দয়ালু জমিদার আর বাঁশের গল্প
এক গাঁয়ে এক জমিদার ছিল। জমিদার বলতেই যেই পাষাণ অত্যাচারি একটি লোকের অবয়ব ভেসে ওঠে আমাদের মনে, ঠিক সেরকমটি তিনি ছিলেন না। আর দশজন জমিদারের চাইতে একটু ভিন্ন প্রকৃতির। তিনি ছিলেন দয়ালু। একবার দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা গেল। সারা দেশে হাহাকার, খাওয়া নাই-দাওয়া নাই, ক্ষুধা-তৃষ্নায় মানুষ কাতর। এসময় এই দয়ালু জমিদার খাঁজনা আদায়ের চিন্তা বাদ দিয়ে, সকলকে অন্ততপক্ষে দিনে একবার খাবার দেবার ব্যবস্থা করলেন।
লাইন দিয়ে প্রজারা আসে, খাবারের ঠোঙ্গা নেয় আর সাথে নেয় একটি ছোট বাঁশ। প্রজামনে প্রশ্ন দেখা দেয়। খাবারের ব্যাপারটি ক্লিয়ার, এই দুর্দিনে প্রজাসাধারণের কষ্ট দেখে জামিদারের প্রাণ কাঁদে। তাই দয়ালু জমিদার তাদের খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখছেন। কিন্তু বাঁশ! বাঁশটি কেন? সেই আমলের কথা, জমিদারকে প্রশ্ন করার সাহস কারো হয়না। একজন তরুণ প্রজা সাহস করে প্রশ্ন করেই ফেলল, “হুজুর খাবারের ব্যাপারটিতো বুঝলাম, বাঁশের ব্যপারটিতো বুঝলাম না। বাঁশ বিতরণ করছেন কেন?”
জমিদার উত্তর দিলেন, “বুঝলিনা? আরে এই যে আমি আজ তোদের উপকার করছি, সেই তোরাই তো একদিন এই উপকারের প্রতিদান স্বরূপ আমাকে বাঁশ দিতে আসবি, তখন যাতে আর তোদের কষ্ট করে বাঁশ খুঁজতে না হয়, তাই এই ব্যবস্থা”।
ভাই, নিজের মাথার উপর দিয়ে গেল মনে হচ্ছে।
কম বুঝতে পারলাম। তবে মনেহয় আমাদের চিরন্তন চারিত্রিক বৈিশেষ্ঠর কথা বললেন। উপদেশমূলক গল্প। শিক্ষা নিব।
তানভীর আহমেদ
'চিরন্তন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য', যে উপকার করে তারই ক্ষতি করার চেষ্টা করি। এরকম বেশ কিছু ঘটনা তো নিজের চোখের সামনেই দেখেছি।
=)) =)) =))
(সম্পাদিত)