এ টি এম শামসুজ্জামান ও কয়েকটি প্রশ্ন

এটিএম শামসুজ্জামান এর জন্ম ১০ই সেপ্টেম্বর ১৯৪০ সালে। অভিনয়জীবন ৫৩ বছর। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার হিসাবে পরিচিত আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বা এ টি এম শামসুজ্জামান বা শুধুই এ টি এম। গ্রাম্য বদ মাতব্বর বা দুষ্ট কুচুটে চরিত্র হিসাবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি অনেকটা মাইলফলক করে ফেলেছেন। উপরোক্ত চরিত্র মাথায় আসলেই প্রথমেই মনে আসে এ টি এমের কথা।

যদিও তিনি চলচ্চিত্রে ১ম কাজ করেন পরিচালক উদয়ন চৌধূরির বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ১৯৬১ সালে। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন জলছবি চলচ্চিত্রের জন্য।ছবির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা, এ ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক। এ পর্যন্ত তো শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পদায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘এতটুকু আশা’ ছবিতে সর্বপ্রথম ‘পান বিক্রেতা’ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এ সময়ের প্রখ্যাত অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান। ছবির নায়কনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শক্তিমান অভিনেতা প্রয়াত আজিম ও সুজাতা। ১৯৭৪ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের নয়নমণি চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন তিনি। ১৯৬৩ সালে টিভি নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তাঁর অভিষেক। টেলিভিশনে তাঁর প্রথম নাটক বিশিষ্ট টিভি ব্যক্তিত্ব ও নাট্যকার আশকার ইবনে শাইখ পরিচালিত নাটক ‘লাঠিয়াল বাহিনী’।২০০৬ সালে প্রথম পরিচালনা করেন শাবনূর-রিয়াজ জুটির এবাদত নামের ছবিটি। এ পর্যন্ত এটিএম শামসুজ্জামান চারবার জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হন।

একুশে পদক

একুশে পদক  বাংলাদেশের একটি জাতীয় এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক প্রদান করা হচ্ছে। ভাষা আন্দোলন এর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সালে এই পদকের প্রচলন করা হয়। ২০১২ সাল পর্যন্ত ৪০৩ জন গুণী ব্যক্তি ও ৩ টি প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে।

২০১৫ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে দেশের পনেরো জন ব্যক্তিকে “একুশে পদক ২০১৫” প্রদান কারা হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি ওসমানী মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে পদক প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী ।

একুশে পদক ২০১৫

৭ম নম্বরে উল্লিখিত এ টি এম শামসুজ্জামান এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কর্মকান্ডকে উল্লেখ করে গত কয়েকদিন ধরে পত্রপত্রিকা ও অনলাইনে মুটামুটি ঝড় উঠেছে। আমি ইদানিং ফেসবুকে সময় যতটা কম কাটাতে পারি সেই চেষ্টায় রত। তারপরো আজ সকালে নিউজটি চোখে পড়লোই। তাও আবার শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান ডাঃ পিনাকি ভট্টাচার্যর একটা ফেবু পোষ্ট শেয়ার দেয়ার কারণে। অতীতে এক ছোট্ট ঘটনা কে কেন্দ্র করে ডাঃ সাহেব আমাকে আওয়ামীপন্থী হিসাবে চিহ্নিত করে ব্লক করেন। তাই তিনি কি করছেন তা জানি না, জানার ইচ্ছাও হয়নি। ব্লকটি মনে হয় তিনি সরিয়েছেন তাই তার পোষ্ট দেখতে পেলাম। ডাঃ পিনাকি ও এ টি এম

ডাঃ পিনাকি ও এ টি এম ২

 

 

 

 

 

 

 

একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায় পুস্তকটি আমার বেশ ছোটবেলায় পড়ার সৌভাগ্য হয়। কিতাবটি আমার কাছে খুব ই গুরুত্বপূর্ণ। এর সফট কপিটিও আমার কাছে আছে। বিষয়টি নিয়ে আজ সকালেই কয়েকজনের সাথে আলোচনা হল। যাক সে কথা। পিনাকি বাবু পেট্রোল বোমা নিয়ে যতটা না উচ্চকন্ঠ তার চাইতে বেশি সোচ্চার ক্রস ফায়ার নিয়ে। যদিও তিনি নিজেকে মুক্তমনা বলেন কিন্তু একই সাথে রকমারি ডট কমে তার বই বিক্রি করেন। 

