শুড আই ফিল প্রাউড???

মাঝে মাঝে ভাবি সবকিছুর বলি কেনো মেয়েরাই হবে।
আমি নারী বাদী নই, তথাকথিত পুরুষবাদী ও নই। কিন্তু আসলেই কি তাই?
এম আই মেল শভেনিষ্ট পিগ??? এম আই???

সপ্তাহখানেক আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এস সি এলাকায় এক অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনাল এর বিবিএ পাঠরত এক ছেলে ঢা বি র টি এস সি এরিয়াতে এসে তার প্রাপ্তন প্রেমিকা আই বি এ তে বিবিএ পড়ুয়া মেয়ের সাথে দেখা করে। পুনরায় সম্পর্ক গড়ার কথা বলে। মেয়েটি রাজী না হলে তাকে মারপিঠ করে।

বিস্তারিত ঘটনাঃ

গত ১৫ এপ্রিল টিএসসি চত্বরের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাবসায় প্রশাসন ইন্সটিটিউট এর বিবিএ ২২তম ব্যাচ তথা প্রথম বর্ষের আমাদের এক বান্ধবীকে তামহীদ নামক এক ছেলে শারীরিকভাবে আক্রমণ করে। এ আঘাতের ফলে তার চোখ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং তার নাকের হাড় ভেঙে যায়। এছাড়াও তার মুখের ভেতরে কেটে গিয়ে ইনফেকশান হয়েছে এবং ঠোঁট থেতলে গেছে। নিচে মেয়েটির ঘটনার দিনের ছবি পোস্ট করা হল, আক্রমনের তীব্রতা বোঝানোর জন্য। সবচেয়ে বড় কথা সে যে মানসিক ট্রমার মাঝ দিয়ে যাচ্ছে তা অচিন্তনীয়। সে ২দিন স্কয়ার হাস্পাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বর্তমানে পরিবারের তত্বাবধানে আছে। এ ঘটনাতে তার ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে।

উল্লেখ্য যে, এ সময়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটি এর ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম চলছিল, এবং ঘটনার সময়ে অর্থাৎ সকাল ১১ টার দিকে টিএসসি চত্বর ও প্রায় ফাকা ছিল। বেশীরভাগ ছাত্রছাত্রী সেই সময় ক্লাস এ ছিল ফলে ওই ছেলে কে প্রতিহত করার জন্য কেউ ছিল না বললেই চলে। ফলে তাকে ধরা সেই মুহুর্তে সম্ভব হয় নি।

তামহীদ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনাল এর বিবিএ পঞ্চম ব্যাচের একজন ছাত্র। আসামীর পিতা মেজর (অবঃ) ইলিয়াস হোসেন এবং তার বাসার ঠিকানা জি-৬, এফ ব্লক, জাকির হোসেন রোড, ওয়ার্ড ৪৪, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আমাদের বান্ধবীর পরিবার শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় আসামীর নাম পরিচয় এমনকি বাসার ঠিকানা দেয়া সত্ত্বেও পুলিশ তাকে ধরতে গড়িমসী শুরু করে। পরবর্তীতে পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয় যে আসামি বর্তমানে জামিনে রয়েছে। এবং আসামীর পরিবার থেকে সমঝোতা করে নেবার এবং মামলা তুলে নেবার জন্য পরোক্ষ ভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং এটির সুষ্ঠু বিচারে কর্তৃপক্ষ কে বাধ্য করতে আগামি ২৮ এপ্রিল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর টিএসসি চত্বরে এক মানব বন্ধন এর আয়োজন করা হয়েছে। তাই একজন মানুষ হিসাবে এ হামলার প্রতিবাদে আমাদের কে সাহায্য করার জন্য সবার সহযোগিতা এবং মানব বন্ধনে উপস্থিতি আমাদের একান্ত কাম্য।

কেউ যদি চান তবে লিঙ্কে ক্লিক করে মেয়েটির আহত হবার পরের ছবি দেখে আসতে পারেন। 

আর দায়ী ছেলেটাকে দেখতে চাইলে ক্লিক করতে পারেন। 

খুব সম্ভবত যুগান্তরে এই নিউজ প্রথমে আসে। পরে আর খুঁজে পাই নি।
ইন্টারনেট ভিত্তিক সংবাদ টুয়েন্টি ফোর ডট নেট এ ২০ এ এপ্রিল এসেছে নিচের সংবাদ

Screen Shot 2014-04-28 at 12.57.31

ঢাবি র আহত মেয়েটির সহপাঠিদের ধন্যবাদ যে তারা এই দুঃসময়ে মেয়েটির পাশে এসে দাড়িয়েছেন। আজকেই হয়ে যাবার কথা মানব বন্ধন টি।

গতকাল প্রথম আলো ও দেখলাম এই নিয়ে নিউজ করেছে।

Screen Shot 2014-04-28 at 12.31.06

 

 

এক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে ছেলেটির বাবা ই ছেলেকে ঐ মেয়ের সাথে সম্পর্ক রাখতে নিষেধ করেছিলো। আবার ছেলেটি দোষ দিচ্ছে মেয়েটিকে। কিন্তু বিষয়টি তো কার কি দোস তা খুঁজে বের করা নয়। একটা অপরাধ হয়েছে তার শাস্তি নিশ্চিত করা।
কিন্তু ঐ যে…..।
এটা তো আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ।
তাই পেটাও ঢোল।
খুঁজে বের করো মেয়েটির দোষ।
জায়েজ করো তার উপর আক্রমণ কে।
আর এই কারণে ছেলেটি দম্ভ ভরে বলতে পারে,

‘মেয়েটির সঙ্গে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু হঠাত্ কিছুদিন যাবত্ মেয়েটি আমার সঙ্গে কথা বলছে না। পয়লা বৈশাখে আমার সঙ্গে বের হওয়ার কথা থাকলেও মেয়েটি তাঁর এক বান্ধবীর সঙ্গে বের হয়। পরদিন টিএসসিতে তাঁকে বুঝাতে গেলে কোনোভাবেই সে বোঝেনি।’

মেয়েটিকে মেরেছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,

‘তখন আমার আর কী করার ছিল?’

