যার কথা সে কার সামনে স্বীকার করতে চায় না।

এইসব কথা আসলে কেও স্বীকার করতে চায় না। আমাদের শাহাদাত কে কি কেও শেষ পর্যন্ত স্বীকার করাতে পারল? প্রথম প্রথম ভার্সিটি আসার পর ব্যাটার কাছে গেলেই দেখা যেত গণরূমের এককোণায় উৎ হয়ে একটা কাল রঙের পুরান ডায়েরীতে কি যেন লিখছে। সেই ডায়েরীটা চুরি করেই আমরা জেনেছিলাম নামটা। ডায়েরীর প্রতি পাতায় পাতায় কারণে অকারণে যত্ন করে লিখে রাখা ছোট্ট সেই দুই অক্ষরের নাম। কিন্তু হাজার বলার পরের শাহাদাত স্বীকার করল না, খালি বলে- আরে এই নামে কেও নাই, এমনে লিখছি এমন আর কত কিছু। তাই আমার গল্পের নায়কও কিছু স্বীকার করবে না করবে শুধু কল্পনা আর সেইখানে সাথে থাকবে খালি ছোট্ট দুই অক্ষরের একটা নাম।

এইসব গল্পের আরেকটা জনপ্রিয় ফর্মূলা হল পুরান ঘটনার সাথে সমান্তরালে এগিয়ে চলবে বর্তমান। তাই আমার গল্পের নায়ক টিউশনী খুঁজবে, খুঁজবে মেসের টাকা সময় মত দিতে পারার উপায়। এই কঠিন শহরে হয়ত কোন বড় ভাই তার প্রতি দয়াদ্র হবে সন্ধান দিবে টিউশনী নামক সেই মূল্যবান বস্তুর। আর ঠিক এইসময় আমার ঘুম পায়, দারুন ঘুম। সারদিন হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ির পর শরীরটা নেতিয়ে পড়তে চায়। তাই একটা সিগ্রেট ধরিয়ে চাঙ্গা হবার চেষ্টা করি, হসাপাতালের কথা মাথা থেকে সরিয়ে সিগেরেটের ধোয়ার সাথে মনিটরে মনযোগ দেবার চেষ্টা করি। গল্পেটা শেষ করার জন্য ট্রাই নিই কারণ ভোরের আলো আসতে আর মাত্র এক ঘন্টা বাকী।

ঢাকা শহরের মনে হয় অনেক মেয়ের প্রথম প্রেমের অভিজ্ঞতা হয় টিউশন মাস্টারের কাছ থেকে। আমার গল্পের অন্যতম চরিত্র লাবণী এর ব্যতিক্রম নয়। তাই আমার গল্পের নায়ক তার টিউশনীতে যাবার দিন দশকের মাঝেই বুঝতে পারে তার ছাত্রীর বইয়ের ছাড়া আর বাকী সব কিছুর প্রতি মনযোগ আছে, এমন কি তার প্রতিও। গল্পের এই অংশটা খুবই গূরত্বপূর্ণ কারণ এর বুনট ধরে রাখবে পাঠকের মনে গল্পের আসল রেশ।

কিন্তু গল্পের চরিত্ররা বিশেষ করে এইসব ছকের গল্পের নায়কেরা অনেক কিছুই সহজে বুঝতে পারে না। কিন্তু আমার গল্পের নায়ক তারপরেও বুঝে উঠতে পারে তার ছাত্রীর মনযোগের লক্ষবস্তু আসলে সে। তবু সে নিয়মিত সে তার টিউশনী চালিয়ে যায় কারণ প্রতি মাসর শুরুতে তাকে নিয়মিত মেসের টাকা দিতে হবে, এইবার বাড়িতে যাবার সময় ছোট ভাই-বোন দুইটার জন্য জামা নিতে হবে। তাই সে না বুঝেই থাকে কেন লাবণী তাকে অহেতুক বারবার তার সমস্ত খবর জিজ্ঞেস করে, কেন অহেতুক বলে- স্যার আপনার এই বিশ্রী শার্টটা না পড়লে চলে না? আর এইভাবেই সে আস্তে আস্তে অদৃশ্য জালে ধরা পরে।

