বৃক্ষরোপণ এবং অপ্রাসঙ্গিক কিছু কথা

প্রথম লেখা ব্লগের কিছু কমেন্ট থেকে দ্বিতীয় লেখার প্রেরণা পেলাম। ধন্যবাদ সবাইকে।
প্রথমেই অপ্রাসঙ্গিক কি সেটা বলি।

গত কয়েকদিন যাবত নিজের অজান্তে/ ভুলে হারাম কোক খাচ্ছি।
না ইয়াহুর সেই বহুল আলোচিত কোকের প্রস্তুত প্রণালীর কথা বলছিনা; পাত্রের কথা বলছি। (এখানে অনেকেই কোক খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে) একটু অবাক শোনাচ্ছে; নয় কি?
পাত্র বলতে কোক পান করার পাত্র বা গ্লাস বুঝচ্ছি। আরও অবাক হবার পালা! গ্লাস হারাম হয় কি করে???
অন্তত বুখারি শরীফ যাদের পুরোটাই পড়া তারা হয়তো বুঝতে পেরেছে।

যে গ্লাস ব্যবহার করেছিলাম কোক খেতে তা ছিল বিয়ার খাবার পাইন্ট গ্লাস। এই পাইন্টের হিসাব আবার যারা বারে যায় কিংবা যাদের এই নিষিদ্ধ পানীয় পানের অভ্যাস আছে তারা ভালো বুঝতে পারবে। অবশ্য ইউকের লোকজন যারা দুধ কেনেন তারাও বুঝতে পারবেন। এখানে তরল পাইন্টে বিক্রি হয় কিনা।

এখন হাদিসের কথাটা বলি, মদ তৈরি বা ব্যাবহারের জন্য বা রাখার জন্য বা সার্ভ করার জন্য যে পাত্র ব্যাবহার হয় তা হারাম। বাংলাদেশে কোক, পেপসি, আরসিকোলার কারণে গত ১৪/১৫ বছর ধরে প্লাস্টিকের বোতল খুব সহজলভ্য। কিন্তু আগে এমন ছিলোনা। আমার পরিচিত আর দশটা বাসার মতো আমার বাসাতেও বিদেশি মদের বোতলে ফ্রিজে পানি রাখা হত।
আমাদের দেশে সাইদি, মাইজভাণ্ডারী, আমাদের রাসূলের কবর ঝাড়ু দেওয়া লোকের (মতিঝিলের কাছে এই ভণ্ডের আখড়া; এই লোক প্রায়ই স্বপ্নে দেখে যে রাসূলের মন খারাপ, ভণ্ডকে বলতেছে তাঁর খুব কষ্ট; অতঃপর ভণ্ড রাসূলের কবরের উপর জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে দিলও। অর্থাৎ দ্বীন পুনরুদ্ধার করলো) তো অভাব নাই; আর বাংলাদেশ তো হানাফি সুন্নি প্রধান। আমাদের কাছে কোরআনের পরেই হাদিস; আর হাদিস বলতেই বুখারি। তবে???

আমি নিশ্চিত ঐ হারামিগুলাও তখন ফ্রিজে রাখা বিলাতি বোতলের হারাম পানি H2O খাইছে। অথচ এই ভণ্ডগুলার মুরিদ লাখ লাখ। এরা লাখ লাখ টাকা নিয়া ওয়াজ করে; নাউযুবিল্লাহ। আল্লাহ্‌ আমাদের না জেনে করা ভুল মাপ করে দেবেন ইনশাল্লাহ কিন্তু এই হারামিগুলার কি হবে??? এরা যেভাবে ওয়াজ করে আমিও ঠিক সেইভাবে বলতে চাই, এদের জন্য অপেক্ষা জাহান্নামের সেই প্রজ্বলিত অগ্নিশিখা, আর অজস্র বিষধর সর্প।

অনেক ধর্মের বানী হইছে; কিন্তু আরেকটা দিব, তারপর বৃক্ষরোপণে যাবো।

হুমায়ুন আহমেদ বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখকদের একজন সন্দেহ নাই। কেউ কি এটা খেয়াল করেছে (আমি নিজে তার দুইটা বইয়ে পেয়েছি) উনি মদ ও জুয়ার পক্ষে কোরআনের বাণী ব্যবহার করেছেন। বাণীটা এরকম, মদ ও জুয়ায় কিছু ভালো জিনিস রয়েছে কিন্তু ক্ষতি বেশি।
তার মানে কি খাও কিন্তু অল্প করে???

