ম্যান প্রপোজেস,গড ডিসপোজেস

লং কোর্স অফিসারদের জন্য বিসিসি এক আতংকের নাম।বরিশাল ক্যাডেট কলেজ নয়,বেসিক কমান্ডো কোর্স ।শরীর ও মনে সাত সপ্তাহের এই কোর্সের ছাপ থেকে যায় বহু দিন পর্যন্ত।কৃতিত্বের সাথে কোনমতে কোর্স শেষ করা অফিসারদের নাকি পূর্ণিমা অমাবশ্যার রাতে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা করে বহু দিন,টাইগার চেজের খুঁজে না পাওয়া বাঘ দুঃস্বপ্নে হানা দিয়ে রাতঘুমের আয়ু কমিয়ে দেয়।তবে সুখের বিষয় হাজার বছর পর পর এই কোর্সের মেয়াদ কমে পাঁচ সপ্তাহে নেমে আসে।স্বর্গীয় আশীর্বাদ প্রাপ্ত কিছু অফিসার সে কোর্স করার সুযোগ পায়।পরম সৌভাগ্যবান আমার এক ইউনিট অফিসার পাঁচ সপ্তাহের এই কোর্স করার সুযোগ লাভ করেছিলেন।সে গল্প করার সময় স্যারের চোখে খুশির ঝিলিক দেখে আমার মনের গহীনে কিসের যেন একটা চিনচিন ব্যথা উঠত।ঠিক তার দুবছরের মাথায় বিসিসি আবারো পাঁচ সপ্তাহ এবং সে কোর্সে আমার নাম বের হয়েছে।অন্যদিকে নাম না আসাদের মাঝে আমার জানের দুশমন আওলাদ রয়েছে।প্রতিদিন একবার করে ফোনে ব্যাটাকে মনে করিয়ে দেই আমি পাঁচ সপ্তাহের বিসিসি করব।মর্ত্যের পৃথিবীতে ব্যাটা আমার চেয়ে দুই সপ্তাহ বেশি নরক যন্ত্রণা ভোগ করবে।এটা যে তার করা কোন মহাপাপের ফসল সেটা জানাতেও ভুলিনা।বিধাতা বোধ হয় সেদিন আড়াল থেকে হেসে উঠেছিলেন।তবে আমি সেটা শুনতে পাইনি।
যাই হোক দেখতে দেখতে পাঁচ সপ্তাহ চলে যাবে-এই আশায় বুক বেঁধে কোর্সে জয়েন করলাম।কোন রকমে দিন পার করাই লক্ষ।শুধু আমার না,বিসিসিতে আমজনতার মূল নীতি হল APC বা “এসো পার করি”।কিন্তু শুরু থেকেই কোর্সে ভাইরাস জ্বর দেখা দিল।প্রথম দুই সপ্তাহে প্রায় অর্ধেকের বেশি জ্বর কমপ্লিট করে ফেলল।তবে সবাই কোন রকমে লেগে থাকল।কোন কারণে শেষ করতে না পারলে পরের বার সাত সপ্তাহের চক্কর!!তৃতীয় সপ্তাহে আমি ধরা খেয়ে গেলাম।বেশ কিছু ইভেন্টে খারাপ করে ফেললাম।কিছু আইটেম মিস করে বসলাম।অন্যদিকে জ্বরের কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছে বেশ।এর মাঝে চলে এল ৩০ কিলো স্পীড মার্চ।মেজর ইভেন্ট-এটা মিস করলে নিশ্চিত পরের বার আসতে হবে।ভয়াবহ এই আইটেম সুস্থ শরীরেই অনেকে শেষ করতে পারেনা।আর আমার তখনও জ্বর ১০০ ডিগ্রির উপরে।পরিচিত জনেরা মোরাল দিল যে স্পীড মার্চে ফিটনেসের চেয়ে মনের জোরটাই আসল।সে কথা শুনে আমার মনে কোন জোর আসল না।তাতে কি??আরেকবার বিসিসি করার ভয় আমাকে বিকাল বেলা স্টার্ট পয়েন্টে দাঁড় করিয়ে দিল ঠিকই। তবে কোন রকমে দশ কিলো যাবার পর শরীর বিদ্রোহ ঘোষণা করল।খেয়াল করলাম বাকিদের সাথে তাল মিলিয়ে পা পড়ছেনা।প্রাণপণ চেষ্টা করেও আর পারলাম না।সিনেমার স্লো মোশনের মত দেখলাম সবাই আমাকে ছাড়িয়ে চলে গেল।