তবু রাতের বেলা তার মনে পড়ে যায় পুরান সেই ছোট্ট দুই অক্ষরের সেই নাম আর উকিল পাড়ার দেওয়াল ঘেড়া বাড়ীটার কথা। কিন্তু বিকেল বেলা পড়াতে পড়াতে আমার গল্পের নায়ক আবিষ্কার করে সামনে বসে থাকা ছাত্রীকে, ছাত্রীর অহেতুক প্রশ্ন কে, কৌ্তুহল কে। তাই আমার গল্পের সময় আবর্তিত হয় রাত আর বিকেলের কিছু সময় কে ঘিরে। আস্তে আস্তে করে হেলে পড়া অনুভূতি নায়ক কে জানান দুই নামের কথা, পুরান কিছু গল্প আর নতুন কিছু ঘটনার কথা। এই দোলাচালে নিয়ে আমি খেলতে থাকি নায়কের সাথে আর নায়কের পরিণতি নিয়ে পাঠকের উৎকন্ঠার সাথে।

পাঠকের মত আমিও ভাবতে কি করা উচিত আসলে নায়কের। আমাদের হাফিজের মত ছেড়ে দেওয়া উচিত তার টিউশনী নাকি আজমের মত বলা উচিত- পুরান জিনিসের কথা মনে করলে খালি কষ্টই বাড়ে তাই নতুন কিছুই ভাল। এই দোলাচালে দুলতে দুলতে আমিও ভাবতে থাকি- কি করা উচিত আমার নায়কের? কেমন হওয়া উচিত আমার গল্পের শেষ পরিণতি?

ভাবতে ভাবতে মনিটরের পিছনের জানালা দিয়ে আসা আলো জানান দিয়ে যায় শেষ হয়ে আসা সময়ের কিন্তু শেষ না হওয়া গল্পের। তাই শেষ না হওয়া গল্পের ক্লান্তিতে রূমের বাইরের বারান্দায় বেরিয়ে আসি। নিশ্চুপ হলের বারান্দায় তখন দুই একজন নামাজী ছাড়া আর কাওকে দেখা যায় না সাথে থাকি সিগারেট হাতে আমি। হলের উলটা দিকের ব্লকের ৪২৩ নাম্বার রূম আমি দেখতে পাই সিগারেটের ধোয়া ঠেলেও। ক্লান্ত আমার মনে পরে যায় গতকাল বিকেলের হাসপাতালের কথা। শাহাদাত ব্যাটা গতকাল সকালবেলা থেকে পা ভেঙ্গে পড়ে আছে হাসপাতালে। বুরবক শালা আসলেই বুরবক, এই শহরে শালার কেও নাই এমন মরার সময়ে। তারপরেও আমরা ঠেলেঠুলে মোবাইলে খবর পৌছে দিই গার্মেন্টসে চাকরী করা ব্যাটার এক চাচাত ভাইয়ের কাছে। সন্ধার সময়ে সেই চাচাত ভাইয়ের আগমনে আমাদের অনেক কিছুই পরিষ্কার করে।

আমরা অনেকে সেই ভাই কে ঘিরে ধরি মুখচোরা শাহাদাতের ভিতরের খবর জানার জন্য। সেই গল্পের সাথে সাথে আমরা অনেকেই বুঝে যাই অনেক কিছু। আমরা বুঝে যাই শাহাদাতের হল,টীউশনী, ক্লাস রহস্য, সাথে পরিষ্কার হয়ে যায় মাসের প্রথম কয়েকদিন শাহাদাতে মেসে না খাওয়ার রহস্য। কিপটা নামের আড়ালে শাহাদাতের হাসি কিংবা অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আমাদের পাগলামীতে শাহাদাতের গালি সবই আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে পড়ে। আমাদের অনেকেই সেই গল্প কে সহ্য করতে পারে না তাই আস্তে আস্তে সরে পড়ে বিভিন্ন অযুহাতে। তবু আমি শুনতে থাকি সেই গল্প, ভাবতে থাকি সেই কাল ডায়েরীর কথা, ডায়েরীতে লিখা ছোট্ট দুই অক্ষরের সেই নামের কথা আর কোন এক বৃষ্টি দিনে শাহাদাতের কাছে শুনা তার টিউশনীর কথা কারণ সেই রাতেই আমার একটা গল্প লিখার কথা ছিল।

১,৫৩৮ বার দেখা হয়েছে

১৯ টি মন্তব্য : “গল্পের খোঁজে”

  1. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    সিসিবি কি পুরোনো জিনিসের আড়ত নাকি যে দেড়মাস পুরোনো লেখা এনে যখন তখন দিয়ে দিবি?

    পাঠক হিসেবে খুবই বিরক্ত।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
    • রাশেদ (৯৯-০৫)

      কামরুল ভাই জানতাম আপনে ঝাড়ি দিবেন 😕 কিন্তু আমার প্রতি একটু সদয় হন। সিসিবির সব পাঠক তো আর সবখানে যায় না আর একটা লেখা লেখার পর তো ইচ্ছে করে লেখকের যে যত বেশী সম্ভব পাঠকের কাছে পৌছে যাবার। আমি কিন্তু আজকাল সিসিবিতে পুরান লেখা দেওয়া প্রায় ছাইড়া দিছি। অন্তত গল্প গুলার ব্যাপারে একটু ছাড় দেন। সাধারণত একটা সাধারণ লেখার থেকে গল্প লিখতে আমার কষ্ট একটু বেশী হয় তাই অন্য যে কোন লেখার তুলনায় গল্প গুলোতে যত বেশী সম্ভব পাঠকের কাছে পৌছাতে চাই।

      আরেকটা প্রশ্ন করতে পারেন কেন আমি ঐখানে আগে দিই। এই উত্তর আমি আগেই একবার আপনাকে দিছিলাম। আর আমি কিন্তু এইখানে পুরান লেখা দিই তা না ঐখানেও সিসিবি থেকে তুলে নিয়ে পুরাতন গল্প প্রথম পাতায় লটকাইছি 😀


      মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

      জবাব দিন
    • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

      লেখাটা ভালো হয়েছে। বেশ ভালো।
      তবে বানান ভুলের কারণে হোঁচট খেলাম বেশ কয়েকবার।
      দুয়েকটা উদাহরণ: 'পাঁকে' আর 'পাকে'-র মধ্যে কিন্তু আকাশ-পাতাল তফাৎ; 'কেও' না 'কেউ'।
      আমার স্থির বিশ্বাস, তুমি আরো সময় নিয়ে লিখলে এই প্লটটাকেই আরো সুন্দর করে গোছাতে পারতে।
      এই কথাগুলো এজন্যে বলা: নতুন লেখকের জন্যে শুধু একটা ভালো গল্প যথেষ্ট নয়, তাকে একেকটি অনন্য সাধারণ গল্প উপহার দিতে হবে পাঠকের কাছে।
      সেই সম্ভাবনা তোমার গল্পে প্রবল।
      চালিয়ে যাও।

      জবাব দিন
  2. রকিব (০১-০৭)

    রাশু ভাই, সিম্পলি দারুন হয়েছে। কামরুল ভাই কি যেন কইছে উপ্রে, ঐ বিষইয় নিয়ে এট্টু চুল্কানি থাকলেও আপনি সিসিবি পাঠককূলের কথা চিন্তা করে দিয়েছেন ভেবে খুশী হলাম। রাশু ভাই রকায়।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  3. রাশেদ, পুরানো গল্প খাওয়াইলি দেইক্ষা তোরে ব্যাঞ্চাই 😡 😡

    আমি সচলে এইটার যথেষ্ট সুনাম করেছিলাম...... পরীক্ষার আগেরদিন এইটা পড়ছিলাম অনেক সময় নিয়া আমার মনে আছে। আমি আর নতুন কইরা প্রসংশা করতে চাইতেছিনা।
    (তুই জানিস তোর লেখা আমার পছন্দ 🙂 )

    আমার ধারণা আজকে পোস্ট ছিলনা প্রায় সারাদিন। তাই তুই কী করা যায় ভাবতে ভাবতে এইটা দিছস। হইতে পারে আমি ভুল ধারণা করছি...... 😕 😕

    জবাব দিন
  4. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    দারুনতো গল্পটা । বানানে একটু হুরাহুরি আছে । নেক্সট টাইম খুব কিয়াল কইরা 😛
    ারো লিখ, তোর লেখা পড়ার মজাই আলাদা । শাহাদাতের এই অবস্থা কেন, কেডা পিটাইছে ?

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : কামরুল হাসান (৯৪-০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।