কয়েকটি কবিতা

সময়ের প্রহেলিকা
—- ড. রমিত আজাদ

হে সময়!
তুমি কি পরম-ধ্রুব নও?
নও কি তুমি অবিচল-স্থির ঐ হিমশৃঙ্গের মত?

নাকি তুমিও প্রসারিত-সংকুচিত হও,
নব যৌবনা তরুণীর বক্ষস্থলে অবরুদ্ধ অস্থির হৃদয়ের মত?

তবে তোমাকে বেঁধে নেই কোন্‌ কঠিন শাসনে বলো?
মহাজগতের কালের নিয়মে বাঁধা,
আমিও ক্ষণস্থায়ী প্রাণ,
একদিন কাটিব বাঁধন নির্বন্ধ একালের,
অথবা রাখিব পদ
নতুন কোন বিধানতন্ত্র-লোকে।

(সময় (time) পরম কিছু নয়। সেও আপেক্ষিক, নানান প্রসঙ্গ কাঠামোতে তার নানান হিসাব। ধর্মগ্রন্থগুলোতে এ’ সম্পর্কে অনেক আগেই বলা হয়েছিলো। বিজ্ঞান কিছুকাল হয় তা গাণিতিকভাবে প্রমাণ করেছে।)

The Relativity of time
Dr. Ramit Azad

———————————————————-

বালিকা, তুমি এতো অবুঝ কেন?
——– ড. রমিত আজাদ

বালিকা, তুমি এতো অবুঝ কেন?
কেন তুমি বোঝনা, সোনালী বিকেলগুলো কত সুন্দর?
কেন তুমি বোঝনা, পূর্ণিমা রাতের বর্ণচ্ছটা কত মধুর হতে পারে?
কেন তুমি বোঝনা, হাসনা হেনার সুবাস
আর মাধবীলতার সৌরভ একা উপভোগ করা যায়না?

তুমি কি বৃষ্টি দেখেছ?
ঘন বরষায়, অবিরাম-অবিশ্রান্ত বৃষ্টি?
অথবা বিস্তির্ণ হাওরের উথাল-পাথাল ঢেউ?
কিংবা সেখানে ফুটে থাকা টকটকে লাল পদ্ম?

বৈশাখী ঝড় দেখেছ?
খোলা জানালা দিয়ে যখন হুহু করে ঢুকে পড়ে
বাতাসের তান্ডব?
টেবিলে গুছিয়ে রাখা বই-খাতা সব লন্ড-ভন্ড করে ফেলে?
উপড়ে ফেলে আহলাদি কৃষ্ণচূড়া গাছগুলিকে?

নাহ্‌, তুমি বুঝলে না বালিকা!
এতোসব বৃষ্টি, ঝড়, বিকেল, পূর্ণিমা,
তোমাকে ভীষণ বোঝাতে চেয়েছিলাম।

Girl, Why Don’t You Understand?
———— Dr. Ramit Azad

—————————————————–

কেন আমি ওকে ভুলে যাবো?
———— ড. রমিত আজাদ

আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করে, “এখনো ওকে ভুলতে পারলে না?”
আমি পাল্টা প্রশ্ন করি, “কেন আমি ওকে ভুলে যাবো?”

আমি তো অভিনয় করিনি, না করেছি প্রতারণা,
আমি তো মিথ্যে বলিনি, না করেছি ছলনা,
এই স্নায়ু শুধু তো স্নায়ু নয়, নয় শুধু প্রাণ-রসায়ন,
এই দেহ শুধু তো দেহ নয়, এখানে আরো আছে মন।

সেই মন থেকেই তো বলেছিলাম, “ভালোবাসি”,
কৃষ্ণচূড়ার বনে ঝড় তুলে, বাজিয়েছিলাম বাঁশী।
ঢেউ আসে ঢেউ যায়, বেলাভূমী সরেনা বরং গড়ে,
দিন আসে দিন যায়, ভালোবাসে কমেনা বরং বাড়ে।

হৃদয়ের ক্ষত, সেও কি বাড়ে? বাড়লে বাড়ুক!
সমস্ত হৃদপিন্ডটাকে ক্ষতবিক্ষত ঝাঁঝরা করুক!