এমনিতেই ছেলেপেলে জানে হযরত আলি মদ খেয়ে মসজিদে গিয়ে মাতলামি করার পর থেকে মদ হারামের আদেশ আসে। আমার পরিচিত অনেকেই এর ব্যাখ্যা এরকম করে নিয়েছে যে মাতাল হওয়ার আগ পর্যন্ত মদ খেতে পারবো। প্রসঙ্গত বা অপ্রসঙ্গত উল্লেখ করি; বদরের যুদ্ধের পর এক পর্যায়ে রাসুল দেখতে পান যে আলি কাঁদছে, জিজ্ঞাসা করেন কেন? আলি উত্তর দেয়, হামযা (রাসূলের চাচা; যাকে নায়ক করে The Messege ছবিটা করা হয়েছে) মদ খেয়ে আলির গনিমতে পাওয়া উটকে হত্যা করেছে। রাসুল হামযার ঘরের দিকে অগ্রসর হতেই তার মাতলামি আর নর্তকীদের শব্দ শুনতে পেয়ে ফেরত চলে আসেন এবং নিজের উটটি আলিকে দিয়ে দেন।
অনেক আগে আমার এক বন্ধু বলেছিল হযরত মানে হইল জনাব। তার মানে আমাদের দেশের ছাগলগুলা কি জেনে না, না জেনে নামের আগে হযরত লাগায়??? আল্লাহ্‌ তুমি এদের হেদায়েত করো। মাবুদে এলাহি তুমি এদের দোজখের আগুন থেকে রক্ষা করো।
লন্ডনে আসার প্রায় সাথে সাথে আমার শব্দ ভাণ্ডারে নতুন কিছু শব্দ যোগ হয়; যেমন ওয়ালিমা, দামাদ, জাযাকাল্লাহ ইত্যাদি। শুরু হল এভাবে, লন্ডনে আসার দুইদিন পর আমার এক ভাবী বলল, সামনের সপ্তাহে একজনের (তার কোনও কাজিনের) ওয়ালিমা। আমি জানতে চাইলাম ওয়ালিমা কি? তিনি বললেন, বৌভাত; আরবিতে ওয়ালিমা। সওয়াব হয় সেজন্য আরবিতে বলা। মানবদেহের এক বিশেষ অঙ্গের নাম আরবিতে আতাই; তো আমরা এখন থেকে আতাই বলা শুরু করতে পারি, নয় কি???

হয়তো এখন বাংলাদেশেও এই জাতীয় শব্দের ব্যাবহার শুরু হয়ে গেছে; লোকজন নেকি কামাই করে বেড়াচ্ছে। আমার বাসায় এক বাংলাদেশি মুসলমান উঠেছিল, তার লেখা দৈনন্দিন রুটিনের শেষটা ছিল, তওবা করা।
এদের উদ্দেশেই হুমায়ুন আজাদ পাক সার জমিন সাদ বাদ।
বাংলাদেশের হুজুররা সৌদি মানুষদের (doubt ache এরা মানুষ কিনা) নকল করে মাথার টারবান পরে; আমার জানা মতে অনারবরা ঐ জিনিশ পরতে পারেনা।
একটু সহজ হবে বাংলাদেশে যেমন আর্মি অফিসার আর BCS ক্যাডাররা নিজেদের ক্লাস ওয়ান সিটিজেন মনে করে তেমনি আরবরা নিজেদের ক্লাস ওয়ান মুসলমান মনে করে।
ধর্ম-কথা শেষ; এখন বৃক্ষরোপণ।
যাদের বয়স তিরিশের উপর তাদের হয়তো সিরাজুদ্দউলা খ্যাত আনোয়ার হোসেনের সরকারি জমিতে গাছ লাগানোর অ্যাডের কথা মনে আছে। বিশেষ করে টাকার অঙ্কের ভুল হিসাবের কারণে।
যাই হোক ভুল ধরা আমার উদ্দেশ্য নয়।
আমার এখনো কিছু পুরানো অ্যাড চোখে ভাসে।
ক্যাঙ্গারুর বাচ্চা ঘুরে বেড়াচ্ছে, হঠাৎ বজ্রপাত, বাচ্চা দৌড়ে মা ক্যাঙ্গারুর থলেতে ঢুকে পরল; কোনও এক ইনস্যুরেন্স কোম্পানির অ্যাড ছিল।
এপি ১৫ কেশ তেল, (টগবগ টগবগ ঘোড়ায় চরে রাজার কুমার এল, রাজকুমারী তোমার মাথার এতো চুল কে দিল? আরাম, ১৬ আনা খাটি আরাম, শহর বন্দর গ্রামে, সব লকে জানে, ইত্যাদি ইত্যাদি)
আমার মার প্রিয় অ্যাড ছিল, ফুল নেবে গো ফুল, নাও না চাঁপা ফুল। না না, চুলে আমার চাঁপা মাখা চাইনা চাঁপা ফুল।