স্পীড মার্চের পিছিয়ে পড়াদের নিয়ে LOB (=Left Out of Battle)গ্রুপ বানানো হয়।এই গ্রুপ ১০০% ফেল করে।অনেকে মূল দলে থেকেও ভাল করতে পারেনা।সেখানে LOB গ্রুপ নিয়ে কারোর মাথা ব্যথা থাকেনা।ফেল নিশ্চিত জেনে আমরাও তখন গাড়িতে করে ফেরার পায়তারা করছি।রাত নেমে এসেছে,আমরা তখন কেবল সিলেট বিকেএসপির সামনে।এমন সময় অঘটন ঘটে গেল।পেছন থেকে আসা এক বাইকচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসল।পিছনের এক স্যারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে আমাকে ধরল।ডান পায়ের কাফ মাসলে অনুভব করলাম বাইকের চাকার কাঁপন।স্ট্রেট ড্রাইভ খাওয়া ক্রিকেট বলের মত আছড়ে পরলাম রাস্তার পাশে ঘাসের উপর।প্রাথমিক শক কেটে যাবার পর শরীরের বিভিন্ন হাড়গোড় টিপে দেখলাম কোথাও ভাঙেনি।ধাক্কা মারার আগে বোধ হয় চালক ব্রেক করে গতি কমাতে পেরেছিল।এবার চারপাশে তাকালাম।দেখি চালক সহ আমরা তিনজন মাটিতে পড়ে আছি।তবে অন্য দুজন কোন নড়াচড়া করছেনা দেখে সবাই আমাকে রেখে তাদের কাছে ভিড় জমাল।উঠে দাঁড়ানোর সময় ডান পায়ে তীব্র ব্যথা অনুভব করলাম।কিছুক্ষনের মধ্যে গাড়ী চলে আসল।অচেতন স্যারের দেহটা সবাই ধরাধরি করে গাড়িতে তুলে দিলেও আমার দিকে কারোর নজর নেই।রোগী হিসেবে প্রাপ্য সম্মানটুকু না পেয়ে নিজেই এক পায়ে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে গাড়িতে উঠে বসলাম।সিএমএইচে এসেও দেখি একই অবস্থা।জ্ঞান ফেরার পরও স্যারকে ধরে নামান হল। কিন্তু আমার দিকে কোন হাত এগিয়ে এলনা।অথচ কিছুক্ষণ পর স্যার কোন রেস্ট ছাড়াই মেসে ফেরত গেলেন আর আমি এডমিট।এক্সরে করে কোন খারাপ কিছু ধরা না পড়লেও পায়ের ব্যথা কমছিলনা।তাই ডাক্তারের নির্দেশে এক মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিষ্ঠুরের মত বস্ত্র হরণ করে পশ্চাতদেশে ইনজেকশন দিয়ে দিল।কী যন্ত্রণা রে বাবা!!!
পরের ঘটনা কেমিস্ট্রির রাখাল স্যারের ভাষায় বলতে হয়-“তারপর কি হল জানিস???…………যা হবার তাই হল।”আগের কিছু ইভেন্ট মিস+খারাপ করা আর সিএমএইচে ভর্তি থাকা-সব মিলিয়ে আমাকে কোর্স থেকে পুওর পারফরম্যান্স গ্রাউন্ডে অকৃতকার্য করে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হল ইউনিটে।ব্যর্থতার গ্লানি,পরের কোর্সের মেয়াদ সাত সপ্তাহ ইত্যাদি ছাপিয়ে পুওর পারফরম্যান্স কথাটা বুকের ভিতর কাঁটার মত বিঁধেছিল।কপালের দোষে হ্যালীর ধুমকেতু(পাঁচ সপ্তাহের বিসিসি) মরীচিকা হয়ে মিলিয়ে গেল।
পুওর পারফরম্যান্স কলঙ্ক মোচনের জেদ নিয়ে পরের বিসিসিতে জয়েন করলাম।এবার সাথে পেলাম আওলাদ,নজরুলের মত প্রিয় কিছু কোর্সমেট।কপাল গুনে আমরা সিরিয়াল নং পেলাম পরপর।যে কোন ইভেন্টে আমাদের এক সাথে ডাক আসে।সে সুযোগে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুইটা মিলে আমাকে বেদম পচানি দেয়।আর যদি কোন আইটেমে ওদের চেয়ে ভাল করি তা হলে তো আর কথাই নেই।সাথে সাথে বিচারের নিরপেক্ষতা নিয়ে হৈচৈ শুরু করে দেয়।মরার উপর খাঁড়ার ঘা-দুইটাই আর্টিলারি।আর সেবার কোর্সে আর্টিলারি থেকেই বেশি কোর্সমেট ছিল।সুতরাং জনমত আমার প্রতিকূলে।তবে ভাগ্য আমার অনুকূলে থাকায় দুই খবিশের জন্য প্রতিশোধটা হল বেশ নির্মম।আমার দৃষ্টিকোণ হতে অনেকটা নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভংগ করার মত।