এই মুহুর্তে বাঙলাদেশের অন্যতম প্রতীক হচ্ছে ডিব্বা
হরতাল করা, বাসে-সিএনজিতে আগুন দেয়া এখন নাগরিক অধিকারের পর্যায়ে পড়ে।
অতীতের বিভিন্ন দলের পালন করা হরতাল, নাশকতার উদাহরণ টেনে এনে হালাল করা চেষ্টা চলছে আজকের এই নারকীয় হত্যাকান্ড, জনজীবনে ত্রাস সৃষ্টি করা, যানবাহন ধ্বংশ করার মহোৎসব।
আর গান্ধীবাবা তো হরতাল করেই গেছেন। তার শেখানো আর দেখানো পথে আমরা বঙ্গপুঙ্গবেরা চলিবো না তো যদু-মধু চলিবে!
কোন এক হরতালের প্রস্তুতি ২৬ শে অক্টোবর শনিবার ২০১৩
হরতাল দিবস এক ২৭ শে অক্টোবর রবিবার ২০১৩ – ৬০ ঘন্টা
হরতালের দ্বিতীয় দিনে ২৮ শে অক্টোবর সোমবার ২০১৩
হরতালের তৃতীয় দিনে ২৯ শে অক্টোবর মঙ্গলবার ২০১৩
তিনদিনের হরতালের সময় ও এরপর প্রথম দিন
তেসরা নভেম্বর রবিবার অবরুদ্ধ ঢাকা, বিপাকে জনগণ
২য় দফা হরতালের আগের দিন তেসরা নভেম্বর
আবারো হরতাল চৌঠা নভেম্বর ১০১৩ সোমবার
৫ই নভেম্বর ২য় দিনে
৩য় দিনে ৬ই নভেম্বর
হরতালের আগের দিন ৯ই নভেম্বর ২০১৩
৮৪ ঘন্টা হরতালের প্রথম দিন ১০ই নভেম্বর ২০১৩
হরতালের ২য় দিনে ১১ই নভেম্বর
হরতালের ৩য় দিনে ১২ই নভেম্বর
মূল্য দিচ্ছে জনগণ
ছবিসূত্রঃ
০১ প্রথম আলো
০২ বিডি নিউজ ২৪
০৩ অন্যান্য
বোমা
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আরো বোমা
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আরো আরো
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হরতালে সুখি মানুষেরা
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আগুন আগুন
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কিভাবে তৈরি হচ্ছে এইসব বোমা ২য় পার্ট (সম্পাদিত)
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কিভাবে বানানো হচ্ছে বোমা? ১ম পার্ট
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ওয়ান ওয়ে টিকেট টু হেল
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
একটু চেঞ্জ করে হেল বসাইলেই হবে
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:teacup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
হরতাল বেশ কার্যকরী একটা অস্ত্র। দেশকে মোটামুটি অচল করে না দিলে হিসেবপাতি নিজ সংগঠনের পক্ষে আনা মুশকিল। যুগে যুগে এটাই সিদ্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশে। সেখানে মানুষের প্রাণের কোন মূল্য নেই, ছিলোনা। তারা বলির পাঁঠা।
হরতাল যে শুধুই আর অস্ত্র নেই, মারণাস্ত্র হয়ে উঠেছে -- এটা দেশ বা মানুষ আর নিতে পারছেনা সেটা রাজনীতির মানুষেরা গোণার মধ্যেই ধরেনা।
সবথেকে হাস্যকর ছিলো আওয়ামী লীগের সেই মহান ভণ্ডামিঃ তারা নাকি আর হরতাল দেবেনা কোনদিন। অথচ কালে কালে কত পানি গড়ালো, জ্বলন্ত বাসে লোক পোড়ানো হলো। আজ তাদের বিরুদ্ধেই এরা হরতাল দিচ্ছে -- পোড়াচ্ছে মারছে -- কিছু বলার তো নেই। এসব ছবির কোন অর্থ নেই। দিনশেষে সবকিছু একটা খেলাঃ কয়টা লাশ পড়লে সরকার বেকায়দায় পড়বে মিউমিউ করবে, সেই সমীকরণ। জনতা যেমন ইঁদুর হয়ে আছে এরকম গুণ্ডামার্কা সংস্কৃ তির কাছে তেমনি থাকবে।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগ যখন সরকারের কর্মচারীদের ক্ষেপিয়ে তুলছিলো -- মহিউদ্দীন খান আলমগীরদের পরে পুরষ্কৃত করেছিলো -- প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছিলো দেশ। আমাদের কি এগুলো মনে আছে? যে অস্ত্রে তুমি বধ করছো আজ সেটা যে ভবিষ্যতে তোমার বিরুদ্ধেই তাক করা হবে -- এবং পৌনপুনিক এ খেলা চলতে থাকে চলতেই থাকবে সেটা এদের কারো মাথায় থাকেনা কি করে সেটাই আমার বোধে আসেনা।
দাদা আপনার কথা সত্য।
কিন্তু ২০ বছর আগের কালচার আর তা যদি ক্ষতিকর হয় তবে সেটা অনুকরণ করা কতোটা যৌক্তিক!
