লিস্ট্‌নিং টু দ্য উইন্ড অফ চেইঞ্জ – ২

লিস্ট্নিং টু দ্য উইন্ড অফ চেইঞ্জ
——————————ডঃ রমিত আজাদ

(সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ও পতন পরবর্তী সময়ের উপর ভিত্তি করে একটি ধারাবাহিক উপন্যাস)

যুগে যুগে মানুষ স্বপ্ন দেখেছে আদর্শ সমাজের। সেই আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নানা যুগে মানুষ আঁকড়ে ধরেছে নানা দর্শনকে। ইতিহাসের ধারায় নয়-দশ হাজার বছর পূর্বে গড়ে ওঠা মানব সভ্যতা এ’ পর্যন্ত এসেছে নানা রকম ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দি্যে, রোম সাম্রাজ্যের উথ্থান-পতন, চার্চের অনুশাসনের প্রবল প্রতাপ ও রেনেঁসার মধ্য দিয়ে তার সমাপ্তি, পারস্য সাম্রাজ্যের উথ্থান-পতন, ইসলামী খিলাফতের দ্বিগীজ্বয় আবার তার দুর্বল হয়ে যাওয়া, এবং পরিশেষে শেষ প্রদীপ অটোমান সাম্রাজ্যেরও নিভে যাওয়ার পর, মাথাচারা দিয়ে উঠতে শুরু করে প্রোটেস্টান্ট দর্শনে বিশ্বাসী ইউরোপের ছোট ছোট দেশগুলো। গোটা এশিয়া, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় ঝাঁপিয়ে পড়ে উপনিবেশ স্থাপন করে সূচনা করল বিশ্বব্যপী লুন্ঠনের এক নব্য ইতিহাস। কিন্তু এই লুন্ঠনে লাভবান খোদ ইউরোপীয় চিন্তাবিদরাই অনুধাবন করতে শুরু করেছিলেন, এহেন একতরফা শোষণের অবসান হতে বাধ্য। এ্যাডল্‌ফ তিয়ের ও ফ্রাঁসোয়া গিজোর মত ফরাসী ঐতিহাসিকেরা শ্রেণী ভেদ ও শ্রেণী সংগ্রামের কথা লিখলেন। সব সমাজেই মোটামুটি দুটি শ্রেণী আছে, শোষক ও শোষিত, এবং এদের মধ্যে সংগ্রাম বাধবেই। ১৮৬৭ সালে জার্মান ইহুদী দার্শনিক কার্ল মার্কস পূর্বসুরীদের শ্রেণী বিভাজনের চিন্তাটা গ্রহন করে জন্ম দেন এক নতুন দর্শনের, যার নাম কম্যুনিজম। যেখানে আরো এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বললেন, সংগ্রামের মাধ্যমে শ্রেণী লোপ করাই সমাজ বিবর্তনের প্রধান পথ। পৃথিবীব্যাপী ঝড় তোলে তার লিখিত ‘ডাস ক্যাপিটাল’। নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে দিয়ে যায় এই দর্শন। শেষ পর্যন্ত একদল লোক আঁকড়ে ধরে এই দর্শনকে। তাদের বদ্ধমূল ধারণা হয়, এই দর্শনই পৃথিবী থেকে সব দুর্নীতি আর বৈষম্যের জঞ্জাল দূর করে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে আদর্শ সমাজ ব্যবস্থা। দেশে দেশে প্রতিস্ঠা হতে শুরু করে ‘কম্যুনিস্ট পার্টি’। মার্কস বলেছিলেন, “ইউরোপ ভুত দেখছে, কম্যুনিজমের ভুত।” ১৯১৭ সালের অক্টোবরে সেই ভুত হঠাৎ করে ঘাড়ে চেপে বসল রাশিয়ার। অনেকগুলো জাতি ও স্টেট নিয়ে গঠিত জারের রুশ সাম্রাজ্যের নাম রাতারাতি পাল্টে হয়ে গেল ‘সোভিয়েত ইউনিয়ন’। কলেবরে ইউরোপ এমনকি আফ্রিকা মাহাদেশের চাইতেও বড় এই বিশাল রাস্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে বসল ‘সোভিয়েত কম্যুনিস্ট পার্টি’। ১৯১৭ থেকে ১৯৮৪ প্রবল প্রতাপে শাসন করেছে এই রাজনৈতিক দলটি। শুধু নিজ দেশের অভ্যন্তরেই নয়, লৌহ পর্দায় ঘেরা ইউনিয়নের অভ্যন্তর থেকে সে জাল বিস্তার করে সমগ্র পৃথিবীব্যপী।

