কিশোর পারেখ

কিশোর পারেখ নামক এক ভারতীয় ফটো জার্নালিষ্ট মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাঙলাদেশে যুদ্ধকালীন সময়ের ছবি তুলে তিনি বিখ্যাত হন। এতে তিনি পাকিস্থানী সামরিক বাহিনীর বর্বরতা সহ বাঙালি জণগণের দুঃখ-দুর্দশা এবং আশাবাদ তুলে ধরেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন কিশোরের কাজ সম্পর্কে বলতে গিয়ে পাবলো বার্থলমিউ বলেন,

“Bangladesh was Kishor’s highest point. Self-assigned, self-funded, driven by his own instincts, emotions and guts, in a two week period he produced a startling set of images that became a powerful book and statement.”

parekh-1_071713083008

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কিশোর যখন ভ্রমণ এবং ফ্যাশন ফটোগ্রাফিতে ব্যস্ত, তখন হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন। দ্রুত ৪০ রোল ফিল্ম যোগাড় করে আর নাইকন ক্যামেরা সম্বল করে তিনি ভারতে চলে আসেন। এক বন্ধু তাকে পৌঁছে দেন বর্ডারে। কিছুটা জোর করেই তিনি ৮ ডিসেম্বর ঢুকে পড়েন প্রেস হেলিকপ্টারে। ৮ই ডিসেম্বর থেকে ১৬ই ডিসেম্বর তারিখ পর্যন্ত কিশোর ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানে। এই সময় তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ছবি তোলেন। এরপর ফিরে গিয়ে টানা তিন দিন তিন রাত ফিল্ম ডেভেলপ করেন আর ৬৭টি সফল ফটোগ্রাফ নিয়ে বের হন। এই ছবিগুলিকে অলম্বন করে ১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশ : এ ব্রুটাল বার্থ নামে একটি ফটোগ্রাফি বই প্রকাশ করেন (৬৭ টি ছবি)। ভারত সরকার তাঁর ছবি দেখে ২০ হাজার কপির অর্ডার দেন।

এ প্রসঙ্গে তার স্ত্রী সরোজ পারেখ তার স্মৃতিতে উল্লেখ করেন,

বাংলাদেশঃ এ ব্রুটাল বার্থ এ কিশোরের ছবি

বাংলাদেশঃ এ ব্রুটাল বার্থ এ কিশোরের ছবি

” ১৯৬৭ সালে হিন্দুস্তান টাইমসের চাকরি পরিত্যাগ করার পর সপরিবারে হংকং চলে আসেন এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তারা হংকং এ অবস্থান করছিলেন। তিনি সমুদ্র সৈকতে ছবি আঁকতে পছন্দ করতেন। উপমহাদেশ যখন অগ্নিবলয়ে এবং যুদ্ধ কবলিত, এমতবস্থায় বিবেকের তাড়নায় সিদ্ধান্ত নিলেন ভারত হয়ে বাংলাদেশে যেয়ে পুরো যুদ্ধটাকে ছবির মাধ্যমে কভার করা। ঢাকায় অবস্থানকালীন সময় তার পক্ষে একজন সিভিলিয়ান হয়ে সরাসরি যুদ্ধ ক্ষেত্রের ছবি তোলা খুব কঠিন ব্যাপার ছিল। তাই তিনি পাকিস্তান আর্মির পোশাক যোগাড় করে ঐতিহাসিক কাজগুলো সাহসিকতার সাথে সম্পন্ন করেছিলেন। এর জন্য তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে ধরাও পড়েন। পড়ে অবশ্য বোঝাতে সক্ষম হন, তিনি ভারতীয় নাগরিক এবং ফটো সাংবাদিক। কোনো চাকুরিগত বাধ্যবাধকতা নয়, আর্থিক কোনো লাভ নয়, স্রেফ একটি যুদ্ধকে ইতিহাসের অংশ করে রাখার জন্যেই চলে আসেন যুদ্ধ আক্রান্ত এ দেশে।”

আমেরিকায় তোলা এক পত্রিকা বিক্রেতার ছবি (পুরষ্কারপ্রাপ্ত)

আমেরিকায় তোলা এক পত্রিকা বিক্রেতার ছবি (পুরষ্কারপ্রাপ্ত)

১৯৩০ সালে কিশোর পারেখ এর জন্ম হয় গুজরাটের ভবনগরে। ছাত্রজীবনে তিনি প্রথমে রসায়ন এর ছাত্র ছিলেন। কলেজে পড়াকালীন সময়ে তিনি একটি বক্স ক্যামেরার মালিক হলে তার সকল উৎসাহ ক্যামেরা তথা ছবির দিকে চলে যায়। ১৯৫৬ সালে রসায়ন এ ব্যাচেলর ডিগ্রি নিয়েই তিনি চলে যান লস এঞ্জেলস এ ফটোগ্রাফি নিয়ে পড়াশুনা করার উদ্দেশ্যে।  ১৯৬১ সালে ২৬ বছর বয়সে কিশোর যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলচ্চিত্র, তথ্যচিত্র ও স্থিরচিত্রের ওপর মাষ্টার ডিগ্রী নেন। ছাত্রবস্থায় কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বেশ কিছু পুরষ্কার পান। বিশেষ করে লাইফ ম্যাগাজিন এবং ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ফটোগ্রাফার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফি কনটেস্টে সাতটি ক্যাটাগরির মধ্যে ছয়টিতে পুরস্কার জিতে নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সর্বপ্রথম আলোচনায় আসেন। তার তোলা ছবি লাইফ ম্যাগাজিনে আসে।

 

বিহারের দুর্ভিক্ষের ছবি

বিহারের দুর্ভিক্ষের ছবি

১৯৬১ সালে মাতৃভূমিতে ফিরে এসে তিনি চেষ্টা করেন তাঁর মেধা বম্বের চলচ্চিত্র জগতে কাজে লাগাতে। কিন্তু তিনি বম্বের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কোন চাকরি খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন। এসময় ভারতের প্রভাবশালী বিড়লা পরিবার কিশোরের মেধা দেখে তাঁকে কাজের সুযোগ করে দেখেন। কিশোর যোগ দেন তাদের পত্রিকা দি হিন্দুস্তান টাইমসের চিফ ফটোগ্রাফার হিসেবে। এর পর ছয় বছর কিশোর কাজ করেন ফটো জার্নালিস্ট হিসেবে।

 

১৯৬২ সালে হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা র ছবি

১৯৬২ সালে হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা র ছবি

কিশোর এসময় রদবদল করেন অনেক কিছু। রিপোর্টের গোটা ফরম্যাটই পাল্টে দেন। বদলে দেন ইনডিয়ান প্রেস ফটোগ্রাফির চেহারা। হয়তোবা তার বদৌলতেই ৬১ থেকে ৬৭ সালকে বলা হয় ইনডিয়ান প্রেস ফটোগ্রাফির স্বর্ণযুগ। ১৯৬৬-৬৭ সালে বিহারের দুর্ভিক্ষ কভার করতে গিয়ে তিনি তাঁর মেধার পূর্নাঙ্গ প্রতিফলন ঘটান। ১৯৬৭ সালে নকশাল আন্দোলন এর ছবি তোলেন।
এসময় তিনি ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধ কাভার করেন। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্থান যুদ্ধ ও তিনি কাভার করেন। তাসখন্দ সামিট (তাসখন্দ চুক্তি) কাভার করার জন্য সোভিয়েত রাশিয়া তাকে সোনার মেডেল দিয়ে সম্মানিত করেন। এছাড়া ১৯৬৪ সালে পন্ডিত জবাহরলাল নেহেরুর মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত তিনি তার অনেক ছবি তোলেন।

বায়ে ১৯৬৫ সালে তাসখন্দ চুক্তির সময় লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ও ডানে ১৯৬২ সালে পন্ডিত নেহেরু

বায়ে ১৯৬৫ সালে তাসখন্দ চুক্তির সময় লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ও ডানে ১৯৬২ সালে পন্ডিত নেহেরু

৬ বছর হিন্দুস্থান টাইমস কাজ করার পরে ১৯৬৭ সালে কিশোর পারেখ সিঙ্গাপুর ও হংকং গিয়ে দি এশিয়া ম্যাগাজিনে যোগ দেন। এ সময় তিনি কার্যোপলক্ষে এশিয়া প্যাসিফিক এলাকা বিস্তৃত ভাবে কাভার করেন। এরপর তিনি দি প্যাসিফিক ম্যাগাজিন লিমিটেডে ছবি সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। সেখানে তিনি এক্সক্লুসিভ কিছু ফটো সিরিজ করেন। এই ৫ বছরে তিনি বিপুল আন্তর্জাতিক খ্যাতি পান। এরপর ১৯৭২ সালে তিনি পাকাপাকিভাবে বোম্বে চলে আসেন।

মুক্তিযুদ্ধের পর কিশোর ফিরে যান কমার্শিয়াল ফটোগ্রফির পেশায়। ১৯৮২ সালে মাত্র ৫২ বছর বয়সে হিমালয় পবর্তে ছবি তোলার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এই শিল্পী মৃত্যুবরণ করেন।

কিশোর পারেখ এর ছবি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, প্যারিস ম্যাচ, সানডে টাইমস, টাইম ম্যাগাজিন, স্টার্ন, পপুলার ফটোগ্রাফি ও আসাহি গ্রাফিক সহ নানান আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়।

বাংলাদেশঃ এ ব্রুটাল বার্থ এর কথাঃ

২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে কিশোরের মৃত্যুর ৩৩ বছর পর দিল্লীর ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর দি আর্টস (IGNCA) এ নজর ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে কিশোর পারেখ এর ছবি বাংলাদেশঃ এ ব্রুটাল বার্থ ভারতে প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হয়। সে সময় কিশোর পুত্র স্বপন পারেখ এর সাথে কথা হয় সাংবাদিকদের সাথে। পেশায় স্বপন নিজেও ফটো সাংবাদিক। তাদের পরিবারের কাছে বাংলাদেশঃ এ ব্রুটাল বার্থ এর দুই কপি ছিলো। সেখান থেকে একটি প্রদর্শিত হয় এক্সিবিশনে। স্বপন এর স্মৃতিচারণের বিশেষ অংশ তুলে দিচ্ছি এখানে।

আমার মনে আছে আমরা তখন হংকং এ ছিলাম। আমার বয়স তখন ছিলো ৫ বছর। সপ্তাহান্তে আমরা সাধারণত সমুদ্র সৈকতে যেতাম। বাবা সেখানে মাঝে মাঝে ছবি আঁকতেন। এমন একদিন বাবাকে খুব বিমর্ষ দেখাচ্ছিলো। তিনি বললেন,

“MY COUNTRY IS BURNING AND HERE I AM DOING THIS.”

সে সময় আমরা চার ভাইবোন আর মা। তাছাড়া তিনি তিনটি ম্যাগাজিন এর এডিটর ছিলেন। সব ছেড়ে তিনি বোম্বে চলে যান। সেখান থেকে কোলকাতা। কোলকাতায় জোর জবরদস্তি করে এক বন্ধুকে বাধ্য করেন তাকে সীমান্তে গাড়ি করে রেখে আসতে। ওপার থেকে তখন বেসামরিক কারো পক্ষে এপারে আসা কঠিন ছিলো। হঠাৎ তিনি দেখেন অফিসিয়াল প্রেস ফটোগ্রাফার দের নিয়ে একটি আর্মি হেলিকপ্টার ঢাকা যাচ্ছে। যেহেতু বাবার কোন ক্লিয়ারেন্স বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিলো না তাই দায়িত্বরত মেজর বাবাকে হেলিকপ্টারে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন বাবা মেজর কে বলেন,

“SHOOT ME HERE RIGHT NOW OR TAKE ME.”

বাবা যুদ্ধক্ষেত্রের মাঝে গিয়ে উপস্থিত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা যাতায়াতের জন্য বাবাকে একটি জিপ দেয়। ১৬ ই ডিসেম্বর পাকিস্থানি দের আত্মসমর্পণ পর্যন্ত বাবা ৫ দিন ছবি তোলেন। এরপর আরো কয়েকদিন সেখানে ছিলেন। আর বাকি ছবিগুলো তখনই তোলা হয়। এরপর বাবা সরাসরি হংকং চলে আসেন, ফিল্ম প্রসেস করেন, বই হিসাবে বের করার জন্য চুক্তি করেন। মা বলেছিলেন বাবা এমনকি হংকং এ এসে প্রথমে বাসায় আসেন নি, সরাসরি স্টুডিও তে চলে যান।

এই সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই বাবার ওজন বেশ কমে যায়। বাবা কিছুই খেতে পারতেন না। তিনি বলতেন,

“ALL I CAN SMELL IS ROTTEN FLESH…” 

ডামি ফটো বুক নিয়ে বাবা ভারতে গিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্তা ব্যক্তিদের সাথে করেন। ওরা ইংরেজি ও ফরাসি তে ২০,০০০ কপি বইয়ের অর্ডার দেয়। সপ্তাহ দুয়েকের মাঝে সব কাজ হয়ে গেলো। জানুয়ারি র মধ্যেই বই হয়ে বেরিয়ে গেলো।

বাংলাদেশঃ এ ব্রুটাল বার্থ বইটি উৎসর্গ করা হয় FOR THOSE WHO SUFFERED

বইটির ছবি, ক্যাপশন সব কিশোর এর নিজের। বইটির প্রারম্ভিকা লিখে দেন S. MULGAOKAR. হংকং এর ইমেজ ফটোগ্রাফিক সার্ভিস থেকে বইটি প্রকাশিত হয়।

এস মুলগাওকার বইটির ভূমিকায় লিখেন,

THE FULL STORY OF BANGLADESH CAN NEVER BE TOLD.

EVEN IN MAN’S VOCABULARY OF HORROR THERE ARE NO WORDS TO DESCRIBE THE BRUTALITY OF THE PAKISTANI ARMY AGAINST ITS BENGALI BROTHERS. IT LASTED NINE NIGHTMARSH MONTHS. THERE IS NO PARALLEL IN HISTORY FOR THE CUMULATIVE SCALE OF ATROCITIES BY THE PAKISTANI ARMY BETWEEN MARCH 25, 1971, WHEN NEGOTIATIONS FOR AN AUTONOMOUS EAST BENGAL BROKE DOWN, AND DECEMBER 17, 1971, WHEN THE BANGLADESH FLAG WAS RAISED IN DACCA.

IT WAS NOT JUST A CASUAL FLING OF DEATH LIKE THE HOLOCAUST OF HIROSHIMA. IT WENT BEYOND THE CLINICAL CRUELTY OF THE BELSEN CONCENTRATION CAMPS. DURING THOSE NINE MONTHS THE DEHUMANIZATION OF BANGLADESH DEFIED IMAGINATION: ONE OUT OF EVERY SEVEN EAST BENGALI FLED FROM HIS HOME – AND A TIDAL WAVE OF 10 MILLION PEOPLE WAS HURLED INTO REFUGEE CAMPS IN INDIA; AT LEAST TWO MILLION PEOPLE WERE WIPED OUT; THOUSANDS OF WOMEN WERE RAPED; THE MUTILATED AND THE MAIMED HAVE NOT BEEN COUNTED YET; AND GOD KNOWS HOW MANY CHILDREN HAVE BEEN IRREVOCABLY BROKEN BY THE TRAUMA OF TERROR.

THE PEOPLE OF EAST BENGAL HAVE ALWAYS KNOWN THE WORLD AS HOSTILE AND UNPREDICTABLE. THEY HAVE KNOWN THE FURY OF CYCLONES, THE TYRANNY OF TYPHOONS, PRE-PARTION RIOTS, THE EXODUS OF PEOPLE AND, ABOVE ALL, PITILESS FAMINES. THEN, THROUGH THE LAST 25 YEARS OF WEST PAKISTANI RULE, THEY HAD SEEN THEIR “SONAR BANGLA” (GOLDEN BENGAL) DRAINED OF ITS PLENITUDE FROM THE JUTE FIELDS AND THE BOUNTY OF ITS TEA ESTATES DISAPPEAR TO A NEVER-NEVER LAND CALLED WEST PAKISTAN 1,000 MILES AWAY. TIES OF ISLAM, THE BENGALIS WERE TAUGHT, BOUND THEM TO THE STRANGER WHO CAME AS A BROTHER, SPEAKING NOT THEIR SOFT NATIVE TONGUE BUT STRIDENT URDU. WERE THESE THEIR BROTHERS, THESE TALL FAIRER MEN WHO DESPISED THEIR RICE-AND-FISH CULTURE AND WHO SCORNED THEIR PLAINTIVE BOAT SONGS? WERE THESE THE PEOPLE TO WHOM THEY HAD HANDED THEIR POST-COLONIAL DESTINY?

FOR 25 YEARS THE EAST BENGALIS BENT WITH THE WIND THAT BLEW FROM THE WEST. YOU HAVE ONLY TO SEE THEIR EYES IN THESE PHOTOGRAPHS, TO LOOK AT THE WAY THEIR LIMBS HAVE TAKEN ON THE CONTOURS OF THE PRESSURES APPLIED ON THEM, TO KNOW THAT, MORE THAN ANY OTHER AGRICULTURAL PEOPLE IN THE WORLD, THEIR ENTIRE UNDERSTANDING OF LIFE IS BASED ON ACCEPTANCE.

AND THEN, AT THE END OF 1969, TO THESE PEOPLE WAS GIVEN A MIDDLE-AGED MAN WITH A KIND OF STRANGE FIRE IN HIS TYPICALLY ROUNDED BENGALI BELLY, AND A STRANGE RING OF ANGER IN HIS MUSICAL BENGALI TONGUE THAT MAN IS SHEIKH MUJIBUR RAHMAN. SHEIKH MUJIB, WITH ALMOST BIBLICAL SIMPLICITY, OFFERED THE BENGALIS ONLY ONE WORD: BANGLADESH. BUT IN THAT WORD HE GAVE THEM NO MORE AND NO LESS THAN THEMSELVES, THE KNOWLEDGE THAT THEY WERE CHILDREN OF BENGAL. NO WONDER THAT THE WEST PAKISTANIS FELT, FOR THE FIRST TIME, A SHIVER OF FEAR. “THOSE BLOODY BENGALI BASTARDS” HAD BEEN STRUCK BY A NEW KIND OF PLAGUE. THE GENERALS SMELLED ARSON AND REVOLT: THE BENGALIS HAD THE FIRST FLASH OF A NEW CONSCIOUSNESS.

FOR THIS THEY GAVE BACK TO MUJIB, BY A VOTE AS ABSOLUTE AS ANY POLITICAL LEADER CAN EVER GET THE AUTHORITY TO NEGOTIATE ON THEIR BEHALF FOR A NEW LIFE. MUJIB ASKED GENERAL YAHYA KHAN ONLY ONE THING: TO BE ALLOWED TO BEAR RESPONSIBILITY FOR THE BENGALIS’ OWN FUTURE. HIS PLEA WAS COUCHED IN SIX POINTS. NONE OF THESE PROCLAIMED AN INDEPENDENT NATION. THE PLEA WAS ESSENTIALLY A PACKAGE WITHIN THE FRAMEWORK OF PAKISTAN. THE GENERAL DID NOT SAY NO. AS THE TALKS WENT ON, HIS TROOPS WERE MOVING IN. HE PLANNED TO LET THEM LOOSE WITH ONE TERSE COMMAND: “CRUSH THE REBELLION.” HE DIDN’T WAANT TO KNOW HOW THEY WOULD SET ABOUT IT. ON MARCH 25 HE FLEW BACK TO PAKISTAN.

KISHOR PAREKH WENT TO BANGLADESH WITH NO PRESUMPTION THAT HE WOULD ANNOTATE THE GENOCIDE, OR EXPLAIN THE EXODUS, OR SHOW THE SPIRIT OF A PEOPLE, OR RECORD THE HALLELUJAH OF THE HOMECOMING. HE WENT TO FIND OUT WHY IT HAPPENED, HOW IT HAPPENED AND, ABOVE ALL, TO SEE FOR HIMSELF WHAT STRANGE HOPE DROVE A HOPELESS PEOPLE ON. THE PAKISTANI SOLDIERS HAVE MADE SURE THAT EVERY STREET CORNER AND EVERY SWAMP IN BANGLADESH WILL BEAR ITS OWN MEMORIAL; THAT EVERY FAMILY FOR GENERATIONS WILL HAVE ITS OWN TALE OF TELL OF A SACRIFICIAL OFFERING TO FREEDOM.

WHAT COMES OUT OF THIS BOOK, IN ITS FOUR MAJOR SECTIONS, IS THE UTTER MEANINGLESSNESS OF IT ALL. WE HAVE SEEN BEFORE PICTURES OF A RAPED WOMAN- BUT THE FACE OF THE BENGALI WOMAN THAT PAREKH SHOT FOR THE FIRST SECTION IS THE FACE OF ONE WHO NOW LIVES IN A WORLD WHERE NEITHER FORGIVESS NOR PAIN NOR MEMORY CAN EVER ENTER. IT IS A FACE AT THE VERY EDGE OF SUFFERING- A SUFFERING DENIED ITS OWN UNDERSTANDING.

THE FAMILY OF REFUGEES IS CAUGHT AS IF THE PHOTOGRAPHER HAD BEEN PRIVILEGED TO KEEP HIS CAMERA OPEN ON A NIGHTMARE. THIS FAMILY LACKS EVEN THE INNATE COHESIVENESS THAT BINDS PEOPLE TOGETHER IN FLIGHT. NOT ONLY DO THEY HAVE NO DIRECTION AS A GROUP, BUT EACH ONE OF THEM, IN THE WAY IN WHICH A LEG IS SEEN RAISED AS IF WALKING ON ITS OWN, SUGGESTS THAT THEIRS IS A WORLD WITHOUT A CENTER. OR PERHAPS THEY HAVE SEEN SO MANY DISMEMBERED LEGS THEY CAN CALL THEIR LEGS THEIR OWN. THIS IS THE STORY OF THE ULTIMATE DISPOSSESSION.

CONTRAST, HOWEVER, THE PICTURE IN THE SECTION ON THE RENEWAL OF THE LIBERATION STRUGGLE, WHICH SHOWS A GROUP OF MUKTI BAHINI YOUTH. NOTE THE EYES OF THE FREEDOM FIGHTERS AND COMPARE THEM WITH THE EYES OF THE OLD MAN EARLIER IN THE BOOK. BETWEEN THE TWO PICTURES LIES NOT A GENERATION GAP BUT THE ESSENCE OF THE DIFFERENCE BETWEEN DESPAIR AND RENEWAL. THE YOUNG MEN WITH THEIR RIFLES HAVE NO CERTAINTY OF VICTORY ONLY THE CERTAINTY THAT THEY CAN NOW LIVE NO OTHER WAY.

THE SECTION ON LIBERATION THAT ENDS THIS SAGA IS EXACTLY AS IT MUST HAVE BEEN FOR THOSE WHO HAD LEFT BANGLADESH WITH NO HOPE OF RETURN. WE WILL REMEMBER NOT THE FEET WALKING ON A FIELD OF FLOWERS, BUT THE FAMILY ARRIVING NEAR THEIR HUT. AND THERE, CROUCHING, A YOUNG GIRL WHO AS LONG AS THE LIVES WILL SEARCH FOR THE KILLER IN THE DARK.

THESE PHOTOGRAPHS DESCRIBE THE SHUDDER OF NINE MONTHS LIVED AT ZERO LEVEL.

 

কিশোর পারেখ ধন্যবাদ জানান,

I WOULD LIKE TO THANK THE FOLLOWING, WHO MADE THIS BOOK POSSIBLE:
S. MULGAOKAR FOR THE INTRODUCTION;
WERNER HAHN, ART DIRECTOR;
ARTHUR KAN FOR MAKING THE PRINTS;
GENEREAL SUPPORT: JOHNNY GATBONTON, KEITH HOWELL, VICTOR ANANT, DINSHAW BALSARA AND JOHN WALEY.

 

কিশোর পারেখ এর পরিচিতি হিসাবে বলা হয়,

A PROFESSIONAL PHOTOGRAPHER, KISHOR PAREKH TOOK HIS MASTERS IN CINEMA FROM THE UNIVERSITY OF SOUTHERN CALIFORNIA, WHILE HE WAS AWARDED SIX OF THE SEVEN PRIZES IN AN INTERNATIONAL CONTEST SPONSORED BY THE NATIONAL PRESS PHOTOGRAPHERS’ ASSOCIATION, ENCYCLOPEDIA BRITANNICA AND LIFE MAGAZINE.

RETURNING TO INDIA IN 1961, PAREKH JOINED THE DELHI-BASED HINDUSTAN TIMES AS ITS CHIEF PHOTOGRAPHER. HE IMMEDIATELY MADE HIS MARK, COVERING THE SINO-INDIAN WAR OF 1962 AND INDO-PAKISTAN WAR OF 1965. HIS COVERAGE FROM INDIA FOUND ACCEPTANCE IN A WIDE RANGE OF INTERNATIONAL PUBLICATIONS, INCLUDING NATIONAL GEOGRAPHIC, PARIS MATCH, THE SUNDAY TIMES, TIME MAGAZINE, STERN, POPULAR PHOTOGRAPHY AND ASAHI GRAPHIC. COVEING THE TASHKENT SUMMIT TALKS THAT RESOLVED THE INDO-PAKISTAN WAR OF 1965, PAREKH WAS AWARDED A GOLD MEDAL AND CASH PRIZE BY SOVIET LAND.