আসলেই তো তখন কি ই বা করার ছিলো।
একটা গ্রুপ থেকে নিচের কমেন্ট টি দিচ্ছি।
Screen Shot 2014-04-28 at 12.41.01

 

মেয়েটি খারাপ।
আচ্ছা খারাপ মেয়ে মানে কি?
আচ্ছা ছেলেটি আত্মহত্যা করলে আমরা আসলেই কি বলতাম???
আমি শুধু বলি মেয়ে তুমি বড্ডো বেশি বাঁচা বেঁচে গেছে।
ঐ ছেলে তোমার মুখ এসিডে ঝলসে দিতে পারতো।
ঐ ছেলে তোমাকে খুন করতে পারতো।
ঐ ছেলে তার বন্ধু বান্ধব নিয়ে তোমাকে গণধর্ষণ করতে পারতো।

ওগো খারাপ মেয়ে তুমি খুশি হও তোমার পূর্বতন ভালোবাসার লোকটি তোমাকে কেবল কয়েকটি ঘুষিই মেরেছে।
না হয় ভেঙ্গে গেছে তোমার নাক-মুখ। আহত হয়েছে তোমার চোখ।
কিন্তু খারাপ মেয়ে তুমি প্রাণে বেঁচে গেছো।

মৌলি তোমাকে ধন্যবাদ জানাই তুমি তামহিদের সাথে সম্পর্ক ছেদ করেছিলে বলে। যে তার প্রেমিকাকে এভাবে আঘাত করে তার হয়তো ভালোবাসা পাবার যোগ্যতাই নেই।
পুরুষ তুমি মানুষ হও।

অ টঃ আক্রান্ত মেয়েটি, দোষী ছেলেটি, ছেলেটির বাবা তিন জনই ক্যাডেট। ভাবছি শুড আই ফিল প্রাউড অফ মাই ক্যাডেটশীপ অর শেম! 

৭৯ টি মন্তব্য : “শুড আই ফিল প্রাউড???”

  1. সামিউল(২০০৪-১০)

    এই ছেলে আমার হাউজে ছিল। ওরে পাইছি ৩ বছর। জেপি থাকার সময় দেখছি একটু কেমন যেন গোবেচারা টাইপের ছিল। মানে কোন জিনিস বুঝতে ওর টাইম লাগতো বেশি।

    সেটা কোন বিষয় না। ওকে আমি ৪ বছর আগে শেষ দেখছি। তখন ও কেমন ছিল তা জানতাম। তবে এখন সে কেমন তা বলতে পারবো না।

    এখন জানি সে একটা মারাত্মক অপরাধ করেছে; এবং তার উপযুক্ত শাস্তি চাই। ক্যাডেট, কিংবা হাউজ মেট বলে তার সাফাই গাওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। এই কাজের জন্য যা শাস্তি হবার, তা হোক। ক্যাডেট ব্রাদারহুডেরও একটা সীমা আছে।


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  2. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    আরো কথা হচ্ছে ওরা (ছেলে-মেয়ে) ইন্টার পাশ করে বের হয়েছে এই ২০১৩ তে।
    বয়স ১৯-২০।
    কিন্তু অপরাধ তো অপরাধই।
    তা কোনভাবেই প্রশ্রয় দেয়া যায় না।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  3. লুবজানা (২০০৫-২০১১)

    ভাই পাগলকে ইলেক্ট্রিক শক দিলে সে শকের ভয়ে চুপ থাকে, মানুষ হয়না!!
    অসম্ভব খারাপ লাগছে সব দেখে, আজকে মানব বন্ধনেও পিছনে দাঁড়িয়ে কিছু ছেলেপেলে আজেবাজে কথা বলছিল! 🙁 আজকাল মনেহয় প্রচন্ড অনিশ্চিত হয়ে গেছে সব, ক্লাস করা, বাসায় ফিরে আসা, বন্ধুদের সাথে সাধারন কথাবার্তায় অহেতুক একটা দিন কাটানো...

    সব অনিশ্চিত!!! কে জানে কারো আমার উপরেও ক্ষোভ আছে কি না? এই যে "পার পেয়ে যাওয়া" দেখে সেও সাহস করে এগিয়ে আসবে কি না??


    নিজে যেমন, নিজেকে তেমনি ভালবাসি!!!

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
      জকে মানব বন্ধনেও পিছনে দাঁড়িয়ে কিছু ছেলেপেলে আজেবাজে কথা বলছিল!

      🙁

      যদি এদের সাক্ষাৎকার আনতে পারতা, ভিডিও!
      দেশবাসীর দরকার এদের চেহারা দেখার।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  4. শাহরিয়ার (০৬-১২)

    লুবজানা আপুর বলা কথাটাই আমি ভাবছিলাম। এই কাজ করে ও পার পেয়ে গেলে আলটিমেটলি আরো অনেকে আরো সাহস পাবে এমন কাজ করার। সবার আগে আমরা মানুষ, এবং মানুষ হিসেবে এই ঘটনার উপযুক্ত শাস্তি চাই। ক্যাডেট হয়ে সে অবিবেচকের মত কাজ করার লাইসেন্স পায় নাই।


    • জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব - শিখা (মুসলিম সাহিত্য সমাজ) •

    জবাব দিন
  5. মাহমুদুল (২০০০-০৬)

    ক্যাডেট শীপের একটা লিমিটেশন আছে। কখনোই অপরাধ করে পার পাবার জন্য এই ব্রাদারহুডকে ইউজ করা সমর্থনযোগ্য নয়। উপযুক্ত শাস্তি চাই।


    মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      এই ব্রাদারহুড চলতে থাকলে অদূরে দেখবো সা কা রক্ষা করার জন্য ক্যাডেট কমিটি হবে।
      ওয়েটিং টু সি।

      যতদূর মনে হইলো একটা ক্যাডেট চালিত অনলাইন পত্রিকায় মৌলি সংক্রান্ত কোন নিউজ দেখি নাই।
      হাপিস কইরা দিলো কিনা কে জানে!!!