আমার দেহটাকেও দুমরে-মুচড়ে ভেঙে ফেলো,
ভাঙতে ভাঙতে ঋষী কণাদের বর্ণিত
অণু-পরামাণুতে নিয়ে যাও।
কিন্তু আত্মা? তাকে কি ভাঙা যায়?

না।
এই আত্মা সেই আত্মা, যাকে কাটা যায়না, ছেঁড়া যায়না,
আগুনে দহন করা যায় না, বায়ু দ্বারা আর্দ্র করা যায় না।
সেই আত্মায় সত্তা হয়ে মিশে আছে ও,
কেন আমি ওকে ভুলে যাবো?

Why Should I Forget Her?
Dr. Ramit Azad

————————————————————————-

বহু বর্ণের নারীদের ভিতরে খুঁজেছি তোমাকে
—————————- ড. রমিত আজাদ

তারপর আরো অনেক নারীকে নিয়েই কবিতা লিখেছি,
গতরাতে হিসেব করে দেখেছি,
আমার শেষ কবিতার বইটিতে, আটটি মেয়েকে নিয়ে লেখা
বিয়াল্লিশটি কবিতা আছে।
এই আট সংখ্যাটি শুনে কেউ আঁৎকে উঠলেও উঠতে পারে,
কিন্তু বোঝার চেষ্টা করুক, কবি মন প্রেমিক তো হবেই।
সেই প্রেম একতরফা হোক, আর দুইতরফাই হোক!

আজ আমি উচ্চারণ করবো একটি দুরন্ত-দুঃসাহসী সত্য,
প্রাচীন প্রহরে নিস্প্রান কফিনে পেরেক ঠুকে, সবকিছু শেষ হয়নি আদৌ,
এখনো বিচলিত ভালোবাসা, বিপর্যস্ত হৃদয়ের জমীন,
তুমি কোনদিন দেখবে না এই দুঃখ, এই অগ্নিসম অনুতাপ,
তোমার নতুন মানুষ, সে কি জানে,
কোন স্রোতে কেন ভেসে যাও তুমি?
কৃষ্ণপক্ষ থমথমে রাতে, হঠাৎ পালঙ্ক থেকে
তোমাকে তুলে দেয় কোন দহনের স্মৃতি?

সেই স্বপ্নময় দিনগুলোই ছিলো,
আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়
স্বপ্নের মত সুন্দর ছিলো সব, অথচ স্বপ্ন নয়।
তারুণ্যের নৃত্যছন্দে বিভোর,
অজস্র বহুতল ভবন শোভিত ঐ আন্তর্জাতিক নগরীতে,
সাদা, কালো, লাল, নীল, বাদামী,
এত রঙের লোকেদের ভীড়ে,
তোমাকে দেখলেই আমার মন ভালো হয়ে যেত।
শুক্লপক্ষ রাত্রীতে রজনীগন্ধার বৃন্তখানী যেন,
প্রস্ফুটিত মালতীলতার মাধুরী স্বপ্ন আঁকা,
তোমার চোখ, মুখ, ঠোট অথবা গ্রীবায়,
তোমার ভালোলাগাগুলো দেখতে,
আমি বারবার জন্মাতে চেয়েছিলাম।

আমার কাঁধে আলতো করে এলিয়ে দেয়া তোমার মাথাটি,
ক্রিসেনথিমামের পাঁপড়ির উপর বসে থাকা রঙিন প্রজাপতি যেন,
ফোটা ফোটা জলকণা তোমার স্নিগ্ধ কায়ায়,
প্রাংশুবৃন্ত বৃষ্টিস্নাত রক্তিম কার্নেশন সম।
সেই আদিম আকর্ষণীয় উচ্ছল তটিনীর টানে,
শ্বেতাঙ্গ দীর্ঘাঙ্গী নারী, তুমি ডুবে যেতে,
আমার খর্বকায় দেহের পলিমাটির সৌরভে।

সালভাদর ডালির আঁকা একঝাঁক ছবি দেখিয়েছিলে তুমি,
ঐ যে সিলিং-এ উল্টে থাকা আসবাব পত্র,
ভল্টেয়ারের আবক্ষ মুর্তি,
যার আড়ালে লুকিয়ে ছিলো মানুষ বেঁচার হাট!
কি দুরন্ত শিল্প!
তাই দেখে তোমার আবক্ষ মূর্তি গড়তে চেয়েছিলাম আমি,
আপন কল্লনার মাধুর্য্যে।