একের পর এক বিভিন্ন দেশে সফল হতে শুরু করে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব। ইউরোপের পূর্বাংশ ছেঁয়ে যায় এই আদর্শে বিশ্বাসীদের শাসনে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরপরই কম্যুনিস্টরা জাঁকি্য়ে বসে গণচীনে। সেই সাথে এশিয়ার কয়েকটি দেশে। আফ্রিকাও বাদ থাকেনি। এমনকি আটলান্টিকের অথৈ জলরাশী পেরিয়ে সুদুর আমেরিকা মহাদেশেও ছড়িয়ে পড়ে এই দর্শন। এই দর্শন বিরোধী রাস্ট্রগুলোর নেতা প্রবল প্রতাপশালী মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের পেটের ভিতর দ্বীপ রাস্ট্র কিউবায় ক্ষমতা দখল করে নেয় কম্যুনিস্টরা। তালিকা থেকে পৃথিবীর যে কয়টি দেশ বাকি ছিল সেখানেও সক্রিয় হয়ে ওঠে বিপ্লবীরা। নানা রকম ঘাত-প্রতিঘাত, আঘাত-সংঘাত, কখনো নিরস্ত্র, কখনো সসস্ত্র আন্দোলনে উত্তাল ছিল ‘৬০ ও ‘৭০-এর দশকের বিশ্ব।

কম্যুনিস্টদের ভাষায় এটা ছিল শ্রেণী সংগ্রাম – ধনীক শ্রেণী বনাম সর্বহারা, মালিক বনাম শ্রমিক, শোষক বনাম শোষিত। গুটি কতক ধনীরা প্রবল শক্তি দিয়ে আঁকড়ে ধরে আছে তাদের ধন সম্পদ, আর সর্বহারারা পঙ্গপালের মত ছোঁ মেরে কেড়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছে সেই সম্পদ। চলছে দু’পক্ষের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এমনই মনে হয়েছিল দৃশ্যটা একপাশ থেকে।

পুঁজিবাদী দেশগুলোর নিরপেক্ষ মানুষদের মনে হয়েছিল শেষ পর্যন্ত পরাজিত হবে পুঁজিবাদ। আদর্শগত দিক থেকে কম্যুনিজমই সেরা। পুঁজিবাদী দেশগুলোকে একসময় কম্যুনিজম গ্রহণ করতেই হবে। ব্যাপার শুধু সময়ের। ঠিক সে সময়ই ঘটনা ঘটল বিপরীত দিক থেকে। ১৯৮৪ সালে বিশ্ববাসী পরিচিত হলো দুটি নতুন শব্দের সাথে ‘পেরেস্ত্রোইকা’ ও ‘গ্লাসনস্ত’। শব্দ দুটি রুশ যার অর্থ যথাক্রমে, ‘পুনর্গঠন’ ও ‘উন্মুক্ততা’। নতুন হাওয়া বইতে শুরু করেছে কম্যুনিস্ট সোভিয়েত ইউনিয়নে। যে আদর্শকে তারা কেবল আঁকড়েই ধরে রাখেনি বরং সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে, তার কোথাও কোন ত্রুটি রয়েছে। যে ত্রুটির সংবাদ এতকাল কেউ পায়নি, তা আজ মৃদু কম্পনের মত অনুভূত হতে শুরু করেছে। সেই ত্রুটির সংশোধন প্রয়োজন, তা নইলে প্রবল ভূমিকম্পে সব ধ্বসে পড়েতে পারে।