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  6. হক(০৩-০৯)

    ইদানীং ছোট-বয়সের (টিন-এজ) মেয়ের ওপর নির্যাতনের খবর শুনলে খুব ব্যাথা পাই। দেশে আমার ছোটবোনের কথা মনে পরে। নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করি, এই পাশবিক কাজটার শিকার যদি আমার আপন ছোটবোন হতো (!) আমি কি করতাম? তখন হয়তো বাপ-পোলা যে এক্স-ক্যাডেট এইটা মাথায় আসতো না। x-( এই পোলারে ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে নিয়া কেউ যদি হিপে (হিপে না হিপ ও হাটুর মাঝে) ৫/৬ টা ( আরও বেশী) পা-দানি ভাংতো শান্তি পাইতাম। 😡

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      আমি নিজে খুব ঠান্ডা মাথার।
      সন্ত্রাসে বিশ্বাসী নই।
      তবে সামনে থাকলে কি হতো বলা যায় না।
      মনে হচ্ছে ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করতাম।
      বাট নট ১০০% সিউর।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  7. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    কিছু কমেন্ট -
    ০১

    তামহিদকে আমি কলেজে তিন বছর পেয়েছি। ওরা যখন ক্লাস নাইন , তখন আমি জেপি। ওদের ক্লাসকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল আমার। ছেলেটা নিতান্তই গোবেচারা টাইপের একটা ছেলে। কি এমন কাহিনী হল যে তাকে মারামারি করতে হল। খুব ছোট কারণে যে সে এই কাজ করছে, তা আমারও মানতে কষ্ট হবে ।অবশ্যই সে অপরাধ করেছে তার শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু মুদ্রার অপর পিঠটা কি ছিল সেইটাও জানতে মুঞ্চায়। বোকামির শেষ সীমানা কখন একটা মানুষ অতিক্রম করে সেটা মনে হয় আমরা সবাই বুঝি ।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  8. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ০২

    Firstly, I don't know Tahmid. Probably the girl really did something terrible to him but he has no right to beat up the girl like this. It was not just a mere slap for God's sake!!! I don't know brothers why you are defending this or why you are so curious to know what happened between them. What he did was absolutely wrong. Why we are even arguing about this?


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  9. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ০৩

    আমিও স্বীকার করতেছি সে অনেক বড় অপরাধ করে ফেলেছে। আমিও তার শাস্তি চাই। কিন্তু কেন তাকে এই বড় অপরাধ করতে হল সেইটা জানার ইচ্ছে করতেছে। শুধু ব্রেকাআপ এর কথা শুনেই একটা ছেলে একটা মেয়েকে মারে...... কেঁচো খুরতে যেয়ে আবার সাপ না বেরিয়ে পরে ।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  10. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ০৪

    Here comes the Difference between Legal & Ethical...... the girl did ethical fault but what Tahmid did is a Legal Offence & he needs to get punished. That's it!


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  11. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ০৫

    vaiya and apu ra, amio onek mukh kharap korte pari.. amio onek naribaadi kotha bolte pari..ei meye jodi amar chotobon hoito taile ami oi polare ki kortam nijeo jani na...abar ei pola jodi amar vai hoito and amar baper taka nosto kore jei meyer pichone invest koira prem korse and sei meyer karone amar vai chaka khaiya nijer life nosto kortase..tokhon kintu ei meyeke o ami ki kortam jani na..ei jonno shob vai and apu der ke bolsi je ...television e boshe tthaka hijra naribadi der moto kotha bola bad diye baparta ke dui side diyei vaben....apatoto ar kisu bollam na


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  12. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ০৬

    apu with respect apnake bolsi je..ek ta ghotonar shob kisu na jene kotha bola ta ki khub beshi maturity..and mar khaise bole ki sympathy paiya ar ekta cheleke shob ulta plata kotha bolben... amio chai tamhid er shahbag chottore niye jhulaiye mara hok ..kintu at the same time we must take that girl into acount


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  13. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ০৭

    vai ekta maiya jodi apnare chaka diye jaito then apni nicchoy tare aro onek beshi ador koira koiten..ha sona amio ar parsi na...tumi jeye amar valoi hoilo...tai na?


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  14. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ০৯

    vai..ami ki ek barer jonno bolsi je tamhid kono dosh kore nai...ok kisu bola jabe na...ei dhoroner kisu boli nai tai na.. taile apnar bujte eto jhamela kiser...tamhid must be punished and at the same time amader etao vabte hobe je kono meyera jeno emon kisu rte baddho na kore,,jeno cheler poshu shulov achoron ta baire chole ashe


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  15. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ১৪

    vai tar mane apni ki bolte chan je baparta publicly na kore..chipai niye marle kono bapar chilo na..vai jai hok tamhid ja korse .seta vool or punishment hobe..kintu ki karone ekjon gobechara type manush ei dhoroner hingsro kaj korlo tar karon to obossoy jante hobe..


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  16. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ১৬

    ভাই দয়া করে পুরো ঘটনা না জেনে কিছু বলবেন না ......... তামহিদ আমার ক্লাসমেট ছিল ৬ বছর ......। আমি আপনার থেকে ওকে ভাল করে চিনি


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  17. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ১৮

    i just don't understand one thing, some of you are telling we are supporting Tamhid. but how? from the very beginning (পোষ্টদাতা) vai is telling that "what Tamhid did, is a punishable crime ".but punishment is not for ruining someone , rather it is for rectifying someone. do something so that Tamhid's future doesn't get ruined. and as a matter of fact it is now more than necessary to know, what compelled Tamhid to do such a brutal thing. I think the reason can explain the whole issue perfperfectly.


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  18. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ১৯

    vai ami bolbo tamhid asolei doya kore or ijjot rakhche. karon oder moddhe ja kichu hoiche ta bolle ar man ijjot kichu bki thakbe na. ar beshirvag vaiya e jante cacchen vitorer ba ei kahinir pichoner kahini ki, ekhon jodi keu pichoner kahini ullekh kore eikhene abar takei shunte hobe je ke kon chipar moddhe ki korche ta nie eto matha betha keno. asole chipar modhe ki korche oitai main cause ar eto personal ghotona keu e ekhane ullekh korte chacche na.amrao jara or intakemate achi bolte geleo tarao doya korei kahini fas kortechi na. ei meye je dhoa tuishipata na seta ektu mathay rakha dorkar.