গত ৬ বছরের মধ্যে এবার সামার সবচেয়ে বেশি উপভোগ করছি, কারণ এখানে শীত ছিল অস্বাভাবিক রকম লম্বা। কখনো কখনো মনে হচ্ছিল যে এই শীত শেষ হবে না। যাই হোক বহু প্রতীক্ষিত সামার এসেছে। বাংলাদেশে থেকে কেউ এই অনুভূতি পাবেনা। আরও পাবেনা তুষারপাতের অনুভূতি।
এরা যেমন আমাদের বৃষ্টি পাবেনা। এখানেও বৃষ্টি হয়; আমি বলি ঘোড়ার বৃষ্টি।
পৃথিবীতে এতো সুন্দর জায়গা আছে যে বলার না। সব দেখাও সম্ভব না। BBC র করা Planet Earth নামে একটা ডকুমেন্টারি আছে; ১১ বা ১৩ পর্বের। আমি ছেলেপেলেদের দেখার জন্য বলবো। অনেকেই একটা ওয়ার্ড ব্যাবহার করেনা; awesome. তাই কিংবা তার চাইতেও বেশি।
লন্ডনে পাউন্ড শপ বা ৯৯পি বলে এক ধরনের দোকান আছে। সব কিছু ১ পাউন্ড বা ৯৯ পি। তো সপ্তাহ দুএক আগে ৯৯ পিতে গিয়ে দেখি চারা বিক্রি হচ্ছে; কয়েক ধরনের চারা কিনে আনলাম কি মনে করে। অনেক ধরনের সবজি আর ফুলের চারা আনলাম।
বলা ভালো আমি কোনোদিন গাছ লাগাইনি। (আম আঁটির ভেঁপু বানিয়েছি, কলেজে একবার ৩০০ ক্যাডেট গাছ লাগিয়েছি; কলেজের বাইরে পুকুর পাড়ে, ছোটবেলায় অন্যর বাগান থেকে চুরি করে ফুল গাছ এনে নিজেদের বাগানে লাগিয়েছি-চাচার সহায়তায়)
কিন্তু যাকে বলে গাছ লাগানো বা বৃক্ষরোপণ তা কখনো করিনি।
এবার বুঝলাম গাছ লাগানোর মানে কি, কাকে বলে।
ট্রায়াল হিসাবে কয়েকটা টম্যাটো, জালেপেনো (এক ধরনের মেক্সিকান মরিচ, পিঁজার সাথে টপিং হিসাবে জোশ), ধনিয়ার চারা বুনলাম। ৫/৭ দিনের মধ্যে চারা গাছ গজানোর কথা। পানি দেই আর প্রতিদিন চেক করে দেখি চারা বের হয় কিনা। প্রতীক্ষার অবসান হল। চারা বের হল। টম্যাটো চারা নিয়ে খুব টেনশনে ছিলাম; একটু দেরি করে বের হল। প্রতিদিন একটু একটু করে বড় হচ্ছে আর আমি যেন দেখছি আমার সন্তানেরা বড় হচ্ছে, হাসছে, খেলছে। আমার এখন দুই মেয়ে; ২ বছর ৫ মাস, আর ছোটজন ২ মাস। তবুও এইযে চারারা বড় হচ্ছে এই অনুভূতি প্রকাশ করে বোঝাতে পারবোনা।
বাংলাদেশ এতো সুন্দর একটা দেশ; সামান্য এক বৃক্ষরোপণ যে আরও কত সুন্দর আরও কত চমৎকার করে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য তৈরি করতে পারবে তা বলার নয়।
গত এক দশক ধরে সারা পৃথিবীতে যে তাণ্ডব চলছে প্রকৃতির তা বলার নয়।
ভূমি ধ্বস, খরা, বন্যা, ভূমিকম্প, টর্নেডো, সুনামি লেগেই আছে। অতি উন্নত জাপানেরই যে অবস্থা হল, তাতে নদীবিধৌত আর সমুদ্র তীরবর্তী বাংলাদেশের কি হবে!!!
বাংলাদেশের কোনও সরকার দিয়েই কিছু হবেনা। সব শালা চোরের দল।
যা করার আমাদেরই করতে হবে। আসুন গাছ লাগাই।
গতকাল গিয়েছিলাম গ্রীনউইচ মান মন্দির এবং সংলগ্ন পার্কে। অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখার ইচ্ছা রইল।
সবাই ভালো থাকুক।

২৮ টি মন্তব্য : “বৃক্ষরোপণ এবং অপ্রাসঙ্গিক কিছু কথা”

  1. সোলায়মান (৯৩-৯৯)

    রাজীব ভাই, খুব ভালো লাগসে আপনার লিখা, মজা পাইসি. এইখানে যেহেতু 'মন্তব্য' করার একটা option রয়েসে, তাই নিজেকে আর সংবরণ করতে পারলাম না (অবশ্যই এইটা একান্ত ই আমার নিজের মতামত, আহত হবার কিসু নাই)

    ১. ''বাংলাদেশ তো হানাফি সুন্নি প্রধান। আমাদের কাছে কোরআনের পরেই হাদিস; আর হাদিস বলতেই বুখারি। তবে???'' .....হাদিস বলতে বুখারী বাদ দিয়ে আর অন্য কিছু দেখা উচিত আমাদের? নাকি বুখারী র বেক্ক্ষা টা ঠিক না? নাকি মদ এর বোতল বা গ্লাস এ পান করা জায়েজ?

