আমার প্রিয় প্রাণী বাদর
আজ সকালে কাজ শেষে বাদরের কথা মনে পড়লো। কর্মক্ষেত্রে উপরওয়ালাদের দুই চোখে দেখতে পারিনা। এদের আচার-আচরন হঠাৎ করে আমার প্রিয় বিশেষ প্রানীকুলের কথা মনে করিয়ে দিলো।
কলেজ থেকে বের হয়ে আই.এস.এস.বি র জন্য পরীক্ষা দিতে গেলাম। সব কিছু পজিতিভলি নিতে হবে।
উদাঃ ০১
– তোমার বউএর সাথে যদি শুতে চাই, দেবে?
– অবশ্যই স্যার, আপনি আপনার মেয়ের সাথে শোবেন, আমার আপত্তি করার কি আছে?
উদাঃ ০২
– ভয়াবহ এক বিপদে পড়লে, (নৌকাডুবি হোলো) একজনকে বাঁচাতে পারবে, বাচ্চাকে বাঁচাবে, না বউকে?
– বউকে; বাচ্চা গেলে বাচ্চা আসবে, বউতো আসবে না।
উদাঃ ০৩
– হাফ গ্লাস/ ফুল গ্লাস পানি/ খালি গ্লাস দেখিয়ে বলা হবে কি আছে?
– ……… (উত্তর জানিনা)
উদাঃ ০৪
– প্রিয় ফুল কি?
– শাপলা; (জাতীয় ফুল তাই, আচ্ছা কি রঙের শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল; লাল, না সাদা?)
উদাঃ
– প্রিয় পশু কি?
– রয়েল বেঙ্গল টাইগার; (আবারো জাতীয় পশু তাই)
এরকম আরও হরেক রকম পজিটিভ-পজিটিভ খেলা অভ্যাস করতে হলো। কিন্তু ভুলি কি করে চিড়িয়াখানায় গেলেই আমার প্রিয় কাজ ছিলো বাদরের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা।
আজকাল তো ছেলে-মেয়ে কেউই চুলে তেল দেয় না; যদিও কার্যোদ্ধারের জন্য সবাই তেলের ড্রাম উপুর করে তৈরি থাকে।
যাইহোক আমাদের ছেলেবেলায় কিন্তু মাথায় তেল দিতে হতো। আমার বাবার আবার প্রিয় তেল ছিল নারিকেল তেল। সেই সময়ের বিখ্যাত নারিকেল তেলের ব্রান্ড কি ছিল; হাস মার্কা; না অন্য কিছু। শীতকালে নারিকেল তেলের ব্যাবহার করায় বিশাল ঝক্কি ছিলো। তেল জমে যায়। গলানোর জন্য রোদে রেখে দাও, চুলার পাশে রেখে দাও। আর এসব করতে ভুলে গেলে বগলে নিয়ে বসে থাকো, আর কিছুক্ষণ পর পর ঝাকানো।
তো একদিন বিদ্রোহ করে বসলাম যে নারিকেল তেল মাথায় দিবো না।
কারণ কি?
বাদর।
স্কুল থেকে ফিরছি।
পথিমধ্যে বাদরের খেলা দেখাচ্ছে এক লোক। যথারীতি দাঁড়িয়ে খেলা দেখছি।
বাদর আবার লোকজনের হাত দেখে দিচ্ছে।
হঠাৎ এক লোকের হাত দেখতে বাদর অসৃকিতি জানায়। ঘটনা কি?
বাদরওয়ালা ঐ ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি কি মাথায় নারিকেল তেল দেন কিনা? উত্তর দিলেন, হা।
বাদরওয়ালা বললেন, বাদর যেসব পুরুষ মাথায় নারিকেল তেল দেয়, তাদের হাত দেখে না। আমারও মাথায় নারিকেল তেল দেওয়া বন্ধ সেইদিন থেকে।
নানা ধরনের পশুপাখী পেলেছি ছোটোবেলা থেকে; টিয়া পাখি, কুকুর, বেজি, কবুতর। বেড়াল পালতে পারিনি মার শ্বাসকষ্ট ছিল বলে।
একটা বাদর পালার আমার খুব শখ ছিলো। এখনো আছে। জানিনা কবে পূরণ হবে।
ভাইয়া অচিরেই আপনার শখ পূরণ হোক...!!
আমীন...
[আই এস এস বি দেওয়ার সময় ওই এলাকায় N সংখ্যক বানর দেখছিলাম। একটু খোঁজ নিলে ওই খানেই পাবেন। ] (সম্পাদিত)
জানি।
কিন্তু অইখান থেকে আনতে গেলে আর্মির লোকজন কোয়ার্টারগার্ডে দিয়া রাখতো; তাদের আদরের কিনা?
