ওরা সব পারে।
ওদের থেকে সাবধান।
না নিচের লেখা আমার নয়।
লেখাটা আসিফ সিবগাত ভুইয়া নামে একজন বিশিষ্ট ইসলাম বেত্তার।
উনি দাবী করিয়াছেন গতকাল হেফাযতিরা ইসলাম পুড়ায় নাই।
আর যদি পুড়াইয়াও থাকে তাইলেও দোষ নাই।
অত্যন্ত সুন্দর ও প্রাঞ্জল ভাষায় উনি বর্ণনা করিয়াছেন কুরান পুড়ানোর ব্যাপারে।
আমি ভাবতেছিলাম উনার জ্ঞান ভান্ডার এক্ষণে আইসা উপুর হইলো ক্যানো?
আমেরিকায় এক যাজক কুরান পুড়ানোর হুমকি দেয়ায় পুরা মুসলিম বিশ্ব যখন ক্ষেপে উঠলো তখন ক্যানো উনি বাণী দিলেন না।
যখন নবীরে নিয়া মুভি করা হইলো তখন ক্যানো উনি বাণী দিলেন না, এরকম আরো বেশ কিছু উদাহরণ টানা যাবে।
কুরান পুড়ানো বা চুম্বনে আমার ব্যাক্তিগত পর্যায়ে কিছু যায় আসে না, যারা ভাবেন তাদের জন্যই এইটা শেয়ার করা।
—————————————————————
ভোদাই বাবা লোলার দল, কুরআন কারা পুড়াইছে আসলে এটা তো তোমরা ভালো কইরাই জানো। এই হেফাযতিরা কেমনে কুরআন নিয়ে কাজ আগে তোমাদের শুনাই। এরা প্রথমে কুরআন টারে মুখস্থ করে। মুখস্থ করার পর প্রতি দিন ৫ পেইজ কইরা রিভিশন দেয়। এতে কী হইল তোমার, প্রতি ৪ দিনে একটা করে পারা শেষ হয়। কারণ প্রতিটা পারায় ২০টা পাতা থাকে সুতরাং মোট কুরআনে পাতা থাকে ৬০০টা। এই ৬০০টা পাতা এরা প্রতি ১২০ দিনে রিভাইজ করা শেষ করে। কী দাড়াইল ব্যাপারটা, প্রতি ৪ মাসে একবার কইরা কুরআন রিভিশন। আজকে যে এরা বাইর হইসে, এরা কিন্তু আজকের শেয়ারের ৫ পাতা রিভিশন দিতে ভুলে নাই।
তোমরা তো খুব কুরআন মাননা করো তাই না? তোমাদের একটা তথ্য দেই আমার ব্যাপারে, সরি একটু নিজের ঢোল না পিটায় পারতাসি না। আমার কুরআনের কিরাআতে সনদ আছে, এর মানেটা বুঝাই। আমি রাসূল (সাঃ) এর তরফ থেকে ডিরেক্ট চেইনে তিলাওয়াত শিখসি, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার সাহাবীকে শিখাইসেন, সাহাবী তার ছাত্র শিখাইসেন, সেই ছাত্র তার ছাত্রকে শিখাইসে – এইভাবে চেইনটা আমার পর্যন্ত আসছে। আমার যে চেইনটা সেটাতে ৫ জন সাহাবী আসে – ‘আলী, ‘উসমান, উবায় বিন কা’ব, যায়েদ বিন সাবিত এনারা। বাংলাদেশে এই ব্যাপারে আমি মুটামুটি একটা রেয়ার স্পিশিজ। এছাড়া কুরআন তিলাওয়াতের নিয়মকানুন সম্বলিত প্রায় ৮০ লাইনের একটা আরবি কবিতা আমার মুখস্থ। আমি বাংলাদেশের অন্তত ৯৫% ইমামের চেয়ে বেশী যোগ্যতা রাখি কুরান তিলাওয়াতের ব্যাপারে (আলহামদুলিল্লাহ।) এটা সেইফ নাম্বার দিলাম, আরো বেশি হওয়ার কথা নাম্বারটা। যাই হোক, যদিও আমি তোমাদের মত কুরআন মাননা করতে পারি না, আল্লাহ্ আমারে একটা আরব দেশে গিয়া আরবি শেখারও সুযোগ কইরা দিসেন। সেই সুবাদে আমার কুরআনের অর্থগত জ্ঞানটা (তোমাদের মত না হইলেও) খারাপ না। তো আমিও কিন্তু হেফাযত।