    ২. ''মদ ও জুয়ায় কিছু ভালো জিনিস রয়েছে কিন্তু ক্ষতি বেশি। তার 'মানে' কি খাও কিন্তু অল্প করে???''.....হুমায়ুন আহমেদ বললে কি মদ খেতে হবে অল্প করে? হুমায়ুন আহমেদ তো নিজের মেয়ের সমান এক মেয়ে কে বিয়ে করেসে, তার মানে কি আমাদের এমন ভাবে বিয়ে করতে হবে? হুমাযুম আহমেদ তো মহাপুরুষ না যে কিসু বললে এ তার একটা 'মানে' বের করে নিতে হবে.

    ৩. ''এর ব্যাখ্যা এরকম করে নিয়েছে যে মাতাল হওয়ার আগ পর্যন্ত মদ খেতে পারবো''......হজরত আলী মাতাল হয়ে মাতলামি করসিলো দেখে মদ হারাম হয় নাই, এইটা মানুষের জন্য ক্ষতিকর, মাতলামি অনেক সময় খারাপ আকার ধারণ করতে পারে, সেই জন্য এইটা হারাম করা হয়েসে. ইসলাম এর বেক্ষা অনেক সময় আমরা মজা করে অপবেক্ষা করি যা ঠিক না. খুব প্রচলিত একটা ফান আসে-মেয়েদের দিকে এক এর অধিক বার তাকানো হারাম. তার 'মানে' কি একবার তাকানো জায়েজ? (এই একবার তাকানো অনিস্ছাকৃত হতে হবে). কোনো এক পতিতা মহিলা তৃষার্ত এক কুকুর কে কুয়া থেকে পানি পান করেয়েসিলো বলে আল্লাহ তার সব গুনাহ মাফ করে দিয়েসিলেন, তার 'মানে' কি কুত্তা কে পানি খাওয়াইলে সব পাপী র সব গুনাহ মাফ?

    ৪. ''মানবদেহের এক বিশেষ অঙ্গের নাম আরবিতে আতাই; তো আমরা এখন থেকে আতাই বলা শুরু করতে পারি, নয় কি???'' সওয়াব এর জন্য বিশেষ অঙ্গের নাম এ কেন আরবিতে বলতে হবে, অনেক কিসু তো আসে সওয়াব কমানোর জন্য...!!!....বিয়ের সময় আমরা পালাক্রমে এবং উপর্যুপরি যেই সব অনুষ্টান করি (বর দেখা, কন্না দেখা, engagement , গায়ে হলুদ, আকদ, বিয়ে, বৌভাত etc এবং সাথে ইদানিং যুক্ত হওয়া নাচা গানা..) যা আমাদের ধর্মে র কথাও স্বীকৃত নাই, বেশির ভাগ ই হিন্দু এবং ভারতীয় সংস্কৃতি, এইসব থেকে বের হতে পারলে ও সওয়াব হবে বলে আমি বোধ করি.

    ৫. ''আমার বাসায় এক বাংলাদেশি মুসলমান উঠেছিল, তার লেখা দৈনন্দিন রুটিনের শেষটা ছিল, তওবা করা। এদের উদ্দেশেই হুমায়ুন আজাদ পাক সার জমিন সাদ বাদ।''........আপনার বাসার মুসলিম তো ভালো মন্দ যা ই করে, আল্লাহ র ভয়ে দিন এর শেষে একবার প্রায়্শিত্ত করতে চায়, যারা নিজেদের স্মার্ট ভেবে নিজের কোনো ভুল দেখে না আর ভুল শিকার ও করতে চায় না, তারা কতটুক ভালো?
    (ধর্মে তো কাউকে কিসু জোর করে করতে বলে নাই, মন চাইলে পালন করবেন, না চাইলে রাস্তা মাপেন, এই টায়েপ......ইদানিং নিজেকে নাস্তিক দাবি করা একটা fashion হয়ে গেছে, ধর্মের বেপারে ফান করা টাও কি fashion হিসাবে স্বীকৃতি পাচ্ছে নাকি?)

    ৬. ''যেমন আর্মি অফিসার আর BCS ক্যাডাররা নিজেদের ক্লাস ওয়ান সিটিজেন মনে করে ''...এরা নিজেদের ক্লাস ওয়ান সিটিজেন মনে করে না বোধ করি, নিজেদের ক্লাস ওয়ান অফিসার মনে করে, কারণ এইটা আমার আপনার মত কোটি কোটি মানুষ যাদের নির্বাচিত করে ক্ষমতায় পাঠাইসে, ওই প্রেসিডেন্ট এর পক্ষ থেকে সরকারী আদেশ/প্রজ্ঞাপন এর দ্বারা এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়. ২য /৩য শ্রেনীর সাথে এদের status /বেতন /facility /প্রটোকল ইত্যাদি র জন্য. কালের বিবর্তন এ এরা এক সময় VIP হয়, তারপর VVIP ........কেউ মাস্টার্স পাস করে নিজেকে গ্রাজুয়েট মনে করে কেন? এইটা ই তার স্বীকৃতি.....!!!