এক বন্ধুর বাবা ফরেস্টে ছিলো। আন্টি বলল, বন্য প্রাণি আইনে ফালাইয়া দিবে, আনার সময় ধরা খাইলে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হা হা হা হা =))
ভাই আমার একটা বাঘের বাচ্চা পালতে ইচ্ছা করে 🙁
বা ছোটো কুকুর 🙂
আমার মনের আশা পূর্ণ হোক,
কিন্তু বানর খুব দুষ্ট প্রাণী, আমাদের বাড়িয়ালার ছেলে পালতো,
বাঘ কেন রে বাবা?
যদিও ছোটোবেলায় শিকার কাহিনী পইড়া আমারও ইচ্ছা করতো!
এইখানে যেমন দেখিস কুত্তা কোলে নিয়া ঘোরে; আমিও দেশে থাকতে ঘুরতাম।
বান্দর দুস্ট জানি; ক্যাডেটদের চাইতেও কি?
বান্দর নিয়া আমার একটা মজার কাহিনী আছে, বাসায় আসিস, বলবো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হা হা হা ...
আমার শৈশবে আমাদের বাসায় সত্যি একটি পোষ্য বানর ছিল। তাঁকে নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে কোন একদিন। আমাদের একটি মিনি চিড়িয়াখানা ছিল বলতে পারেন। আপনার লিস্টের সবগুলো তো ছিলোই আরো বেশি কিছু ছিল। হরিণ একটা পেয়েও রাখা সম্ভব হয় নাই 🙁
রাজিব ভাই, আমাদের সময়ে বিটিভিতে একটা এ্যাড ছিল না? যেইটার জিঙ্গেল ছিল -
টগবগ টগবগ ঘোড়ায় চড়ে রাজার কুমার এলো,
রাজকুমারী তোমার মাথা এতো চুল কে দিল?
বল, বল না
[সখীদল] আ-রা-ম... ষোল আনা খাঁটি আ-রা-ম...
শহর বন্দর গ্রামে
সব লোকে জানে
আরাম সুবাসিত নারকেল তেল 🙂
আমার বন্ধুয়া বিহনে
রাব্বী,
অইটা আমার খুব প্রিয় অ্যাড ছিলো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আইএসএসবি'র পজিটিভ পজিটিভ খেলা বেশ ফানি লাগত আমার কাছে, ছবি, গল্প, প্রশ্ন... নেগেটিভ সব কিছু পজিটিভ করে দেখতে হবে। সবাই আবার সেটা জানেও, মনে যাই আসুক না কেন সুন্দর করে পজিটিভ একটা বর্ণনা দিয়ে দেয়, এই সব মেকি উত্তর দেখে কিভাবে আসল সাইকোলোজি বের করে আল্লাহ মালুম।
আমার ছোট দাদার বাসা পুরাতন ঢাকায়, পুরাতন ঘরনার বড়সড় দোতলা বাড়ি। সেখানে বেশ কিছু বানর পরিবার ঘুরে বেড়াত। আর ছোটবেলায় ঐ বাসায় বেড়াতে গেলে আমার প্রধান বিনোদন ছিল এদের কার্যকলাপ দেখা আর বিভিন্ন ভাবে এদের বিরক্ত করা 😛
লেখা পড়ে চিন্তা করে দেখলাম আমার আসলে প্রিয় কোন প্রানী নাই, শুধু প্রানী না, ফুল, পাখি, রঙ এরকম বহুত কিছুই সিলেক্টেড প্রিয় নাই। ভাগ্য ভাল আমি কোন সেলিব্রেটি হই নাই, তাহলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বিপদেই পড়ে যেতাম 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আহসান,
কথা ঠিক।
কথা ঠিক।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
প্রিয় রঙ - সবুজ
বাকিগুলা জানিনা, তবে মানুষের কাজকর্ম দেখেই সবচেয়ে বেশি মজা পাই।
কাছাকাছিই তো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হেহেহে । বাদরের মাইর কিন্তু সাংঘাতিক জিনিস ভাই । আগেই সাবধান করলাম :p
@Asif@
তাতো হবেই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
বি এম এ তে আমরা ৪৫ লং কোর্স যখন ফাইনাল টার্মে,ফার্স্ট টার্ম জয়েন করলো । ৪৮ লং কোর্স । ঐখানে একটা বান্দর ছিল । আমরা ফাইনাল টার্ম সব ফার্স্ট টার্ম ফল ইন করায়ে গান গাইতে বললাম । একজন শুরু করলো । লিরিকসটা ছিল খানিকটা এই রকম -
"মানব জাতি ভাই , তোমগো মনে রাখা চাই
বান্দরের চেয়ে সুন্দর প্রাণী ত্রিভূবনে নাই,
আগে আমরা ছিলাম বান্দর
গাছে গাছে ঝুলতাম সুন্দর ।।
আরে খিচখিচাইয়া..................(এরপর ভুলে গেছি)
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
চমৎকার গান রুম্মান।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:)) :)) :)) :))