আসল ঘটনা হল-আমি হঠাৎ করে এক স্টাফের কুনজরে পড়ে যাই।কাজেই বিভিন্ন ইভেন্টের কষ্টের সাথে যোগ হল এই স্টাফের পাংগা।বিসিসি’র নরক যন্ত্রণার মাঝে এধরনের বোনাস মোটেও সুখকর কোন ব্যাপার নয়। তবে পরম আনন্দে লক্ষ করলাম সিরিয়াল নং পাশাপাশি হবার সুবাদে আওলাদ নজরুলও সে ভাগ পেয়ে যাচ্ছে।ব্যাপারটা আমাকে কেমন জানি একটা পৈশাচিক আনন্দ দিল।সেই স্টাফ বিভিন্ন স্টার্ট/ফিনিশিং পয়েন্টে আমাকে ধরার জন্য তক্কে তক্কে থাকত।সিরিয়াল নং আমার আগে হবার সুবাদে ওই দুই বদ আমার আগেই স্টাফের শিকারে পরিণত হয়ে যায়।তাই উপলক্ষ আমি হলেও সেই পাংগার বন্টন যে খুব একটা সুষম হত না সেটা না বললেও চলে।কোর্সের শেষে আবার সারপ্রাইজ।বেসিক প্যারাসুট কোর্সের জন্য নির্বাচিত হয়ে গেলাম।বিএমএ থেকে পাসিং আউটের পর এ সুযোগ পাওয়া সেনাবাহিনীতে পাঁচ সপ্তাহের বিসিসি’র চেয়েও দুর্লভ ব্যাপার।অন্যদিকে রেজাল্টও বেশ ভাল হল।বাংলা সিনেমার নায়কের মত ফার্স্ট না হলেও পুওর পারফরম্যান্সের কলঙ্ক মোচন করতে পারলাম।সব মিলিয়ে সেকেন্ড টাইম বিসিসি করাটাকে শাপেবর মনে হল।কোর্স শেষে ছুটি কাটিয়ে ইউনিটে জয়েন করতেই শুরু হল শীতকালীন প্রসিক্ষন।সে আরেক পাঙ্গা।তবে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেলাম খুব শীঘ্রই প্যারা কোর্স শুরু হয়ে যাবে।তার মানে শীতকালীন প্রশিক্ষণ এর চক্কর খাওয়া লাগবেনা।স্বয়ং ওআইসি ফোন করে জানালেন আমাদের প্রস্তুত থাকতে।বিসিসিতে ভাল রেজাল্ট,প্যারা কোর্সে সিলেকশন,আর শীতকালীন এক্সারসাইজ মাফ পাওয়া-সব মিলিয়ে আমি খুশীতে আত্মহারা।আর এবার আমার শিকার হলেন ইউনিটের এক সিনিয়র।পৈশাচিক আনন্দ নিয়ে স্যারকে বুঝাতাম শীতকালীন এক্সারসাইজ এর নানা চক্কর আমি কতটা মিস করব।তবে প্যারা কোর্সও যে হ্যালীর মরীচিকা হয়ে মিলিয়ে যাবে সেটা জানলে জীবনেও স্যারকে ঘাটাতে যেতাম না।প্যারাসুট স্বল্পতার জন্য(সম্ভবত) সে কোর্স বাতিল হয়ে যাবার পর থেকে দুই মাস এক্সারসাইজের বাকি দিন গুলা স্যার আমাকে কত উঁচু গাছের উপর উঠিয়ে রেখেছিলেন সে কথা আর নাই বা বলি।
সময় তার আপন গতিতে বয়ে চলল।দেড় বছর চলে গেছে।বিভিন্ন আরামদায়ক কাজে ইউনিটের বাইরেই বেশী সময় কাটাতে লাগলাম।সবার কাছে আমি তখন খানার অফিসার।জুনিয়রদের টিপ্পনি,”স্যার আর কত জুস খাইবেন” শুনতে বড় মধুর লাগে।সুইমিং টিমের নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেন হিসাবে এক সপ্তাহ ঢাকায় কাটিয়ে ফেরার পরদিন সকালে অফিসে বসে বগুড়া যাবার প্রয়োজনীয় পেপারস বানাচ্ছি।এমন সময় ক্লার্ক এসে একটা জরুরী ফ্যাক্স হাতে দিল।পড়ে আমার চোখ কপালে উঠে গেল।শ্রীলংকাতে SURVIVAL,ESCAPE,EVASION & COMBAT TRACKING নামে একটা কোর্সের প্যানেলে আমার নাম এসেছে!! হাসব না কাঁদব ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না।বুকের ভিতর চাপা উত্তেজনা নিয়ে বগুড়ার “জুস”খেয়ে এলাম।সেখানে আওলাদের সাথে দেখা হলেও ব্যাপারটা চেপে গেলাম।