এইবার দুইটা চ্যালেঞ্জ দেই। সহজ, তোমাদের মত কুরআন মাননাকারীদের জন্য কোনও ব্যাপার হওয়ার কথা না। ভোদাই বাবা লোলারা, আইসা আমারে ১, সূরা ফাতিহাটা একটু শুদ্ধ কইরা তিলাওয়াত কইরা শুনায় যাও আর ২, সূরাটার অর্থ আমারে সুন্দর কইরা বুঝায় যাও দেহি তোমাদের কেমুন এলেম।
যদি এটা না পারো আর পারতে গিয়া তোমাদের অন্তর্বাস খুইলা পড়ে, তাইলে কুরআন অবমাননার সবক আমাদের অন্য কোনওদিন দিও, কী কও! হেফাযত যে কুরআন পুড়াইছে এটা তো আমি ছাগু কোনওদিনও বিশ্বাস করুম না। কিন্তু থিওরেটিকালি যদি কইতে হও, ভোদাই বাবা লোলারা, কুরআনের মাননা অন্তরে হয়, যে কপিটা আছে তোমার বাসায় যত্ন কইরা সাজাইয়া রাখছ – ভুলেও হাত দেও না অবমাননার ভয়ে – ঐ বইটা কিন্তু কুরআন না, কথা গুলা কুরআন। ক্ষেত্রবিশেষে বইয়ের পাতা গুলা নষ্ট করা জায়েজ আছে, আর নষ্ট করার পদ্ধতি কী জানো, হ্যাঁ পুড়ায় ফেলা। আমাদের ৩ নাম্বার খলীফা উসমান যেমন অফিশিয়াল কপি বানাইয়া, বাদ বাকি সব আনঅফিশিয়াল কপি (যদিও সেগুলা অনেকগুলাই সঠিক ছিলো) পুড়াইয়া ফেলায়ছিলেন। বুঝছ তো ভোদাই! তোমরা তো আবার আগুনের ব্যাপারে খুব সেন্সিটিভ, আগুন দিয়া মঙ্গলপ্রদীপ জালো, শিখা অনির্বাণ করো, তোমাদের ইবাদাতের একটা মেইন এলিমেন্ট হইলো আগুন, সুতরাং তোমাদের সেন্টিমেন্ট আমি একদম যে বুঝি না তা না!
(আমার মুসলিম ভাই-বোনেরা ক্ষমা করবেন নিজের গুনগান করার জন্য, কিন্তু নিশ্চয় বুঝছেন যে একটা প্রয়োজনে করসি কাজটা, আল্লাহ্র জন্যই করলাম, এই ব্যাপারে অহেতুক সন্দেহ নিয়েন না)
https://www.facebook.com/asifshibgat.bhuiyan
অনেকে হয়তো একে ব্যাক্তি আক্রমণ হিসাবে দেখার প্রয়াস পাবে।
ওকে দ্যান, ইউ আর এ কাঁঠাল পাতা ভক্ষণকারী।
একটা গান শেয়ার দিতে মন চাইলো।
মাটির ময়না থেকে
শেরে খোদা আলী বলে
জয় বাঙলা
এতদিন তো ইসলাম নিয়া যা খুশি লিখা আইছেন । এখন হেফাজত কোরআন পোড়ানোর পর আইছেন ছবক দিতে । টিপিকাল নাস্তিক আওয়ামীলীগের দালাল । আপনার মত ভোঁদাইয়ের জন্য দেশটার এই অবস্থা ।
উনি ইসলাম নিয়ে কি লিখেছেন তা জানি না তবে,
১. উনি এখানে ছবক কোথায় দিলেন?
২. উনার লেখার থিম হেফাজতী-দের কোরআন পোড়ানোর বিরুদ্ধে, আর তোমার কমেন্ট উনার লেখার বিরুদ্ধে। তাহলে কি তোমার কথা অনুযায়ী কোরআন পোড়ানো জায়েজ? নাকি শুধু হেফাজতীদের জন্য জায়েজ? ইসলামের ব্যাপারে আমার যেটুকু জ্ঞান আছে (খুব বেশী নেই) তাতে আমার মনে হয় কোরআন পোড়ানো এবং মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে কটূক্তি করা দুটোই কবীরা গুনাহ এবং তা সবার জন্যই প্রযোজ্য। কিন্তু তোমার কমেন্ট দেখে মনে হচ্ছে পবিত্র কোরআন পোড়ানো কোন বড় ব্যাপার না। দয়া করে ব্যাপারটা একটু কোরআন ও হাদীসের আলোকে ব্যাখ্যা করবে কি?
৩. কোরআন পোড়ানোর বিরোধিতা করার কারণে রাজীব ভাইকে তুমি বলেছ "টিপিকাল নাস্তিক আওয়ামীলীগের দালাল"।
আওয়ামীলীগের দালাল নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু কোরআন পোড়ানোর বিরোধিতা করলে একজন কিভাবে নাস্তিক হয়? এটাও দয়া করে কোরআন ও হাদীসের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
৪. ক্যাডেট কলেজ ব্লগের মত জায়গায় সিনিয়র সম্পর্কে এরকম ভাষা ব্যবহার করার স্পর্ধা তোমাকে কে দিয়েছে? আশা করব কমেন্ট করার ক্ষেত্রে এরপর থেকে নুন্যতম শালীনতা বোধ বজায় রাখবে।
তোমার উষ্মার কারণ বোঝা আমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব। তবে এইটা বুঝছি যে আটি বান্ধার অভ্যাস এখনো ত্যাগ করতে পারো নাই।
এই লেখায় কখনো বলি নাই যে, কুরান পুড়ানোতে আমি ব্যাপক দুঃখ বা আনন্দ পাইছি।
মোষ্ট প্রভাবলি তুমি দেখো নাই এই লাইনটা
তোমার শেষ দুই লাইন আপত্তিকর।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
"কামরুল প্রদত্ত ছাগলের সংজ্ঞা’র সাথে একমত হইতে মঞ্চায়" শীর্ষক মাহমুদ ভাইয়ের পোস্টে দেখলাম
এই কমেন্টাও তোমারই করা।
০ রাঙ্কিং বইলা একটা জিনিস থাকা উচিত । আপনার এই লেখা ১ পাওয়ার ও যোগ্য না ।
একটু ব্যাখ্যা করলে খুশি হইতাম।
ব্যাপারটা তারার না।
পারলে আমার সব লেখায় এক তারা দিয়া আসো।
আর এডু কে বলো শুন্য তারার ব্যাবস্থা করতে কোন সমস্যা নাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:hatsoff: রাজীব
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
😀
:teacup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
উপরে যাঁরা লিখালিখি করছিলেন তারা সবাই আমার থেকে সিনিয়র । তার পরও আমার মনে হয় এডু স্যারের উচিত এই ব্লগে কাউকে ব্যান করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে দেখা । শুধুমাত্র ২/১ জনের জন্য পুরো ব্লগের ডিসিপ্লিন নষ্ট করার কোন মানে হয় না । আমার এই মন্তব্যে যদি কেউঁ দুঃখ পান , তবুও আমি আমার মতে অটল থাকব ।