    সবশেষ, দেশের একজন সচেতন নাগরিক (আর্মি অফিসার আর BCS ক্যাডার দের মত নিজেকে আপনি ক্লাস ওয়ান সিটিজেন মনে না করলে ও সচেতন নাগরিক তো ভাবেন) হিসাবে দেশের ভবিষ্যত এর কথা চিন্তা করে সেই সুদুর লন্ডন থেকে আপনি আমাদের বৃক্ষ রোপন এর অনরূধ করেসেন. নিজে দেশে একটা গাছ না লাগায়া লন্ডন এ বসে ২/৩ টা টমেটো আর মরিচ এর গাছ লাগায়া সবাইকে গাছ লাগাইতে বলা 'সাইদী আর মাইজ ভান্ডারী এর মত ওয়াজ করা হয়ে গেল না ....!!!!

    (দুঃক্ষিত, আমার কোথায় কিছু মনে করবেন না, আপনি বড় ভাই বলেই এত বড় মন্তব্য করলাম, ছোটো কেউ হলে কিছু ই লিখতাম না)

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      সোলায়মান ধন্যবাদ তোমার মন্তব্য ও চুলচেরা বিশ্লেষণের জন্য।
      শুধু একটা কথাই বলবো, প্রত্যেকটা ঘটনার কয়েকটা দিক আছে। আমি যা দেখছি, তুমি যা দেখছ, সে বা আরেকজন কি দেখছে। এবং প্রকৃত ঘটনা কি?
      এবং শেষ কথা হচ্ছে সবাই কিন্তু ঠিক।
      হা হা হা।
      পরে সময় করে তোমার উত্তর দিব।
      ভালো থেক।
      উত্তরত্তর তোমার সমৃদ্ধি কামনা করি।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন
    • ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

      সোলায়মান -
      "কোনো এক পতিতা মহিলা তৃষার্ত এক কুকুর কে কুয়া থেকে পানি পান করেয়েসিলো বলে আল্লাহ তার সব গুনাহ মাফ করে দিয়েসিলেন, তার ‘মানে’ কি কুত্তা কে পানি খাওয়াইলে সব পাপী র সব গুনাহ মাফ?"
      এমনভাবেও তো আমরা চিন্তা করতে পারি যে এই ঘটনাটা একটা সিম্বলিক উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যার মানে হতে পারে যে কোন ভাল কাজ তা যত সামান্যই হোক কিম্বা যে মানুষই করুক না কেন তা পুরষ্কৃত হবে। তুমি কি এমন কোন কোরান বা হাদিসের উক্তি দেখাতে পারবে যেখানে বলা আছে যে আরবি ভাষায় উচ্চারণ করলে সোয়াব হবে? তুমি না পারলে কোন বিশেষজ্ঞকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পার। অন্তত আমি পাইনি। আরবী শব্দ উচ্চারণ করার থেকে হয়তো সা্মান্য সামান্য ভাল কাজ করার ব্যাপারেই আমাদের বেশি উৎসাহিত করা হয়েছে - সঠিক ইন্টারপেটেশনের অভাবে আমরা হয়তো ঠিক মেসেজটা পাচ্ছি না। কে জানে?

      ইউরোপের মধ্যযুগীয় অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়ের কথা ধর, যখন স্বর্গের দিকে তাকিয়ে থেকে মানুষ তার সব জীবনবাদীতার কথা ভুলে গিয়ে আত্মাকে রক্ষা করতো - পাছে স্বর্গ মিস হয়ে যায় এই ভয়ে। তখন বাইবেল ছিল ল্যাটিন ভাষায়। অজানা ভাষা মানুষের মনে ধর্মের ভয়টা জোরেশোরে গেড়ে বসাতে সাহায্য করেছিল। রেনেসা এসে আস্তে আস্তে মানুষের মন থেকে সে ভয় দূর করে দিয়েছিল। শিল্পীদের শিল্পকর্মে অধরা স্বর্গচিত্র দেখে মোহিত মানুষ আবারও মুগ্ধ হতে শুরু করে। ভয়ের অর্গল খুলে মানুষ আবার আবিষ্কার, প্রযুক্তি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য, যুক্তি, শিল্পকলায় ঝাঁপিয়ে পড়ে।