এর মধ্যে অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে ’৭১-এর দালাল উল্লেখ করে তাকে একুশে পদক প্রদানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। তাকে একুশে পদক প্রদান করায় ১৯৭১ সালের সকল শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি চরম অপমান করা হচ্ছে বলে মনে করে দলটি। ১৫ই ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতারা এ নিন্দা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সমর্থক হওয়ায় একজন চিহ্নিত মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পাকিস্তানপ্রেমিককে এ পদক দেয়া হচ্ছে। প্রখ্যাত সাহিত্যিক ড. আহমদ শরীফ, ৭ নম্বর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল নূরুজ্জামান বীরউত্তম ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অস্থায়ী সভাপতি শাহরিয়ার কবির সম্পাদিত ‘৭১-এর ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়’ বই-এর ৭ নম্বর অধ্যায়ে লেখা হয়েছে সে সময়ে টেলিভিশন ও রেডিওতে অনুষ্ঠান করে কারা কারা পাকিস্তান সরকারকে সহযোগিতা করেছিলেন। এটিএম শামসুজ্জামান ও নাজমুল হুদা রেডিওতে মামা-ভাগনা নামক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের পক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কবিতা পাঠ করতেন। ওই বইয়ে তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।

বিবৃতিদাতারা হলেন-মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম বীরপ্রতীক, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, আলহাজ আবুল হোসেন, আবেদুর রহমান, মিজানুর রহমান খান বীরপ্রতীক, কর্নেল (অব.) মনীষ দেওয়ান, মেজর (অব.) আসাদুজ্জামান, শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, নুরুল আমীন, কুতুবউদ্দিন, নুরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন আহমেদ শাহজাহান, এইচ আর সিদ্দিকী সাজু, রেজাউল করিম, মো. আবদুল মন্নান, সাহাবুদ্দিন রেজা, আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়া, মহসিন সরকার, আতিকুর রহমান, নাসির আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম, মুজাফফর আহম্মেদ, মোকশেদ আলী মঙ্গোলিয়া, মো. মোস্তাফা কামাল, ড. শাহআলম, সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, কাজী আমিনুর রহমান, খালেদ আহম্মেদ, মো. আবদুল জলিল, ইঞ্জিনিয়ার হালিম, নুর হোসেন মোল্লা, হাজী অলিউল্লাহ বাবলু, আবদুল জব্বার, এডভোকেট ফজলুল রহমান, সৈয়দ হারুনুর রশিদ, আবদুল হাকিম, গোলাম হোসেন, আবদুল আহাদ ও আফজাল কমান্ডার।

উপরে উল্লিখিত ব্যক্তিদের মাঝে মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম ২০০১-২০০৬ সালে জামাত-বিএনপি সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রী থাকাকালে বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকারএবং যুদ্ধাপরাধী হিসাবে সাজাপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ নেন। মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম বীরপ্রতীক মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পেইজ বাশের কেল্লা লাইক করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দের দৈনিক পত্রিকা নয়া দিগন্তে নিয়মিত কলাম লেখেন। তাছাড়া তার নিজের দল কল্যাণপার্টি রয়েছে। তিনি কেনো জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ ভিড়বেন তা স্পষ্ট নয়।   এবং বিবৃতি তে উল্লেখ করে হয়েছে যে একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায় বই টিতে এ টি এম শামসুজ্জামানের ১৯৭১ সংক্রান্ত কীর্তিকলাপ বিস্তারিত লেখা আছে। যা আদৌ সত্যি নয়। এমনকি তিনি ই যে মামা-ভাগনা (মামা ভাইগনা)  অনুষ্ঠান করেছেন তাও উল্লেখ নেই। বলা আছে তিনি কন্ঠ দিয়েছেন ও রচনা করেছেন সে সময় রেডিও/টিভিতে।