INDIA PROVIDED PAREKH WITH THE OPPORTUNITY FOR SOME TREMENDOUSLY CREATIVE WORK. HIS COVERAGE OF THE FAMINE IN BIHAR STATE WAS EXHIBITED IN THE UNITED STATES TO RAISE FUNDS FOR THE VICTIMS.

IN 1967 PAREKH JOINED THE ASIA MAGAZINE. TRAVELLING THROUGHOUT ASIA AND AUSTRALIA, HE BROUGHT BACK MEMORABLE PHOTOGRAPHIC IMPRESSIONS OF THE PEOPLE AND PLACES HE VISITED. PAREKH IS NOW PHOTO EDITOR OF PACIFIC MAGAZINES LIMITED, PUBLISHERS OF ORIENTATIONS, INSIGHT AND CHIC MAGAZINES.

ASSIGNED BY THE ASIAN NEWS SERVICE TO COVER THE WAR IN EAST PAKISTAN, HE SUCCEEDED IN PENETRATING THE EXODUS FROM THE AREA, AND JUMPED TO THE HEAD OF THE QUEUE OF SOLDIERS, LIBERATORS AND NEWSMEN. IN A MATTER OF DAYS HE WAS ABLE TO RECORD THE AGONIZING BIRTH OF A NEW NATION: BANGLADESH.

 

"...in a street of horror in the old quarter of the city I saw Mukti Bahini Guerrillas hunting snipers..." - Kishor Parekh, Bangladesh War 1971.

“…in a street of horror in the old quarter of the city I saw Mukti Bahini Guerrillas hunting snipers…” – Kishor Parekh, Bangladesh War 1971.

 

"...there were more innocent casualties. I came upon this half-naked boy lying in a pool of his own blood. An elderly man gently washed his head with water, then lifted him up - but where is safety to be found?"- Kishor Parekh, Bangladesh War 1971.

“…there were more innocent casualties. I came upon this half-naked boy lying in a pool of his own blood. An elderly man gently washed his head with water, then lifted him up – but where is safety to be found?”- Kishor Parekh, Bangladesh War 1971.

 

"...refugees became statistics but sorrow is individual, to be suffered separately…widows suffered their private grief as statesmen bargained..." - Kishor Parekh, Bangladesh War 1971.

“…refugees became statistics but sorrow is individual, to be suffered separately…widows suffered their private grief as statesmen bargained…” – Kishor Parekh, Bangladesh War 1971.

 

"...Indian troops grimly round up villagers suspected to be Pakistani spies...The Jawans (soldiers) I was travelling with weren't too gentle: they had suffered casualties..."- Kishor Parekh, Bangladesh War 1971.

“…Indian troops grimly round up villagers suspected to be Pakistani spies…The Jawans (soldiers) I was travelling with weren’t too gentle: they had suffered casualties…”- Kishor Parekh, Bangladesh War 1971.

 

"...the men (Mukti Bahini Guerillas) fought silently in dark rooms” - Kishor Parekh, Bangladesh War 1971.

“…the men (Mukti Bahini Guerillas) fought silently in dark rooms” – Kishor Parekh, Bangladesh War 1971.

 

A corpse and a poster of Sheikh Mujibur Rahman, the person responsible for the uprising of Bangladesh: "...Once 50000 people lived here. Now there were only 200...the rest have fled, leaving the dead on the street..." - Kishor Parekh, Bangladesh War 1971.

A corpse and a poster of Sheikh Mujibur Rahman, the person responsible for the uprising of Bangladesh: “…Once 50000 people lived here. Now there were only 200…the rest have fled, leaving the dead on the street…” – Kishor Parekh, Bangladesh War 1971.

 

"...with the guns silenced, the Generals came together to talk about the terms of peace. The Indian General was cool, confident and gracious. The defeated Pakistani clenched his jaw..." - Kishor Parekh, Bangladesh War 1971.

“…with the guns silenced, the Generals came together to talk about the terms of peace. The Indian General was cool, confident and gracious. The defeated Pakistani clenched his jaw…” – Kishor Parekh, Bangladesh War 1971.