      যে স্রষ্টা মানুষকে মানুষ হিসেবে তৈরী করেছে সে স্রষ্টাই কি কষ্ট পায় না যখন সে মানুষ রোবটের মতো আচরণ করে। তুমি নিজেকেই প্রশ্ন করে দেখ কোন জিনিষটা একজন বাবাকে বেশি আনন্দিত করবে - একজন প্রানবন্ত শিশু না অটিস্টিক শিশু?
      যে স্রষ্টা কোটি কোটি গ্রহ-নক্ষত্র আবিষ্কার করেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি, তুমি কি মনে করে সে স্রষ্টার আসলেও সময় আছে একটা কোকের বোতল নিয়ে মাথা ঘামানোর? মানুষের ক্ষেত্রেই দেখ না, যখন যে সত্যিকার অর্থেই খুব ভালমানুষ/বড়মানুষ হয়ে পড়ে তখন সে আর অতো ছোটখাট ব্যাপারে মাথা ঘামায় না।
      কোরান আর হাদিসের একেক আয়াতের অনেক রকম ইন্টারপ্রেটেশন আ্ছে এবং আসছে। কেউ মধ্য যুগের আবু হানাফিতে আটকে আছে আবার কেউ বর্তমান যুগের জাভেদ আহমেদ ঘাতাবী গ্রহন করছে। কে কোনটা গ্রহন করছে তার মধ্যে দিয়ে সে আসলে তার আগমী প্রজন্ম কোন ডিরেকশনে যাবে তা নির্ধারণ করছে।


      “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
      ― Mahatma Gandhi

      জবাব দিন
      • সোলায়মান (৯৩-৯৯)

        (বৃক্ষরোপন সংক্রান্ত আলোচনায় ধর্ম নিয়ে আমি আলোচনা আসলে করতে চাই নাই, এইটা গরু রচনায় journey by boat শুরু করার মত ই হবে. আর ধর্মের বেপারগুলা পুরাপুরি বিস্সাস এর ........যুক্তি না তর্কের না.....তাই আগের কথা ই ...'মন চাইলে পালন করেন...না চাইলে রাস্তা মাপেন....'....তবু ও অপু আপনি যেহেতু আমার কথার tone ধরতে পেরেসেন, তাই একটু আলোচনা করতেসি....আমি কোনো হুজুর, JMB , বা জামাত পন্থী না....সিম্পল জ্ঞান থেকে বলতেসি )

        ১. আপু....... :tuski: ....আপনি বুঝতে পেরেসেন আমি কি বলতে চাইসি....আমিও বলতে চাইসি এইটা সিম্বলিক, এইটার মানে কুত্তা কে পানি খাওয়াইলে সব গুনাহ মাফ না...আর এই জন্য ই খেয়াল করে দেখেন আমি আমার মন্তব্যে সবগুলা 'মানে ' শব্দকে বিশেষ ভাবে চিন্নিত করেছি , এই জন্য যে আসলে সব 'মানে' যাহা দেখি তাহা না......আসল 'মানে' অনেক জটিল....

        ২. '....যার মানে হতে পারে যে কোন ভাল কাজ তা যত সামান্যই হোক কিম্বা যে মানুষই করুক না কেন তা পুরষ্কৃত হবে......তুমি কি মনে করে সে স্রষ্টার আসলেও সময় আছে একটা কোকের বোতল নিয়ে মাথা ঘামানোর?'-একেবারে আমার মনের কথা বলসেন......আসলে ই আল্লাহ এর টাইম নাই এইসব নিয়ে মাথা ঘামানোর...এই জন্য ই আল্লাহ আপনার মনের বিচার করবে...আপনার উদ্দেস্য honest ছিল নাকি......নিয়ত কি ছিল.......ভন্ডামি নাকি আল্লাহ র ভয়.......আর এই জন্য ই যেই 'ভাবি' আল্লাহর ভয়ে,মরার পরে আল্লাহ র সামনে দাড়ানোর কালে কিসু কামাই করার জন্য আরবি শব্দ বলেছেন , আশা একটা ই, যদি আল্লাহ খুশি হয়, কিসু সওয়াব দেয়.... আল্লাহ তার honest উদ্দেস্য দেখে খুসি হয়ে তাকে মাফ করে দিতে পারেন না এই gurantee কে দিবে? এক ই ভাবে যেই মুসলিম রাতে তৌবা করে আল্লাহর ভয়ে , কে জানে কোনো এক দিনের তৌবা আল্লাহ কবুল করে নিবেন......আমরা জানি না......so এইটা ই আমার বলার উদ্দেস্য .....এইটা নিয়ে বিদ্রুপ করার কিছু নাই.......তারা কিছু তো করতেসে...আমরা কি করি?

        ৩. 'তুমি কি এমন কোন কোরান বা হাদিসের উক্তি দেখাতে পারবে যেখানে বলা আছে যে আরবি ভাষায় উচ্চারণ করলে সোয়াব হবে?'- আমি খুব ই কম জ্ঞানী মানুষ, সঠিক আয়াত বা হাদিস নাম্বার বলতে পারব না......তবে এইটা জানি কোরান আরবিতে পরার জন্য বলা হয়েসে...এইটাতে সওয়াব বেশি....নিজের ভাষায় পড়লে ১ গুন সওয়াব ...আরবিতে পড়লে ১০ মতান্তরে ৭০ গুন বেশি. আর এই জন্য ই আমরা চেষ্টা করি মোনাজাত আরবিতে বলতে...আর নামাজ তো আরবিতে ই পরি. এইখানে ও আগের কথা ই বলব.....আসলে বৌভাত কে ওয়ালিমা বলার উদ্দেস্য টা কি? আর এই জন্য যে আল্লাহ তার ওপর খুশি হবে না এইটা কে বলল?......আল্লাহ খুশি হলে ই তার সব পাওয়া হলো......আল্লাহ তার ওপর খুশি হয়ে গেলে সওয়াব এর দরকার কি?