রাজীব ভাই@ ভদ্রলোকের "ডিল্যুশান অফ গ্রান্ডিওসিটি" আছে।
যেই বিশেষণ ইউজ করছিস তা অনেকের মাথার উপর দিয়া যাবে তাই
http://en.wikipedia.org/wiki/Grandiose_delusions
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:)) :)) :))
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এইটা কি হইলো?! বাস্তবে কি তোমার ৬ বছরের কোন সিনিয়রকে এই গালিটা দেওয়ার চিন্তা করতে পারো? যদি পারো, তাইলে আমার বিশ্বাস, তুমি ক্যাডেট নামের যোগ্য না।
আমার থেকে ৪ বছরের ছোট কামরুল আমাকে ছাগু কইছিল, আর রাজীবের থেকে ৬ বছরের ছোট তুমি ওরে তার থেকেও কয়েক মাত্রা বেশি কুরুচিপূর্ণ গালি দিলা। এই ধারা অনুযায়ী ৮, ১০, ১২, ১৪, ১৬ বছরের পার্থক্যে কি কি গালি আসতে পারে চিন্তা করে আমি খুবই শংকিত!
আচ্ছা, সিসিবি কি যুদ্ধেক্ষেত্র, নাকি এক্স-ক্যাডেটদের মিলনমেলা? এইভাবে চললে ত সিসিবি'র মৃত্যুর আর বেশি দেরি নাই। অন্যান্য সকল ব্লগের থেকে এইটা স্বতন্ত্র্য এইজন্য যে, এইটাকে আমরা ক্যাডেট পরিবার মনে করি। বাস্তবে কোন জুনিয়র কোন সিনিয়রের মুখের সামনে যেমন অপমানসূচক কিছু বলতে পারেনা, কোন সিনিয়র তেমনি জুনিয়রদের সামনে কোন 'বেকুবি' করতে পারেনা। আর এইটাই হচ্ছে আমাদের মধ্যে সম্মান আর স্নেহের সম্পর্কের সামাজিক ভিত্তি। ভার্চুয়াল জগতে আইস্যা এইটা হারায়ে গেলে ত' মহা মুসিবত।
বেশ কিছুদিন হলো সিসিবিতে কমেন্ট পড়েনা, নতুন ব্লগও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কম আসে। পুরাণ ব্লগাররাই সবথেকে বেশি অনুপস্থিত। একেবারে শুরু থেকে না হলেও সিসিবি'র সাথে আমার চলা প্রায় চার বছর হতে চলল। ইদানিংকার বেশ কিছু পোষ্ট আর কমেন্ট পড়ে মনে হয় সম্মান নিয়ে কেটে পড়াই বুদ্ধমানের কাজ। জানিনা আর কেউ এমনটি ভাবছে কি না। না হলেই ভালো- আপনারা আড্ডা+সরস+ জ্ঞানী+স্মৃতিচারণ পোষ্ট ইত্যাদি দিয়ে সিসিবিকে আবার জাগিয়ে তুলুন।
এইসব আর ভাল্লাগছেনা!
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
মাহমুদ ভাই@ নগরে আগুন লাগলে দেবালয় কী এড়ায়? একদিন সব ঠিক হয়ে আসবেই। সময়ে শুদ্ধ হবে বোধ। সমস্যা হল সেদিনটা আমাদের দেখার সৌভাগ্য হবে কীনা সেটাই প্রশ্ন! আর যাদের যুক্তি থাকেনা তাদের গালি ছাড়া আর ভরসা কী? কিন্তু, গুরুতর অশোভন আচরন এর বিরুদ্ধে অবশ্যই অ্যাডমিনদের কিছু একটা করা উচিত। যে যার পরিচয় প্রকাশ করছে আজকাল, যেটা এতদিন ভদ্রতার মূখোশে ঘাপটি মেরে ছিল!