তাই সেখানে গৃহিত হলো এই দু’টি নীতি। কিন্তু তাতেও কাজ হলো বলে মনে হয় না। কম্পনের মাত্রা বাড়তেই শুরু করল। ‘৮৪ থেকে ‘৯০ ঠিক ছয় বছরের মাথায় তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল এই এতগুলো বছরের প্রবল প্রতাপশালী সোভিয়েত ইউনিয়ন। ঠিক তার পরপর অনেক ঘটনাই ঘটল খুব দ্রুত। শান্ত-নির্জন সোভিয়েত ইউনিয়ন অশান্ত হয়ে উঠল। পরিবর্তনের ধাক্কায় পাল্টে গেল অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক রাস্ট্রগুলোও। পাল্টে গেল সমগ্র বিশ্ব। কি ঘটেছিল তখন? কি হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের অভ্যন্তরে? সাধারণ মানুষের জীবন ধারা চিন্তা-চেতনায় কেমন প্রভাব পড়েছিল সেই সময়ের? কেমন করে তারা প্রত্যক্ষ করেছিল সেই সময়ের রাজনীতিকে? কেমন করে মোকাবেলা করেছিল এই অস্থিরতাকে? এই সবকিছু নিয়ে এই ধারাবাহিক উপন্যাস – ‘লিস্ট্‌নিং টু দ্য উইন্ড অফ চেইঞ্জ’। সোভিয়েত ইউনিয়নের পরিবর্তন নিয়ে লেখা ও গাওয়া বিখ্যাত গানের গ্রুপ ‘স্করপিওন্‌স’-এর একটি গানের কলি থেকে এই নামটি নেয়া হয়েছে।

এখানে গল্পের নায়ক একজন বাংলাদেশী। যে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে গিয়েছে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নে। রাজনীতিতে তার আগ্রহ সামান্য। আর ঐ বয়সে কতটুকুই বা বোঝা যায়? হঠাৎ করে তার চোখের সামনেই ঘটে যেতে শুরু করল সবকিছু। আর সেও হয়ে উঠল ঐ ঘটনাবহুল সময়ের অংশ।


——————————ডঃ রমিত আজাদ

 

পূব আকাশে উঠি উঠি করছে সূর্য। ভোরের সূর্য আমার দারুন ভালো লাগে। সেই সাথে ভালো লাগে ঐ সুনীল আকাশটাকে। হোস্টেলের রূমে আমার বিছানায় শুয়ে জানালা দিয়ে পুরো আকাশটাকেই দেখা যায়। সাপ্তাহিক ছুটির অলস দিনটিতে আমি বিছানায় শুয়ে দেখি আকাশে হরেক রঙের মেঘের খেলা। জানালা দিয়ে উঁকি দেয়া টুকরো আকাশটা কখনো পুরোটাই আশ্চর্য্য নীল, আবার একটু পরেই একদল সাদা মেঘ এসে ভীড় করে। ধীরে ধীরে তাদের আকার আকৃতি বদলায়, কখনো রঙও বদলায়। এইভাবে বদলাতে বদলাতে তারা ভেসে ভেসে দৃষ্টির বাইরে চলে যায়। আবার তাদের জায়গায় এসে দঁড়ায় অন্য কোন মেঘের দল। ভোরের আকাশ আর দুপুরের আকাশ একরকম নয়।সদ্য উদিত সূর্যের বর্ণচ্ছটায় ভোরের মেঘের গায়ে লাল-গোলাপী ছোপ পড়ে। যেন লজ্জ্বরাঙা কিশোরীর গালে রক্ত ছলকে উঠেছে। দুপুর গড়াবার আগেই সেই রঙ হারিয়ে শ্বেত-শুভ্র হয়ে যায় সেই মেঘগুলো। বিকেল নাগাদ আবার সেই গোলাপী আভা ফিরে পায় সেই মেঘগুলো। তাদের পাশে পাশে দেখা যায় টুকরো টুকরো ছাই রঙা মেঘ। এই মেঘের রঙ পাল্টাপাল্টি দেখতে বেশ ভালো লাগে আমার। শুধু কি মেঘ আকাশের রঙও বদলায়। আমি ভালো করে লক্ষ্য করে দেখেছি আকাশের ঐ নীল রঙও দিনের সময়ভেদে নানান ঔজ্জ্বল্যের হয়। দিনের শেষে সন্ধ্যা নাগাদ নীল ধীরে ধীরে ছাই রঙা, তারপর দিনটা ফুরিয়ে গেলে, গোধুলির ম্লান আলো উবে গিয়ে নিকষ কালো হয়ে, ঝকঝকে তারাগুলো বুকে ধরে রাতের রূপ ধারণ করে। ঐ অত অত উজ্জ্বল তারাগুলো মিটমিট করে জ্বলে। অরুন্ধুতি, কালপুরুষ, সপ্তর্ষিমন্ডল, ক্যসিওপিয়া সরে সরে গিয়ে নতুন দৃশ্যপট রচনা করে। কখনো পাহাড়ী ফুলের মিষ্টি গন্ধ এসে মনে আবেশ ছড়ায়।

