তুমি আমার বধু নও কেন?

তুমি আমার বধু নও কেন?
———————-ড. রমিত আজাদ

বিচ্ছেদের সহস্র যোজন দূরত্ব থেকে, তোমাকে অবলোকন করার একমাত্র অবলম্বন
আকাশ-প্রযুক্তির মোহময় পটভুমিতে, প্রস্ফুটিত পদ্মের মতো ফুটে থাকা
তোমার ঐন্দ্রজালিক প্রভাচিত্রে কি এক দুর্নিবার পূর্ণিমার স্ফুরণ!
তোমার অসিক্ত বসনে সমুদ্রের উদ্বেল নীলাভ ঢেউয়ের কি এক অদ্ভুত আকর্ষণ !
এ যেন ঘন তমসার রহস্যময় রজনীতে গভীর ঘুম থেকে ডেকে তোলা
ডাকিনী নিশির মোহনী সম্মোহন!

তুমি সেই নারী, যাকে বাহুডোরে বেধে, দেহমনে রোমাঞ্চ জেগে, বহুবার তুলেছি ঝড়,
বিস্তৃত প্রশান্ত, জলধী অশান্ত, জোৎস্না মধুর মাধুরী মাখিয়ে স্বপনে বেধেছি ঘর,
রমনীয় নীলাকাশ, কমনীয় একরাশ পুষ্পরাজির সৌরভে ডানা মেলে,
নয়ন ভরে, দুচোখ জুড়ে, আঁখীর পলকে, পাখা মেলে দূরে, দেখেছি তোমার ছবি,
রঙের বাহারে, হৃদয় সাগরে, ছবির আসরে, সুরের বাসরে, বারংবার হতে চাই কবি।

জোয়ারে দোলানো সুখ, চির চেনা সেই মুখ, ছাড়িয়া আঙিনা গৃহ,
কাছ থেকে সরে, চলে গেলে দূরে, রেখে গেলে মন, নিয়ে গেলে দেহ।
আমি নীরবে তোমার মায়াগুলো বুকে ধরে, লিখে যাই কবিতা, লিখে যাই গান,
নেই সেই আশা, মৃত ভালোবাসা, স্মৃতির অতলে গভীর বরষা,
সুবর্ণ কনার আলপনা জুড়ে, বিবর্ণ দিনের মৃদু অভিমান।

তবুও তুমি আছো,
আমার কল্পনায় আছো, আমার কবিতায় আছো,
আমার গানে আছো, আমার প্রাণে আছো
ভগ্ন হৃদয়ের অলিন্দ জুড়ে আছো,
মলিন মনের আনন্দ হয়ে আছো।
বিথীকার নবসাজে আমার মনের রাণী যেন,
সেজেছ রূপসী, হয়েছ প্রেয়সী, বধু নও, শুধু বধু নও কেন?

৬২৪ বার দেখা হয়েছে

৪ টি মন্তব্য : “তুমি আমার বধু নও কেন?”

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।