অনুপ্রবেশ না আশ্রয়, আশ্রয় না অনুপ্রবেশ?
বারবার এই প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে
মস্তিস্ক থেকে হৃদয়, আর হৃদয় থেকে মস্তিস্ক পর্যন্ত।
শিশুকোলে জননী, স্বামী আর পিতা হরিয়ে দিশেহারা,
অশ্রুও শুকিয়ে গেছে সেই কখন,
বাকরুদ্ধ কন্ঠের ভাষা ফুটে ওঠে নির্বাক চোখের করুন চাহনীতে,
‘বিবেকহীন নৃশংসতার তাড়া খেয়ে ছুটে এসেছি
তোমাদের কাছে ভাই জ্ঞান করে।
তোমরা আমাকে আশ্রয় দেবেনা?
আগুনে ঠেলে দিতে চাও?
নাকি ভাসিয়ে দেবে উম্মুক্ত আকাশের নীচে অথৈ সাগরে?
এই দেখতো আমার শিশুটি অদ্ভুত চাহনি দিয়ে প্রশ্ন করছে,
‘মানবতা কি মুখ থুবরে পড়েছে?’
আমি জননী,
এই শিশুটির জীবনের জন্য আমি সব দিতে পারি,
তুমি কি নিতে চাও বল?
নাফের এ’পাশেও নারী ও পাশেও নারী,
নারীরা তো মায়ের জাত,
কোথায় তাদের মাতৃত্ববোধ?
হে নারী,
উদ্ভাসিত ফুলেল শুভেচ্ছা নিয়ে
আপনি গ্রহন করছেন শান্তির পদক,
আর আমি অর্ধমৃত শিশু কোলে নিয়ে
আত্মহননের দিকে ঝুকছি।
হে নারী,
ক্ষমতার উত্তাপ আপনার হৃদয়কে করেছে লৌহ কঠিন,
ভায়ের রক্ত, বোনের ভয়ার্ত চিৎকার,
পিতার নিথর দেহ আঁকড়ে ধরে থাকা স্থবির সন্তান,
কোন কিছুই আপনার হৃদয়কে স্পর্শ করেনা!
‘ওরা তো মানুষ নয়, ওরা উদ্বাস্তু’।
আমার জীবনে আজ পুর্ণ সুর্যগ্রহন হলেও,
আপনার জীবনের ঝলমলে সুর্যের আলোয় কেমন জ্বলজ্বল করে ওঠে
উত্তরাধিকার সুত্র পাওয়া আপনার রাজমুকুট।
হ্যাঁ, আজ আপনি সম্রাজ্ঞীর আসনে আসীন,
কিন্তু স্মৃতিশক্তি প্রখর থাকলে মনে করতে পারতেন,
একদিন আপনিও উদ্বাস্তু ছিলেন।
মন খারাপ করতে পারি আর কিছু করতে পারি না। 🙁
তারপরেও জনমত সৃষ্টি করাটা জরূরী।
রমিত ভাই
আমি কবিতা বুঝিনা, তবে আপনার লেখাটি চমৎকার লাগলো।
ধন্যবাদ ফাইয়াদ। রাজনীতির কাছে মানবতা হেরে যাচ্ছে।
সামান্য একটি কবিতা লিখে আমি জনমত সৃষ্টি করার ক্ষুদ্র প্রয়াস চালাচ্ছি।
কান্না আসে, কিন্তু আমি সাধারন জনতা। আমরা কি করব?
অন্ততপক্ষে জনমত সৃষ্টি করব।