 

সিলেটের প্রকৃতিক সৌন্দর্য্য অদ্ভুত। আমার কলেজটির আশেপাশে ছোটবড় পাহাড়ের সারি। মাঝে মাঝে সবুজ উপত্যকা। পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ঝাঁকড়া সবুজ পাতাওয়ালা নানান জাতের বিটপী দাঁড়িয়ে আছে এখানে সেখানে। ক্যাম্পাসের পিছনে দিয়ে কলকল করে বয়ে চলেছে পাহাড়ী ঝর্ণা মালিনীছড়া। দূরের খাসিয়া-জয়ন্তীয়া পাহাড়ের চূড়াগুলোকে দেখায় গাঢ় নীল। আর কাছেরগুলো উজ্জ্বল সবুজ। ঘাস, প্রান্তর আর পাহাড়ের গোড়ার সঙ্গমস্থলের কোথাও সবুজ কোথাও খোলা মাটি। আর বহু দূরে দিগন্তের একেবারে কাছাকাছি আকাশের গায়ে হেলান দি্যে থাকা ঘুমন্ত পাহাড়গুলোর সৌন্দর্য্য ভাষায় বর্ণনা করা যায়না।

 

সিলেটের  আবহাওয়াও অদ্ভুত। এই রোদ তো এই মেঘ। ঝকঝকে আকাশে সোনালী সূর্য্য হাসছে, বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ কোথা থেকে উড়ে আসে কালো মেঘের দল। অল্পক্ষণের মধ্যেই ছেয়ে দিল নীল আকাশ। তারপর ঝমঝম করে শুরু হলো বৃষ্টি। ঝরছে তো ঝরছেই, ঝরছে তো ঝরছেই, আর থামার কোন নাম নেই। মনে হবে যেন অনন্তকাল আমরা এই বৃষ্টির মধ্যেই আছি। বৃষ্টির বড় বড় ফোটাগুলো পড়তে পড়তে যখন চারিদিক মূখরিত করে তোলে, তখন প্রকৃতির মাঝে এক অদ্ভুত সুর জাগে। সেই সুরের মূর্ছনায় মন উদাস হয়। মনে হয় যেন বৃষ্টির গান শুনছি।

 

