ব্লগাড্ডা!!!

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ সিসবি আড্ডা শেষ হবার পর আমরা কয়েকজন টং এর দোকানের সামনে বসে গুলতানী মারছিলাম। এমন সময় বিল উত্থাপিত হলো যে, আজকের এই আড্ডাটা নিয়া কে ব্লগ লিখবে। কেউ বলে মাসরুফ ভাই, কেউ বলে কামরুল ভাই, কেউ বা জিহাদ-জিহাদ বলে রব তুললো। আমার কথা কেউ কয় নাই। আমারে কেউ পাত্তা দেয় নাই। আমি মাইন্ড খাইছি। এইটা এমনেই ব্লগর ব্লগর। আড্ডা নিয়া বেশী কথা নাই। 🙂

১…

২৭ তারিখ রাতের বেলা স্যামের সাথে চ্যাট করছি মেসেঞ্জারে। ওর পিসি কয়েকদিন নষ্ট ছিল। কথা বার্তা বলার সুযোগ পাইনাই ঠিকমতো। সেইদিন সুযোগ পেয়ে কি-বোর্ডে ঝড় উঠাচ্ছি। নানা কথা বলার পর আসন্ন সিসিবি আড্ডার প্রসংগ উঠলো। ওর মনে বেজায় দুঃখ। আসতে পারবে না বলে। আমাকে বললো আড্ডা শেষ করার পর যেন তপু ভাইকে নিয়া বুয়েটে যাই। তপু ভাইরে দেখার খুব সখ ওর। আমি বলি, আইচ্ছা।

তারপর জগতের আরও অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলার পর…(ক্যামেরা এখন চলে যাবে একটা খোলা মাঠে। সেখানে একটা তালগাছ প্রচন্ড ঝড়ে একবার বায়ে যাচ্ছে তো একবার যাচ্ছে ডানে…চারপাশ হয়ে আসছে অন্ধকার, বিজলি চমকাচ্ছে অনবরত, ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে বাংলা সিনেমার ঝড়ের মিউজিক, শো…শো…বুম বুম )

এরপর আমি ঠিক করলাম অনেক হৈছে। আজকে এইরাত থেকে দীর্ঘমেয়াদী একটা ডুব দিতে হবে। মোবাইলটা হাতে নিয়ে রুম থেকে বের হলাম। পাঁচ তলা থেকে মোবাইলটা ছুঁড়ে ফেলে দিলাম। কোথায় পড়লো সেইটা ভালো করে দেখে নিলাম। (যেন রাগ কমলে পরের দিন তুলে আনতে পারি…সেইটা অবশ্য হয় নাই, কারণ রাতের বেলা বর্ষা পড়ে সব ধুয়ে মুছে একাকার করে দিয়েছে…) তারপরও দেখি রাগ কমেনা। নেটে ঢুকে ফেইসবুক ডি-একটিবেক্ট করলাম। পারলে মেইল একাউন্টগুলাও ফালায় দেই।

২…

এমত অবস্থায় পরের দিনের সিসিবি আড্ডায় যাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। আমি ঠিক করলাম সকাল সকাল উঠে নিরুদ্দেশ যাত্রা করবো। যাতে করে জিহাদ আমাকে খুঁজে না পায়। কিন্তু আমি পোলাটা ভাবি এক করি আরেক। পরেরদিন ঘুম ভাংগলো দুপুর দুইটায়। রুমে পেষ্ট নাই দীর্ঘদিন ধইরা। আমি মুহাম্মদের রুমের উদ্দেশ্য হাঁটা দিয়াই পড়লাম জিহাদের সামনে। ও কয় তাড়াতাড়ি রেডি হ। যাইতে হবে। আমি আর না বলতে পারলাম না। কারণ মেইন পেইজে তখনও আমার লেখা পোস্টটা ঝকমক করছে। আমি নিজেই যদি না যাই তাহলে ক্যামনে কী??