সেই মূর্তি আজও গড়ি আমি,
তবে সহস্র যোজন দূরত্বে থেকে!
কোন তাড়া নেই যে আর,
এখন সময় আমার অনেক,
অর্থ, কীর্তি, স্বচ্ছলতা, বাগান ঘেরা গৃহ,
এ সবের প্রয়োজন তো ফুরিয়ে গেছে সেদিনই।

আপনের প্রেমের অধিকার থেকে বঞ্চিত হলাম।
তুমি তো আমায় নির্বাসন-ই দিলে!
আজ তুমি গমের উর্বীরূহের কাছে,
আর আমি ধানের ছড়ার পাশে,
তুমি পাইন বৃক্ষের তলে,
আর আমি কৃষ্ণচূড়ার ছাঁয়ে,
তুমি ডেনডেলিয়নের মাঠে,
আর আমি নাগকেশরের সাথে।
দূরত্ব, কি বাড়ায়? ভালোবাসা না যন্ত্রণা?
পরাজয়ের গ্লানি রেখে পিছে, আঁকড়ে ধরেছি কবিতা,

তখন আমি কবিতা লিখতাম কম,
তুমি একেবারেই লিখতে না, শুধুই পড়তে,
আজ আমরা দুজনেই কবিতা লিখি,
আমাকে নিয়ে কোন কবিতাগুলো তুমি লিখেছ,
সেগুলো আমি ধরতে পেরেছি কিন্তু,
তোমাকে নিয়ে আমি কোন কবিতাগুলো লিখি,
সেগুলো কি তুমি বুঝতে পারো?
কোন আশ্বাস নেই, মিথ্যে প্রতিশ্রুতিও চলবে না,
আমাদের ধর্মে পরজন্ম বলে তো কিছু নেই,
তাই পরজন্মে তোমাকে পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই আমার।

এখন আমি তোমাকে খুঁজে ফিরি হাজার নারীর ভীড়ে,
কাউকে ডাকি ঝলমলে রেস্তোরায়, কাউকে নিরংশু কফিশপে।
ধূমায়িত কফির পেয়েলায় চুমুক দিয়ে গভীর দৃষ্টি নিয়ে,
ওদের চোখের ভিতরে ঢুকে প্রেমের অভিনয় করি,
কৌশলে বোঝার চেষ্টা করি,
ওরা আমার অভিনয় ধরতে পারে কিনা।
হ্যাঁ এরপর থেকে কেবল অভিনয়ই করেছি আমি,
একটি অভিসারও ভালোবাসার ছিলোনা।

এখন শুনি ঝড়ের আর্তনাদ, কর্ষিত জমির ক্রন্দন,
মজে যাওয়া পতিত দীঘির দীর্ঘশ্বাস, নিঃসঙ্গ নির্ঘুম রাত্রির বিলাপ,
এখনো বিমর্ষ হই,
এখনো সন্ধ্যা নামে বুকে,
বিশ বিশটি বছরের ব্যবধান,
তারপরেও বিকেলগুলো বড় বিষন্ন মনে হয়!

ওখানে দেখেছি অগ্নিবৃষ্টি, নৈরাজ্যের পথে পথে,
এখানেও কাপুরুষের দল
নিরস্ত্র মানুষের বুক বিদির্ন করে ধাতব বুলেটের ঘাতে
কালের যাত্রার ধ্বনি, স্পন্দন-ক্রন্দন হয়,
বাউফল থেকে মস্কো, খারকোভ্ থেকে ঢাকা,
বিচ্ছেদের বিশটি বছর পরেও কত নিবিড় হয়ে রয়ে গেছো বুকে,
ব-দ্বীপি সেতারের তারে বাজে, চাইকোভস্কির গভীর করুণ সুর!

উত্তাপহীন অভিসারে, কপট অভিনয়ে,
স্বদেশে, পরদেশে,
বহু বর্ণের নারীদের ভিতরে খুঁজেছি তোমাকে,
ভগ্ন হৃদয়ের আকুল আবেদনে,
কিন্তু পাইনি,
অমন কাউকে কোনদিনও খুঁজে পাবোনা জানি।

I Have Searched You in Many Women
Dr. Ramit Azad

___________________________________________________________________

সেই হাসি, সেই মুখ
—– ড. রমিত আজাদ

এখানে রোদ্দুর খেলা করে বিকেলের মাঠে,
সবুজ ঘাসের জমিনে সোনালী চাদর মলমল,
এখানে জ্বোনাকীর আলো, নিভে গিয়ে জ্বলে উঠে,
নতুন উদ্যমে, নিটোল আঁধারের গায়ে আঁচড়ে ঝলমল।

এখানে সাগরের ঢেউ ফুঁসে ওঠে অপার উচ্ছাসে,
সৈকতে বালুকণা সিক্ত ফেনিল জলের আশ্বাসে,
এখানে পাহাড়ের ঢালে ঝাউবন কথা বলে,
নিবিড় মিতালী পিয়াসী বরষার আকাশ আঁচলে।

এখানে জামার জেবে রাখা আলোকচিত্র এক স্মৃতি,
হৃদয়ের খুব কাছাকাছি পোষা ভালোবাসা এক পৃথিবী,
সেই হাসি, সেই মুখ, পরিপাটি স্নিগ্ধতা, সব সেই,
আমি আছি এই এখানেই, শুধু সেই পাশে নেই।

That Smile, That Face
— Dr. Ramit azad
___________________________________________________________

তোমাকে আজ এক ঝলক দেখেছিলাম
—————- ড. রমিত আজাদ

তোমাকে আজ এক ঝলক দেখেছিলাম!
সময় নামক শত্রুটির সাথে সংগ্রাম করতে করতে
তড়িঘড়ি ছুটে যাচ্ছিলাম লিফটের দিকে,
হঠাৎ তোমাকে দেখলাম,
লিফটের অনতিদূরে দাঁড়িয়ে আছো,
নয়নে কেমন ব্যকুলতা যেন!
অভিমান এই বুকে বেধেছিলো বাসা,
তোমাকে দেখেও না দেখার ভান করলাম,
চট করে উঠে গেলাম লিফটে,
আলীবাবার রূপকথার সেই সিংহদ্বারের মতো,
স্বয়ংক্রিয় গতিতে বন্ধ হতে হতে লিফটের দরজা
আড়াল করে দিলো তোমায়, অথবা আমায়।

এরপর মনটা আনচান করে উঠলো!
ও কি আমায় দেখতে পেয়েছে?
আবার অভিমান জেগে উঠলো,
দেখতে পেলেই খুশী হবো,
ছোট করে ওর মনে ব্যাথা দিতে চাই।

আবার কিছুক্ষণ আমার মন আচ্ছন্ন হলো,
ঐ তো সেই,
মায়াভরা নয়ন, কপোলে রাঙা রেণু।
ওকে আজ একটু ভিন্নধর্মী পোশাকে দেখেছি,
কেমন যেন অবাঙালী সাজ!
চন্দ্রবৎ অপরূপ, আর ভীষণ স্মার্ট লাগছিলো ওকে!

এরপর এলোমেলো ভাবনা!
আমি কি ওর সাথে কথা না বলে ভুল করেছি?
আমার কি উচিৎ ছিলো,
ওর সাথে ক্ষণিকের দৃষ্টি বিনিময় করা?
নাহ! ভালোই করেছি, ওর মনে কষ্ট দিতে চাই!
কে পেলো কষ্ট? ও, না আমি?
যা হয়েছে হোক, ওর সাথে আর কথা নাই!
অভিমান এই বুকে বেধেছে বাসা!