 

বাংলাদেশঃ এ ব্রুটাল বার্থ এর ছবিগুলো একত্রে দেখতে চাইলে ক্লিক করুন।

অথবা এইখানে ক্লিক করুন।

কিশোর পারেখ এর পোর্টেট (ছবিঃ জ্যোতি ভাট)

কিশোর পারেখ এর পোর্টেট (ছবিঃ জ্যোতি ভাট)

কিশোর পারেখ একদা নিজের ফটোগ্রাফি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিলেন,

“For me the camera has been a vital means of communication and expression. Truthfully taken photographs have always been social instruments, helping men to understand their world.”

তার এই কথাগুলি আজকের ফটো সাংবাদিকদের স্মরণ রাখা অতীব জরুরি।

নোটঃ লেখাটিতে বেশ কিছু ইংরেজি রয়েছে। হয় সেগুলো বইয়ের পরিচিতি বা ভূমিকা বা ছবি র নিচে ব্যবহৃত নোট বা কিশোর পারেখ এর উদৃতি।

 

সূত্রঃ
০১ উইকিপিডিয়া (বাঙলা ও ইংরেজি)
০২ ডেইলি স্টার
০৩ আশফাক আনূপ
০৪ ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো
০৫ দৈনিক ইত্তেফাক – ইশরাত বিনতে আফতাব
০৬ বাংলাদেশ প্রতিদিন
০৭ ইন্ডিয়া টুডে
০৮ হিন্দুস্থান টাইমস
০৯ জ্যোতি ভাট
১০ দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

 

১৯ টি মন্তব্য : “কিশোর পারেখ”

  1. কৌশিক(২০০৪-২০১০)

    কিশোর পারেখ, রঘু রাইয়ের মতো অনেক মানুষের কাছেই আমরা ঋণী। আজকেই যেমন প্রথম আলো মারফত কেন হ্যালি নামের এক অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিকের কথা জানতে পারলাম। তাদের এই অবদান নিয়ে একটি বই হলে কেমন হয়, রাজীব ভাই?

    আবার ধন্যবাদ এই লেখাটির জন্যে। 🙂

    জবাব দিন
  2. লেখাটি পড়ে ভীষণ ভাল লেগেছে। কিশোর পারেখ এর ন্যায় অগণিত ভারতীয় বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের আত্বপ্রকাশে প্রাণপণ লড়াই করেছেন। তবে বিভিন্ন সময় তখনকার ভারতীয় লিডারশীপের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা কী শুধু মাত্র মানবতার ডাকে, নাকি পেছনে অন্য োন সিক্রেট কজ লুকায়িত আছে। এটা আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি তাদের একটা বড় কুয়েষ্ট। আশা করি আপনার এরকম তথ্য বহুল লেখনীর মাধ্যমে আমাদের জিঘাংসা দূর করবেন।এছাড়া পাকিস্তান বাহিনীর আত্বসর্পণের পর ভারতীয়দের ক্যাপচর্ড আর্মসএবং এ্যামুনিশান নিয়ে যাওয়ার মত কন্ট্োভার্সাল বিষয়গুো নিয়ে লিখবেন।

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      ওয়াসিম ভাই আপনার কমেন্ট এর জন্য ধন্যবাদ।
      সত্যি বলতে কি আমরা অনেকটাই উদাসিন জাতি।
      স্বাধীনতা যে কতোটা আরাধ্য এইটা আমরা অনেকেই ঠিক বুঝে উঠতে পারি না।
      তাছাড়া ১৯৭১ সালে ৭ কোটি জনতাই কি স্বাধীনতা চেয়েছিলো???
      এইতো সেদিন ও বেগম খালেদা জিয়া বললেন শেখ মুজিব নাকি বাঙলাদেশের স্বাধীনতা চান নি।
      লন্ডনে বসে তারেক রহমান কিন্তু এই ধরণের কথা বলে চলছেন বেশ কয়েক বছর ধরে।
      বাঙলাদেশের জনগণের ৩০% এর উপরে লোকজন বিএনপি কে সমর্থন করে। এর বাইরের জামাত ও অন্যান্য ছোট দল তো রয়েছেই।

      যেখানে স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ কে নিয়েই আমরা বিতর্ক করি, আর সেটা করেন আমাদের দেশের প্রধানরাই সেখানে ভারত কি চেয়েছিলো, কেনো কি করেছিলো সেসব নিয়ে তর্ক বিতর্ক খুবই স্বাভাবিক।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।