কেননা ততদিনে আমার যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। হ্যালীর মরীচিকা দেখার শখও মিটে গেছে।তাছাড়া প্যানেলে নাম আসা মানেই তো আর কোর্সে সিলেক্টেড হওয়া নয়।লিখিত,ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে পুরো প্যানেল থেকে একজনকে পাঠানো হবে।যাই হোক বগুড়া থেকে ফিরে আবার ঢাকায় গেলাম সিলেকশন টেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য।সৌভাগ্যের ষোলকলা পূর্ণ করে আমিই নির্বাচিত হয়ে গেলাম…………………
তার মানে ১৪ জুলাই থেকে ৬ সেপ্টেম্বর এর এই কোর্সে অংশগ্রহণের জন্য আমি শ্রীলঙ্কা জাচ্ছি।আমার প্রথম বিদেশ ভ্রমণ-অসম্ভব ভাল লাগা অনুভূতিতে মন ছেয়ে গেল। দেশ হিসাবে শ্রীলঙ্কা হয়ত আহামরি কিছু না,কোর্স হিসাবে SURVIVAL ও খুব একটা সুখের কোন অভিজ্ঞতা হবার কথা না।তবে আমার কাছে এ সুযোগ ঠিক যেন আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মত।কেননা ছোট এক মফস্বলে বড় হওয়া আমার কাছে ময়মনসিংহ বেড়াতে যাওয়া ছিল স্বপ্নের মত। আব্বার সাথে একদিনের অফিসিয়াল পিকনিকে ঢাকায় যাওয়াটা পুরো প্রাইমারী স্কুল লাইফে বুক ফুলিয়ে গল্প করার মত ব্যাপার ছিল।আর ক্যাডেট কলেজে চান্স পাবার পুরস্কার হিসাবে প্রথমবারের মত ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম।কাজেই আমার কাছে দেশের বাইরে যাওয়াটাই অকল্পনীয় ব্যাপার।তাছাড়া এ ধরনের কোর্সে সাধারণত এসিসি(এডভ্যান্সড কমান্ডো কোর্স,কমান্ডো বলতে যাদেরকে বুঝায়) করা সেনাসদস্যদের পাঠানো হয়।সেখানে বিসিসি করে এই প্যানেলে নাম আসাটাই অনেক বড় পাওয়া।
প্রথমবার যখন কোর্স থেকে ফেরত আসি তার পর অনেক দিন মন খারাপ ছিল।ভাল রেজাল্ট দুই বার বিসিসি করার জন্য কোন অনুপ্রেরণা হতে পারেনা।তাই সব মিলিয়ে বাইক অ্যাকসিডেন্ট এর জন্য নিজের ভাগ্যকে দোষ দিতাম।সে ঘটনার দেড় বছর পর এত বড় পুরস্কার কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি।সত্যিই কোন কিছুর ভাল মন্দ বিচারের ক্ষমতা মানুষের নেই-MAN PROPOSES,GOD DISPOSES.

১,৭৭১ বার দেখা হয়েছে

২১ টি মন্তব্য : “ম্যান প্রপোজেস,গড ডিসপোজেস”

  1. রায়হান (১৯৯৮-২০০৪)

    কিন্তু আমি ঠিক ই ৫ সপ্তাহের জুস খাইছি
    তয় কতিপয় প্রশিক্ষক উহাকে আমার জন্য করলার জুস বানাইয়া ফেলছিল এই জা(নামটা আর না কই) :bash:


    একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার,সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার

    জবাব দিন
  2. রাকিব(৯৮-০৪,মকক)

    মোনামি,সেই কতিপয় প্রশিক্ষক আমাকে দুইবার প্রশিক্ষণ প্রদান করিয়াছেন।তাহাদের মধ্যে একজন দুষ্ট প্রকৃতির ভাই স্যার রয়েছেন বলে আমার মনে পড়ে।উনি সত্যই তোমার অনেক ভাল টেক কেয়ার করেছেন।তবে তার পর ও তুমি মানুষ হইলেনা।আফসোস.................. :khekz:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আহমদ (৮৮-৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।