যেহেতু গুরুজনেরা প্রশ্ন তুলেছেন তাই তাদের কথা মেনে নিলাম। নিম্নে একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায় থেকে সরাসরি তুলে দিলাম পৃঃ ১৪৮ থেকে পৃঃ ১৫৫।   

১৪৮

১৪৯

১৫০

১৫১

১৫২

১৫৩

১৫৪

১৫৫

উপরে বই টির অংশবিশেষ পড়তে গিয়ে যারা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মিস করে গেছেন তাদের জন্য আবার তুলে দিলাম। ১৫১ পৃষ্ঠার শেষের লাইন এবং ১৫২ পৃষ্ঠার প্রথম ২টি লাইন দেখুন। 

পূর্ব উল্লেখিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি নিম্নলিখিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি ও শিল্পীবৃন্দ সুপারিশ করছেঃ যেন আগামী ছয়মাস পরে তাদের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করতে দেবার বিষয় পুনর্বিবেচনা করা হয়ঃ 

এটিএম শামসুজ্জামান কে একুশে পদক দেয়া উচিত কি উচিত নয় সেই তর্কে যাচ্ছি না কিন্তু একটা কথা না বলে পারছি না। গেরিলা চলচ্চিত্রে এটিএম কে জবাই করার আগে যখন এটিএম রাজাকারদের মুখে থুথু ছিটিয়ে দিচ্ছিলো সেই থুথু কিন্তু সেই রাজাকারদের মুখেই নয় বরং আজকের অনেক সুশীলদের মুখেও লেগেছে। সুতরাং সেই সুশীলরা এহেন সুযোগ হাতছাড়া করবে এইটা ভাবা যায় না।

হঠাৎ করেই ক্যানো জানি আবার শাহ আজিজুর রহমানের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। শাহ আজিজ জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভায় প্রধান মন্ত্রী ছিলেন। এছাড়া যাদু মিয়া, আব্দুল আলিম মন্ত্রী ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের জন্য রাজাকার ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধিদের দলে ঠাই দেয়ার ব্যাপারটা শুধু লজ্জারই নয় বরং প্রচন্ড দুঃখজনক। এই প্রসঙ্গ আসলে বড় বড় পাড় বিএনপি সাপোর্টার রা তব্দা খেয়ে যান, যদি গায়ের জোড়ে পারেন তবে মারপিট শুরু করেন আর নয়তো গালাগালি শুরু করেন। বিগত ৫/৬ বছর ধরে বিএনপির সাপোর্টার রা নতুন তত্ব নিয়ে হাজির হন। এইবার তাদের প্রমাণ একটি ছবি। শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে কল্পিত এক ব্যক্তি কে তারা শাহ আজিজ বলে চালানোর চেষ্টা করে এবং বলে যে শেখ মুজিবুর রহমান স্বয়ং শাহ আজিজ কে পুনর্বাসিত করেছে। অথচ ঐ ব্যক্তি ছিলেন পাকিস্থানের তখনকার প্রেসিডেন্ট ফজল ইলাহী চৌধুরী। সে সংক্রান্ত পোষ্টটির লিঙ্ক। গতবছর তোফায়েল আহমেদ বিএনপির নেতা বকুল কে সেইরকম কথার ধোলাই দিলে বিএনপি ও তথাকথিত সুশীল শ্রেণী এই কল্পগাথা থেকে বের হয়ে আসে।

এছাড়া বিএনপিকে হামেশাই একটা কথা শুনতে হয় যে জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হয়ে কিভাবে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী পাকিস্থানীদের দোসর শর্ষিণার পীর কে স্বাধীনতা পদক দেন!!! বলা বাহুল্য ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমান মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ যিনি শর্ষিণার পীর সাহেব নামে পরিচিত তাকে শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য স্বাধীনতা পদক দেন।

চলবে।

২য় পর্বে কিছু ইন্টারেষ্টিং বিষয় থাকবে আশা করি সেই সাথে উপরে অনেকের সাফাই যুক্ত করে দিবো।  