        ৪. 'উচ্চারণ করার থেকে হয়তো সা্মান্য সামান্য ভাল কাজ করার ব্যাপারেই আমাদের বেশি উৎসাহিত করা হয়েছে – সঠিক ইন্টারপেটেশনের অভাবে আমরা হয়তো ঠিক মেসেজটা পাচ্ছি না'........আমিও এইটা ই বলেছি, আমরা সবাই মিলে হিন্দু রীতি তে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার যেই নিয়ম চালু করেছি, ঐটা থেকে ও বিরত থাকতে পারি.......শুধু এইটা কেন..এমন অনেক কিসু আসে..... U r so correct....Allah encouraged us for doing good things, be it small, be it large, if Allah wants to forgive u, He will make the small thing larger than million times and award you with Jannah.

        5. 'কোরান আর হাদিসের একেক আয়াতের অনেক রকম ইন্টারপ্রেটেশন আ্ছে এবং আসছে। কেউ মধ্য যুগের আবু হানাফিতে আটকে আছে আবার কেউ বর্তমান যুগের জাভেদ আহমেদ ঘাতাবী গ্রহন করছে। কে কোনটা গ্রহন করছে তার মধ্যে দিয়ে সে আসলে তার আগমী প্রজন্ম কোন ডিরেকশনে যাবে তা নির্ধারণ করছে'- ...স্বীকার করি আমি, কোরান এর আয়াত এর হরেক ইন্টারপ্রেটেশন হচ্ছে , এইটা আমরা কোরান না পরার কারণে এবং না জানার কারণে যে যা ইচ্ছা আমাদের বলতেসে আর আমরা বিস্সাস করতেসি, কখনো কোরান খুলে দেখি না আসলে কি বলসে...!!!!...আর আল্লাহ কোরানএ ই বলে দিসেন , এই বই এর কিসু আয়াত মানবজাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে এবং তা মানুষ বুঝবে, বাকি আয়াত এর অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেউ কখনো জানতে পারবে না.......তাই সব জানার দরকার নাই...আল্লাহ সিলেবাস short করে দিছে, তবু ও পরীক্ষায় ফেল মারলে কি করে হবে? আর যার যা ইচ্ছা গ্রহণ করলে হবে না আপু, আল্লাহ বলে দিছে কি গ্রহণ করবেন আর কি বর্জন করবেন, এই বেপারে আল্লাহ এর চেয়ে স্মার্ট হলে হবে না.

        ৬. 'ইউরোপের মধ্যযুগীয় অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়ের কথা ......পাছে স্বর্গ মিস হয়ে যায়....বাইবেল ছিল ল্যাটিন ভাষায়....অজানা ভাষা....মানুষের মনে ধর্মের ভয়.....শিল্পকর্মে অধরা স্বর্গচিত্র দেখে মোহিত মানুষ আবারও মুগ্ধ হতে শুরু করে। ভয়ের অর্গল খুলে মানুষ আবার আবিষ্কার, প্রযুক্তি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য, যুক্তি, শিল্পকলায় ঝাঁপিয়ে পড়ে'.......এই জন্য ই আল্লাহ মানুষ কে এই অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বলছে 'কোরান' আর 'শেষ নবী' কে অনুসরণ করতে. সিলেবাস অনেক short , একটা বই কোরান (তার ও বলসে সব জানার দরকার নাই ) আর এইটার বেক্ষা আর অনন্য বিষয় এর জন্য হাদিস. হজরত মোহাম্মদ (স) বিদায় হজ্জ এর ভাষণ এ বলেছেন - আমি তোমাদের জন্য ২ টি জিনিস রেখে যাচ্ছি , যতদিন এই ২ টি আকড়ে ধরে থাকবে, পথভ্রষ্ট হবে না, ১- কোরান ২- হাদিস.......কোনো doubt ? অন্য এক ঘটনায় বলেসেন-আমার মৃত্যু র পর খ্রিষ্টান রা ৭১ টি দলে, ইহুদি রা ৭২ টি দলে (আমি যদি ভুল না করে থাকি) এবং মুসলমানরা ৭৩ টি দলে বিভক্ত হবে, তম্মধ্যে ১ টি দল শুধু বেহেস্তে যাবে. সাহাবীরা জানতে চাইলেন ওই দল করা? নবী বললেন যারা আমার প্রদর্শিত পথে থাকবে.

        তাই, কোরান আর হাদিস নিয়ে বিতর্ক না (এই বিষয় ২ টা যুক্তি না যুক্তিগত ফালাইসি র উর্ধে ....এইটা বিস্সাস করতে হবে আপু. আমার কোথায় না, আপনার বিবেক কে জিগ্গেস করে বিস্সাস করবেন.