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  19. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ২১

    prem korle to erokm incident er kotha mathai rkha uchit. koi bolben teenage prem bondho korar kotha na apnera boltesen prem krrbo ja khushi krbo amader security lagbbe! allah emne emne eishob nisedh koren nai. hadith manten shb thik thakto. nen eibar eitar against e lekhen. jekono ekta chan hoi prem koren immatured noito securityr asha chaira den


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  20. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    এতগুলা পার্ভাটরে একসাথে কৈ পাইলা, রাজিব?
    এইব্যাচটার সাইকোলজিকাল স্ট্যাবিলিটি টেস্ট নেয়ার এদের কে এক্সক্যাডেট এসোসিয়েশন এবং ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে এক্সসেস দেয়া উচিৎ।
    একটা ব্যাচে এতগুলা মেল শোভনিস্ট??? মাই গড!!!
    আমার এখন তো মনে হচ্ছে, একটু খোঁজ নিলে জানা যাবে যে এই মারধর করার ব্যাপারে এদের উৎসাহ উদ্দিপনার, সাহস যোগানোর, ঠেলে দেয়ার একটা ভূমিকা ছিল।
    তা যদি না থাকে, এদের এত উৎসাহের কারন কি?


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      সবাই এক ব্যাচের না।
      কিন্তু এইটা সত্যি এলার্মিং।
      এদের একজন তো পরে আবার এই টাইপ পোষ্ট দিছিলো যে পুরুষ মাছি আর মেয়েরা খাবার।
      এবং যে বলেছে সেই ছেলে আবার আগে জানিয়েছে যে সে প্রেম করে।

      আমার আসলে বলার কিছুই নাই।
      জাষ্ট স্পেল বাউন্ড।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      এভাবে বলিস না।
      তুই প্রেম করিস না কারণ তোর প্রেম করার ইচ্ছা নাই। সময় নাই। তোর ভালোবাসার মানুষকে এখনো খুঁজে পাস নি।
      উপরের যে কোন একটা বা অন্য কিছু।

      কিন্তু যারা প্রেম করে তারা কি সবাই এমন সহিংস???


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
  21. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যে ব্যাপার তা হচ্ছে উপরের নাম্বার দেয়া মন্তব্য গুলি যেখানে করা হচ্ছিলো সেখানে মেয়েরাও ছিলো।
    যেসব ছেলেরা এই ব্রুটালিটির বিপক্ষে এবং তামহিদের বিচার করা প্রয়োজন মনে করছিলো তাদের বলা হচ্ছিলো -
    ০১ হিজরা
    ০২ আক্রান্ত মেয়েটি সুস্থ হয়ে ফিরে আসলে তার সাথে প্রেম করার বাসনা
    ০৩ গ্রুপের অন্য মেয়েদের কাছে নিজেকে হিরো করে তুলবার চেষ্টা।
    ইত্যাদি।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  22. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    ক্যাডেট কলেজ পদ্ধতির শিক্ষা ব্যবস্থায় এইসব অসঙ্গতি না থাকলে, আমি কিন্তু এক দিক দিয়ে অখুশিই হতাম। আর তা এইজন্য যে, তা হতো একটা নিখুঁত শিক্ষা পদ্ধতি। এবং এই নিখুঁত শিক্ষা পদ্ধতি উদ্ভবনের জন্য এর উদ্ভাবককে চোখ বুঁজে কৃতিত্ব দিতে হতো দিতে থাকতেই হতো।
    বুঝতেই পারছো, কার কথা বলছি? হ্যাঁ, আইউব খানের কথাই বলছি।
    এই মোটা বুদ্ধির লোকটার ধারনা ছিল, সমাজ-বিচ্ছিন্নভাবে আইডিয়াল এক পরিবেশে মেধাবিদের নারচার করলে তাঁরা এক একটা মহামানবে পরিনত হবে। এই সব মহামানবদের দিয়ে তিনি আম-জনতার প্রভুত্ব করাতে পারবেন। তার ফলোসফি ছিল, আমজনতাকে কারো না কারো অধীনে রাখতেই হবে। নাহলে ওরা নাকি চলতে ফিরতেই পারবে না। (ফ্রেন্ড নট মাস্টার দ্রষ্টব্য)।
    ভাগ্যিস আমরা তার থিওরী মিথ্যা প্রমান করে তাঁকে নমস্য হতে দেই নাই।
    থিওরির সহজ গলদটা সে সেদিনও বোঝে নাই আর এঁরা আজও বুঝতে পারছে না। আর তা হল -
    সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে আনডিস্টার্বড পরিবেশে রাখা হলে কেউ কেউ হয়তো সেটা নিজেকে শানিত করার সুযোগ হিসাবে দেখে কিন্তু অনেকেই সেটা নিজেকে কুয়ার ব্যাঙ বানানোর কাজেও লাগাতে পারে। দুর্ভাগ্যজনক হলো আমরা এখন এই কুয়ার ব্যাঙদের তান্ডবই হয়তো বেশী দেখছি।
    আমার দেখা আমাদের সময়ের এ জাতীয় কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।
    এইট-নাইন থেকেই কলেজের বিপুল রিসোর্স ব্যবহার করে কাউকে কাউকে যেমন দেখেছি শেক্সপিয়ার, রবীন্দ্রনাথ, ওনিল, মলিয়ার, দস্তয়ভস্কি, হেমিংওয়ে, সার্ত, ব্রিটানিকা, ব্লাকী বেনক্রফট, ইত্যাদি রুটিন করে পড়তে। শেষ করতে। সিলেবাসে না থাকা স্বত্তেও এস্ট্রনমি, এস্ট্রোফিজিক্স, রিলেটিভিটি নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে। আবার সেখানেই তেমনি আরেক গ্রুপকে দেখেছি কি গভীর মনযোগে সিগারেটের বাট সংগ্রহ করে গোটা সিগারেট বানানোতে, রস-আখ-কাঠাল যোগাড়ে, বিভিন্ন নিষিদ্ধ বস্তু-পাঠ্য স্মাগলিং-এ আরও অনেক উল্লেখের অযোগ্য কাজে বিপুল শ্রমও মেধা ব্যয় করতে, এমনকি সেইজন্য পড়াশুনা কম্প্রোমাইজ করে রেজাল্টও খারাপ করতে।
    আমি বিস্মিত নই। ব্যথিত।


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      আমার কাছে যেটা ভয়াবহ সতর্কবাণী মনে হয় সেটা হলো, এই সিস্টেমে পড়াশোনা করানো মধ্যবিত্তের (দরিদ্রের তো প্রশ্নই আসে না) সামর্থের বাইরে নিয়ে‍ আসা বা চলে আসা। এখানে কিন্তু আইয়ুব খানের স্বপ্ন সরাসরি না হলেও ভিন্নভাবে হাসিল হবার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এই ব্যবস্থা ধীরে ধীরে এলিট-পিউরিস্ট সিস্টেমে পরিণত হওয়া শুরু করেছে। সকালের পিটি ড্রেসে ক্লার্কের ছেলে আর সচিবের ছেলে একসাথে দৌঁড়াচ্ছে না কারণ ক্লার্কের ছেলের পড়ার আর সামর্থ নাই (যদি না উনি ব্যবস্থা করেন)

      মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সমাজবিচ্ছিন্ন ভাবে নিবির পরিচর্যার মাধ্যমে প্রভু বানানোর সিস্টেমে গলদ ছিল। কিন্তু মেধাবী নির্বাচন মোটা দাগে ইকুইটেবল ছিল দেখে গলদটি চোখে পড়ে নাই। এখন ৫০ জনের একটি ব্যাচে সেনাবাহিনী, আমলাতন্ত্র, পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কিংবা দেশের বা জেলা আইনজীবি সমিতির বাঘা উকিলের সন্তানদের ছড়াছড়ি। আমার প্রাক্তন কর্মস্থল নরসিংদী ডিস্ট্রিক বারেই তিনজন উকিলের (এর মাঝে একজন পিপি) সন্তান ক্যাডেট কলেজে পড়ছে দেখেছিলাম। ব্যাপারটা ততক্ষণ পর্যন্ত কাজ চালানোর মত যতক্ষণ পর্যন্ত সমাজের সকল পর্যায়ের মানুষের ছেলে-মেয়ে পড়তে পারছে।

      আমাদের সময়ের শেষের দিকে কলেজে বরেণ্য ব্যক্তিবর্গদের আনিয়ে বক্তৃতা দেয়ানোর চল শুরু হয়েছিল। এখনো আছে কিনা জানি না। জাফর ইকবাল স্যার এসেছিলেন। উনি সার্বিক সিস্টেম দেখে সরাসরি মন্তব্য করেছিলেন, এই ব্যবস্থায় ১২ বছরের একটি বালককে যেরকম রুক্ষতার মুখোমুখি করা হচ্ছে এটি এক হিসেবে বর্বরতা ও মানসিক বিকাশের জন্য হুমকি সরূপ। এই কথাটি যেন নির্মম সত্য হিসাবে ধরা না দেয় এই কামনা করি।


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
      • পারভেজ (৭৮-৮৪)

        "এই ব্যবস্থায় ১২ বছরের একটি বালককে যেরকম রুক্ষতার মুখোমুখি করা হচ্ছে এটি এক হিসেবে বর্বরতা ও মানসিক বিকাশের জন্য হুমকি সরূপ।"
        ক্যাডেট কলেজে 'বার্ণ আউটের' যে ঘটনাগুলো ঘটে, তার জন্য মূলতঃ এইটাই যে কারন অনেকেই সে বষয়ে আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করেন।
        এইটা নিয়ে স্টাডি হওয়া উচিৎ। কারন আমি পুরোপুরি কনভিন্সড যে একটি শিশু বা প্রি-এডলসেন্টকে এতটা স্ট্রেস দেয়াটা অস্বাস্থ্যকর।


        Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

        জবাব দিন
      • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

        উনি সার্বিক সিস্টেম দেখে সরাসরি মন্তব্য করেছিলেন,

        এই ব্যবস্থায় ১২ বছরের একটি বালককে যেরকম রুক্ষতার মুখোমুখি করা হচ্ছে এটি এক হিসেবে বর্বরতা ও মানসিক বিকাশের জন্য হুমকি সরূপ।

        কথা সত্য।
        বাট উই লাভ অর প্রাউড টু ইগনোর ইট।

        তার মধ্যে জাফর ইকবাল আর নন ক্যাডেট।
        তিনি যতো বড় এলেমদার হন না ক্যান একজন নন ক্যাডেট যদি ক্যাডেট কলেজের কোন কিছুর সমালোচনা করে তাহলে
        ০১ হিংসার বশবর্তী হয়ে
        ০২ ক্যাডেট কলেজে চান্স পায় নাই বলে
        ০৩ ফিজিকাল কারণে ক্যাডেট কলেজে চান্স পায় নায়।
        ইত্যাদি শোনা অস্বাভাবিক নয়।

        ক্যাডেট রা মনে হয় বাঙালির মধ্যে অলরেডি মার্শাল রেস হয়ে গেছে।


        এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

        জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      আমি নিজে এই কুল কিনারা পাই না চারটার পর আরো ক্যাডেট কলেজ ক্যান করা হইলো।
      ভাগ্যিস আমি নিজে পুরান কলেজের না। তাইলে উপরের কথা বলার কারণে রেসিষ্ট হয়ে যেতাম।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
      • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

        শোনা কথাঃ কোন মিটিং এ কথা প্রসঙ্গে কোন এক সেনাপ্রধান বলেছিলেন ৬৪ জেলায় ক্যাডেট কলেজ গড়ে তোলা হবে। :gulli: :gulli: :gulli: :gulli: :gulli: :gulli: :gulli: :gulli: :gulli: :gulli: :gulli:


        \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
        অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

        জবাব দিন
        • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

          আই এম ফের ঐ মৈইনুদ্দিন।

          তবে আওয়ামীলীগ তো ক্যাডেট কলেজ বিদ্বেষী।
          একবার এক বড় ভাই হিসাব দিছিলেন,
          আইয়ুব খান ৪ টা
          জিয়া ৬ টা
          খালেদা ২ টা।

          মুজিব-হাসিনা একাটাও না।
          উল্টা ৭২-৭৫ ক্যাডেট কলেজ বন্ধ করার কথা হইছিলো।

          তাই এইবার হাসিনাও ক্যাডেট কলেজ করবেন বলে শুনছি। B-)


          এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

          জবাব দিন
          • পারভেজ (৭৮-৮৪)

            আমি নতুন ক্যাডেট কলেজে করার পক্ষে কোন যুক্তি দেখি না। বরং বর্তমান গুলো মাল্টিস্টোরেড করে ক্যাপাসিটি বাড়ানোর পক্ষপাতি।
            পাশাপাশি যে কোন ক্লাশে এন্ট্রি এক্সিট (স্বেচ্ছায়) এর পক্ষে।
            এর জন্য যা যা করনীয় তা করা উচিৎ বলেও মনে করি।
            আর হ্যাঁ, এন্ট্রি সিক্স থেকেই শুরু করা যায়। পিসিসির রেজাল্ট এর একটা বেসিস হিসাবে নেয়া যায়। নুন্যতম, জেসিসির পরে প্রথম এন্ট্রি-এক্সিট, এসএসসির পর আরেকটা এন্ট্রি-এক্সিট হতে পারে। এতে ক্যাপাসিটির ব্যবহার আরও ভাল হবে।
            ভ্যালু এডিশনে গুরুত্ব বেশী দেয়া উচিৎ, ট্রাডিশনে নয়।


            Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

            জবাব দিন
            • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

              আমি ক্যাডেট কলেজকে মনে করি সামরিক অফিসার বেছে নেবার খনি বা অফিসার গড়ে তোলার কারখানা।
              সেই হিসাবে চারটার বেশি ক্যাডেট কলেজের কোন মানেই দেখি না।

              এমন না যে আমি মেয়েদের ও অন্যান্য ছেলেদের ক্যাডেট কলেজের একেবারেই বিরুদ্ধে।
              কিন্তু সেগুলা হতে পারতো বেসরকারি ভাবে। যার বাবার টাকা আছে সে পড়তো।

              রাষ্ট্র কেনো এতোগুলো ক্যাডেট কলেজ পোষার অর্থ যোগাবে???

              যদি সামরিক বাহিনীর মতো অন্যান্য বেশ কিছু সেক্টর এর সিলেকসন করা হতো যেমন ধরেন পুলিশ, বিডিআর, ভিডিপি ইত্যাদি তাহলে না হয় কথা ছিলো।
              এবং সত্যি বলতে কি আমি মনে করি সেরকম করা উচিত।


              এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

              জবাব দিন
              • পারভেজ (৭৮-৮৪)

                এই আইডিয়াটা পছন্দ হয়েছে। দেয়ার মে বি এনি নাম্বার অব ক্যাডেট কলেজ এট কস্ট।
                প্রোজেক্ট নিয়ে সরকার ইনফ্রাস্ট্রাকচারটা শুধু করে দেবে। খরচ নিজেদেরই চালাতে হবে।
                ইনফ্যাক্ট অন্য যেকোন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রেই যেমনঃ মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিশ্ববিদ্যালয়, মেরিন, ইত্যাদির ক্ষেত্রী আমি ব্যক্তিগত ভাবে এটা সমর্থন করি।


                Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

                জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      আজ স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি পড়াশুনাটা বাদে বাকি সবগুলাই করেছি কলেজে থাকতে।

      এবং এটাও বুঝি খুব বেশি ভুল করে ফেলেছি। কিন্তু ভুল টা আর শোধরাবার আর কোন উপায় নেই।
      এবং এটাও বুঝি আমি ক্যাডেট কলেজের জন্য ফিট ছিলাম না। জাষ্ট ওয়েষ্ট অফ কান্ট্রিস মানি।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
      • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

        চিন্তা করতেসি অনেক ভাই আপা আছেন এই ধরনের মন্তব্য দন্ডনীয় অপরাধ মনে করবেন! সোজা উর্দুতে হারামখোরের মত কথা বলতেসি আমরা! :bash:


        \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
        অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

        জবাব দিন
        • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

          ক্যাডেট কলেজ সিস্টেম সেরা কি না, সেখান থেকে বেরুনো ছাত্রেরা দেশের শ্রেষ্ঠতম সম্পদ কি না এ তর্কে যাবোনা --- শুধু মনে হয় আমাদের আত্মবিশাসের কোথাও আত্মভরিতা, অন্যকে (এ সিস্টেমে পড়েনি এমন কাউকে) ছোট করার প্রবণতা আছে ব্যাপকভাবে।

          এ ছাড়া যে কোন সিস্টেমের মতোই ক্যাডেট কলেজ ব্যবস্থারও সীমাবদ্ধতা আছে, থাকবে। যে কোন এক্সক্যাডেটের পেশাগত বা ব্যক্তিগত সাফল্য আমাদের আবেগাপ্লুত করে ফেলার পাশাপাশি সেই সফলতার পেছনে কেবল ক্যাডেট কলেজেরই অবদান ছিলো এমন সরলীকরণে আক্রান্ত করেছে বারবার দেখেছি। ধরা যাক একজন এক্সক্যাডেট নোবেল পেলেন -- তাতে যদি আমরা সেই নোবেল প্রাপ্তির মূল নিয়ামক হিসেবে ক্যাডেট কলেজকে দেখি সেটা কি একটা বিরাট আহাম্মকি হবে না?

          তেমনি, একজন এক্সক্যাডেটের ব্যক্তিগত লজ্জা কিংবা মানুষ হিসেবে আচরণ করার ব্যর্থতার দায় কেন ক্যাডেট কলেজ সিস্টেমকে নিতে হবে। মূল দায় তো সে পরিবারের মুরুব্বিদের, যেখানে তারা দেশের আর দশটা প্রতিপত্তিধারী পরিবারের মতোই নির্লজ্জভাবে এই সোনার টুকরোকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। এসব সোনার টুকরোকে কোন সিস্টেমই শেখাতে পারবেনা। যেসব মাস্টারেরা আমাদের শেখাতেন, আমরা যদি তাঁদের মান্য করি, শ্রদ্ধা করি তবেই শেখানোর উৎসাহ তাঁরা পাবেন। এসব পাতি, হাতি ফ্যামিলির ছেলেপেলেরা কবে কোথায় মাস্টারদের মানুষ ভেবেছে। সিস্টেম নিজে দোষী না হয়েও কলুষিত হচ্ছে এদের কারণে। শুধু সিসি সিস্টেম নয়, পুরো দেশেরি এই অবস্থা।

          ক্যাডেট কলেজ সিস্টেম এলিটিস্ট তো বটেই, তবু তার ভেতর থেকেও কিন্তু প্রতিবাদী, একদম অন্যরকম প্রডাক্টও বেরিয়ে আসে তার প্রমাণ এই ব্লগেই অনেক। একটা আধাসামরিক সিস্টেমের ভেতর দিয়ে পরিচালিত হয়ে আমাদের অনেকেই ভালো বুঝি গলদটা আসলে কোথায়।

          এক কথায় --- আমাদের সব কৃতিত্বের জন্যে সিসিকে বাহবা দেয়াটা যেমন বাড়াবাড়ি, আমাদের সব ব্যর্থতার জন্যেও সে দায়ী নয়, হতেই পারেনা। কয়েকটি প্যাথলজিকাল চিজের জন্যে আমরা লজ্জিত হব বড়জোর। এবং সোনার টুকরোকে ভ্রাতৃত্বের কারণে যারা সাপোর্ট করছেন তারা করুন --- কিন্তু সেটা ভ্রান্ত জেনে নিয়ে করুন, সেটা ভণ্ডামি জেনে নিয়ে করুন।

          জবাব দিন
          • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
            শুধু মনে হয় আমাদের আত্মবিশাসের কোথাও আত্মম্ভরিতা, অন্যকে (এ সিস্টেমে পড়েনি এমন কাউকে) ছোট করার প্রবণতা আছে ব্যাপকভাবে।

            :clap: :clap: :clap:


            এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

            জবাব দিন
          • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
            যে কোন এক্সক্যাডেটের পেশাগত বা ব্যক্তিগত সাফল্য আমাদের আবেগাপ্লুত করে ফেলার পাশাপাশি সেই সফলতার পেছনে কেবল ক্যাডেট কলেজেরই অবদান ছিলো এমন সরলীকরণে আক্রান্ত করেছে বারবার দেখেছি।

            :clap: :clap: :clap:


            এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

            জবাব দিন
          • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
            তেমনি, একজন এক্সক্যাডেটের ব্যক্তিগত লজ্জা কিংবা মানুষ হিসেবে আচরণ করার ব্যর্থতার দায় কেন ক্যাডেট কলেজ সিস্টেমকে নিতে হবে। মূল দায় তো সে পরিবারের মুরুব্বিদের, যেখানে তারা দেশের আর দশটা প্রতিপত্তিধারী পরিবারের মতোই নির্লজ্জভাবে এই সোনার টুকরোকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।

            :clap: :clap: :clap:


            এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

            জবাব দিন
          • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
            এক কথায় --- আমাদের সব কৃতিত্বের জন্যে সিসিকে বাহবা দেয়াটা যেমন বাড়াবাড়ি, আমাদের সব ব্যর্থতার জন্যেও সে দায়ী নয়, হতেই পারেনা। কয়েকটি প্যাথলজিকাল চিজের জন্যে আমরা লজ্জিত হব বড়জোর। এবং সোনার টুকরোকে ভ্রাতৃত্বের কারণে যারা সাপোর্ট করছেন তারা করুন --- কিন্তু সেটা ভ্রান্ত জেনে নিয়ে করুন, সেটা ভণ্ডামি জেনে নিয়ে করুন।

            :clap: :clap: :clap:


            এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

            জবাব দিন
          • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

            নূপুরদা আমার মতে ক্যাডেট কলেজ ব্যবস্থা আজ যেই ধরনের এলিটিস্ট ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে অর্থাৎ সমাজের একটি নির্দিষ্ট স্তরের সন্তানদের গন্তব্যস্থলে পরিণত হয়েছে সেটা সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয়। সিস্টেমের গলদের কথা আসছে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে। একজন আতিউর রহমানের পিতার আজকে সামর্থ নাই ক্যাডেট কলেজে তার ছেলেকে পড়ানোর। একাদশ রিইউনিয়নে গিয়ে ওদের সাথে অনেক কথা বলেছিলাম। প্রত্যেকের মাঝে উদ্ভট এক ইনডিভিজুয়ালিস্টিক প্রাইড। সম্মানটুকু বাদ দিলাম, চোখের মাঝে এক্সক্যাডেটদের সাথে পরিচিত হবার আগ্রহ ও উদ্দীপনাটুকু নেই। যেন করমর্দন করে দায়িত্ব সাড়ছে। এটা যদি মির্জাপুরের নিজস্ব সমস্যা হয় সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু এটা যদি সামগ্রিক চিত্র হয় তাহলে আশংকার ব্যাপার।


            \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
            অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

            জবাব দিন
            • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

              মোকাব্বির,
              তোমার পয়েন্টটা বুঝেছি। আমি একমতও। সিস্টেমে যেটুক গলদ আছে সেটা ধরে নিয়েই আমার কথাগুলো বলে গণ-সরলীকরণের জায়গাগুলো ক্লিয়ার করলাম কেবল।

              একজন আতিউর রহমানের পিতার আজকে সামর্থ নাই ক্যাডেট কলেজে তার ছেলেকে পড়ানোর।

              এটা কেন বলছো? একটু আলোচনা করবে? অনেক পিছিয়ে আছি।

              জবাব দিন
              • মোকাব্বির (৯৮-০৪)
                একজন আতিউর রহমানের পিতার আজকে সামর্থ নাই ক্যাডেট কলেজে তার ছেলেকে পড়ানোর।

                বলেছি কারণ যতদূর জানি বর্তমানে ক্যাডেট কলেজে পড়ানোর খরচ এখন এমন একটি পর্যায়ে গিয়েছে যেটা বহন করা সমাজের বিশেষ অংশের পক্ষে সম্ভব নয়। বিনাবেতন বা স্বল্পবেতনে পড়ার চল ক্যাডেট কলেজ থেকে উঠে গিয়েছে বহু আগেই। ফলাফলঃ গ্রামের প্রান্তিক কৃষক, সরকারী ব্যাংকের করণিক, স্কুলের শিক্ষকের যদি অতিরিক্ত অর্থসঙ্গতি না থাকে তাহলে তাদের ছেলে মেয়ের পড়ার সুযোগ আর হচ্ছে না। আতিয়ার রহমান ভাইয়ের বাবা গ্রামের কৃষক ছিলেন। ভর্তির টাকাটুকু গ্রামে মাইকিং করে চাঁদা তুলে দেয়া হয়েছিল। পড়েছিলেন বিনা বেতনে। সেই থেকে মন্তব্যটা করেছিলাম। সেই সাথে এটাও বলতে চেয়েছি, এই ব্যাপারটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত হোক বা না হোক, ক্যাডেট কলেজে যারা পড়তে যাচ্ছে তাদের সিংহভাগ মধ্যবিত্ত থেকে উপরের দিকের পরিবার থেকে আসছে। ব্যাপারটি ভাল না খারাপ সেটি বলার মত তথ্যগত সামর্থ আমার নাই।


                \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
                অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

                জবাব দিন
                • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

                  ক্যাডেট কলেজের বেতনের ব্যাপারটা জানতামনা।
                  আমাদের সময়ে এমন হলে আমি পড়তে পারতামনা।

                  মজার ব্যাপার হলোঃ এমন সময়ে এসব আলোচনা করছি, যখন আমার ব্যাচমেট এফসিসির প্রিন্সিপাল, আরেক ব্যাচমেটের ছেলে সবে ক্লাস সেভেনে ভর্তি হয়ে ক্যাডেট জীবন শুরু করেছে।

                  জবাব দিন
                  • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

                    গণিতে বরাবরই দুর্বল। ৯০ এর ব্যাচ এখন প্রিন্সিপাল এর মানে হলো মাঝে ২৪ বছর পার হয়ে গিয়েছে---এটা গুণে দেখবার পরে বুঝলাম! 😕


                    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
                    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

                    জবাব দিন
                  • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

                    এই ব্যাপার গুলো আমলে এনে রিসার্চ হাইপোথিসিস দাড়া করিয়ে পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণা করা দরকার। যদিও অনুমতি না মিললে কিংবা তারচেয়ে বড় কথা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে না করলে এটা শুধু বলার জন্যে বলা।


                    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
                    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

                    জবাব দিন
      • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

        আমার নিজের ক্ষেত্রে ক্যাডেট কলেজের অবদান অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, যে পর্যন্ত আসতে পেরেছি তার পিছনে প্রায় পুরো অবদানই কলেজের। তবে আজকাল ক্যাডেট ব্রাদারহুডের নামে যে এলিটিজম দেখি তখন সিস্টেমের উপরে ডাউট চলে আসে।


        আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
        আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

        জবাব দিন
  23. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    ক্যাডেট কলেজের ইম্প্যাক্ট নিয়ে ছোট্ট দুইটা কেইস স্টাডি বলি।
    ১) আমরা যে ৫৪ জন মেধার ভিত্তিতে (তখন কোটা ছিল না) সিলেক্টেড হয়েছিলাম, তাঁদের একজন আসে নাই, একজন বছর খানেক পর আরেকজন এস এস সি-র পর স্বেচ্ছায় চলে যায়। এই তিন জনের ক্যারিয়ারের বর্তমান অবস্থা আমাদের ব্যাচের সেরা পাচ-দশ জনের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। এইরকম ১০০% সাকসেস কেবলই কাকতাল হতে পারে না।
    ২) ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের একই ক্লাস থেকে ৭৮ সালে আমিসহ তিনজন ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে পরীক্ষা দেই এবং চান্স পাই। ঐ স্কুলে থাকা কালে আমাদের অবস্থান প্রথম ১৫-২০ জনের মধ্যেই ছিল।
    ঐ স্কুলের ঐ সেগমেন্টে (প্রথম ১৫-২০ জনের মধ্যে) থাকা অ-ক্যাডেট বাকি যতজনের খবর জানি, তাঁদের বর্তমান ক্যারিয়ার আর ক্যাডেট হওয়া এই তিনজনের বর্তমান ক্যারিয়ারে সিগ্নিফিক্যান্ট কোন পার্থক্য নাই। ক্যাডেট কলেজের ছয় বছরের "প্রশিক্ষন" এই তিনজনের মধ্যে এমন বিশেষ কিছু ইনসার্ট করতে পারে নাই যা দিয়ে তাঁরা সেইরকমভাবে স্ট্যান্ড আউট করে।

    সিদ্ধান্ত: যারা সিসি থেকে বেরিয়ে ভালো করছে, সিসি ছাড়া তাঁরা গোল্লায় যেতো, এটা ভাবার কোন কারন নাই। আবার একটা গরু ছাগলকে সিসিতে ঢুকিয়ে দিলে সে মহাজ্ঞানী হয়ে যাবে, এইরকমটা মনে করাও ভুল।
    তবে কোন এক ক্যাডেট কলেজে যদি কেউ পড়ে থাকে, তার জন্য একধরনের সহমর্মিতা আসবেই। কিন্তু কতক্ষন? যতক্ষন তার কাজ বিরক্তির সীমা অতিক্রম না করছে। কেউ সেটা করে ফেললে তাকে বাদ দিয়ে ভাবা ছাড়া গতি নাই।


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      কোটা ব্যবস্থা কতটুকু আছে জানি না তবে বাছাই ব্যবস্থাটি কিন্তু অব্যর্থ। ক্লাশ সিক্স পর্যন্ত জাল দেয়া দুধের ননী টুকু তুলে ঘি বানাতে দিলে খুব একটা চিন্তা করা লাগে না। স্কুলের বন্ধুদের সাথে এখনো নিয়মিত আড্ডায় বসা হয়। স্মৃতিচারণের এক পর্যায়ে ওরা প্রায় সময়ই বলে, "শালা তোরা ৭-৮টা ক্যাডেট কলেজে গিয়া আমাদের কপাল খুইলা দিয়া গেসস। জীবনে রোল বিশের ভিতরে ঢুকাইতে পারি নাই, তোরা যাওয়ার পরে ক্লাশের ভাল ছাত্র হয়ে গেলাম।"

      মজার ব্যাপার হলো এরা যারা এই কথা বলে এদের সবাই ভাল অবস্থানে।


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাহমুদুল (২০০০-০৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।