বোমা বানানোর উপর দুইটা ভিডিও দিছি কমেন্টে।
দেখ্ছেন?
পাকিস্থানে একবার শরিয়া আদালত একটা রেপ কেসের রায় দিছিলো এইরকম যে ঐ গোত্রের মেয়েকেও এখন গ্যাং রেপ করা হোক বা এ রকম কিছু।
আমার মনে হয় লীগের উচিত হরতালের বিরুদ্ধে স্ট্রং পজিশনে যাওয়া।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কিন্তু ২০ বছর আগের কালচার আর তা যদি ক্ষতিকর হয় তবে সেটা অনুকরণ করা কতোটা যৌক্তিক!
সেটাই জদি হয় তাহলে গত বিএনপি সরকার তত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যা করেছিল আজ আওয়ামীলীগ সেটাই করেছে।
লীগের উচিত হরতালের বিরুদ্ধে স্ট্রং পজিশনে যাওয়া
কিভাবে? সরষের মধ্যে যে ভুত আছে।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
ভূত শুধু সর্ষে না সব জায়গাতেই আছে।
৯৫-৯৬ আর এখনকার প্রেক্ষাপট এক না।
বিএনপি তখন বাই ইলেকশনগুলাতে ব্যাপক কারচুপি না করলে তত্বাবধায়কের দরকার পড়তো না।
তত্বাবধায়ক ৯১-৯৬ এ ভালো কাজ করেছে। মানে সুষ্ঠ নির্বাচন করছে।
২০০১ থেকে তত্বাবধায়কের কাজ কর্ম প্রশ্নবিদ্ধ।
সো সেই সময়ের হাসিনা-খালেদার সাথে এই সময়ের হাসিনা-খালেদার ফারাক আছে।
খালেদার প্লাস পয়েন্ট দেশের জনগণ দুইজনের কাউকেই বিশ্বাস করে না। তাই তারা তত্বাবধায়ক চায়। এইখানে খালেদার চাওয়ার সাথে জ্নগণের একটা যোগসূত্র আছে।
বাট হাসিনা যেই ফর্মুলা দিছে সেটাও ভালো। আমার কাছে খারাপ কিছু মনে হয় নাই।
তত্বার সাথে হাসিনার ফর্মুলার ডিফারেন্স এইটাই যে বিচারপির স্থলে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রি বা রাষ্ট্রপতির অধীনে একদল রাজনীতিবিদ নির্বাচন করবেন।
এইখানে যদি খালেদার কিছু বলার থাকে তবে সেটা হবে আলোচনার মাধ্যমে। হরতাল করে মানুষ মাইরা খালেদা কিছুই এচিভ করতে পারবে না।
আর আমার ধারণা হাসিনা হার্ড লাইনে যাইতেছে না ইউরোপ আর ওয়েষ্টরে দেখানোর জন্য যে দেখো এরা ক্ষমতায় যাবার জন্য কি করতেছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
২০০১ থেকে তত্বাবধায়কের কাজ কর্ম প্রশ্নবিদ্ধ।
কিভাবে?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তত্বাবধায়ক সরকার সবচেয়ে ভাল ব্যবস্থা। বরং দিনে দিনে এটার কার্যকরীতা আরো বেশি অনুভুত হচ্ছে।যেটা বলা যেতে পারে সেটা হল সরকারগুলো এই ব্যবস্থা কে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে যেমন বিএনপি গত টার্মে করতে গিয়েছিল তাদের পছন্দমত তত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বানাতে যেয়ে।
আর শেখ হাসিনার কথা বলছেন? যার কোন কথার ঠিক নাই। আবোল তাবোল বলেই চলছে।মুখের ভাষারও ঠিক নাই।খালদে জিয়া এবং শেখ হাসিনা দুজনেই সমান।কেউ কম না।
আজকে কথা শুনেন।
রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর না করা পর্যন্ত স্বপদে থাকবেন মন্ত্রীরা: প্রধানমন্ত্রী