তারপর আজ রাতে,
ফেইসবুকে খুলে ধরি বইয়ের পাতার মতন,
ফ্রেন্ডলিস্টে তোমার ছবিটির দিকে চলে যায় চোখ,
অভিমান এই বুকে বেধেছিলো বাসা,
তাই তোমাকে দেখেও না দেখার ভান করেছিলাম,
কিন্তু ছবির দিকে না তাকাই কি করে বলো?
ঐ হাসিটুকুর জন্যে আমি দুঃসাহসে বুক বেঁধে
বিষাক্ত উরঙ্গের উদ্ধত মস্তক থেকে
ছিনিয়ে আনতে পারি অক্রেয় রত্ন,
ঐ হাসিটুকুর জন্যে,
তছনছ করে দিতে পারি ভয়াল দৈত্যের সাজানো উদ্যান।
অবশেষে সন্তপর্নে ঢুকে পড়লাম তোমার টাইমলাইনে,
যেমন করে সীমান্ত লংঘন করে সন্ধানী।

সেখানে তোমার লেখা একটি স্ট্যাটাস,
“আজ আমি, অনেকদিন পর
আমার প্রিয় মানুষটিকে দেখলাম,
কতটুকু সময়ের জন্য সেই দেখা, সেটা জরুরী নয়,
হোক সে মাত্র এক ঝলক,
দেখা হয়েছে সেটাই বড় কথা।”

১৪,১৫৭ বার দেখা হয়েছে

২৫ টি মন্তব্য : “কয়েকটি কবিতা”

  1. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    এইখানটাও দারুন:
    "স্বদেশে, পরদেশে,
    বহু বর্ণের নারীদের ভিতরে খুঁজেছি তোমাকে,
    ভগ্ন হৃদয়ের আকুল আবেদনে,
    কিন্তু পাইনি......"


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  2. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    “আজ আমি, অনেকদিন পর
    আমার প্রিয় মানুষটিকে দেখলাম,
    কতটুকু সময়ের জন্য সেই দেখা, সেটা জরুরী নয়,
    হোক সে মাত্র এক ঝলক,
    দেখা হয়েছে সেটাই বড় কথা।”

    দুজনেরই দেখাশোনার এত আকাঙ্খা যখন,
    ইচ্ছাকে পাথর চাপা দেয়ার কি আর প্রয়োজন?
    একটাই জীবন যখন
    চলুক তা নিজের মতন
    কার জন্য এই সংশয় সংকোচ যখন তখন?


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  3. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    "তোমাকে আজ এক ঝলক দেখেছিলাম" কবিতার নায়ক নায়িকাকে নিয়ে ভাবছিলাম।
    দুজনের সম্পর্কের যাই টানাপোড়েন থাকুক না কেন, ভাল জিনিষ হলো এই যে তারা দুজনেই নিজেদের টাইমলাইন পরস্পরের জন্য ওপেন রেখেছে।
    ভাগ্যিস এটা রেখেছে, তাই তো এমন একটা কবিতার জন্ম হলো।
    কিন্তু ধরো তারা যদি আজকালকার অতি আধুনিক টেকস্যাভি কাপল হতো, তাহলে তো একে অন্যকে ব্লক করে রাখতো।
    সেক্ষেত্রে এরকম কিছু একজন ভাবনা চিন্তা করলেও তা আর অন্যজনের জানা হতো না।
    এই কবিতারও জন্ম হতো না। (হয়তো অন্য কিনু হতো)...
    ঐ রকম হিংস্র কাপলকে নিয়ে তাই এরকম রোমান্টিকতা আশা করা বাতুলতা, তাই না?
    😀 😀 😀 😀 😀
    নিজের কাল্পনিক ভাবনায় নিজেই হেসে খুন হয়ে গেলাম...
    =)) =)) =)) =))


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  4. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    এখানে রোদ্দুর খেলা করে বিকেলের মাঠে,
    সবুজ ঘাসের জমিনে সোনালী চাদর মলমল,
    এখানে জ্বোনাকীর আলো, নিভে গিয়ে জ্বলে উঠে,
    নতুন উদ্যমে, নিটোল আঁধারের গায়ে আঁচড়ে ঝলমল।

    - বাহহহ !