        (সবার কাছে/আপু/রাজীব ভাই এর কাছে আবার ও দুক্ষিত এইটা নিয়ে এত বড় আলোচনার সূত্রপাত করার জন্য, আমি আশা করব এইটা নিয়ে আপনারা কোনো বিতর্ক না যুক্তিখন্ডন এর অবতারণা করবেন না.......আবার ও বলি.....এইটা বিস্সাস...মন চাইলে গ্রহণ করেন...না চাইলে.......আল্লাহ স্পষ্ট বলেসেন তর্ক না করতে ....'লা ইকরাহা ফি দ্দিন'....মানে 'দিন/ইসলাম এর বেপারে কোনো জবরদস্তি নাই'.)

        জবাব দিন
    • সুমন্ত (১৯৯৩-১৯৯৯)
      বিয়ের সময় আমরা পালাক্রমে এবং উপর্যুপরি যেই সব অনুষ্টান করি (বর দেখা, কন্না দেখা, engagement , গায়ে হলুদ, আকদ, বিয়ে, বৌভাত etc এবং সাথে ইদানিং যুক্ত হওয়া নাচা গানা..) যা আমাদের ধর্মে র কথাও স্বীকৃত নাই, বেশির ভাগ ই হিন্দু এবং ভারতীয় সংস্কৃতি, এইসব থেকে বের হতে পারলে ও সওয়াব হবে বলে আমি বোধ করি.

      যেকোন বাঙ্গালী সংস্কৃতিকেই হিন্দু সংস্কৃতি বলাটা আমাদের অনেকেরই অভ্যাস। স্বল্পশিক্ষিত বা অশিক্ষিত লোকজনের থেকে এসব শুনলে খারাপ লাগে না, কিন্তু যখন একজন ক্যাডেট একথা বলে, তখন আসলেই হাসি পায়। মায়াও হয়, মনে হয় যে কতটা মানসিক দৈন্যতা থাকলে একটা মানুষ এতটা কনফিউজড হয় তার নিজের সংস্কৃতি নিয়ে। ভারতীয় সংস্কৃতিটা ভারতীয়ই, তার সংগে হিন্দুত্ব মেলানোর কিছু নেই। ভারতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশী পরিমান মুসল্মান বাস করে, এবং তারা ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়েই বড় হয়। আবার বাংলাদেশে বা নেপালে যে হিন্দু বাস করে সে বাংলাদেশ বা নেপালের সংস্কৃতি নিয়ে বড় হয়।

      ভয় হয়, কবে না আবার হিন্দুরা ভাত খায়, তাই ভাত খাওয়া বাদ দিয়ে তুই রুটি খাওয়া শুরু করবি, আর অনেক অনেক সোয়াব কামাবি।

      জবাব দিন
      • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

        সুমন্ত ভালো বলেছিস। এইসব ভ্রান্তির কারণে আমরা আজও জানিনা আমরা বাঙালি না বাংলাদেশি।
        বাংলাদেশি মুসলমান, না মুসলমান বাংলাদেশি।
        হিন্দু না বাঙালি না বাংলাদেশি।


        এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

        জবাব দিন
  2. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    রা্জিব - তোমার লেখার টোনটা একটু অন্যরকম। ম্যাচিউরড সারকাসটিক। ঘটনাগুলো উল্লেখ করছো আবার নিজে কোন উপসংহার না দিয়ে শেষটা ওপেন করে রাখছো।
    আচ্ছা ব্রীকলেনবাসী তৃতীয় প্রজন্মের কথা জানতে ইচ্ছে করছে। তেমন ভালো কিছু শুনিনি। আশা করছি তোমার লেখায় তা জানতে পারবো।
    লেখা চালিয়ে যেও।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
    • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

      ওয়াহিদা আপা, আপনার বিশ্লেষণ পড়লাম। ভালো লাগলো।
      মিথুন আপা আপনাদের এক ব্যাচ সিনিওর ছিলেন বোধহয়।
      পিঙ্কি, রিঙ্কি আপারা তো আপনার জুনিওর অবশ্যই।
      ওদের কি কোনও খবর জানেন?
      উপসংহারের কথা; যারা ব্লগে আছে সবাই তো প্রায় ১৮ র উপরে।
      যে যা বুঝে নেয় নিকনা।
      অনেক আগে পবন দাস বাউলের একটা গান শুনেছিলাম, " রাত্রিবেলায় বউ আমাকে বাবা ডেকেছে... একবার না দুইবার না তিনবার বাবা ডেকেছে "।
      আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
      রেস্টুরেন্ট ছাড়া বাঙালি (সিলেটিদের) এখানে আর কোনও অবদান আমার চোখে পড়েনা।
      ব্রিক্ললেনবাসি বা বাঙ্গালিদের (বাংলাদেশি)নিয়ে ভবিষ্যতে লিখবো আশা করি।


      এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সুমন্ত (১৯৯৩-১৯৯৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।