অপরের মতামতকে শ্রদ্ধা করা উচিৎ-অনুচিৎ

অপরের মতামতকে শ্রদ্ধা করা উচিৎ-অনুচিৎ

‘অপরের মতামতকে শ্রদ্ধা করা উচিৎ’ – এই কথাটা প্রায়ই শুনি। কখনো কখনো মনে হয় কথাটা ঠিক, আবার কখনো সন্দিহান হয়ে পড়ি। একবার এক জায়গায় এক দুর্নীতিবাজ বেশ জোর গলায় বলল, “দুর্নীতি কোন সমস্যা না, দুর্নীতিতে সমাজের কোন ক্ষতি হয়না”। ভদ্রতার খাতিরে সবাই চুপ করে রইল, একমাত্র আমিই প্রতিবাদ করে বললাম, “দুর্নীতিটাই সব চাইতে বড় সমস্যা।” উনি তার সপক্ষে কিছু যুক্তি উপস্থাপন করার উপক্রম করছিলেন। আমার কঠিন দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থেমে গেলেন। আরেকবার রমজানের আগে আগে এক পারিবারিক অনুষ্ঠানের দাওয়াতে, কথায় কথায় আমি বলছিলাম, “রমজান মাসটায় একটা কারণে মানুষের অনেক কষ্ট হয়, সেটা হলো অসাধু ব্যবসায়ীরা, ইচ্ছাকৃত ভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।” সাথে সাথে এক ব্যবসায়ী তেলে বেগুনে জ্বলে উঠল, “না ব্যবসায়ীরা, ইচ্ছাকৃত ভাবে পণ্যের দাম বাড়ায় না। ব্যসিকালি এরকম কিছুই ঘটেনা।” আরেকবার মসজিদে এক মুরুব্বীর জুতা চুরি হয়েছে, লোকজন চোরকে রেখে উনাকে ভর্ৎসনা করতে শুরু করেলেন। কেন মুরুব্বী, আপনি মসজিদে নতুন জুতা পড়ে এসেছেন কেন? ভাবখানা এই যে, ‘চোর তো ঠিকই আছে, আপনিই তো ভুল।’ কি সব মতামত দেখুন তো! আচ্ছা, চোর যদি বলে যে, ‘চুরি করা ভালো’, ডাকাত যদি বলে যে, ‘ডাকাতি করার মধ্যে খারাপ কিছু নেই, খুনি যদি বলে যে, ‘খুন করা অপরাধ না’। অপরাধীকে শাস্তি দিলে যদি কেউ বলে, ‘শাস্তি না দিয়ে ক্ষমা করে দিলেই ভালো হত’। এইসব মতামতকে কি শ্রদ্ধা করা যায়?। অপরের মতামতকে কি শ্রদ্ধা করতেই হবে?

৫৬৬ বার দেখা হয়েছে

৪ টি মন্তব্য : “অপরের মতামতকে শ্রদ্ধা করা উচিৎ-অনুচিৎ”

মওন্তব্য করুন : রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।