    জবাব দিন
  5. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    বালিকা তুমি এতো অবুঝ কেন নামের কবিতাটি আগস্টের ২৫ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে কুড়িগ্রাম ব্লগ স্পটে।

    মিঃ আজাদ এটি তার নামে সিসিবিতে প্রকাশ করেন সেপ্টেম্বর ২০।

    http://mamun-kurigram.blogspot.com/2015/08/blog-post_38.html

    জবাব দিন
  6. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    বেশ কিছু রেকর্ড দেখা হল এই দু' দিনে ----
    যেমন ভাঙা রেকর্ড ক্রমাগত বাজিয়ে যাবার রেকর্ড, এবং
    বেস্ট টার্ণ আউট পোস্টে জ্বলজ্বল করছে একই ব্যক্তির তিন তিনটি পোস্টের শিরোনাম।

    জবাব দিন
  7. এই কবিতাটা রমিত আজাদ ভাই'ই প্রথম প্রকাশ করেছেন সামুতে। ২৫ আগষ্ট সকালে, সেখান থেকে নিয়ে কেউ হয়তো কপি করে কুড়িগ্রাম ব্লগে সেদিন দুপুরে পোস্ট করেছে। যেহেতু এটা একটু অন্য ধরনের কেস, কিউরিয়াস ছিলাম - তাই চেক করে দেখলাম। লিনক্ এখানে -

    http://www.somewhereinblog.net/blog/ramit/30064635

    আমি আগেও একটা কমেন্ট করেছিলাম, যেন আমরা বাড়াবাড়ি না করি - তার যেটুকু দোষ সেটুকুর জন্যই উনি দায়ী - সেটা কতখানি বা কত বড় সেটার একটা নৈর্বক্তিক মাপকাঠি আছে। ad hominem বা ভিন্ডিক্টিভ যে কোনো ধরনের আচরন বা মাস হিস্টারিয়ায় যেন পাঠকরা কাবু না হয়, তার কোন কমেন্টে আগে কেউ আঘাত পেয়েছিল তাই ভিন্ডিক্টিভ হয়ে তাকে কাবু করা - এ রকমটা যেন কিছুতেই না হয়। সেরকম যদি হয় আমি বলব আমরা ইম্যাচুর পাঠক ও ইম্যাচুর মানুষ। আমি রমিত আজাদ ভাই কে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না বা তাকে ডিফেন্ড করতে আসিনি।

    জবাব দিন
  8. রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)

    মনে বড় চোট পেলাম। কবি সে বিপ্লবী হতে পারে, কিংবা প্রেমিক, এমনকি শ্রমিকও। কিন্তু চৌর্যবৃত্তি কি মানায় কবিকে? সে চুরি করবে 'দিল', নদী-শঙ্খচিল! তাই বলে বেমালুম আরেক কবির আস্ত কবিতাই মেরে দেবে - এটা কখনোই মেনে নেয়া যায় না। কাভি নেহি! (সম্পাদিত)

    জবাব দিন
  9. অর্নব কুন্ডু (২০০৭-২০১৩)

    তার যেই কবিতা নিয়ে অভিযোগ উঠলো,সেই কবিতা কবে কোন ব্লগে এসেছে আমার জানা নেই,কিন্তু আমি এতোটুকু শিউওর সেই কবিতা তার ফেইসবুকে নিজস্ব ওয়ালে দেখেছি।।কপি পেস্ট করলাম তার ওয়াল থেকে,আমি আগেই পড়েছিলাম এই কবিতাRamit Azadবালিকা, তুমি এতো অবুঝ কেন?-------- ড. রমিত আজাদবালিকা, তুমি এতো অবুঝ কেন?কেন তুমি বোঝনা, সোনালী বিকেলগুলো কত সুন্দর?কেন তুমিবোঝনা, পূর্ণিমা রাতের বর্ণচ্ছটা কত মধুর হতে পারে?কেন তুমি বোঝনা, হাসনা হেনার সুবাসআর মাধবীলতার সৌরভ একা উপভোগ করা যায়না?তুমি কি বৃষ্টি দেখেছ?...MoreAugust 25 at 1:23am·Edited·Public40·Like·5 Comments·Share·Full Story·Report

    তার লিখার ধরণ বা লিখার ভিতরের বিষয়(স্পেশালি ইতিহাস এবং ইসলাম বিষয়ক লিখা গুলো) নিয়ে আমার নিজের মনেও অনেক খটকা আছে, তাই আশায় থাকব সবাই সেইসব বিষয় নিয়ে সমালোচনা-আলোচনা করে আবার একটি লিখা এবং পড়ার সুন্দর পরিবেশে ফিরেআসবেন। 🙂

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ড. রমিত আজাদ (৮২-৮৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।