সূত্রঃ

০১ ফেসবুক
০২ দৈনিক আজাদী
০৩ একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায় – মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেন্দ্র ১ম প্রকাশ ১৯৮৭, ৫ম মুদ্রণ ১৯৯২
০৪ সিলেটের ডাক
০৫ সচলায়তন
০৬ পিনাকি ভট্টাচার্য
০৭ প্রিয়ডটকম
০৮ উইকিপিডিয়া
০৯ প্রথম আলো

১০ টি মন্তব্য : “এ টি এম শামসুজ্জামান ও কয়েকটি প্রশ্ন”

  1. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    এইদেশে অদ্ভুত থিওরিস্টদের কোন অভাব নাই।
    একবার এইরকম এক থিওরিস্টের ভাষ্য দেখেছিলাম, যিনি বলতে চেয়েছেন, একাত্তরে যারা যারা দেশ ত্যাগ করেন নাই - তাঁরা সবাই-ই নাকি রাজাকার!!!
    পড়ে মনে হয়েছিল, গাধা কত প্রকার ও কি কি?
    কারন ওনার যুক্তি ছিল, যারা দেশ ত্যাগ করেন নাই, তাঁরা নাকি পাকিস্তানিদের কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তার পেয়েছিলেন।
    পাকিস্তানিদের এই নিরাপত্তা দেয়ার আশ্বাসের তথ্য তিনি কোত্থেকে পেয়েছেন, তা অবশ্য তিনি উল্লেখ করেন নাই।

    ডেসপারেট মেজারস নামে যে একটা অপশন মানুষকে কখনো কখনো নিতে হয়, এটা যারা জানে না - তাঁরা কতটা হিউম্যান বিং, আমার সে সন্দেহ প্রায়ই হয়।
    দেশ ত্যাগ করা আর যেকোন উপায়ে থেকে যাওয়া, দুটোই সেসময়ে ছিল কাছাকাছি রকমের ঝুকিপূর্ন। কেউ কেউ দেশত্যাগের অপশন নিলেও কেউ কেউ যে তা নাও নিতে পারেন, এটা বুঝতেও আজকাল রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়া লাগবে দেখছি। তাছাড়া সাত কোটি মানুষ অন্য একটা দেশে আশ্রয় নেবে, এটা ভাবতে পারার মধ্যেও কঠিন কল্পনা শক্তির অধিকারি হওয়ার ব্যাপার থাকে।
    যারা থেকে যাচ্ছেন তাঁদেরকে জীবিকার জন্য কিছু না কিছু তো করতেই হয়েছে, নাকি?
    তাই, সেই করাটা কতটা বাধ্য হয়ে জীবন বাঁচাতে করা আর কতটা স্বেচ্ছায় নিজের রং দেখাতে করা - সেটা অবশ্যই বিচার্য হওয়ার দাবী রাখে।
    ডঃ নিলিমা ইব্রাহিম কমিটি সেটা করেছিলেন এবং সবাইকে এক পাল্লায় মাপেন নি, এটাই প্রমান করে এ টি এম সামসুজ্জামানকে নিয়ে যে প্রচারণা তা কতটা হাস্যকর ও উদ্দেশ্যপ্রনদিত।

    রাজীব, সুচিন্তিত এই কম্পাইলেশনটার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  2. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    উনাকে পদক দেয়া নিয়ে সুশীল মেশিন গরমও হয়ে গিয়েছে? মারডালা! চমৎকার কম্পাইলেশান। দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  3. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    "একুশে পদক বাংলাদেশের একটি জাতীয় এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার।"
    আমি কিন্তু জানতাম "স্বাধিনতা দিবস পদক" হলো সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। একটু চেক করে নিতে পারো...


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  4. মুজিব (১৯৮৬-৯২)

    দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম রাজীব। :clap: :clap:
    আমি বুঝি না, আজকের এই তথ্য-সহজ-লভ্যতার যুগেও আমাদের জিন্দাবাদী বন্ধুরা কোন ভরসায় একের পর এক এরকম রদ্দি মার্কা ইতিহাস বাজারে ছড়ায়!
    তবে হ্যা, মোকাব্বিরের ভাষায় এভাবে "সুশীল মেশিনও গরম" হয়ে যাওয়া দেখে তারা উত্সাহিত হতেই পারেন।


    গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : পারভেজ (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।