তবে সারা বছরই এক রকম নয়, ছয়টি ঋতু ছয় রূপেই আসে। বারবার প্রকৃতির রঙ বদলায়। দু’য়েক সময় কাল বৈশাখী ঝড় ওঠে। ঝড়ের দোর্দন্ড প্রতাপে উপড়ে ফেলে কিছু অসহায় গাছ, দুমড়ে-মুচড়ে ফেলে টিনের ঘর। উড়িয়ে নিয়ে যায় কোনরকমে টিকে থাকা দরিদ্রের বাঁশের বেড়া। প্রচন্ড বেগে বাতাস যখন শীষ কাটতে থাকে, তখন মজবুত দালানে বসেও বড় ভয় হয়। সেই শিষ কাটতে থাকা প্রতাপী বাতাসও একসময় শান্ত হয়ে আসে। প্রকৃতিতে আবার ফিরে আসে স্বস্তি ।

 

 

সিলেটে আর বেশীদিন নেই আমি। এইতো সামনেই এইচ এস সি পরীক্ষা। তারপর এই কলেজের পাট চুকিয়ে ঢাকা চলে যাব। অনেকগুলো বছর এখানে ছিলাম। চলে যাব ভাবতেই মনটা খারাপ লাগছে। সিলেটের এই কলেজটিকে আমি বড় বেশী ভালোবাসি। এই কলেজ ছেড়ে চলে যাব ভেবে মাঝে মাঝে কান্নাই পেয়ে যায়। আমি কলেজের জন্য আমার মন খুব পুড়বে । সব চাইতে বেশী মিস করব এই জানালাটিকে, যার মধ্যে দিয়ে আমি প্রকৃতির রূপ বদলানো দেখতাম।

 

(চলবে)

 

যা হয়েছে তা ভালোই হয়েছে,

যা হচ্ছে তা ভালোই হচ্ছে,

যা হবে তা ভালোই হবে।

 

তোমার কি হারিয়েছে – যে তুমি কাঁদছো?

তুমি কি নিয়ে এসেছিলে – যা তুমি হারিয়েছ?

তুমি কি সৃষ্টি করেছ – যা নষ্ট হয়ে গেছে?

তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,

 

তোমার আজ যা আছে,

কাল তা অন্যকারো ছিল।

পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে —

পরিবর্তনই সংসারের নিয়ম।

 

(উপরের কথাগুলো গীতার সারাংশ)

৫৯৩ বার দেখা হয়েছে

৬ টি মন্তব্য : “লিস্ট্‌নিং টু দ্য উইন্ড অফ চেইঞ্জ – ২”

  1. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    আশা করছি অচিরেই ঘটনা প্রবাহ আরো গতিময় হবে।
    রমিত ভাই, ভূমিকাটুকু পুরো না লিখে শুধু লিংক করে দিয়ে দিন পরবর্তী পর্ব থেকে তাহলে চট করে উপন্যাসের অধ্যায়ে ঢুকে পড়া যাবে। পর্বের কলেবর কি আরেকটু বড় করা যায়?

    প্রকৃতির বর্ণণা খুবই ভালো লাগলো।

    জবাব দিন
  2. ড. রমিত আজাদ (৮২-৮৮)

    তোমার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ নূপুর। আমি পরবর্তিতে তাই করব। পর্বের কলেবরও বাড়াবো।
    আসলে দ্বিতীয় পর্বটা একটু ছোট হওয়ার কারণ, বর্ণনাটা প্রতীকি। মেঘের রঙের ঐ অদল-বদল দিয়ে শুরু করলাম, পুরো উপন্যাসে দেখানোর চেষ্টা করব, কেমন করে বদলায় মানুষের নীতি-আদর্শ, চিন্তা-চেতনা, সমাজ ব্যবস্থা, রাজনীতি, এমনকি মানুষ নিজেও। পৃথিবী প্রতিনিয়ত কেবল পরিবর্তনের নধ্যে দিয়েই যাচ্ছে। ঐ যে হেরাক্লিটাস বলেছিলেন, 'একই নদীতে দুবার অবগাহন করা যায়না।'

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ড. রমিত আজাদ (৮২-৮৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।