খসড়াঃ নতুন এক্স-ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে উপদেশ পোস্ট

১৭ তারিখের সিসিবির গেট টুগেদারে মজা করার পাশাপাশি প্রথমবারে মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্লগাররা সিসিবিকে কয়েক বছর পর কোথায় দেখতে চান, সিসিবির কি কি করা উচিত, কি করলে ভালো হয় এই ধরণের বিভিন্ন প্রস্তাব পেশ করেছেন। সেগুলো নিয়ে অন্যরা তাদের মতামত দিয়েছেন। প্রস্তাবনার মধ্যে বেশ কয়েকটি সত্যিকার অর্থেই বাস্তবায়নের দাবী রাখে। তারমধ্যে একটি, সদস্যদের পূর্ণাংগ ডেটাবেজ তৈরী। আরেকটি প্রস্তাব ছিল কামরুল ভাইয়ের। তৎক্ষণাৎ প্রস্তাবটি আমার বেশ মনে ধরেছে। সেটা নিয়েই আজকের এই পোস্ট।

কামরুল ভাইয়ের প্রস্তাবটি ছিল অনেকটা এই রকমঃ-

সদ্য কলেজ পাশ করা ক্যাডেটরা বাইরে এসে কি করবে সেটা সম্পর্কিত একটি গাইডলাইন তৈরি করা। যেখানে মূলত থাকবে তারা কোথায় ভর্তি হবে, কোথায় কোচিং করবে, বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা।

প্রস্তাবটাকে অনান্য রাজনৈতিক প্রস্তাবের মতো অকালে গলা টিপে হত্যা না করে বাস্তবায়ন করার ইচ্ছে হলো। আর সেই জন্যই এই পোস্টের সূচনা। তবে খেয়াল রাখা দরকার এই পোস্টের লেখক কোপানি কোন ছাত্র না। ইন্টারে পর স্রোতের সাথে ভাসতে ভাসতে তিনি IUT তে ঢুকে পড়েছেন। সেইটা কোন ব্যাপার না। কারণ কথায় আছে- উপদেশ যে কেউ দিতে পারে। তবে সবার কাছে অনুরোধ থাকবে পোস্টটা পড়ার। এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে মন্তব্য আকারে কিছু যোগ করার। পরবর্তীতে সেটা মূল পোস্টে যুক্ত করা হবে।

তো শুরু হোক …

আমরা যখন বাচ্চা ছিলাম তখন আমাদের প্রায় সবার মনে স্বপ্ন ছিল আমরা বড় হয়ে পাইলট হবো। আমি কেন জানি ধারণা ছিল পাইলট হবার জন্য বিদেশ যেতে হয়। তাই আমার মেঝ চাচা যখন প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি যমান তখন আমি কেঁদে কেঁদে বুক ভাসিয়েছিলাম আমাকে সাথে নিয়ে যাবার জন্য। চাচা আমাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেন, টিকেট ছাড়া প্লেনে উঠতে দিবে না, তখন আমি তার বিশাল ব্যাগটা দেখিয়ে বলেছিলাম আমাকে ব্যাগে করে নিয়ে যেতে।

চাচার ব্যাগে করে যেমন আমার বিদেশ যাওয়া হয়নি, তেমনি সফল হয়নি আমার পাইলট হবার স্বপ্ন। তারপর আমি দূরবর্তী স্বপ্ন দেখা ক্ষ্যামা দিলাম। আমি দেখতাম ছোট স্বপ্ন। ক্লাস ফোরে পড়ার সময় প্রাইমারী বৃত্তি পাবার স্বপ্ন, ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় ক্যাডেট কলেজে পড়ার স্বপ্ন।

আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি ক্যাডেট কলেজে ক্লাস টেন পর্যন্ত ছেলেরা সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য পাগল থাকে না। তাদের প্রায় সবাই চায়, এইচএসসি পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে। সেখানে মেয়েদের সাথে ক্লাস হয়, মেয়েদের সাথে শিক্ষাসফর হয়, দিনরাত আড্ডাবাজি করে পরীক্ষার আগে এক দুই মাস পড়লেই ভালো ফলাফল সহ ডিগ্রী পাওয়া যায়। এই অবারিত সম্ভাবনার জীবনের সাথে সেনাবাহিনীর লেফ-রাইট খুব একটা পাত্তা পায় না।

কিন্তু সমস্যাটা শুরু হয় একাদশ শ্রেনীর পর থেকে। কলেজে পড়ালেখা ছাড়াও দুনিয়ার হাজারটা কাজ আছে। দুষ্টামি, ফাজলামির সাথে সাথে স্যারদের “মূলা ঝুলানি” ফর্মুলার কারণে ছেলেরা- মেয়েরা অনেক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। পড়ালেখায় ঠিকমতো সময় দেয়া হয় না। যার ফলে ইয়ার ফাইনালে ভরাডুবি, তারপর এইভাবে সেইভাবে প্রিটেস্ট পরীক্ষা চলে আসে। প্রিটেস্টে আরেকবার ভরাডুবির পর পোলাপানের মাথায় প্রথমবারের মতো চিন্তা আসে, হায়রে!! পড়াশুনা তো কিছুই করলাম না। এইচএসসি পরীক্ষায় কি করবো। যদি কোনভাবে এইচএসসি পার করা যায় তারপর তো কোথাও ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাবো না।

এই হতাশার কারণে এইচএসসির পর বাইরে থাকার লোভ অনেকের ফিঁকে হয়ে আসে। তাদের কাছে তখন শর্টকার্ট রাস্তা হিসেবে সেনাবাহিনীতে যোগদান করাটাকেই শ্রেয় মনে হয়। ফলশ্রুতিতে বেশ ভালো সংখ্যার একটা দল তৈরী হয় যারা সেনাবাহিনীতে যোগদান করাটাকে ভবিষ্যত হিসেবে ঠিক করে পড়ালেখায় আরও অমোনযোগী হয়ে যায়।

সেনাবাহিনীতে যোগদানঃ

আগেই বলেছি এখন আবার বলেছি ক্যারিয়ারে সবচেয়ে ভালো শর্টকার্ট রাস্তা সেনাবাহিনীতে যোগদান। আমাদের ব্যাচে জাহিদ নামে একজন ছিল। ভালো ছাত্র, ইংরেজিতে তুখোড়, খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সবকিছুতে ভালো। সবচে বড় কথা আমরা সবাই নিশ্চিত ছিলাম আমাদের ব্যাচ থেকে কেউ যদি IBA তে পড়ার সুযোগ পায় তাহলে সে হবে জাহিদ। যথারীতি জাহিদ এইচএসসির পর IBA ভর্তি কোচিং শুরু করলো। তারপর যখন ব্যাচ ধরে ISSB এর জন্য ডাক আসলো তখন সেখানে গেলো। GDP তে চান্স পেল। যদিও তার কখনই বাহিনীতে যাবার ইচ্ছে ছিলনা, কিন্তু GDP তে সুযোগ পাবার পর সে কোচিং করা বাদ দিয়ে সিনেমা দেখা শুরু করলো। কারণ সে যদি এয়ারফোর্সে যোগ দেয় তাহলে আগামী দুইমাস বোরিং ভর্তি কোচিং করা লাগবে না। নিশ্চিন্ত ছুটি কাটানো যাবে।

এই দুইমাসের কষ্টটাকে কষ্ট মনে করাটাই তার জন্য কাল হলো। প্রায় দেড় বছরের ট্রেনিং শেষ হবার পর একদিন সে চলে আসলো। কারণ ঐ জীবন তার ভালো লাগেনাই।

আমাদের ব্যাচে প্রায় ২৫ জন ছেলে সেনাবাহিনীতে আছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ভালো ছাত্র। বাইরে থাকলে সত্যিকার অর্থেই তারা একটা কিছু হয়ে যেতো। কিন্তু চ্যালেঞ্জ গ্রহণের মানসিকতা না থাকা, চার পাঁচ বছর পড়ালেখা করা, তারপর ভালো চাকরি পাবো কি পাবো না, এইসব নানা চিন্তা করে তারা সেনাবাহিনীতে চলে গেলো। কারণ সেখানে মাত্র দুই বছর প্রশিক্ষণের পর তারা প্রথম শ্রেনীর অফিসার।

তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তব হলেও জীবনটা তাদের পছন্দ হয় নাই, এটা বলাই বাহুল্য। অনেকেই এখন মনে দুঃখ করে বলে বাইরে থাকলে ভালো হতো। কোয়াটার মাস্টার হয়ে হাজার হাজার কাগজ সই করার সময় কিংবা এডজুটেন্ট হয়ে দুনিয়ার হাজারটা সমস্যা ডিল করতে করতে একসময় তাদের মাথাতেও উঁকি দেয় জীবনটাকে যতটা সহজ মনে হয় সেটা ততোটা সহজ না।

একটা দেশের জন্য কোয়ালিটি সেনাবাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে, আর কোয়ালিটি সেনাবাহিনীর জন্য প্রয়োজন রয়েছে কোয়ালিটি অফিসারের। তাহলে জাহিদের মতো ছেলেরা সেখানে গেলে সমস্যা কোথায়?

সমস্যা নাই। তবে যাওয়ার দরকারও নাই। নতুন বের হওয়া ক্যডেটদের সবচেয়ে প্রথম কাজ হবে মাথা থেকে আর্মিতে যাবার চিন্তা দূর করা। কোথাও চান্স পাবো, কি পাবো না এইটা নিয়ে চিন্তিত না হলেও চলেবে। চেষ্টা করলে মানুষ পারে না, এমন কোন কাজ নেই। মনে রাখবা, তুমি একজন ক্যাডেট। তুমি হারায়ে যাবানা। জীবনে যদি একজন ফুল বিক্রেতাও হও তাহলে তোমার ফুল মানুষ সবচেয়ে বেশি কিনবে। সুতরাং চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করো।

সেনাবাহিনী বাদ এবার অবারিত সম্ভাবনার কথাঃ-

আমাদের দেশের শিক্ষাব্যাবস্থার কারণে একটা কথা সবসময় মনে রাখবা তুমি যা হতে চাও তা হতেই পারবা, তুমি যেই বিষয়ে বা যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাও সেখানেই পড়তে পারবা এমনটা হবার সম্ভাবনা খুব কম। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ করবে তুমি কি করবা। যদি কাংখিত বিষয়ে পড়ার সুযোগ না আসে তাহলে চিন্তা করো না। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করার পর তোমার জন্য সুযোগ থাকবে নিজের পছন্দসই কোন বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করার। তারজন্য অবশ্যই ভালো ফলাফল করতে হবে। তোমার ইলেক্ট্রিক্যালে পড়ার সখ ছিল কিন্তু পড়ছ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এইটা নিয়ে আফসোস করলে তোমার ক্ষতি। যেখানে আছ, সেখানে নিজের সবটা উজার করে দেও। চারবছরের কোর্স শেষ করার পর যদি তোমার মনে হয় সিভিল ভালো লাগেনা, তাহলে ইলেক্ট্রিক্যালে চলে যাবার সুযোগ থাকবে।

এখন বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে হালকা গ্যাজানো যাক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জাহাঙ্গীর নগর, কুয়েট, চুয়েট, রুয়েট এগুলো সম্পর্কে সবার কাছেই জানা যাবে। এগুলো নিয়ে বিশদ আলোচনায় যাবো না।

আইইউটি সম্পর্কে কয়েকটা কথা বলি। এখানে ভর্তি হবার জন্য ভর্তি পরীক্ষা দেয়া লাগে না। এসএসসি এবং এইচএসসির এর জিপিএর ভিত্তিতে ছাত্র ভর্তি করা হয়। গত দুই বছর ধরে এটি বেশ জনপ্রিয়। যার কারণে দুইটা গোল্ডেন ছাড়া এইখানে সুযোগ পাওয়া এখন প্রায় অসম্ভব। যারা ভর্তি হবার সুযোগ পাবে তাদের টিউশন ফি হিসবে দিতে হবে এককালীন পাঁচ হাজার USD। তারপর থাকা-খাওয়ার পাশাপাশি মাস শেষে পকেট খরচ হিসেবে প্রত্যেক ছাত্রকে দেওয়া হবে আড়াই হাজার টাকা করে। পড়ালেখার মান মোটামুটি ভালো।

এর পাশাপাশি সিরিয়ালে থাকা বেশ কিছু ছাত্র ভর্তি হবার সুযোগ পাবে “সেলফ ফাইনান্স” স্কিমে। এই ধরণের ছাত্ররা হয়তো সব মিলিয়ে একটি কিংবা দুইটি বিষয়ে এ প্লাস মিস করেছে। সেলফ ফাইনান্সের মানে হলো গিয়ে তাকে টিউশন ফি হিসেবে দিতে হবে সাড়ে ষোল হাজার USD। এতো টাকা দিয়ে এখানে পড়ার দরকার নেই।

এখন আসুক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কথা। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি হিসেবে ক্যাডেটদের পছন্দ হতে পারে নর্থ সাউথ, ইস্ট ওয়েস্ট, ব্র্যাক, আহসানুল্লাহ, এআইউইবি, আইইউবি। অনেকেই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নাক কুঁচকায়। তবে সেটা নিয়ে চিন্তিত হবার কিছু নেই। তোমার অভিভাবকের যদি অর্থ যোগান দেবার সামর্থ থাকে তাহলে প্রাইভেটে পড়তে পার। কারণ আমি আজ পর্যন্ত খুব কম ক্যাডেট দেখেছি যারা প্রাইভেটে পড়েছে অথচ ভালো ফলাফল করে নাই।

চলবে

৭,৬৪২ বার দেখা হয়েছে

৭০ টি মন্তব্য : “খসড়াঃ নতুন এক্স-ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে উপদেশ পোস্ট”

  1. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    রায়হান ধন্যবাদ। আমি পুরাটা পড়তে পারিনি একটু তাড়ায় আছি। আমি কমেন্ট করে উপদেশ দিলে বড় হয়ে যাবে। আমি ভাবছি আলাদা একটা পোষ্ট দিব সেখানে তোমার এইটাকে লিঙ্ক দিয়ে দিব একই নামে সেকেন্ড পার্ট টাইপ।

    জবাব দিন
  2. জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

    তোমার একটা প্রস্তাব খুবই ভালো লাগলো যে, তুমি বলছো ক্যারিয়ারকে হার্ডওয়্যার্ড করে ফেলার কোন মানে নেই। আমরা কে যে কি হতে যাচ্ছি সেটা অন্তত বয়স ২২ কি ২৩ বছর হওয়ার আগে বলা সম্ভব না। তুমি দেখে থাকবে, একজন ছাত্র গড়ে ৩৩-৩৪ বছর বয়সে ডক্টরেট সম্পন্ন করেন। অর্থাৎ, বাধ্যতামুলক শিক্ষা ১৮তে শেষ হওয়ার পর তার আছে ১৫ বছর সময়। আর বিদেশী ছাত্রদের দেখে থাকবে একেবারে পড়াশুনা তারা শেষ করে না। হয়তো অন্ডারগ্র্যাড পড়োলো ২ বছর তারপর ১ বছর যাবে গ্যাপ ইয়ারে, পোস্টগ্র্যাডের পর ২ বছর কাজ করবে ইত্যাদি। আমাদের দেশে কর্মক্ষেত্র সীমিত হওয়ার কারণে এটা বোধহয় সম্ভব নয়। তবে, আমি মনে করি রিয়েল লাইফ এই অভিজ্ঞতাটি প্রয়োজনীয় কেননা এর ভিত্তিতেই তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আসলেই তুমি এটা পছন্দ করতে যাচ্ছ কি না। তবে আমি মনে করি, কোন কিছু ভালো যদি বেসে না থাক সেটা পড়তে যাওয়া বৃথা- no scientific advancement has ever been made my someone not in love with science, no advancement in philosophy has never been made by someone not in love with philosophy. এখানেও একটা সমস্যা হচ্ছে ১৮ বছর বয়সে একটি ছেলে পর্যাপ্ত ম্যাচিউরড থাকে না এই সিদ্ধান্তে পৌছতে যে কি সে ভালোবাসতে যাচ্ছে, সেই ম্যাচিউরটি বোধহয় ২১ কি ২২ বছরের আগে আসে না। তবে, আমি মনে করি পড়াশুনাই যদি করতে হয় অন্তত ফার্স্টক্লাস না পেলে কোন লাভ নাই, এখন আমার দুঃখ হয় ইস প্রথম বছর আর দ্বিতীয় বছরটা যদি আরও একটু ভালো করে পড়তাম। :(( তবে ব্যাপার না, ক্যাডেট না আমরা? আমাদের নিয়মিতভাবে ৫০ তম হয়ে যাওয়া ছেলেটিও কিন্তু অসম্ভবরকম ভালো ছাত্র যখন কিনা সে সিদ্ধান্ত নেয় "নাহ, এবার একটু পড়াশুনা করে দেখা যাক কেমন লাগে।" আমাদের সবাই যেন একজন ভাল, আন্তর্জাতিকমানে সফল ক্যারিয়ারিস্ট হই, এই শুভকামনা রইলো।

    জবাব দিন
  3. জিহাদ (৯৯-০৫)

    চমৎকার উদ্যোগ।

    ভাবসাব দেখে মনে হইতেসে নেক্সট পর্বে তুই প্রাইভেট ইউনির দিকে যাবার ধান্দায় আছিস। সেইটাও ভালো।

    তবে আমার মনে হয় সবচেয়ে ভাল হয় যদি আমরা যে যে প্রতিষ্ঠানে পড়ছি সেই প্রতিষ্ঠানের বিষয় নিয়ে লিখি। নিজেদের প্রতিষ্ঠানের কোন দিকটা ভালো , কোন দিকটা খারাপ, ভর্তি হবার জন্য কি করতে হবে এরকম ডিটেইলস রিভিউ টাইপের আরকি । কারণ আমি নিজের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যত ভালো জানবো সেরকম অন্য কোন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানলেও ঐ প্রতিষ্ঠানে পড়া কেউ একজন নিশ্চয়ই আমার চেয়ে আরো বেশি ভালো জানবে।

    কাজেই আমরা সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে এসে এরকম পোস্ট লিখি তাহলেই সেটা সবচে ভাল হবে মনে করি।


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  4. তোমার ইলেক্ট্রিক্যালে পড়ার সখ ছিল কিন্তু পড়ছ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এইটা নিয়ে আফসোস করলে তোমার ক্ষতি। যেখানে আছ, সেখানে নিজের সবটা উজার করে দেও।
    তোমার ইলেক্ট্রিক্যালে পড়ার সখ ছিল কিন্তু পড়ছ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এইটা নিয়ে আফসোস করলে তোমার ক্ষতি। যেখানে আছ, সেখানে নিজের সবটা উজার করে দেও।

    দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশের ৮০% ছেলেই নিজের পছন্দমত সাবজেক্টে পড়ার সুযোগ পায়না তার পরিবার ও তার পারিপার্শ্বিক বাধার কারণে......

    তাই তোমার সাথে আমি একমত নই কারণ ক্যালিবার বলে একটা জিনিস তোমার পয়েন্টটাতে আসেনি...... আমি বুয়েটে অনেক দেখেছি পড়ে মেকাতে কিন্তু ইলেকট্রিকালে বস আবার পড়ে ইলেকট্রিকালে কিন্তু সিএসইতে বস.......

    তাই আমি যেটা বলব সেটা হল: যদি সম্ভব হয় তাহলে নিজের ক্যালিবার কোন সাবজেক্টে বেশী সেটা বের করতে পারলে সেই সাবজেক্টেই পড়ার চেষ্টা করা উচিত ( তবে পরিবারের বাধায় মনে হয়না বাংলাদেশের কোন ছেলে/মেয়ের পক্ষে তা করা সম্ভব )

    জবাব দিন
  5. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)
    ( তবে পরিবারের বাধায় মনে হয়না বাংলাদেশের কোন ছেলে/মেয়ের পক্ষে তা করা সম্ভব )

    তাহলে আপনি কি সাজেস্ট করেন?

    জাপানে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্টান আছে যেখানে পিচ্চিদের সাইকোলোজি নিয়ে স্ট্যাডি করা হয়। তারপর একটা নির্দিষ্ট সাইকোলোজির পিচ্চি ভবিষ্যতে কোন লাইনে ভাল করবে সেটা নির্ধারণ তাকে প্রথম থেকেই প্রস্তুত করা হয়। আমাদের বাস্তবতা ভিন্ন।

    এই পোস্টটা লেখা হচ্ছে আম জনতার উদ্দেশ্যে। আমরা তাকে এই উপদেশ দিতে পারি না যে তুমি যেখানেই পড়না ক্যান, তোমার যা ভালো লাগে সেটা নিয়েই লেগে থাকো। আমরা বলতে পারি, তুমি যা পড়ছ তার পাশাপাশি আগ্রহের বিষয়টাও চর্চা কর। আর কোন বিষয়ে কারো আগ্রহ থাকলে সে সেটা চর্চা করবেই, কাউকে বলে দিতে হবে না।

    আমার মূল বক্তব্য ছিল, তুমি যেখানেই পড় হতাশ হইয়ো না। হয়তো সময় আসবে তোমার পছন্দসই বিষয় পড়ার।

    জবাব দিন
    • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

      নাজমুল দয়া করে বিদেশে যাওয়ার চিন্তা বাদ দেও ভাই। ইস আজকে পোস্টে ওইটা নিয়ে একটু কথা বলা দরকার ছিল। ভুলে গেছি। ~x(

      একটা জিনিস খালি মাথায় রাখ, ইন্টার পর প্রায় বিশ পার্সেন্ট ছেলে ভাবে বিদেশ যাবে। আমি নিজেও ভাবছিলাম। কিন্তু সফল হয় .5% এর ও কম। যারা হয় তাদের মধ্যে বেশীরভাগেরই অভিভাবক বিশাল পরিমাণ ফাইনান্সিয়াল সাপোর্ট দিতে পারেন।

      আগে কোথাও ভর্তি হওয়া দরকার। তারপর স্কলারশীপের খোঁজ নেও। যদি পেয়ে যাও তারপর যাবার চেষ্টা করো। আর নাহলে আন্ডারগ্রাড এখানে শেষ করো। পরে যেও। বিদেশে কেউ ভালো থাকে না ভাইডি।

      জবাব দিন
      • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)
        বিদেশে যাওয়ার চিন্তা বাদ দেও ভাই।

        এক্কেবারে খাঁটি কথা। যদি পরিবারের পক্ষে টাকা দেওয়া সম্ভব হয়, তাইলে এইটা ভাইবো। আর তা না হলে দেশেই পছন্দের (বা কাছাকাছি) কোন একটা বিষয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েশনটা করে ফেলো, একটা মারদাঙ্গা রেজাল্ট কর। গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের জন্য বহু ফান্ডেড এডমিশন পাবে। সেশন-জ্যামে দুই/একবছর গচ্ছা যাইতে পারে। কিন্তু ওটারও 'মিজা' আছে। 😛


        There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

        জবাব দিন
        • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)
          যদি পরিবারের পক্ষে টাকা দেওয়া সম্ভব হয়, তাইলে এইটা ভাইবো।

          ভাই টাকা দিলেও এটা হয়না, অনেক টাকার মামলাতো। তবে চেষ্টা করে দেখতে পারো জার্মানী বা সুইডেনে। ওসব দেশে টিউশন ফ্রী। তবে তোমার স্পন্সর থাকা লাগবে তারপরও। তবে, ভুলেও টাকা কামায় পড়বা এই ধান্দা নয়া আইসো না।

          জবাব দিন
    • জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)

      তোমার বয়স এখন ১৮ বা ১৯, আমি বলবো এই বয়স আসলে বিদেশে আসার বয়স না, যদিও আমি ১৮ বছর বয়সে বিদেশে এসেছি, এবং আমি স্বীকার করি সেটা বেস্ট সিদ্ধান্ত ছিলো না। আমি বলবো বিদেশে আসতে হলে আস অন্তত ২১ বছর বয়সে। ২১ বছরে বাংলাদেশে আমরা প্রাপ্তবয়স্ক হই। আর এই ৩ বছর ব্যয় কর এটা নির্ধারণ করে যে তুমি কি পছন্দ কর। এটা আমার অভিজ্ঞতা যে এখানে পড়াশুনার যেই চাপ সেটা ম্যাসিভ, ম্যাসিভ বলতে আমি বোঝাচ্ছি ম্যাসিভই। একটা ৭.৫ ক্রেডিটের কোর্স তোমাকে পড়ানো হবে ৯ সপ্তাহে, আর এই নয় সপ্তাহে তোমাকে পড়া দেয়া হবে কতটুকু ধারণা করতো? মিনিমাম ৩ কি ৪ টা বই? আর এক বছরে বা ৮ মাসে তোমাকে অর্জন করতে হবে ৬০ ক্রেডিট। বস্তুত কেউই এই তিন চারটা বই পড়ে শেষ করে না, কিন্তু যে যত বেশী পড়ে সে তত বেশী মার্ক পায়। আর বাংলাদেশের পড়াশুনার যেই সিস্টেম এটার সাথে এই দেশের পড়াশুনার সিস্টেমের বিস্তর পার্থক্য আছে। আমাদের দেশে তুমি দেখে থাকবা ১৮ বছরের একটা ছেলে আন্ডারগ্র্যাড পড়ছে কিন্তু এই দেশে দেখবা ১৮-৩৮ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেপেলে। তুমি ১৮ বছরের একটা ছেলে তুমি ম্যাচুরিটিতেই পিছিয়ে থাকবা ৩৮ বছরের একটা ছেলের চেয়ে। বাংলাদেশে দেখে থাকবা ভাল ছাত্র যারা কিনা অলরাউন্ডার ছাত্র। তারা ফিজিক্সের জাহাজ জীবনে কখনও অর্থনীতি পড়েনি, তাদের তুমি একটা অর্থনীতি বই ধরায় দেও, বল যে এটাতে তোমার পরীক্ষা দিতে হবে, দেখবা যে তারা আর্থিনীতিতেও ৮৫ই পাচ্ছে। কিন্তু এই ধরণের ভালো ছাত্র এই দেশে দেখবা না, এই দেশের ভালো ছাত্রগুলা দেখবা তারাই যারা তার সাবজেক্টকে ভালোবাসে। সুগার এন্ড লিপিড কেমিস্ট্রিতে তুমি উড়ায় ফেললেও অবাক হওয়ার কিচ্ছু থাকবে না আরেকটা কোর্স যদি তোমার রিসিট দিতে হয়। যেমন এক টিচারের একটা কথা শোন "i feel like my favourite team has scored a goal everytime i see a case regarding promisery estoppel." এই উদ্ধৃতিটা তোমাকে দিলাম এটা বোঝানোর জন্য যে সাবজেক্টের প্রতি ভালোবাসা একজন অ্যাকাডেমিকের কিরকম হয়। বাংলাদেশে কিন্তু তা না, বাংলাদেশে মোটামুটি সবাই পড়াশুনাকে একটা ঝামেলা মনে করে, কিন্তু তাও পড়ে এটা ভেবে যে না পড়োলে খাব কি? এমনকি আমিও এটা মনে করেই পড়াশুনা করেছি প্রথম দুটা বছর, তার ফলাফল একটা টু টু হয়তো বা বড়জোড়। বাংলাদেশে ফিরে গেলে একটা টু টু হয়তো অনেক কিছু, কিন্তু তুমি যদি একটা সত্যিকার অ্যাকাডেমিক ক্যারিয়ার গড়তে চাও কিচ্ছু হবে না তোমার টু টু দিয়ে, এরকম অসংখ্য টু টু অয়ালা সুপারশপের ম্যানেইজার। কিছু করতে হলে অন্তত একটা ফার্স্টক্লাস লাগবেই। এই উপলব্ধি আমার যখন আসে তখন আমার বয়স ২১ আমি হারিয়ে ফেলেছি অনেক সময়। তবে, এটা কোন ব্যাপারই না বস্তুত, সময় হারানো যেমন বাংলাদেশে একটা বিরাট ইস্যু, এখানে বাধ্যতামুলক শিক্ষার পর একজন ১৫ বছর সময় পায় উচ্চশিক্ষার জন্য ৩বছরের আন্ডারগ্র্যাড,১ বছর পোস্টগ্র্যাড, ৩ বা ৪ বছর পিএইচডি মিলিয়ে তুমি যদি ৭ বছরও নষ্ট কর এটা রিকভারেইবল, আর এখানে সবকিছুর সাথে সবকিছুর মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ সম্ভব। আমি হয়তো আরেকটা আন্ডারগ্র্যাডের জন্য যাব যেটাতে আমার লক্ষ্য থাকবে ফার্স্টক্লাস পাওয়া। আরও একটা ব্যাপার বলি পরীক্ষা। এখানে পরীক্ষার ব্যাপারটা এমন না যে তুমি জানলেই ভালো করবে, ব্যাপারটা বরং এরকম যে বিষয়টা সম্পর্কে তমার নিজস্ব মতাত্মত থাকতে হবে, শুধু পড়েই তুমি মার্ক পেয়ে যাবা না, তুমি মার্ক পাবা এটা সম্পর্কে তুমি কত ভেবেছো এটার উপর নির্ভর করে। আমি যখন বাংলাদেশ থেকে আসি আমার ধারণা ছিল যে চাপাবাজী করেই আমি হয়তো ৪০ এর মত পাব আমার হিসাব শুরু হয়েছিল তার পর থেকে। এটা মন থেকে মুছে ফেল একেবারে, এখানে তুমি চাপাবাজীর বিন্দুমাত্র চেষ্টা চালাবা ঘ্যাচ ঘ্যাচ করে সব কাইটা দিবে, ০ পাবা একেবারে। প্রথমে আমাকে অনেক যুদ্ধ করতে হয়েছে শুধু এটা বুঝতেই যে পড়াশুনা এখানে কিভাবে অপারেইট করে। বাঙ্গলাদেশে দেখবা যে ১০০ জন ঢুকলো, বের হবে হয়তো ৯০ জন। আর এখানে প্রথম বছর ঢুকেছিল ৩০০ জন। ২য় বছরে হলো ১০০ জন, ৩য় বছরে ৭৫ জন। মানে বুঝলা? বাকীরা উতরাতে পারেনি, উতরানোটাই যেখানে এরকম সেখানে রেজাল্ট ভালো করাটা কঠিন সন্দেহ নেই। আমি যখন আমার প্রথম পরীক্ষা দেই আমার টিচার আমাকে বলে তোমার ইংরেজী শোচনীয়, অথচ আমার ielts ছিল ৭, আমি তখনই বুঝি যে অ্যাকাডেমিক জগত একটা অন্যরকম জগত, বাংলাদেশে একটা ছাত্রের কাছ থেকে যা আশা করা হয় এখানে আশা করা হয় এরচেয়ে অনেক অনেক গুন বেশী, ১৮ বছর বয়সে আমার ম্যাচুরিটি যা ছিল তা দ্বারা যেটা পুরণ করার ছিল আমার পক্ষে অসম্ভব। তাই আমি বলি অন্তত ২১কি ২২ এর আগে এসো না, তুমি কিছু টাকা বাচাতে পারবে এই উপায়ে। আর এই সময়টাতে আগ্রহ গ্রো কর একটা বিষয়ে যা তোমার ভালো লাগে, কেননা যা তোমার ভালো লাগবে তাতেই কিন্তু তুমি ৮ ঘন্টা টানা সময় দিয়ে ৮ ঘন্টার ফল উসুল করতে পারবা, আর যেটা ভালো লাগবে না সেটাতে দেখবা বসে আছ আট ঘন্টা পড়া হয়েছে ২ ঘন্টার সমান। আমি বলবো কোর্স ভালো না বাসলে টু ওয়ান পাওয়াও সম্ভব না, আরেকটু অপেক্ষা কর, পড়াশুনা করে দেখ যে কি তোমাকে টানে। যা টানে তাতে অন্তত ৮ ঘন্টা টানা বসে থাকতে এবং বাকী অবসর সময়টা তা নিয়ে ভাবার আগ্রহ পাচ্ছ কিনা। যদি পার তারপর এদেশে পড়া শুরু কর, সময় বাচাতে পারবা, ইয়ার গ্যাপ নিতে হবে না, একটা ভালো রেজাল্ট ফলাফল্প্রসুতভাবে একটা ভালো ক্যারিয়ার পাবা।

      জবাব দিন
    • কামরুলতপু (৯৬-০২)

      নাজমুল আমাকে মেইল দাও যদি জাপানে আসার চিন্তা থাকে। কিছু অপশন বলতে পারব। পোষ্ট দিতে একটু দেরি হবে। আন্ডারগ্র্যাড লেভেলে যদি বাইরে যাইতে চাও তাহলে জাপান একটা অপশন।

      জবাব দিন
      • ধন্যবাদ অর্নব ভাই এতো কষ্ট করে পোষ্ট দেয়ার জন্য।
        আমার প্রথমেই আমার অবস্থান টা বলে নেয়া উচিত।
        কলেজ থেকে বের হয়ে আমি অন্য সবার মতো ডিফেন্স গাইড এ কোচিং করা শুরূ করি।
        এবং আমার একমাত্র ইচ্ছা আর্মিতে জাওয়া। এর প্রথম কারণ এটা আমার aim ছিল যে আমি আর্মি অফিসার হবো। ২য় কারণ, আমি আর্টস এ ছিলাম, ৩য় কারণ আমার রেজাল্ট ssc তে ৪.৭৫ & hsc তে ৪.৫০। আমি অন্য কোথাও কোচিং ও করিনাই। পরে আর্মি থেকে রেড কার্ড পেয়ে আসলাম। এত কষ্ট আমি জীবনে বোধহয় আর পাইনাই। আমার মানসিক অবস্থাও খুব খারাপ ছিল। তখন চিন্তা করলাম জাপান এ জাই। APU তে। রাসেল ভাই(CCC) এর সাথে প্রতিদিন রাত নেট এ কথা বলতাম। কিছুদিন পরে আম্মু চিন্তা করলো জাপানের পড়াশুনা নাকি জাপানেই সীমাবদ্ধ(আম্মুর ধারণা) চিন্তা করলেন আমাকে LLB পড়াবেন। তার জন্য england সবচাইতে ভালো। ১০ দিনের মাথায় টাকা পয়সা দিয়ে দিল একজন ভাইয়াকে। তখনো আআর ধারণা ছিলনা যে college আর versity এর difference। আমি আসলাম আমার পরে আমার ক্লাসের আরো ৫ জন আসলো সবাই একসাথে প্রতিদিন ভাইয়ার অফিসে বসে আড্ডা মারি। কেউ জানে কীনা জানিনা এখন undergrade এ প্রায় কাউকেই ভিসা দিচ্ছেনা appeal করে ভিসা নিতে হচ্ছে। আমরা জন appeal এ দাড়ালাম বাকিদের রেজাল্ট এখনো দেয়নাই। আমি প্রথমে England এর সাথে Sweden & Finland ও দিয়েছিলাম কীন্তু Finland এর কোনো confirmation না পেলেও Sweden এর টা পেয়েছি। আম্মু বললো যে ব্যাংক এ ৬ মাসের জন্য যে ৮ লাখ টাকা রাখতে হয় সেটা রাখবে। এখন কী করবো বুঝতেসিনা
        রায়হান ভাই আপনি যেটা বললেন সেটা আমি এখন বুঝতেসি তখন বুঝিনাই।
        কামরুল তপু ভাই আমার ইমেইল এডরেস shawkath1238@gmail.com

        জবাব দিন
  6. তৌফিক (৯৬-০২)

    ভালো উদ্যোগ রায়হান। তবে একটা কথা বলবো। ভালো না লাগলে কচলাকচলি কইরো না। আমি এইসবে ত্যক্ত বিরক্ত। প্রথমে সেনাবাহিনী নিয়ে যে কথাগুলা বললা, সেইটা তোমার নিজের অভিজ্ঞতা হতে পারে। কিন্তু সাধারণীকরন করা ঠিক হইলো বলে মনে হয় না। আমার নিজের অনেক বন্ধুবান্ধব ছিল যারা অব্যশই বাইরের ক্যারিয়ার বেছে নিতে পারত, কিন্তু আর্মিকে বেছে নিয়েছে, কারণ তাদের ইচ্ছা ছিল ওইটাই। আবার তুমি যেমন বললা, সেইরকম লোকও ছিল। আর্মি তাদের কাছে আপাত সহজ একটা রাস্তা ছিল।কিন্তু আর্মিতে দুইবছর সার্ভাইব করতে যে দৃঢ়তা দেখানো প্রয়োজন তা আমরা সবাই কিন্তু পারবো না। সুতরাং ঢালাওভাবে কথা বলা ঠিক না।

    আরো একটা কথা, তোমার পোস্টটা অপিনিয়নেটেড মনে হইছে। একটু পর্যালোচনা করে দেখতো পারো।

    জবাব দিন
    • রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

      আমি বুঝি আপনার সাথে খালি কচলাকচলি করি?

      এই পোস্টের উদ্দেশ্য সবাই এই বিষয়ে একটু নজর দেক। আলাদা একটা সেকশন খোলা হবে। সেখানে সবার লেখা থাকবে। যে যেই বিষয়ে এক্সপার্ট সে সেইবিষয়ে বলুক। আমি খালি শুরু করলাম। অপিনিয়নেটেড মনে হতেই পারে, আমার লেখার ব্যর্থতা। আপনি অপিনিয়টেড ছাড়া লিখেন। তাহলেই যাদের উদ্দেশ্যে এই লেখাটা লেখা তাদের লাভ হবে।

      কচলাকচলি চান নাই তাও কই, আমারও তেমন বন্ধু ছিল- ডাই হার্ট আর্মি। কিন্তু আর্মি যাওয়া কারও মধ্যে আমি সাটিশফেকশন দেখি নাই। আমি জানি দুনিয়ার বেশীরভাগ সময় জব স্যাটিশফেকশন পাওয়া সম্ভব না। তবে তাদের হতাশাটা অনেক বেশী বুকে লাগে। আশা করি বুঝাইতে পারি নাই।

      জবাব দিন
      • তৌফিক (৯৬-০২)

        তুমি যা লিখছো, তোমার অভিজ্ঞতা থেকেই লিখছো। আমি তাতে সন্দেহ করি না, কিন্তু একেবারে ঢালাওভাবে বইলো না। আমি অবশ্যই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

        ইনশাল্লাহ আমিও লিখবো। আমার নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলবো। আমার নিজের ডিসিসান প্রসেসের কথা লিখবো। পোলাপান পড়ে নিজের মতো বুঝে নিক।

        জবাব দিন
  7. তাহলে আপনি কি সাজেস্ট করেন?

    সাজেস্ট করি পছন্দের সাবজেক্টে পড়...... "বাপ-মা'র দিকে তাকিয়ে এই বিষয়ে পড়ছি" এটা খুবই নির্মম লাগে আমার কাছে...... ওপেন ক্রেডিটে যাওয়া উচিত.... ইউএসএ'র ভার্সিটিগুলোতে প্রচলিত আছে সিস্টেমটা....... আমাদের দেশে সেভাবে এর প্রচলন নেই....

    আমাদের বাস্তবতা ভিন্ন

    ঠিক....... তবে সময়ের পরিবর্তন হচ্ছে......... তাই ভিন্ন বাস্তবকে আত্মীকরণ করতে হবে.... নিজের জন্যেই........ তোমার আমার লিখায় আমাদের দেশের সিস্টেম পাল্টে যাবেনা নয়তো আমি ব্যাখ্যা করতে পারতাম কিভাবে বুয়েটে এর প্রয়োগ করা যায়.....

    এই পোস্টটা লেখা হচ্ছে আম জনতার উদ্দেশ্যে। আমরা তাকে এই উপদেশ দিতে পারি না যে তুমি যেখানেই পড়না ক্যান, তোমার যা ভালো লাগে সেটা নিয়েই লেগে থাকো। আমরা বলতে পারি, তুমি যা পড়ছ তার পাশাপাশি আগ্রহের বিষয়টাও চর্চা কর। আর কোন বিষয়ে কারো আগ্রহ থাকলে সে সেটা চর্চা করবেই, কাউকে বলে দিতে হবে না

    আমিও স্পেশাল কারো জন্যে বলিনাই....... আম জনতার জন্যেই বলছি.... আর আমি এটাও বলিনাই যা ভাল লাগে সেটা নিয়েই লেগে থাকো............... আমার উদাহরণটা ছিল নিজের ডিপার্টমেন্টের বিষয়বস্তুকে ছাড়িয়ে যখন অন্য ডিপার্টমেন্টের বিষয়ে কেউ পারদর্শীতা দেখায় তখন এটাই ধরে নেয়া যেতে পারে অন্য ডিপার্টমেন্টটাই তার জন্যে বেশী অ্যাপ্রোপ্রিয়েট ছিল......... তুমি আমার কথা বুঝোনাই.... আর লেগে থাকার ব্যাপারটা নিজের সাবজেক্টে হলে তা আরো ফলপ্রসূ হয় এতে কোন সন্দেহ নাই আশা করি.......

    তুমি যেখানেই পড় হতাশ হইয়ো না। হয়তো সময় আসবে তোমার পছন্দসই বিষয় পড়ার

    লাইফ নিয়ে বেটিং আমার পছন্দ না তাই আমি এই কথায় একমত না.... হয়তো শব্দটাতে আমার আপত্তি.......

    তবে তোমার কথাটাতে লজিক আছে যেটাকে আমি বলব:
    যখন ধ** অনিবার্য তাকে যেমন উপভোগ করাই শ্রেয়, তেমনি বাধ্য হয়ে যে সাবজেক্টে পড়ছো সেটাকেই মেনে নেয়া উচিত.....গুলি মারা উচিত পছন্দের বিষয়ে......

    জবাব দিন
  8. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    শুভ উদ্যোগ। কোনটায় ভাল সেটা আমি জানি না। তবে নিজের অভিজ্ঞতা ও নিজের সিদ্ধান্তগুলোর কথা লিখতে পারি:

    বাসা ময়মনসিং। ইন্টারের পর ঢাকার বাইরের সব ক্যাডেটই ঢাকায় এসে পড়ে কোচিং করতে। কিন্তু ফ্যামিলি ক্রাইসিসের কারণে আমি ঢাকায় আসতে পারি নাই। ময়মনসিং এই মেডিক্যাল কোচিং করছি। আসলে ইলেভেন পর্যন্ত আমার ইচ্ছা ছিল বুয়েটে পড়ার। কিন্তু টুয়েলভে উঠে দুইটা বিষয় চিন্তা করলাম:
    - এমসিসি থেকে এখন পর্যন্ত যারা বুয়েটে চান্স পাইছে তাদের প্রায় সবাই কলেজে ১-২০ এর মধ্যে ছিল। আমি যেহেতু এর মধ্যে নাই সুতরাং আমার সেটা চিন্তা করা উচিত না।
    - ইন্টার শেষ করে ভালভাবে পড়া লাগালে হয়ত কাটিয়ে উঠা যাবে। কিন্তু আমার মনে হইছিল এত পড়তে পারব না।

    তাই কি মনে করে টুয়েলভে পাকা সিদ্ধান্ত নিলাম মেডিক্যালে পড়বো। যথারীতি কোচিং শুরু হল। প্রথম দিকে ভালই করছিলাম। কিন্তু যতই দিন যেতে লাগল ততই বুঝতে পারলাম আমারে দিয়ে মেডিক্যাল হবে না। কোচিং এর রাশি রাশি মুখস্ত আর মেডিক্যাল এর এত্ত এত্ত পড়া কাভার করতে পারব না। তাই দুই মাস যেতেই দিলাম হাল ছেড়ে। সেই সময় এল IUT-র খবর। আর কাকতালীভাবে রেজাল্টটাও ভাল হয়ে গেল। তাই চোখ বন্ধ করে চলে এলাম IUT-তে।

    এখানে এসে আফসোস নাই। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের কোন ভার্সিটির পোলাপানই একবার ভর্তি হয়ে যাওয়ার পর আর আফসোস করে না। তিন বছর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পর আমি নিজের ট্র্যাকটা বুঝতে পেরেছি। কলেজে থাকতেই জ্যোতির্বিজ্ঞানে খুব আগ্রহ ছিল। তিন বছর ইলেকট্রিক্যাল পড়ার বুঝতে পারছি: রেডিও অ্যাস্ট্রোনমি নামক সাবজেক্টে আমাকে দিয়ে কিছু হতে পারে। তার মানে ঐ কথাই সত্যি: ২১-২২ এর আগে বাংলাদেশের পোলাপানের পক্ষে কোন সাবজেক্ট পছন্দ করা সম্ভব না। আমরা সেইভাবে ট্রেইন্‌ড না। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, সেটা আমি জানি না।

    তাই ভবিষ্যতে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশনে যাব কি-না, নাকি আমাকে দিয়ে আর পড়াশোনা হবে না- এসব সিদ্ধান্ত ভার্সিটিতে কয়েক বছর পড়ার আগে ভাবা সম্ভব না। সেরা অপশন হচ্ছে: নিজের জন্য সবচেয়ে ফিজিবল অপশনের জন্য চেষ্টা করা। সেটাতে চান্স না পেলেও কাছাকাছি কিছু একটাতে ঢুকে যাওয়া। তারপর চিন্তা করা: চাকরি নাকি উচ্চশিক্ষা। আর এই চাকরি বা উচ্চশিক্ষার সিদ্ধান্তটাই প্রধান। কারণ সেখান থেকেই প্যাশন বা ক্যারিয়ারের চিন্তা শুরু। উচ্চশিক্ষায় গেলে নিজের প্যাশনকে বাস্তবে রূপ দেয়ার অলাভজনক প্রচেষ্টা শুরু করা যাবে; আর চাকরিতে গেলে নিজের ক্যারিয়ার বিকশিত লাভজনক করার সুযোগ পাওয়া যাবে। তবে অবশ্যই অএক চাকরির জন্য উচ্চশিক্ষাও খুব কার্যকরি। সেসব সিদ্ধান্ত অর্থাৎ জীবনের আসল সিদ্ধান্তগুলো ভার্সিটিতে অনেকদিন পড়ার পরই। ইন্টার পাশ করার পর এতসব ভেবে লাভ নাই। কাজ হল, প্যাশন অনুযায়ী পড়া চালিয়ে যাওয়া। ভবিষ্যতে তো তার একটা আউটপুট আসবেই।

    জবাব দিন
  9. রাশেদ (৯৯-০৫)
    আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি ক্যাডেট কলেজে ক্লাস টেন পর্যন্ত ছেলেরা সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য পাগল থাকে না। তাদের প্রায় সবাই চায়, এইচএসসি পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে। সেখানে মেয়েদের সাথে ক্লাস হয়, মেয়েদের সাথে শিক্ষাসফর হয়, দিনরাত আড্ডাবাজি করে পরীক্ষার আগে এক দুই মাস পড়লেই ভালো ফলাফল সহ ডিগ্রী পাওয়া যায়।

    :thumbup: :thumbup: 😀


    মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

    জবাব দিন
  10. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    রায়হান, ভাল এবং দরকারি পোস্ট... :hatsoff: :hatsoff:

    কিন্তু আর্মি যাওয়া কারও মধ্যে আমি সাটিশফেকশন দেখি নাই।

    আমি আমার নিজের কথা বলতে পারি... army is the best thing that could happened to me & my family...
    আমি কিন্তু পুরোপুরি স্যাটিশফাইড আর্মিতে এসে... (যদিও ক্রিপিং করার সময় আমিও কম করি না 😛 )


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  11. সাজিদ (২০০২-২০০৮)

    রায়হান ভাই IUT ভর্তি হতে এখন পরীক্ষা লাগে, আমাদের সময় সারে ৫০০ ডবল গোলডেন সিলেকট করসিল শুধু পরীক্ষা দেওয়ার জন্য, বাকিদের দিতেই দেয় নাই...
    আর আর্মির ব্যাপারটা, শুরুর দিকে সবারি মনে হয় আর্মির চাকরি খারাপ লাগে কিনতু পরে ঠিক হয়ে যায়, আমার আববা ৩০ বছর আরমির চাকরি করার পর বলে বাংলাদেশের জন্য আরমির চাকরি বেস্ট, আমাদের কলেজেও মেজরের উপর যে সকল ভাইয়াদের জিগগেশ করসি সবাই বলসে আরমি ভাল, আরমির জন্য চেস্টা করতে, আর যারা জুনিয়র ছিলেন তাদের বেশ কয়েকজন (কিনতু সবাই না) উলটা কথা বলসেন।

    জবাব দিন
  12. "নতুন বের হওয়া ক্যডেটদের সবচেয়ে প্রথম কাজ হবে মাথা থেকে আর্মিতে যাবার চিন্তা দূর করা।"
    ক্যাডেট কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো সামরিক বাহিনীর সাপ্লাই চেই ন হিসেবে কাজ করে, সেখানে মাথা থেকে আর্মিতে যাবার চিন্তা কেউ বাদ দেয় কেমনে? আমার ধারণা আমরা যখন ক্যাডেট কলেজে ঢুকসি তখন আমাদের নিজেদের স্বীধান্ত নেবার ক্ষমতা বা জ্ঞান ছিলো না। অভিভাবক রা ডিসিসান নিয়া আমাদের পরীক্ষা দেয়াইসে...দ্যাটস ইট! আর কোন অভিভাবক নিশ্চয় চিত্রশিল্পী হওয়ার জন্য কাউরে ক্যাডেট কলেজে পাঠায় না। আর এখন সেলফোন ইন্টারনেটের যুগের পোলাপান কে কৈ ভর্তি হইবো এই সব তাদের personal choice and capability এর উপর নির্ভরশীল। তবে helping hand হিসেবে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং করা যাইতে পারে ।

    জবাব দিন
  13. মোস্তফা (১৯৮৮-১৯৯৪)

    এই ৫০০০ ডলার কি চার বছরের জন্য না এক বছরের? আনুমানিক প্রতি বছর কত করে খরচ হয় এক জন ছাত্রের আইউটি তে পড়তে জানিও। এ রকম অন্য প্রাইভেট ইউনি তে পড়ার খরচ কত প্রতি বছর তা জানালে সবাই তুলনা করে দেখতে পারবে।

    তোমার উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। তবে সবাই লেখায় বেশি বেশি করে তথ্য দিতে পারো। তথ্য গুলো হতে পারেঃ ভর্তির নুন্যতম যোগ্যতা, টিউশন ফি, থাকার+খাবার+বই এবং অন্যান্য খরচ, কি কি বিভাগের সুযোগ আছে, তার মাঝে কোন কোন গুলোর বাজার ভাল (এটা জেনারেল একটা আইডিয়া দেওয়া যেতে পারে), তোমার নিজস্ব মতামত তোমার ইউনি সম্পর্কে, ইত্যাদি। বাহিরের ক্ষেত্রে স্ক্লারশীপ এর সুযোগ, কাজের সুযোগ (কিংবা কাজ করে আদৌ পড়া সম্ভব কিনা) ইত্যাদি।

    লেখার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন নিজের মতামতটি চাপিয়ে না দিই। এই সব তথ্য থাকলে যে কেউ নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারবে।

    জবাব দিন
    • তৌফিক (৯৬-০২)

      5000 ডলার চারবছরের জন্য, মোস্তফা ভাই। টেকনিক্যালি এটা এক বছরের খরচ, বাকি তিন বছরের ১৫০০০ ডলার আসে ও আই সি থেকে। আর ...

      এ রকম অন্য প্রাইভেট ইউনি তে পড়ার খরচ কত প্রতি বছর তা জানালে সবাই তুলনা করে দেখতে পারবে।

      আই ইউ টি প্রাইভেট ইউনি না, ইউ জি সি এটাকে ইন্টারন্যাশনাল ইউনি বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। শেষ যেবার ইউ জি সি-র লিস্ট দেখেছিলাম তাতে আই ইউ টি একমাত্র ইউনি যেটা ইন্টারন্যাশনাল ক্যাটাগরিতে ছিল। এখন অন্য কোন ইউনি যোগ হয়েছে কিনা জানি না।

      জবাব দিন
  14. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    গুড এটেম্পট রায়হান :thumbup: :thumbup:
    ইন্টার শুরু হয়ে গেছে, এখন এই বিষয়টা ব্যাপক ইম্পর্টেন্ট। আমরা আমাদের সময় কোন গাইডেন্স না পাওয়াটা খুব অনুভব করেছি 🙁 জিহাদের আইডিয়া মোতাবেক যে যার স্কুল/প্রফেশন নিয়া ডিটেইল লিখলে চমৎকার একটা কাজ হবে :thumbup:
    চলুক :boss:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  15. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    রায়হান
    খুবই চমৎকার কাজ । সবার মন্তব্যে আরো বিস্তারিত আসবে আশা করি।

    আমার একটা সাজেশন আছে, এই ব্যাপারে, দেখ পছন্দ হয় কিনা।
    এইচএসসি শেষ করে ক'দিন পরেই ফ্রেশ এক্স-ক্যাডেটরা বের হয়ে আসবে।
    তাদের সঙ্গে (সব ক্যাডেট কলেজের যতজনকে একসাথে পাওয়া যায়) আমাদের একটা সামনাসামনি আড্ডা/কাউন্সিলিং সেশনের আয়োজন করা।

    সেখানে সিসিবি থেকে নানান সাব্জেক্টের নানান পেশার পুরোনো এক্স-ক্যাডেটরা থাকবে, আর ফ্রেশ এক্স-ক্যাডেটরা থাকবে। আমরা তাদের কাছে শুনতে চাইবো এখন তাদের কার কি পড়ার/করার প্ল্যান। আমরা কিভাবে এগিয়েছিলাম ওই সময়ে এইসব। কি করে ভালো হবে, কোনটা ভুল হতে পারে, জাস্ট নিজেদের এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করা ওদের সাথে। কিছু গাইডলাইন দেয়া সামনা সামনি।

    আমার ধারণা এতে ওরা উপকৃত হবে।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  16. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    (I apologize for writing in English....)

    Dear Raihan,
    Please take note that getting chance in the army might be a "shortcut" way for the cadets but surviving the two years never is.Anyone who ever spent time in BMA would tell you that.I really appriciate your initiative to inform the young ex-cadets but I believe that calling army as a "shortcut way" is overgeneralized,and in a sense "dangerous".I call it that way because a cadet might join the army learning that it is a "shortcut" way but he would be in deep trouble when he finds out it is not.I am saying this because I personally joined the army as a shortcut way(thanks to my poor result in HSC)but the actual scenario was completely different.I was fortunate enough that my parents could finance the legal way to come out of it but many cadets do not have that.

    Besides,I would request you to kindly reconsider the way you have portrayed the army as a profession.I may not like it(in my case it is literally true,as I resigned after three months) but I have no right to portray it as if only people who do not qualify anywhere else joins the army.Lot many people who would come up with flying colours in any other professions have joined the army-you would see the examples even in this blog.

    Please do not get me wrong.I am not totally disagreeing with you,I am requesting you to reconsider your portrayal of that particular profession.

    জবাব দিন
  17. তানভীর (৯৪-০০)

    রায়হান, তোমার লেখা আর আইডিয়া- দুইটাই খুব চমৎকার। :clap: :clap:

    নতুনদের জন্য ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং খুব সাহায্য করবে বলে আমার বিশ্বাস। এইচ.এস.সির পর তো কোন কিছু না বুঝেই ঝোঁকের বশে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলাম। এখন যে খুব পস্তাচ্ছি তা না, কিন্তু তখন একটা গাইডলাইন পেলে হয়ত আমার ভবিষ্যত অন্যরকমও হতে পারত।

    আর্মি নিয়ে এভাবে বলবা- এটা তোমার কাছ থেকে আশা করিনি রায়হান। ভাল শর্টকাট রাস্তা না বলে বলতে পারতা তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার রাস্তা। শর্টকাট কথাটা শুনলে মনে হয় কম কষ্টের একটা যায়গা। আর আমরা তো সবাই জানি আর বুঝি যে, ওই দুইটা বছর কি অমানুষিক কষ্ট করে অফিসার হতে হয়!

    যাই হোক, তোমার বাকী অংশগুলোর সাথে সহমত। আমরা আমাদের সবার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারি। একই পেশা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন ব্যক্তির দৃষ্টিভংগীও ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু সব মিলিয়ে এটা একটা চমৎকার উদ্যোগ হবে।

    জবাব দিন
  18. ওবায়দুল্লাহ (১৯৮৮-১৯৯৪)

    খুব ভাল উদ্যোগ ভাইয়া।
    ধন্যবাদ তোমায়।

    আমি একটু সময় করে নিয়ে তোমার এখানে কিংবা আলাদা করেই সেদিনের কিছু কথা তুলে ধরবো ভাইয়া।

    আপাতত সাদুবাদ জানিয়ে গেলাম।


    সৈয়দ সাফী

    জবাব দিন
  19. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    বেশ ভালো ভালো মন্তব্য এসেছে। সবাইকে আলাদা করে উত্তর দিতে পারছিনা। ফাইনাল পরীক্ষার চাপে চাপা পড়ে আছি।

    আর্মি নিয়ে আমার এপ্রোচে সবাই একটু মনকষ্টে ভুগেছেন। বুঝতে পারলাম। তবে মজার ব্যাপার হলো তারা যেই মন্তব্যটা করেছেন আমার নিজেরও একই মতামত। মাসরুফ ভাই, তানভীর ভাই কিংবা শার্লী। সমস্যা হয়ে গেছে বলার ধরণটা।

    শর্টকার্ট শব্দটা ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। বলা উচিত ছিল সহজতম পথ। শর্টকার্ট বলি আর সহজতম পথ বলি আসল কথা হলো আর্মিতে যোগদান এর কোনটাই না। কারণ শার্লী যেমন বললো, তার বন্ধুকে ১৪ ঘন্টা খাটতে হয় তখন তার দুঃখ লাগে। আমিও তাই বলি, আমার ঐবন্ধুটি তার প্রতিদিনের শ্রমের যেই ১৪ ঘণ্টা আর্মিকে দিচ্ছে আর্মি কি তার প্রতিদান দিতে পারছে? পারছেনা। এই ১৪ ঘন্টা পড়ালেখায় প্রতিদিন যদি কেউ দিতো তাহলে তার অবস্থাটা একবার চিন্তা করেন।

    জবাব দিন
  20. নাজমুল (০২-০৮)

    আর্মী নিয়ে রায়হান ভাই এর সাথে একমত হতে পারলামনা। অনেক এর অভিভাবক ও চায় ছেলে আর্মী অফিসার হোক, অনেকের নিজের ইচ্ছাও হয় আর্মী অফিসার হতে। যেমন আমি। তবে আর্মীর selection নিয়ে আমার ডাউট আছে। অনেকে ভাববেন আমি চান্স পাইনি বলে এ ধরণের কথা বলছি। কীন্তু ঠিক তা না। আমি এখনো আর্মীর প্রতি দুর্বলতা অনুভব করি। আমার আম্মা কেন জান আর্মী সহ্য করতে পারেনা বোধহয় আমি চান্স পাইনাই বলে 🙁 তবে আম্মা আর্মী নিয়ে কিছু বললে আমি তার প্রতি উত্তর দেই। আমার কাছে মনে হয় আর্মী এবং ক্যাডেট এর আলাদা সম্পর্ক আছে। আমি ISSB তে জাওয়ার আগে আমাদের বাড়িওয়ালা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল কোনো লোক ধরসি কীনা??? তা না হলে নাকি চান্স পাওয়া জায়না। তখন আমি খুব গর্ব নিয়ে বলেছিলাম। আসলে uncle আর্মীতে ক্যাডেট দের কোনো লোক ধরা লাগেনা। 🙁 কীন্তু আমাদের ব্যাচটা ১৫ই august এর ছুটির কারণে এক মাস পিছিয়ে সিভিল দের সাথে মিক্সড হয়ে জায়। আমি রেড কার্ড পেয়েছি তার জন্য আমার কষ্ট আছে কীন্তু রাগ নাই. কীন্তু আমার ব্যাচ এ এমন অনেক ছেলে ছিল জাদের জন্য আসলেই খারাপ লাগে। আর একটা কথা কেউ বিশ্বাস করবে কিনা জানিনা আমাদের ব্যাচ থেকে মাত্র ৭ জন চান্স পেয়েছিল এমন ওদের সবার recommendation letter ছিল।আর্মী নিয়ে রায়হান ভাই এর সাথে একমত হতে পারলামনা। অনেক এর অভিভাবক ও চায় ছেলে আর্মী অফিসার হোক, অনেকের নিজের ইচ্ছাও হয় আর্মী অফিসার হতে। যেমন আমি। তবে আর্মীর selection নিয়ে আমার ডাউট আছে। অনেকে ভাববেন আমি চান্স পাইনি বলে এ ধরণের কথা বলছি। কীন্তু ঠিক তা না। আমি এখনো আর্মীর প্রতি দুর্বলতা অনুভব করি। আমার আম্মা কেন জান আর্মী সহ্য করতে পারেনা বোধহয় আমি চান্স পাইনাই বলে 🙁 তবে আম্মা আর্মী নিয়ে কিছু বললে আমি তার প্রতি উত্তর দেই। আমার কাছে মনে হয় আর্মী এবং ক্যাডেট এর আলাদা সম্পর্ক আছে। আমি ISSB তে জাওয়ার আগে আমাদের বাড়িওয়ালা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল কোনো লোক ধরসি কীনা??? তা না হলে নাকি চান্স পাওয়া জায়না। তখন আমি খুব গর্ব নিয়ে বলেছিলাম। আসলে uncle আর্মীতে ক্যাডেট দের কোনো লোক ধরা লাগেনা। 🙁 কীন্তু আমাদের ব্যাচটা ১৫ই august এর ছুটির কারণে এক মাস পিছিয়ে সিভিল দের সাথে মিক্সড হয়ে জায়। আমি রেড কার্ড পেয়েছি তার জন্য আমার কষ্ট আছে কীন্তু রাগ নাই. কীন্তু আমার ব্যাচ এ এমন অনেক ছেলে ছিল জাদের জন্য আসলেই খারাপ লাগে। আর একটা কথা কেউ বিশ্বাস করবে কিনা জানিনা আমাদের ব্যাচ থেকে মাত্র ৭ জন চান্স পেয়েছিল এমন ওদের সবার recommendation letter ছিল।আর্মী নিয়ে রায়হান ভাই এর সাথে একমত হতে পারলামনা। অনেক এর অভিভাবক ও চায় ছেলে আর্মী অফিসার হোক, অনেকের নিজের ইচ্ছাও হয় আর্মী অফিসার হতে। যেমন আমি। তবে আর্মীর selection নিয়ে আমার ডাউট আছে। অনেকে ভাববেন আমি চান্স পাইনি বলে এ ধরণের কথা বলছি। কীন্তু ঠিক তা না। আমি এখনো আর্মীর প্রতি দুর্বলতা অনুভব করি। আমার আম্মা কেন জান আর্মী সহ্য করতে পারেনা বোধহয় আমি চান্স পাইনাই বলে 🙁 তবে আম্মা আর্মী নিয়ে কিছু বললে আমি তার প্রতি উত্তর দেই। আমার কাছে মনে হয় আর্মী এবং ক্যাডেট এর আলাদা সম্পর্ক আছে। আমি ISSB তে জাওয়ার আগে আমাদের বাড়িওয়ালা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল কোনো লোক ধরসি কীনা??? তা না হলে নাকি চান্স পাওয়া জায়না। তখন আমি খুব গর্ব নিয়ে বলেছিলাম। আসলে uncle আর্মীতে ক্যাডেট দের কোনো লোক ধরা লাগেনা। 🙁 কীন্তু আমাদের ব্যাচটা ১৫ই august এর ছুটির কারণে এক মাস পিছিয়ে সিভিল দের সাথে মিক্সড হয়ে জায়। আমি রেড কার্ড পেয়েছি তার জন্য আমার কষ্ট আছে কীন্তু রাগ নাই. কীন্তু আমার ব্যাচ এ এমন অনেক ছেলে ছিল জাদের জন্য আসলেই খারাপ লাগে। আর একটা কথা কেউ বিশ্বাস করবে কিনা জানিনা আমাদের ব্যাচ থেকে মাত্র ৭ জন চান্স পেয়েছিল এমন ওদের সবার recommendation letter ছিল।আর্মী নিয়ে রায়হান ভাই এর সাথে একমত হতে পারলামনা। অনেক এর অভিভাবক ও চায় ছেলে আর্মী অফিসার হোক, অনেকের নিজের ইচ্ছাও হয় আর্মী অফিসার হতে। যেমন আমি। তবে আর্মীর selection নিয়ে আমার ডাউট আছে। অনেকে ভাববেন আমি চান্স পাইনি বলে এ ধরণের কথা বলছি। কীন্তু ঠিক তা না। আমি এখনো আর্মীর প্রতি দুর্বলতা অনুভব করি। আমার আম্মা কেন জান আর্মী সহ্য করতে পারেনা বোধহয় আমি চান্স পাইনাই বলে 🙁 তবে আম্মা আর্মী নিয়ে কিছু বললে আমি তার প্রতি উত্তর দেই। আমার কাছে মনে হয় আর্মী এবং ক্যাডেট এর আলাদা সম্পর্ক আছে। আমি ISSB তে জাওয়ার আগে আমাদের বাড়িওয়ালা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল কোনো লোক ধরসি কীনা??? তা না হলে নাকি চান্স পাওয়া জায়না। তখন আমি খুব গর্ব নিয়ে বলেছিলাম। আসলে uncle আর্মীতে ক্যাডেট দের কোনো লোক ধরা লাগেনা। 🙁 কীন্তু আমাদের ব্যাচটা ১৫ই august এর ছুটির কারণে এক মাস পিছিয়ে সিভিল দের সাথে মিক্সড হয়ে জায়। আমি রেড কার্ড পেয়েছি তার জন্য আমার কষ্ট আছে কীন্তু রাগ নাই. কীন্তু আমার ব্যাচ এ এমন অনেক ছেলে ছিল জাদের জন্য আসলেই খারাপ লাগে। আর একটা কথা কেউ বিশ্বাস করবে কিনা জানিনা আমাদের ব্যাচ থেকে মাত্র ৭ জন চান্স পেয়েছিল এমন ওদের সবার recommendation letter ছিল।
    এই ব্যাপারটা সিভিল ব্যাচ গুলাতে বেশি হয় বলে আআর ধারণা।
    তাই কারো যদি আর্মি তে জাওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে কোনো সমস্যা নাই। কীন্তু তাই বলে সমস্ত শ্রম আর্মীর জন্য দেয়াটা উচিত হবেনা। কারণ আর্মিতে চান্স পাওয়াটা অনেকটা লাএর ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।
    ISSB এর কিছুদিন আগে থেকে কোচিং করা শুরু করলেই হবে।

    জবাব দিন
    • সাজিদ (২০০২-২০০৮)

      খাইসে, বিসাল কমেন্ট দেইখা ভাবসিলাম কিনা কি লিখসোস কিনতু দেখি একিটাই বারবার, ISSB তে তদবির করলে লাভ হয় এই ধারনার ব্যাপারে আমার কিসু ডাউট আসে, মনে হয় না খুব একটা লাভ হয়, তবে কি দেখে যে তারা নেয় ঠিক বুঝিনা, ISSB তে আমার গ্রুপে এফসিসির সিপি নিশাত ছিল, আমরা সবাই ভাবসিলাম সে টিকবে, জিটিও বারবার তাকে CT এর সময় দলে নিতে বলসিল সবাইকে, আর আমাদের কলেজের রুহুলেরতো অবোস্থা আরো করুন, ডিপি ভাইবার সময় তারে ডিপি এত পছন্দ করসিলযে বলে দিসে তুমি টিকতেসো, সেও খুশিতে সবাইকে খাওয়ায় টাওয়ায় দিসে, কিনতু পরেরদিন দেখে সেই রেড কার্ড !!! পরে ডিপি তাকে বাইরে ডেকে নিয়ে সরিও বলসেযে এভাবে নাকি তাকে বলা ঠিক হয় নাই যে সে টিকতেসে এজন্য সে দুঃখিত পরেরবার আবার ট্রাই করতে বলসে......

      জবাব দিন
      • খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

        "ডিপি ভাইবার সময় তারে ডিপি এত পছন্দ করসিলযে বলে দিসে তুমি টিকতেসো" - জানিনা তার DP কে ছিলো, তবে কাজটা যে তিনি মোটেই ঠিক করেন নাই, সেটা তিনি নিজেও বুঝতে পেরে পরে সরি বলেছিলেন। ISSB এর নির্বাচন তিনটি পর্যায়ে করা হয়ে থাকেঃ মাঠ পর্যায়ে GTO দ্বারা, মানস পর্যায়ে Psychologist দ্বারা আর জ্ঞানগরিমা, পারিপার্শ্বিকতা ও স্বভাব চরিত্র ইত্যাদির জন্য DP দ্বারা। এই তিনজন স্বাধীনভাবে কাজ করে থাকেন এবং তাদের মতামত দিয়ে থাকেন। Candidate দের মধ্যে কিছু 'Must Quality' খোঁজা হয়ে থাকে, যেগুলোর ব্যাপারে এই তিনজনের মধ্যে যেকোন একজন দ্বিমত প্রকাশ করলে সেই Candidate কে আর নেয়া সম্ভব হয় না। খুব চুলচেরা বিশ্লেষণ এর প্রয়োজন পড়লে ব্যাপারটি প্রেসিডেণ্ট এর কাছে রেফার করা হয় এবং এ ব্যাপারে তার মতামতই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়। তাই ফলাফল চূড়ান্ত হবার আগে স্বাভাবিক কারণেই এই তিনজনের কেউই কোন Candidate এর ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলতে পারেন না যে সে টিকবে।

        জবাব দিন
  21. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    আমার অভিজ্ঞতা নিয়ে গুছিয়ে একটা পোষ্ট দিব ভাবছি, কমেন্টে লিখেছিলাম অনেকখানি, হঠাৎ পেজ টা রিফ্রেশ হয়ে গেল, এখন আর লিখতে ইচ্ছে করছে না।

    মনটাও ভালো নেই কদিন থেকে............। দেখি চামে একটা রংপুরের পোষ্ট বাড়িয়ে ফেলবো।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  22. Ashraf (2002-2008)

    ভাই আমার মনে হই নতুন ex cadet রা বেশির ভাগ এই ব্লগ পড়ে না আমাদের উচিত তাদের কাছে এই ইনফরমেশন গুলু সেন্ড করা সামনা সামনি এই তাদের এই জিনিস গুলা ক্লিয়ার করা দরকার এই উদ্যোগ তা খুব ভালো লাগলো

    জবাব দিন
  23. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    যারা পড়াশুনা এড়াবার উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীতে যোগদান করে, তারা সেখানে যাবার পরে বুঝতে পারে তাদের ধারণাটা কত ভুল ছিলো। পড়াশুনা এড়িয়ে সেনাবাহিনীর চাকুরীকে নিছক একটা Job হিসেবে নেয়া যায়, কিন্তু Career হিসেবে নয়। সিঁড়ির উপরের দিকে উঠতে হলে পড়াশুনা ছাড়া গতি নেই। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্য কিছু অসাধারণ গুণাবলী সহায়ক হয়, তবে সেগুলোও কেবল ব্যতিক্রম হতে পারে, বিধি নয়।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মেহবুবা (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।