প্রায় দুই ঘন্টা ধরে দুলদুল পরিবহনে দুলে দুলে যখন ধানমন্ডি পৌছালাম তখন আমার সাদা শার্টটা ময়লা কালো হয়ে গেছে, চুলে জেল দিয়ে আসছিলাম সেইটাও গ্যাছে। স্টার কাবাবের সামনে ততক্ষণে অনেকেই পৌছে গেছে। তপু ভাই আমাদের দেখেই দেরী হবার জন্য ফ্রন্টরোল, ফ্রন্টরোল রব তুললেন। আমাদের সিলেটের পোলাপাইন প্রায়ই দুঃখ করে বলে এই তপু মিয়া তাগোরে অনেক পাংগাইছে। সেদিন তার নুরানী মুখ প্রথমবারের জন্য দেখে এবং এই ফ্রন্টরোল ফ্রন্টরোল আওয়াজ শুনে আমিও বুঝলাম তার সেই স্বভাবটা এখনও যায় নাই। 🙂

৩….

একটু পর স্টার কাবাব আলো করে আগমন করলেন বিশিষ্ট উৎসর্গকারক আলম ভাই, তার বিখ্যাত ক্যাপটা পড়ে। দেরী হয়ে যাচ্ছিল আমরা নীচে না দাঁড়িয়ে উপরে উঠে গেলাম।

ততক্ষণে যাদের যাদের আসার কথা ছিল সবাই এসে পড়েছে। শফি ভাইকে আমি বলেছিলাম আপনি আসলে আপনাকে একটা ক্যাডেট গেঞ্জি দেবো, ওনার দেরী দেখে সেইটা মাসরুফ ভাইকে হস্তান্তর করে দেবার একটু পর কোনখান থেকে উনি হাজির হলেন। এসেই আমারে খুঁজেন, ঐ মিয়া আমার গেঞ্জি কোথায়…কিন্তু ততক্ষণে যা হবার হয়ে গেছে। মাশরুফ ভাই গেঞ্জি পেয়েই ছুটে গেছেন বাথরুমে। সেটা গায়ে দিয়ে সফি ভাইকে বললেন, ভাইয়া আমি নিয়ে নিছি…

৪…

সেইদিন অনেক মজা হয়েছে। বিভিন্ন লেখার সুত্র ধরে টানাটানি, হাসতে হাসতে গড়াগড়ি। ছবিও তোলা হয়েছে অনেক। আর কিছু লিখতে ইচ্ছা করছে না। ছবি দেখেন। টাটা…

টেবিল লীডার শফি ভাইয়ের নেতৃত্বে সিসিবি পাব্লিকদের একাংশ
টেবিল লীডার শফি ভাইয়ের নেতৃত্বে সিসিবি পাব্লিকদের একাংশ

ভাইবেন্না শুধু একটা টেবিল, পিছনে খালা মামারা সবাই আমাদের দাওয়াতেই আসছে।
ভাইবেন্না শুধু একটা টেবিল, পিছনে খালা মামারা সবাই আমাদের দাওয়াতেই আসছে।

বুঝলেন ভাই, দুনিয়া একটা তেজপাতা। তা আমার সাথে তাবলীগে যাচ্ছেন কবে?
বুঝলেন ভাই, দুনিয়া একটা তেজপাতা। তা আমার সাথে তাবলীগে যাচ্ছেন কবে?

আলম ভাই, আলম ভাই, আলম ভাই...
আলম ভাই, আলম ভাই, আলম ভাই…’

ছবি কুইজ: কে বেশী চিকি?
ছবি কুইজ: কে বেশী চিকি?

পাঁচ নম্বর মোগলাই সাটানোর পথে মাসরুফ ভাই...
পাঁচ নম্বর মোগলাই সাটানোর পথে মাসরুফ ভাই…’

৩,৩৯৮ বার দেখা হয়েছে

৩৬ টি মন্তব্য : “ব্লগাড্ডা!!!”

  1. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    বেশী কিছু বলবোনা...ছবিটা কাটা ঘা এ নুনের ছিটা মনে হলো...।
    রায়হান, ধন্যবাদ ভাইয়া।
    তুমি দেখি একটু আগে আমারে ফেসবুকে আ্যড করলা...গুড...যোগাযোগ টা আরো নিবিড় হলো...।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আহসান (১৯৮৮- ১৯৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।