৫৮। (১) প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন মন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে, যদি- (ক) তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করিবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন: বাংলাদেশ সংবিধান।
খুব স্পষ্ট করে বিধান টা লেখা আছে।এখানে কোন কিছু ব্যাখ্যা করার কিছু নাই।এর চেয়ে স্পষ্ট আর কিছু হয় না। কোথাও লেখা নাই যে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর না করা পর্যন্ত স্বপদে থাকবেন মন্ত্রীরা।উনি এটা কিভাবে বল্লেন?নাকি সংবিধান না পড়েই উনি এসব বলছেন? কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি সংবিধান না পড়ে কিছু মন্তব্য করেন তাহলে সেটা অবশ্যই অপরাধ।আপনি জাতি কে বিভ্রান্ত করছেন এবং ভুল ব্যাখ্যা করছেন এটা চরম একটা অনৈতিক একটা কাজ।এটা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।এবং জাতির সাথে প্রতারণা করা।
এর আগেও আপনাকে একবার বলেছিলাম যে উনি তেঁতুল নিয়ে কটাক্ষ করেছেন খালেদা জিয়াকে যা অশোভন।
জানিনা বাংলাদেশের টিভির খবর দেখেন কিনা বা বাংলাদেশের সংবাদপত্র দেখেন কিনা।ডঃইউনুস কে তো যা তা গালি দিয়েছেন।আচ্ছা না হয় বাদই দিলাম ওনার কথা কিন্তু ব্যারিস্টার রফিক বা আকবর আলি খান কে যেভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছেন সেটা একজন প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে আশা করা যায়না। আমি যদি ধরেও নিই যে ঐ তিনজন বিতর্কিত ব্যক্তি তাহলেও কিন্তু তিনি কটুক্তি,গালাগালি তাঁর কাছ থেকে আশা করা যায়না।একজন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ওনাকে অনেক দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে কিন্তু সেটা তিনি করেন নাই।
আর খালেদা জিয়াও একই।টেলিফোন সংলাপে সেটা প্রমাণ হয়েছে যে কিভাবে শেখ হাসিনা কে চেপে ধরেছিলেন।বলতে গেলে কিছুই বলতে দেয়নি।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
সহমত।
মজার ব্যাপার দেখেন।এবার কিন্তু আওয়ামীলীগ বলছেনা যে বিরোধীদলে গেলে হরতাল করবেনা। এমনকি তারা সংসদে মেজরিটি নিয়ে অনেক আইন করছে কিন্তু হরতাল বন্ধে কিন্তু কোন আইন করছেনা বা হরতাল নিয়ন্ত্রনে কোন আইন করেনি।কারণ তারা জানে ভবিষ্যতে তাদেরও এটা লাগবে।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
:thumbup: :thumbup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
গান্ধিবাবা হরতাল করে চলে গেছেন ভাল কথা।উনি সব সময় অহিংস আন্দলনের কথা বলতেন। তার দেয়া বনধ বা হরতালে কখনো হত্যা,সন্ত্রাস বা আগুন দেয়া,বোমাবাজি হয়নি। শুধু তাই না।এখনও ভারতে এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বনধ হয় কিন্তু কয়জন মারা যায় বা বাংলাদেশের মতন জ্বালাও পোড়াও হয়? হয় না।
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি